বীরভূম: জলাধারগুলির ছাড়া জলে ভেসে গিয়েছে রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের বহু এলাকা। জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বন্যায় ভেঙে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি, ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর। সেই সঙ্গে প্রাণও গিয়েছে বহু মানুষের। এবার বন্যায় স্বজনহারা পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বন্যায় মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বন্যায় ২৮ জন মারা গিয়েছেন। এছাড়া যে সব পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারকেও দেওয়া হচ্ছে ক্ষতিপূরণ। মঙ্গলবার বীরভূমে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে দুপুরে বৈঠক করেন। তার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
মমতা বলেন, “বিধায়করা গ্রামীণ রাস্তায় খরচ করবে তাদের টাকা। আর সাংসদরা এক কোটি স্কুলে, চার কোটি গ্রামীণ রাস্তায় দেবে। ডিভিসির জল ছেড়ে ‘ম্যানমেড ফ্লাড’ করা হয়। ঝাড়খন্ডের জলে প্রতিবছর বন্যা করা হয়। ১৯৯৯ সালে শেষবার এত জল ছাড়া হয়েছিল। আমরা সব মনিটরিং করছি। এখন জল কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রক ছাড়ে। খানাকুল, ঘাটাল, আমতা, উদয়নারায়ণপুর এখনও জলের তলায় আছে। মুখ্যসচিব ,মন্ত্রীরা পরিদর্শন করেছেন। একাধিক জায়গায় কমিউনিটি কিচেন আছে। ৬৫ হাজার বাড়ি মাইনরিটি বিভাগ থেকে করে দিচ্ছি। এগারো লক্ষ বাড়ির জন্য সমীক্ষা করা হচ্ছে। এখনও ৫০ লক্ষ মাটির বাড়ি বাংলায় আছে।”