Tag Archives: 2024 Lok Sabha election

Lok Sabha Election 2024: ভোটের মুখে পানের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণের দাবি

পূর্ব মেদিনীপুর: পান চাষের সঙ্গে যুক্ত জেলার কৃষকেরা চাইছে সরকার পানের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করুক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম অর্থকারী ফসল পান। ধানের মত পান পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় প্রতিটি ব্লকেই চাষ হয়। জেলার পাঁশকুড়া ও কোলাঘাট ব্লক বাদ দিয়ে বাকি ২৩ টি ব্লকের প্রায় ৬ হাজার ২৫১ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়। কিন্তু পানের কোনও সরকার নির্ধারিত দাম না থাকায় বারবার জেলার পান চাষিরা আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখছে।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ পঞ্চম দফার ভোট লাইভ

পূর্ব মেদনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম থেকে ময়না, কাঁথি, হয়ে তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক থেকে নন্দকুমারের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানের চাষ হয়। পান চাষের সঙ্গে যুক্ত এখানকার বহু মানুষ। কিন্তু এই পান চাষের কোনও সরকার নির্ধারিত দাম নেই। এ নিয়ে বহুবার পান চাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষকেরা দাবি তুললেও সেই দাবি এখনও পর্যন্ত মান্যতা পায়নি। ফলে ব্যবসায়ী ও ফড়েদের দ্বারা নির্ধারিত মূল্যে পান বিক্রি করতে হয় চাষিদের। তাই এবার লোকসভা ভোটের মুখে পানের সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মূল্য ঠিক করার দাবি তুলেছেন চাষিরা।

আরও পড়ুন: স্কেটিং করে কেদারনাথ! তিন বাঙালির অবাক করা সাফল্যের কাহিনী

অনেক সময় দেখা যায় ব্যবসায়ী ও ফড়েরা ইচ্ছামত পানের দাম দেয়। তাতে চাষিদের ক্ষতি হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার পান চাষিদের দাবি, ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু তাঁদের সমস্যা একই থেকে যায়।‌ বর্তমান ব্যবস্থার কারণে বাজারে পানের দাম বেশি থাকলেও চাষিরা তার সুফল পান না। উল্টে তাঁদের কাছ থেকে কম দামে পান কেনে ব্যবসায়ী ও ফড়েরা। ফলে বছরের পর বছর পান চাষ করে ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে তাঁদের।‌

সৈকত শী

Lok sabha Election 2024: ঝাড়গ্রামে আবার পদ্ম ফুটবে? মোদিতেই ভরসা খুঁজছে বিজেপি

ঝাড়গ্রাম: একসময়ের মাওবাদী অধ্যুষিত ঝাড়গ্রামে কিছুটা অভাবিতভাবেই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ফুটেছিল পদ্মফুল। যদিও লোকসভার বিচারে ভোটের ব্যবধান অতি সামান্য ছিল। কিন্তু ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সেই ঝাড়গ্রাম লোকসভার অন্তর্গত সবকটি বিধানসভাতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এমনকি গতবারের জয়ী সাংসদ ইতিমধ্যে দলও ছেড়েছেন। সব মিলিয়ে ঝাড়গ্রামে এবার শুরু থেকেই কিছুটা যেন ব্যাকফুটে বিজেপি। তবে জঙ্গলমহলের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত এই আসনটি তারা কিছুতেই হাতছাড়া করতে রাজি নয়। তাই আগামী ২০ মে এই কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনের সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ পঞ্চম দফার ভোট লাইভ

বিজেপির দাবি গতবারের জয়ী প্রার্থী তথা সাংসদ কুনার হেমব্রম দল ছাড়লেও তার প্রভাব ভোট বাক্সে পড়বে না। এদিকে ঝাড়গ্রাম দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। এই কেন্দ্রে এবার বিজেপি প্রার্থী করেছে চিকিৎসক প্রণত টুডু’কে। অন্যদিকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কালিপদ সোরেন খেরওয়াল। অপরদিকে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী করেছে জঙ্গলমহলের ‘প্যাড‌উম্যান’ নামে খ্যাত মোনামণি মুর্মু (টুডু) কে।

আরও পড়ুন: গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রকৃতির পাঠশালা

এই পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রাম রক্ষা করতে বিজেপি এখন স্বয়ং মোদির ভরসায়। ১৯ মে রবিবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের সমর্থনে নরেন্দ্র মোদি সভা করবেন খড়গপুরে। ঠিক তার পরের দিন প্রণত টুডুর সমর্থনে তিনি আসবেন ঝাড়গ্রামে। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে সভা করার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যকলাপ, সুরক্ষা ব্যবস্থা, মঞ্চ তৈরি এবং হেলিকপ্টার ট্রায়াল চলছে জঙ্গলমহলে।

দুপুর ১ টা থেকে সভা হওয়ার কথা নরেন্দ্র মোদির। লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হবে বলে দাবি করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। শনিবার ঝাড়গ্রামে নবনির্মিত ডিএম অফিস চত্ত্বর মাঠে চপার ল্যান্ড করে। গোটা জায়গাটা পর্যবেক্ষন করে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। চলছে মঞ্চ তৈরির কাজও। এসপিজি আধিকারিক, পিএমও দফতরের আধিকারিকেরা বারংবার সভাস্থল পরিদর্শন করেন। শুধু তাই নয়, বিজেপি প্রার্থী সহ জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বরা সভাস্থল ঘুরে দেখেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এই আসন বিজেপি জয় লাভ করলেও তারপর বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিজেপির। লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা সাতটি বিধানসভাতেই বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করে তৃনমূল। তারপর পঞ্চায়েতেও তেমন ভাল ফল করতে পারেনি বিরোধী দল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদির সভাকে সামনে রেখে সংগঠনকে ফের চাঙ্গা করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Election 2024: দলবদলে নজির! ব্যারাকপুরে সেই অর্জুন নাকি তৃণমূলের পার্থ? গঙ্গাতীরের শিল্পাঞ্চলে কী ফল হবে দেবদূতের?

উত্তর ২৪ পরগনা: দলবদলে ব্যারাকপুরের ধারেকাছে কেউ নেই। গত লোকসভা নির্বাচনে আগে আগে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের অর্জুন সিং। বছর তিনেক বিজেপিতে থেকে তৃণমূলে ফিরে যান। তারপর আবার বিজেপি। দেশের পঞ্চম দফা লোকসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক ও শিল্পাঞ্চল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যারাকপুর কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ২০ মে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও এই কেন্দ্রের গুরুত্ব বর্তমান শাসক বিরোধী দুই দলের কাছেই প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ পঞ্চম দফার ভোট লাইভ

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। একটা সময়ে বামেদের ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত ছিল ব্যারাকপুর। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯৫১ সাল থেকেই এই কেন্দ্রটি লোকসভা কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তারপর থেকেই নানা সময়ে নানা রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এই লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এক সময়ে বামেদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। শেষে লোকসভা নির্বাচন অর্থাৎ ২০১৯ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রটিতে মোট ভোটদাতা ছিলেন ১৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৭৬জন। আমডাঙা, বীজপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, জগদ্দল, নোয়াপাড়া এবং ব্যারাকপুর এই সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রটি গঠিত। এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির বর্তমান প্রার্থী অর্জুন সিং গত নির্বাচনেও ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন।

দিনেশ ত্রিবেদীর জয়ের মধ্যে দিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস দখল নেয় ব্যারাকপুরের। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও দেখা যায় ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে ফের আরেকবার জয়যুক্ত হন তিনি। সেই ঘাসফুলের জায়গা দখল করেই ব্যারাকপুরে জন্ম নেয় পদ্ম। ৪ লক্ষ ৭২ হাজার ৯৯৪ ভোট পেয়ে শিল্পাঞ্চলে গেরুয়া আবির উড়িয়েছিলেন অর্জুন। বিজেপির ২০ শতাংশ ভোট বেড়েছিল, আর অপরদিকে তৃণমূল খুইয়েছিল ৪ শতাংশ ভোটারের সমর্থন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পরিসংখ্যানে চোখ বোলালে জানা যায়, এই লোকসভা এলাকায় ১৪ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৩১ জন মানুষের বাস ছিল। যার মধ্যে গ্রামে বাস করতেন ১৬.৭৮ শতাংশ মানুষ ও শহরে ৮৩.২২ শতাংশ মানুষ। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ০৭৮ জন এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ছিল ৬ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৮৯। অর্ধেকেরও বেশি ভোটার শ্রমিক শ্রেণী এবং তাদের প্রায় ৩৫ শতাংশ হিন্দিভাষী এই কেন্দ্রে। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে ২০১৯ সালে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে জনমত থাকলেও, ২০২১ সালের বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস তাদের পুরনো জনসমর্থন ফের কিছুটা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। এর মাঝেও অবশ্য আরও কিছু রাজনৈতিক পালাবদল ঘটে যায়।

অর্জুন সিং তৃণমূলে গিয়েও লোকসভার ঠিক আগে ফিরে এসেছেন বিজেপিতে। অপরদিকে, তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক জোর কদমে প্রচার চালালেও, দলীয় গোষ্ঠীকোন্দল মাথাব্যথার কারণ হয়ে রয়েছে শাসকদলের কাছে।  ২০২৪ নির্বাচনে তাই নির্বাচন কমিশনও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে ভোট করতে বিশেষ নজরে এই কেন্দ্র।

গত লোকসভা নির্বাচনের থেকে এবার ভোট দাতাদের সংখ্যা বেড়েছে ১৫ লক্ষ ৮ হাজার ৭২৮জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৭৮ জন এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫০৫ জন। তৃতীয় লিঙ্গের মোট ৪৫ জন এই কেন্দ্রে ভোট দেবেন। মোট ১৪ টি রাজনৈতিক ও নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য। মোট ১৫৯১ টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থাকছে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে। যার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১০৬৯ টি। ভোট গ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহ রাজ্য পুলিশেও। তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক দুই দলের কাছেই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তাই পাখির চোখ। তবে এবারের নির্বাচনে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র দেখবে ঘাস বনাম পদ্মের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

Lok Sabha Election 2024: ভোট মিটতেই ঝাঁপিয়ে পড়ল বামেরা, জেলাজুড়ে চলছে এই বিশেষ কাজ

নদিয়া: গত ১৩ এপ্রিল ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে। জনতা জনার্দনের সেই রায় ইভিএম বন্দি হয়ে স্ট্রংরুমে কড়া নিরাপত্তায় রাখা আছে। ভোট গণনা হতে এখনও বেশ কিছুটা বাকি। তবে নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন তাঁদের অনেকেই নিজেদের নামে দেওয়াল লিখন বা এলাকায় টাঙানো ফ্লেক্স-ব্যানার খুলতে শুরু করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন এলাকার সিপিএম কর্মীরা।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ পঞ্চম দফার ভোট লাইভ

রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএমের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাস। ভোট মিটতেই তাঁর এবং দলীয় উচ্চ নেতৃত্বের পরামর্শে স্থানীয় সিপিএম নেতাকর্মীরা ধাপে ধাপে যাবতীয় ফ্লেক্স ব্যানার খোলার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের যাতে অসুবিধা না হয় তাই এমন পদক্ষেপ। দৃশ্য দূষণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির গা ছাড়া মনোভাবের সমালোচনা করে থাকেন সমাজকর্মীরা। এক্ষেত্রে অন্য নজির গড়লেন রানাঘাটের সিপিএম নেতাকর্মীরা।

আরও পড়ুন: ভোটের আগে রেল-বিমান নিয়ে একগুচ্ছ দাবি এই জেলার ব্যবসায়ীদের

উল্লেখ্য এবারে লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশবাসীর নজর ছিল রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে। দুটি কেন্দ্রই খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রেস্টিজ ফাইট ছিল প্রথম সারির দলগুলির। আর সেই কারণেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা নির্বাচনের প্রায় মাঝখানেক আগে থেকেই তাঁদের দলের চিহ্ন এবং প্রার্থীর নামে দেওয়াল লিখন, পোস্টার-পতাকা ইত্যাদিতে ছেয়ে ফেলেছিল গোটা লোকসভা কেন্দ্র। তবে ভোট মিটতেই বামেরা এগিয়ে এসে যেভাবে নির্বাচনী প্রচারে জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে শুরু করেছে তা ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে।

মৈনাক দেবনাথ

Lok Sabha Election 2024: ভোটের আগে রেল-বিমান নিয়ে একগুচ্ছ দাবি এই জেলার ব্যবসায়ীদের

পশ্চিম মেদিনীপুর: জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গ্রাম হোক কিংবা শহর, সর্বত্রই বিভিন্ন পসরা নিয়ে জিনিসপত্র বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। কেউ কাপড়, কেউ স্টেশনারি, আবার কেউ নানান মশলা ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে বিক্রি করেন। কৃষক, কুমোর, কামারদের মত একাধিক দাবি রয়েছে ব্যবসায়ীদের‌ও। বিভিন্ন সময় তাঁদের এই দাবি-দাওয়া সংশ্লিষ্ট দফতর বা আধিকারিকদের কাছে পেশ‌ও করেন। কিন্তু তাতে লাভ হয় যত সামান্য। স্বাভাবিকভাবে ভোটের আগে একাধিক দাবি জোরালো হচ্ছে জেলার ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ পঞ্চম দফার ভোট লাইভ

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় শহরকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীদের কলকাতা কিংবা অন্য রাজ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রের লেনদেন করতে হয়। আবার গ্রামীণ ব্যবসায়ীদের ভরসা করতে হয় শহরের উপর। স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসায়ীদের দাবি, গ্রামীণ এলাকায় রাস্তাঘাট উন্নত করা হোক। প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে লোনের ব্যবস্থা করা হলে তাঁদের ব্যবসা তাঁরা নিজেদের মত স্বাচ্ছন্দে সাজিয়ে তুলতে পারবেন। নির্বাচনের আগে তাঁদের দাবি, বিভিন্ন ভাড়ার গাড়িতে কলকাতা কিংবা বিভিন্ন জায়গা থেকে মালপত্র আনতে গেলে গ্যাঁটের কড়ি বেশি খরচ করতে হয়। সেক্ষেত্রে রেলওয়ে মারফত যদি তা আমদানি করা যায় তবে সুবিধা হয়।

আরও পড়ুন: নম্বর-বিহীন টোটোর দৌরাত্ম্যে নাজেহাল শিলিগুড়ি, যানজট বেড়েই চলেছে

প্রসঙ্গত, আগে বেলদা স্টেশন থেকে রেলওয়ে বুকিং করা যেত। কিন্তু বর্তমানে তা না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বেলদা, নারায়ণগড়, কেশিয়াড়ি, দাঁতন, জলেশ্বর, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা সহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্যবসায়ীদের দাবি দ্রুত সালুয়া কিংবা কলাইকুন্ডা এয়ারবেস থেকে বাণিজ্যিক এবং যাত্রীবাহী বিমান চালু করতে হবে।

রঞ্জন চন্দ

Lok Sabha Election 2024: ১৫ বছর বাদে ভোট দিলেন শতায়ু! বাড়িতে বসেই বাজিমাত করলেন বৃদ্ধা

হুগলি: ১৫ বছর পর নিজের বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন শতায়ু বৃদ্ধা। ২০০৯ সালে শেষবার ভোট কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিয়েছিলেন। তার পর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে যেতে পারেননি ভোট দিতে। টানা ভোট না দেওয়ায় নাম বাদ পড়েছিল ভোটার তালিকা থেকে। পরে আবার পরিবারের সদস্যরা ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যবস্থা করে দেন। ফলে দীর্ঘ দেড় দশক পর ভোট দিলেন ১০১ বছরের বৃদ্ধা প্রিয়বালা কুন্ডু।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ পঞ্চম দফার ভোট লাইভ

চুঁচুড়া কপিডাঙার বাসিন্দা এই বৃদ্ধা। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে শেষবার তিনি ভোট দিয়েছিলেন। তার পর অজ্ঞাত কারণে ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়ে। ভোটার কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম না থাকায় ভোট দিতে পারতেন না। ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অনেক চেষ্টা করেন বৃদ্ধার নাতিরা। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। অবশেষে গত ২৫ জানুয়ারী জাতীয় ভোটার দিবসের দিন বিষয়টি জানতে পারেন সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা। তিনি বৃদ্ধার বাড়িতে সরকারি আধিকারীকদের পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যবস্থা করেন। নতুন এপিক কার্ড হাতে পান বৃদ্ধা প্রিয়বালা কুন্ডু।

আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই চলছে ২৪ ঘণ্টার বনধ! পড়ল ব্যাপক প্রভাব

৮০ বছরের উর্ধ্বে বয়স এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সেইমত আজ বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন এই শতায়ু। কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে ভোট কর্মীরা বৃদ্ধার বাড়ি গিয়ে তাঁর ভোট গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন পর ভোট দিতে পেরে যারপরনাই খুশি বৃদ্ধা। এখন কানে একটু কম শোনেন, ভাল হাঁটাচলাও করতে পারেন না। তবে তাঁর ইচ্ছা ছিল শেষ বয়সে একবার ভোট দেবেন। সেই ইচ্ছা পূরণ হল।

বৃদ্ধার নাতি সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ঠাকুমা ভোট দিতে পারতেন না। তালিকায় নাম তুলতে অনেক চেষ্টা করেছি। অবশেষে ঠাকুমা ভোট দিতে পারলেন।ঠাকুমার রেশনও বন্ধ হয়ে গেছে। প্রশাসন ভেবেছিল হয়ত ঠাকুমা মারা গেছেন। উনি যে বে়ঁচে আছেন তা আজ ভোট দিয়ে প্রমাণ করলেন।

রাহী হালদার

Lok Sabha Election 2024: ৯৬ বছরের বৃদ্ধার ইচ্ছেপূরণ ছেলের, সঙ্গী হল নির্বাচন কমিশন

হাওড়া: জীবনের শেষ বয়সে মায়ের ইচ্ছে পুরণ করলেন ছেলে। তাও যে সে ইচ্ছে নয়, তা ছিল বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ হওয়ার বাসনা। বাড়িতে বসেই সেই ইচ্ছে পূরণ হল হাওড়ার ৯৬ বছর বয়সী বৃদ্ধা ভগবতী দেবী শর্মার।

বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শরীর। পরের লোকসভা নির্বাচন যখন হবে বেঁচে থাকলে বয়স শতকের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে। কিন্তু সেই আশায় না থেকে শেষ নির্বাচন ধরে নিয়ে এবারই ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন বৃদ্ধা ভগবতী দেবী। তবে শরীরের যা অবস্থা তাতে ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত যাওয়াটা অসম্ভব ছিল তাঁর পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে শতবর্ষ ছুঁই ছুঁই মায়ের ইচ্ছে পূরণে এগিয়ে আসেন ছেলে। নির্বাচন কমিশনের কাছে বাড়িতে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানান।

আরও পড়ুন: সহজে দেখা মেলে না এই পাখির, সন্ধান পেতেই বর্ধমানের গ্রামে ছুটে আসছে সবাই

সেই মত নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন ৯৬ বছরের বৃদ্ধার ভোটগ্রহণ করল তাঁর বাড়িতে গিয়ে। এদিন নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা হাওড়ার গোপালচন্দ্র মুখার্জী লেনে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে হাজির হন। এরপর নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পোস্টাল ব্যালটে রায়দান করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বৃদ্ধার ছেলে অশোক শর্মা বলেন, মায়ের বয়স হয়েছে। তাঁর ইচ্ছা ছিল এই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার। মায়ের এই ইচ্ছা পূরণ করতেই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়। আবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ ছ’ জনের একটি দল এসে মায়ের ভোট নিয়েছে। মায়ের শেষ বয়সে ভোট দেওয়ার ইচ্ছে পূরণ হওয়ায় খুশি সকলে।

রাকেশ মাইতি

Lok Sabha Election 2024: ভোটের গোবরডাঙায় হাসপাতাল‌ই মূল ইস্যু, মমতার আশ্বাসে ভরসা রাখবে নাটকের শহর?

উত্তর ২৪ পরগনা: একের পর এক নির্বাচনে ইস্যু হয় এই হাসপাতাল। পাওয়া যায় নানা রকম প্রতিশ্রুতি। কিন্তু তারপরেও আর খোলে না গোবরডাঙার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি। তা নিয়ে এই মফস্বলের বাসিন্দাদের ক্ষোভ কম নয়। সেই নিয়ে এবার প্রতিশ্রুতি দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঐতিহ্যবাহী শহর, নাটকের শহর গোবরডাঙায় বসবাসরত লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা পরিষেবার জন্য সরকারি হাসপাতাল থাকলেও মেলে না পরিষেবা। এবারের লোকসভা ভোটের আগে এই হাসপাতাল খোলার দাবি সেখানকার মানুষের মধ্যে বেশ জোরালো হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বনগাঁয় ভোট প্রচারে গিয়ে গোবরডাঙার সরকারি হাসপাতালটি খোলার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্বাচন পর্ব মিটে গেলে গোবরডাঙা পুরসভার মাধ্যমে এই হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর ঘিরে আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা, ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট হলেই বাড়বে বাণিজ্য

করোনা কালীন পরিস্থিতিতে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছিল এটিকে। পরবর্তীতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবেও চালু করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সব চেষ্টাই বিফলে যায়, তালা বন্ধ অবস্থাতেই কার্যত পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে থাকতে গোবরডাঙার এই হাসপাতালকে। সাড়ে ১৬ বিঘা জমির উপরে তৈরি এই হাসপাতালে একাধিক উন্নতমানের যন্ত্রপাতি এবং নার্স ও ডাক্তারদের থাকার জন্য কোয়ার্টার রয়েছে। ছোটখাটো অপারেশন থেকে শুরু করে ইনডোর-আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবাও চালু ছিল অতীতে।

বন্ধ হাসপাতাল খোলা নিয়ে গোবরডাঙার পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত একসময় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় মুখ খোলায় ভর্ৎসনার শিকার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে একাধিকবার আন্দোলনে নেমেছিল গোবরডাঙ্গার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে, গোবরডাঙার প্রবীণ নাগরিকরা। তৈরি হয়েছিল হসপিটাল বাঁচাও কমিটি।কিন্তু কোন‌ওভাবেই চালু করা যায়নি গোবরডাঙা হাসপাতাল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর অনেকেই আশার আলো দেখছেন।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Lok Sabha Election: প্রচার করতে গিয়ে এ কী করছেন তৃণমূল কর্মীরা! চমকে উঠছে আমজনতা

রাস্তা জনবহুল স্থানে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রচার। এই প্রচার দারুণ ভাবে মন কেড়েছে আমজনতার। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র। গতবারের ব্যবধান ছিল ২ লাখেরও বেশি। এবার এই কেন্দ্রে মার্জিন বাড়ানোই লক্ষ্য তৃণমূলের।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুলতান আহমেদের পত্নী সাজদা আহমেদ এবারও এই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। আর এই উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে অভিনব উপায়ে প্রচার সারল তৃণমূল কংগ্রেস। উলুবেড়িয়া লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সাজদা আহমেদের সমর্থনে বাগনানের বিভিন্ন জায়গায় বাগনানের বিধায়ক অরুনাভ সেন-এর নির্দেশে বাগনান রেপার্টরি থিয়েটার গ্রুপ ‘এগিয়ে বাংলা’ নামক পথনাটিকার মাধ্যমে বাগনানের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচার চালাচ্ছে।

Lok Sabha Election 2024: অভিজিতের সমর্থনে প্রচারে আসছেন মোদি, তমলুকে ঝড় তুলতে চায় বিজেপি

পূর্ব মেদিনীপুর: লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করতে আবারও রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ২০ তারিখ পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ। আর ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুটি আসন কাঁথি ও তমলুকে ভোট গ্রহণ হবে। সেই উপলক্ষে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে হলদিয়ার হলিপ্যাড ময়দানে বিজয় সংকল্প সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মোদির বিজয় সংকল্প সভা সফল করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের সামনে বড় টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন রাজ্যে বিরোধী দলনেতা তথা ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন: পুলিশের ঘরণী নার্স, বিবাহ বার্ষিকীকে স্মরণীয় করতে জুটিতে যা কাণ্ডটা করলেন…

লোকসভা ভোটের প্রচারে এর আগেও রাজ্যে এসেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত ১২ মে ব্যারাকপুর, উলুবেড়িয়া, আরামবাগ ও হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করে গিয়েছেন তিনি। ১২ মে-র পর আবারও মাসের ২০ তারিখ দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে রাজ্যে ভোট প্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার সন্ধেয় হলদিয়ার চৈতন্যপুর থেকে একটি পথসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেছিলেন, হলদিয়ার হালিপ্যাড ময়দানে সভা করতে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি নামবেন দুপুর আড়াইটার সময়। আমরা সবাই দুপুর একটা থেকে উপস্থিত থাকব। আর ওই সভায় তিন লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। দেশের প্রধানমন্ত্রী আসছেন এটুকুই মানুষের জমায়েতের জন্য যথেষ্ট। মোদি আছে তাই সব মুশকিল আসান। তমলুকের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনই চৈতন্যপুরের ওই পথসভা থেকে রাজ্যের শাসকদলেরকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

সৈকত শী