কোচবিহার: আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে চলছেই প্রতিনিয়ত। মেয়েদের সুরক্ষা ও অধিকার নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তবুও এখনও এই ধরনের বহু ঘটনা চাপা পড়ে রয়েছে। কিছু ঘটনা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে।
সেই ঘটনার দোষীরা শাস্তিও পাচ্ছে। তবুও যেন এই ধরনের বহু ঘটনা আজও হয়েই চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কোচবিহারের রাজারহাট এলাকায় এক স্কুলে বৃহস্পতিবার এমনই ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল চত্বরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: টেটের প্রশ্ন ভুল-উত্তরও ভুল! বিতর্ক এড়াতে এবার ‘বিশেষ ১২’-র ভাবনা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের
ঘটনার বিষয়ে এলাকার স্থানীয় দুই বাসিন্দা জাহাঙ্গীর খান ও মানু কর্মকার জানান, “এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তি অনুতোষ রায় ওরফে দানু। তাঁর বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। একটা সময় তিনি ভারতীয় সেনার সুবেদার পদেও নিযুক্ত ছিলেন। তবে বর্তমান সময়ে তিনি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন।’ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘তিনি দীর্ঘ সময় ধরে কুরুচিকর এসএমএস করেন এবং অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠান স্কুল পড়ুয়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের।’
আরও পড়ুন: নেমপ্লেট আছে, মানুষটাই আর নেই! খাঁখাঁ করছে সোদপুরের চেম্বার, হাওয়ায় শুধু ভাসছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’!
এই বিষয়টি স্কুল ছাত্রীরা বৃহস্পতিবার স্কুলের সহ-শিক্ষককে জানায়। মোট ৩১ জন পড়ুয়া ছাত্রী এই অভিযোগ করেন স্কুলের শিক্ষকদের কাছে। তারপরেই ধীরে ধীরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় মানুষ ও স্কুলের পড়ুয়ারা। স্কুলের সহ-শিক্ষক নিখিল বর্মন জানান, “বৃহস্পতিবার আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবাদে মিছিল হওয়ার কথা ছিল স্কুলে। সেই সময় ওই ব্যক্তির সম্পর্কে ছাত্রীরা অভিযোগ জানায়। প্রথমে একজন এই বিষয়ে অভিযোগ করে। পরবর্তী সময়ে মোট ৩১ জন ছাত্রী এই বিষয়ে তাঁদের কাছে অভিযোগ জানায়।’
এরপর স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি ডিআই অফিসে জানান এবং পুন্ডিবাড়ি থানায় খবর পাঠান। কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, “ঘটনার অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দ্রুত অভিযুক্ত অনুতোষ রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।” তবে এত প্রতিবাদের মাঝেও যেন মহিলাদের ও মেয়েদের সুরক্ষা নিয়ে কোথাও একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এই ঘটনাগুলো আদতে সম্পূর্ণ বন্ধ হবে কবে এই নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
Sarthak Pandit