Tag Archives: Library

Bangla Video: লাইব্রেরিয়ানের দেখা নেই, নাইট গার্ডের ভরসায় চলছে পাঠাগার!

আলিপুরদুয়ার: লাইব্রেরি চালাতে এবার নাইটগার্ড ভরসা। এভাবেই চলছে ফালাকাটা শহরের সুভাষ পাঠাগার। এখানকার পাঠকদের অভিযোগ, ঘড়িতে সন্ধে ছ’টা বাজতে না বাজতেই বন্ধ করে দেওয়া হয় পাঠাগার। গ্রন্থাগারিক সপ্তাহে একদিন আসেন, সেটি শুক্রবার। তিনি দুপুর একটার সময় আসেন আর চারটের মধ্যেই চলে যান। এর ফলে পাঠকেরা সেখানকার বই নিয়ে পড়ার সুযোগ পান না।

এছাড়াও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাঠাগারের জেনারেটরটি বিকল হয়ে পড়ে আছে। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে পাঠকদের সমস্যায় পড়তে হয়। এই বিষয়ে গ্রন্থাগারের তরফে কোনও প্রকার বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি। সব মিলিয়ে বেহাল অবস্থা ফালাকাটার এই সরকারি গ্রন্থাগারের।

আরও পড়ুন: আর‌ও এক পুজো কমিটির অনুদান ত্যাগ

এই গ্রন্থাগারের বেশিরভাগ পাঠকই চাকরিপ্রার্থী। তাঁরা চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এখানে আসেন। কিন্তু এখানকার বই তাঁরা নিতে পারেন না, কারণ গ্রন্থাগরিক না থাকার জন্য সেই বইগুলো দেওয়ার লোক নেই। পাঠাগারটি মূলত চলে নাইট গার্ড দিয়ে। তিনি মাঝে-মধ্যে দু-একটা বই দিয়ে থাকেন পাঠকদের।তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর পক্ষেও সমস্ত বই দেওয়া সম্ভব নয়।

এই প্রসঙ্গে নাইটগার্ড সুভাষচন্দ্র রায় বলেন, আমি ২৬ কিলোমিটার দূর থেকে এসে পাঠাগার খুলি এবং বন্ধ করি। মাঝে মধ্যে পাঠকদের বই দিয়ে থাকি। ফালাকাটা সুভাষ পাঠাগার শহর গ্রন্থাগার কমিটির সভাপতি অজিত দে সরকার বলেন, পাঠকরা আমায় ফোন করে জানিয়েছেন। আমি তাঁদের বলেছি বিষয়টি লিখিতভাবে জানাতে। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি বিষয়টি জেলা গ্রন্থাগারিককে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

অনন্যা দে

Government Library: এবার বইতেও কোপ! হচ্ছে বেআইনি দখল? বিস্ফোরক দাবি

পুরুলিয়া: প্রযুক্তির এই যুগে দাঁড়িয়েও এখনও রয়েছে বইয়ের চাহিদা।‌ বইপ্রেমী মানুষেরা আজও হাতে বই ধরে পড়তে পছন্দ করেন।‌ আর সেই কারণেই জেলার গ্রন্থাগারগুলি নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পেরেছে। পুরুলিয়ার সরকারি গ্রন্থাগারগুলিতে আজও যথেষ্ট সংখ্যক পাঠকের যাতায়াত আছে। অযোধ্যা পাহাড়ের হিলটপে অবস্থিত এমনই একটি পাঠাগার সিধু-কানহু-বিরসা লাইব্রেরি। জেলার অন্যতম পুরানো পাঠাগারগুলির মধ্যে এটি একটি।

১০০ ডেসিমেল জমির উপর অবস্থিত এই পাঠাগার। পাঠাগারটির সমগ্র জমি ১০০ ডেসিমেল হলেও এটি তৈরি হয়েছে মাত্র পাঁচ থেকে সাত ডেসিমেল জমির উপর। সরকারি এই জমি এবার দখল করার অভিযোগ উঠল।‌ যা নিয়ে ক্ষোভ জন্মেছে এলাকার মানুষের মধ্যে। এই বিষয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাত বলেন, সরকার থেকে লাইব্রেরির জন্য জায়গা প্রদান করা হয়েছে। সেখানেই এই লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে। যেটুকু অংশে লাইব্রেরি রয়েছে সেই জায়গা বাদ দিয়ে বাকি জায়গা চক্রান্ত করে বিক্রি করার চেষ্টা চলছে। সরকারি জায়গা কীভাবে বিক্রি হয় সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।

আর‌ও পড়ুন: রেশম চাষে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে ক্ষতির ভয় আর নেই, সনাক্তকরণ কিট আবিষ্কার রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের

এই বিষয়ে ওই পাঠাগারের গ্রন্থাগারিক বলেন, এ বিষয়ে তিনি বিশেষ কিছু জানেন না। ‌তবুও যখন অভিযোগ উঠছে তখন এর তদন্ত করা হোক। তাহলে সমস্ত রহস্য পরিষ্কার হয়ে যাবে। স্থানীয়রাও চাইছেন দ্রুত বিষয়টি খতিয়ে দেখে এর নিষ্পত্তি করা হোক।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Book Village: মহারাষ্ট্র ও কেরলের পর পশ্চিমবঙ্গ, বাংলার প্রথম বইগ্রাম আলিপুরদুয়ারে

আলিপুরদুয়ার: মহারাষ্ট্রের ভিলার ও কেরলের পেরুকালেমের পর পশ্চিমবঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলার পানিঝোরায় তৈরি হল বইগ্রাম। বাংলায় এটাই প্রথম কোন‌ও বইগ্রাম। আপনকথা নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এটি সম্ভবপর হল।

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভেতর অবস্থিত একটি ছোট গ্রাম পানিঝোরা। এই গ্রামে বসবাস করে সাতটি আদিবাসী সম্প্রদায় ও অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের। এই এলাকার ছোট থেকে বড় সকল বয়সের ছেলে মেয়েদের বইয়ের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে বইগ্রামের চিন্তা ভাবনা আপনকথা সংস্থার। শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি আগামী দিনে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে এই গ্রামটি। আপনি এই গ্রামে ঢুকলেই বাড়ি বাড়ি পেয়ে যাবেন গ্রন্থাগার।

আর‌ও পড়ুন: ৮ মাসে ১৪৪ জন আক্রান্ত! এই জেলায় ডেঙ্গির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ম্যালেরিয়া

আলিপুরদুয়ার শহর ছাড়িয়ে রাজাভাতখাওয়ার পথে ১২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে পানিঝোরা গ্রামটি। আপনকথা নামে একটি সংগঠন এবং আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন এই গ্রামটিকেই বেছে নিয়েছে বইগ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। গ্রামে ঢোকার মুখেই চোখে পড়বে একটি তোরণ। বইকে থিম করে কাঠ দিয়ে গাছের আদলে তৈরি সেই তোরণ। সেখানে থাকছে বইয়ের রেপ্লিকা ও ছোট লাইব্রেরির রেপ্লিকা। কাঠের তৈরি তোরণ পেরিয়ে গ্রামে প্রবেশ করেই চোখে পড়বে বইগ্রামের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বানানো একটা ফলক। গ্রামের ভেতরে ১০টি বাড়ির সামনে তৈরি হচ্ছে ‘আলোকবর্তিকা’। এটি হল কাঠের তৈরি ছোট গ্রন্থাগার। সেগুলির প্রত্যেকটিতে গল্পের বই, বিজ্ঞানের বই, সামাজিক সচেতনতামূলক বই-সহ নানা স্বাদের বই থাকবে। ৫০ টি বই থাকবে এই ছোট গ্রন্থগারে।

আপনকথা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার পার্থ সাহা জানান, প্রত্যন্ত এই গ্রামে ছেলেমেয়েরা অনেক সংঘর্ষ করে পড়াশুনো চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি টালমাটাল হওয়ার কারণে কোভিডের পর পড়াশুনো ছেড়েছে। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় এখানকার মানুষের কথা সচরাচর সামনে উঠে আসে না। কিন্তু এই ছেলেমেয়েদের শিক্ষার প্রতি টানের কথা জানতে পেরেই আমাদের এই উদ্যোগ। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে ছোট গ্রন্থাগার তৈরির সংকল্প রয়েছে আমাদের।

প্রত্যন্ত পানিঝোরা গ্রামের জনসংখ্যা ৩২০ জন৷ ৭৩ টি বাড়ি রয়েছে৷ ছাত্রছাত্রী রয়েছে ১০০ জন। এই এলাকার ছাত্রছাত্রীরা বই কিনতে পারে না। বইগ্রাম-এর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার তৈরি হচ্ছে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানে চাকরিপ্রার্থীদের বইও থাকবে৷ ইচ্ছে করলেই গ্রামের মানুষজন সেখানে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারবে। পাশাপাশি পর্যটকরা এসেও এই বইগ্রামের গ্রন্থাগারে ইচ্ছেমত বই পড়তে পারবেন।

অনন্যা দে

School Library: অজ গ্রামের স্কুলে এলে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রামীণ এলাকায় ছোট্ট একটি একচালা প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ। বাইরে থেকে তেমন বোঝা না গেলেও বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে এক আলাদা অনুভূতি দেবে আপনাকে। বিদ্যালয়ের একটি কোণে একটি ছোট্ট আলমারি। লাইব্রেরি হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে একটি দিক। যেখানে রয়েছে নানান গল্পের বই এবং খেলার সামগ্রী। ছাত্রদের মধ্যে বই পড়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই লাইব্রেরি গড়ে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ তৈরি করতে একচালা এই বিদ্যালয়কে সাজানো হয়েছে নতুনভাবে। দেওয়াল জুড়ে শিক্ষাদানের নানা বিষয়বস্তুকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রামের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলছুট রুখতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন অভিনব ভাবনা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

স্কুলের পাঠ্য বইয়ে থাকা বিষয়গুলো কি কেবলই মুখস্তের জন্য? নম্বর তোলার ইঁদুর দৌড়ে কিছু বুঝে বা না বুঝে মুখ বুজে পড়ে যাওয়া বর্তমানে একটি ক্ষতিকারক সমাজিক ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেই চাপ এসে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি ভীতি কাটাতে এবং সকল ছেলেমেয়েদের কাছে একটি আনন্দের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে বিদ্যালয়কে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাজানো হয়েছে নতুনভাবে। দেওয়ালে নানান ছবি, সঙ্গে বর্ণপরিচয়কে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পড়ুয়াদের কাছে। রয়েছে ইংরেজি বর্ণমালা থেকে মাস কিংবা বিভিন্ন দিনের নাম।

আর‌ও পড়ুন: হিউয়েন সাং, মেগাস্থিনিস’র মত পরিব্রাজক হতে চান তারকেশ্বরের যুবক, সাইকেলে পাড়ি বাংলাদেশ

বিভিন্ন গল্প অবলম্বনে আঁকা হয়েছে নানান ছবিও। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের প্রান্তিক এক এলাকা রাধামোহনপুরে এমনই বিদ্যালয় নজর কেড়েছে জেলার মানুষের। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অন্যরকমভাবে শিক্ষাদানের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ডেবরা ব্লকের রাধামোহনপুর হাটপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। একচালা স্কুল হলেও শিক্ষকদের উদ্যোগে এক লহমায় বদলে গিয়েছে গোটা স্কুলের পরিবেশ। মজার ছলে শিশুরা শিখতে পারছে তাদের প্রাথমিক পাঠ।

যখন প্রান্তিক এলাকায় সরকারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করার প্রবণতা কমছে, তখনই এই স্কুলে এলে আপনিও মুহূর্তেই বদলে যাবেন। শিক্ষার যাঁতাকলে বাচ্চাদের ফেলে রাখা নয়, তাদের মধ্যে আনন্দের সঙ্গে পড়াশোনা এবং খেলাধুলোর মানসিকতা গড়ে তুলতে এমন উদ্যোগ সকলের প্রশংসা পেয়েছে। গতানুগতিক সরকারি স্কুলের সেই ছবির বাইরে শিক্ষকদের সদিচ্ছা এবং গ্রামের মানুষের সহায়তায় এমন যে স্কুলের রূপ দেওয়া সম্ভব তা প্রমাণ করেছে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার এই প্রাথমিক স্কুল।

রঞ্জন চন্দ

New Library: এইভাবে বই পড়ার পুরনো অভ্যাস ফিরতে চলেছে

পশ্চিম বর্ধমান: অনেক প্রবীণ ব্যক্তি রয়েছেন, যারা এখনও বই পড়তে ভালবাসেন। অনেকেই রয়েছেন, যারা স্মার্টফোনে সময় কাটানোর বদলে বইয়ের পাতা উল্টে সময় কাটানো পছন্দ করেন। কিন্তু সবসময় হাতের কাছে সেই সুযোগ থাকে না। থাকে না সব ধরনের বই। তাই বিশেষ উদ্যোগ জেলায়। যার হাত ধরে ফিরবে অবসর সময়ে বই পড়ার সেই পুরানো অভ্যাস।

আসানসোলের সালানপুরের নুনী গ্রাম পঞ্চায়েতে তৈরি হয়েছে কারু শিল্পী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যা মূলত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি বিশেষ লাইব্রেরিও। যেখানে একাধিক ধরনের বই রাখা হয়েছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য যেমন বই রাখা হয়েছে, তেমনই বই রাখা হয়েছে বড়দের জন্য। অবসর সময়ে যাতে মানুষজন এসে এখানে নিশ্চিন্তে বই পড়ে সময় কাটাতে পারেন, তার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: কাঠের পেঁচা ছেড়ে এই জিনিসে মন দিতেই হাল ফিরেছে নতুনগ্রামের শিল্পীদের

সদ্য এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং লাইব্রেরিটির উদ্বোধন করেছেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সহায়তা এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নির্দেশে এই বিশেষ লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয়েছে। নুনী গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে এই কারুশিল্পী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি। যার ফলে এলাকার মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। তাছাড়াও এখানে আগামী দিনে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে খবর।

জানা গিয়েছে, চার লক্ষ টাকার বেশি ব্যয় করে এই বিশেষ লাইব্রেরি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের বই রাখা হয়েছে। এখানে এসে অবসর সময় কাটানোর জন্য এলাকার মানুষকে আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অধীনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে বহু শিল্পী উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যার ফলে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি তৈরি হওয়ায় দারুন খুশি এলাকার মানুষ।

নয়ন ঘোষ

Free Government Jobs Coaching: বিনামূল্যে চাকরির পরীক্ষার কোচিং, সঙ্গে লাইব্রেরি!

হুগলি: চাঁপদানি পুরসভার উদ্যোগে চন্দননগর কমিশনারেটের সহযোগিতায় চালু হল প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি। কোচিং সেন্টারের নাম ‘স্টেয়ার টু সাকসেস’। মঙ্গলবার চাঁপদানি পুরভবন সংলগ্ন ভবনে কোচিং সেন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। উপস্থিত ছিলেন, ডিসি হেডকোয়ার্টার ঈশানি পাল, ডিসি চন্দননগর অলকানন্দা ভাওয়াল, চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুঁই, পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র প্রমুখ।

এই সেন্টারে আগামীদিনে ডব্লুবিসিএস, রেল, পিএসসি, পুলিশ, ব্যাঙ্ক ইত্যাদি সরকারি সংস্থায় চাকরির কোচিং দেবেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। শুধু কোচিং নয়, সঙ্গে পড়ুয়ারা পাবে বই সহ শিক্ষা সামগ্রী। পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের জন্য একটি গ্রন্থাগার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পুলিশের তরফে কোচিং সংক্রান্ত যাবতীয় বই দেওয়া হয়েছে। এই কোচিং হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। বুধবার থেকে পড়ুয়াদের ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। পরবর্তী কয়েক দিনের মধ্যেই ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে কোচিং চালু করে দেওয়া হবে।

আর‌ও পড়ুন: ধানের জেলায় বিকল্প হিসেবে পেয়ারা চাষের কদর বাড়ছে

পড়ুয়াদের উদ্দেশে পুলিশ কমিশনার বলেন, লক্ষ্য বড় করতে হবে। আইএস, আইপিএস, ডব্লুবিসিএস-এর স্বপ্ন দেখতে হবে। অধ্যয়ন করলে সেটা পূরণ হবে। গরিব বলে পড়াশোনা হবে না, উচ্চশিক্ষা হবে না এসব ধারণা ভুল। সরকারি চাকরির ট্রেনিং কেন? একমাত্র সরকারি চাকরির মাধ্যমে মানুষের উপকার করার অনেক সুযোগ থাকে। তাছাড়া সরকারি চাকরি মানুষকে একটা উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। বেতনও যথেষ্টই ভাল। পড়াশোনা করে ভালমানুষ হতে হবে। সব ধরনের বই দেওয়া হয়েছে। পড়াশোনা করতে হবে। এই কোচিং সেন্টারে পড়াবেন আইপিএস, ডব্লুবিসিএস, ইউপিএসসি পাশ করা পুলিশকর্মীরা। গরমে ক্লাস করতে অসুবিধে হবে তাই একটি এসি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন পুলিশ কমিশনার।

রাহী হালদার