Tag Archives: Independence day

Independence Day 2024: এই বাড়িতেই বসে তৈরি হত ব্লু প্রিন্ট! এটাই ছিল বিপ্লবীদের লুকানোর জায়গা, দেখুন

জলপাইগুড়ি: এখানেও রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আস্তানা! ছোট্ট জেলা হলেও এই জেলার বুকেই রয়েছে নানা অজানা ইতিহাস। দেশ স্বাধীনের বহু স্মৃতি চিহ্ন আজও নিঃশব্দে বয়ে নিয়ে যায় জেলা জলপাইগুড়ি। কোথায় সেই আস্তানার ডেরা জানেন? কারা থাকত? কী হত? সবটাই হয়তো জলপাইগুড়িবাসীর একাংশের কাছেই এখনও অজানা।

উত্তর-পূর্ব ভারত এবং পূর্ববঙ্গের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আস্তানা জলপাইগুড়ি ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্যাশ্রম পড়ে রয়েছে অবহেলায় অনাদরে। এই আশ্রম ছিল পূর্ব বঙ্গে। দেশ স্বাধীনের আগে পরবর্তীতে আজ থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে স্বদেশী আন্দোলনকারীদের আস্তানা হিসেবে ধূপগুড়ির প্রত্যন্ত নিরিবিলি গ্রামে এই আখড়া গড়ে তুলেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত।

আরও পড়ুনCooch Behar News: প্রথমে স্বাধীন ভারতের অংশ ছিল না কোচবিহার! কীভাবে বাংলার জেলা হল এই রাজন্য স্টেট, জানুন চমকপ্রদ ইতিহাস

জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার আগে বিপ্লবীরা গা ঢাকা দিতেন এখানে এসে। তাদের হাতেই তৈরি হয় এই বিদ্যাশ্রম। এই বিদ্যাশ্রমে সেসময় আশ্রয় নিয়ে আন্দোলন চালিয়েছেন স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। এই আস্তানায় ছিলেন, শান্তি রঞ্জন চক্রবর্তী, রাখাল চন্দ্র দে, কুমারেশ ঘোষ, যাত্রামোহন দাসের মতো বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী। সে সময় এখানে থেকে তাঁত বোনা হত সেই তাঁতের কাপড় তারা পড়তেন। পাশাপাশি এই প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে গ্রাম স্বরাজ করার জন্য তাদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার ব্যবস্থা ছিল। এখনও এই বিদ্যাশ্রমে রয়ে গেছে অতীতের সেই নিদর্শনগুলি। রয়েছে চরকা, তাঁতঘর সহ অনেক কিছু।

তবে, বর্তমানে কার্যত অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আখড়া। দেয়ালে ধরেছে ফাটল, ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে ঐতিহাসিক এই আস্তানা। কিন্তু, এখনও এই আশ্রম আগলে রয়েছে গৌরি ঘোষ। পিছিয়ে পড়া মানুষদের শিক্ষিত করতে আশ্রমে খোলা হয় হরিজন স্কুল। ১৯৮৫ সালে গৌরী দেবী শিক্ষিকার কাজের জন্য মধ্যমগ্রাম থেকে এখানে আসেন। আশ্রমকে ভালবেসে তিনি আর ফিরে যাননি।

অভিযোগ, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সবাই ভুলে যাচ্ছে ঐতিহ্যশালী এই আশ্রমের প্রতি সরকার উদাসীন। কিছু বছর আগে সরকারের তরফে বিদাহক তহবিল থেকে ছোট একটি প্রার্থনা ঘর নির্মাণ করা হয়।গৌরী দেবী সহ এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এই আশ্রম।সরকারের তরফে যদি সঠিকভাবে এই আশ্রমটি রক্ষণাবেক্ষণ করে তাহলে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি এটিও একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

সুরজিৎ দে

Independence Day Special: জমজমাটি ভূরিভোজ স্বাধীনতা দিবসে; এলাহি আয়োজন শহরের এই নামী পাঁচতারায়, থাকছে বিশেষ অফারও

কলকাতা: সামনেই তো স্বাধীনতা দিবস। আর ৭৮-তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে চলেছে ভারত। ওই ঐতিহাসিক উৎসবকে পালন করতে অতিথিদের জন্য বিশেষ অফার আনতে চলেছে আইএইচসিএল (IHCL)। তহলে কী কী বিশেষ মেন্যু আর অফার থাকতে চলেছে, একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

তাজ বেঙ্গল

ক্যাল ২৭

স্বাধীনতা দিবস স্পেশাল ব্রাঞ্চ – ১৫ অগাস্ট ২০২৪
সময়: দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট
মূল্য: জনপ্রতি ২৫০০ টাকা + কর**
জনপ্রতি ৩৫০০ টাকা + কর** (বাছাই করা পানীয়-সহ)

আরও পড়ুন– চেন টেনে ট্রেন থামালেন যাত্রী, কারণ শুনে হতবাক জিআরপি-সহ বাকিরাও, যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হল সঙ্গে সঙ্গে

মেন্যু হাইলাইটস:

চিকেন মাপ্পাস-সহ কুট্টু পরাঠা, অন্ধ্র স্টাইল প্রণ কারি, মুম্বই চৌপাট্টি, বড়া পাও, ভাজি পাও, মিস্সল পাও, গাট্টা কারি, আলু পিঁয়াজ কে সবজি, কষা মাংস, লুচি ছোলার ডাল, তেলে ভাজা এবং আরও নানা কিছু।
সংরক্ষণের জন্য কল করুন এই নম্বরে- + 91-33-6612 3310

**শর্তাবলী প্রযোজ্য

তাজ সিটি সেন্টার নিউ টাউন, কলকাতা

শামিয়ানা

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্পেশাল ব্রাঞ্চ – ১৫ অগাস্ট, ২০২৪

সময়: দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ৩টে ১৫ মিনিট

মূল্য: জনপ্রতি ২৫০০ টাকা + কর**

জনপ্রতি ৩৫০০ টাকা + কর** (বাছাই করা পানীয়-সহ)
সংরক্ষণের জন্য কল করুন এই নম্বরে- + 91-6292288563
**শর্তাবলী প্রযোজ্য

আরও পড়ুন– বাঘিনীর থাবা এসেছিল ধেয়ে, ফসকে যেতেই ময়ূর যা করল ভিডিও না দেখলে বিশ্বাস হবে না

ভিভান্তা কলকাতা ইএম বাইপাস

মিন্ট

স্বাধীনতা দিবস স্পেশাল ব্রাঞ্চ – ১৫ অগাস্ট ২০২৪
সময়: দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ৩টে ০০ মিনিট
মূল্য: ১২০০ টাকা (সব কিছুই অন্তর্ভুক্ত)**

মেন্যু হাইলাইটস:

চাট ফ্রম ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, অমৃতসরি ছোলে, মুর্শিদাবাদী দম বিরিয়ানি, অওয়াধি দম কা মুর্গ, ট্রাই কালার সন্দেশ এবং আরও নানা কিছু।
সংরক্ষণের জন্য কল করুন এই নম্বরে- + 91-33-6292274003
**শর্তাবলী প্রযোজ্য

Independence Day: বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর পদধূলিতে ধন্য হাওড়ার এই গ্রাম

হাওড়া: ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’ এই কথা শুনলে আপামর দেশবাসীর মনে  পড়ে যায় স্বাধীনতা সংগ্রামে একজন তরুণ বিপ্লবীর আত্ম বলিদানের কথা। স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে এই তাঁর গাথা। এই কথা জড়িয়ে রয়েছে বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর জীবনে। দেশ সেবায় অল্প বয়সে প্রাণ বলিদান দিয়েছিলেন সে সময়ের অল্পবয়সী যুবক।

১৯০৮ সালে অত্যাচারী ব্রিটিশ কিংসফোর্ডকে বোমা মেরে, আত্মগোপন করেছিলেন এক রাত্রিরের জন্য মামার বাড়িতে। হাওড়া বাগনানের দেউল গ্রাম এখান থেকে চলে যাওয়ার পরেই মোজাফ্ফরপুরে ধরা পড়েন ক্ষুদিরাম। তারপরই “হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী”।

আরও পড়ুন: হোটেলে থাকছেন? বিছানার নীচে জলের বোতল ফেলতে ভুলবেন না! ৯৯% শতাংশ লোকজনই জানেন না কারণ

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নিবেদিত প্রাণ ক্ষুদিরাম বসুর স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছে হাওড়ার বাগনানের দেউলগ্রাম। জানা গিয়েছে, হাওড়ার বাগনানের দেউলগ্রাম ধন্য হয়েছিল বিপ্লবী ক্ষুদিরামের পদধূলিতে। কারণ দেউলগ্রামে ছিল ক্ষুদিরামের মামা বাড়ি। উল্লেখ্য ক্ষুদিরামের মা মারা যান তখন, যখন ক্ষুদিরামের বয়স ছিল মাত্র চার বছর। দিদির কাছেই মানুষ হয়েছিলেন তিনি।

পরে ক্ষুদিরামের বাবা বিয়ে করেন হাওড়ার দেউল গ্রামের সুশীলা ভঞ্জকে। জানা যায়, বিয়ের মাত্র সাত দিনের মাথায় মারা যান ক্ষুদিরামের বাবা। বাল্য বিধবা সুশীলা ফিরে আসেন হাওড়া জেলার পশ্চিম সীমান্ত ঘেঁষে দেউলগ্রামেই বাবার বাড়ি।

আরও পড়ুন: টকটকে লাল নয়, ঘন নীল! বলুন তো কোন প্রাণীর রক্তের রং নীল? এক লিটারের দামই ১০ লাখ!

কথাগুলি জানিয়েছেন সুশীলা দেবীর সম্পর্কিত নাতবৌ অশীতিপর বৃদ্ধা গৌরী ভঞ্জ। উল্লেখ্য বর্তমানে পশ্চিম মেদিনীপুরের হাবিবপুরে ক্ষুদিরামের জন্ম। ত্রৈলোক্যনাথ বসু ও মা লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবী। বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু’র মা মারা যাওয়ার পর দিদির কাছে থাকতেই শুনেছিলেন বাবার দ্বিতীয় বিয়ের কথা ও দেউল গ্রামে তার আরেক মায়ের কথা।

আরও পড়ুন: খিদে পেলেই বাচ্চাকে দুধের সঙ্গে খেতে দিচ্ছেন এই জিনিস! আকছার হচ্ছে এই ভুল, স্বাস্থ‍্যের দফারফা, সাবধান করলেন চিকিত্‍সক

১৯৭১ সালে সুশীলা মারা যান। কিংসফোর্ড মামলায় অভিযুক্ত ক্ষুদিরাম আত্মগোপন করতে সৎমা সুশীলার কাছে এসেছিলেন। যদিও সুশীলা দেবী ও এলাকার কয়েকজন রাজি হননি সেদিন। সে দিন বাধ্য হয়ে মাটি গুদামে রাত কাটিয়ে কাক ভোরে ফিরে যান ক্ষুদিরাম। পরে ইংরেজদের হাতে ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয়।সেই প্রথম ও শেষ বারের মত তাঁর মামা বাড়ি বাগনানে দেউলগ্রামে এসেছিলেন ক্ষুদিরাম। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাক্ষী রয়েছে হাওড়ার এই স্থান।রাকেশ মাইতি

Indian National Flag: ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তন ও ইতিহাস বিষয়ে প্রদর্শনী হাওড়ায়

হাওড়া: ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাসের প্রদর্শনী চলছে হাওড়ার গান্ধী গ্লোবাল চ্যাপ্টারের তরফ থেকে। দেশ ও জাতীয় পতাকার প্রতি মানুষের আরও বেশি প্রেম জাগাতেই এই বিশেষ উদ্যোগ | বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জাতীয় পতাকার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতেই এই ভাবনা বলেই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ১৫ অগাস্ট দেশের স্বাধীনতা উদযাপন করবে আপামর ভারতবাসী, উত্তোলিত হবে জাতীয় পতাকা| ভারতের জাতীয় পতাকার এই বর্তমান নকশাটি গৃহীত হয় ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাইয়ের সাংবিধানিক সভায় | এই পর্যায়ের আসার আগে বহুবার পাল্টেছে জাতীয় পতাকার নকশা |

আরও পড়ুনঃ সোনাঝুড়ি হাট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত! চালু নতুন নিয়ম, এবার সপ্তাহে কদিন খোলা থাকবে হাট?

ভারতের জাতীয় পতাকার যাত্রা শুরু হয় কলকাতার পার্সিবাগান স্কোয়ারে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে| ভারতীয় উপমহাদেশের স্বদেশী ও বয়কট সংগ্রামের সময় এটি ঘটেছিল | সে সময়ে পতাকাটিতে লাল, হলুদ এবং সবুজের তিনটি অনুভূমিক স্ট্রাইপ রয়েছে। যেখানে হিন্দি ভাষায় বন্দে মাতরম শব্দগুলি খোদাই করা হয়েছে | ১৯০৭ সালে বার্লিনে ভারতের জাতীয় পতাকার প্রদর্শনী হয়। এই পতাকায় ছিল তিনটি রঙ। এরপর ১৯১৬ সালে আরও একটা ভারতীয় পতাকার নকশা দেখতে পাওয়া যায়| ১৯২০ সালে জাতীয় পতাকার অভাব অনুভব করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। ওই বছরই গান্ধীজির কাছে জাতীয় পতাকার একটা নকশা প্রস্তাব করেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া। সেই পতাকায় ভেঙ্কাইয়াকে সাদা রঙ ও চরকা অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন গান্ধীজি। চরকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় পতাকাটি তৈরি হয় খদ্দর কাপড়ের। ১৯৩১ সালে ফের জাতীয় পতাকার নকশা পাল্টান পি. ভেঙ্কাইয়া।

১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই স্বাধীন ভারতের একটি জাতীয় পতাকা তৈরি প্রস্তাব দেন পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু | প্রস্তাব হয় সেই পতাকায় ওপরে থাকবে গেরুয়া রঙ | মাঝে সাদা এবং তলায় গাঢ় সবুজ রঙ সমান পরিমাণে থাকবে| মাঝখানের সাদা রঙের মধ্যে থাকবে অশোকের ধর্মচক্র | জাতীয় পতাকার বিবর্তনের ইতিহাস সাধারণ মানুষ বিশেষ করে দেশের যুব সমাজের কাছে তুলে ধরতে পেরে দারুন আনন্দিত সংগ্রাহক ইন্দ্রনাথ বারুই। এ প্রসঙ্গে ইন্দ্রনাথ বাড়ুই জানান, শৈশব থেকে নানা দুষ্প্রাপ্য জিনিস সংগ্রহের প্রতির নেশা। তার মধ্যে অন্যতম হল ভারতের জাতীয় পতাকার বিবর্তন ও ইতিহাস চর্চা। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল এই প্রদর্শন। এই প্রদর্শনের প্রধান উদ্দেশ‍্য মানুষের মনে জাতীয়তাবাদী চেতনা জাগ্রত করা, এমন টাই জানালেন হাওড়ার গান্ধী গ্লোবাল চ্যাপ্টারের সম্পাদক সৌম্য |

রাকেশ মাইতি

Netaji Subhas Chandra Bose: এই আরামকেদারাটি কার জানেন? নামটা জানলে গায়ে কাঁটা দেবে!

পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের এই বাড়িতে একসময় অতিথি হয়ে এসেছিলেন স্বয়ং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরে রয়েছে এই বাড়ি। নেতাজির ব্যবহার করা চেয়ার, টেবিল এখনও রয়েছে বর্ধমানের কাটোয়ার এই বাড়িতে! কাটোয়া শহরের বারোয়ারিতলায় রয়েছে এই বাড়ি।

আদতে এই বাড়ি দেশপ্রেমী ডক্টর গুণেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের। স্বাধীনতা আন্দোলনে কাটোয়া মহকুমা থেকে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজির অসহযোগ আন্দোলন থেকে শুরু করে, আইন অমান্য আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও তাঁর বড় অবদান রয়েছে। জানা যায় বাংলার বিভিন্ন বিপ্লবী প্রতিষ্ঠান এবং বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ডক্টর গুণেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের। সেরকমই বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশাপাশি গুণেন্দ্রনাথ বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর। আর এই গুণেন্দ্রনাথ বাবুর বাড়িতেই এসেছিলেন নেতাজি।

আরও পড়ুন: প্রবল মারে চশমার কাচ ঢোকে চোখে, দেওয়ালে ঠোকা হয় মাথা, আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর তথ্য

গুণেন্দ্রনাথ বাবুর নাতি রঘুনাথ মুখার্জী এই প্রসঙ্গে বলেন, “১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের ২৯, ৩০ এবং ৩১ এই তিনটে দিন নেতাজিকাটোয়াতে ছিলেন। এটা যে সময়কার ঘটনা তখন আমার জন্ম হয়নি। আমরাও শুনেছি , বইয়ে বিভিন্ন লেখা পড়েছি যে নেতাজিসেই সময় আমাদের বাড়িতেই আতিথিয়তা গ্রহণ করেছিলেন। আমার ঠাকুমা রান্নাবান্না করতেন এবং সেই খাবার তিনি গ্রহণ করেছিলেন বলে আমরা জানি। আমাদের বাড়িতে বৈঠকখানায় একটা ইজি চেয়ার থাকতো। নেতাজি নিশ্চয়ই বৈঠকখানার ওই ইজি চেয়ার ব্যবহার করেছিলেন। এবং সেই টেবিলও এখনো আছে যে টেবিল তাকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল।”

আরও পড়ুন: ‘ভিতরের কেউ আছে’, আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সন্দেহ মমতার

বর্ধমানের কাটোয়ার এই গুণেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্য়ায়ের বাড়িতে এখনও রয়েছে নেতাজির ব্যবহার করা ইজি চেয়ার এবং ছোট্ট একটি টেবিল। জানা যায়, গুণেন্দ্রনাথবাবুর বাড়ির একদম সামনেই দোতলায় ছিল তাঁর বৈঠক খানা। সেখানেই তিনি বিভিন্ন মিটিং করতেন। বহু মানুষের যাতায়াত ছিল সেখানে। তবে গুণীবাবুর বৈঠক খানায় প্রবেশ করতে গেলে লোহার বাঁকানো সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠতে হত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যখন কাটোয়া এসেছিলেন তখন তিনিও এই লোহার সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে গুণীবাবুর বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন।

আজও কাটোয়া শহরের গুণেন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে সেই সাবেকি লোহার সিঁড়ি রয়েছে। জানা যায়, নেতাজি গুণেন্দ্রনাথবাবুকে মাঝে মধ্যেই চিঠি লিখতেন। তারই মধ্যে নেতাজির লেখা এবং তাঁর সাক্ষরিত একটি চিঠি এখনও গুণেন্দ্রনাথবাবুর বাড়িতে রয়েছে। তাঁর বংশধরেরা সেই চিঠি এখনও রেখে দিয়েছেন স্বযত্নে। সব মিলিয়ে আজও নেতাজির স্মৃতি বহন করে কাটোয়ার বারোয়ারীতলার গুণীবাবুর বাড়ি।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Narendra Modi: সামনে শুধু নেহরু-ইন্দিরা! বৃহস্পতিবারই নতুন নজির মোদির, টপকে যাবেন মনমোহনকে

নয়াদিল্লি: আগামী বৃহস্পতিবার, ভারতের স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন নজির স্পর্শ করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একটানা এগারোবার স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লা থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন তিনি৷ দেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই নজির গড়বেন নরেন্দ্র মোদি৷

এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহরু এবং তাঁর কন্যা ইন্দিরা গান্ধি এই নজির গড়েছিলেন৷ এবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেই একই নজির গড়বেন মোদিও৷

আরও পড়ুন: রবিবার পর্যন্ত পুলিশকে সময়, কিনারা না হলে আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই-কে: মমতা

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহরু পর পর ১৭ বার স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার নজির গড়েছিলেন৷ ইন্দিরা গান্ধি প্রথম দফায় ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত এগারো বার লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ দেন৷ দ্বিতীয় দফায় ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত আরও পাঁচ বার স্বাধীনতা দিবসে ভাষণ দেন তিনি৷ সবমিলিয়ে ১৬ বার স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষ দেওয়ার নজির গড়েন ইন্দিরা৷

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পর পর দশ বার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন মনমোহন সিংও৷ আগামী বৃহস্পতিবার নিজের পূর্বসূরিকেও ছাপিয়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদি৷ ২০১৪ সালে প্রথম বার স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ সেবারই লাল কেল্লা থেকে স্বচ্ছ ভারত, জন ধন প্রকল্পের মতো ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷

Independence Day 2024: গাছ লাগানোই নেশা! বড় সম্মান দুই পড়ুয়ার! ডাক পেলেন দিল্লিতে

মালদহ: বৃক্ষরোপণ করেই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে লালকেল্লায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার সুযোগ করে নিল মালদহ কলেজের দুই পড়ুয়া। এমন সুযোগ পেয়ে খুশি মালদহ কলেজের এনএসএস স্বেচ্ছাসেবক দুই ছাত্র। কলেজ পড়ুয়া মহম্মদ আমান আলী বলে, কোনওদিন ভাবিনি এমন সুযোগ মিলবে। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে লালকেল্লায় উপস্থিত থাকতে পারব ভেবে খুবই আনন্দিত লাগছে।

তিনি বলেন পড়াশোনার পাশাপাশি কলেজে এনএসএস স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে একাধিক সমাজসেবামূলক কাজ করছি। বৃক্ষরোপণ করে এই সুযোগ পেয়েছি। দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের যুব দফতর পক্ষ থেকে প্রতিটি কলেজ ক্যাম্পাসে ৭৫টি করে গাছ লাগানোর অনুরোধ জানানো হয়েছিল। মালদহ কলেজের এনএসএস কলেজ ক্যাম্পাসে ৭৫টি ত্রিফলা গাছ লাগিয়েছিল। ২৫ টি করে মোট তিন প্রজাতির ৭৫ টি গাছ রোপণ করেছিল তারা সেই সময়।

আরও পড়ুন: রেলে চাকরির স্বপ্নপূরণের সুযোগ, বেতন মাসিক ৪৫ হাজার! কারা যোগ্য? আবেদন করুন

শুধুমাত্র বৃক্ষরোপন নয় পাশাপাশি গাছগুলির সঠিক পরিচর্যা করা হয়। কলেজ ক্যাম্পাসের সেই গাছগুলি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করছে কলেজের এনএসএস স্বেচ্ছাসেবক পড়ুয়ারা। ত্রিফলা গাছ লাগিয়ে ও তার সঠিক পরিচর্যা করার সুবাদে মালদহ কলেজের দুই পড়ুয়া মহম্মদ আমান আলী ও সুপর্ণা মন্ডল লাল কেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

হরষিত সিংহ

Independence Day: ১৫ই অগাস্ট ভারত ছাড়া আর কোন কোন দেশে পালিত হয় স্বাধীনতা দিবস? জেনে নিন

১৫ই অগাস্ট দেশজুড়ে পালিত হতে চলেছে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। তেরঙ্গায় সেজে উঠবে গোটা দেশ। প্যারেডে, জাতীয় সংগীতে গমগম করে উঠবে আসমুদ্রহিমাচল। কিন্তু, জানেন কী এই দিন ভারত ছাড়াও আরও কতগুলি দেশের স্বাধীনতা দিবস এই একই দিনে? ভারত ছাড়াও মোট পাঁচটি দেশেরও স্বাধীনতা দিবস এই দিন পালিত হয়।
১৫ই অগাস্ট দেশজুড়ে পালিত হতে চলেছে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। তেরঙ্গায় সেজে উঠবে গোটা দেশ। প্যারেডে, জাতীয় সংগীতে গমগম করে উঠবে আসমুদ্রহিমাচল। কিন্তু, জানেন কী এই দিন ভারত ছাড়াও আরও কতগুলি দেশের স্বাধীনতা দিবস এই একই দিনে? ভারত ছাড়াও মোট পাঁচটি দেশেরও স্বাধীনতা দিবস এই দিন পালিত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়া- এই দিনটি দুই কোরিয়ার পক্ষেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনটিকে ন্যাশনাল লিবারেশন ডে অফ কোরিয়া বলে অভিহিত করা হয়। এই দিনেই জাপানের ৩৫ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৪৫ সালে স্বাধীন হয় তাঁরা।
দক্ষিণ কোরিয়া- এই দিনটি দুই কোরিয়ার পক্ষেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিনটিকে ন্যাশনাল লিবারেশন ডে অফ কোরিয়া বলে অভিহিত করা হয়। এই দিনেই জাপানের ৩৫ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি পেয়ে নিজেদের স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৪৫ সালে স্বাধীন হয় তাঁরা।
উত্তর কোরিয়া- দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হয়ে তাঁরা আলাদা হলেও, তাঁদের স্বাধীন হওয়ার দিনটা কিন্তু এখনও এক। তাই উত্তর আর দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কাঁটাতারের বেড়াজাল বিস্তৃত থাকলেও দুই দেশের স্বাধীনতা দিবস কিন্তু সেই ১৫ই অগাস্ট।
উত্তর কোরিয়া- দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হয়ে তাঁরা আলাদা হলেও, তাঁদের স্বাধীন হওয়ার দিনটা কিন্তু এখনও এক। তাই উত্তর আর দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে কাঁটাতারের বেড়াজাল বিস্তৃত থাকলেও দুই দেশের স্বাধীনতা দিবস কিন্তু সেই ১৫ই অগাস্ট।
বাহারিন ভারতের মতই এই দেশও ব্রিটিশের শাসনে ছিল। এই দেশ ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। এই উপসাগরীয় দেশই প্রথম খনিজ তেল খুঁজে পায় এবং তা পরিশোধন করা শুরু করে। তা শুরু হয় ১৯৩১ সালে। ১৯৭১ সালের ১৪ই অগাস্ট স্বাধীনতা পেলেও স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৫ই অগাস্ট।
বাহারিন ভারতের মতই এই দেশও ব্রিটিশের শাসনে ছিল। এই দেশ ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পায় ১৯৭১ সালে। এই উপসাগরীয় দেশই প্রথম খনিজ তেল খুঁজে পায় এবং তা পরিশোধন করা শুরু করে। তা শুরু হয় ১৯৩১ সালে। ১৯৭১ সালের ১৪ই অগাস্ট স্বাধীনতা পেলেও স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৫ই অগাস্ট।
রিপাবলিক অফ কঙ্গো এই দিন কঙ্গোকে কঙ্গোলেজ ন্যাশনাল ডে হিসাবে পালিত হয়। ফ্রান্সের থেকে এই দেশ স্বাধীনতা পায় ১৯৬০ সালের ১৫ই অগাস্ট।
রিপাবলিক অফ কঙ্গো এই দিন কঙ্গোকে কঙ্গোলেজ ন্যাশনাল ডে হিসাবে পালিত হয়। ফ্রান্সের থেকে এই দেশ স্বাধীনতা পায় ১৯৬০ সালের ১৫ই অগাস্ট।
লিকটেনস্টাইন পৃথিবীর ষষ্ঠ ছোট দেশ হল লিকটেনস্টাইন। ১৮৬৬ সালের ১৫ই অগাস্ট জার্মানির কাছ থেকে স্বাধীনতা পায় এই দেশ। এই দিন আতসবাজির রোশনাইতে ভরে যায় এই দেশের আকাশ
লিকটেনস্টাইন পৃথিবীর ষষ্ঠ ছোট দেশ হল লিকটেনস্টাইন। ১৮৬৬ সালের ১৫ই অগাস্ট জার্মানির কাছ থেকে স্বাধীনতা পায় এই দেশ। এই দিন আতসবাজির রোশনাইতে ভরে যায় এই দেশের আকাশ।

Independence day 2024: অভিনয়ের দক্ষতা বাঁচিয়েছিল তাদের, স্বাধীনতা সংগ্রামী বাবা-কাকাদের কাহিনি শোনালেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক

পশ্চিম মেদিনীপুর: বয়স তার ৮০ পেরিয়েছে। এখনও তিনি নাটক লেখেন, লেখেন নানা গল্প। শিক্ষকতার পেশা থেকে অবসর নিয়ে তিনি সময় কাটান সাংস্কৃতিক নানা বিষয় নিয়ে। পারিবারে নাটকের চল ছিল, তবে সেই নাটকের বেশ ধরে পরিচয় গোপন করে ব্রিটিশ পুলিশকে ধোকা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা ও কাকা। অল্প বয়সের সেই স্মৃতি এখনও টাটকা তাঁর মনে। চোখের সামনে দেখেছেন স্বাধীনতা আন্দোলন।

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রুখতে বড় দাবি অভিষেকের, কী বললেন তৃণমূল সাংসদ?

যুগজিৎ নন্দ, বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে হলেও কর্মসূত্রে তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তার পরিবারের অধিকাংশ শরিকরা থাকেন পূর্ব মেদিনীপুরে। যুগজিতের ঠাকুমা সারদাময়ী নন্দ ছিলেন লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনের পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা অঞ্চলের নেত্রী। পরাধীন ভারতে তিনিও লড়েছেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। বারবার এই নিয়ে ব্রিটিশ পুলিশ হানা দিয়েছে তাঁদের বাড়িতে।

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে পড়ুয়াদের সমস্ত দাবি দাবি মেনে নিল স্বাস্থ্য দফতর, কী কী পদক্ষেপ?

যুগজিৎ নন্দের বাবা পূর্ণচন্দ্র নন্দ কাজ করতেন খিদিরপুর ডকে। খিদিরপুর ডকে কাজ করা কালীন ভাই প্রেমচাঁদ নন্দকে নিয়ে চলে যান সেখানে। সেখানে পড়াশোনা করতে গিয়ে গান-বাজনার চর্চাও করতেন তিনি। যুগজিতের কাকা অর্থাৎ প্রেমচাঁদ নন্দের সঙ্গে পরিচয় হয় কাজি নজরুল ইসলামের। তাঁকে গান শেখাতেন নজরুল। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত গেয়ে প্রশংসা জুটেছিল নজরুল ইসলামের থেকে। এরপর ধীরে ধীরে বঙ্গবাসী কলেজে পড়াকালীন জড়িয়ে পড়লেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। কারাবাস হয় যুগজিতের বাবার।

বৃদ্ধ যুগজিৎ স্মৃতি হাতড়ে জানান, একদিন বাড়িতে তল্লাশি হয়। চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে ব্রিটিশ পুলিশ। তবে মহিলা ছদ্মবেশ নিয়ে রাতে ব্রিটিশ পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান তাঁর বাবা এবং কাকা। নেপথ্যে নাটক করার অভিজ্ঞতা। আগেই অবশ্য আঁচ পেয়ে ঘর থেকে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন যুগজিৎ বাবুর ঠাকুমা সারদাময়ী দেবী।

এখন যুগজিৎ নন্দের বয়স ৮০ পেরিয়েছে। তবে স্বাধীনতা আন্দোলনের সেই স্মৃতি আজও টাটকা। কখনও হেসে উঠেন আবার কখনও সেদিনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শুনলে চোখে জল আসে তাঁর।

Indian Independence Movement: ‘কারার ওই লৌহকপাট ভেঙে ফেল কর রে লোপাট’… পরাধীন ভারতে কারাগার ভাঙল তাঁরা, জেনে নিন দেশপ্রেমের অনন্য নজির

মধ্যপ্রদেশ, নিমার:১৯৪২ সাল৷ সারা ভারত তখন উত্তাল৷ ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট সমগ্র দেশ জুড়ে৷ গান্ধি-সহ একের পর এক শীর্ষস্থানীয় নেতারা জেল বন্দি৷ এরপরও দমানো যায়নি আন্দোলনের ঝাঁজ৷

শহর গ্রামের কত নাম না জানা ব্যক্তিত্বরা স্বাধীনতার যজ্ঞে নিজেকে সঁপে দিয়েছিল৷ ভরে গিয়েছিল ইংরেজদের কারাগার৷ এমনই এক জায়গার নাম মধ্যপ্রদেশের নিমার জেলা৷

আরও পড়ুন:মুম্বইতে ভয়ঙ্কর ঘটনা, মহিলাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, সন্দেহের তির প্রেমিকের দিকে

স্বাধীনতার আকাঙ্খায় বুঁদ ৬৮ জন ব্যক্তি নেমে পড়ল আন্দোলনে৷ চোখে স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন৷ গান্ধীর আদর্শে তাঁরা আন্দোলনে জড়ালো৷ অবশ্যম্ভাবী ফল জেল বরণ৷ তাই ঘটল তাঁদেরও ভাগ্যে৷

এতো ১৯৪২ সালের হাজার হাজার ভারতীয়ের কাহিনি৷ তবে তাঁরা আলাদা হল কীভাবে? গান্ধিজীর প্রতি ভালবাসায় এঁরা অসাধ্য সাধন করেছিলেন৷

আরও পড়ুন: ফল চাষ করে লাভ ৯৫ লাখ টাকা, জেনে নিন কোন ফল চাষ করে হতে পারেন লাখপতি?

ইতিহাসবিদ দুর্গেশ কুমার জানিয়েছেন, ১৯৪২ সালের ২ অক্টোবর, গান্ধিজীর জন্মদিন পালন করার জন্য জেল থেতে বেরোতে চেয়েছিলেন তাঁরা৷

সেই মতো তাঁরা হোলকারের কাছে আবেদন করেছিলেন৷ কিন্তু অনুমতি মেলেনি৷ উপায়? সিদ্ধান্ত হল ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ ভেঙে ফেলার৷

যেমন ভাবা তেমন কাজ৷ ভেঙে ফেলা হল, বন্দি কাঠের দরজা৷ ২ অক্টোবর, সন্ধে ৭টায় কারাগারে পশ্চিম দিকের কাঠের দরজা ভেঙে স্লোগান দিতে দিতে বেড়িয়ে গেল ৬৮ জন ব্যক্তি৷

জেল থেকে বেরিয়ে তাঁরা হাঁটা শুরু করল৷ জেল রোড, কিটন রোড, এমজি মার্গ হয়ে ঐতিহাসিক ঘন্টাঘর চকে এসে পৌঁছান ৬৮জন দেশপ্রেমী৷

তবে তাঁরা আবার জেলে ফিরেও গিয়েছিলেন৷ পরের দিন সকালে তেরঙ্গা ইত্তোলন করে আবার জেলে পিরে যায় এই ৬৮জন৷

তাঁরা যখন জেল থেকে বেরোচ্ছিলেন, খবর যায় ইংরেজ পুলিশদের কাছে৷ জেল ভাঙার খবর পেয়ে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় তাঁরা৷

কিন্তু স্বাধীনতা মন্ত্রে দীক্ষিত ব্যক্তিরা কবেই বা ভয়ে পেয়েছেন৷ বরং তাঁদের অদম্য জেদের কাছে হার মানতে হয়েছিল পুলিশদের৷

এমন কত নাম, কত ব্যক্তিরা নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন দেশ স্বাধীনের যজ্ঞে৷ তাঁদের কতটুকু কথাই বা আমরা জানি৷