Category Archives: কোচবিহার

Durga Puja 2024: বয়সের ভারে ক্লান্ত! তবুও বাঁচিয়ে রেখেছেন প্রাচীন প্রথা, পুজো এলেই তৈরি করেন শোলার কদম ফুল

কোচবিহার: বাঙালির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই চলতি বছরের দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলা জুড়ে। তবে দুর্গাপুজোর মধ্যে বেশ কিছু পুরনো রীতি ও প্রথা জড়িয়ে রয়েছে। প্রতিবছর দুর্গাপূজার আসলেই এই বিষয়গুলি মনে পড়ে সকলের।

এমনই একটি রীতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শোলার কদম ফুল। এই কদম ফুল শোলা দিয়েই তৈরি করা হয়। দুর্গা পুজোর বিজয়া দশমীর দিন দেবীর পায়ে অর্পণ করা হয় এই কদম ফুল। তারপর বাড়িতে রাখা হয় এই দেবীর পায়ের অর্পণ করা কদম ফুল।

আরও পড়ুন: বাড়বে ত্বকের জেল্লা, কমবে স্ট্রেস, একাধিক গুণের ভাণ্ডার অ‍্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা আমন্ড! কিন্তু কীভাবে খাচ্ছেন? একই ভুল আপনিও করছেন না তো?

কোচবিহারে এক প্রবীণ শোলা শিল্পী রাধাকান্ত বর্মন জানান, “দীর্ঘ প্রায় ৭০ থেকে ৭২ বছর যাবত এই কাজ করছেন তিনি। দীর্ঘ সময় আগে তাঁর এলাকার এক মালাকারের কাছ থেকে এই কাজ শিখেছিলেন তিনি। বর্তমান সময়ে এই কাজের সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে তাঁর। একটা সময় অনেক বেশিক্ষণ সময় ধরে এই কাজ করতে পারতেন। বর্তমান সময়ে খুব একটা বেশি সময় ধরে কাজ করতে পারেন না। তবুও দুর্গা পুজোর আসার আগে থেকেই এই কাজ করে থাকেন বাড়িতে বসে বসে। প্রতিবছর প্রায় হাজারটির মতন কদম ফুল তৈরি করেন তিনি।”

তিনি আরও জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর তৈরি এই কদম ফুল মানুষ দুর্গা পুজোর সময় কিনে নিয়ে যান এবং পুজোর পর বাড়িতে রাখেন। তাই অনেকটাই ভাল লাগে তাঁর। মূলত এই আবেগের কারণেই দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজ করতে খুব ভালবাসেন তিনি। তাই বয়স বাধা হয়ে দাঁড়ালেও এই কাজ থামাননি তিনি। আগামী দিনেও এই কাজ করবেন যদি সুস্থ থাকেন তিনি। বর্তমানে এই এক একটি কদম ফুল বিক্রি হয় ১০ টাকায়। তাই মুনাফা হয় সামান্য কিছুটা।”

আরও পড়ুন: বাড়িতে টিকটিকির ডিম দেখা কীসের সঙ্কেত? ফেলে দেওয়া উচিত শুভ নাকি অশুভ? জানালেন জ‍্যোতিষী

দীর্ঘ সময় পরেও বাঙালির মধ্যে এই কদম ফুল কেনার আগ্রহ কমেনি বিন্দুমাত্র। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রকমারি রঙের কদম ফুল বাজার দখল করেছে। আগামী দিনেও এই কদম ফুলের চাহিদা অক্ষুন্ন থাকবে এইটুকু প্রত্যাশা এই প্রবীণ শিল্পীদের।

Sarthak Pandit

Cooch Behar News: আচমকাই বন দফতরের বিশেষ অভিযান এক বাড়িতে! যা উদ্ধার হল, চমকে গেলেন এলাকার মানুষ

কোচবিহার: বন্যপ্রাণ নিয়ে সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। মাঝেমধ্যেই দেখতে পাওয়া যায় বন্যপ্রাণ অবৈধভাবে বাড়িতে রাখছেন বহু মানুষ। সঠিক সচেতনতার অভাব থাকার কারণেই বারবার শোনা যাচ্ছে এমন ঘটনার কথা।

এদিন কোচবিহার অমরতলা সংলগ্ন একটি বাড়িতে বন দফতরের অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু পাখি এবং দুটি বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপ। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া সকল বন্যপ্রাণকে চিকিৎসার জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আর ভুল নয়, সকালে খালি পেটে ঠান্ডা জল নাকি গরম জল, কোনটা খাওয়া উচিত? ওজন কমাতে এখনই জানুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, “পরিবেশ প্রেমী এক সংঘঠনের মাধ্যমে বন দফতরের কাছে খবর পৌঁছায়। কোচবিহারের অমরতলা সংলগ্ন একটি বাড়িতে অবৈধভাবে পোষা হচ্ছিল বেশ কিছু টিয়া পাখি, একটি ময়না পাখি এবং দুটি কচ্ছপ। খবর পেয়ে বন দফতরের একটি দল পৌঁছায় সেই বাড়িতে। তারপর সেই বাড়ি থেকে একে একে সমস্ত বন্য প্রাণকে উদ্ধার করা হয় এবং নিয়ে যাওয়া হয় বন দফতরের অফিসে।”

এই ঘটনায় পরিবেশ প্রেমী সংঘঠনের এক সদস্য অর্ধেন্দু বনিক জানান, “জেলায় বহু বাড়িতে এভাবে বন্যপ্রাণ পোষা হয়। তবে ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যাতে এই ধরনের কাজ মানুষের মধ্যে বন্ধ হয়।”

কোচবিহারের-সহ বন অধিকর্তা বিজন কুমার নাথ জানান, “গোপন সূত্রে মাধ্যমে খবর পেয়ে মাঝে মধ্যেই এই ধরনের অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে শুধুই অভিযান নয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতাও বৃদ্ধি করা হচ্ছে যাতে এই ধরনের কাজ বন্ধ হয়ে। সাফল্যও মিলেছে অনেকটাই।”

আরও পড়ুন: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ! ক্ষোভে ফেটে পড়ল জনতা, নামল র‍্যাফ, গ্রেফতার শিক্ষক

বিজন কুমার নাথ আরও জানান, “এদিনের এই বিশেষ অভিযানে পাওয়া গিয়েছে তিনটি রোজ রিং প্যারাকিট, দুটি রেড ব্রেস্টেড প্যারাকিট, দুটি আলেকজান্দ্রিয়ান প্যারাকিট এবং একটি হিল ময়না। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে দুটি ইন্ডিয়ান রুফ টারটেল। সমস্ত বন্যপ্রাণকে চিকিৎসকের নির্দেশে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তবে এভাবে বাড়ি থেকে বন্যপ্রাণ উদ্ধারের ঘটনায় ধীরে ধীরে সচেতনতা ছড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ বাড়িতে রাখা বন্যপ্রাণকে বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

Sarthak Pandit

Cooch Behar News: ভিন রাজ্যের সুস্বাদু বাদামের সম্ভার! কিনতে বিরাট ভিড়, কোথায় গেলে পাবেন

কোচবিহার: দুর্গাপুজোর আর মাত্র কিছুটা সময় বাকি। ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ভিন রাজ্যের বাদাম বিক্রেতাদের। প্রতি বছর দুর্গাপুজোর আগের এই সময়ে ভিন্ন রাজ্য থেকে কোচবিহারে আসেন এই বিক্রেতারা। নিজেদের ব্যবসার সম্ভার নিয়ে তাঁরা বসেন রাস্তার পাশেই প্লাস্টিকের ত্রিপল বিছিয়ে। তবে তাঁরা যে বাদাম বিক্রি করেন, এই বাদাম কিন্তু স্থানীয় বাদাম নয়। শুধু রাজস্থানের বাদাম তাঁরা বিক্রি করেন কোচবিহারে। এই বিশেষ বাদামের স্বাদ অনেকটাই বেশি। এছাড়া এই বাদাম দেখতেও অনেকটাই বড় হয়।

বাদাম বিক্রেতা ফাইজান আলী জানান,  উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রতিবছর জেলা কোচবিহারে আসেন তাঁরা। তিনি বিগত ছ’থেকে সাত বছর ধরে জেলা কোচবিহারে আসছেন। মূলত রাজস্থানের বাদাম নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে পুজোর আগেই আসেন তাঁরা। কোচবিহারের মানুষেরা বাদাম খেতে বেশ পছন্দ করেন। এছাড়া পুজোর আগে শহরে এলে বিক্রির পরিমাণ কিছুটা বাড়ে। তাই তো প্রতিবছর পুজোর আগেই শহরে এসে উপস্থিত হন তাঁরা। সারাদিনে বাদাম বিক্রি করে উপার্জন হয় এক হাজার থেকে দু’হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলে মুনাফার পরিমান হয় অনেকটাই বেশি। তাঁর মতো আরও বহু বিক্রেতারা আসেন কোচবিহারে।

দোকানের এক গ্রাহক সঞ্জয় বণিক জানান, এমনিতেই বাদাম খাওয়া অনেকটাই উপকারী। তাছাড়া এই বাদাম গুলির স্বাদও অনেকটা বেশি। বাইরে থেকে আসার ফলে এই বাদামগুলি খুবই কম দামে বিক্রি হচ্ছে জেলায়। তবে গুণগত মান রয়েছে বেশি এবং দাম রয়েছে সাধ্যের মধ্যেই। তাইতো এই বাদাম কিনে প্রতিদিন বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। তাঁর বাড়ির মানুষেরাও এই বাদাম খেতে দারুণ পছন্দ করেন। আরেক বাদাম বিক্রেতা রাজা বাবু জানান, প্রতি বছর কোচবিহার জেলায় এলে বিক্রি ভাল হয়। তাই তো অন্য জেলার চাইতে এই জেলায় আসতে বেশি ভাল লাগে তাঁদের।

তবে পুজোর আগে জেলায় বাদাম বিক্রেতারা ইতিমধ্যেই বহু মানুষের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ এই বিক্রেতাদের কাছে আসছেন বাদাম কিনতে। বাদামের স্বাদ এবং গুণগতমান দুই ভালো থাকায় বিক্রেতাদের এই রাজস্থানের বাদামের আকর্ষণ তৈরি হয়েছে কোচবিহারে।

সার্থক পণ্ডিত

Aloe Vera Health Benefit: ত্বকের সমস‍্যা, চুলপড়া, কোষ্ঠকাঠিন‍্য…‘হাজার রোগ’ সারাতে একাই একশো এই পাতা! সঠিক ব‍্যবহার না জানলেই বিপদ

ক্যাকটাস জাতীয় এই উদ্ভিদ প্রাচীনকালে ব্যবহার করা হতো ত্বকের যত্নে, চুল পড়ার সমস্যায় ও ক্ষত নিরাময়ের জন্য। নানা ঔষধি গুণের কারণে অ্যালোভেরাকে অমরত্ব লাভের উদ্ভিদ বলেন অনেকে।
ক্যাকটাস জাতীয় এই উদ্ভিদ প্রাচীনকালে ব্যবহার করা হত ত্বকের যত্নে, চুল পড়ার সমস্যায় ও ক্ষত নিরাময়ের জন্য। নানা ঔষধি গুণের কারণে অ্যালোভেরাকে ‘অমরত্ব লাভের উদ্ভিদ’ বলেন অনেকে।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অসীম শর্মা জানান, শাস্ত্রে দীর্ঘ সময় থেকেই এই উদ্ভিটের উপকারিতা জানানো রয়েছে। স্বাস্থ্যকর নিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহের জন্য এই গাছ দারুণ উপকারী বলেই প্রমাণিত।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অসীম শর্মা জানান, শাস্ত্রে দীর্ঘ সময় থেকেই এই উদ্ভিটের উপকারিতা জানান রয়েছে। স্বাস্থ্যকর নিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহের জন্য এই গাছ দারুণ উপকারী বলেই প্রমাণিত।
ওজন সহজে কমতে চাইছে না। দীর্ঘদিন ধরে একই ওজনে আটকে থাকলে অ্যালোভেরা জুস হতে পারে দারুণ কার্যকর। অ্যালোভেরায় থাকা ডিটক্সিফায়িং গুণাবলি পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে।
ওজন সহজে কমতে চাইছে না। দীর্ঘদিন ধরে একই ওজনে আটকে থাকলে অ্যালোভেরা জুস হতে পারে দারুণ কার্যকর। অ্যালোভেরায় থাকা ডিটক্সিফায়িং গুণাবলি পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে।
অ্যালোভেরায় আছে লাক্সেটিভ গুণাবলি সমৃদ্ধ উপাদান ‘আর্থারাকুইনন’। তবে অ্যালোভেরা সরাসরি খাওয়া উচিত নয়। এরসঙ্গে ইসবগুল, তোকমা ও চিয়া সিডসের মতো উপাদান মিশিয়ে খাওয়া উচিত।
অ্যালোভেরায় আছে লাক্সেটিভ গুণাবলি সমৃদ্ধ উপাদান ‘আর্থারাকুইনন’। তবে অ্যালোভেরা সরাসরি খাওয়া উচিত নয়। এর সঙ্গে ইসবগুল, তোকমা ও চিয়া সিডসের মতো উপাদান মিশিয়ে খাওয়া উচিত।
উজ্জ্বল ত্বক চাইলে অ্যালোভেরা হচ্ছে দারুণ উপাদান। রোজ সকালে অ্যালোভেরার জুস পান করলে ব্রণমুক্ত সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়। এছাড়াও বলিরেখা, মলিনতা ও কালো ছোপ দূর হয় খুব সহজেই।
উজ্জ্বল ত্বক চাইলে অ্যালোভেরা হচ্ছে দারুণ উপাদান। রোজ সকালে অ্যালোভেরার জুস পান করলে ব্রণমুক্ত সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়। এছাড়াও বলিরেখা, মলিনতা ও কালো ছোপ দূর হয় খুব সহজেই।
অ্যালোভেরা পরিপাক ক্রিয়াকে সহজ করে। অ্যাসিডিটি, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা সমাধান করে। পাকস্থলী ভাল রাখে এবং উপকারী মাইক্রোবায়োম বৃদ্ধি করে।
অ্যালোভেরা পরিপাক ক্রিয়াকে সহজ করে। অ্যাসিডিটি, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা সমাধান করে। পাকস্থলী ভাল রাখে এবং উপকারী মাইক্রোবায়োম বৃদ্ধি করে।
অ্যালোভেরা জুসে থাকে ভিটামিন C, B12 এবং E থাকে। তাই দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এতে ফলিক অ্যাসিড আছে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং ফ্রি রেডিক্যাল প্রতিরোধ করে।
অ্যালোভেরা জুসে থাকে ভিটামিন C, B12 এবং E থাকে। তাই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও এতে ফলিক অ্যাসিড আছে যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং ফ্রি র‍্যাডিক্যালস প্রতিরোধ করে।

সাইকেল নিয়ে যাচ্ছে ২ যুবক, পেছনে ধাওয়া মালিকের! তারপর যা হল…মারধরের অভি‌যোগ

কোচবিহার: প্রতিবছর পুজো আসতেই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে থাকে। আর এই বিষয়টি যেন শহরের মানুষের কাছে একেবারেই নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার আর শেষ রক্ষা হল না। প্রকাশ্য দিবালোকে এবার সাইকেল চোর সন্দেহে হাতেনাতে ধরা পরল দুই যুবক।

আর এই ঘটনায় মুহূর্তে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে যায় রাস্তায়। কোচবিহার শহরের নরসিংহ দিঘী সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: সাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ! কলকাতা-সহ ৮ জেলায় ধেয়ে আসছে ভারী বৃষ্টি, সঙ্গে প্রবল বজ্রপাত! আবার তবে কি…

স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, “বেশ কিছুদিন ধরে কোচবিহার শহরের নরসিংহ দিঘী সংলগ্ন এলাকা থেকে সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছিল। তবে এদিন কোচবিহার এক সাইকেল মালিক দুই যুবককে চোর সন্দেহে আটক করে। তারপর এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ভিড় জমে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত উত্তেজিত বেশ মানুষ গণপিটুনিও দেয় আটক করা দুই যুবককে। তারপর পুলিশ এলে আটক করে দুই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।”

এই ঘটনায় সাইকেল মালিক জানান, “এদিন তিনি কোচবিহার শহরের নরসিংহ দিঘী সংলগ্ন এলাকায় সাইকেল রেখে কিছু কাজ করতে যান। ফিরে আসতেই তার নজরে আসে দু’জন যুবক তাঁর সাইকেল নিয়ে ওখান থেকে যাচ্ছে। তখন তিনি পিছু নেন দুই যুবকের। এরপর তাঁদের মদনমোহন বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এসে ধরে ফেলেন। তারপর আবার তিনি দু’জনকে নিয়ে আসেন নরসিংহ দিঘি এলাকায়। এরপর তাদের দিঘির কিনারে বেধে রাখা হয়। পরে পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।”

আরও পড়ুন: দু সপ্তাহের মধ্যেই… হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই নিয়োগে তৎপর ! উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বড় খবর

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অভিযোগ আসছিল এই স্থান থেকে সাইকেল চুরির ঘটনার। তবে এদিন স্থানীয় মানুষেরা দুই যুবককে চোর সন্দেহে আটক করে। এবং পুলিশ এলাকায় পৌঁছলে দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।” তবে স্থানীয় মানুষেরা জানান এই ধরনের চুরির সঙ্গে আরও কিছু লোক যুক্ত রয়েছে। তাই স্থানীয় মানুষরা সবসময় নিজেদের গাড়ি বাইক নজরে রাখছেন।

Sarthak Pandit

Shola Artist: অন্নপ্রাশন, বিয়ে ও ঠাকুরের মুকুট! এই শিল্পীর শোলার কাজ করেই চলে সংসার

কোচবিহার: বেশকিছু শোলা শিল্পী কোচবিহার জেলার ভেটাগুড়ির এলাকা বসবাস করেন। তাঁরা বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের শোলার জিনিস তৈরি করে বিক্রি করেন। তবে বছরের এই বিশেষ সময়ে শোলার জিনিসের দাম ও চাহিদা বেড়ে ওঠে। তাইতো এই সময়ে শিল্পীদের কর্মব্যস্ততাও বেড়ে ওঠে অনেকটাই। ভেটাগুড়ির এক শোলা শিল্পী দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে এই কাজ করেই সংসার প্রতিপালন করে আসছেন। এছাড়া বছরের অন্যান্য সময়ও তাকে অর্ডার অনুযায়ী জিনিস বানিয়ে দিতে হয়। তবে এই সময়ে শোলার মুকুটের বেশ অনেকটাই চাহিদায় থাকে।

শিল্পী অশোক বর্মন জানান, দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর আগে তাঁর এই কাজের হাতেখড়ি হয় শচিন মালাকার নামে এক ব্যক্তির কাছে। তারপর থেকেই তিনি এই কাজ করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ সময় কেটে গিয়েছে। তবে এই পেশা দিয়েই তিনি সংসার সামলাচ্ছেন। বছরের অন্যান্য সময়ে উপার্জন কিছুটা কম হয়। তাই এই মরসুমে যতটা সম্ভব উপার্জন করে নিতে হয় তাঁকে। তবে তাঁদের তৈরি এই মুকুট দিয়ে বিয়ে থেকে শুরু করে ঠাকুর সাজানোর কাজে লাগে বলে আনন্দিত হন তিনি।”

আরও পড়ুন: নদীতে ভেসে যাওয়ার সময় উদ্ধার বীর আজ অনেক পরিণত, চলছে কুনকি করার প্রশিক্ষণ

তিনি আরও জানান, “একটা সময় ছিল যখন কোচবিহারে প্রচুর শোলা পাওয়া যেত। তবে এখন ভালো মানের শোলা বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়। তাইতো এখন শোলার দাম পড়ে যায় অনেকটাই বেশি। সেজন্য এখন শুধুই শোলা দিয়ে মুকুট বানাতে অনেক খরচ হয়। তাই আর্ট পেপার এবং জরি ব্যবহার করে থাকেন তাঁরা, মুকুটের খরচ কিছুটা কমাতে। চলতি বছরে পুজোর মুকুট থেকে শুরু করে অন্নপ্রাশন এবং প্রচুর বিয়ের মুকুটের অর্ডার এসেছে তাঁর কাছে। সেজন্য বেশ অনেকটাই কর্মব্যস্ততা রয়েছে তাঁর।”

নতুন প্রজন্ম এই কাজের প্রতি কম ঝুঁকছে। তবে জেলার এই শিল্পীরা আজও দীর্ঘ সময়ের পুরনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। যতদিন তিনি পারবেন ততদিন তিনি এইভাবেই শোলার জিনিস বানিয়ে যাবেন এমনটাই জানিয়েছেন এই শিল্পী।

সার্থক পন্ডিত

Forest Department: দিব্যি বাড়িতেই পুষছিলেন, রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়াই কাল হল! যা করল বন দফতর…

কোচবিহার: আজও বন্য প্রাণ নিয়ে সেভাবে সচেতন নয় সাধারণ মানুষ। তারই জলজ্যান্ত নমুনা দেখা গেল কোচবিহারে। জেলার মধুপুর কালপানি এলাকার বাসিন্দা ললিত বর্মন। এদিন তিনি বাইকের পেছনে একটি খাঁচায় এক বিশেষ প্রজাতির টিয়া পাখি নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই বিষয়টি নজরে আসে পরিবেশ প্রেমী সংস্থার এক সদস্যের। তাঁরা বিষয়টি বন দফতরের নজরে আনেন। এরপর বনকর্মীরা ললিত বর্মনের বাড়িতে এসে টিয়া পাখিটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ললিত বর্মনের বাড়ির সুপুরি গাছে বাসা বাঁধে এই বিশেষ প্রজাতির টিয়া পাখিটি। সে সেখানে ডিম পেড়ে বাচ্চার জন্ম দেয়। এরপরই ওই টিয়া পাখির বাসা থেকে একটি সদ্যোজাতকে নিয়ে খাঁচায় বন্দি করেন ললিত বর্মন। এরপর এদিন রাস্তা দিয়ে টিয়া পাখিটিকে নিয়ে যেতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ওই ব্যক্তি। তিনি যেটা করেছেন তা আইনবিরুদ্ধ কাজ।

আরও পড়ুন: মায়ের অলঙ্কার তৈরি করেও চলে না পেট, পুজোর আগে ব্যস্ততায় ভরে শুধু মন

পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য অর্ধেন্দু বণিক জানান, এই টিয়া পাখিটির নাম ‘চন্দনা টিয়া’। এই পাখিটির ইংরেজি নাম ‘রোজ রিং প্যারাকিট’। এই বিশেষ পাখিটি বন্যপ্রাণ আইনের দ্বিতীয় ভাগের আওতায় পড়ে। তাই অনেকটাই গুরুত্ব রয়েছে এই পাখিটির।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্যপ্রাণ বাড়িতে পোষার বিষয়টি নিয়ে জনৈক ব্যক্তি অবগত ছিলেন না। তাই একটি লিখিত আকারে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। তাঁকে উপযুক্ত জরিমানা করা হয়েছে। মানুষের উচিত বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ করা এবং অবৈধভাবে বন্যপ্রাণ বাড়িতে না পোষা। অবৈধভাবে বন্যপ্রাণ বাড়িতে পুষলে কঠোর শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।

সার্থক পণ্ডিত

Heritage Lake: মাত্র ২০ টাকায় ঘুরে আসুন, ১ দিনের দারুণ ট্যুর, মন ফুরেফুরে হবে, রইল প্ল্যান

জেলা কোচবিহারের সদর শহরের প্রায় প্রাণকেন্দ্রেই রয়েছে মদনমোহন বাড়ি। আর মদনমোহন বাড়ির উল্টো দিকেই রয়েছে রাজ আমলে খনন হওয়া বৈরাগী দিঘি। রাজ আমলে মদন বাড়ির পুজোর কাজ এবং মন্দিরের ভক্তদের জলের অভাব পূরণ করতে এই দিঘি খনন করা হয়েছিল। (Sarthak Pandit)
জেলা কোচবিহারের সদর শহরের প্রায় প্রাণকেন্দ্রেই রয়েছে মদনমোহন বাড়ি। আর মদনমোহন বাড়ির উল্টো দিকেই রয়েছে রাজ আমলে খনন হওয়া বৈরাগী দিঘি। রাজ আমলে মদন বাড়ির পুজোর কাজ এবং মন্দিরের ভক্তদের জলের অভাব পূরণ করতে এই দিঘি খনন করা হয়েছিল। (Sarthak Pandit)
তবে বর্তমানে এই দিঘির জল অনেকটাই পবিত্র মনে করে কোচবিহারের মানুষেরা। বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠানে এই দিঘির জল ব্যবহার করা হয় পবিত্র গঙ্গা জল হিসেবে। তবে একটা সময় এই দিঘির চারপাশে ঝোপ-জঙ্গল পূর্ণ হয়ে থাকত। তবে এখন আর সেগুলির দেখা যাবে না।
তবে বর্তমানে এই দিঘির জল অনেকটাই পবিত্র মনে করে কোচবিহারের মানুষেরা। বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠানে এই দিঘির জল ব্যবহার করা হয় পবিত্র গঙ্গা জল হিসেবে। তবে একটা সময় এই দিঘির চারপাশে ঝোপ-জঙ্গল পূর্ণ হয়ে থাকত। তবে এখন আর সেগুলির দেখা যাবে না।
কোচবিহারের এক পর্যটক শোভন হোড় জানান, "রাজ আমলের ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জেলার সর্বত্র। সেই ঐতিহ্য গুলির মধ্যে এই দিঘি অন্যতম। তবে বর্তমানে এই দিঘির চারপাশের সংস্কার কাজ হয়েছে। ফলে এলাকার সৌন্দর্য বেড়েছে অনেকটাই। আগে একটা সময় বৈরাগী দিঘির চারপাশ ঝোপ-জঙ্গল ভর্তি হয়ে থাকত। তবে এখন চারিপাশে সুন্দর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে সিকিউরিটি গার্ড। ফলে অসামাজিক কাজকর্ম কিংবা সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য কমেছে অনেকটাই। এছাড়া এখানে প্রবেশের মূল্য রাখা হয়েছে জন প্রতি মাত্র কুড়ি টাকা।"
কোচবিহারের এক পর্যটক শোভন হোড় জানান, “রাজ আমলের ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে জেলার সর্বত্র। সেই ঐতিহ্য গুলির মধ্যে এই দিঘি অন্যতম। তবে বর্তমানে এই দিঘির চারপাশের সংস্কার কাজ হয়েছে। ফলে এলাকার সৌন্দর্য বেড়েছে অনেকটাই। আগে একটা সময় বৈরাগী দিঘির চারপাশ ঝোপ-জঙ্গল ভর্তি হয়ে থাকত। তবে এখন চারিপাশে সুন্দর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে সিকিউরিটি গার্ড। ফলে অসামাজিক কাজকর্ম কিংবা সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য কমেছে অনেকটাই। এছাড়া এখানে প্রবেশের মূল্য রাখা হয়েছে জন প্রতি মাত্র কুড়ি টাকা।”
কোচবিহারের আরেক পর্যটক মাধব দাস জানান, "কোচবিহারের সদর শহরে কিংবা মদনমোহন বাড়িতে ঘুরতে আসলে এই জায়গাটি ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কোন মানুষের মন মুহূর্তে শান্ত করে দিতে পারে। দিঘির পাড়ে কিছুক্ষণ বসলেই মন জুড়িয়ে যাবে যেকোন মানুষের। এছাড়া তোলা সম্ভব সুন্দর সুন্দর সমস্ত ছবি।"
কোচবিহারের আরেক পর্যটক মাধব দাস জানান, “কোচবিহারের সদর শহরে কিংবা মদনমোহন বাড়িতে ঘুরতে আসলে এই জায়গাটি ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কোন মানুষের মন মুহূর্তে শান্ত করে দিতে পারে। দিঘির পাড়ে কিছুক্ষণ বসলেই মন জুড়িয়ে যাবে যেকোন মানুষের। এছাড়া তোলা সম্ভব সুন্দর সুন্দর সমস্ত ছবি।”
কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, "এই দিঘি ও দিঘির চারিপাশ সংস্কার করা হয়েছে জেলার পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে। এছাড়া এখানে রয়েছে সিকিউরিটির ব্যবস্থা। ফলে আগামী দিনে আরও পর্যটক আসবেন এখানে।"
কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল ধারা জানান, “এই দিঘি ও দিঘির চারিপাশ সংস্কার করা হয়েছে জেলার পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে। এছাড়া এখানে রয়েছে সিকিউরিটির ব্যবস্থা। ফলে আগামী দিনে আরও পর্যটক আসবেন এখানে।”
বর্তমান সময়ে ধীরে ধীরে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে নতুন এই পার্কের মধ্যে। দিঘির পাড়ে গাছের ছায়ার তলে বসে সময় কাটানোর মজাটাই যেন আলাদা। যে কোন পর্যটক চাইলেই এখানে এসে সেই প্রাকৃতিক আনন্দের মজা নিতে পারেন। এছাড়াও এখানে তোলা সম্ভব আকর্ষণীয় সমস্ত ছবি। তবে কুড়ি টাকা মূল্যে এই পার্কের প্রবেশ একেবারেই যথার্থ বলেই জানাচ্ছেন পার্কের পর্যটকেরা।
বর্তমান সময়ে ধীরে ধীরে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে নতুন এই পার্কের মধ্যে। দিঘির পাড়ে গাছের ছায়ার তলে বসে সময় কাটানোর মজাটাই যেন আলাদা। যে কোন পর্যটক চাইলেই এখানে এসে সেই প্রাকৃতিক আনন্দের মজা নিতে পারেন। এছাড়াও এখানে তোলা সম্ভব আকর্ষণীয় সমস্ত ছবি। তবে কুড়ি টাকা মূল্যে এই পার্কের প্রবেশ একেবারেই যথার্থ বলেই জানাচ্ছেন পার্কের পর্যটকেরা।

Cooch Behar News: বনধ ঘিরে উত্তপ্ত কোচবিহার, লাঠি নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে বিজেপি-তৃণমূল

কোচবিহার: বুধবার সকাল থেকেই বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের কারণে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় জেলার বিভিন্ন অংশে। দুপুর গড়াতেই বিজেপি-তৃণমূল তুমুল সংঘর্ষ বাধে কোচবিহারের জামালদহ এলাকায়। ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হয়। এদিন বিজেপির তরফে বনধের সমর্থনে জামালদহ বাজারে এলাকায় মিছিল চলছিল বিজেপির। তখনই পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফেও বনধের বিরুদ্ধে বাজারে মিছিল করা হয়। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে আচমকাই মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধে। ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

আরও পড়ুন: বিহারে চোর সন্দেহে যুবককে বেঁধে গোপনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

দলীয় ভাবে বিজেপি পক্ষ থেকে মেখলিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের কনভেনার পবন কুমার ভাদানির দাবি, এদিন বনধের সমর্থনে তাঁরা মিছিল করছিলেন জামালদহ বাজার এলাকায়, আচমকা তাঁদের ওপর আক্রমণ করা হয়। ঘটনায় তাঁদের একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। অপরদিকে, স্থানীয় তৃণমুল নেতা গোপাল চন্দ্র রায় জানান, তাঁরা বনধের বিরোধিতার কর্মসুচি পালন করছিলেন। তখনই তাঁদের ওপর আক্রমণ করা হয় আচমকাই।তাঁদেরও একজন গুরুতর আহত হন বলে দাবি।

আরও পড়ুন: ‘শুরু তুমি করেছো…’, আরজি কর আন্দোলনকে দিল্লি নিয়ে যাবেন! হুঙ্কার অভিষেকের

যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’পক্ষের মুখোমুখি সংঘাতের ঘটনায় বাঁশ দিয়ে আক্রমণ করে উভয় পক্ষ। আর তাতেই আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তবে দলীয় কিংবা ব্যক্তিগত ভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের না করার কারণে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। দু’পক্ষের এই মুখোমুখি সংঘাতের জেরে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

Durga Puja 2024: প্রতিমা নির্মাণ থেকে পুজো সবটাই করেন তিনি একা! বসুবাড়ির দুর্গাপুজোয় তিনিই ‘অল ইন ওয়ান’

কোচবিহার: ইতিমধ্যেই জেলা কোচবিহারের দুর্গা পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ দুর্গা মূর্তি তৈরির কাজও প্রায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। প্রায় ২৪ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে কোচবিহারের রাজ রাজেন্দ্র নারায়ণ রোড-এর বসু পরিবারের দুর্গাপুজো। একেবারেই বনেদি বাড়ির সাবেকি আদলে তৈরি বসু পরিবারের দুর্গা মূর্তি। আর এই মূর্তি নিজের হাতে তৈরি করেন বাড়ির ছেলে সিদ্ধার্থ। আগেও বসু বাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রচলন ছিল। তবে তখন ছোট মূর্তি কিনে এনে পুজো হত। ছোট থেকেই দুর্গাপুজো ও প্রতিমার প্রতি দারুণ ঝোঁক ছিল সিদ্ধার্থর। সেই ঝোঁকের বশেই বছর ২৪ আগে কাগজ ও তুলো দিয়ে প্রথম মূর্তি তৈরি করেন।

বসু বাড়িয়ে পুজোর সূচনা হওয়ার পর পেরিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ অনেকটা সময়। কিন্তু, প্রথম বছরের পর আর কাগজের মূর্তি তৈরি হয়নি। তখন থেকেই বসু বাড়িতে তৈরি হতে শুরু করে একচালা সাবেকি দুর্গা প্রতিমা। সিদ্ধার্থ বসু জানান, ”এমনিতেই তাঁকে বাইরে থাকতে হয় পড়াশোনার সূত্রে। তার ওপরে আবার পুজোর মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। খুবই ব্যস্ততা চলছে মূর্তি তৈরির। দিনের প্রায় বেশিরভাগ সময়ই মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাঁকে। প্রতিমা মূলত তিনি তৈরি করলেও। তাঁর বাবাও যথেষ্ট সাহায্য করেন তাঁকে এই বিষয়ে। প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি, তিনি নিজেই এই দুর্গাপুজো করে থাকেন। এই পুজোকে কেন্দ্র করে বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশী সবাই খুব আনন্দিত থাকেন।

আরও পড়ুন-     বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

সিদ্ধার্থের বাবা চিন্ময় বসু জানান, “সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন তাঁদের বাড়ির দুর্গাপুজোর জন্য। রথের মেলার সময়ে দুর্গা মূর্তির কাঠামোতে মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়। তখন থেকেই বাড়ির সবার মধ্যে ব্যস্ততা শুর হয়ে যায়। তারপর মাস দু’য়েক ধরে চলে প্রতিমা তৈরির কাজ। পুজোর চারদিন পর যখন প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। তখন সকলের মনেই দারুণ কষ্ট হয়।” তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়ম মেনেই পুজো হচ্ছে তাঁদের বাড়িতে। কোনওদিন চিন্তা করা হয়নি স্থায়ী মূর্তি নির্মাণের। বাড়ির দুর্গা প্রতিমা নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে বেশ অনেকটাই আনন্দিত হয় পরিবারের সকলে। আগামী দিনেও এই পুজো এভাবেই চলবে বলেই জানান বসু পরিবারের মানুষেরা।

Sarthak Pandit