Tag Archives: Flood Situation

Suvendu Adhikari on flood situation: রাজ্যে বন্যার আশঙ্কা! সেনা এবং এনডিআরএফের সাহায্য নেওয়ার আবেদন বিরোধী দলনেতার

কলকাতা: রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এ নিয়ে এবার রাজ্যকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বেশ কিছু জেলার মানুষকে উদ্ধার করতে অবিলম্বে সেনা এবং এনডিআরএফ-এর সাহায্য নেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে আবেদন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেচ দফতর, পুলিশ এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টকেও নিশানা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘গ্রাম বাংলার মানুষকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে না পুলিশ না কোনও প্রশাসন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

আরও পড়ুন: রোগীর পরিবারের থেকে ১ টাকা বেশি নেওয়ার শাস্তি! চাকরি গেল সরকারি হাসপাতালের কর্মীর

ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত রাজ্যের একাধিক এলাকা। এই পরিস্থিতির জন্য সেচ দপ্তরকে দায়ী করে শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘বর্ষাকাল আসার আগে শেচ দফতরের তরফে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও রকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাঁধ নির্মাণ থেকে গ্রামে গ্রামে জলমগ্ন পরিস্থিতি ঠেকাতে রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে কোনও অর্থ বরাদ্দও করেনি।’

আরও পড়ুন: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় উঠে এল অন্য সন্দীপের নাম! মঙ্গলবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান ইডির

২০১৩ এবং ২০১৫ সালের কথা উল্লেখ করে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানুষের প্রাণ এবং ঘরবাড়ি বাঁচাতে অবিলম্বে সেনা এবং এনডিআরএফ মোতায়েন করার আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ‌ নিজের সমাজমাধ্যমে হুগলির খানাকুল এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে কিভাবে জনবসতি এলাকায় হু হু করে জল ঢুকছে সেই ভিডিও তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা।

West Bengal Flood Situation: ভেঙেছে একাধিক বাঁধ, দক্ষিণবঙ্গে কড়া নাড়ছে বন্যা! ঘরছাড়া হাজার হাজার মানুষ

কলকাতা: বুধবার আরও ৩ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হল মাইথন এবং পাঞ্চে জলাধার থেকে। ক্রমশ বাড়ছে বন্যার আশঙ্কা। সরকার ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।

ডিভিসির জল ছাড়ার দরুণ এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলা থেকে ১২ হাজার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে ৩ হাজার, বীরভূম জেলার ২ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে ৩ হাজার, হাওড়া জেলা থেকে ৪ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। একাধিক নদীর বাঁধ ভেঙেছে। সেচ দফতরের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে অবিলম্বে বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: সিকিম যাওয়ার পথে ঘোর দুর্যোগ! বন্ধ বাংলা-সিকিম ১০ নং জাতীয় সড়ক, কোন পথে যাবেন পর্যটকরা

সেই সঙ্গে সন্তানসম্ভবা মহিলাদের অবিলম্বে উদ্ধার করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হুগলির আরামবাগ ও খানাকুল নিয়ে চিন্তিত নবান্ন। আজ সন্ধের মধ্যে হাওড়ার আমতা এলাকার একাধিক জায়গায় জল ঢুকে যাবে। ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম চলছে নবান্নের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর থেকে।

আরও পড়ুন: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় উঠে এল অন্য সন্দীপের নাম! মঙ্গলবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান ইডির

জল বাড়ছে হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়নপুর এলাকায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে আরও মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরানোর কাজ চলছে। বাড়ানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মী পরিমাণ।

DVC water discharge Flood situation: বুধবারও বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ল ডিভিসি! পুজোর আগে বহু জেলায় ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা

কলকাতা: বুধবারও বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ল ডিভিসি। এদিন সকালে দফায় দফায় জল ছাড়া হয় মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে। যার জেরে পুজোর আগে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে রাজ্যের একাধিক জেলায়।

আরও পড়ুন: আন্ডারপাসের জমা জলে বিলাসবহুল গাড়ি আটকে মৃত্যু হল ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের

বুধবার সকালে ৭টা ১০ নাগাদ মাইথন জলাধার থেকে ৪০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। তার পরে আবার সকাল ১০টা ৪৫ নাগাদ মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়। এই সময়ে মাইথন থেকে ২০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন: আরজি কর দুর্নীতি মামলায় উঠে এল অন্য সন্দীপের নাম! মঙ্গলবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান ইডির

অর্থাৎ দুই জলাধার থেকে বুধবার এখনও পর্যন্ত মোট ৩ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হল ডিভিসির তরফে। এই জল ছাড়ার জন্য বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি-সহ একাধিক জেলায়। এর জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। বেশ কিছু এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বুধবার আরও কতটা জল ছাড়ে ডিভিসি দেখার।

Flood Situation: দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি, বিরাট তৎপরতা নবান্নে! ১০ জেলায় ছুটছেন ১০ সচিব

কলকাতা: লাগাতার বৃষ্টির মধ্যেই ডিভিসির জল ছাড়ার জেরে বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যে। ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “মাইথন, দুর্গাপুর, পাঞ্চেত জলাধার থেকে যে জল ছাড়া হচ্ছে তার জন্য দামোদর নিম্ন অবাবহায়িকা অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০ জন সিনিয়র আইএএসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: পুজোর মুখে রেশন নিয়ে বিরাট আপডেট…! ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘এই’ কাজটি করা মাস্ট! জানুন স্টেপ বাই স্টেপ ‘সঠিক’ নিয়ম

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যের ১০ জেলায় ১০ সচিব যাচ্ছেন। ডিভিসির সঙ্গে কথা বার্তা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরানোর কথা বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব ও জেলাশাসকদের।

আরও পড়ুন: ‘বয়স’ ও ‘উচ্চতা’ অনুযায়ী আপনার ওজন কত হওয়া উচিত…? ১ মিনিটে বুঝে নিন হিসেব! দেখে নিন চার্ট

নবান্নে সূত্রে খবর, এনডিআরএফ-এর আটটি টিম মোতায়েন করা হয়েছে ইতিমধ্যেই জেলায়। হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা মিলিয়ে ১৭ টি এসডিআরএফের টিম মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’জন মারা গিয়েছেন। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত দুজন মারা গিয়েছেন। যার মধ্যে একজন দেওয়াল চাপা পড়ে, আরেকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে।

৭৯৫২ জন মানুষকে ইতিমধ্যেই ক্যাম্পে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। ১৮০ টি ক্যাম্প চলছে রাজ্য জুড়ে। ৪৬ হাজার ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। বীরভূমের কিছু অংশ, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম বর্ধমান– এই জেলাগুলিতে বন্যার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও ডিভিসির জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলেই এই পরিস্থিতি বলে জানাল রাজ্য।

Jhargram News: ফুলে ফেঁপে উঠছে নদীর জল! জলের তলায় সেতু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার মধ্যে

ঝাড়গ্রাম: নিম্নচাপের ফলে টানা বৃষ্টির জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হল ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া এই দুই জেলার মধ্যে। রাস্তার দু’পাশে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে দূরপাল্লার বহু পণ্যবাহী লরি।

টানা বৃষ্টিতে একাধিক নদীর জল ফুলে ফেঁপে ওঠায় বেশ কয়েকটা সেতু  জলের তলায় চলে গিয়েছে৷ এর ফলে বহু এলাকার মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে ।

আরও পড়ুন: নিম্নচাপের জেরে জলের তলায় রাজ্যের কৃষিজমি, কপালে ভাঁজ চাষিদের, পুজোর মরসুমে সবজির দাম আকাশছোঁয়ার আশঙ্কা

তারাফেনী নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া ৫ নম্বর রাজ্য সড়কের উপর এটেলা এলাকায় তারাফেনী নদীর উপর থাকা কজওয়েটি জলের তলায় চলে যায়।

আরও পড়ুন: ফুলে ফেঁপে উঠছে নদীর জল! জলের তলায় সেতু, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার মধ্যে

যার ফলে রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর, থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়া জেলার মধ্যে। অপরদিকে, জামবনী ব্লকের সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা সদরের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

এই অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ডুলুং নদী। এর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় জলের তলায় চলে গেছে চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর উপর থাকা কজওয়েটি। ফলে মানুষজনকে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে যে কোনও রকমের পরিষেবার পাওয়ার জন্য পড়িহাটি হয়ে ঘুর পথে আসতে হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলা সদরে । এছাড়াও কাঁথুয়া খালের জল বেড়ে যাওয়ায় ঝাড়গ্রাম ও গোপীবল্লভপুরের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে ।

শিলদা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সোহম হালদার বলেন, “টানা নিম্নচাপের বৃষ্টির জন্য তারাফিনী নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় এটেলায় থাকা কজওয়েটি জলের তলায় চলে গিয়েছে। যার ফলে ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া পাঁচ নম্বর রাজ্য সড়কের যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে”।

ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটক সুমন সেন বলেন, ‘‘প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বেরিয়ে পড়েছি বেলপাহাড়ি হয়ে বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখানে এসে দেখি কজওয়ের উপর দিয়ে জল বইছে রাস্তা বন্ধ রয়েছে। তাই এখন আর মুকুটমণিপুর যাওয়া হচ্ছে না, কেবলমাত্র বেলপাহাড়ির বিভিন্ন পর্যটকস্থানগুলি ঘুরে দেখব’’।

প্রতিবছর বর্ষার সময় ডুলুং নদীর উপর চিল্কিগড়ের কজওয়েটি জলের তলায় চলে যায়। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জামবনি ব্লকের সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা সদরের।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর উপর স্থায়ী সেতু নির্মাণের। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলায় হলুদ সর্তকতা জারি রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া আবার স্বাভাবিক হবে।

বুদ্ধদেব বেরা

Purba Bardhaman News: ভয়াবহ পরিস্থিতি কালনা শহরে, ঘরের মধ্যেও জমে রয়েছে জল, বাড়ছে ডেঙ্গুর আশঙ্কা 

অম্বিকা কালনা: দু’দিন ধরে একটানা বৃষ্টি৷ যার জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কালনা শহরের বিভিন্ন এলাকা। যার মধ্যে সব থেকে বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়েছে, কালনা শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুগিপাড়া এলাকার বাসিন্দারা।

স্থানীয়দের কথায় এই সমস্যা নতুন কিছু নয়। দীর্ঘ বহু বছর ধরেই তাঁদের এহেন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অল্প বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে সমগ্র এলাকা। বর্তমানে এই এলাকার পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ।

আরও পড়ুন: নিম্নচাপের জেরে জলের তলায় রাজ্যের কৃষিজমি, কপালে ভাঁজ চাষিদের, পুজোর মরসুমে সবজির দাম আকাশছোঁয়ার আশঙ্কা

টানা বৃষ্টিতে রাস্তার মধ্যে জল জমেছে৷ এমনকি স্থানীয়দের বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকে গিয়েছে। অভিযোগ করেছেন ঘরের মধ্যেও পা রাখার জায়গা নেই। কোনও রকমে দিন যাপন করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিপাতের জের, ভেঙে পড়ল একাধিক বাড়ি, ডুবল সড়ক পথ, রাজ্য জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা অরিজিৎ সাহা জানিয়েছেন, “ড্রেন পরিষ্কার না করার কারণেই এই জল জমছে। প্রায় কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে এই সমস্যা হয়। অল্প বৃষ্টি হলেই এখানে জল জমে যায়। তাও আজ অবধি কোনও সুরাহা মেলেনি। প্রায় ১৫ বছর ধরে ড্রেন পরিষ্কারই হয়নি।’’

রাস্তার পাশাপাশি এই এলাকার বেশিরভাগ ঘরেও জল ঢুকেছে। স্থানীয়দের কথায় বিগত প্রায় কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই বিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সমাধান হয়নি ।

এছাড়াও নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকা এবং ড্রেন পরিস্কার না হওয়ার বিষয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন অনেকেই। সকলের দাবী, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকার কারণে এবং ড্রেন পরিস্কার না করার কারণেই প্রত্যেকবছর এহেন সমস্যার সৃষ্টি হয় ।

যদিও এই বিষয়ে এলাকার কাউন্সিলর সুজয় সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, ‘‘ আমাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কাজ করা হয়। তবে মানুষকেও সচেতন হতে হবে, ড্রেনের মধ্যে আবর্জনা ফেললে চলবে না। আমরা মাপ-যোগ করেছি। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।”

জমা জলের কারণে এই এলাকায় বিভিন্ন পোকামাকড়-সহ বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রভাব। এছাড়াও ঘরের মধ্যে বিষধর সাপ প্রবেশের বিষয় নিয়েও আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।

সব মিলিয়ে বর্তমানে চরম সমস্যায় রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার এই এলাকার বাসিন্দারা। তবে শুধু এই এলাকা নয়, কালনা শহরের আরও বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Flood Situation In West Bengal: টানা বৃষ্টিপাতের জের, ভেঙে পড়ল একাধিক বাড়ি, ডুবল সড়ক পথ, রাজ্য জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি

রাজ্যে নিম্নচাপের জেরে অবিরাম বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে৷ যার জেরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শুরু হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷
রাজ্যে নিম্নচাপের জেরে অবিরাম বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে৷ যার জেরে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শুরু হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷
অত্যাধিক বৃষ্টিপাতের জেরে রাজ্যের একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ল। এমনই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি ২ ব্লকের পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গাংটে গ্রাম-সহ আশেপাশের একাধিক গ্রামে। তাতেই বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী।
অত্যাধিক বৃষ্টিপাতের জেরে রাজ্যের একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ল। এমনই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি ২ ব্লকের পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গাংটে গ্রাম-সহ আশেপাশের একাধিক গ্রামে। তাতেই বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী।
দু’দিনের অবিরামের বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে খড়গপুর পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দা নিউ টাউন এলাকা৷ আনন্দনগর এলাকায় স্থানীয় পুকুরের সঙ্গে মিশে গিয়েছে রাস্তা৷ এর ফলে যে কোনও সময় পুকুরে পড়ে গিয়ে আহত হতে পারেন সাধারণ মানুষও। স্থানীয়দের অভিযোগ কাউন্সিলরকে বারবার জানানো সত্ত্বেও নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কোনওরকম ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দু’দিনের অবিরামের বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে খড়গপুর পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দা নিউ টাউন এলাকা৷ আনন্দনগর এলাকায় স্থানীয় পুকুরের সঙ্গে মিশে গিয়েছে রাস্তা৷ এর ফলে যে কোনও সময় পুকুরে পড়ে গিয়ে আহত হতে পারেন সাধারণ মানুষও। স্থানীয়দের অভিযোগ কাউন্সিলরকে বারবার জানানো সত্ত্বেও নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কোনওরকম ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
একনাগাড়ে বৃষ্টির কারণে ভেঙেছে কামারডাঙ্গাল গ্রামের কাছে বক্রেশ্বর নদীর ব্রিজ। এর ফলে এই গ্রামের সঙ্গে সিউড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। জল বেড়েছে চন্দ্রভাগা নদীতেও। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের মাঝি গ্রামের কাছে পি এইচ ই দপ্তরের মেশিন রুমে জল ঢুকে গিয়েছে।
একনাগাড়ে বৃষ্টির কারণে ভেঙেছে কামারডাঙ্গাল গ্রামের কাছে বক্রেশ্বর নদীর ব্রিজ। এর ফলে এই গ্রামের সঙ্গে সিউড়ির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। জল বেড়েছে চন্দ্রভাগা নদীতেও। সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের মাঝি গ্রামের কাছে পি এইচ ই দপ্তরের মেশিন রুমে জল ঢুকে গিয়েছে।
ভারী বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে ঘাটালের শিলাবতী, কেঠিয়া-সহ একাধিক নদীগুলিতে৷ চন্দ্রঘোনা শিলাবতী নদীর উপর কাঠের সেতুও ডুবে গিয়েছে৷ ডুবে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা ধান খেত। বৃষ্টির ফলে রাজ্য সড়কে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল৷ অতি ভারী বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে ঘাটালের নদী গুলিতে আবারও বন্যার আশঙ্কা। জানা গিয়েছে ঘাটালে বন্যার আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন ।
ভারী বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে ঘাটালের শিলাবতী, কেঠিয়া-সহ একাধিক নদীগুলিতে৷ চন্দ্রঘোনা শিলাবতী নদীর উপর কাঠের সেতুও ডুবে গিয়েছে৷ ডুবে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা ধান খেত। বৃষ্টির ফলে রাজ্য সড়কে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল৷ অতি ভারী বৃষ্টির জেরে জল বেড়েছে ঘাটালের নদী গুলিতে আবারও বন্যার আশঙ্কা। জানা গিয়েছে ঘাটালে বন্যার আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রশাসন ।
বীরভূমের অজয় নদীর উপরে অবস্থিত জয়দেব ফেরিঘাট জলের তোরে ভেঙে গেল। এর আগেও ভারী বর্ষণের কারণে এই ফেরিঘাটটি ভেঙে গিয়েছিল৷ এই ফেরিঘাট দিয়ে দ্রুত বীরভূম থেকে দুর্গাপুরে যাওয়া যেত৷ কিন্তু ফেরিঘাট ভেঙে যাওয়ায় ওই রাস্তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বীরভূমের অজয় নদীর উপরে অবস্থিত জয়দেব ফেরিঘাট জলের তোরে ভেঙে গেল। এর আগেও ভারী বর্ষণের কারণে এই ফেরিঘাটটি ভেঙে গিয়েছিল৷ এই ফেরিঘাট দিয়ে দ্রুত বীরভূম থেকে দুর্গাপুরে যাওয়া যেত৷ কিন্তু ফেরিঘাট ভেঙে যাওয়ায় ওই রাস্তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
লাগাতার বৃষ্টিতে মাতাবেল খালের জলস্তর ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে জলের তলায় চলে গিয়েছে বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার মাতাবেল কজওয়ে। সেতুর উপর দিয়ে বেগে জল বইতে থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ওই কজওয়ে দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েন মাতাবেল খালের দু’পাড়ে থাকা অসংখ্য গ্রামের বাসিন্দারা।
লাগাতার বৃষ্টিতে মাতাবেল খালের জলস্তর ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে জলের তলায় চলে গিয়েছে বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার মাতাবেল কজওয়ে। সেতুর উপর দিয়ে বেগে জল বইতে থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ওই কজওয়ে দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েন মাতাবেল খালের দু’পাড়ে থাকা অসংখ্য গ্রামের বাসিন্দারা।

Flood situation: নিম্নচাপের জেরে জলের তলায় রাজ্যের কৃষিজমি, কপালে ভাঁজ চাষিদের, পুজোর মরসুমে সবজির দাম আকাশছোঁয়ার আশঙ্কা

শোভন দাস ও সমীর রুদ্র: নিম্নচাপের ফলে এখনও বৃষ্টি থেকে রেহাই মিলছে না৷ গত তিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ চাষের জমি৷ যার জেরে পুজোর আগে কপালে ভাঁজ চাষিদের কপালে৷

জমির ফসল বেচে দু’পয়সা রোজগার করে পরিবারের জন্য পুজোর কেনাকাটা করবেন, ভেবেছিলেন চাষিরা৷ কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে দিল নিম্নচাপের বৃষ্টি। অবিরাম বৃষ্টির কারণে জলের তলায় বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ চাষের জমি৷ এখন পুজোর কেনাকাটা তো দূর, কী করে পেটের ভাত জোগাড় করবেন সেই চিন্তাতেই মাথায় হাত কৃষকদের।

আরও পড়ুন: ‘কোনও কিছুতেই আত্মসমর্পণ করব না’, দ্বিতীয়বার খুনের চেষ্টার পর গর্জন ট্রাম্পের, আটক ১ সন্দেহভাজন

নিম্নচাপের প্রভাবে বিগত চারদিন ধরে নদিয়া জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে লাগাতার বৃষ্টি। এর ফলে বিঘার পর বিঘা জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। তলিয়ে গিয়েছে ধান, পটল, শশা, কলাই, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং-সহ যাবতীয় ফসল ও সবজির খেত। ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে পড়েছে কলা ও পেঁপে বাগান।

আরও পড়ুন: উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ভাঙল আগের সমস্ত রেকর্ড, অটোমোবাইল আনলোডিং অপারেশনে উল্লেখযোগ্য

মুর্শিদাবাদেরও চিত্রটা খানিক একই রকম৷ নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হল প্রায় ৫ থেকে ৬টি গ্রাম-সহ চাষজমি। জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ বিস্তীর্ণ সড়ক পথ চলে গিয়েছে জলের তলায়। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার নিরুপায় মানুষ।

প্রবল বৃষ্টিতে কেশপুর ব্লকের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কুবাই নদীর জল উপচে ঢুকতে শুরু করেছে ২নং শিরশা গ্রাম পঞ্চায়েতের অকুলসাঁড়া, আকমুড়া, সিদ্ধেশ্বরী, পাখিরাপাড়া-সহ একাধিক গ্রামে। ফলে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম। গ্রামের যাতায়াতের জন্য কাঠের ব্রিজও জলের তলায় চলে গিয়েছে৷ ফলে বন্ধ যাতায়াত ব্যবস্থা।

নদী জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ বিঘা চাষজমি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘরবন্দি মানুষদের উদ্ধার করার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে দুশ্চিন্তায় কয়েক হাজার গ্রামের মানুষ।

পুজোর আগে এমন ক্ষতিতে মাথায় হাত কৃষকদের। চাষের জমিতে জল জমে যাওয়ায় ফসল পচে যাওয়ার আশঙ্কায় সমস্ত ফসল একসঙ্গে তুলে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। এর ফলে হঠাৎ করে বাজারে যোগান বেড়ে যাওয়ায় দাম পাবেন না চাষিরা।

প্রসঙ্গত, নদিয়া জেলার উৎপাদিত সবজি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু সমস্ত কৃষিজমি জলে তলিয়ে যাওয়ায় কয়েকদিন পর সবজি বা ফসলের জোগান বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে শুধু কৃষক নয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে আম জনতা।

বাজারে জোগান কমে গেলে সবজির দাম হবে আকাশছোঁয়া। বাজার মন্দার পাশাপাশি পকেটে টান পড়বে মধ্যবিত্তেরো। তাই পুজোর আগে নিম্নচাপের জেরে সঙ্কটে বঙ্গবাসী।

Nabanna on Heavy rain: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস! রাজ্যের চার জেলাকে বিশেষ ভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ নবান্নের

কলকাতা: রাজ্যের গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। এই নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে সতর্ক করলেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি চার জেলাকে আজকের বৈঠকে বিশেষ ভাবে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হাওড়া, হুগলী,পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান জেলা।

আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় আসছে প্রবল বৃষ্টি! সঙ্গে বজ্রপাতে কাঁপবে এলাকা

পাশাপাশি রবিবারের বৈঠকে একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে,  ডিভিসি কত পরিমাণ জল ছাড়ছে তা নজর রাখতে হবে জলমগ্ন এলাকা গুলিতে ত্রাণ বিলি করতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে ৫ হাজার ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যে বাড়িগুলি ভেঙে পড়েছে, জেলাশাসকদের সেগুলির বাসিন্দাদের অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।

আরও পড়ুন: টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ সিবিআইয়ের

আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনাও রয়েছে একাধিক এলাকায়। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। কোন কোন এলাকায় জল বাড়ছে তা নিয়ে প্রতিনিয়ত রিপোর্ট দিতে হবে নবান্নকে, এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। যেখানে যেখানে জল জমছে সেখানে পাম্প ব্যবহার করে দ্রুত জল বার করার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। রবিবার বিকেল ৫টা থেকে নবান্নে জেলাশাসকদের নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।

Tripura Flood Situation: বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে নেমে মৃত্যু চিরঞ্জিতের, পরিবারের পাশে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

আগরতলা: বন্যায় বিপর্যস্ত ত্রিপুরা। একাধিক মানুষের মৃত্যু। বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা, এন ডি আর এফ৷ এমনই সময়ে, অন্যকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করা সাহসী যুবক চিরঞ্জিতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।

বন্যা পরিস্থিতির সময়ে এলাকার দুর্গত মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন বলিদান দেন সাহসী যুবক চিরঞ্জিত দে। এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। রাজ্য সরকার তার পরিবারের পাশে থাকবে এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবে। আগরতলার ইন্দ্রনগরে প্রয়াত চিরঞ্জিত দের বাড়ি গিয়ে আত্মীয় পরিজনদের সমবেদনা জানিয়ে এই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যমকে মানিক সাহা জানান, “পেশায় গাড়ি চালক চিরঞ্জিত দে গত ২৩ আগস্ট বন্যা পরিস্থিতিতে অন্যদের জীবন রক্ষা করতে গিয়ে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেন। খুবই দুঃখের ও পরিতাপের। যেভাবে তিনি সাহসের সঙ্গে মানুষকে উদ্ধার করছিলেন সেটা খুবই প্রেরণাদায়ক। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করবো তিনি যেখানেই থাকুন সুখে শান্তিতে ও ভালো থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রয়াত যুবকের তিন বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান সে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তিও। মা বাবাও অসুস্থ। প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে।”

মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, আজ চিরঞ্জিত দের বাসভবনে গিয়ে তার স্মৃতির প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করি ও শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করি। এই অসহায় পরিবারটিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়তো এই অপুরনীয় ক্ষতির জন্য খুবই নগন্য। তবুও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার সহায়তা পরিবারের হাতে তুলে দিই। সেই সঙ্গে প্রয়াতের মা ও বাবা দুজনকেই সামাজিক ভাতার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এবং বসত ঘরটির মেরামতের জন্য জেলাশাসককে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করি। চিরঞ্জিতের পরিবার সূত্রে খবর, ছোট থেকেই সে পরোপকারী। এলাকায় কারও সাহায্যের দরকার হলে সে সবার আগে ছুটে যেত। ফলে তার আকস্মিক প্রয়াণে সকলেই শোকাহত। সেবাব্রতি যুবাদের প্রেরণা শক্তি হয়ে চিরঞ্জিত বেঁচে থাকবে আমাদের হৃদয়ে।