Tag Archives: Cyclone Remal Updates

Cyclone Remal Update: দুর্যোগ কাটতেই চালু ফেরি পরিষেবা

পূর্ব বর্ধমান: রিমল দুর্যোগ কাটিয়ে পুনরায় চালু হল ফেরিঘাটের পরিষেবা। রবিবার সন্ধে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। রবিবার রাত থেকে বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয়েছিল ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া। এই বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে রবিবার সন্ধে থেকেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ করা হয় ফেরি পরিষেবা।সেরকমই পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও বিভিন্ন জায়গায় ফেরি পরিষেবা বন্ধ ছিল।

পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন ফেরিঘাটের মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট হল কাটোয়া ভাগীরথী ফেরিঘাট। এই ফেরিঘাটও রবিবার থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত বন্ধ ছিল। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় এই ফেরিঘাট পুনরায় চালু হয়েছে। স্বভাবতই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন যাত্রীরা। এই প্রসঙ্গে যাত্রীরা জানান, ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। নদিয়া থেকে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে আসার এটাই প্রধান পরিবহণ পথ।

আরও পড়ুন: রোহিনী উৎসব কী জানেন? দেখুন ভিডিও

কাটোয়া থেকে নদী পেরিয়ে বহু মানুষকে ওপারে যেতে হয়। আবার ওপার থেকেও বহু মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা ছাড়াও আরও বিভিন্ন কাজে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে এসে থাকেন। ফলে পরিষেবা বন্ধ থাকায় তাঁরা সকলেই অসুবিধার মুখে পড়ছিলেন। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পরিষেবা চালু হওয়া সকলেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Cyclone Remal Update: সবজি-তিল-বাদাম চাষের ব্যাপক ক্ষতি, রিমলের তাণ্ডবে অসহায় কৃষকরা

হুগলি: শুধু সুন্দরবনের উপকূল অঞ্চল নয়, দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার জুড়েই ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে ঘূর্ণিঝড় রিমল। এখানে ঝড়ে যেমন কাঁচা মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গাছ পড়েছে তেমন‌ই ঝড় ও প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্ষতি হয়েছে বহু চাষের জমির। হুগলি জেলায় সবজি, তিল ও বাদাম চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কৃষি প্রধান জেলা হুগলি। সেখানে আগে অনাবৃষ্টি ও পরে অতি বৃষ্টির ফলে দুশ্চিন্তায় চাষিরা। ঘূর্ণিঝড় রিমলের কারণে সোমবার পর্যন্ত চলে বৃষ্টিপাত। যার ফলে জল দাঁড়িয়ে রয়েছে চাষের জমিতে। ফলে ক্ষতির আশঙ্কার ভুগছেন প্রান্তিক চাষিরা। একই সঙ্গে ক্ষতি হয়েছে মরশুমি আনাজ সহ অসময়ের ফুলকপি, পটল, ঝিঙে এই সব চাষেও। পাশাপাশি ক্ষতি হয়েছে পাট, তিল ও বাদাম চাষে।

আরও পড়ুন: রিমল আতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে সুন্দরবন

সিঙ্গুর ব্লকের চাষিরা ঘূর্ণিঝড় রিমলের কারণে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। সেই দুশ্চিন্তাই যেন সত্যি হয়ে উঠেছে। বুড়িগ্রাম মাঠে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নিয়ে চিন্তায় ছিলেন চাষিরা। তাদের আশঙ্কা সত্যি করে এই এলাকায় চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতি বৃষ্টির জেরে জল জমেছে কপি ক্ষেত, তিল ক্ষেত, পটল ও বাদাম ক্ষেতে। বিশেষ করে অসময়ে কপি পুরোটাই নষ্ট হয়ে যাবে বলে দাবি কৃষকদের। ঝড়ের দাপটে পটল গাছ থেকে জমিতে পড়েছে। একে অনাবৃষ্টির কারনে ফসলে লাভ হয়নি। এবার নতুন করে অসময়ে অতি বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হল।

আরামবাগ, গোঘাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে বাদাম, পাট ও তিলের চাষ হয়ৃ সেই সমস্ত জায়গাতেও জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। বিশেষ করে যে চিনা বাদাম চাষ হয় সেই চিনা বাদামের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেলে গাছের গোড়া পচে যায়। যার ফলে গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন সেখানকার কৃষকরা।

রাহী হালদার

Cyclone Remal Update: রিমল আতঙ্ক কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে সুন্দরবন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রিমলের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকাগুলো। ঘূর্ণিঝড় রবিবার স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর সুন্দরবনের প্রচুর গাছ শিকড় উপড়ে পড়ে যায়। ফলে এখানকার বিস্তীর্ণ এলাকায় রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়। থমকে যায় জনজীবন। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে সুন্দরবন।

ঘূর্ণিঝড় রিমলের প্রভাবে বিদ্যুৎ থেকে পানীয় জল সব ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল সুন্দরবনের বাসিন্দাদের। তবে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন এখানকার উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তায় পড়ে থাকা গাছ প্রশাসনের তরফ থেকে কেটে ফেলা হচ্ছে। যে এলাকাগুলি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল সেই জায়গাগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। বেশিরভাগ এলাকাতেই সোমবার রাত থেকেই বিদ্যুৎ চালু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: নেশায় বুঁদ সেই ছোট থেকে! তবে এতে ক্ষতি নেই, বরং বেশ লাভ…

যেসব জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি বা ইলেকট্রিক পোল উপড়ে গিয়েছে সেখানেও দ্রুতগতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। চালু করে দেওয়া হয়েছে ফেরি সার্ভিস। যে সমস্ত মানুষ এই ঝড়ের দাপটে বাড়ি ফিরতে পারিনি তাঁরাও কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছেন। আশ্রয় শিবিরগুলোয় ঠাঁই নেওয়া মানুষজন‌ও ধীরে ধীরে প্রশাসনের উদ্যোগে নদীর পাড়ের কাঁচা বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।

সুমন সাহা

Cyclone Remal Update: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বৃষ্টি শুরু, চওড়া হাসি চাষিদের মুখে

কোচবিহার: উত্তরবঙ্গের আকাশজুড়ে মেঘ আর রোদের লুকোচুরি। দক্ষিণ বঙ্গ পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমলের প্রভাবে গিয়ে পৌঁছেছে উত্তরবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে এখানকার সবকটি জেলাতেই।

দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে গোটা উত্তরবঙ্গ বৃষ্টিতে ভিজেছে। রিমলের প্রভাব পড়েছে উত্তরেও। আলিপুরে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। এই বৃষ্টি চাষের জন্য খুশির খবর নিয়ে এসেছে। বেশিরভাগ চাষিই এতে খুশি। তবে এই বৃষ্টি অন্য কিছু চাষির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে জমিতে ঢুকেছে নোনা জল! উপকূলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষকরা

কোচবিহার জোলার ভুট্টা চাষি মদন দেবনাথ জানান, তাঁর জমির ভুট্টা এখনূ পর্যন্ত সম্পূর্ণ তোলা হয়নি। এরপর ভুট্টা শুকানোর একটা বিষয় আছে। এরই মাঝে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি ভয় পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে চাষের জন্য খরচ করা টাকার অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে তিনি জানান। জেলার আরেক ধান চাষি নরেন্দ্র চন্দ্র দাস জানান, তাঁর জমির সম্পূর্ণ ধান তোলা শেষ হয়ে গেলেও ধান শুকানো সম্ভব হয়নি। তাই কিছুটা হলেও অস্বস্তির মুখে পড়েছেন তিনি।

কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী শঙ্কর সাহা জানান, যেভাবে গরমের মাত্রা বাড়ছিল তাতে চাষের অনেকটাই ক্ষতি হচ্ছিল জেলায়। বর্তমান সময়ে এই বৃষ্টিপাত চাষের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুখবর বয়ে নিয়ে এসেছে। গরমের কারণে পাট চাষিরা অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন। বৃষ্টির কারণে এবার পাট চাষে তাঁদের অনেকটাই সুবিধা হবে। তবে বেশ কিছু কৃষক এখনও ভুট্টা ও ধান সম্পূর্ণ তুলে উঠতে পারেননি। তাঁদের জন্য কিছুটা হলেও চিন্তা রয়েছে। তবে সেই সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। এতে জেলার চাষের ক্ষেত্রে খুব একটা বেশি ক্ষতি হবে না।

সার্থক পণ্ডিত

Cyclone Remal Update: ঘূর্ণিঝড়ে জমিতে ঢুকেছে নোনা জল! উপকূলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষকরা

উত্তর ২৪ পরগনা: রিমলের জেরে সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকায় ক্ষতির মুখে চাষ। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমলের জেরে রাজ্যের সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে সমস্যায় চাষিরা। বাংলাদেশ ঘেঁষা বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় রিমলের জেরে চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে গিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ১ ও ২ ব্লক, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ, বাদুড়িয়া সহ সাত’টি ব্লকের কৃষকদের মাথায় হাত। ঝোড়ো হাওয়ায় বিঘার পর বিঘা চাষের ক্ষেতে যেভাবে পাকা সবজি গাছ ভেঙে পড়ছে। তাতে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। পাশাপাশি বৃষ্টির ফলে পচতে শুরু করেছে সবজি। ফলে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সুন্দরবনের কৃষকরা।

আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ির জন্য কিনুন এই উপহার

ইতিমধ্যেই পটল, করলা, ঝিঙে সহ একাধিক ফসল নষ্ট হয়েছে। এদিকে বিপুল পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হওয়ায় কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন চাষিরা। শুধুমাত্র সবজি নয়, সবজির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়ায় পাট ও তিল চাষ‌ও ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে। ফলে স্বভাবতই দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে সুন্দরবনের কৃষকদের। সব মিলিয়ে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা।

জুলফিকার মোল্যা

Cyclone Remal Update: ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে বেঁচে গেল বীরভূম, বৃষ্টি হলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি

বীরভূম: রিমলের ধাক্কায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকলেও অনেকটাই রেহাই পেল বীরভূম। জেলায় বৃষ্টি হলেও বড় কোন‌ও বিপদ ঘটেনি। টানা বৃষ্টিতে বোলপুরে জল জমেছে বেশ কিছু এলাকায়। অন্যদিকে রামপুরহাটের বিভিন্ন ওয়ার্ড‌ও জলমগ্ন হয়েছে। কোথাও ঝড়ে গাছ পড়ে বিপত্তি ঘটেছে। তবে বড় কোন‌ও বিপর্যয় হয়নি জেলায়।

দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য বহুল জেলায় জনজীবন লণ্ডভণ্ড করার মত পরিস্থিতি তৈরি হলেও সেই বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছে লাল মাটির জেলা বীরভূম। তবে রবিবার রাত থেকে হাওয়ার দাপটে লাভপুর, নানুর, ইলামবাজার-সহ বহু এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে।কয়েক যায়গায় মাটির বাড়িও পড়ে যায়। যদিও বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জেলায়।

আরও পড়ুন: রিমলের প্রভাবে স্বস্তি উত্তরে, পাট-চা চাষে জলের ঘাটতি মেটার আশা

এক কথায় ঘূর্ণিঝড় রিমলের জেরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বীরভূমে। দিনভর ছিটে ফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২.৩ মিলিমিটার। তবে রিমল বিপর্যয় মোকাবিলায় শান্তিনিকেতন থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারে নিয়ে যাওয়া হয় এই জেলার বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকাদার ও বিদ্যুৎ কর্মীদের। বীরভূম নিয়ে প্রশাসন নিশ্চিন্ত থাকলেও ভিন জেলার বিপর্যয়ে ব্যতিব্যস্ত করেছে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ দফতরকে। কারণ রবিবার ডায়মন্ডহারবারে বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের জেরে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আর সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই শান্তিনিকেতন থেকে বাসে করে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা রওনা হন ডায়মন্ডহারবারের উদ্দেশ্যে।

বিদ্যুৎ দফতরের শান্তিনিকেতনের ডিভিশনাল ম্যানেজার পরিমল সরকার বলেন, ডায়মন্ডহারবারের পরিস্থিতি উদ্বেগের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে জরুরি খবর পৌঁছয়। অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে বৃষ্টিপাতের কারণে। ফলে বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেই মতই তড়িঘড়ি বাস ভাড়া করে প্রায় ৫০ জন ঠিকাদার কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হলেই কর্মীরা বিদ্যুৎ সংযোগের কাজে নেমে পড়বেন।

শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি পল্লি ও ইলামবাজারের জঙ্গলে বড় বড় সোনাঝুরি, ইউক্লেক্টর, বট গাছ পড়ে যায়। শান্তিনিকেতনের রতনকুঠির পাশে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ ভেঙে পড়লে ঘেরা দেওয়ালের ক্ষতি হয়েছে। লাভপুর, নানুর, ইলামবাজার-সহ বোলপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কয়েকটি মাটির বাড়ির দেওয়াল ও অস্থায়ী আস্তানা ভেঙে পড়ে। এদিকে বৃষ্টিপাত হলেও কোনও জলাধার থেকে সেইভাবে জল ছাড়া হয়নি।আর তার ফলে নিচু এলাকাগুলি বিপর্যয়ের মুখ থেকে রেহাই পেয়েছে।

সৌভিক রায়

Cyclone Remal Update: রিমলের প্রভাবে স্বস্তি উত্তরে, পাট-চা চাষে জলের ঘাটতি মেটার আশা

জলপাইগুড়ি: কথায় আছে ‘কারোর পৌষ মাস তো কারোর সর্বনাশ’…
বাংলার এই প্রবাদ বাক্যটি এখন উত্তরবঙ্গের কৃষকদের মুখে মুখে ঘুরছে। ঘূর্ণিঝড় রিমলের ধাক্কায় দক্ষিণবঙ্গে যখন বিস্তীর্ণ এলাকা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, সেই সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হওয়ায় হাসি ফুটেছে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের মুখে। এতে ডুয়ার্সের চা, পাটের মত অর্থকারী ফসলগুলি চাষের ক্ষেত্রে জলের যে ঘাটতি দেখা গিয়েছিল তার অভাব অনেকটাই পূরণ হয়েছে।

দিনের পর দিন অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে চা শিল্প ক্ষতির মুখে পড়ছিল। তীব্র গরমে চা গাছ শুকিয়েগিয়েছিল। নানা রোগ পোকার আক্রমণের মুখে পড়ে চা শিল্প মুখ থুবরে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। অবশেষে রিমলের ছোঁয়ায় খানিক বৃষ্টি হওয়ায় চা গাছগুলি যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। চা এর পাশাপাশি অন্যান্য সবজি, পাট সব কিছুই যেন এই বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। কৃষকরা‌ও মনে করছেন হয়তো ক্ষতির ধাক্কা সামলে নেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন: রিমলের ধাক্কায় সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত, মাথায় হাত কৃষকদের

ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে দক্ষিণবঙ্গের জনজীবন থেকে শুরু করে উপকূলবর্তী জেলার চাষিদের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির ছবি উঠে আসছে ক্রমাগত। তাতে ব্যথিত সবাই। কিন্তু এর‌ই সুবাদে এবারের চাষের মৌসুমের শুরু থেকে জলের যে ঘাটতি দেখা গিয়েছিল তার অনেকটাই পূরণ হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এই বিষয়ে, জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিক শ্রী গোপাল চন্দ্র সাহা জানান, দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলিতে রিমল ল্যান্ডফল হওয়ার প্রায় ঘণ্টা সাতেক পর থেকেই জলপাইগুড়ির বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে হয়েছে বৃষ্টি। এতেই প্রাণ ফিরে পেয়েছেন কৃষকরা। এই বৃষ্টিপাতের ফলে পাট সহ অন্যান্য সবজি চাষিরাও যে অনেকটাই উপকৃত হবেন। আগামী কয়েকদিনে এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।

সুরজিৎ দে

Cyclone Remal Effect: রিমলের ধাক্কায় সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত, মাথায় হাত কৃষকদের

পূর্ব বর্ধমান: ঘূর্ণিঝড় রিমলের ঝাপটায় ব্যাপক ক্ষতি সবজি চাষের। মাথায় হাত কৃষকদের। রাজ্যের ‘শস্য ভাণ্ডার’ বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের বিচ্ছিন্ন এলাকায় বহু কৃষক সবজি চাষ করেন। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ঝোড়ো হাওয়া এবং ব্যাপক বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে চাষের জমিতে।

এখন গ্রীষ্মকালীন ফসল হিসেবে পটল, ঝিঙে সহ একাধিক ফসল ফলিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-২ ব্লকের সবজি চাষিরা। এই সময় সবজি চাষের উপরেই নির্ভরশীল থাকেন এখানকার চাষিরা। তবে সোমবার সারাদিন ঝড়, জল হওয়ার কারণে বর্তমানে ব্যাপক চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন চাষিরা। এই প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী এলাকার এক সবজি চাষি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ঝড়ের জন্য পটলের মাচা ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও জমিতে জল জমে রয়েছে। বেশ কিছু পটল পড়ে গিয়েছে, সেগুলো আর বিক্রি করা যাবে না। আমার অনেকটা জমিতে পটল চাষ করেছি। কিন্তু এরপর কী হবে বুঝে উঠতে পারছি না।

আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতিই সার! বছর বছর ঘূর্ণিঝড়ে বিপন্ন সুন্দরবন, তবু হয় না পাকা বাঁধ

সোমবার প্রায় সারাদিন ঝড় বৃষ্টির কারণে চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত ঝোড়ো হাওয়ার জন্য গাছের গোড়া আলগা হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হবে সেই আশঙ্কা করছেন সবজি চাষিরা। অমর দাস নামের এক সবজি চাষি বলেন, অনেক পটল ঝরে পড়ে গিয়েছে। যদি সব গাছের গোড়া আলগা হয়ে যায় তাহলে বড় ক্ষতি হবে। বেশ কিছু মাচা ভেঙে গিয়েছে। আবার নতুন করে মাচা করতে হবে। তা নাহলে সব সবজি নষ্ট হয়ে যাবে। এই এলাকায় অনেক চাষি আছে সকলের একই অবস্থা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Cyclone Remal Death Toll: রিমল ঘূর্ণিঝড়ে আরও এক মৃত্যু! ঝড় থামার পর বাইরে বেরিয়েই সব শেষ, সাইক্লোনে বাড়ছে বলির সংখ্যা

হলদিয়া: সাইক্লোনে বিধ্বস্ত রাজ্যে ফের মৃত্যু। গতকাল, রবিবার রাতে দুর্যোগের পর মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। ঘূর্ণিঝড় রিমলের দাপটে ছিঁড়ে পড়া তারে জড়িয়ে গিয়ে হলদিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। এই নিয়ে রিমলে বলির সংখ্যা ৬।

আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে মারণফাঁদ… মামাবাড়ি এসে খেলা করতে করতে প্রাণ গেল ১৩ বছরের কিশোরের

মৃতের নাম নন্দলাল ঘোড়ই। বয়স ৫২ বছর। হলদিয়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড দুর্গাচক টাউনের কুমারচক এলাকার বাসিন্দা। গতকাল রাতে, ঝড়বৃষ্টি থামার পর তিনি বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। বাড়িতে কেন বিদ্যুৎ নেই, তা খোঁজ করার জন্য ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন নন্দলাল ঘোড়ই। ওই সময় বাড়ির কাছেই পড়ে থাকা একটি কেবল লাইনের তারে আচমকা হাত দিয়ে ফেলেন বলে পরিবারের দাবি। ওই কেবল লাইনে বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল ছিল।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নন্দলাল। প্রতিবেশীরা হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নন্দলাল ঘোড়ই পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন। প্রিয়ংবদা বাজারে তাঁর ছোট একটি চায়ের দোকানও ছিল।

Cyclone Remal: জেলা জুড়ে নাগাড়ে ঝোড়ো হাওয়া, দাপুটে বৃষ্টি, নদিয়ায় রিমলের বলি ২

রবিবার ভোর রাত থেকেই গোটা নদিয়া জেলা দূরে শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমলের তাণ্ডব। আনুমানিক ভোর তিনটে থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমলের জেরে নদীয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত একনাগারে হয়েই চলেছে।
রবিবার ভোর রাত থেকেই গোটা নদিয়া জেলা দূরে শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমলের তান্ডব। আনুমানিক ভোর তিনটে থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমলের জেরে নদীয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বাড়ি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত একনাগারে হয়েই চলেছে।
সোমবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। বৃষ্টি কমবেশি সমস্ত জেলা জুড়েই হয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে গতকাল থেকেই। রাস্তাঘাট জনশূন্য।
সোমবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। বৃষ্টি কমবেশি সমস্ত জেলা জুড়েই হয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে গতকাল থেকেই। রাস্তাঘাট জনশূন্য।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় ক্ষয়ক্ষতির খবর উঠে আসছে। গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন বাসিন্দাদের নিরাপদে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে । একাধিক বাড়ি লাগাতার বৃষ্টিপাত ও দমকা হওয়ার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় ক্ষয়ক্ষতির খবর উঠে আসছে। গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন বাসিন্দাদের নিরাপদে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে । একাধিক বাড়ি লাগাতার বৃষ্টিপাত ও দমকা হওয়ার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সোমবার বিকেল চারটে পর্যন্ত আবহাওয়ার আপডেট অনুযায়ী লাগাতার ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে নদিয়া জেলা জুড়ে। বেশিরভাগ এলাকা সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন।
সোমবার বিকেল চারটে পর্যন্ত আবহাওয়ার আপডেট অনুযায়ী লাগাতার ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে নদিয়া জেলা জুড়ে। বেশিরভাগ এলাকা সকাল থেকে বিদ্যুৎহীন।
ইতিমধ্যেই এক কিশোরের গর্তে জমা জলে ডুবে এবং এক ব্যক্তির বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে।
ইতিমধ্যেই এক কিশোরের গর্তে জমা জলে ডুবে এবং এক ব্যক্তির বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে।
ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন রাস্তাঘাটে গাছ এবং গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। যদিও কিছু কিছু এলাকায় পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের আপৎকালীন বিভাগের কর্মীরা এসে ইতিমধ্যেই তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
ঝড়ের তান্ডবে বিভিন্ন রাস্তাঘাটে গাছ এবং গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। যদিও কিছু কিছু এলাকায় পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের আপৎকালীন বিভাগের কর্মীরা এসে ইতিমধ্যেই তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
একনাগারে হয়ে চলা এই বৃষ্টি মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে আবহাওয়া দফতর সূত্রে।
একনাগারে হয়ে চলা এই বৃষ্টি মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে আবহাওয়া দফতর সূত্রে।