Tag Archives: Local sports

Local Sports: জুডোয় সোনা জিতল পূর্ব বর্ধমানের সাত্ত্বিক

পূর্ব বর্ধমান: পঞ্চাশতম ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট জুডো চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতল স্কুল পড়ুয়া সাত্ত্বিক দে। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের বাসিন্দা সে। ছোটো থেকেই বাবার কাছে ক্যারেট অনুশীলন করে। এর আগেও একাধিক প্রতিযোগিতা থেকে সাফল্য এসেছে। এবার কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট জুডো চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছে।

আর‌ও পড়ুন: অন্তরালে শিল্পী! ৮৭ বছরেও লিখে চলেছেন একের পর এক নাটক

মার্চের ১৯ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্টিত হয়। যেখানে ৫৫ কেজি বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে কাটোয়ার সাত্ত্বিক। সেখানে মোট ১৯ টি জেলা অংশগ্রহণ করে। যার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি সহ একাধিক জেলার প্রতিযোগীরা অংশ নিয়েছিল। উক্ত প্রতিযোগিতায় মোট প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল ১১৮০ জন। যাদের মধ্যে ৫৫ কেজি ইভেন্টে সোনা পায় কাটোয়ার সাত্ত্বিক দে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

আট-নয় বছর ধরে ক্যারাটে শিখছে সাত্ত্বিক। আন্তর্জাতিক স্তরে জোড়া স্বর্ণপদক জয়ী সাত্বিক জানিয়েছে সর্বপ্রথম বাবার হাত ধরেই সে এই ক্যারাটে প্রশিক্ষণ শুরু করে। সাত্ত্বিকের বাবা নিজেও একজন ক্যারাটে প্রশিক্ষক এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। ছেলের এই সাফল্যের আনন্দে আত্মহারা সাত্ত্বিকের বাবা তরকচন্দ্র দে জানিয়েছেন, আমি চাইব আমি যেমন আমার ছেলেকে শিখিয়েছি, সেও যেন বড় হয়ে অন্যদের ভাল করে এই প্রশিক্ষণ দিতে পারে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Local Sports: সিভিক ভলেন্টিয়ারের দারুণ কীর্তি! হাত ধরে ১০ পদক এল বাংলায়

মালদহ: সিভিক ভলেন্টিয়ারের দুর্দান্ত কীর্তি। তাইকোন্ড প্রশিক্ষণ দিয়ে রাজ্যকে এনে দিলেন বিরাট সাফল্য। তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে জাতীয় তাইকোন্ড প্রতিযোগিতায় পদক জিতল মালদহের ১০ খুদে খেলোয়াড়। তাদের মধ্যে ছয় জন সোনা, তিনজন রুপো ও একজন ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে।

আরও পড়ুন: ভেটকি-ইলিশকে দামে টেক্কা দিচ্ছে কই! বাড়ির চৌবাচ্চায় চাষ করে মালামাল হয়ে যান

পদক প্রাপকদের মধ্যে কেউ পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া আবার কেউ দশম শ্রেণিতে পড়ে। তাদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার অমিত কুমার ঘোষ। ইংরেজবাজার থানায় কর্তব্যরত তিনি। কাজের ফাঁকে নিয়মিত সকালে এলাকার খুদেদের প্রশিক্ষণ দেন। কোচ অমিত কুমার ঘোষ বলেন, ডিউটির ফাঁকে যেটুকু সময় পাই এলাকার খুদেদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দিয়ে তাইকোন্ড শেখাই। জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় আমার ক্যাম্প থেকে ১০ জন অংশগ্রহণ করেছিল। প্রত্যেকেই সাফল্য পেয়েছে, পদক জিতেছে। আগামীতে আরও ভাল ফলাফল কামনা করছি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

গত ১৬ ও ১৭ মার্চ দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় স্তরের তাইকোন্ড প্রতিযোগিতা। ওপেন ন্যাশনাল তাইকোন্ড চ্যাম্পিয়নশিপে মালদহের মাধবনগর তাইকোন্ড ইনস্টিটিউটের খেলোয়াড়েরা অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিযোগিরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মালদহের খেলোয়াড়েরা অংশগ্রহণ করে মোট ১০ টি পদক জিতেছে। তাদের মধ্যে সোনা জিতেছে সুইটি সাহা, সোনাশ্রী মণ্ডল, অদৈত পাল, ঋদ্ধিমা দাস, সোনাক্ষি মণ্ডল ও ঋত্বিকা মণ্ডল। রুপো পেয়েছেন রনি দাস, চিন্ময়ী পাল ও রীমিতা পাল। ব্রোঞ্জ জিতেছে সৃষ্টি মহন্ত। সিভিক ভলেন্টিয়ার কোচের এই সাফল্য বেশ সাড়া ফেলেছে জেলায়।

হরষিত সিংহ

Local Sports: দেউলা স্টেশনে গলায় মালা পরে হাঁটছে কারা! দেখতে ভিড় স্থানীয়দের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চারিদিকে চলছে ভোটপ্রচার। নেতারা গলায় মালা পড়ে বের হয়ে পড়ছেন প্রচারে। ঠিক এমন সময় দেউলা স্টেশনে গলায় মালা পড়ে হাঁটছে দুই যুবক। তা দেখে উৎসাহী জনগন ভিড় জমিয়েছিলেন সেখানে।

আরও পড়ুন: মানব জীবনের প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীরাই তৈরি করছে নতুন নতুন যন্ত্র

এরপর জানা যায় আসল ঘটনাটি। নেপালে আয়োজিত হওয়া ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপে ছাত্র ও শিক্ষক একসঙ্গে জয়ী হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। জাতীয় স্তরে ভাল ফলাফলের জন্য অনেক আশা নিয়ে অসাধ্য সাধন করে জেলা থেকে রাজ্য, রাজ্য থেকে দেশ, অবশেষে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিল তাঁরা। গৌতম বুদ্ধ আন্তর্জাতিক ওপেন ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এস.এম ওয়াসিম ইকবাল ও তাঁর ছাত্র তৌফিক ইসলাম সিপাই নেপালে গিয়েছিল।‌ সেখানে আফগানিস্তানকে হারান তাঁরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ঘোলা নোয়াপাড়ার বাসিন্দা এস.এম ওয়াসিম ইকবাল ও কারবালার বাসিন্দা তৌফিক ইসলাম সিপাই দুজনেই ক্যারাটে নিয়ে সর্বদা চর্চা করেন।
এদিকে নেপাল থেকে ফেরার পর লোকাল ট্রেনে দেউলা স্টেশনে নামতেই তাঁদের পুষ্পস্তবক ও মালা দিয়ে বরণ করে স্থানীয়রা। এই জয়ের পর আগামীদিনে অলিম্পিক সহ একাধিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য কঠোর অনুশীলন করতে চান বিজয়ীরা। এখন দেখার ভবিষ্যতে কী হয়‌।

নবাব মল্লিক

Local Sports: কারোর দাম ৯০ টাকা তো কেউ বিক্রি হলেন ১২০-তে! নিলামে এমনই দর উঠল খেলোয়ারদের

নদিয়া: আর কয়েকদিন পরেই শুরু হবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনায় ফুটতে শুরু করেছে ক্রিকেট প্রেমীরা। শুধু খেলাই নয়, আইপিএলের প্রধান আকর্ষণ হল অকশন অথবা বলা যেতে পারে নিলাম। সেই নিলামে এবারে ২৪ কোটি টাকায় বিক্রি হয়ে সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জোরে বলার মিচেল স্টার্ক। তাঁকে আবার কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফলে বাংলার ক্রীড়া প্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা স্বাভাবিকভাবেই একটু যেন বেশি। তবে এবার আইপিএল নিলামের ঘরমাগরম মজা পাওয়া যাবে শান্তিপুরে।

আরও পড়ুন: এই ধাবার আলু পরোটা খাওয়ার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে সবাই

খেলা তো অনেকই হয়, তবে খেলার আগে প্লেয়ারদের নিলাম এই প্রথম শান্তিপুরে। শান্তিপুর কলেজ ময়দানে এই প্রথম লং ক্যামবিস বলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজিত হয়েছে। চারটি ফ্রাঞ্চাইজির টুর্নামেন্ট এটি। খেলা হবে লিগ পদ্ধতিতে। প্রথম যেই দুই দল থাকবে লিগ সিস্টেমে তাদেরকে নিয়েই খেলা হবে ফাইনাল ম্যাচ। চারটি ফ্রাঞ্চাইজি টিম থাকবে। তারা খেলোয়াড়দের নিলামের মাধ্যমে টিমে নিতে পারবে। তবে এখানে কোটি কোটি টাকায় নয়, খেলোয়াড়দের কেউ বিক্রি হবেন ১২৫ টাকায়, আবার কেউ ৯০ টাকায়। এমনই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্লেয়ারদের। এরপর অকশন অথবা নিলামের মাধ্যমে সেই প্লেয়ারদের দাম হাঁকতে পারবে ফ্রাঞ্চাইজিরা। যে যত বেশি দাম হাঁকতে পারবেন সেই খেলোয়াড়কে নিতে পারবেন সেই ফ্রাঞ্চাইজি দল। স্বাভাবিকভাবেই আইপিএলের আগে পাড়ায় এই ছোট ক্যামবিস বলের টুর্নামেন্ট আয়োজনের ফলে রীতিমত সাড়া পড়ে গিয়েছে গোটা শান্তিপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা জুড়ে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

যদিও খেলার মধ্যে টাকা পয়সা ঢোকানো এবং খেলোয়াড়দের টাকা পয়সার মাধ্যমে নিলাম করাকে অনেকেই ভালোভাবে নিতে পারেননি। তবে এর প্রত্যুত্তরে টুর্নামেন্ট আয়োজকরা জানান, মূলত খেলোয়াড়দের মনোবল ও উৎসাহ বৃদ্ধি করতেই এই নিলামের আয়োজন করা হয়েছে। টাকাটি এখানে রূপক মাত্র। খুব সামান্য টাকাই ধার্য করা হয়েছে যাতে খেলায় প্রতিযোগিতার আমেজ বজায় থাকে।

মৈনাক দেবনাথ

Local Sports: রাজ্য ক্রীড়ায় বিরাট চমক, স্বর্ণপদক পঞ্চম শ্রেণির পৃত্যুষ-এর

পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যস্তরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বড় সাফল্য পেল পূর্ব বর্ধমান জেলার এক খুদে পড়ুয়া। বহরমপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল ৩৯ তম রাজ্য প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সেখানেই স্বর্ণপদক পেয়েছে পৃত্যুষ দে সরকার।পূর্বস্থলী-১ ব্লকের জাহাননগর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মাগনপুর জিএসএফপি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে।

আরও পড়ুন: এবার বসিরহাটেও রাম মন্দির! ঘরের কাছেই ঈশ্বর দর্শন

রাজ্যস্তরের রাজ্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় জিমন্যাস্টিক্সের গ- বিভাগে স্বর্ণপদক জিতেছে পৃত্যুষ। গত ৯ ও ১০ মার্চ বহরমপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিতা। সেখানে ২৩ টি জেলার প্রতিযোগীদের হারিয়ে সে এই সাফল্য লাভ করে। এই প্রসঙ্গে পৃত্যুষ-এর জিমন্যাস্টিকের শিক্ষক বলেন, ঠিক পথে চললে ও আর‌ও অনেক দূর যাবে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পৃত্যুষ প্রায় বছর তিনেক ধরে জিমন্যাস্টিক্স শিখছে। গত বছরে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিল। এবার আরও উন্নতি করে প্রথম হল। এই বছর পৃত্যুষ প্রচুর পরিশ্রম করেছে। অঞ্চল থেকে শুরু করে ব্লক, জেলা প্রত্যেক জায়গাতেই প্রথম স্থান অর্জন করে সে। পরবর্তীতে সুযোগ পায় রাজ্য স্তরে খেলার। সেখানে সবাইকে হারিয়ে হল সেরা। এই সাফল্যের জেরে বর্তমানে খুশির হাওয়া বইছে পৃত্যুষ-এর বিদ্যালয় সহ পরিবার জুড়ে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Local Sports: ৬০ বছরে দৌড়ে জোড়া সোনা জয়! থাইল্যান্ডে চমকে দিলেন বাংলার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক

পূর্ব বর্ধমান: আন্তর্জাতিক দৌড় প্রতিযোগিতায় জোড়া স্বর্ণপদক বৃদ্ধের! এই অবাক সাফল্যের কাণ্ডারী অজয় কুমার মণ্ডল একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক। তাঁর বয়স ৬০ পেরিয়েছে। তবে বয়স ৬০ পেরোলেও তাঁর ইচ্ছা শক্তি অদম্য। অজয়বাবুর পায়ে যেন জাদু আছে। এই বয়সেও তিনি যা দৌড়ন তা দেখলে অবাক হবেন অনেকেই। এখনও তিনি দৈনিক সকাল বিকাল মাঠে যান, জিম করেন।

আরও পড়ুন: মেয়ের জন্মদিনে নিজেকে শেষ করে দিল বাবা!

অজয়বাবু পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে থাকেন। সম্প্রতি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পাড়ি দিয়েছিলেন থাইল্যান্ডে। সেখানে আয়োজিত হয়েছিল ২৮ তম থাইল্যান্ড মাস্টার অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। ওই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল পৃথিবীর ১৭ টি দেশ। ১৭ টি দেশের মধ্যে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকার দেশও ছিল। প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৭০০ জনেরও বেশি। পূর্ব বর্ধমানের অজয় মণ্ডল সেখানে ৬০ থেকে ৬৫ বছর গ্রুপের মধ্যে ছিলেন। তিনি ৪০০ ও ৮০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান অর্জন করে দুটি স্বর্ণপদক পান।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই প্রসঙ্গে অজয় কুমার মণ্ডল জানান, পি কে খান্ডেলওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর আর্থিক সহযোগিতায় তিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এদিকে অজয়বাবুর এই সাফল্যের কথা ছড়িয়ে পড়তেই খুশির হাওয়া কাটোয়া শহরজুড়ে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Sports News: জুডোয় জাপানের প্রতিযোগীকে হারিয়ে চমক হুগলির জিৎ-এর

হুগলি: আন্তর্জাতিক জুডো চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের নাম উজ্জ্বল করল একদল তরুণ-তরুণী। তাদের মধ্যে সব থেকে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে হুগলির বৈদ্যবাটির কিশোর জিৎ দাস। বিশ্বের সাতটি দেশের তাবড় তাবড় প্রতিযোগীদের পিছনে ফেলে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে বাংলার জুডো দল।

আরও পড়ুন: সকালে ঘুম থেকে উঠেই গ্যাসের ট্যাবলেট খান? জানেনও না কী ভুল করছেন! আজই সাবধান হোন

গত ১০ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভুটানের থিম্পুতে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক জুডো চ্যাম্পিয়নশিপ। এই প্রতিযোগিতায় ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, জাপান, শ্রীলঙ্কা সহ মোট সাতটি দেশের প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করে। ভারতের হয়ে বাংলার জুডো দলটি প্রতিনিধিত্ব করে। সেই দলের হাত ধরে ভারত মোট দুটি সোনা এবং তিনটি রুপোর পদক জেতে। এই দলেরই অন্যতম সদস্য হুগলি জেলার বৈদ্যবাটির ছেলে জিৎ দাস। জিৎ দেশকে এনে দিয়েছে একটি স্বর্ণপদক এবং একটি রুপো। তার এই জোড়া পদক জয় চমকে দিয়েছে সবাইকে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই বিষয়ে ইন্ডিয়া জুডো টিমের ম্যানেজার তমাল ব্যানার্জি বলেন, ভারতের মধ্যে সেল্ফ ডিফেন্স গেম হিসাবে জুডো বিশ্ব স্তরে নাম অর্জন করেছে। ভারতের ক্রীড়াবিদদের কাছে এটি খুব গৌরবময় সময়। জুডোর জন্য বিখ্যাত জাপান দলকেও পরাস্ত করেছে ভারতীয় তরুণ তারকারা। আগামী দিনে এই সাফল্য আরও বেশি শক্তি প্রদান করবে এমনটাই আশাবাদী তিনি।

রাহী হালদার

Local Sports: ‘পান্তার লড়াই’, এমন খেলা খেলেছেন কখনও? মজা করতে করতে এইভাবে খেলুন

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিভিন্ন পুজো বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গ্রাম গঞ্জে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা হয়। অসংখ্য ধরনের খেলা আছে যেগুলোর নামই হয়ত অনেকে জানেন না। তবে ‘পান্তা খাওয়া’ প্রতিযোগিতার কথা শুনেছেন কখন?

আরও পড়ুন: এক সময় অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছে, সেই গাড়ি আজ ডাস্টবিন!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর থানা এলাকার খাটসাড়া গ্রামে এই পান্তা খাওয়া প্রতিযোগিতা হয় বলে জানা গিয়েছে। অনেকেই এর কথা কখনও শোনেননি। তবে এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

মূলত এই পান্তা খাওয়া প্রতিযোগিতায় যিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন তাঁর জন্য থাকে বিশেষ পুরস্কার। খেলার নিয়মাবলি হল- প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে তাঁদের নিজেদের বাড়ি থেকে এক থালা পান্তা ভাত নিয়ে আসতে হয়। তারপর আয়োজকদের কথা অনুযায়ী একে একে সবাইকে বসতে হবে পাশাপাশি। ‌ এই খেলা শুধুমাত্র গ্রামের মহিলাদেরই জন্য, পুরুষরা এই খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন না।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3

প্রত্যেক প্রতিযোগীকে ওই পান্তা ভাত সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়। খেলা শুরু হলে আয়োজকদের নির্ধারিত একটি সময়ের মধ্যে যে সবচেয়ে দ্রুত ওই পান্তা খাওয়া শেষ করতে পারবে তাকেই বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হবে। এইভাবেই নির্ধারিতভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী। এই খেলাতে অংশগ্রহণ করে খুশি গ্রামের মহিলারা। আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগামী দিনে এই ধরনের বেশ কিছু খেলা তাঁরা তুলে ধরবেন গ্রামের মানুষদের জন্য।

সুমন সাহা

Lost Game of Childhood: হারিয়ে ‌যাচ্ছে প্রাচীন এই খেলা, স্মৃতির সরণী বেয়ে বেঁচে থাকবে ছবিতেই

বর্তমানের আধুনিকতার যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার বেশ কিছু প্রাচীন খেলা। কারণ এখন ছোট থেকেই ছেলেমেয়েরা আসক্ত হয়ে পড়ছে মোবাইল ফোনের প্রতি। ৯০ এর দশক পর্যন্ত এই খেলার দেখা মিললেও বর্তমান সময়ে বাচ্চারা জানেই না এই প্রাচীন খেলা।
বর্তমানের আধুনিকতার যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার বেশ কিছু প্রাচীন খেলা। কারণ এখন ছোট থেকেই ছেলেমেয়েরা আসক্ত হয়ে পড়ছে মোবাইল ফোনের প্রতি। ৯০ এর দশক পর্যন্ত এই খেলার দেখা মিললেও বর্তমান সময়ে বাচ্চারা জানেই না এই প্রাচীন খেলা।
সবার প্রথমে যে খেলার কথা মনে পড়ে তার নাম চু- কিত কীত বা এক্কা দোক্কা, মূলত এটি মেয়েদের পছন্দের খেলা। এই খেলার খেলার উপকরণ বলতে মাটির ভাঙ্গা হাড়ি বা কলসির টুকরা দিয়ে তৈরি চাড়া বা ঘুটি। পর্যায়ক্রমে এক এক করে প্রতিটি ঘরে চাড়া ছুঁড়ে ফেলতে হয়। তারপর এক পায়ে লাফ দিয়ে দাগে পায়ের স্পর্শ এড়িয়ে ঐ চাড়া পায়ের আঙ্গুলের টোকার সাহায্যে ঐ ঘর থেকে বের করে বাইরে আনতে হয়।
সবার প্রথমে যে খেলার কথা মনে পড়ে তার নাম চু- কিত কীত বা এক্কা দোক্কা, মূলত এটি মেয়েদের পছন্দের খেলা। এই খেলার খেলার উপকরণ বলতে মাটির ভাঙ্গা হাড়ি বা কলসির টুকরা দিয়ে তৈরি চাড়া বা ঘুটি। পর্যায়ক্রমে এক এক করে প্রতিটি ঘরে চাড়া ছুঁড়ে ফেলতে হয়। তারপর এক পায়ে লাফ দিয়ে দাগে পায়ের স্পর্শ এড়িয়ে ঐ চাড়া পায়ের আঙ্গুলের টোকার সাহায্যে ঐ ঘর থেকে বের করে বাইরে আনতে হয়।
৯০ এর দশক পর্যন্ত গ্রামীণ কিশোর ছেলেদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খেলা মার্বেল বা গুলি খেলা। কোন কোন অঞ্চলে এই খেলাকে বিঘত খেলাও বলে। এই খেলার নিস্পত্তি হয় অন্যের মার্বেল খেলে জিতে নিজের করে নেওয়ার মাধ্যমে। এই খেলার প্রথম প্রচলন শুরু অবিভক্ত বাংলার চট্টগ্রামে। বর্তমান সময়ে এই গুলি খেলার প্রচলন কমেছে আগের থেকে অনেকটাই।
৯০ এর দশক পর্যন্ত গ্রামীণ কিশোর ছেলেদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় খেলা মার্বেল বা গুলি খেলা। কোন কোন অঞ্চলে এই খেলাকে বিঘত খেলাও বলে। এই খেলার নিস্পত্তি হয় অন্যের মার্বেল খেলে জিতে নিজের করে নেওয়ার মাধ্যমে। এই খেলার প্রথম প্রচলন শুরু অবিভক্ত বাংলার চট্টগ্রামে। বর্তমান সময়ে এই গুলি খেলার প্রচলন কমেছে আগের থেকে অনেকটাই।
ডাংগুলি উত্তর ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় গ্রামীণ খেলা। সাধারণত কিশোর বয়সী ছেলেরা এই খেলা খেলে। উত্তরভারতে এর নাম গোলি ডাণ্ডা। ক্রিকেট আসার পর এর জনপ্রিয়তা অনেকটাই ম্রীয়মান হয়ে এসেছে। অঞ্চলভেদে এই খেলাটি ড্যাংবাড়ি, গুটবাড়ি, ট্যামডাং, ভ্যাটাডান্ডা ইত্যাদি নামে পরিচিত।
ডাংগুলি উত্তর ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় গ্রামীণ খেলা। সাধারণত কিশোর বয়সী ছেলেরা এই খেলা খেলে। উত্তরভারতে এর নাম গোলি ডাণ্ডা। ক্রিকেট আসার পর এর জনপ্রিয়তা অনেকটাই ম্রীয়মান হয়ে এসেছে। অঞ্চলভেদে এই খেলাটি ড্যাংবাড়ি, গুটবাড়ি, ট্যামডাং, ভ্যাটাডান্ডা ইত্যাদি নামে পরিচিত।
পিট্টু বা সাতচাড়া, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন খেলা, যার উল্লেখ ভাগবত পুরাণে পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণ একটি হিন্দু ধর্মীয় পাঠ যা ৫০০০ বছর আগে রচিত বলে দাবি করা হয়। এতে উল্লেখ আছে যে ভগবান কৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে খেলাটি খেলেছিলেন। এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি সর্বশেষ ৫ সহস্রাব্দ ধরে খেলা হচ্ছে।
পিট্টু বা সাতচাড়া, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন খেলা, যার উল্লেখ ভাগবত পুরাণে পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণ একটি হিন্দু ধর্মীয় পাঠ যা ৫০০০ বছর আগে রচিত বলে দাবি করা হয়। এতে উল্লেখ আছে যে ভগবান কৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে খেলাটি খেলেছিলেন। এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি সর্বশেষ ৫ সহস্রাব্দ ধরে খেলা হচ্ছে।
প্রাচীন গ্রাম বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা গুলির মধ্যে একটি হলো লাট্টু খেলা বা লাঠিম খেলা। একটি গোলাকার লাট্টুকে দড়ি দিয়ে পাকিয়ে হাতের কায়দায় তাকে মাটির মধ্যে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যার লাটটু বেশিক্ষণ ধরে ঘুরবে সেই হবে খেলার বিজেতা। তবে বর্তমান সময় এই লাট্টু খেলা প্রায় হারিয়ে যেতেই বসে যায়।
প্রাচীন গ্রাম বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা গুলির মধ্যে একটি হলো লাট্টু খেলা বা লাঠিম খেলা। একটি গোলাকার লাট্টুকে দড়ি দিয়ে পাকিয়ে হাতের কায়দায় তাকে মাটির মধ্যে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যার লাটটু বেশিক্ষণ ধরে ঘুরবে সেই হবে খেলার বিজেতা। তবে বর্তমান সময় এই লাট্টু খেলা প্রায় হারিয়ে যেতেই বসে যায়।