Category Archives: কোচবিহার
Flower Price: ফুলের আঘাতে মুর্ছা যাওয়ার দশা! ঠাকুর ঘরের রোজের সজ্জায় টান
কোচবিহার: বর্ষার ঝেঁপে বৃষ্টির পরই ফুলের বাজারে আগুন। দাম এতটাই বেড়েছে যে ফুলের আঘাতে কার্যত মুর্ছা যাওয়ার অবস্থা! কারণ এই খামখেয়ালি আবহাওয়ায় প্রচুর ফুল পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই বিক্রেতারা ফুলের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। কারণ বাজারে চাহিদার থেকে যোগান অত্যন্ত কম।
এদিকে আবহাওয়া জনিত কারণে ফুলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ ক্রেতারা। বাজারের এক ফুল বিক্রেতা গোবিন্দ চন্দ জানান, রোদ-বৃষ্টির মিশ্র আবহাওয়ার কারণে বেশিরভাগ ফুল মজুত করে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও যেটুকু ফুল রাখা হচ্ছে তার বেশিরভাগ অংশ পচে যাচ্ছে আবহাওয়ার কারণে। তাইত দাম বাড়ছে সমস্ত ফুলের। আগে যে গাঁদা ফুলের মালা ২৫ থেকে ৩০ টাকা দামে বিক্রি হত এখন সেই মালা বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দামে। ফলে অনেক ক্রেতাই ফুল কিনতে এসেও হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মাছ ধরতে গিয়ে বাড়ি ফেরা হল না বৃদ্ধের, আছড়ে মারল হাতি!
বাজারের আরও দুই ফুল বিক্রেতা বাদল চন্দ্র দে ও সুব্রত রায় চৌধুরী জানান, আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি যদি চলতেই থাকে তবে বিশ্বকর্মা পুজোতেও ফুলের দাম চড়া থাকবে। বেশিরভাগ ফুল মজুত করে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ফুলের চাহিদা থাকলেও সেই অনুযায়ী যোগান থাকছে না ফুলের। তাই তো বাজারে এসে বেশিরভাগ ক্রেতারা নিজেদের পছন্দের ফুলগুলি কিনতে পারছেন না। এতে প্রচুর ক্রেতারা অসন্তুষ্টও হচ্ছেন।
রোদ-বৃষ্টির এই আবহাওয়া সমস্যা সৃষ্টি করছে ফুল চাষিদের চাষের ক্ষেত্রে। বহু গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই আবহাওয়ার কারণে। এছাড়া গাছ থেকে ফুল তুলে বাজারজাত করার আগেই বহু ফুল পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই তো বর্তমান সময়ে চিন্তায় পড়েছেন ফুল চাষি থেকে শুরু করে ফুল বিক্রেতারাও। পুজোর আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ব্যবসায় বেশ অনেকটাই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই শুনতে পাওয়া যাচ্ছে বেশিরভাগ ফুল বিক্রেতাদের কাছ থেকে। ফুলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা কমেছে অনেকটাই।
সার্থক পণ্ডিত
Cooch Behar News: প্রথমে স্বাধীন ভারতের অংশ ছিল না কোচবিহার! কীভাবে বাংলার জেলা হল এই রাজন্য স্টেট, জানুন চমকপ্রদ ইতিহাস
সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ইংরেজ শাসন থেকে সম্পূর্ণ রূপে মুক্তি পায় ভারতবর্ষ। দুই শতকের বেশি সময়ের ইংরেজ শাসনের সমাপ্তি ঘটে ওইদিন। তবে বর্তমান ভারতের বেশ কিছু অঞ্চল কিন্তু তখনও পর্যন্ত স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। পরবর্তী সময়ে সেই সমস্ত জায়গায় সংযুক্তি ঘটে ভারতের মধ্যে। এই সমস্ত জায়গার মধ্যে তৎকালীন কোচবিহার রাজ্যেরও নামও রয়েছে। এখনকার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জেলা কোচবিহার আগে কিন্তু একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। কোচবিহারের তৎকালীন মহারাজার সঙ্গে ভারত সরকারের মার্জার এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয় ১৯৪৯ সালে ২৮শে অগাস্ট। এই এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে কোচবিহার রাজ্য ভারতের কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল রূপে স্থান নেয় স্বাধীন ভারতের মধ্যে।
কোচবিহারের ইতিহাস অভিজ্ঞ এক ব্যক্তির ঋষিকল্প পাল জানান, “১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটে। রেড ফোর্টের মধ্যে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন ভারতের তেরঙা পতাকার। তবে তৎকালীন কোচবিহার রাজার রাজ্য কোচবিহার স্বাধীন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়নি সেই সময়। পরবর্তী সময়ে ভারত সরকারের সঙ্গে মার্জার এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে কোচবিহার রাজ্য স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়। মোট নয়টি পয়েন্ট নিয়ে এই মার্জার এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয় ১৯৪৯ সালের ২৮ আগস্ট। তবে আবার ৩০ আগস্ট সেই এগ্রিমেন্টের স্ক্রুটিনি করা হয় এবং তখন মোট ১৪টি পয়েন্ট করা হয় এই এগ্রিমেন্টের মধ্যে।”
তিনি আরও জানান, “প্রথমে কোচবিহার রাজ্য স্বাধীন ভারতের একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল রূপে স্থান নেয় ভারতে। তারপর পরবর্তী সময়ে কোচবিহারকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জেলা ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে তাই কোচবিহারকে একটি জেলা রূপেই দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও কোচবিহারের রাজ পরিবারের সদস্যদের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বার্ষিক অর্থ প্রদান করা হত সেই সময়। সেই অর্থের পরিমাণ নেহাত কম ছিল না সেই সময়ের হিসেবে।”
Health Tips: ইদানীং বাড়ছে ফুসফুসের সমস্যা,নিয়মিত খান এই কয়েকটি ফল,শ্বাসযন্ত্র থাকবে তরতাজা
River Erosion: পাহাড়ে বৃষ্টি হলেই জল বাড়ছে নদীর! তোর্ষার আগ্রাসী রূপে আতঙ্ক এলাকায়
বলরামপুর: জেলা কোচবিহারের সদর শহরের মাঝ দিয়েই বয়ে গিয়েছে তোর্ষা নদী। সারাবছর এই নদীতে জল খুব একটা না থাকলেও বর্ষার মরশুম কিংবা পাহাড়ে বৃষ্টি হলেই আগ্রাসী রূপ ধারণ করে এই নদী। এমনই অবস্থা কোচবিহারের বলরামপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের শোলাডাঙা এলাকায়। নদীর ভাঙনের জেরে বেহাল দশা গ্রামের।
নদীর আগ্রাসী রূপের চোখ রাঙানির জেরে ভীত গোটা গ্রাম। তাই নদীর ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বারবার আবেদন জানানো হচ্ছে স্থানীয় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে। তবে সরকারি ভাবে বহুবার এলাকা পরিদর্শন করা হলেও কাজ এগোয়নি কিছুই। এলাকার এক বাসিন্দা সন্তোষ রায় জানান, দীর্ঘ দু-তিন বছর আগে থেকেই নদী ভাঙনের চিন্তায় রয়েছেন এলাকার মানুষেরা। তাই তাঁরা বারবার আবেদন জানিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: জেলার ঐতিহ্য এই বাস! পর্যটকদেরও দারুণ পছন্দের! পুজোর আগে চালুর ভাবনা
সরকারি ভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এলাকার আরও দুই বাসিন্দা রত্না বর্মন ও হিতাংশু চন্দ্র দেবনাথ জানান,নদীর ভাঙন দেখতে আগের জেলাশাসক জেলাশাসক নিজেও এলাকায় এসেছিলেন। এবং তিনি বলেছেন নদী ভাঙন রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে নদীর ভাঙন রোধের সেই কাজ হয়নি কিছুই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Sarthak Pandit
Trending Rakhi 2024: রাম মন্দির রাখি বাজার কাঁপাচ্ছে, কত দাম জানেন?
কোচবিহার: ইতিমধ্যেই রাখির প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায় জেলায়। বাজারের বিভিন্ন দোকানে রকমারি রাখি তোলা হয়েছে। ক্রেতারাও এই রাখিগুলি কিনতে শুরু করেছেন। তবে প্রতি বছর রাখির বাজারের বেশ কিছু ট্রেন্ডিং রাখি দেখতে পাওয়া যায়। যেই রাখিগুলি সকলের নজর আকর্ষণ করে থাকে। এই বছরেও এমন দুটি রাখি রয়েছে। যা ইতিমধ্যেই বাজারে রাখি কিনতে আসা ক্রেতাদের নজর আকর্ষণ করছে। এই দুটি রাখির একটির দাম ৮০ টাকা এবং অপরটির দাম ১২০ টাকা। এই দামেই খুচরো বিক্রি করা হচ্ছে এই দুই রাখি।
কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারের রাখি বিক্রেতা বিশ্বজিৎ বনিক জানান, সাধারণভাবে রাখির দাম শুরু হয়েছে ১০ টাকা থেকে। সর্বোচ্চ দামের রাখি হল ১২০ টাকার, যেটা এবার ট্রেন্ডিং রাখি। বাজারে এবার রাম মন্দির রাখি বেশ চলছে। একটি রাখির নাম রাম দরবার। যা ভাই ও বোনের একসঙ্গে দুটি রাখির একটি সেট। এই রাখি ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা দামের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া ১২০ টাকার রয়েছে রাম মন্দিরের একটি সুন্দর রাখি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে স্মার্ট ফেন্সিং, বিশেষত্ব কী জানেন?
বাজারে রাখি কিনতে আসা ক্রেতা বিকাশ পাল জানান, জেলার এই বাজারে রাখির বেশ কিছুটা সময় আগে থেকেই রকমারি রাখি উঠতে শুরু করেছে। আর সেগুলির মধ্যেই জেলার মানুষের কোন এক রাখি দারুণ পছন্দের হয়। তখন সেই রাখি ট্রেন্ডিং হয়ে পড়ে। তবে আরও বেশ কিছু রাখি রয়েছে যা দীর্ঘ সময় ধরে পছন্দ করে বহু মানুষ। ব্রেসলেট রাখি, বাচ্চাদের বিভিন্ন কার্টুনের রাখি সব সময়ের জন্য বাজারে ভাল পরিমাণ বিক্রি হয়ে থাকে। তবে ট্রেন্ডিং রাখিগুলি দেখতে নতুনের মধ্যে অনেকটাই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।
জেলা কোচবিহারের সদর শহরের এই বাজারে বেশ কিছু পাইকারি বিক্রেতা রয়েছেন। এই বিক্রেতারা এই ট্রেন্ডিং রাখি প্রচুর পরিমাণে অর্ডার পাচ্ছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকার খুচরো বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত এই রাখি নিচ্ছেন অনেকটা পরিমাণে। যদিও রাখি পূর্ণিমার এখনও কয়েকদিন বাকি রয়েছে। তবুও বাজারের দোকানগুলিতে বিক্রি চলছে রমরমিয়ে। আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনা থাকলেও সেই বাধা উপেক্ষা করেই ক্রেতারা ভিড় করছেন রাখির দোকানে।
সার্থক পণ্ডিত
Bamboo Product: কাঁচা বাঁশের এই জিনিস তৈরি করে দু’হাত ভরে রোজগার করুন
কোচবিহার: সাধারণভাবে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাঁশ। এই বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কারুকার্য কিংবা নকশাও তৈরি করা যায়। ঘর সাজানোর উপকরণ থেকে শুরু করে দরকারি উপকরণ তৈরি করা যায় বাঁশ দিয়ে। কাঁচা বাঁশ দিয়ে আরেক ধরনের জিনিস তৈরি করা যায়, যাকে গ্রাম বাংলায় ধারি বলে চেনে মানুষজন। এই ধারি তৈরি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা সম্ভব।
কোচবিহারে তুফানগঞ্জ এলাকার বিশ্বনাথ রায় নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এই ধারি তৈরি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ রায় জানান, এই ধারিগুলি তৈরি করতে খুব একটা বেশি খরচ হয় না। শুধুই কাঁচা বাঁশ কিনতে এবং শ্রমিকদের মজুরিতে যেটুকু খরচ হয়। তবে এই ধারি কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয়। মধু এবং রেশম শিল্পে এই ধারির ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সময়ে এই ধরির প্রচুর পরিমাণে অর্ডার আসে তাঁর কাছে।
আরও পড়ুন: দুর্গম মনিরাং শৃঙ্গ অভিযানে জলপাইগুড়ির ৯ অভিযাত্রী
এই ধারি তৈরির দুই শ্রমিক বাদল শেখ ও মহম্মদ নুর ইসলাম জানান, কাটা বাঁশ ফাটিয়ে তার ফালা বের করে নিতে হয়। এবার সেই ফালাগুলিকে হাতের মাধ্যমে বুনতে হয়। তাহলেই তৈরি হয়ে যায় এই বিশেষ ধারি। দিনে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয়টি ধারির বেশি তৈরি করা যায় না। মূলত ধারির মাপের উপর নির্ভর করে তা তৈরি করতে কতক্ষণ সময় লাগবে। অনেকে মালদহ থেকে কোচবিহারে এসে এই ধারি তৈরির কাজ করেন।
সার্থক পণ্ডিত
Tourism: জেলার ঐতিহ্য এই বাস! পর্যটকদেরও দারুণ পছন্দের! পুজোর আগে চালুর ভাবনা
Manasa Puja 2024: প্রথা মেনে এই কাজ করা হয়, করেন এই শিল্পীর পরিবার! জেনে নিন বিশেষ আচারের বিশেষত্ব
কোচবিহার: জেলা কোচবিহারের রাজবংশী সমাজে আজও বেশ ঘটা করে মনসা পুজোর আয়োজন করা হয়। তবে সাধারণ ভাবে মাটির মূর্তি দিয়ে এই পুজো করা হয় না। তার বদলে থাকে শোলার তৈরি মনসা প্রতিকী। এই প্রতিকীকে মন্ডুষ বলা হয়ে থেকে। দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রথা মেনেই রাজ আমলের মদন বাড়িতে এই পুজোর আয়োজন করা হয়। এই মদন বাড়ির এই মন্ডুষ তৈরি করছে একটি পরিবার বংশ পরম্পরায় সেই রাজ আমল থেকে। মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের সময়ে এই কাজ শুরু করেন তাঁরা।
বর্তমান শোলা শিল্পী ধীরেন্দ্র নাথ মালাকার জানান, “রাজ আমলের তাঁর ঠাকুরদা এই কাজ শুরু করেন। তারপর তাঁর বাবা এই কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি এই কাজ করছেন। রাজ আমল থেকে এই প্রথা চলে আসছে। বংশ পরম্পরায় মন্ডুষ তৈরি করে আসছেন তাঁরা। এই মন্ডুষটিতে চাঁদ সওদাগরের কাহিনী, বেহুলা-লখীন্দরের কাহিনী-সহ বিভিন্ন দেব-দেবতাদের ছবি তুলে ধরা হয়। আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬ দিনের মতন সময় লাগে এই মন্ডুষ সম্পূর্ণ তৈরি করতে। এতে ব্যবহার করা হয় শোলা, সাদা কাগজ, আঠা ও রঙ।”
আরও পড়ুন – Weight Gain Over Night: রাতারাতি ওজন বেড়ে যেতে পারে? ভিনেশের সঙ্গে কী হয়েছিল, বুঝিয়ে দিলেন কুস্তি কোচ
তিনি আরও জানান, “বর্তমানে ভাল মানের শোলা কোচবিহারে আর পাওয়া যায় না। তাইতো বাইরে থেকে আনাতে হয় এই শোলা। এতে খরচ পড়ে অনেকটাই বেশি। তবে রাজ আমলের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে ভাল মানের জিনিস দিয়েই করা হয় এই কাজ। তাঁর বয়স এখন ৬৫ বছর। তাই অনেকটাই অসুবিধা হয় এই কাজ করতে। তাই তাঁর এই কাজে তাঁর পরিবার তাঁকে যথেষ্ট সাহায্য করে। এরপর তাঁর পরর্বতী সময়ে তাঁর ছেলেকে তিনি এই কাজের দায়িত্ব দেবেন। তাই সেজন্য তাঁকে শেখাচ্ছেন ও তিনি। তবে সে এখনোও দক্ষ হয়ে ওঠেনি সম্পূর্ণ।”
দীর্ঘ সময়ের প্রথা মেনে আজও এই কাজ করেন এই শিল্পীর পরিবার উৎসাহের সঙ্গে। আগামী দিনেও এই কাজ তাঁরাই করবেন এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। কারণ, রাজ ঐতিহ্যের সঙ্গে বর্তমানে একপ্রকার জড়িয়ে পড়েছেন এই শিল্পী ও4 তাঁর পরিবার। তবে এই মনসা পুজোর মন্ডুষ বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করে এটুকু নিশ্চিত। এর সৌন্দর্য বহু মানুষের মধ্যে কৌতুহল জাগিয়ে তোলে।
Sarthak Pandit
Student Missing: জলে নামতেই তলিয়ে গেল নদীর স্রোতে, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে যা ঘটল
কোচবিহার: মাথাভাঙা মহকুমা এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে মানসাই নদী। বর্ষার বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়েছছ। সেই নদীতে নামতেই তলিয়ে গেল এক স্কুল ছাত্র। রাকেশ বর্মন নামে ওই ছাত্র পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই পড়ুয়ার সন্ধানে নদীতে স্পিড বোড নামিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত তার সন্ধান মেলেনি।
কোচবিহার-১ ব্লকের চান্দামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈরাতি গ্রামের এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন গোটা গ্রামের মানুষ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার জলে টইটুম্বুর মানসাই নদীতে নামতেই স্রোতের টানে তলিয়ে যায় পঞ্চম শ্রেণির রাকেশ। তবে ঘটনার গায়ে গায়েই স্থানীয় জেলেরা নৌকো নিয়ে নদীতে নেমে পড়েন, শুরু করেন তল্লাশি অভিযান। এরপর জেলা প্রশাসনের কুইক রেসপন্স টিমের স্পিডবোট নামিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। যদিও নিখোঁজ পড়ুয়ার সন্ধান মেলেনি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি রোধে সচেতনতাই হাতিয়ার এই জেলায়
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে রাজ্যের সব বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ছুটি হয়ে যায়। কিন্তু রাকেশ বর্মন নামে ওই পড়ুয়া স্কুল ছুটির পর বাড়িতে ফিরে না এসে অপর এক সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার সঙ্গে মানসাই নদীতে যায়। তবে জলে নেমেই স্রোতের টানে দ্রুত নদীতে তলিয়ে যায় সে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়। তবে মাঝে ভারী বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়। তবুও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে ওই ছাত্রের খোঁজে কয়েকশো গ্রামবাসী উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন।
সার্থক পণ্ডিত