পশ্চিম মেদিনীপুর: বইয়ে মুক্তি, বই আনে চেতনা। ছোট থেকেই বইয়ের প্রতি ভালোবাসা তার। নেশা পড়াশোনা। শিক্ষা জীবন হোক কিংবা শিক্ষক জীবন বই ছিল তার নিত্য সঙ্গী। চাকরি করেছেন শিক্ষা বিভাগে। তবে অবসরের পরও তার বাড়ি জুড়ে নিজের পোশাক-আশাকের পরিবর্তে গোটা একটা রুম সাজিয়ে তুলেছেন বিভিন্ন ধরনের পুরানো বইতে। অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি কর্মীর নেশা আপনাকে অবাক করবে। বাড়ির দেওয়াল আলমারি জুড়ে শুধু পুরানো বই। গল্প, ইতিহাস, প্রবন্ধ, উপন্যাস সহ একাধিক বইয়ের সমাহার রয়েছে তার কাছে। হিসেব মতপ্রায় হাজারেরও বেশি বই তার সংগ্রহে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী মধুপ দে। বিদ্যালয়ের জীবন থেকে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল বেশ। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয় জীবনে বিভিন্ন লোক সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করেছেন তিনি। জন্মসূত্রে তিনি ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দা হলেও তিনি বর্তমানে থাকেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে। থাকার বাড়িতেই তিনি সাজিয়ে তুলেছেন বিভিন্ন পুরানো বইয়ে। তার সংগ্রহে রয়েছে একাধিক পুরানো বই। রয়েছে উপন্যাস থেকে গল্পের বইও।
প্রসঙ্গত সাহিত্যের প্রতি ভালবাসা তার। কর্মজীবন কিংবা অবসর জীবনে তিনি লিখেছেন নানা বই। তবে বই লিখতে গেলে পড়তে হয় একাধিক বই। আর অন্যদিকে পড়াশোনায় আগ্রহ থাকায় নিজের বাড়ির দেওয়াল আলমারি জুড়ে রেখেছেন প্রায় হাজারেরও বেশি বই। স্বাভাবিকভাবে বাড়ির একটি রুমকে সাজিয়ে তুলেছেন আস্ত একটা লাইব্রেরী হিসেবে। যেভাবে লাইব্রেরী প্রতিটি তাকে সাজানো থাকে একাধিক বই, সেভাবে তিনি সাজিয়ে তুলেছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা আসেন, এসে তার সংগ্রহে রাখা বই নিয়ে পড়াশোনা করেন।
আরও পড়ুনঃ ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেটারদের স্যালারি পার্থক্য জানেন? রোহিত-বিরাটদের ধারে কাছে নেই বাবর-শাহিনরা
স্বাভাবিকভাবে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবিভাগের এই কর্মীর নেশা অবাক করবে সকলকে। তবে এই বয়সে তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ এবং বই সংগ্রহের নেশা ভাবিয়ে তুলবে বর্তমান যুব প্রজন্মকে।
রঞ্জন চন্দ