মুর্শিদাবাদ: বর্তমানে মোবাইলের ইন্টারনেট খরচ বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় অনেকটাই। বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট যার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে।
আমরা ইন্টারনেট ছাড়া যেন এক পা চলতে পারি না। তাই এবার শহর বহরমপুরের হরিদাসবাটি এলাকায় এক নবনির্মিত চায়ের দোকানে আপনি চা খেতে গেলেই মিলবে ফ্রি ওয়াইফাই পরিষেবা। সঙ্গে রয়েছে মনোরম পরিবেশ। তাই যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই চায়ের দোকানে। যা সম্প্রতি হইচই ফেলে দিয়েছে শহর বহরমপুরে।
আরও পড়ুন: হাতে সময় ঠিক ৩ ঘণ্টা, বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা! বড় খবর
হোটেল, রেঁস্তরা, শপিংমল, রেলস্টেশন-সহ বহু সরকারি ও বেসরকারি অফিসে ফ্রি-ওয়াইফাই জোনের কথা শোনা যায়। কিন্তু চায়ের দোকানে ওয়াইফাই। তাও আবার মফস্বলের অনামি কোনও চায়ের দোকানে ? হ্যাঁ, এরকম দোকানে চা খেতে চাইলে আপনাকে আসতে হবে বহরমপুর থানার হরিদাসবাটি এলাকায় ৷ এখানেই অখ্যাত এক তরুণ চা ব্যবসায়ী নিজের চা দোকানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন । আর ফ্রি ওয়াইফাই মেলায় রাত পর্যন্ত দোকানে উপচে পড়ছে যুবক-যুবতীদের ভিড়।
আরও পড়ুন: একজন IAS এবং IPS অফিসারের মধ্যে মূল পার্থক্য কীসের? কে বেশি শক্তিশালী? উত্তর চমকে দেবে
চা ব্যবসায়ীর দাবি, এখন নেট দুনিয়ার রমরমা। তাই ওয়াইফাই ফ্রি দেওয়ায় ভিড় যেমন বাড়ছে, তেমন বাড়ছে খরিদ্দারও। ওরাও খুশি। আমিও খুশি।আগে চায়ের দোকানে টিভি থাকলেও এখন মোবাইলের বাড়বাড়ন্তে টিভি আর সেরকম খরিদ্দার টানতে পারছে না। তাই চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়ার সময়ও অ্যানড্রয়েড ফোনে আঙুল থাকে প্রত্যেকের ।সকাল থেকে দুপুর এবং বিকেল থেকে রাত ৷ খরিদ্দারের হাতে চা ধরাতে গিয়ে এখন নিঃশ্বাস ফেলার ফুরসত নেই সাবার। বর্তমান প্রজন্মের তরুণ খরিদ্দাররা বলছেন, ‘চা ভাল করে। অন্যদিকে ফ্রি ওয়াইফাই মেলায় আমাদেরও অনেক সাশ্রয় হয়’ ৷
কৌশিক অধিকারী