Category Archives: পূর্ব বর্ধমান

East Bardhaman News: একসময় ছিল ঘন জঙ্গল, এখন প্রায়শই আসছেন বিদেশীরা, কী এমন আছে ‘এই’ গ্রামে? জানলে চমকে যাবেন

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার নতুনগ্রাম। এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই জড়িত রয়েছেন শিল্পের সঙ্গে। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও কাজ করেন। বর্তমানে এই এই গ্রাম অনেকের কাছেই বেশ জনপ্রিয়। বিদেশি পর্যটকদেরও যাতায়াত বেড়েছে এই গ্রামে। এক কথায় বলতে গেলে শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই জীবনযাপন করছেন গ্রামের শিল্পীরা। অনেকের কাছে এই গ্রাম শিল্পিগ্রাম, আবার বিভিন্ন জনের কাছে কাঠ পুতুলের গ্রাম নামেও পরিচিত।নতুন গ্রামের খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু এই গ্রাম একসময় ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা। ছিলনা কোনও জনবসতি। একদল কাঠুরিয়া কাঠ কাটতে এসে এখানে এই গ্রাম গড়ে তোলেন। নাম হয় নতুন গ্রাম। সেখানে থাকতে শুরু করেন সূত্রধররা। প্রথমে পাথরের মূর্তি গড়লেও পরে তাঁরা এই কাঠের শিল্পকে আপন করে নেন।

এই প্রসঙ্গে গ্রামের শিল্পী জয়দেব ভাস্কর বলেন, “প্রথমে এই গ্রামে আগে পাথরের কাজ হত। পরবর্তীতে ঠাকুরের কাজ করতেন সকলে। কিন্তু ঠাকুরের কাজে সেভাবে রোজগার হতনা। তাই পেশা বদলে কাঠের কাজের সঙ্গে সকলে নিযুক্ত হয়। যেহেতু বাঙালির ঘরে ঘরে মা লক্ষ্মীর পুজো হয়। সেই কারণে পেঁচার চাহিদার কথা মাথায় রেখে শুরু হয় কাঠের পেঁচা তৈরি। কিন্তু এখন পেঁচা ছাড়াও আরও বিভিন্ন জিনিস তৈরি হয়। শিল্পের বাজার এখন ভাল। এখানকার জিনিস আমি অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা-সহ আরও বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছি। বিদেশী পর্যটকরাও এখন এখানে ঘুরতে আসছেন। কয়েকদিন আগেও বিদেশীরা এসেছিলেন আমার কাছে জিনিস কিনেছেন , হাতের কাজও দেখে গিয়েছেন। “

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

রথের মেলা, রাসযাত্রা,জয়দেবের মেলা-সহ সব মেলাতেই নতুনগ্রামের বিভিন্ন কাঠের পুতুলের চাহিদা বরাবরের। চাহিদা বেড়েছে মঞ্জুষা, বিশ্ববাংলার স্টলে। তবে এখন সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে বিশ্বজোড়া বাজার পেয়েছে নতুনগ্রাম। রাজ্য দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্ডার আসছে অনলাইনে।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

শিল্পীরা তাদের কাজেও বিভিন্ন ধরনের নতুনত্ব নিয়ে আসছেন। দিনের পর দিন পরিশ্রম করে নতুন জিনিস তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের শিল্পীরা। পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামে এখন বিদেশী পর্যটকেরাও আসতে শুরু করেছেন। একবার ভেবে দেখুন একসময় যে গ্রাম ছিল জঙ্গলে ঢাকা , আজ সেই গ্রামের খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে পৌঁছে যাচ্ছে বিদেশেও।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Purba Bardhaman News: বৈশাখ সংক্রান্তিতে দেবীর পুজো ঘিরে সাজো সাজো রব এই সতীপীঠে, ভিড় পুণ্যার্থীদের

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: শরৎকালে এই গ্রামে হয় না কোনও দুর্গাপুজো। বৈশাখমাসের এই পুজোকে ঘিরেই উৎসবের আমেজ গ্রাম জুড়ে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষীরগ্ৰামে য্যোগাদ্যা দেবীর পুজো ও মেলা। ৫১ সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম একটি সতীপীঠ হল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্ৰামের য্যোগাদ্যা সতীপীঠ। জানা যায়, বর্ধমানের মহারাজ কীর্তিচন্দ ক্ষীরগ্ৰামে য্যোগাদ্যা দেবীর মন্দির নির্মাণ করান।

সারাবছর মা য্যোগাদ্যার প্রস্তর মূর্তি ক্ষীরদীঘির জলে নিমজ্জিত থাকে। বছরে মাত্র ছ’দিনের জন্য ডাঙায় আনা হয় সেই মূর্তি। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র দু’দিন দেবীর দর্শন পান ভক্তরা। বৈশাখ সংক্রান্তির আগের দিন এবং জ্যৈষ্ঠের চার তারিখে। এছাড়া, বাকি চারদিন হল আষাঢ় নবমী, বিজয়া দশমী, পনেরোই পৌষ এবং মাঘ মাসের মাকরী সপ্তমী। ওই চারদিন দেবী যোগাদ্যাকে তুলে পুজো করা হলেও, দেবীকে দর্শনের অনুমতি পান না ভক্তরা। প্রত্যেক বছরের মত এবারেও ধূমধাম সহকারে শুরু হয়েছে দেবী যোগাদ্যার পুজো এবং মেলা।

আরও পড়ুন : অতীতে ভেসে আসা বন্ধ বাক্স ঘিরেই চলে পুজো, বসে মেলা, নামে ভক্তদের ঢল

এই প্রসঙ্গে মন্দির কমিটির এক সদস্য বলেন , “এই পুজোকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের সমাগম হয়। দেবীকে দর্শনের জন্য উপচে পড়ে ভিড়। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। এটাই আমাদের প্রধান উৎসব। ” পূর্ব বর্ধমানের ক্ষীরগ্রামের যোগাদ্যা পুজোকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। দুর্গাপুজো নয় , যোগাদ্যা দেবীর পুজোই এই গ্রামের প্রধান উৎসব। যোগাদ্যা দেবীর পুজো গ্রামবাসীর কাছে যেন একটা আবেগ। সারাবছর এই পুজোর জন্য অপেক্ষায় থাকেন গ্রামবাসীরা। জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলা থেকেও বহু ভক্ত আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে।

মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ক্ষীরগ্রামের দেবী যোগাদ্যার এই পুজো এবং মেলা। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বসেছে এই মেলা। আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে সম্পূর্ণ ক্ষীরগ্রাম। রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। জানা গিয়েছে সাতদিন ধরে এই উৎসব চলবে ।

Travel Story: তিন শিক্ষিকার কাণ্ড শুনলে আপনিও অবাক হবেন

পূর্ব বর্ধমান: এই তিন শিক্ষিকার কাণ্ড দেখলে আপনিও অবাক হবেন! সুতপা দাস, তপতী দেবনাথ এবং রুমা বর্ধনের এই উদ্যোগে অবাক সকলেই। পেশায় শিক্ষিকা এই তিন মহিলা ছুটি পেলেই বেড়িয়ে পড়েন ঘুরতে। তবে শুধুই যে ঘুরতে যান তা কিন্তু নয়। ঘোরার পাশাপাশি সকলকে দেন সচেতনতামূলক বার্তা। মূলত স্বচ্ছ, সুস্থ, স্বাভাবিক পৃথিবী গড়ে তোলার উদ্দ্যেশ্য নিয়ে এহেন কাজ করে চলেছেন এই তিন শিক্ষিকা। সেরকমই বুধবার আবার‌ও ভ্রমণে বেরোলেন এই তিন শিক্ষিকা।

এই প্রসঙ্গে শিক্ষিকা সুতপা দাস বলেন, আমরা শিক্ষিকা। যখনই ছুটি পাই সুস্থ সমাজ গড়ার সচেতনতামূলক বার্তা নিয়ে ভ্রমনে বের হ‌ই। এবার সেভ ওয়াটার, সেভ লাইফ এবং সেভ আর্থ বার্তা নিয়ে ভ্রমণে বেরিয়েছি। প্রথমে আমরা ভুটান যাব। ওখানে তিন দিন থাকব এবং কিছু সচেতনতামূলক শিবির করে আবার দেশে ফিরে আসব। মেঘালয়, মনিপুর, নাগাল্যান্ড হয়ে আমরা আবার ফিরে আসব।

আরও পড়ুন: বড়দের ছাড়াই একসঙ্গে পুকুরের স্নান করতে গিয়েছিল, ভয়ঙ্কর পরিণতি দুই কিশোরীর…

জানা গিয়েছে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক জায়গায় ভ্রমণ করেছেন এই তিনজন। বিভিন্ন জায়গায় প্রদান করেছেন বিভিন্ন ধরনের বার্তা। জন সাধারণকে সচেতন করার জন্য অনেক সচেতনতামূলক শিবিরও করেছেন। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সেভ গার্ল চাইল্ডের বার্তা নিয়েও ভ্রমণ করেছেন তাঁরা। সেরকমই আবারও নতুন বার্তা প্রদানের লক্ষ্যে এদিন বুধবার ভ্রমণের জন্য রওনা দিলেন এই তিনজন।

এই মুহূর্তে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। তাকে দ্রুত ঠেকাতে না পারলে এই মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তাই এবার এমন একটি বিষয় নির্বাচন করে তাঁরা ভ্রমণে বের হয়েছেন।এবারের এই ভ্রমণ সম্পন্ন হতে এই তিন শিক্ষিকার সময় লাগতে পারে ২০ থেকে ২৫ দিন। তাদের কথায়, সব নিয়ে এই ভ্রমণে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হবে। আগামী দিনেও তাঁরা এইভাবে ভ্রমণে বের হবেন বলে জানান।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Migrant Labours Accident: পেটের দায়ে বিহার থেকে বাংলায় কাজে এসেছিলেন, নদীতে নামতেই ভয়ঙ্কর পরিণতি দুই তরুণীর

পূর্ব বর্ধমান: বুধবার জেলায় ঘটে গেল একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পেটের দায়ে বিহার থেকে বাংলায় কাজ করতে এসে নদীতে তলিয়ে গেলেন দুই তরুণী! তাঁদের সন্ধানে ভাগীরথী নদীতে জোরদার তল্লাশি অভিযান চলছে।

এদিন দুপুরে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নেমে ছিলেন বিয়ার থেকে আসা প্রতিমা কুমারী মাঝি ও মালতী কুমারী মাঝি। পেটের দায়ে তাঁরা বাংলার ইটভাটায় কাজ করতে এসেছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার অন্তর্গত নন্দগ্রাম এলাকার একটি ইটভাটাতে কাজ করতেন তাঁরা। এক সহকর্মী জানিয়েছেন, ইটভাটার পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীতে স্নান ও জামা কাপড় কাচার জন্য ওখানকার শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই নেমেছিলেন। মোট সাতজন ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ‌ই প্রতিমা ও মালতী তলিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: বাড়িতেই মজুত কোটি কোটি টাকার মাদক! সঙ্গে নগদ ৩২ লক্ষ, টাকা গোনার মেশিন উদ্ধার

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কালনা থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। দুপুর দুটো নাগাদ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডুবুরিরা নিখোঁজ ওই দুই তরুনীর খোঁজে নদীতে নামেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে জলের মধ্যে চলে তল্লাশি। তবে বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ তরুণীদের কোনও খোঁজ মেলেনি।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Earthen Pot Water: ফ্রিজের জল ছাড়ুন, গরমে মাটির কলসির জল পানে এতগুলো উপকার পাবেন

পূর্ব বর্ধমান: এক সপ্তাহের সাময়িক স্বস্তি শেষে আবারও চড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। এই পরিস্থিতিতে একটা বড় অংশের মানুষ স্বস্তি পেতে ফ্রিজের ঠান্ডা জলে নিয়মিত গলা ভেজান। কিন্ত চিকিৎসকরা ফ্রিজের ঠান্ডা জল বা বাজার চলতি ঠান্ডা সফট ড্রিঙ্ক পান করতে বারণ করছেন। উল্টে পরামর্শ দিয়েছেন এই গরমে মাটির কলসি বা কুঁজোর জল পান করা উচিত। একমাত্র এটাই স্বাস্থ্যসম্মত।

কিন্তু ফ্রিজের জল নিয়ে কেন এমন মত চিকিৎসকদের? মাটির কলসির জল খেলেই বা কী উপকার হবে? চলুন, চিকিৎসকরা এই বিষয়ে ঠিক কী বলছেন সেটা জেনে নেওয়া যাক-

আরও পড়ুন: ৬ মাসের উপর বন্ধ চা বাগান, এখন চালু হল না ভাতা

চিকিৎসক মিলটন বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে বলছেন, আগেকার দিনের মানুষেরা গরমের সময় মাটির কলসি বা কুঁজোর ঠান্ডা জল পান করত। কিন্তু বর্তমানে সেই অভ্যেসটা কমে গিয়েছে। বদলে ফ্রিজের জলে গলা ভেজাচ্ছে লোকজন। তাতে শরীরে নানান অসুখ দেখা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা ফ্রিজের ঠান্ডা জল খেলে গলায় সংক্রমণের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। কিন্তু মাটির কলসির জল পান করলে সেই আশঙ্কা নেই।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাটির কলসির জল নিয়মিত পান করলে শরীরের পরিপাকতন্ত্র অনেক বেশি কার্যকরী থাকে এবং পাকস্থলীতে খাবার হজম করার জন্য নানান ধরনের অ্যাসিড তৈরি ভালভাবে হয়। এর ফলে পেটের ভিতরে থাকা অ্যাসিড কিছুটা প্রশমিত হয়ে আমাদের পেটের মধ্যে অম্ল এবং ক্ষারের ভারসাম্যটাকে বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Lok Sabha Election 2024: অন্ধের যষ্টি! কিছু না পেয়েও গণতন্ত্রকে জিতিয়ে দিলেন ভগবতী ও গঙ্গাধর

পূর্ব বর্ধমান: দৃষ্টিহীন স্বামীকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়ালেন ভগবতী সাহা। সোমবার কাটোয়ায় দেখা গেল এই দৃশ্য। যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দৃষ্টিহীন স্বামী গঙ্গাধর সাহাকে ভোটদানের ব্যবস্থা করে দিলেন বৃদ্ধা ভগবতী। তাঁর হাত ধরে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসেন।

বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাটোয়া শহরের একটি বুথে সোমবার এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়। বৃদ্ধা ভগবতীদেবী জানান, তাঁর স্বামীর দৃষ্টিশক্তি নেই, শ্রবণ শক্তিও ক্ষীণ। তবে ভোট দেওয়ার ইচ্ছে ছিল। তাই তিনি সঙ্গে করে বুথে নিয়ে এসে ভোটদানের ব্যবস্থা করে দেন।

আরও পড়ুন: কোদালিয়া নদী যেন আজ ধু ধু মাঠ! প্রাণ ফেরানোর প্রতিশ্রুতি প্রার্থীর

এদিকে ভোটদান শেষে বাড়ি ফেরার সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আক্ষেপের সুরে ভগবতী সাহা জানান, তাঁদের অবস্থা ভাল না হলেও সেভাবে কোনও সুযোগ-সুবিধা পান না। তবুও, স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে এসেছেন। ভগবতীদেবীদের ঠিক এই মনোভাবের কাছেই জিতে যায় ভারতীয় গণতন্ত্র। তেমন কিছু না পেয়েও গণতন্ত্র, সংবিধানের প্রতি কী প্রবল আস্থা মানুষের! এগুলোই আসলে গণতন্ত্রের ভিত আরও মজবুত করে।

বৃদ্ধা ভগবতী সাহা আরও বলেন, ভোট দিতে হয় তাই দিচ্ছি। স্বামী অন্ধ, মেয়েদের সাহায্যে কোনওরকমে দিন কাটে। আলু সিদ্ধ ভাত খেয়ে থাকি। ৪০ বছর ধরে এভাবেই একইসঙ্গে ভোট দিই আমরা।

জানা গিয়েছে, এই প্রবীণ দম্পতি কাটোয়া শহরের কাশীগঞ্জ পাড়ার বাসিন্দা। বিগত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে আসছেন। এই বছরও সেই ধারা অব্যাহত রেখে ভোট দিতে এসেছেন স্বামী-স্ত্রী দুজনে। তবে কোনওদিন কোনও সুযোগ সুবিধা পাননি তাঁরা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Lok Sabha Election 2024: লক্ষ্মীর ভান্ডারের বার্তা-সহ শাড়ি পরে ভোটকেন্দ্রে গেলেন তৃণমূলকর্মী, তার পর যা হল….

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: লক্ষ্মীর ভান্ডার শাড়ি পরে ভোট দিতে এলেন রাজ্যের শাসক দলের এক মহিলা কর্মী। আর এই শাড়িকে কেন্দ্র করেই পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় পূর্বস্থলী ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিকের। সোমবার নির্দিষ্ট ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যান ওই মহিলা তৃণমূল কর্মী। তবে তিনি যে শাড়ি পরেছিলেন সেই শাড়ির মধ্যে ছিল ভাঁড়ের ছবি এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার লেখা। জানা যায় এই শাড়ি দেখার পরই বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হয়।

এই প্রসঙ্গে বিশাল চৌধুরী নামের স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন , “আমরা অনেকক্ষণ ধরেই দেখছি উনি ওই শাড়ি পরে বুথের মধ্যে ঢুকছেন এবং বেরোচ্ছেন। ভোট দিয়ে চলে গেলে সেটা ঠিক ছিল। কিন্তু উনি বাইরে বারান্দায় বেঞ্চে বসে ছিলেন। এটা নির্বাচন। লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রচার করা শাড়ি পরে থাকা যায় না। এবং এজেন্ট ছাড়া বুথে কেউ থাকতে পারেন না। ওই মহিলা এজেন্ট নন। সেই কারণে আমরা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট করি। এটার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করা হচ্ছিল।”

তবে পূর্বস্থলী ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক জানিয়েছেন, “বিষয়টা কিছুই নয়। মেয়েরা কোথাও থেকে শাড়ি এনেছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার মা লক্ষ্মীর প্রতীক। আবহমান কাল থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা জমানোর কথা বলা হচ্ছে। সেই শাড়ি পরেই ভোট দিতে এসেছিলেন। কিন্তু কত বড় ঔদ্ধত্য ওই পুলিশ অফিসারের! তিনি বলছেন আপনি শাড়ি পাল্টে আসুন। কিন্তু কেন শাড়ি পাল্টে আসবে? লক্ষ্মীর ভান্ডার তো আর আমাদের পার্টির প্রতীক নয়। অযথা একটা উত্তেজনার সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন : শ্রীরামপুর লোকসভায় এসে সন্দেশখালির মহিলাদের চোখে জল! রাজনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত

অন্যদিক লক্ষ্মীর ভান্ডার শাড়ি পরে আসা ওই মহিলা অনিমা দেবনাথ বলেন, “পুলিশ বলছে এই শাড়ি পরেএখানে আসা যাবে না, থাকা যাবে না । শাড়িতে কী সমস্যা রয়েছে তা আমি জানি না। আমি ভোট দিয়েছি।” প্রসঙ্গত এই লক্ষ্মীর ভান্ডার শাড়িকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হলেও পরবর্তিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

East Bardhaman News: কড়া নিরাপত্তা, কিন্তু দেখা নেই ভোটারদের ! কিন্তু কেন ? দেখুন বিস্তারিত.. 

কড়া নিরাপত্তা, কিন্তু দেখা নেই ভোটারদের। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দিলালপুর গ্রামে ২৫৩ নম্বর বুথে এমনই চিত্র এদিন লক্ষ্য করা গেল।
কড়া নিরাপত্তা, কিন্তু দেখা নেই ভোটারদের। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দিলালপুর গ্রামে ২৫৩ নম্বর বুথে এমনই চিত্র এদিন লক্ষ্য করা গেল।
তবে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের জমায়েত লক্ষ্য করা যায় এদিন। সেই জমায়েত সরিয়ে দিতে এবং এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মেমারি থানার আধিকারিক দেবাশিস নাগের নেতৃত্বে পুলিশি টহলও দেখা যায়। দেখা গেল সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও।
তবে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের জমায়েত লক্ষ্য করা যায় এদিন। সেই জমায়েত সরিয়ে দিতে এবং এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মেমারি থানার আধিকারিক দেবাশিস নাগের নেতৃত্বে পুলিশি টহলও দেখা যায়। দেখা গেল সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও।
সূত্রের খবর, এই ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ১২৯৮ জন। সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত পাঁচটি ভোট পড়েছে, বলে জানিয়েছেন ২৫৩ নম্বর বুথের প্রিজাইডিং অফিসার।
সূত্রের খবর, এই ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ১২৯৮ জন। সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত পাঁচটি ভোট পড়েছে, বলে জানিয়েছেন ২৫৩ নম্বর বুথের প্রিজাইডিং অফিসার।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঝে মধ্যে হাতেগোণা কয়েকজন স্থানীয় ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসছেন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাঝে মধ্যে হাতেগোণা কয়েকজন স্থানীয় ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসছেন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে।
জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্রিজ ও রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করেছে দিলালপুর গ্রামের মানুষেরা।
জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্রিজ ও রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট করেছে দিলালপুর গ্রামের মানুষ।

Lok Sabha Election 2024: এই গ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট দিতে যেতে হয়

পূর্ব বর্ধমান: এই বাংলায় ভোটকে উৎসবের সঙ্গে তুলনা করা হয়। নির্বাচনের দিন আর পাঁচটা জায়গার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ছবি থাকে বাংলায়। সর্বত্র যেন সাজো সাজো রব। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের চরবিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে বিষয়টা সম্পূর্ণ অন্যরকম। বরং প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিটা নির্বাচনেই ভোট দিতে চান তাঁরা।

বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে এই চরবিষ্ণুপুর। কাটোয়া-২ ব্লকের এটি একটি গ্রাম। তবে এই গ্রামটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। এই গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে ভাগীরথী নদী। ফলে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে গ্রামটি। ভাগীরথী নদীর দুই পাড়ে একই গ্রাম অবস্থিত। ফলে চরবিষ্ণুপুর গ্রামের ভাগীরথীর এক পাড়ের বাসিন্দাদের ভোটের দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পেরিয়ে অন্য পাড়ে গিয়ে ভোট দিতে হয়।

আরও পড়ুন: সাত সকালেই স্বস্তির নিঃশ্বাস, ঘুম থেকে উঠেই খুশির খবর

সোমবার এই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ফলে যথারীতি এদিন সকাল থেকে নৌকা করে ভোট দিতে যাচ্ছে চরবিষ্ণুপুরের মানুষ। তবে শুধু চরবিষ্ণুপুর নয়, কালিকাপুর গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দাদেরও নদীর ওপারে ভোট দিতে যেতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে এভাবেই ভোট দিয়ে আসছে কাটোয়া-২ ব্লকের চরবিষ্ণুপুর , কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এই বিষয়ে চরবিষ্ণুপুর এবং কালিকাপুর গ্রামের সুতপা সরকার, শঙ্কর চৌধুরীরা বলেন, নদী ভাঙনের কারণে গ্রাম বিভক্ত হওয়ার পর থেকে এভাবেই চলে আসছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় ভোট দিতে যাওয়ার জন্য সেই ঝুঁকি নিতে হয় গ্রামের মানুষকে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

East Bardhaman News: শান্তিতে ভোট মিটবে তো? বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত নিশ্চিন্ত নন ভোটকর্মীরা

পূর্ব বর্ধমান: ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে আজ পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে থাকতে চলেছে কড়া নিরাপত্তার চাদর। দক্ষিণবঙ্গের জেলা পূর্ব বর্ধমানে নজর রয়েছে অনেকেরই।

বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে ১) কাটোয়া ২) কালনা ৩) জামালপুর ৪) রায়না ৫) মেমারী ৬) পূর্বস্থলী উওর এবং ৭) পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা। কাটোয়া বিধানসভা এলাকায় কাটোয়া আরএমসি মার্কেটে তৈরি হয়েছে ডিসি আরসি কেন্দ্র। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট কর্মীরা এসে উপস্থিত হয়েছেন এই ডিসি আরসি কেন্দ্রে। এই কেন্দ্র থেকেই ইভিএম এবং ভোটের সামগ্রী নিয়ে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে পৌঁছেছেন ভোট কর্মীরা।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট বুথের সংখ্যা – ৪৫০৬ টি। এবং পূর্ব বর্ধমান জেলায় মহিলা পরিচালিত বুথ সংখ্যা – ৪৫১ টি। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রেও মহিলা পরিচালিত বুথ রয়েছে।

আরও পড়ুন:ভোটের সকালে তৃণমূলের ‘দরিদ্র নারায়ণ সেবা’! বীরভূমের টোকেন দেখালেই মিলছে গরমাগরম তিন পদ

ভোটের সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভোট কর্মীদেরও বিভিন্ন অসুবিধায় পড়তে হয়। ভোটের উত্তাপে অসস্তিতে পড়তে হয় ভোট কর্মীদেরও। বিভিন্ন পুরুষ এবং মহিলা ভোট কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, তাঁরা অনেকেই মনে করছেন শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হবে। এবং গরম কম থাকার কারণে তাদের ভোট করাতেও বেশ খানিকটা সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন। বেশ কিছু ভোট কর্মী বলেছেন সকলে যেন আনন্দের সঙ্গে ভোট দেয়, এবং ভোট যেন আনন্দের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়।

তবে অনেক ভোটকর্মী জানিয়েছেন ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হলেও , তাদের মনে একটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। যতক্ষণ না ভোট শেষ করে সুস্থ ভাবে বাড়ি ফেরা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত চিন্তার মধ্যে থাকতে হবে বলেই জানিয়েছেন বেশ কিছু ভোট কর্মী। তবে সকলেই আশাবাদী যে ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই হবে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী