Tag Archives: district durga puja 2024


Durga Puja 2024: মায়ের অলঙ্কার তৈরি করেও চলে না পেট, পুজোর আগে ব্যস্ততায় ভরে শুধু মন

উত্তর দিনাজপুর: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তারপরই বিশ্বকর্মা পুজো। আর তার ঠিক ১৫ দিন পরেই বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। তাই মৃৎশিল্পীদের পাশাপাশি শোলার গয়না তৈরির কারিগরদেরও এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। প্রতিমাকে অলঙ্কারে সুসজ্জিত করার জন্য প্রয়োজনীয় শোলার অলঙ্কার তৈরি করতে ব্যস্ত শিল্পীরা।

বিশ্বকর্মা পুজো কিংবা দুর্গাপুজো, সব পুজোতেই প্রায় কমবেশি প্রতিমা সাজাতে শোলার অলঙ্কারের প্রয়োজন হয়। তাই আগে থেকেই দিনরাত এক করে শোলার অলঙ্কার তৈরি করে রাখছেন কারিগররা। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের শোলা শিল্পী সুনীল মালাকার এবং তাঁর স্ত্রী মায়া মালাকার বছরের পর বছর ধরে শোলার অলঙ্কার তৈরি করছেন। আর সেই অলঙ্কার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে। শোলার চাঁদমালা, মুকুট, প্রতিমার অঙ্গসজ্জার নানান গহনা তৈরি করেন এই শিল্পীরা। তবে চাহিদা থাকলেও তেমন রোজগার নেই।

আরও পড়ুন: ময়ুরেশ্বরের যুবকদের ‘ভয় নেই’ ছড়িয়ে পড়ল গোটা জেলায়

এই বিষয়ে শোলা শিল্পী মায়া মালাকার জানান, ৫০-৬০ বছর ধরে এই কাজ করে আসছি। পাল মশাইদের অর্ডারে আমরা এই কাজ শুরু করি। মায়ের গায়ের অলঙ্কার তৈরি করি। কিন্তু যে টাকা পাই সেই টাকা দিয়ে নিজেদেরই গায়ের একখান কাপড় জোটে না। শোলার গয়নার চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের জোগান কম থাকায় চাহিদা মত গয়না তৈরি করে ডেলিভারি দিতে সমস্যায় পড়তে হয়। এদিকে বিভিন্ন আধুনিক অলঙ্কার বেরিয়ে যাওয়ায় শোলার কাজে আজকাল আর তেমন দাম দিতে চান না ক্রেতারা। শিল্পীদের হাতের তৈরি শোলার ডিজাইনের উপর দাম নির্ধারণ করা হয়। এক একটি ডিজাইন ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। তবে পরিশ্রমের তুলনায় দাম না পেলেও পূর্বপুরুষদের এই পেশা আজও ধরে রেখেছেন মালাকার দম্পতি।

পিয়া গুপ্তা

Durga Puja 2024: প্রতিমা নির্মাণ থেকে পুজো সবটাই করেন তিনি একা! বসুবাড়ির দুর্গাপুজোয় তিনিই ‘অল ইন ওয়ান’

কোচবিহার: ইতিমধ্যেই জেলা কোচবিহারের দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ দুর্গা মূর্তি তৈরির কাজও প্রায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। প্রায় ২৪ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে কোচবিহারের রাজ রাজেন্দ্র নারায়ণ রোড-এর বসু পরিবারের দুর্গাপুজো। একেবারেই বনেদি বাড়ির সাবেকি আদলে তৈরি বসু পরিবারের দুর্গা মূর্তি। আর এই মূর্তি নিজের হাতে তৈরি করেন বাড়ির ছেলে সিদ্ধার্থ। আগেও বসু বাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রচলন ছিল। তবে তখন ছোট মূর্তি কিনে এনে পুজো হত। ছোট থেকেই দুর্গাপুজো ও প্রতিমার প্রতি দারুণ ঝোঁক ছিল সিদ্ধার্থর। সেই ঝোঁকের বশেই বছর ২৪ আগে কাগজ ও তুলো দিয়ে প্রথম মূর্তি তৈরি করেন।

বসু বাড়িয়ে পুজোর সূচনা হওয়ার পর পেরিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ অনেকটা সময়। কিন্তু, প্রথম বছরের পর আর কাগজের মূর্তি তৈরি হয়নি। তখন থেকেই বসু বাড়িতে তৈরি হতে শুরু করে একচালা সাবেকি দুর্গা প্রতিমা। সিদ্ধার্থ বসু জানান, ”এমনিতেই তাঁকে বাইরে থাকতে হয় পড়াশোনার সূত্রে। তার ওপরে আবার পুজোর মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। খুবই ব্যস্ততা চলছে মূর্তি তৈরির। দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাঁকে। প্রতিমা মূলত তিনি তৈরি করলেও। তাঁর বাবাও যথেষ্ট সাহায্য করেন তাঁকে এই বিষয়ে। প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি, তিনি নিজেই এই দুর্গাপুজো করে থাকেন। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশী সবাই খুব আনন্দিত থাকেন।

আরও পড়ুন-     বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

সিদ্ধার্থের বাবা চিন্ময় বসু জানান, “সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন তাঁদের বাড়ির দুর্গাপুজোর জন্য। রথের মেলার সময়ে দুর্গা মূর্তির কাঠামোতে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়। তখন থেকেই বাড়ির সবার মধ্যে ব্যস্ততা শুর হয়ে যায়। তারপর মাস দু’য়েক ধরে চলে প্রতিমা তৈরির কাজ। পুজোর চারদিন পর যখন প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। তখন সকলের মনেই দারুণ কষ্ট হয়।” তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়ম মেনেই পুজো হচ্ছে তাঁদের বাড়িতে। কোনওদিন চিন্তা করা হয়নি স্থায়ী মূর্তি নির্মাণের। বাড়ির দুর্গা প্রতিমা নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে বেশ অনেকটাই আনন্দিত হয় পরিবারের সকলে। আগামী দিনেও এই পুজো এভাবেই চলবে বলেই জানান বসু পরিবারের মানুষেরা।

Sarthak Pandit

Durga Pujo 2024: এলাকার জ্যান্ত দুর্গাদের নিরাপত্তায় এবার ব্যবহৃত হবে অনুদান-সহ পুজোর টাকা!

উত্তর ২৪ পরগনা: আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব এবার শারদ উৎসবেও! থিমের চাকচিক্য ছেড়ে নারী সুরক্ষায় বিশেষ ভাবনা কেষ্টপুর মাস্টারদা স্মৃতি সংঘের। সরকারের দেওয়া অনুদানের টাকা নিলেও সেই টাকা ব্যবহার করা হবে এলাকার জ্যান্ত দুর্গাদের সুরক্ষায়। এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েই এ দিন উন্মোচিত হল ভাবনা।

এ বার তাঁদের ভাবনায় ফুটে উঠবে, “সভ্যতার রক্ষাকবচ”। এ দিন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই তাঁদের মাথায় আসে এমন চিন্তাভাবনা। তার জন্যই অনুদানের ৮৫ হাজার টাকায় করা হবে এলাকার মহিলাদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত।

আরও পড়ুন- মমতার কালীঘাটের বাড়ির পাহারায় বিশাল পুলিশবাহিনী! বন্ধ রাস্তা, আক্রমণের উপায় নেই

এই অনুদানের টাকা ও পুজোর বাজেটের একটা অংশ দিয়ে নারী সুরক্ষায় করা হবে, সুরক্ষা হেল্পলাইন। যা চালু থাকবে নারীদের নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘন্টা সপ্তাহের সাত দিন। গোটা পাড়ায় হাই ডেফিনিশন সিসিটিভি ক্যামেরা বসনো হবে। পাড়ায় বিশেষ নাইট ক্যাব সার্ভিস চালু করা হবে। পাড়ার মেয়েদের বিনামূল্যে ক্যারাটে শেখানো হবে বলেও জানা গিয়েছে।

রাত ১১ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত পাড়ায় বেসরকারি সংস্থার পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করা হবে এমনই নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে। এরই পাশাপাশি এ দিন থিম ভাবনা উন্মোচনের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত রেখেই প্রতিটি প্রতিবাদ অন্যায় বিচারের দাবি তোলা হয় ক্লাবের তরফ থেকে।

আরও পড়ুন- ফিমেল ওয়ার্ডে শুয়ে-বসে আড্ডা পুরুষদের! নিরাপত্তা কোথায়? আতঙ্কে মহিলা রোগীরা

অনুষ্ঠানে দেখা যায়, জীবন্ত দুর্গা মঞ্চেই বধ করেন আরজি কর কাণ্ডের ধর্ষক ও খুনি অসুরকে। থিম শিল্পী জানান, এবারে এই ভাবনায় ফুটে উঠবে বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষাই একমাত্র এই সামাজিক ব্যাধি দূর করতে মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তাই শিক্ষা ছাড়া নেই কোন বিকল্প এবারের মন্ডপ সহ প্রতিমা ও সজ্জায় ফুটে উঠবে বিশেষ এই নারীদের রক্ষার বিশেষ বার্তা। তবে শারদ উৎসবকে সামনে রেখে পুজো কমিটির এমন অভিনব সিদ্ধান্তকে রীতিমতো কুর্নিশ জানাচ্ছেন এলাকার মানুষজন -সহ মহিলারাও।

রুদ্র নারায়ণ রায়  

Durga Puja 2024: জন্মাষ্টমীর পর রীতি মেনে নন্দ উ‍ৎসবে কাদামাটিতে মিশল দই, বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে পুজোর ঢাকে কাঠি

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: কাদা খেলায় শুরু হল দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি! জলপাইগুড়ি বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো অতি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পুজো। এখানকার ঐতিহ্য, পরম্পরা, রীতিনীতি, দেবী মূর্তি সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে এক বৈশিষ্ট্যের ছোঁয়া। এ বছর ৫১৫ তম বর্ষে পদার্পণ করল জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির দুর্গোৎসব। সেই পুরাকালের রীতি মেনেই জন্মাষ্টমী তিথির পর দিন আজ নবমী তিথিতে নন্দোৎসব পালিত হল জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে।

দধিকাদো খেলার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের সূচনা হল সেখানে। কী এই খেলা? দধিকাদো খেলা আসলে কাদা মাটির সঙ্গে দই মিশিয়ে খেলা। উত্তরবঙ্গের রাজবংশী সমাজে এটি একটি অত্যন্ত প্রাচীন খেলা। রাজবাড়িতে কাঠামো পুজোর পর নাটমন্দিরের পাশে কাদা খেলার পুকুরে কাদামাটির সঙ্গে দই মিশিয়ে দেয় পুরোহিত। তারপরেই এলাকার কচিকাঁচা থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষ মেতে ওঠে এই খেলায়। শুরু করে কাদা খেলা। কাদা খেলার মাটি রেখে দেওয়া হয় নাটমন্দিরে।

আরও পড়ুন : কৌশিকী অমাবস্যায় বড় চমক! তারাপীঠ মন্দিরের পুণ্যার্থীদের জন্য এ বার বছরভর বিশেষ আকর্ষণ! জানুন বিশদে

প্রতিমা গড়ার সময় এই কাদামাটি মিশিয়ে দেওয়া হয় প্রতিমার মাটিতে।রাজ পরিবারের কুলপুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান, ‘‘এই দধিকাদো খেলার মাটি সবার প্রথমে কাঠামোতে প্রলেপ দিয়ে দুর্গাপ্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হবে। রাজবাড়ির দুর্গার বাহন সিংহের সঙ্গে বাঘও থাকে। আর থাকে জয়া বিজয়া, ব্রক্ষ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। রাজ পরিবারের সদস্য প্রণতকুমার বসু জানান, ‘‘নন্দোৎসবের পর দধি কাদো খেলার মাটি রেখে দেওয়া হয়েছে। দেবীর মূর্তি গড়ার সময় এই মাটি মিশিয়ে দেওয়া হবে। এদিন দধিকাদো উৎসব উপলক্ষে ঢাকের আওয়াজে মুখরিত হল রাজবাড়ি।’’

Durga Puja 2024: শক্তিরূপী দেবীর পুজোর মূল দায়িত্বে মাতৃ শক্তি! পুজোর থিমেও তার‌ই ছোঁয়া

পশ্চিম বর্ধমান: তিনি স্নেহময়ী, মমতাময়ী। আবার তিনিই শক্তিরূপেণ সংস্থিতা! সেই শক্তির প্রতীক দেবীর আরাধনার মূল দায়িত্ব গত পাঁচ বছর ধরে সামলাচ্ছেন মহিলারা। দুর্গাপুরের বঙ্কিমচন্দ্র পুজো কমিটির যাবতীয় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁরাই এখানে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন। শিল্প শহরের এই পুজো মণ্ডপে এবার ফুটে উঠবে নারী শক্তির বার্তা।

আরও পড়ুন: জমা জলের যন্ত্রণায় কাহিল, শেষে রাস্তা কেটে নিকাশির ব্যবস্থা নাগরিকদের

এই বছর ৪৮ তম বর্ষে পদার্পণ করছে বঙ্কিমচন্দ্র পুজো কমিটির এই দুর্গাপুজো। তবে এবারে পুজোর থিমের মধ্যে দিয়ে উদ্যোক্তারা অভিনব বার্তা দিতে চাইছেন। তাই পুজো মণ্ডপের থিম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে নারী শক্তিকে। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই থিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছেন শহরের নাগরিকরা।

প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর শহরে আরও একাধিক বড় দুর্গাপুজো হয়। সেই দুর্গাপুজোগুলির থিম ইতিমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে। কোথাও থিম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে রাজস্থানের পর্যটন কেন্দ্র, আবার কোথাও উঠে আসছে মার্কিন মুলুকের মন্দির। কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র পুজো কমিটির এই সামাজিক দায়িত্ববদ্ধতা তাদেরকে অন্যান্যদের থেকে ভিন্ন করে তুলেছে।

নয়ন ঘোষ

Durga Puja 2024: ‘মোদের প্রাণ গাছের দান’ পরিবেশ রক্ষার বার্তাই এবার পুজোর থিম শিলিগুড়ির এই পুজো মণ্ডপে

শিলিগুড়ি: পৃথিবীতে থেকে ধীরে ধীরে সবুজ কমে যাচ্ছে। যত পরিমাণে গাছ কাটা হচ্ছে সেই হারে লাগানো যাচ্ছে না বলে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। গাছ বা সবুজ শুধু মানুষের জন্য দরকার এমন নয়। বিশ্ব সংসারে যত প্রাণ আছে, দরকার সবার জন্য।

গাছ যে শুধু অক্সিজেন যোগায় তা নয়, কত পাখি, কত কত পতঙ্গের বাস এই গাছকে কেন্দ্র করে। দেবী শক্তির কাছে বসুন্ধরাকে সব সময় সবুজ রাখার প্রার্থনা নিয়ে নিজেদের থিম তৈরি করেছে রথখোলা নবীন সংঘ।এবছর তাদের থিম ‘মোদের প্রান গাছের দান’ ।

আরও পড়ুন: পিঁপড়ের উত্‍পাতে নাজেহাল? রান্নাঘর খাবার রাখাই দুষ্কর, ৪ সহজ টিপস্ জেনে নিন, আপনার বাড়িতে পিঁপড়ের ‘নো এন্ট্রি’ গ‍্যারান্টি

খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে রথখোলা নবীন সংঘের সার্বজনীন দুর্গো পুজোর প্রস্তুতির সূচনা হল। বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে শিলিগুড়ির রথখোলা নবীন সংঘের সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির খুঁটি পুজো হয়। খুঁটি পুজোর সূচনা করেন পুজো কমিটির পুজো সম্পাদক জয়দীপ দাস, সভাপতি কৃষ্ণ দাস, ক্লাব সভাপতি শিবেশ লাহিড়ী ও ক্লাব সম্পাদক উৎপল পোদ্দার ।উপস্থিত ছিলেন ২২নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দীপ্ত কর্মকার, বিশিষ্ট সমাজসেবী ধীমান বোস সহ কমিটির বাকি সদস্যরা।

এবছর ৫০ তম বর্ষে পদার্পণ করল রথখোলা নবীন সংঘের পুজো। এবারে তাদের থিম মোদের প্রান গাছের দান। পরিবেশ বাঁচান সমাজকে রক্ষা করুন এই বার্তাই থাকবে পুজো মণ্ডপে। তাদের পুজোর সকলের নজর কাড়বে আশাবাদী পুজো কমিটি উদ্যোক্তারা। রথখোলা নবীন সংঘের পুজো কমিটির সম্পাদক জয়দীপ দাস জানান, আমরা একটু ভিন্নমাত্রায় এবার পুজো উপহার দিতে চলেছি।

আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীর দিনেই ঘুরে যাবে ভাগ‍্যের চাকা! মঙ্গলের গোচরে ৫ রাশি জীবনে ধনসম্পদের বন‍্যা, ৪৫ দিনে কপাল খুলে যাবে

মোদের প্রান গাছের দান নাম এজন্যই দেওয়া হয়েছে যে, পরিবেশ রক্ষার বার্তা আমরা দিয়েছি এবারে পুজো থিমে। প্রতিবছরই আমরা আমাদের মন্ডপ থেকে সামাজিক বার্তা দিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে প্যান্ডেল প্রতিমা আলো সজ্জার ও মিল থাকছে। পুজো নিয়ে থাকবে বিশেষ অনুষ্ঠানেও।

অনির্বাণ রায়

Durga Puja 2024: শৈশবের স্মৃতি নিয়েই আয়োজন দুর্গাপুজোর! হয়ে গেল খুঁটিপুজো

কোচবিহার: বাঙালি সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। আর এক মাসের কিছু বেশি সময় বাকি দুর্গাপুজোর। ইতিমধ্যেই পুজো কমিটিগুলির প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। পাশাপাশি আমজনতার মধ্যেও ধীরে ধীরে পুজো নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই চলতি বছরের দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রায় প্রত্যেকটি পুজো কমিটি। এবার কোচবিহারে নজর কাড়া থিমের আকর্ষণ রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। শুরু হয়েছে খুঁটি পুজো।

এদিন কোচবিহার ঐক্যবিতান ক্লাব খুঁটি পুজোর মাধ্যমে তাদের দুর্গা পুজোর শুভ সূচনা করল। চলতি বছরে এই ক্লাবের পুজো ৫১তম বছরে পদার্পণ করতে চলেছে। তাই এবার এই ক্লাবের পুজোয় থাকছে নজরকাড়া থিমের আকর্ষণ। তবে থিমের বাজেট থাকছে একেবারেই স্বল্প।

আরও পড়ুন: প্রথম কিংবা দ্বিতীয় নয়, খেলায় অংশগ্রহণ করলেই পাওয়া যাবে ফুটবল ও খেলার জার্সি!

ঐক্যবিতান ক্লাবের কোষাধক্ষ্য মনোজ বনিক জানান, ১৮ থেকে ২০ লক্ষ টাকার মধ্যে তৈরি করা হবে এই গোটা থিমের কাজ। ইতিমধ্যেই খুঁটি পুজোর মধ্যে দিয়ে এবারের দুর্গা পুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা করে দেওয়া হল। এবারের থিমে বাচ্চাদের জন্য রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। আজকালকার অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা যে সকল খেলনা ভুলতে বসেছে সেগুলোই এই থিমের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে।

এই থিমের পুজো কোচবিহার জেলার দর্শনার্থীদের খুব পছন্দ হবে বলে আয়োজকরা মনে করছেন। চলতি বছরের কোচবিহারে দুর্গা পুজোয় নজরকাড়া থিমের আকর্ষণ দেখতে পাওয়া যাবে এটুকু নিঃসন্দেহে বলা সম্ভব। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পুজো গুলিতে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ বান্ধব টিমের কারুকার্য নজর আকর্ষণ করবে সকলের। স্বল্প বাজেটে ঐক্যবিতান ক্লাবের এই পুজো জেলার মধ্যে ভাল সারা ফেলবে বলেই মনে করছেন অনেকে।

সার্থক পণ্ডিত

Durga Puja 2024: শুরু দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি, জন্মাষ্টমীতে নিষ্ঠা মেনে কাঠামো পুজো জলপাইগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই! শরৎ-কে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত শিউলি, কাশ! কাঠামো পুজো শুরু হয়েছে এখন থেকেই। তবে এখানকার কাঠামো পুজো আর পাঁচটা পুজো থেকে আলাদা জলপাইগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের দুর্গাপুজো। অত্যন্ত নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও জলপাইগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে কাঠামো পুজো অনুষ্ঠিত হল ।

সোমবার সকালে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে এই কাঠামো পুজো অনুষ্ঠিত হয়‌। কিন্তু, কেন এই পুজো আলাদা জানেন? জলপাইগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনের দুর্গোৎসবের জন্য কাঠামো পুজো করা হয় এই জন্মাষ্টমী তিথিতে। জন্মাষ্টমীর পুণ্যতিথিতে মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে কাঠামো পূজো অনুষ্ঠিত হল এদিন। এখানে দেবী দুর্গা সাবেকি রূপে পূজিতা হন। এখানকার দেবী মূর্তির একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পর বিশুদ্ধ সিদ্ধান্তের পঞ্জিকা মেনেই দুর্গাপুজার কাঠামো পুজো হয়।

আরও পড়ুন : আজ জন্মাষ্টমীতে বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আবির্ভাব তিথি, জানুন এই তিথিতে তাঁর পুজোর শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত

এই কাঠামো পুজোতে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক শিব প্রেমানন্দজী মহারাজ। তিনি বলেন, “আজ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন আশ্রমে কাঠামো পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে এই পুজো হয়।” অত্যন্ত ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে যাবতীয় রীতিনীতি মেনেই আশ্রমে কাঠামো পুজো থেকে শুরু করে দুর্গোৎসব পালন করা হয়।

Boycotts Durga Puja Donations: আর‌ও এক পুজো কমিটির অনুদান ত্যাগ

হুগলি: আরজি কর কাণ্ডের জেরে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ত্যাগ অব্যহত। উত্তরপাড়ার পর এবার অনুদান বয়কট করল কোন্নগর মাস্টারপাড়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটি। সভা ডেকে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুজো কমিটির কর্তারা। বিষয়টি নিয়ে জেলায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

একের পর এক পুজো কমিটি প্রতিবাদ স্বরূপ দুর্গা পুজোর অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এর আগে উত্তরপাড়ার তিনটি পুজো কমিটি সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে। সেই উত্তরপাড়া থানা এলাকারই কোন্নগর মাস্টার পাড়া এবার পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করল। বরং বাকিদের থেকে আরও একধাপ এগিয়ে একেবারে মাইকে প্রচার করে সেই বার্তা তাঁরা এলাকাবাসীদের কাছে পৌঁছে দিলেন।

আরও পড়ুন: দাউদাউ করে জ্বলে উঠল তেল ভর্তি ট্যাঙ্কার, কয়েক ফুট উঠল আগুনের লেলিহান শিখা!

পুজো কমিটির সদস্য সোমা চক্রবর্তী বলেন, উৎসব পরে, আগে আমাদের সম্মান। আমরা নারী। আমরা বাইরে কাজ করি বা বাড়িতে থাকি। আমাদের সম্মানের সঙ্গে আমাদের পরিবারের সম্মানও জড়িয়ে থাকে। সেই জায়গাটাতেই আঘাত আসছে। আমরা প্রথমে দোষীর শাস্তি চাই। কারণ শাস্তি না হলে এটা প্রমাণ হয়ে যায় অপরাধ করেও কোন‌ও শাস্তি হয় না। আমরা এই ঘটনাটা থেকে সরতে পারছি না। তাই আমরা বলছি অনুদান না, আগে মানুষ হিসেবে মর্যাদাটা ফিরে পাই। তাঁদের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে এলাকাবাসীরা একমত বলেও জানান।

পুজো কমিটির সদস্য কমল মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের পুজো কমিটির মিটিংয়ে একজন মানুষও অনুদান নেওয়ার পক্ষে কথা বলেননি। তাই সবাই মিলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে আমরা অনুদান বয়কট করব।

রাহী হালদার

Durga Puja 2024: ৭৫ বছরের পুজোয় বিশেষ থিমের চমক! এই ক্লাবের পুজো নজর কাড়বে জেলায় আশায় উদ্যোক্তাদের

কোচবিহার: ইতিমধ্যেই কোচবিহারে দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন পুজো মন্ডপ গুলোর কাজ ইতিমধ্যেই চলছে দ্রুত গতিতে। জেলায় এই বছর বেশ কয়েকটি ৭৫ বছরের দুর্গা পুজো রয়েছে। ফলে চলতি বছরে এবার জেলায় পুজোয়

দেখতে পাওয়া যাবে থিমের রকমারি আকর্ষণ। কোচবিহার সদর শহর সংলগ্ন বাবুরহাট এলাকার বাণীতীর্থ ক্লাবের চলতি বছরের পুজো ৭৫ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে। সেই উপলক্ষে এবার তাঁদের নজর করা আকর্ষণ রয়েছে থিমের মধ্যে।

বাণীতীর্থ ক্লাবের সহ-সম্পাদক রঞ্জিত কুমার পাল জানান,”চলতি বছরে তাঁদের থিম রয়েছে উড়তে মোদের মানা”। মূল মানুষের জীবনযাত্রার একটি প্রতিফলন দেখতে পাওয়া যাবে এই থিমের মধ্যে। সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব উপায়ে তৈরি করা হচ্ছে এই বিশেষ থিম। থিমের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ, কাঠ, মাটির হাড়ি ও পাটের সুতো। দীর্ঘ দেড় মাসের বেশি সময় ধরে এই কাজ চলছে। তবে মহালয়ার মধ্যেই এই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার মানুষের নজর আকর্ষণ করবে এই থিম।”

আরও পড়ুনঃ Mohun Bagan: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে টাইব্রেকারে জয়, পঞ্জাবকে হারিয়ে ডুরান্ডের সেমিতে মোহনবাগান

ক্লাবের এক সদস্য গৌতম দত্ত জানান,”আনুমানিক নব্বই লক্ষ টাকার বাজেট তৈরি করা হচ্ছে এই গোটা থিম। সুদূর কলকাতার থিমের শিল্পীরা এই থিমের কাজ করছেন। আশা করা হচ্ছে এই থিম জেলার পাশপাশি বাইরের বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করবে। দুর্গা পুজোর তৃতীয়ার দিন এই পুজো মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের জন্য।” থিমের শিল্পী পাপ্পু সাউ জানান,”২৫ থেকে ৩০ জন শিল্পী এই কাজ করে চলেছেন দেড় মাস ধরে। বহু খুঁটিনাটি কাজ রয়েছে এই থিমের প্যান্ডেলের মধ্যে।”

চলতি বছরে পুজোগুলির মধ্যে এই ক্লাবের পুজো অন্যতম সেরা পুজো হয়ে উঠতে চলেছে এটুকু আশা করা যায়। প্রকৃতিবান্ধব এই সুন্দর থিম ছোট থেকে বড় সকলের নজর আকর্ষণ করবে। তাইতো বহু মানুষ পুজোর দিনগুলির অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

Sarthak Pandit