Category Archives: কোচবিহার

Durga Puja 2024: প্রথা মেনেই তুঙ্গে ব্যস্ততা, এখানে পুরুষরা নন, ঘরের মেয়েদের হাতেই রূপ লাভ করেন মৃন্ময়ী

সার্থক পণ্ডিত, তুফানগঞ্জ: কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার চিলাখানা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১২ টি পরিবার বংশপরম্পরায় তৈরি করে আসছেন বিভিন্ন প্রতিমা। এখানে প্রতিমা নির্মাণ থেকে শুরু করে রঙ করা এবং চক্ষুদান পর্যন্ত করেন মহিলারাই। চিলাখানা বাজারের সামনে এলেই তাঁদের দেখা মেলে। মোট ১২ টি পরিবারে ২৯ জন মহিলা সদস্য রয়েছেন। কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বাড়ির মহিলারা পর্যন্ত হাত লাগান এই মূর্তি নির্মাণের কাজে। বছরের এই সময় তাদের নাওয়া খাওয়ার সময় থাকে না একদম। সকাল ৬’টা থেকে শুরু প্রায় রাত পর্যন্ত চলে তাঁদের মূর্তি গড়ার কাজ। তবে এই কাজ চলে দফায় দফায়।

শুধুমাত্র কোচবিহার নয়, পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম থেকেও প্রচুর বিগ্রহের অর্ডার আসে। সেখানেও যোগান দিতে হয় প্রতিমা। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০০-৩৫০ মূর্তি তৈরি করতে হয় এই সময়। ইতিমধ্যেই ভিনরাজ্যে বিপণনের জন্য মূর্তির কাজ অনেকটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিছু কাজ বাকি রয়েছে তবে তা অবিলম্বে শেষ হয়ে যাবে। মহিলা প্রতিমা শিল্পী অঞ্জনা পাল ও যমুনা পাল জানান, “পুরুষরা শুধুমাত্র হাত লাগায় মূর্তির কাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে। শুধুমাত্র কাঠামো গড়ে দেওয়ার ছাড়া বাকি সম্পূর্ণ কাজ তাঁরাই করেন। এখানে বারোটি পরিবার রয়েছে। যাঁরা শুধুমাত্র মূর্তি নির্মাণ এবং মাটির অন্যান্য সামগ্রী তৈরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।”

আরও পড়ুন : ইতিহাসে ডুব দিতে পুজোর ছুটিতে স্বল্প খরচে দেখুন কাটরা মসজিদ ও হাজারদুয়ারি

অন্যান্য মৃৎশিল্পীরা জানান, “এই বছর মূর্তির চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তাই সব মিলিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে এই মৃৎ শিল্পীদের। যদিও বা এসবের সঙ্গে রয়েছে সাংসারিক কাজের চাপ। ভোর ৫ টায় উঠে স্নান করে বাড়ির কাজ করে তারপরে এই মূর্তি তৈরির কাজে হাত লাগাতে হয় তাঁদের। মাঝে এক ফাঁকে সারাদিনের রান্নার কাজ দ্রুত সেরে নেন। এই ভাবেই চলছে বিগত প্রায় মাস দু’য়েক ধরে।” তবে চলতি বছর তাঁরা অনেকটাই খুশি মূর্তির চাহিদার বৃদ্ধির কারণে। এতে তাঁদের ঘরে বেশ কিছুটা বেশি মুনাফা আসবে এই কারণে।

তবে জেলার এই প্রতিমা কারখানা গুলি যে কোনও মানুষকে সহজেই আকর্ষণ করতে পারবে এটুকু নিশ্চিত। এখানের প্রতিমাগুলিকে নিপুণ হাতে তৈরি করা হয়। তাই প্রতিমাগুলির সৌন্দর্য দেখতে পাওয়া যায় অনেকটাই বেশি।

Vegetable Market: উত্তরে বৃষ্টির জেরে জমিতে পচছে ফসল! বাড়ছে সবজির দাম

কোচবিহার: কখনও রোদ, কখনও আবার বৃষ্টি। এই আবহাওয়ার কারণে পঁচে যাচ্ছে বাজারের বেশিরভাগ সবজি। এছাড়া সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন কৃষকরা। এই কারণে বাজারের কমে গিয়েছে সবজির জোগান। দাম বেড়েছে প্রায় প্রত্যেকটি সবজির। তাই ইতিমধ্যেই পকেটে চাপ পড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা বাজারের এসে সবজি কিনতে দারুণ নাজেহাল হচ্ছেন। এই আবহাওয়ার পরিস্থিতি না কমলে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছেন সবজি বিক্রেতারা। দাম যদি আরও বেড়ে ওঠে তবে ক্রেতাদের পকেটের অবস্থা আরোও খারাপ হতে চলেছে।

বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বাবলু সরকার জানান, “আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার ফলে বাজারে জোগান কমেছে সমস্ত সবজির। তাই জোগান কম থাকায় দাম বেড়েছে প্রত্যেকটি সবজির। আর বাজারের সবজির দামের এই বৃদ্ধির ফলে প্রায় ক্রেতাশূন্য হয়ে রয়েছে বাজার। বর্তমানে পটলের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, ঢেঁড়সের দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৪০ টাকা, করলার দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা, ঝিঙের দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা, বরবটির দাম কেজি প্রতি ৬০ টাকা এবং লঙ্কার দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা।” প্রায় প্রতিটি সবজির দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে রীতিমত চাপ বেড়েছে ক্রেতাদের। ক্রেতারা বাজারে এসে সামান্য পরিমাণে জিনিস কিনে বাড়ি ফিরছেন। বেশি জিনিস কেনার ইচ্ছে থাকলেও দামের জন্য পেরে উঠছেন না।

আরও পড়ুনঃ Birbhum News: স্বপ্ন বাউল গানের প্রতি নতুন প্রজন্মের আকর্ষণ বৃদ্ধি, জেলা-রাজ্য-দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে বীরভূমের রাজু

বাজার করতে আসা দুই ক্রেতা তপন বর্মন ও কালীদাস সরকার জানান,”বেগুনের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৫০ টাকা, কাকরোলের কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৫০ টাকা, শশার কেজি প্রতি দাম রয়েছে ৪০ টাকা এবং দেশি আলুর দাম রয়েছে কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। তবে এতে বিক্রেতাদের শুধু দোষ দিয়ে লাভ নেই। তাঁরা মহাজনের কাছে থেকে যে দামে জিনিস কিনছেন। সেজন্য দাম বাড়ানো হচ্ছে। যদি আবহাওয়ার পরিস্থিতি পরিবর্তন না হয়। তবে এই দাম আরও বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।” তবে এই দাম বৃদ্ধি অনেকটাই অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে সকলের। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি কবে শেষ হবে এখন সেই অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলে।

Sarthak Pandit

India Bangladesh Border: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জারি ‘অপারেশন অ্যালার্ট’! কী এই অ্যালার্ট জানেন? চমকে উঠবেন

কোচবিহার: বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতির জেরে ইতিমধ্যেই চাপ বাড়ছে ভারতের সীমান্ত এলাকাগুলিতে। ক্রমাগত বাড়ানো হচ্ছে সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষীদের সংখ্যা। শুরুতে বেশকিছু সময়ের জন্য ভারত-বাংলাদেশ বৈদেশিক বাণিজ্যে বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে সেই বাধা। ফলে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে বৈদেশিক বাণিজ্য।

ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার অনেকটা অংশ জেলা কোচবিহারের মধ্যে রয়েছে এবং এই এলাকাগুলির বেশিরভাগ এলাকায় নদী থাকার কারণে নেই পর্যাপ্ত কাঁটা তারের বেড়া। ফলে সেই সমস্ত উন্মুক্ত এলাকা গুলির মধ্যে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: কোন দেশের সঙ্গে ভারতের বর্ডার সবথেকে বড় জানেন? পাকিস্তান, চিন নয় কিন্তু! নামটা শুনলেই চমকে উঠবেন

সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, লাল সতর্কতা বা ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। জারি করা হয়েছে ‘অপারেশন অ্যালার্ট’। এর ফলে সীমান্ত এলাকা গুলিতে নজরদারি আরও অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সীমান্ত এলাকায় রক্ষীদের সংখ্যা, যা প্রায় দ্বিগুণের বেশি। ভারত-বাংলাদেশের নদী এলাকা গুলির খোলা সীমান্ত এলাকায় স্পিড বোটের মাধ্যমে চলছে নজরদারি। এছাড়াও ড্রোন ক্যামেরা ও নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। উম্মুক্ত সীমান্ত এলাকা গুলিতে সাধারণ মানুষের ১০০০ মিটারের মধ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র মারফত জানতে পারা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত এলাকায় ভারত-বাংলাদেশ আনাগোনা চলছে আগের নিয়মেই। বাংলাদেশের মানুষেরা আসছেন এদেশে ব্যবসা ও চিকিৎসার জন্য। এছাড়া বাংলাদেশে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকেরা ফিরে আসছেন দেশে। এছাড়া বাংলাদেশ থাকে পণ্য বোঝাই ট্রাক আসছে ভারতে এবং ভারতের পণ্য বোঝাই ট্রাক যেতে শুরু করেছে বাংলাদেশে। পণ্য পরিবহণ থেকে শুরু করে মানুষের আনাগোনার গোটা পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে আরও বেশি করে।

—- Sarthak Pandit

Durga Puja Trip: পুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন অপরূপ এই রাজবাড়ি, ইতিহাস-রাজবাড়ির সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে

*পশ্চিমবঙ্গের জেলা কোচবিহারের অন্যতম রাজ আমলের নিদর্শন হল কোচবিহার রাজবাড়ি। দীর্ঘ সময়ের ঐতিহ্যবাহী এই নিদর্শন বর্তমানে জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। দূর-দুরান্তের বহু পর্যটক বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিড় জমান এই পর্যটন কেন্দ্রে। 
*পশ্চিমবঙ্গের জেলা কোচবিহারের অন্যতম রাজ আমলের নিদর্শন হল কোচবিহার রাজবাড়ি। দীর্ঘ সময়ের ঐতিহ্যবাহী এই নিদর্শন বর্তমানে জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। দূর-দুরান্তের বহু পর্যটক বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিড় জমান এই পর্যটন কেন্দ্রে।
*রাজ আমলের ইতিহাসের টানে বহু পর্যটক এসে থাকেন এখানে। এছাড়াও রয়েছে মন মাতানো সৌন্দর্য। সামনেই আসন্ন দুর্গা পুজো। আর পুজো উপলক্ষ্যে অনেকেই এদিক-ওদিক বেড়াতে গিয়ে থাকেন। যাদের ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে। যাঁরা রাজ আমলের নিদর্শনের সৌন্দর্য মুগ্ধ হতে চান তাঁরা অবশ্যই আসতে পারেন এই রাজবাড়ি ঘুরতে।
*রাজ আমলের ইতিহাসের টানে বহু পর্যটক এসে থাকেন এখানে। এছাড়াও রয়েছে মন মাতানো সৌন্দর্য। সামনেই আসন্ন দুর্গা পুজো। আর পুজো উপলক্ষ্যে অনেকেই এদিক-ওদিক বেড়াতে গিয়ে থাকেন। যাদের ইতিহাস বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে। যাঁরা রাজ আমলের নিদর্শনের সৌন্দর্য মুগ্ধ হতে চান তাঁরা অবশ্যই আসতে পারেন এই রাজবাড়ি ঘুরতে।
*রাজবাড়িতে আসা সুদূর পঞ্জাবের বাসিন্দা, পেশায় সেনা কর্মী হরপাল সিং জানান, "রাজ বাড়ির সৌন্দর্য সত্যি মুগ্ধ করবে যেকোনোও মানুষকে। এমনিতে কোচবিহার রাজবাড়ির বাইরের দৃশ্য দারুণ সুন্দর। তবে রাজবাড়ির ভেতরে রয়েছে রাজ আমলের জিনিস সংগ্রহ করে তৈরি করা একটি সংগ্রহশালা। যা ছোট থেকে বড় সকলের মন মুহুর্তেই আকর্ষণ করতে পারে। তবে দীর্ঘ সময়ের পুরোনো হওয়ার কারণে কিছু জায়গায় সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু, রাজ আমলের ইতিহাস এই রাজবাড়ির আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।"
*রাজবাড়িতে আসা সুদূর পঞ্জাবের বাসিন্দা, পেশায় সেনা কর্মী হরপাল সিং জানান, “রাজ বাড়ির সৌন্দর্য সত্যি মুগ্ধ করবে যেকোনোও মানুষকে। এমনিতে কোচবিহার রাজবাড়ির বাইরের দৃশ্য দারুণ সুন্দর। তবে রাজবাড়ির ভেতরে রয়েছে রাজ আমলের জিনিস সংগ্রহ করে তৈরি করা একটি সংগ্রহশালা। যা ছোট থেকে বড় সকলের মন মুহুর্তেই আকর্ষণ করতে পারে। তবে দীর্ঘ সময়ের পুরোনো হওয়ার কারণে কিছু জায়গায় সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু, রাজ আমলের ইতিহাস এই রাজবাড়ির আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।”
*রাজ বাড়িতে এসেছিলেন বালুরঘাটের বাসিন্দা সুমনা গুপ্তা। তিনি জানান, "রাজ্যের মধ্যে জেলা কোচবিহারের রাজ আমলের ইতিহাস অনেকের মন আকর্ষণ করে। সেই ইতিহাসের কিছুটা অংশ নিজে চোখে দেখতে এখানে অবশ্যই আসা উচিত। এছাড়া এখানের সংগ্রহশালায় কোচ রাজাদের ব্যবহার করা জিনিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছবি সাজিয়ে রাখা।"
*রাজ বাড়িতে এসেছিলেন বালুরঘাটের বাসিন্দা সুমনা গুপ্তা। তিনি জানান, “রাজ্যের মধ্যে জেলা কোচবিহারের রাজ আমলের ইতিহাস অনেকের মন আকর্ষণ করে। সেই ইতিহাসের কিছুটা অংশ নিজে চোখে দেখতে এখানে অবশ্যই আসা উচিত। এছাড়া এখানের সংগ্রহশালায় কোচ রাজাদের ব্যবহার করা জিনিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছবি সাজিয়ে রাখা।”
*জেলার এক পর্যটক প্রভাত বর্মন জানান, "রাজ আমলের এই ঐতিহ্য সত্যিই অবাক করে সকলকে। বাইরের পর্যটকদের পাশাপশি জেলার মানুষেরাও এই ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন দেখতে ভিড় জমান। কোচ রাজাদের তৈরি এই নিদর্শন বহু ইতিহাস প্রেমীদের আকর্ষণ করে থাকে।"
*জেলার এক পর্যটক প্রভাত বর্মন জানান, “রাজ আমলের এই ঐতিহ্য সত্যিই অবাক করে সকলকে। বাইরের পর্যটকদের পাশাপশি জেলার মানুষেরাও এই ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন দেখতে ভিড় জমান। কোচ রাজাদের তৈরি এই নিদর্শন বহু ইতিহাস প্রেমীদের আকর্ষণ করে থাকে।”
*কোচবিহারের রাজবাড়ি সৌন্দর্য ও ইতিহাস ছোট থেকে বড় সকলের মন ছুঁয়ে যাবে এটুকু নিশ্চিত। তাই পুজোর ছুটিতে ইতিহাসের সন্ধানে এখানে ঘুরতে আসতেই পারেন। বর্তমানে এই রাজবাড়ির পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
*কোচবিহারের রাজবাড়ি সৌন্দর্য ও ইতিহাস ছোট থেকে বড় সকলের মন ছুঁয়ে যাবে এটুকু নিশ্চিত। তাই পুজোর ছুটিতে ইতিহাসের সন্ধানে এখানে ঘুরতে আসতেই পারেন। বর্তমানে এই রাজবাড়ির পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
*মাত্র ২০ টাকা জনপ্রতি টিকিট মূল্যের সারাদিন এই রাজ আমলের রাজবাড়িতে কাটাতে পারবেন। ঘুরে ঘুরে দেখতে পারবেন একের পর এক ইতিহাসের নিদর্শন।
*মাত্র ২০ টাকা জনপ্রতি টিকিট মূল্যের সারাদিন এই রাজ আমলের রাজবাড়িতে কাটাতে পারবেন। ঘুরে ঘুরে দেখতে পারবেন একের পর এক ইতিহাসের নিদর্শন।

Bangladesh Crisis: পালিয়ে এসেছিলেন ট্রাক ফেলে, ফের যেতে হচ্ছে বাংলাদেশে! আতঙ্ক নিয়েই ‌যাত্রা চালকদের

চ্যাংড়াবান্ধা: ভারত এবং বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের বিষয়ে কারও অজানা নয়। সারাটা বছর বহু জিনিস আমদানি ও রফতানি করা হয়ে থাকে দু-দেশের পক্ষ থেকে। তবে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অশান্তির পরিবেশ অব্যাহত। সেই কারণে বেশ অনেকটাই অসুবিধা পড়তে হয়েছে ট্রাক চালকদের থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের একাংশকে। বেশ কিছু ট্রাক বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে গিয়েছিল কিছুদিন আগে। সেই ট্রাক চালকেরা সেই ট্রাকগুলি ফেরত আনতে পারেননি তখন। বাধ্য হয়ে তাঁরা দেশের মাটিতে ফিরে এসেছিলেন সুরক্ষিত থাকার আশায়। ফের তাদের বাংলাদেশ যেতে হচ্ছে ট্রাক ফিরিয়ে আনতে।

ভারতের এক ট্রাক চালক সায়ুক হোসেন জানান, “বাংলাদেশের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ প্রবেশ করাটা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁরা কিছুদিন আগে ভারত থেকে বাংলাদেশে বেশ কিছু পণ্য সামগ্রী নিয়ে গিয়েছিল। তবে সেই সময় সেই ট্রাকগুলিকে তাঁরা ফিরিয়ে আনতে পারেননি। তাই ফের তাদের বাংলাদেশে যেতে হচ্ছে ট্রাকগুলি ফিরিয়ে আনতে। তবে দুশ্চিন্তা যেন কোনওভাবেই কাটতে চাইছে না। প্রতিটা মুহূর্ত যেন অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে।”

আরও পড়ুনঃ জীবনের শেষ লগ্নে বাংলাদেশের ভয়ঙ্কর ছোটবেলা দেখছেন আসানসোলের আঙ্গুরবালা, শিউরে ওঠা গল্প

ভারতের অন্য এক ট্রাক চালক বাপি হোসেন জানান, “ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে বোল্ডার পাথর এবং আরও নানা সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশে। তবে বর্তমান সময়ে এই পণ্য সামগ্রী আনাগোনা করতে গিয়ে অনেকটাই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পুনরায় আগের মতো স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসবে কবে সেই চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।”

তবে বাংলাদেশের এক ট্রাক চালক সবুজ ইসলাম জানান, “কয়েকদিন পণ্য নিয়ে চলাচল একেবারেই বন্ধ ছিল। তবে ফের বাংলাদেশের ট্রাক চালকদের ভারতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা পন্য নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে একদিনের মধ্যে ফের ফেরত যাচ্ছেন বাংলাদেশে। এই পণ্যগুলির মধ্যে রয়েছে পাট, তুলো, বিভিন্ন জামা কাপড় এবং বিভিন্ন ধরনের মাছ।” সব মিলিয়ে বর্তমান সময়ে বৈদেশিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার প্রভাব পড়েছে অনেকটাই। প্রতিনিয়ত বেশ অনেকটা পরিমাণ টাকার ক্ষতি সম্মুখীন হতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

Sarthak Pandit

India Bangladesh Border: সীমান্তে তুমুল সতর্কতা, বন্ধ চেকপোস্ট! মাথায় হাত ‘ওদের’, কবে ফিরবে সেই দিন?

চ্যাংড়াবান্ধা: ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাগুলির মধ্যে জেলা কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা চেকপোষ্টে এলাকায় অন্যতম। দীর্ঘ সময় ধরে বহু মানুষ এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলা যাতায়াত করে থাকেন এই পথে। তাইতো এই পথেই তৈরি হয়েছে চ্যাংড়াবান্ধা চেকপোস্ট বাজার এলাকা।

তবে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির কারণে, বাজার কিন্তু কার্যত ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে রয়েছে। তাই তো ক্রমাগত অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে বাজারের অধিকাংশ বিক্রেতাকে। একটা সময় প্রতিনিয়ত বাজারের মধ্যে ভিড় লেগে থাকত। তবে এখন সামান্য পরিমাণ ক্রেতারা বাজারে আনাগোনা করছেন। তাই তো পর্যাপ্ত মুনাফা পর্যন্ত তাঁরা সংগ্রহ করতে পারছেন না বিক্রির মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: এই একটি ফল নিয়ে বিমানে ওঠা নিষেধ, হতে পারে জেল-জরিমানা! জানেন কোন ফল?

বাজারের এক প্রবীণ বিক্রেতা দুলাল গুহ জানান, “দীর্ঘ অনেকটা সময় আগে থেকেই তিনি এই দোকান করে আসছেন। তবে এতদিন পর্যন্ত মানুষের আনাগোনা অনেকটাই বেশি থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হয়নি বিক্রেতাদের। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কারণে ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় আসার মানুষের সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। তাই বাজার কিন্তু প্রায় অনেকটাই ক্রেতা শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এইভাবে দোকান করার মাধ্যমে দিনের শেষে নিজের মজুরি টুকুও পাওয়া একেবারেই মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাইতো অনেক বিক্রেতারা বিকল্প পথের সন্ধান করছেন।”

আরও পড়ুন: ‘মেয়েটা বড্ড রোগা’ অজুহাতে মাধুরীকে বিয়ে করতে রাজি হননি বলিউডের এক বিখ্যাত গায়ক, কে তিনি জানেন?

বাজারের আরও দুই বিক্রেতা শ্যামলী দে ও খোকন দে জানান, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সারাদিনে মানুষের আনাগোনার সংখ্যা ছাড়ায় প্রায় দুই তিন হাজারেরও বেশি। তখন প্রত্যেক বিক্রেতা ভালো পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতে পারেন জিনিস বিক্রির মাধ্যমে। তবে ক্রেতারা না আসলে জিনিস তো বিক্রি করা সম্ভব নয়। এই ক্রেতাশূন্য পরিস্থিতি প্রায় ৭-৮ দিনের বেশি সময় ধরে চলে আসছে গোটা এলাকায়। তবে এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান না হলে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়তে চলেছে। অনেকেই দীর্ঘ সময়ের পুরনো ব্যবসা ছেড়ে অন্য কোনও কাজ খুঁজতে লেগেছেন ইতিমধ্যেই।”

চ্যাংড়াবান্ধা চেকপোস্ট এলাকার মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ আনাগোনা অনেকটাই সহজ হয়। বাংলাদেশের বহু মানুষ ব্যবসা, চিকিৎসা, ঘুরতে কিংবা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে এদেশে এসে থাকেন। আবার এপার বাংলারও বহু মানুষ ওপার বাংলায় গিয়ে থাকেন বিভিন্ন কাজে। তবে বর্তমান সময়ে এই আনাগোনা সংখ্যা প্রায় শূন্যতে এসে ঠেকেছে। বাংলাদেশ থেকে মানুষেরা এখনো এদেশে প্রবেশ করলেও, ভারতের কোনও মানুষ প্রবেশ করতে চাইছেন না বাংলাদেশের ভেতর।

Sarthak Pandit

South Indian Food: মাত্র তিরিশ টাকাতেই সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার! জেলার এই দোকান এখন ভাইরাল

কোচবিহার: সাউথ ইন্ডিয়ান জনপ্রিয় বেশ কিছু খাবার গুলির নাম শুনলেই জিভে জল আসে অনেকের। তাই তো বর্তমানে জেলায় খুলে গিয়েছে বহু সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারের দোকান। তবে এই সব দোকানে দাম রাখা হয়েছে অনেকটাই বেশি। ফলে সাধারণ মানুষের নাগালে নেই সেই খাবারগুলি। তবে এরই মাঝে এক মহিলা সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারের ফাস্ট ফুডের দোকান শুরু করেন। তিনি একেবারেই কম দামে এক খাবার বিক্রি শুরু করেন। যার ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ অনেকটাই জনপ্রিয়তা লাভ করে তাঁর দোকান।

আরও পড়ুনঃ  বাচ্চা খুব সর্দি-কাশিতে ভুগছে? সন্তানের স্নানের জলে মেশান ‘এই’ জিনিস! চনমনে হয়ে উঠবে চোখের নিমেষে

দোকানের কর্ণধার পিংকি রায় জানান, “তিনি ও তাঁর স্বামী মিলে এই সাউথ ইন্ডিয়ান ফাস্ট ফুডের দোকান শুরু করেন এক বছর আগে। তখন থেকেই তাঁরা স্বল্প মূল্যের ভাল খাবার সকলকে পরিবেশন শুরু করেন। তারপর ধীরে ধীরে আরও অনেক ধরনের খাবার যুক্ত করা হয় মেনুতে। তখন এই তিরিশ টাকা মূল্যের ধোসা বিক্রি শুরু করেন তাঁরা। যদিও প্রথম থেকেই এই ধোসা পছন্দের হয়ে উঠেছিল বহু মানুষের। মাত্র তিরিশ টাকা মূল্যের মধ্যে তাঁরা মশলা ধোসা বিক্রি করছেন। আর এতেই বহু মানুষ আসছেন দোকানে এই ধোসার স্বাদ নিতে।”

তিনি আরও জানান, “একেবারে খাঁটি জিনিস দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে এই ধোসা। তাইতো স্বাদ কমছে না খাবারের।” দোকানের এক গ্রাহক প্রলয় সরকার জানান, “জেলায় বহু সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারের দোকান থাকলেও এই দোকানের মতন নেই। এই দোকানে সমস্ত খাবারের দাম একেবারেই কম রাখা হয়েছে। তাই বলে দাম কম বলে কিন্তু মন খারাপ তা নয়। স্বাদে এবং মানের দিক থেকে এই খাবার কিন্তু একেবারেই খারাপ নয়। তাইতো সন্ধ্যে নামলেই বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই দোকানে। শুধুই জেলার মানুষেরাই নয়, জেলার বাইরের মানুষেরাও আসছেন এখানে।”

বর্তমান সময়ে অগ্নি মূল্যের বাজারে যেখানে সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারের দাম শুরু ৫০ টাকা থেকে। সেখানে মাত্র ৩০ টাকায় এই দোকানে মশলা ধোসা খেতে আসছেন বহু মানুষ। সন্ধের সময় থেকে রাত পর্যন্ত চলছে দোকান। তবে ধোসা তৈরির উপকরণ থাকা পর্যন্ত যাঁরা আসবেন তাঁরা এই স্বাদের মজা উপভোগ করতে পারবেন। কারণ একবার উপকরণ শেষ হয়ে গেলে সেদিনের মতন বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

Sarthak Pandit

Health Tips: শরীরের এই ছোট্ট লক্ষণই জানায় বিকল হচ্ছে আপনার কিডনি! ভুলেও অবহেলা করবেন না

*শরীরের অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি। কিডনি শরীরের বর্জ্য শরীর থেকে বের করে দিয়ে শরীরের রক্ত পরিশোধন করে থাকে। এই কারনেই শরীর সুস্থ থাকে এবং সচল থাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত।
*শরীরের অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি। কিডনি শরীরের বর্জ্য শরীর থেকে বের করে দিয়ে শরীরের রক্ত পরিশোধন করে থাকে। এই কারনেই শরীর সুস্থ থাকে এবং সচল থাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত।
*অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য কিডনিতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন বহু মানুষ। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরে নানারকম উপসর্গ দেখা যায়। এগুলি দেখে সতর্ক হতে না পারলেই বিপদ।
*অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য কিডনিতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হন বহু মানুষ। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরে নানারকম উপসর্গ দেখা যায়। এগুলি দেখে সতর্ক হতে না পারলেই বিপদ।
*অভিজ্ঞ চিকিৎসক সুপ্রতিম দত্ত জানান, শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। তাই কিডনি অচল হলে জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রথমে পায়ে নানা ধরনের লক্ষণ দেখা যায়।
*অভিজ্ঞ চিকিৎসক সুপ্রতিম দত্ত জানান, শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। তাই কিডনি অচল হলে জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রথমে পায়ে নানা ধরনের লক্ষণ দেখা যায়।
*কিডনিতে কোনও সমস্যা দেখা দিলেই সবার প্রথমে পায়ের গোড়ালির ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করে। গোড়ালি ফুলতে শুরু করে। এরকম হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। নাহলে বিপদ হতে পারে।
*কিডনিতে কোনও সমস্যা দেখা দিলেই সবার প্রথমে পায়ের গোড়ালির ওপর প্রভাব পড়তে শুরু করে। গোড়ালি ফুলতে শুরু করে। এরকম হলে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। না হলে বিপদ হতে পারে।
*কিডনিতে কোনও সমস্যা হলে হাঁটাচলা করতেও সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ধীরে ধীরে পা ফুলতে শুরু করে। ফলে মাটিতে পা রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পায়ের ব্যথাও শুরু হয় বেশ অনেকটাই বেশি রকম ভাবে।
*কিডনিতে কোনও সমস্যা হলে হাঁটাচলা করতেও সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ধীরে ধীরে পা ফুলতে শুরু করে। ফলে মাটিতে পা রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পায়ের ব্যথাও শুরু হয় বেশ অনেকটাই বেশি রকম ভাবে।
*পায়ের তালুর মধ্যে ব্যথা হলেও কিডনির সমস্যার একটি লক্ষণ হতে পারে। বেশি হাঁটাহাঁটি করলে বা ঘুম থেকে ওঠার পর মাটিতে পা দিলে যদি তালুতে ব্যথা হতে শুরু করে। তবে একেবারেই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
*পায়ের তালুর মধ্যে ব্যথা হলেও কিডনির সমস্যার একটি লক্ষণ হতে পারে। বেশি হাঁটাহাঁটি করলে বা ঘুম থেকে ওঠার পর মাটিতে পা দিলে যদি তালুতে ব্যথা হতে শুরু করে। তবে একেবারেই উপেক্ষা করা উচিত নয়।

Shiva Temple in Sawan: সংস্কারের পর প্রাচীন এই শিবমন্দিরে পুণ্য শ্রাবণে উপচে পড়ছে ভক্তদের ভিড়

সার্থক পণ্ডিত, তুফানগঞ্জ: বানেশ্বর কিংবা জল্পেশের শিব মন্দিরের নাম তো অনেক শুনেছেন। এই দুই মন্দির দীর্ঘ সময়ের পুরনো। তবে কোচবিহারে আরও বেশ কিছু পুরনো মন্দির রয়েছে। যেখানে গেলে যে কোনও পর্যটক কিংবা পুণ্যার্থীর মন ভরে উঠবে এটুকু নিশ্চিত। এমনই এক মন্দির হল তুফানগঞ্জ মহকুমা এলাকার অন্তর্গত ষান্তেশ্বর শিব মন্দির। এই শিব মন্দির দীর্ঘ রাজ আমলে স্থাপন করা হয়েছিল। তারপর মন্দির চত্বরের ও বেশ কিছু সংস্কার কাজ করা হয়েছে।

মন্দিরের এক ভক্ত ধর্মনারায়ণ বর্মা জানান, “রাজ আমলের এই মন্দির স্থাপন করা হয়। তবে কোনও কারণে মন্দিরের কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে রাজাদের পরবর্তী সময়ে এই মন্দিরকে ধীরে ধীরে সংস্কার করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বহু মানুষ এই মন্দিরের সম্পর্কে সঠিক জানতেন না। তবে এই মন্দিরের সম্পর্কে জানান পর বহু মানুষ এই মন্দিরে আসেন। এখানে ভগবান শিব রয়েছেন। ফলে গোটা শ্রাবণ মাসে জুড়ে প্রচুর ভক্তদের সমাগম ঘটে এই মন্দিরে। ফলে এই মন্দির ধীরে ধীরে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।”

আরও পড়ুন : ভ্যাপসা গরমের সঙ্গী অসহ্য ঘাম, যে কোনও মুহূর্তে গৌড়বঙ্গের এই জেলায় ধেয়ে আসবে বজ্রবিদ্যু‍‍ৎ-সহ বৃষ্টি

মন্দিরের আরও দুই ভক্ত জয়কৃষ্ণ বর্মন ও সরলা বর্মন জানান, “একটা সময় এমন ছিল যখন খুব বেশি ভক্ত আসতেন না। সেখানে বিপুল পরিমাণে মানুষ এখন ভিড় জমান মন্দিরে। প্রাচীন এই মন্দিরকে সংস্কার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থায় রয়েছে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডে। শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার করে এখানে বড় করে যজ্ঞেরও আয়োজন করা হয়। এছাড়াও রান্না করা হয় প্রচুর ভোগের খিচুড়ি। দূর দুরান্তের ভক্তরা এখানে আসেন শিবের মাথায় জল ঢালতে ও মন্দির দর্শন করতে।”

বানেশ্বর ও জল্পেশ মন্দির ছাড়াও এই ষান্তেশ্বর শিব মন্দিরেও বহু মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে শ্রাবণ মাসে। আগামিদিনে এই মন্দিরে ভিড় আরও অনেকটাই বেড়ে উঠবে বলে আশা। এবং মন্দির সংস্কার করে আরও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ রাখা হোক, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

Pregnant Woman Death: মা হওয়ার আগেই সব শেষ! সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে আচমকা মৃত্যু প্রসূতির, কী হল হাসপাতালে পা রাখতেই…!

কোচবিহার: জেলা কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আবারও রোগীমৃত্যুর অভিযোগ। আর এই ধরনের অভিযোগ উঠতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা চত্বর। এক গর্ভবতী মহিলার সিজার করতে গিয়ে মৃত্যু ঘটে। ঘটনার পর রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন মাতৃমা চত্বরে। এখনও তাঁরা সকলেই মাতৃমার সামনেই বসে রয়েছেন। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

আরও পড়ুন: যে কোনও ডাল খাচ্ছেন? ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে! মুগ নাকি মুসুর… কোনটি স্বাস্থ্যকর? বলছেন চিকিৎসক

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন এক গর্ভবতী মহিলার সিজার অপারেশন করতে গিয়ে আচমকাই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। মুহূর্তে সেই রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ এনে মাতৃমার সামনে একত্রিত হয়ে কান্না জুড়ে দেন। দ্রুত ঘটনার পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ ছুটে আসে মেডিক্যাল কলেজে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে ক্রমশ এলাকার উত্তাপ বাড়ছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

গোটা বিষয়টি নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁদের থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে রোগীর আত্মীয়দের পক্ষ থেকে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভিড় জমছে বিপুল মানুষের।

Sarthak Pandit