Category Archives: কোচবিহার

Manasa Pala Gaan: প্রাচীন রীতিতে আজও মনসাপুজোয় কোচবিহারে মদনমোহনবাড়ি ভরে ওঠে মনসাদেবীর পালাগানে

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: জেলা কোচবিহারে রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী মদনমোহন বাড়িতে আয়োজন করা হয় মনসাপুজোর। এই মনসা পুজো উপলক্ষে দূর-দূরান্তের বহু ভক্তবৃন্দ ভিড় জমান মদন বাড়িতে। রাজ আমলে সমস্ত রীতি ও প্রথা মেনে এই পুজোর আয়োজন করা হয়। তবে শুধুমাত্র পুজোর রীতি নয়। পুজোর পাশাপাশি আয়োজন করা হয় মনসা পালাগানের।

উত্তরবঙ্গের গ্রামীণ লোকসংস্কৃতিতে এই পালাগান শুনতে পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে এই পালাগানের শিল্পীদের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। তবুও বেশ কিছু শিল্পী এই ঐতিহ্যবাহী পালাগান করতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে থাকেন। কোচবিহার মদনমোহন বাড়ির পুরোহিত শিবকুমার চক্রবর্তী জানান, ‘‘রাজ আমল থেকে হয়ে আসা এই পুজোর সময় তিনদিন ধরে চলে মনসা পালা বা বিষহরি পালাগান। এখনও সেই প্রথা অটুট। মনসামঙ্গল এবং পদ্মপুরাণের মতো কাব্যগ্রন্থ অবলম্বনে পালাগানের আয়োজন করা হয়। এই পালাগান আজও বহু মানুষের মন আকর্ষণ করে থাকে।’’

মনসা পালাগান শিল্পী পরিমল বর্মন জানান, ‘‘এই পালাগান দীর্ঘ সময়ের পুরনো। তিনিও প্রায় ১২ বছর ধরে এই পালাগানের সঙ্গে যুক্ত। বহু মানুষ এই পালাগান ছেড়ে অন্য কাজ করেন ঠিকই। তবে এই পালাগানের মধ্যে এক আলাদা তৃপ্তি রয়েছে। পালাগানের শিল্পীরা ছাড়া এই তৃপ্তি অন্যরা উপভোগ করতে পারবেন না।”

আরও পড়ুন :  চিঠি লেখাই নেশা, দেশবিদেশের বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে চিঠি লিখে উত্তর পেয়েছেন অসিতবরণ

আর এক পালাগান শিল্পী ময়না বর্মন জানান, ‘‘ মনসাপুজো উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় শোনা যায় মনসা বা বিষহরি পালা গান। যদিও গ্রামীণ লোকসংস্কৃতি থেকে এক প্রকার হারিয়ে যেতে বসেছে এই মনসা বা বিষহরি কিংবা সাইটোল গান। তবুও পুজোর তিনদিন প্রতিবছর মদনমোহন বাড়িতে কাঠামিয়া মন্দিরের সামনে মঞ্চ বেঁধে এই বিষহরি পালা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। মনসা মঙ্গল, পদ্মপুরাণ এইসব কাব্য থেকে কিছু কিছু অংশ বাছাই করে এই পালা তৈরি করা হয় থেকে।’’

দীর্ঘ সময়ের রীতি আজও অক্ষুণ্ণ রাখা হয় কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে। প্রতি বছর পালাগান শিল্পীদের দ্বারা এখানে পালা গানের আয়োজন করা হয়। আগামী দিনেও এই প্রথা একই রকম ভাবে বজায় থাকবে। এমনটাই জানিয়েছেন কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষ। যাতে শহরের বুক থেকে রাজ আমলের এই ঐতিহ্য বিলীন না হয়ে যায়।

Fruit Market: বাজারে তুমুল চাহিদা! হু হু করে বাড়ছে দাম, বিক্রেতাদের মুখে হাসি ক্রেতার পকেটে টান

কোচবিহার: ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বাঙালির মনসা পুজো। আর মনসা পুজো উপলক্ষ্যে বাজারে বেড়েছে বেশকিছু ফলের চাহিদা। তবে চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দাম। এই দামে ফল কিনতে গিয়ে চাপের মুখের পড়তে হচ্ছে বেশিরভাগ ক্রেতাদের। তবে বিশেষ বিশেষ পুজোয় কিছু ফল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ায়।

তাই সেই ফল গুলির দাম সেই সময়ের জন্য অনেকটাই বেড়ে ওঠে। এমনটাই হয়েছে এবারের মনসা পুজো উপলক্ষ্যে। বাজারে মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে কলা। যদিও কলার যোগান রয়েছে অনেকটাই। তবুও দাম কিন্তু কমছে না কলার।

আরও পড়ুন: এক কামড়েই মৃত‍্যু! ঘরের ভেতরেই ঘাপটি মেরে ওটা কী! যা ঘটল, আতঙ্কে শিউরে উঠছে গ্রামবাসী

কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ এলাকার এক ফল বিক্রেতা প্রদীপ রায় জানান, “তাই স্বাভাবিক ভাবেই পুজো উপলক্ষ্যে এই দুই উপকরণের দাম বেড়েছে কিছুটা। তবে আকাশ ছোঁয়া হয়নি। কিন্তু, দাম বাড়লে ক্রেতাদের পকেটে একটু চাপ পড়বে এটাই স্বাভাবিক। এদিন চারটে কলা বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছিল ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা দাম পর্যন্ত। তবে সারাবছর এর চাইতে কম দামেই বিক্রি হয় কলা। তবে কলার বিক্রি বেশি থাকায় বিক্রেতারা বেশি করে কলা মজুত করে রেখেছেন।”

বাজারের আরেক ফল বিক্রেতা ভরত সরকার জানান, মনসা পুজো উপলক্ষ্যে প্রচুর কলা মজুত করেছিলেন তিনি। সেই কলার বেশিরভাগটাই বিক্রি হয়ে গেছে। এই সামান্য কিছু কলা পড়ে রয়েছে। তাও বিক্রি হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: সিজিও কমপ্লেক্সে চিকিত্‍সক তরুণীর দুই বন্ধু! এলেন ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার, আরজি করে এখন কী পরিস্থিতি?

বাজারের ফলের দোকানে আসা এক ক্রেতা স্বরূপ কুন্ডু জানান, “এই দাম বৃদ্ধির বিষয়টি প্রতিবছর লক্ষ্য করা যায়। তবে এই আচমকাই দাম বেড়ে ওঠার কারণে অনেকটাই সমস্যা হয় সাধারণ মানুষের। ক্রেতাদের পকেটে চাপ পড়ে। তবুও পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় এই কলা কিনতে ভিড় রয়েছে বাজারে। অনেকেই আগে কেনেননি। এখন শেষ মুহূর্তে এসে তাঁরা বাজারে ভিড় করছেন।”

বাজারে বর্তমানে বেশ অনেকটাই চাহিদা রয়েছে এই বিশেষ ফলের। দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। তাইতো ফল বিক্রেতারা এই ফলকে নিয়ে রীতিমত খুশি। তাঁদের ভাল মুনাফা হওয়ার কারণে তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে। যদিও এই খুশি ক্রেতারা পাচ্ছেন না এটুকু একেবারেই স্পষ্ট।

Sarthak Pandit

Snake: এক কামড়েই মৃত‍্যু! ঘরের ভেতরেই ঘাপটি মেরে ওটা কী! যা ঘটল, আতঙ্কে শিউরে উঠছে গ্রামবাসী

কোচবিহার: কোচবিহারের ২ নং ব্লকের খাপাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘরঘড়িয়া প্রথম খণ্ড এলাকায় আচমকাই ঘটে গেলে এক মর্মান্তিক ঘটনা। গোখরো সাপের কামড়ে প্রাণ হারালেন ২৭ বছর বয়সী গৃহবধু। বর্তমানে ওই বাড়ি জুড়ে শুধুই কান্নার রোল

একদিকে মনসা পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে বাঙলি। আর অপরদিকে এই ঘটনা যেন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে গোটা গ্রামে। ওই আক্রান্ত গৃহবধূকে এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর মৃত্যুর ঘটে। ফলে তাঁকে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানিয়ে দেন।

আরও পড়ুন: খাঁ খাঁ করছে গোটা হাসপাতাল, মুখ ফেরালেন রোগীরাও! চেনা আরজি করকে এখন চেনাই দায়

স্থানীয় এক ব্যক্তি নারায়ণ চন্দ্র রায় জানান, এলাকার এক গ্রামবাসীর নাম নিতাই বর্মন। তাঁর স্ত্রী অনিতা মালো নিজের ছয় বছরের শিশুকে নিয়ে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন। তখনই আচমকা একটি ভারতীয় গোখরো সাপ তাঁকে পায়ে কামড় দেয়। তবে প্রথমে তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেন নি। তবে তারপর যখন আবার সাপটি কামরায়। তখন তিনি দেখেন তাঁর পায়ের থেকে রক্ত পড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে তিনি আশেপাশের মানুষদের ডাকার চেষ্টা করেন তবে তিনি ঘরের মেঝেতে পড়ে যান। তারপর এলাকার মানুষেরা তাঁকে উদ্ধার করে এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে পরবর্তী সময়ে সর্প উদ্ধারকারী ও বন দফতরের কর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন: হোটেলে থাকছেন? বিছানার নীচে জলের বোতল ফেলতে ভুলবেন না! ৯৯% শতাংশ লোকজনই জানেন না কারণ

সর্প উদ্ধারকারী অর্ধেন্দু বণিক জানান, তারা ওই বাড়িতে গিয়ে সাপটিকে ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার করেন। সাপটি ঘরের একটি কোনার খুঁটির পেছনে লুকিয়ে বসেছিল। বেশ কিছুটা সময়ের প্রচেষ্টায় সাপটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

বন দফতর সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, “উদ্ধার করা সাপটিকে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তারপর সেটিকে জনবসতি থেকে দূরে জলা এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় মৃতার পরিবারকে সরকারি সাহায্যের বিষয়ে যথা সম্ভব সাহায্য করা হবে। তবে গ্রামবাসীদের আতঙ্ক দূর করতে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: সিজিও কমপ্লেক্সে চিকিত্‍সক তরুণীর দুই বন্ধু! এলেন ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার, আরজি করে এখন কী পরিস্থিতি?

তবে জেলায় একের পর এক সাপের কামড়ের ঘটনা সামনে এসেই চলেছে। কয়েকদিন আগে একটি বাচ্চা ছেলেকে সাপ কামড়ায়। বর্তমানে সে এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ের ঘটনায়।

Sarthak Pandit

Money Making Tips: বিকল্প আয়ের সন্ধান! খুলছে মহিলাদের উপার্জনের নতুন দিশা, কী জানুন এক ক্লিকে

*জেলা কোচবিহারের সদর শহর সংলগ্ন রয়েছে বহু গ্রাম্য এলাকা। তাইতো এই এলাকা গুলিতে বেশিরভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। তবে এই গ্রাম্য এলাকার অধিকাংশ মহিলারাই সঠিক উপার্জনের দিশা না জানার কারণে উপার্জন করতে পারেন না। সংগৃহীত ছবি।
*জেলা কোচবিহারের সদর শহর সংলগ্ন রয়েছে বহু গ্রাম্য এলাকা। তাইতো এই এলাকা গুলিতে বেশিরভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর। তবে এই গ্রাম্য এলাকার অধিকাংশ মহিলারাই সঠিক উপার্জনের দিশা না জানার কারণে উপার্জন করতে পারেন না। সংগৃহীত ছবি।
*তবে এবার সেই সমস্যা কাটাতে গ্রাম্য এলাকার মহিলাদের উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে ভেষজ চাষে। ভেষজ গুণ সম্পন্ন রকমারি চাষ করার মাধ্যমে ভাল মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। কোচবিহারের নাটাবাড়ি এলাকার বেশকিছু মহিলারা জৈব সারের মাধ্যমে হলুদ চাষ করে উপার্জন করছেন। এই হলুদ তাঁরা বিক্রি করছেন বিভিন্ন জায়গায়। সংগৃহীত ছবি।
*তবে এবার সেই সমস্যা কাটাতে গ্রাম্য এলাকার মহিলাদের উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে ভেষজ চাষে। ভেষজ গুণ সম্পন্ন রকমারি চাষ করার মাধ্যমে ভাল মুনাফা অর্জন করা সম্ভব। কোচবিহারের নাটাবাড়ি এলাকার বেশকিছু মহিলারা জৈব সারের মাধ্যমে হলুদ চাষ করে উপার্জন করছেন। এই হলুদ তাঁরা বিক্রি করছেন বিভিন্ন জায়গায়। সংগৃহীত ছবি।
*নাটাবাড়ি এলাকার এক গৃহবধূ শান্তি দাস জানান, "পরিবারিক কাজকর্মের পাশাপশি এভাবে নতুন আয়ের দিশা পেয়েছেন তিনি। এজন্যই কাজ করছেন তিনি। বাড়িতেই এই কাজ করে ভাল আয় করা সম্ভব। হলুদ শুঁকিয়ে সেই হলুদের গুঁড়ো বানিয়ে প্যাকট তৈরি করে বিক্রি করছেন তাঁরা। হলুদ গুঁড়ো তৈরির জন্য তাঁরা সংঘের ঘরে হলুদ ভাঙার মেশিন বসিয়েছেন। তাঁদের তৈরি এই হলুদ গুঁড়ো মিড ডে মিলে যেমনি ব্যবহার করা হচ্ছে। তেমনি কোচবিহার জেলা সহ শিলিগুড়ি ও অসমের ধুবড়ির একটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে। নাটাবাড়ি এলাকার আয়ুষ বিভাগের চিকিৎসক বাসব কান্তি দিন্দার কাছে থেকে তিনি বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন। তাঁর সহায়তায় তিনি এই কাজ শুরু করে ভাল আয় করছেন বর্তমানে।" সংগৃহীত ছবি।
*নাটাবাড়ি এলাকার এক গৃহবধূ শান্তি দাস জানান, “পরিবারিক কাজকর্মের পাশাপশি এভাবে নতুন আয়ের দিশা পেয়েছেন তিনি। এজন্যই কাজ করছেন তিনি। বাড়িতেই এই কাজ করে ভাল আয় করা সম্ভব। হলুদ শুঁকিয়ে সেই হলুদের গুঁড়ো বানিয়ে প্যাকট তৈরি করে বিক্রি করছেন তাঁরা। হলুদ গুঁড়ো তৈরির জন্য তাঁরা সংঘের ঘরে হলুদ ভাঙার মেশিন বসিয়েছেন। তাঁদের তৈরি এই হলুদ গুঁড়ো মিড ডে মিলে যেমনি ব্যবহার করা হচ্ছে। তেমনি কোচবিহার জেলা সহ শিলিগুড়ি ও অসমের ধুবড়ির একটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে। নাটাবাড়ি এলাকার আয়ুষ বিভাগের চিকিৎসক বাসব কান্তি দিন্দার কাছে থেকে তিনি বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন। তাঁর সহায়তায় তিনি এই কাজ শুরু করে ভাল আয় করছেন বর্তমানে।” সংগৃহীত ছবি।
*গোটা বিষয় নিয়ে জেলার আয়ুষ বিভাগের চিকিৎসক বাসব কান্তি দিন্দা জানান, "হলুদের ব্যবহার পরম্পরা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভাস, লোকচিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এছাড়া হলুদের মধ্যে থাকা কারকুমিন নামক এক উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। সংগৃহীত ছবি।
*গোটা বিষয় নিয়ে জেলার আয়ুষ বিভাগের চিকিৎসক বাসব কান্তি দিন্দা জানান, “হলুদের ব্যবহার পরম্পরা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভাস, লোকচিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এছাড়া হলুদের মধ্যে থাকা কারকুমিন নামক এক উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। সংগৃহীত ছবি।
*হলুদের রয়েছে আরও প্রচুর উপকারিতা। ভেজাল হলুদ গুঁড়োর ব্যবহার রুখতে তিনি উদ্যোগী হন। ভেষজ সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জৈব সারে হলুদ চাষ করার পদ্ধতি তিনি শেখান। এছাড়াও হলুদ গুঁড়োর মেশিন বসিয়ে বিশুদ্ধ হলুদ গুঁড়ো বাজারীকরণের উদ্যোগ নেন তিনি ২০১৮ সাল থেকে।" সংগৃহীত ছবি।
*হলুদের রয়েছে আরও প্রচুর উপকারিতা। ভেজাল হলুদ গুঁড়োর ব্যবহার রুখতে তিনি উদ্যোগী হন। ভেষজ সুরক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জৈব সারে হলুদ চাষ করার পদ্ধতি তিনি শেখান। এছাড়াও হলুদ গুঁড়োর মেশিন বসিয়ে বিশুদ্ধ হলুদ গুঁড়ো বাজারীকরণের উদ্যোগ নেন তিনি ২০১৮ সাল থেকে।” সংগৃহীত ছবি।
*গ্রাম্য মহিলাদের এই প্রয়াস ইতিমধ্যেই জেলার আরও গ্রাম্য মহিলাদের প্রভাবিত করছে। জেলার আরও বহু মহিলারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চলেছেন। বাড়ির কাজ সামলে বিকল্প আয়ের সন্ধান করতে ধীরে ধীরে এই পথে এগিয়ে আসছেন মহিলারা। আগামী দিনে ভেষজ গুণ সম্পন্ন গাছ চাষ করে ভাল মুনাফা উপার্জনের পথ রয়েছে সুদূর প্রসারী। সংগৃহীত ছবি।
*গ্রাম্য মহিলাদের এই প্রয়াস ইতিমধ্যেই জেলার আরও গ্রাম্য মহিলাদের প্রভাবিত করছে। জেলার আরও বহু মহিলারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চলেছেন। বাড়ির কাজ সামলে বিকল্প আয়ের সন্ধান করতে ধীরে ধীরে এই পথে এগিয়ে আসছেন মহিলারা। আগামী দিনে ভেষজ গুণ সম্পন্ন গাছ চাষ করে ভাল মুনাফা উপার্জনের পথ রয়েছে সুদূর প্রসারী। সংগৃহীত ছবি।

Cooch Behar News: বৃষ্টি মাথায় করে রাস্তায় রাত্রি যাপন, দুর্গন্ধে ও মশার তাণ্ডবে নাজেহাল রোগীর আত্মীয়রা

কোচবিহার: কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে প্রতিদিন বহু গর্ভবতী ভর্তি হন  চিকিৎসার জন্য। তাঁদের আত্মীয় পরিজনদের হাসপাতাল চত্বরেই থাকতে হয়। যে-কোনও সময় ডাক পড়ে রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই রোগীর আত্মীয়দের ভোগান্তির শেষ নেই। থাকতে হচ্ছে রাস্তায়। নানা প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গী করে রাতের অন্ধকারে নানা কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে।

মাতৃমা বিভাগে ভর্তি থাকা এক রোগীর আত্মীয় রঞ্জিত রায় জানান, ” বিভাগের ভিতর রোগীর আত্মীয়রা যখন-তখন প্রবেশ করতে পারেন না। রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য যে-কোনও সময়ে ডাক দেওয়া হয় ভিতর থেকে। তাই বিভাগের সামনেই উপস্থিত থাকতে হয়। হাসপাতাল চত্বরে রোগীর আত্মীয়দের থাকার অনেক সমস্যা রয়েছে। হাসপাতালের নোংরা ফেলার জায়গা এই বিভাগের ঠিক সামনে। সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া বৃষ্টি এবং মশার উপদ্রব লেগেই রয়েছে।”

আরেক রোগীর আত্মীয়া অনিতা রায় জানান, “রাতের অন্ধকারে রাত কাটাতে হচ্ছে। বহু মহিলারা রয়েছেন, নেই পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা।”  আরেক রোগীর আত্মীয় নির্মল বর্মন জানান, “টানা ৯ দিন ধরে এই পরিস্থিতির মাঝেই রাত কাটাতে হচ্ছে। হাসপাতালের নোংরার দুর্গন্ধে শ্বাস নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।”

Sarthak Pandit

Calcium: দুধ তো আছেই, আর কী খেলে লৌহ কঠিন আপনার শিশুর হাড়? বয়স বাড়লেও ক্যালসিয়ামের অভাব হবে না, জানুন

*শিশুর ছ’মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর খাওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না তাঁর মা-বাবাকে। আসল চিন্তা শুরু হয় ৬ মাস বয়সের পর। এই বয়স থেকেই শিশুদের শরীর ও মস্তিষ্কের বৃদ্ধি হতে থাকে।
*শিশুর ছ’মাস বয়স পর্যন্ত শিশুর খাওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না তাঁর মা-বাবাকে। আসল চিন্তা শুরু হয় ৬ মাস বয়সের পর। এই বয়স থেকেই শিশুদের শরীর ও মস্তিষ্কের বৃদ্ধি হতে থাকে।
*এই সময়ে সুষম আহার অত্যন্ত জরুরি। দু'বছর পর থেকে ধীরে ধীরে স্কুলে যেতে শুরু করে শিশু। তখন খাবার নির্বাচনের ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয় প্রত্যেক অভিভাবকদের।
*এই সময়ে সুষম আহার অত্যন্ত জরুরি। দু’বছর পর থেকে ধীরে ধীরে স্কুলে যেতে শুরু করে শিশু। তখন খাবার নির্বাচনের ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয় প্রত্যেক অভিভাবকদের।
*অভিজ্ঞ শিশু চিকিৎসক এ কে রায় জানান, সকলেই চান সন্তান যেন স্বাস্থ্য, বুদ্ধিতে হয় সকলের সেরা। তাই এই সময়ে খাদ্যতালিকা এমন হতে হবে যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটায়।
*অভিজ্ঞ শিশু চিকিৎসক এ কে রায় জানান, সকলেই চান সন্তান যেন স্বাস্থ্য, বুদ্ধিতে হয় সকলের সেরা। তাই এই সময়ে খাদ্যতালিকা এমন হতে হবে যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটায়।
*বাড়ির খাবারই দিতে হবে শিশুকে। বাইরের প্যাকেটজাত খাবার বা পানীয় দেওয়া যাবে না। বেশি নুন বা মিষ্টি দেওয়া খাবার দেওয়া যাবে না। নাহলে ছোট থেকেই গ্যাস-অম্বল, বদহজমের সমস্যা দেখা দেবে।
*বাড়ির খাবারই দিতে হবে শিশুকে। বাইরের প্যাকেটজাত খাবার বা পানীয় দেওয়া যাবে না। বেশি নুন বা মিষ্টি দেওয়া খাবার দেওয়া যাবে না। নাহলে ছোট থেকেই গ্যাস-অম্বল, বদহজমের সমস্যা দেখা দেবে।
*প্রোটিনের জন্য শিশুকে ডাল খাওয়াতে হবে। তবে শুরুতেই অড়হর, ছোলা, মটর ওদের পক্ষে হজম করা কঠিন হবে। তাই প্রথমে মুগ বা মুসুর ডাল দিয়েই শুরু করতে হবে। পরবর্তী সময়ে সব দেওয়া যাবে।
*প্রোটিনের জন্য শিশুকে ডাল খাওয়াতে হবে। তবে শুরুতেই অড়হর, ছোলা, মটর ওদের পক্ষে হজম করা কঠিন হবে। তাই প্রথমে মুগ বা মুসুর ডাল দিয়েই শুরু করতে হবে। পরবর্তী সময়ে সব দেওয়া যাবে।
*শিশুকে ছোট মাছ বা জিওল মাছ খাওয়ালে বেশি ভাল হয়। এতে শিঙি, মাগুরের মতো জিওল মাছ খাওয়া বেশ উপকারী শিশুর পক্ষে। এগুলিতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল পরিমাণে পাবে শিশু।
*শিশুকে ছোট মাছ বা জিওল মাছ খাওয়ালে বেশি ভাল হয়। এতে শিঙি, মাগুরের মতো জিওল মাছ খাওয়া বেশ উপকারী শিশুর পক্ষে। এগুলিতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল পরিমাণে পাবে শিশু।
*একদিনেই তিনটি (মাছ, মাংস, ডিম) না দেওয়াই ভাল। ভাগে-ভাগে শুরু করতে হবে। তা হলে বোঝা যাবে, শিশুর কোনও খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে কিনা। মাংস দিলে প্রথমে সেদ্ধ চিকেন দিয়ে শুরু করুন।
*একদিনেই তিনটি (মাছ, মাংস, ডিম) না দেওয়াই ভাল। ভাগে-ভাগে শুরু করতে হবে। তা হলে বোঝা যাবে, শিশুর কোনও খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে কিনা। মাংস দিলে প্রথমে সেদ্ধ চিকেন দিয়ে শুরু করুন।
*দুধ, দই, ছানা, পনির থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাবে শিশু। তবে যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে। তবে সয়াবিন, টোফু, ডাল দিয়ে সেই অভাব মেটানো যাবে। এতে সেই পরিমাণ ক্যালসিয়ামে ঘাটতি পড়বে না।
*দুধ, দই, ছানা, পনির থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম পাবে শিশু। তবে যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে। তবে সয়াবিন, টোফু, ডাল দিয়ে সেই অভাব মেটানো যাবে। এতে সেই পরিমাণ ক্যালসিয়ামে ঘাটতি পড়বে না।
*কখনই শিশুকে জোর করে খাওয়ানো উচিত নয়। যদি তাঁর খিদে পায়, তবে সে আবার খেতে চাইবে। একবারে অনেকটা খাওয়ালে শিশুর শুরু থেকেই খাবারে অরুচি আসে। ফলে খাদ্যাভ্যাস বিঘ্নিত হয়।
*কখনই শিশুকে জোর করে খাওয়ানো উচিত নয়। যদি তাঁর খিদে পায়, তবে সে আবার খেতে চাইবে। একবারে অনেকটা খাওয়ালে শিশুর শুরু থেকেই খাবারে অরুচি আসে। ফলে খাদ্যাভ্যাস বিঘ্নিত হয়।

Diabetes: ওষুধ খেয়েও সুগার কমছে না? ভরসা রাখুন এই ঘরোয়া টোটকায়, ডায়াবেটিস কাবু হবেই

 ইদানীং ঘরে-ঘরে ডায়াবেটিসের সমস্যা। কম বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এই মারণ রোগে
ইদানীং ঘরে-ঘরে ডায়াবেটিসের সমস্যা। কম বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন এই মারণ রোগে।
 ডায়বেটিসে অনেকেই রোজ সুগারের ওষুধ খান। কিন্তু তারপরেও রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে থাকে।
ডায়বেটিসে অনেকেই রোজ সুগারের ওষুধ খান। কিন্তু তারপরেও রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে থাকে।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অসীম শর্মা জানান, ডায়বেটিসের সমস্যা থাকলে ওষুধ খাওয়ায় পাশাপশি বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। এতে উপকার মিলবে নিশ্চিত ভাবে।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অসীম শর্মা জানান, ডায়বেটিসের সমস্যা থাকলে ওষুধ খাওয়ায় পাশাপশি বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। এতে উপকার মিলবে নিশ্চিত ভাবে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে দারুন ভাবে কার্যকর নিমপাতা। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান যা ব্লাশ সুগারের মাত্রা কমায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে দারুন ভাবে কার্যকর নিমপাতা। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ডায়াবেটিক উপাদান যা ব্লাশ সুগারের মাত্রা কমায়।
সুগারের রোগীদের জন্য চিনির বদলে কার্যকরী উপাদান হতে পারে রান্না ঘরের এই মশলা। ডায়াবেটিসের রোগীরা দারচিনিগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন শরীরে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে।
সুগারের রোগীদের জন্য চিনির বদলে কার্যকরী উপাদান হতে পারে রান্না ঘরের এই মশলা। ডায়াবেটিসের রোগীরা দারচিনিগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন শরীরে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে।
রোজকার ডায়েটে অবশ্যই রাখতে পারেন হলুদ। এই ভেষজ উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কাঁচা হলুদ কিংবা হলুদের গুঁড়ো রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
রোজকার ডায়েটে অবশ্যই রাখতে পারেন হলুদ। এই ভেষজ উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি কাঁচা হলুদ কিংবা হলুদের গুঁড়ো রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
রোজ সকালে মেথি ভেজানো জল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মেথি ভেজানো জলে অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় যা রক্তের সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ।
রোজ সকালে মেথি ভেজানো জল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মেথি ভেজানো জলে অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায় যা রক্তের সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আমলকির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। এটি অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা সচল রেখে শরীরের মধ্যে ইনসুলিনের উৎপাদন সচল রাখে। ফলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আমলকির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। এটি অগ্ন্যাশয়ের কার্যকারিতা সচল রেখে শরীরের মধ্যে ইনসুলিনের উৎপাদন সচল রাখে। ফলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

North Bengal: আরজি কর থেকে শিক্ষা, মহকুমা হাসপাতালে নয়া পদক্ষেপ জেলা পুলিশের

দিনহাটা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল সব শ্রেণির মানুষ। এই ঘটনার থেকেই এবার শিক্ষা গ্রহণ করল কোচবিহার জেলা পুলিশ। কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমা। দীর্ঘ সময় ধরে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে কোনও পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা কিংবা স্থায়ী বা অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প ছিল না। ফলে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। দীর্ঘ সময় ধরে তাদের দাবি ছিল একটি স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প নির্মাণ করার।

এবার সেই দাবি মেনে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে শুরু হল পুলিশ ক্যাম্প। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে এই পুলিশ ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়। দিনহাটা হাসপাতালের কর্তব্যরত  চিকিৎসক অভিজিৎ সাহা জানান, ” এই পুলিশ ক্যাম্প শুরু হওয়ায় আমরাোধ করছি।” হাসপাতালের কর্মী গীতা ঘোষ জানান, ” দীর্ঘ সময় ধরে জেলার এই মহকুমা হাসপাতালে কোনও পুলিশ ক্যাম্প ছিল না। ফলে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলে থানা থেকে পুলিশ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত। এবার হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ থাকার ফলে এই ধরনের সমস্যা আর তৈরি হবে না আশা করা যাচ্ছে।”

হাসপাতালের সাফাই কর্মী পুজো হরিজন জানান, ” আমাদের হাসপাতাল চত্বর ঘুরে ঘুরে কাজ করতে হয়। আগে পুলিশ না থাকায় নিরাপদ ভাবে থাকা যেত না। এবার একটু মনোবল পাওয়া যাচ্ছে। এমনিতেই সীমান্ত লাগোয়া মহকুমা হওয়ার কারণে মাঝে মধ্যেই সমস্যা দেখা দেয় এই হাসপাতালে। তবে এবার আর সেই সমস্যা হবে না আশা করছি।” স্থানীয়  ব্যবসায়ী ভক্ত বসাক জানান,” পুলিশ ক্যাম্পের জন্য জেলা পুলিশের আধিকারিকদের ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আরও উন্নত করা হোক এই ক্যম্প। এটাই সকলের প্রত্যাশা।”

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “আপাতত দু’জন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও দু’জন হোমগার্ড এবং একজন পুলিশকর্মী সবসময় থাকবে এই ক্যাম্পে। তাঁরা সবসময় হাসপাতালে নজরদারি চালাতে থাকবেন।\” জেলা পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা।

Sarthak Pandit

Independence Day 2024: টুপি থেকে টি-শার্ট তেরঙাতে রঙিন বাজার, রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস

১৫ অগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। শহরের আনাচে-কানাচে প্রত্যেকটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই পতাকাগুলি।
১৫ অগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই জাতীয় পতাকা বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। শহরের আনাচে-কানাচে প্রত্যেকটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই পতাকাগুলি।
শুধুমাত্র পতাকাই নয়, পতাকার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে পতাকার রঙের বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিস। ছোট ছোট পতাকাও কিনছেন দোকানে ভিড় করে।
শুধুমাত্র পতাকাই নয়, পতাকার পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে পতাকার রঙের বিভিন্ন আকর্ষণীয় জিনিস। ছোট ছোট পতাকাও কিনছেন দোকানে ভিড় করে।
এবারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বেশ অনেকটা আগে থেকেই এই সমস্ত পতাকা ও বিভিন্ন রকমারি জিনিস বিক্রি শুরু হয়েছে। এই কারণেই প্রতিদিন কম0-বেশি ভিড় লেগেই থাকছে।
এবারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বেশ অনেকটা আগে থেকেই এই সমস্ত পতাকা ও বিভিন্ন রকমারি জিনিস বিক্রি শুরু হয়েছে। এই কারণেই প্রতিদিন কম0-বেশি ভিড় লেগেই থাকছে।
এবারে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বাজারে এসেছে তেরঙা স্টিকার, বাচ্চাদের চুরি ও কানের দুল। যা বিক্রি হচ্ছে জেলার বিভিন্ন দোকানগুলিতে। ক্রেতারাও কিনছেন ভিড় করে।
এবারে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বাজারে এসেছে তেরঙা স্টিকার, বাচ্চাদের চুরি ও কানের দুল। যা বিক্রি হচ্ছে জেলার বিভিন্ন দোকানগুলিতে। ক্রেতারাও কিনছেন ভিড় করে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে পতাকা উত্তোলন হবে। হবে বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেজন্য পতাকার রঙের সাজসজ্জার জিনিসও বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতা দিবসের দিন সকালে পতাকা উত্তোলন হবে। হবে বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেজন্য পতাকার রঙের সাজসজ্জার জিনিসও বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে।

Viral Sandwich: কখনও খেয়েছেন মালাই পনির স্যান্ডউইচ? জেনে নিন কীভাবে তৈরি হয় এই বিশেষ স্যান্ডউইচ

কোচবিহার: জেলা শহর কোচবিহারে বহু মানুষ ফাস্টফুডের দোকানে ভিড় জমাতে শুরু করেন। তবে জেলার বেশ কিছু ফাস্টফুড ইতিমধ্যেই সকলের নজর আকর্ষণ করেছে। তাই তো এই ফাস্টফুডগুলির নাম ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সকলের মাঝে। জেলায় বেশ কিছুটা সময় ধরে এক মহিলা দোকান খুলেছেন ফাস্টফুডের। তাঁর দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে এক বিশেষ ধরনের ফাস্ট ফুডের আইটেম। এই আইটেমটি বর্তমান সময়ে জেলার পাশাপাশি বাইরের মানুষদেরও বেশ পছন্দ হতে শুরু করেছে। সন্ধ্যা নামলে এই দোকানে ভিড় জমছে প্রচুর পরিমাণে।

আরও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে শহর ঘুরছেন পুরসভার চেয়ারম্যান, কারণ জানলে অবাক হবেন

দোকানের কর্নধার কোমল বানিয়া জানান, তিনি এই দোকান শুরু করেছেন প্রায় তিন মাস হয়ে গিয়েছে। দোকান শুরু করার পর এই বিশেষ স্যান্ডউইচ তিনি সকলের জন্য নিয়ে এসেছেন। স্যান্ডউইচ খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তবে তাঁর তৈরি করা এই স্যান্ডউইচ সাধারণ স্যান্ডউইচ নয়। মাত্র ৫০ টাকা মূল্যে তিনি এই স্যান্ডউইচের মধ্যে মালাই ও পনির দিয়ে এক বিশেষ জিনিস তৈরি করেন। যা সকলের পছন্দ হচ্ছে। তবে এই উপকরণ তিনি নিজেই তৈরি করে থাকেন। এতে বাড়িতেই তৈরি করা পনির, খাঁটি দুধের মালাই, পেঁয়াজ এবং বিশেষ কিছু মশলা তিনি ব্যবহার করেন।

তিনি আরও জানান, সন্ধ্যাবেলায় দোকান শুরুর পরে সামান্য সময়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ স্যান্ডউইচ বিক্রি হয়ে যায়। তাঁকে বেশ অনেকটা করে তৈরি করতে হয় এই স্যান্ডউইচ। বহু মানুষ সন্ধ্যা হলেই তাঁর দোকানে ভিড় জমান এই স্যান্ডউইচ খাওয়ার জন্য। দোকানের এক গ্রাহক শ্যামল ঘোষ জানান, এই দোকানের খাবারগুলি বেশ সুস্বাদু। তাই প্রতিদিন গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে এই দোকানের। এছাড়া এই দোকানের এই বিশেষ স্যান্ডউইচ সকলের পছন্দ হয়। কেউ এখানে দাঁড়িয়ে খান। আবার কেউ এই স্যান্ডউইচ বাড়িতে নিয়ে যান।

জেলায় এই বিশেষ স্যান্ডউইচের নাম ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। বহু মানুষ এই স্যান্ডউইচের খোঁজে আশেপাশের জেলা থেকেও আসছেন। তবে এই স্যান্ডউইচ কিন্তু একেবারে খাঁটি সমস্ত উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়। তাই এত কম দামে এই স্যান্ডউইচ সকলের মনজয় করে নিয়েছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে।

Sarthak Pandit