Category Archives: কোচবিহার
Torsha River: টানা বর্ষণে ফুঁসছে তোর্ষা! যাতায়াতের ভরসা একমাত্র নৌকা, তাই ঝুঁকির পারাপার
কোচবিহার: জেলা কোচবিহারের সদর শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে তোর্ষা নদী। বছরের বেশিরভাগ সময়ে প্রচুর মানুষ এই নদী পারাপার করে থাকেন। শহরের ফাঁসির ঘাট এলাকায় এই নদী পারাপার দীর্ঘ সময় ধরে হয়ে আসছে। বছরের যে সময় গুলিতে নদীর জল কম থাকে, সেই সময় অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার চলে। তবে নদীর জল বাড়লে সেই সাঁকো বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন নদী পারাপার চলে নৌকায়।
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা মুকুল রায় জানান,”সারাটা বছর তাঁরা এখন এই জায়গা দিয়েই নদী পারাপার করেন। এতে সময় কম লাগে চলাচল করতে। এছাড়া অনেকটাই সুবিধা হয় যেকোনও কাজের ক্ষেত্রে। তবে নদীর জল বাড়লে নৌকা দিয়ে এই পথে নদী পারাপার করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে।”
আরও পড়ুন:পকেটে ১০টাকা থাকলেই ভরবে মন! অবাক স্বাদের খনি এই চপের দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়
নদী পারাপারের মাঝি উৎপল দাস জানান,”এখানে নদী পারাপার করতে ঝুঁকি থাকলেও বহু মানুষের এই পথ ভরসা। তাইত এই পথে সারাদিনে প্রায় হাজারের বেশি মানুষ চলাচল করে থাকেন। এখানে নদী পারাপার করতে ১০ টাকা নেওয়া হয়।” দীর্ঘ সময় ধরে বহু মানুষ এখানে স্থায়ী সেতুর দাবি জানালেও আজও সেই সেতু হয়ে ওঠেনি। তাই দিনের পর দিন এভাবেই এখানের ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত হয়ে আসছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Sarthak Pandit
Diabetes Control Tips: শুধু মিষ্টি আর আলু নয়, ছাড়তে হবে এই ৩ খাবারও! নাহলেই বড় বিপদ, ডায়াবেটিস রোগীরা খুব সাবধান
Health Tips: পেশির যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যাচ্ছেন? শরীরে বেড়েছে কোলেস্টেরলের মাত্রা! সবুজ এই সবজি রোজ রান্নায় অবশ্যই খান
North Bengal weather: উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঘোর দুর্যোগ! টানা ভারী বৃষ্টি চলবে, ধস এবং বন্যার আশঙ্কা
Viral Chop Shop:পকেটে ১০টাকা থাকলেই ভরবে মন! অবাক স্বাদের খনি এই চপের দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়
কোচবিহার: কোচবিহারে এক অভিনব চপের দোকান! সন্ধে নামলেই এই চপের দোকানের সামনে ভিড় জমছে বহু ক্রেতার। কেনই বা ক্রেতারা বারবার ছুটে আসছেন এই দোকানে?
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই দোকানের চপ দারুণ সুস্বাদু ও ভাল মানের, যা ইতিমধ্যেই বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মাত্র এক মাস আগে শুরু হয়ে এই চপের দোকান দারুণ ব্যবসাও করছে। মাত্র দশ টাকা দামেই অনেক ধরনের চপ মেলে এই দোকানে।
দোকানের কর্ণধার সুমন মন্ডল জানান, এই দোকান এক মাস হয়েছে তিনি শুরু করেছেন। তবে দোকানে ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। সন্ধে হলেই চপ বিক্রি শুরু করেন তিনি। প্রতিদিন বহু মানুষ এই দোকানে আসছেন সুস্বাদু চপের স্বাদ নিতে। কেউ কেউ তো আবার প্যাকেট করেও নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। তবে দিনে তিনি প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০টি চপ সহজেই বিক্রি করে ফেলছেন। চপের সুখ্যাতি শুনে দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসছেন এই দোকানে।
ক্রেতা জয়দেব সরকার বলেন, “এই দোকানের চপ অন্যান্য দোকানের চপের চাইতে অনেকটাই ভাল মানের। এছাড়া দারুণ সুস্বাদু ।”
তবে এই অগ্নিমূল্যের বাজারে মাত্র ১০ টাকা দিয়ে এত রকমারি চপ কী ভাবে দিচ্ছেন বিক্রেতা? এই প্রশ্ন কিন্তু সকলের মনের মধ্যেই উঠছে। তবে বিক্রেতার দাবি, তিনি অধিক লাভ না রেখে, সামান্য লাভে ক্রেতাদের ভাল মানের জিনিস খাওয়াচ্ছেন। তাই তিনি এত কম দামে চপ বিক্রি করতে পারছেন। গোয়ালা পট্টি এলাকার তারা মহলের ঠিক উল্টোদিকে এই চপের দোকান। পকেটে মাত্র দশ টাকা থাকলেই এই চপের স্বাদ নিতে পারেন! মাটন থেকে চিকেন কী নেই!
আরও পড়ুন- বন্যার সতর্কতা ৪ জেলায়! ডিভিসি না বলেই জল ছাড়ল কেন? কড়া বার্তা নবান্নর
একবারে রাত পর্যন্ত চলছে এই দোকানের কর্মকাণ্ড। গরম কিংবা বৃষ্টি যে কোনও সময়ে এই চপের দোকানের চাহিদা কিন্তু কমতে দেখা যাচ্ছে না। শুধুই জেলার নয় জেলার বাইরের বহু মানুষও এখানে আসছেন এই বিশেষ সুস্বাদু চপের স্বাদ নিতে।
সার্থক পন্ডিত
Bad Cholesterol Control Fruit: একটা ফল কমাবে ১০% ব্যাড কোলেস্টেরল! ১ মাসেই চর্বি টেনে বের করবে! ধন্বন্তরি লাল ফল হাতের নাগালে
Weather: মুষলধারে বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া, মুহুর্মুহু বাজ! গাছের ডাল ভেঙে মৃত ১
কোচবিহার: বিগত বেশ কিছুদিন ধরে টানা গ্রীষ্মের দাপট চলেছে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে। দক্ষিণের জেলা গুলিতে বৃষ্টির দেখা মিললেও, উত্তরের জেলা গুলিতে তীব্র গরমের দাপট অব্যাহত ছিল। এই ছবির ব্যতিক্রম ছিল না জেলা কোচবিহারে। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী কোচবিহারে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে গাছের ডাল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির।
পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়-সহ বজ্রপাত হচ্ছে জেলায়। আর আবহাওয়ার এই পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছে শীতলকুচির এক বাসিন্দার। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও এক ব্যক্তি। বেশ কিছু বড় গাছ ও বিদ্যুৎ সংযোগের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি।
আরও পড়ুন: কোবরা এবং কিং কোবরার মধ্যে পার্থক্য জানেন কী? কার বিষে একসঙ্গে মৃত্যু হতে পারে ২০ জনের!
সূত্র মারফত জানতে পারা গিয়েছে, ‘এদিন বিকেল থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘূর্ণিঝড়-সহ বজ্রবিদ্যুৎ ও বৃষ্টিপাত শুরু হয়। আর এতেই শুরু হয় বিপত্তি। শীতলকুচি এলাকার ছোট শালবাড়িতে গবাদি পশু চরাতে গিয়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় কুটি হালদার নামে বছর ৫৫ এক ব্যক্তির। এছাড়া রবি বর্মন নামে বছর ৪৫ এর গোলেনাহাটির মীরা পাড়ায় এক ব্যক্তি বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন।
বর্তমানে তিনি শীতলকুচির গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে শীতলকুচি, মাথাভাঙা ও হলদিবাড়ি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে একটি করে বাড়ি। মাথাভাঙা ১টি রাস্তা অবরুদ্ধ হয়েছে চলন্ত ট্রাকের ওপর গাছ পড়ে যাওয়ার কারনে। ঘোকসাডাঙা এলাকায় উপরে পড়েছে একটি বৈদ্যুতিক সংযোগের খুঁটি। এছাড়াও মেখলিগঞ্জ এলাকায় একটি দোকান ও মোটর বাইকের ওপর উপরে পড়েছে বড় গাছ।’
আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে
পুলিশ সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, “বেশিরভাগ জায়গায় বিপর্যয় মোকাবেলা দল পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলিতে বিপর্যয় মোকাবেলা দল পাঠিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।” এখনও পর্যন্ত জেলায় ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত এলাকার মানুষদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।
Sarthak Pandit
Fake Mustard Oil: প্রতিদিনের ব্যবহারে সর্ষের তেলেও মিশছে ভয়ানক ‘বিষ’! বেছে নেওয়ার সহজ উপায়, সাবধানে খান
Durga Puja 2024: ৭৫-এ পা, এবার দুর্গাপুজোয় বিরাট চমক এই ক্লাবের! চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি
কোচবিহার: দুর্গাপুজো মানেই বাঙালির জন্য এক আলাদা আবেগ। কারণ, বাঙালির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ উৎসব এই দুর্গাপুজো। তাইতো পুজো আসার অনেকটাই সময় আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। একটা সময় সাবেকিয়ানা ছিল দুর্গা পুজোর প্রধান বিষয়। তবে বর্তমানে সবেকিয়ানার চাইতে থিম পুজো বেশি চোখে পড়ে সর্বত্র। রকমারি মন্ডপ সজ্জা থেকে শুরু করে আলোকসজ্জা নজর আকর্ষণ করে সকলের। সঙ্গে এক ক্লাবের সঙ্গে অন্য ক্লাবের চলে বাজেটের জোর টক্কর। এবার জেলা কোচবিহারের ৭৫ বছরের দুর্গাপুজোয় নতুন চমক থাকতে চলেছে টাকাগাছ ক্লাবে।
ক্লাবের ও পুজো কমিটির সম্পাদক নিরেন্দ্র নাথ রায় জানান, “এবারে তাঁদের ক্লাবের পুজোর ৭৫-তম বর্ষে পদার্পণ। তাই এবার থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হচ্ছে পুজো মন্ডপ। দীর্ঘ দেড় মাস আগে থেকে এই পুজো মন্ডপ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এই পুজো মন্ডপ সম্পন্ন হবে মহালয়ার একদিন আগে। আনুমানিক মোট পঞ্চাশ লক্ষ টাকার মোট বাজেটের সামান্য বেশি টাকায় এই গোটা থিম সাজানো হচ্ছে। চন্দননগরের আলোকসজ্জা থাকতে চলেছে গোটা এলাকাজুড়ে। এছাড়া বিশেষ আলোকসজ্জা থাকছে পুজো মন্ডপকে কেন্দ্র করেও।”
তিনি আরও জানান, “এখনও পর্যন্ত আনুমানিক পাঁচ হাজারের বেশি বাঁশ ব্যবহার করা গিয়েছে মন্ডপ নির্মাণে। এছাড়া মন্ডপ সাজাতে ব্যবহার করা হচ্ছে মার্কিন কাপড় এবং প্লাস্টার অফ প্যারিস এর বিভিন্ন মূর্তি।” ক্লাবের এক সদস্য প্রভাত বিশ্বাস জানান, “প্রতি বছরের পুজোয় নিত্যনতুন আকর্ষণ তাঁরা নিয়ে আসেন সকলের জন্য। এবারেও সেই বিষয়ে অন্যথায় হয়নি। এবারের থিম হয়তো সকল দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীদের অনেকটাই পছন্দ হবে এমনটাই আশা রাখছেন তাঁরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাজেট কিছুটা বাড়ানো হয়েছে পুজোতে। তবে সকলের সামর্থ্যের বিষয়ে খেয়াল রাখা হচ্ছে।”
জেলায় এবার বিগ বাজেটের পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠতে চলেছে টাকাগাছ ক্লাবের এই পুজো। ইতিমধ্যেই জেলার মানুষের কাছে এক নতুন আকর্ষণ তৈরি হয়েছে এই বিশেষ পুজো মন্ডপের থিমকে ঘিরে। দুর্গা পুজোর দ্বিতীয় থেকে এই পুজো মন্ডপ সকলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা চলছে। তবে জেলার বাইরের মানুষদের জন্য এই পুজো মন্ডপ ঘুরে দেখার তালিকায় রাখতেই পারেন।
Sarthak Pandit