Tag Archives: Flood Situation

Tripura flood situation: ত্রিপুরায় বন্যা নিয়ে বড় খবর! দুর্গতদের উদ্ধারে কাজ শুরু করল বায়ুসেনা

আগরতলা: রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির শুরু থেকেই গোটা বিষয়টির উপর গুরুত্ব সহকারে নজর রেখে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আপডেট করেছেন। এর মধ্যে পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও কথা বলেছেন। বন্যায় বিপন্ন লোকজনকে উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হেলিকপ্টার, বোট, এনডিআরএফের অতিরিক্ত বাহিনী ও আনুষঙ্গিক উপকরণ দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছিলেন তিনি। আর মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে মান্যতা দিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় বায়ু সেনার বিমানে যাবতীয় সাজসরঞ্জাম সহ এনডিআরএফের টিম পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: বিয়ে করলে শুধু কাকুকেই করব’! কাকুর গলায় মালা দিয়ে কী বললেন নিজের ভাইঝি?

উদ্বাস্তু শিবির ঘুরে দেখে সংবাদমাধ্যমকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। আমি সবাইকে বলব যাতে সরকারকে সহযোগিতা করা হয়। পুর নিগমের মেয়র কলকাতায় ছিলেন। আমি তাড়াতাড়ি চলে আসতে বলায় তিনি দ্রুত এসে পড়েন। তিনি চলে আসায় কাজে আরো গতি আসবে। সব জায়গাতেই আমি যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকার তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের চাহিদা মতো সব কিছু পাঠিয়েছেন। আজ আবহাওয়া ভালো থাকলে হেলিকপ্টারে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করতে যাব”।

আরও পড়ুন: কেন দেরি হচ্ছে আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে? কারণ জানলে বিস্মিত হবেন

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা কী কী করছি আপনারা জানেন। কোন জায়গায় কী অসুবিধা সেটা দেখা হচ্ছে। আজ বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত অবহিত করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। আগামিকালের দিনটা গেলেই হয়তো পরিস্থিতি আরও ভাল হতে পারে”। মানিক সাহা জানান, ডাবল ইঞ্জিন সরকার থাকাতেই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা খুবই সদর্থক হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা মতো সবকিছু পাঠিয়েছেন, আজও বিমান যোগে আরো বেশকিছু সাজসরঞ্জাম এসে পৌঁছুবে।

আরও পড়ুন: ৪০ জন ভারতীয় নিয়ে নেপালে পাহাড় থেকে নদীতে বাস! মৃত বহু, চারিদিকে হাহাকার

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবাইকে দায়দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। গোমতী জেলায় একজন ডিএমকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে পাঠানো হয়েছে। যাতে ভালভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। বিশেষ করে অমরপুর ও করবুক মহকুমায় দ্রুত কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে যা প্রয়োজন সেটা নজরে রেখেই কাজ করা হচ্ছে। পরিদর্শন কালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

Flood Devastated Tripura: ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও ত্রাণ শিবির পরিদর্শনে মাণিক সাহা, খতিয়ে দেখলেন ত্রাণের ব্যবস্থা 

ত্রিপুরা: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সেই সঙ্গে খতিয়ে দেখলেন ত্রাণের ব্যবস্থাও, যাতে বন্যায় দুর্গত মানুষেরা সমস্ত ধরণের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পান৷

 আগরতলায় ‘ধলেশ্বরের স্বামী দয়ালানন্দ বিদ্যানিকেতন’, ‘রামঠাকুর উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়’ এবং ‘বড়দোয়ালির স্বামী বিবেকানন্দ’ স্কুলের অস্থায়ী ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে৷  এই শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন  ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে বানভাসি ত্রিপুরা, মাটি চাপা পড়ে মৃত একই পরিবারের তিন জন

শিবির পরিদর্শন করার পর তিনি বলেছিলেন, ‘‘দক্ষিণ জেলায় যাওয়ার কথা থাকলেও প্রবল বর্ষণে রাস্তা খারাপ হওয়ার দরুণ তা সম্ভব হয়নি। এইজন্য রাজধানী আগরতলার আশপাশে থাকা বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করছি।’’

ত্রিপুরায় গত কয়েদিনে বিপুল বৃষ্টিপাত হয়েছে।  বিশেষ করে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৩৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গোমতী জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৩৫০ মিলিমিটার। আজকেও আগরতলা ও এডিনগরে ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: নর্থ ইস্ট কাউন্সিলের এ বারের বৈঠকের আয়োজন করতে চলেছে ত্রিপুরা

মানিক সাহা বন্যায় দুর্গত মানুষের খোঁজখবর নিতে এসেছিলেন। যাতে তাঁদের তা  সরজমিনে দেখে গিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের কাজের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘‘প্রশাসন সকলের পাশে রয়েছে। এর পাশাপাশি কাউন্সিলাররাও খুব ভাল কাজ করছেন। দলের কার্যকর্তারাও মাঠে নেমে কাজ করছেন। আমাদের দলের সভাপতিও রয়েছেন। তিনিও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছেন।’’

মানিক সাহা সংবাদমাধ্যমকে যে তথ্য দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত সমগ্র ত্রিপুরাতে ৩২০টির মতো ত্রাণ ও আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে।প্রায় ৩০ হাজারের অধিক দুর্গত মানুষ এই সকল শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যা দুর্গত মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। শিবির পরিদর্শন কালে এই দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা৷

বন্য শিবির পরিদর্শনের পাশাপাশি  আগরতলার ইন্দ্রনগরের আইটি ভবনে ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারেও হাজির হন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আগরতলা শহরের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন ।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ব্যবস্থাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি এই বন্যা মোকাবিলায় সকলের সাহায্য চেয়ে বলেছেন, ‘‘আসুন আমরা সকলে মিলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।’’

Malda News: মাঝরাতে বালির বস্তার বাঁধ ভেঙে হুহু করে জল ঢুকল গ্রামে! ভেসে গেল ৪ গ্রাম

মালদহ: বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে। গঙ্গার জলে প্লাবিত একের পর গ্রাম। বাঁধ ভাঙার ফলে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনির একাধিক এলাকা। গঙ্গার জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজমি।

এমনকী লোকালয়েও বন্যার জল ঢুকতে শুরু করেছে। ঘরবাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। হঠাৎ অস্থায়ী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে সংরক্ষিত এলাকাতেও জল ঢুকতে শুরু করেছে। মানিকচকের ভূতনির কেশরপুর কালুটোন টোলায় ভাঙা বাঁধের অংশ দিয়ে সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করছে গঙ্গা নদীর জল।

গভীর রাতে বালির বস্তার বাঁধ ভেঙে জলবন্দি হয়েছে ভূতনির চারটি গ্রাম। বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দা প্রভাত কুমার মন্ডল বলেন, “প্রশাসনের গাফিলতিতে বাঁধ ভেঙেছে। আগে থেকে বাঁধের মেরামতি করলে বাঁধ ভাঙত না। এলাকা সুরক্ষিত থাকত। বাঁধ ভাঙার জন্য আমরা প্রশাসনকেই দায়ি করছি।”

অন্য দিকে, মানিকচকের গঙ্গানদীর জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়েছে।প্রশাসনিক অবহেলা এবং সেচ দফতরের গাফিলতির কারণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। মালদহের মানিকচক ব্লকের উত্তর চন্ডিপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কেশরপুর কালুটোন টোলা এলাকার তিনটি জায়গা দীর্ঘ এক বছর ধরে বাঁধহীন ছিল।

বারংবার প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন, এমনকি বিক্ষোভও দেখিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি ছিল, ভাঙা বাঁধের অংশগুলি দ্রুত সংস্কার করা। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ।

অবশেষে, পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকায় গত দুই দিন আগে থেকে ওই এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে ভাঙা বাঁধের অংশ বালির বস্তা দিয়ে মেরামতির কাজ শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি ও গঙ্গা নদীর জলস্তর ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকায় বালির বস্তা জলের স্রোতে ভেসে যায়।

লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করে জল। ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দা, কাউসার আলি বলেন, “ভূতনি এই এলাকায় তিনটি জায়গায় বাঁধ দীর্ঘদিন ভাঙা রয়েছে। প্রশাসনকে আমরা বহুবার জানিয়েছিলাম মেরামতির জন্য। আগে থেকে মেরামতি করলে এরকম পরিস্থিতি হত না গ্রামের। প্রশাসনের গাফিলতির জন্য বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”

আরও পড়ুন- শ্রাবণের পুণ্য লগ্নে পুজো দিতে এসে মৃত্যু! গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল ৬ পুণ্যার্থীর

ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। বন্যা কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যে ত্রানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপদ জায়গায় বন্যা কবলিতদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যদিও এমন বন্যা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

হরষিত সিংহ

Teesta River situation: ফুঁসছে তিস্তা, বন্যার আশঙ্কায় এলাকাবাসীরা! জারি করা হল লাল সতর্কতা

জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এখনও চলছে ভারী বৃষ্টিপাত। যার ফলে আবার চিন্তায় পড়ছেন বাসিন্দারা। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে জল বাড়ছে একাধিক বাঁধে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে বাঁধগুলি থেকে জল ছাড়তে হচ্ছে।

শনিবার জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা নদীর গজলডোবা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে। এদিন সকাল ছ’টায় জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ১৪৫৫.৩২ কিউসেক। দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে ব্যারেজ থেকে। মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে অসুরক্ষিত এলাকাগুলিতে।

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রুখতে বড় দাবি অভিষেকের, কী বললেন তৃণমূল সাংসদ?

পাশাপাশি তিস্তার দোমহনীতে অসংরক্ষিত এলাকায় জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন জলঢাকা নদীতে সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এমনই জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ি সেচ দফতরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে।

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে পড়ুয়াদের সমস্ত দাবি দাবি মেনে নিল স্বাস্থ্য দফতর, কী কী পদক্ষেপ?

শনিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলাতেও বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে কয়েক দিনের গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে এই বৃষ্টি।

Purba Bardhaman: ডিভিসির জলে জলের তলায় পূর্বস্থলীর একাঝধিক গ্রাম! সমস্যায় স্থানীয় বাসিন্দারা

ভারী বৃষ্টি ও ডিভিসির জলে প্লাবিত পূর্বস্থলী। পূর্বস্থলীর দোগাছিয়ায় পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা। মাথাপিছু ভাড়া কুড়ি টাকায় বিপাকে যাত্রীরা। পঞ্চায়েত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি অভিযোগ। আজ থেকেই পারাপারে বিনামূল্যে দু’টি নৌকা। বিনামূল্যে পারাপারের দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের।

Bangla Video: বৃষ্টি হয়নি তবু বাড়ছে জলস্তর! আজব কাণ্ডে আতঙ্কে এখানকার বাসিন্দারা

পূর্ব বর্ধমান: গত দু’দিনে হয়নি বৃষ্টিপাত। কিন্তু বৃষ্টি না হলেও জল বাড়ছে পূর্ব বর্ধমানের এই এলাকায়। পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাঘনাপাড়া স্টেশন সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় বেশ কয়েকটি পাড়া এখনও পর্যন্ত জলমগ্ন। বৃষ্টির জেরে উক্ত এলাকায় জল জমেছিল ঠিক কথা। কিন্তু সেই জমা জলের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। কালনার বাঘনাপাড়া স্টেশন সংলগ্ন উক্ত পাড়াগুলির কাছেই রয়েছে বেহুলা নদী। ডিভিসি জল ছাড়ার কারণে যেন নতুন করে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে বেহুলা নদী।

এই প্রসঙ্গে শুভঙ্কর মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এখানে আমাদের প্রায় সবই জলমগ্ন। এখানে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টা পরিবার জলমগ্ন অবস্থার মধ্যে বসবাস করছে। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ টা পরিবার ঘর ছাড়া। যাদের কাঁচা বাড়ি তারা সকলেই ঘর ছাড়া। জল জমে থাকার কারণে সাপ, নানা ধরনের জীবজন্তু নিয়ে সকলেই আতঙ্কে ভুগছে। খবরের মাধ্যমে জেনেছি মাইথন এবং ডিভিসি জল ছাড়ছে। জলাধারের খালের সঙ্গে বেহুলা নদীর যোগাযোগ রয়েছে বলেই জল বাড়ছে। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো যে বেশিরভাগ লোকই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: শুশুনিয়ার ঝর্ণার জল নিয়ে পথ পাড়ি, শিবলিঙ্গে জল ঢালতে ব্যাপক উন্মাদনা

এছাড়াও স্থানীয়দের দাবি, জমা জলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব। বিষধর সাপের ভয়ে মানুষজন চলাফেরা কার্যত বন্ধ করে দিয়েছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা জলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। জানা গিয়েছে, স্থানীয়রা এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও সাহায্য পাননি। অগত্যা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বাঘনাপাড়া পঞ্চায়েতের গ্রামবাসীরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Flood Situation: ঘাটালে বন্যা-আশঙ্কা! আতঙ্ক সাধারণের, শুরু ‘বন্যায় দুয়ারে ডাক্তার’ পরিষেবা

পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রতি বছর ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এটাই বছরভর রুটিন। এবারেও বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া-সহ একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়া এবং লাগাতার বৃষ্টিতে ঘাটালের একাধিক ওয়ার্ডে জল প্রবেশ করেছে। বেশ কিছু বাড়িতেও জল থৈথৈ অবস্থা। মানুষজনের চলাচলের রাস্তায় চলছে ডিঙি নৌকো। স্বাভাবিকভাবে ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে ঘাটালজুড়ে। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, বিপদ সীমার নীচে রয়েছে জলস্তর। রবিবার বিকেলে বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক। পাশাপাশি মহাকুমা প্রশাসন, ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন।

প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে থেকেই ঝুমি শিলাবতী এবং কংসাবতী নদীতে জল বাড়ার কারণে বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ঘাটালের মনসুকা এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। তবে সেই অর্থে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে মহাকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর। জেলাশাসকের নির্দেশের পর মনসুকা এলাকায় শুরু হয়েছে বন্যায় চিকিৎসা পরিষেবা। শুধু তাই নয় বাঁধের পরিস্থিতি, সাধারণ মানুষের পানীয় জল, বন্যায় অন্যান্য রোগ অসুখের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

প্রসঙ্গত নিচু এলাকার ঘাটাল। বর্ষাকালে বৃষ্টিতে এবং বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিটি নদীতে প্রায় টইটুম্বুর অবস্থা। নদীর উপর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তায় মাধ্যম ভেঙে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রামেও প্রবেশ করছে জল। মানুষের ভরসা ছোট নৌকো। রবিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ঘাটাল মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য আপৎকালীন কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: যে কোনও ডাল খাচ্ছেন? ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে! মুগ নাকি মুসুর… কোনটি স্বাস্থ্যকর? বলছেন চিকিৎসক

খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে, বিভিন্ন ত্রাণ কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বন্যা পরিস্থিতি এবং জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ নজরদারি রেখেছে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তবে আগামীতে কী পরিস্থিতি দাঁড়ায় সেই আশঙ্কায় রয়েছে স্থানীয় মানুষজন।

রঞ্জন চন্দ

Flood Situation: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরই দুর্গাপুর ব্যারেজ দেখতে ছুটলেন জেলাশাসক ও এসপি

পশ্চিম বর্ধমান: ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে ডিভিসি’র দুর্গাপুর ব্যারেজ। দফায় দফায় বাড়ছে জল ছাড়ার পরিমাণ। ফলে দক্ষিণবঙ্গের বহু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসকদের। তারপরই দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শন করলেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার। দেখলেন দুর্গাপুর ব্যারেজের ভয়াল রূপ।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতি এবং শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাতের পর দফায় দফায় জল ছেড়েছে ডিভিসি। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বেড়েছে জল ছাড়ার পরিমাণ। শনিবারের পর এদিন রবিবারও প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৮৩৬ কিউসেক জল। সূত্রের খবর, রাত্রের দিকে আরও জল ছাড়া হতে পারে।

এমন অবস্থায় নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলিতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শন করেছেন বাঁকুড়া জেলাশাসক সৈয়দ এন এবং পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি। তাঁরা কথা বলেছেন সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও। ঘুরে দেখেছেন দুর্গাপুর ব্যারেজের স্কাডা সেন্টার, অর্থাৎ ব্যারেজ থেকে কত জল ছাড়া হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতি যেখান থেকে কন্ট্রোল করা হয়, সেই জায়গা।

আর‌ও পড়ুন: শতাব্দী প্রাচীন বটগাছ বাঁচাতে এ কী করল প্রাক্তনীরা! শুনলে ধন্য ধন্য করবেন

জেলাশাসক সৈয়দ এন জানিয়েছেন, বাঁকুড়ার বেশ কয়েকটি এলাকা ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এখনও চলছে উদ্ধার কাজ। প্রশাসনের নজর রয়েছে সবসময়। যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না হয়, তার জন্য সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের কাছেও জল কম ছাড়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে খবর।

অন্যদিকে পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, বেশ কিছু খালের উপর দিয়ে জল বইছে। সেই জায়গাগুলিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মোতায়েন করা হয়েছে। ওইসব জায়গা দিয়ে মানুষজনের যাতায়াত সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজে যাতে এই সময় কেউ না নামেন, তার জন্য নজরদারি চালাতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশকর্মীদের। পাশাপাশি যারা নদীতে নামছেন বা মাছ ধরতে যাচ্ছেন তাঁদেরও সতর্ক করা হচ্ছে। বিপদ এড়াতে পুলিশ কর্মীরা বারবার সবাইকে সচেতন করছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

উল্লেখ্য, দুর্গাপুর ব্যারেজ বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার অধীনস্ত। তাই মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মা প্রকাশের পরই জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন বলে মনে করছেন অনেকে। অন্যদিকে, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে রবিবার রাতে আরও জল ছাড়া হবে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। কারণ এদিনও দামোদরের পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যে জল রাতে দুর্গাপুর ব্যারেজে এসে পৌঁছবে। ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়বে। যা রীতিমত আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে।

নয়ন ঘোষ

Flood situation: জলে ডুবে জমি, ধানচাষ-সব্জি চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদের! বাড়তে পারে দামও

পূর্ব বর্ধমান: জলের তলায় ডুবে রয়েছে ধান জমি। সেই সব জমিতে রোয়া ধানের অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন রাজ্যের শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা। বর্ধমান এক ও দুই নম্বর ব্লক, ভাতার, আউশগ্রাম, কালনা, মঙ্গলকোট, মেমোরি, মন্তেশ্বরের অনেক জমি এখন জলের তলায়। তিন-চার দিন ধরে সেইসব জমির ধান জলে ডুবে রয়েছে। এর ফলে ধান চাষে ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন চাষিরা।

কৃষকরা বলছেন, ধারদেনা করে সার দিয়ে জমি তৈরি করা হয়েছিল। এক বিঘে জমিতে দশ জন করে শ্রমিক লাগিয়ে ধান রোয়া হয়েছিল। সেই সব চাষ জলে গেল। সদ্য রোয়া ধানের চারা পচে নষ্ট হয়ে যাবে। নতুন করে আর বীজতলা তৈরি করে ধান রোয়া যাবে না। জমি ফাঁকাই পড়ে থাকবে।

আরও পড়ুন: ১৪ লাখের চাকরি, ৬০০ বর্গ গজ জমি… বড় পুরস্কার পাচ্ছেন সিরাজ, কে দিচ্ছে জানেন?

জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, ৩ লক্ষ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে এবার ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এক লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোয়া হয়ে গিয়েছে। সেই ধানের অনেকটাই জলে ডুবে থাকায়, ক্ষতির মধ্যে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের।

জুন জুলাই মাসে বৃষ্টির যথেষ্টই ঘাটতি ছিল। সেই কারণে বীজতলা তৈরি করে বৃষ্টির আশায় বসেছিলেন অনেকেই। অনেকে আবার বাড়তি খরচ করে সাবমার্সিবল পাম্প চালিয়ে মাটির তলার জল তুলে ধান রোয়ার কাজ শেষ করেছিলেন। অনেকে ডিভিসির ছাড়া জল পেয়ে ধান রোয়ার কাজে হাত দেন। সেই ধান নিয়েই এখন দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।

আরও পড়ুন: মাত্র কয়েক মিনিটের টর্নেডোর মতো ভয়াল ঝড়! লন্ডভন্ড হুগলির একের পর এক গ্রাম

অতিবৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে জেলার সবজি চাষও। অনেক সবজি জমিই এখন জলবন্দি হয়ে রয়েছে। কৃষকরা বলছেন, জমা জলে সবজি গাছের গোড়া পচে নষ্ট হয়ে যাবে। ফলনও অনেক কমে যাবে। এই জেলায় ব্যাপকভাবে বেগুন, ঢেঁড়শ, পটল, ঝিঙের চাষ হয়। এইসব সব্জির ফলন অনেকটাই কমে যাবে। তার ফলে বাজারে ফের সবজির দাম বাড়বে। ক্ষতির মুখে পড়েছে জেলার ফুল চাষও। পূর্বস্থলী এক ও দু নম্বর ব্লকে ব্যাপকভাবে ফুলের চাষ হয়। অতিবৃষ্টিতে অনেক ফুলগাছ মরে গেছে। ফলনও কমেছে অনেকটাই।

Bangla Video: ফুঁসে উঠেছে সুবর্ণরেখা, চোখের পাতা এক হচ্ছে না নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের

পশ্চিম মেদিনীপুর: বাড়ছে জল, ফুঁসছে নদী। আতঙ্কে দু’চোখের পাতা এক করতে পারছেন না নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিবছর বৃষ্টির সময় একই অবস্থা হয় নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। বর্ষাকাল এলেই নিজেদের বাঁচাতে রাতের ঘুম ওড়ে সকলের। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি, দাঁতন ব্লকের এক প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সুবর্ণরেখা নদী। সারা বছর শান্ত রূপে থাকলেও বর্ষার সময় ফুলে ফেঁপে ভয়ংকর আকার ধারণ করে সে।

বর্ষার বৃষ্টির জলে পুষ্ট সুবর্ণরেখার ভয়ঙ্কর রূপ ফের আতঙ্ক তৈরি করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষের মনে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন ব্লকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সুবর্ণরেখা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ি ব্লকের ভসরা, ডাডরা, আমলাশাই, দাঁতন ব্লকের বড়া, রাউতরাপুর সহ একাধিক গ্রাম সুবর্ণরেখার তীরে অবস্থিত।

আর‌ও পড়ুন: ধান চাষ করছেন সভাধিপতি! প্রটোকল সরিয়ে বিস্ময় চিত্র

এই গ্রামে রয়েছে বিদ্যালয়, মানুষের থাকার ঘর। হাজারও মানুষের বাস এই সকল গ্রামে। সারা বছর স্বাচ্ছন্দে থাকলেও বর্ষার সময় ক্রমশ ভয় বাড়ে মানুষদের। বর্ষার সময় ফুলেঁপে ওঠে সুবর্ণরেখা নদী। দু’কুল ছাপিয়ে গ্রামে প্রবেশ করে নদীর জল। স্বাভাবিকভাবেই ভরা নদীর জলে দু’কুল ছাপিয়ে গোটা গ্রাম প্লাবিত হয়। বাড়িতে ঢুকে যায় জল। ভেসে যায় আসবাবপত্র। তাই প্রতিবছর বর্ষাকাল এলেই আতঙ্ক বাড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই সময় সারারাত কার্যত না ঘুমিয়ে কাটাতে হয় নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষদের।

পাশাপাশি মাথায় হাত এই এলাকার কৃষকদের। নদী তীরবর্তী এলাকার চাষের জমিগুলোয় ইতিমধ্যেই জল থই থই অবস্থা। ফলে সবজি চাষের ভয়াবহ ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা কৃষকদের।

রঞ্জন চন্দ