Tag Archives: Cyber Crime
দেশ জুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সাইবার প্রতারণা, অনেক সময়ই কঠিন হচ্ছে প্রতারকদের ধরা
কলকাতা: ‘NCCRP’-এর তথ্য অনুযায়ী আমাদের দেশে ২০২৪ সালের মে মাসে প্রতিদিন গড়ে সাত হাজারটি সাইবার প্রতারণার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। যা ২০২১-২০২৩ সালের তুলনায় ৬০.৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই অভিযোগের মধ্যে ৮৫% অনলাইনে আর্থিক প্রতারণা এবং জালিয়াতি।
ইদানিং কালে অল্প দিনে বেশি টাকা ফেরতের লোভ দেখিয়ে শুরু হয়েছে জালিয়াতি। নিঃস্ব হচ্ছেন বহু মানুষ। সাইবার থানাগুলির তৎপরতায়, সাইবার প্রতারণাচক্রগুলি দ্রুত ধরাও পড়ছে। সাইবার প্রতারণায় যারা শিকার হচ্ছেন তাঁরা ‘১৯৩০’ নম্বরে ডায়াল করে অভিযোগ জানাচ্ছেন। অভিযোগ জানানোর উপায় সহজ হওয়ায়, অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে। তবে ইদানিং কালে সামাজিক মাধ্যমে টোপ দেওয়া হচ্ছে যে, ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে ১৫ দিনে কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত ফেরত পাওয়া যাবে। কখনো আবার ২০০০-৫০০০ টাকা বিনিয়োগ দিয়েও শুরু হচ্ছে।এইভাবে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়তে বাড়তে একটা সময় সেটা কয়েক লক্ষতে গিয়ে পৌঁছয়। আর এই ধরনের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি।
যাদবপুরের এক প্রখ্যাত ইঞ্জিনিয়ার, দীর্ঘ দিন পরে বিদেশে থেকে ফিরে আসার পর সমাদমাধ্যমে এই রকম একটি প্রস্তাব পান। ভেবে ছিলেন দেশে ফিরে টাকা ডবল করে দিব্যি বাকি জীবন কাটিয়ে দেবেন। সেটা আর হয়নি। তিনি ওই ভাবে ৫৯ লক্ষ টাকা প্রতারকদের হাতে প্রতারিত হয়েছিলেন। যদিও পরে কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছিল।
রাজ্য সাইবার পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “যে ভাবেই অনলাইন প্রতারণা করুক না কেন তাকে কোন না কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকাটা নিতে হবে, সেক্ষেত্রে সেই অপরাধীকে চিহ্ন চিহ্নিত করাটা খুব সহজ। কিন্তু কঠিন বিষয় হল, একজন সাইবার প্রতারক ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার পর, সে যে একাউন্টে টাকাটা নিল সেই একাউন্টে টাকাটি না রেখে, ২০০ থেকে ২৫০টি একাউন্টে টাকাটা পাঠিয়ে দেয়। এখানেই সমস্যা। ওই ২৫০ জনকে পুলিশের পক্ষে ধরা অসম্ভব হয়ে পড়ে। তার মধ্যে বেশ কিছু বিদেশের অ্যাকাউন্ট থাকে। যার ফলে, ভারতীয় পুলিশের পক্ষে রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়ে মামলাগুলি”।
Cyber Crime: সাইবার অপরাধের শিকার হলে কী করণীয়? কীভাবেই বা করবেন অভিযোগ দায়ের? জানুন বিশদে
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। আর যাঁরা সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছেন, তাঁদের সাহায্য করার জন্য ভারত সরকারের তরফে সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল চালু করা হয়েছে। যেখানে সাইবার প্রতারণা এবং অন্যান্য সাইবার অপরাধের অভিযোগ জানানো যাবে। আর এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহজেই অভিযোগ দায়ের করে সাহায্য প্রার্থনা করা যাবে। রইল তার খুঁটিনাটি।
ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল কী?
ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল (cybercrime.gov.in) হল একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এটি চালু করেছে ভারত সরকার। যাঁরা সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন, তাঁরা এখানে অভিযোগ জানাতে পারবেন। মূলত সাইবার সংক্রান্ত নানা ধরনের ঘটনা জানানোর এটা একটা কেন্দ্রীয় হাব।
কীভাবে সাইবার প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা সম্ভব?
হেল্পলাইন নম্বর:
সরাসরি সাইবার প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করার জন্য হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০-এ কল করা যেতে পারে।
অনলাইন পোর্টাল:
cybercrime.gov.in-এ অনলাইনেও সাইবার অপরাধের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা সম্ভব।
ধাপে ধাপে রইল অনলাইনে সাইবার অপরাধের অভিযোগ জানানোর উপায়:
ওয়েবসাইটে যাওয়া:
ব্রাউজার খুলে https://cybercrime.gov.in/ এ যেতে হবে।
অভিযোগ দায়ের:
১. হোমপেজে গিয়ে ‘File a Complaint’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
২. কন্টিনিউ করার জন্য টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস-এ রিভিউ এবং এগ্রি করতে হবে।
সাইবার অপরাধের ধরন:
১. ‘Report Other Cyber Crime’ বেছে নিতে হবে।
২. ‘Citizen Login’ সিলেক্ট করে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করতে হবে।
নিজের পরিচয়ের প্রমাণ:
১. রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে পাঠানো ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) দিতে হবে।
২. ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। আর ক্লিক করতে হবে ‘Submit’ অপশনে।
বিস্তারিত তথ্য প্রদান:
১. অভিযোগের ফর্ম বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত: জেনারেল ইনফর্মেশন, ভিকটিম ইনফরমেশন, সাইবারক্রাইম ইনফরমেশন এবং প্রিভিউ।
২. ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য প্রতিটি সেকশনে দিয়ে পূরণ করতে হবে।
সমর্থনযোগ্য প্রমাণ আপলোড:
১. ইনসিডেন্ট ডিটেলস পেজে সমর্থনযোগ্য প্রমাণ পেশ করতে হবে। যথা – স্ক্রিনশট অথবা অপরাধ সংক্রান্ত কোনও নথি।
২. এরপর Save and Next-এ ক্লিক করতে হবে।
সন্দেহভাজনের তথ্য:
যদি সন্দেহভাজন সম্পর্কে কোনও তথ্য থাকে, তাহলে তা পরের পেজে দিতে হবে। এহেন কোনও তথ্য না থাকলে এই ধাপটা স্কিপ করা যেতে পারে।
রিভিউ এবং সাবমিট:
১. প্রদান করা সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য ভেরিফাই করতে হবে।
২. ‘Submit’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৩. অভিযোগ সংক্রান্ত আইডি-র সঙ্গে একটা কনফার্মেশন মেসেজ অথবা ইমেল যাবে।
কোন কোন জরুরি নথি দিতে হবে?
অভিযোগ জোরালো করতে নিম্নলিখিত নথি পেশ করতে হবে:
১. প্রতারণা সংক্রান্ত লেনদেনের প্রমাণ পেশ (উদাহরণ স্বরূপ- ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট)
২. ঠিকানা এবং পরিচয়ের প্রমাণ
৩. কোনও সন্দেহজনক মেসেজ অথবা ইমেল পেলে সেটাও পেশ করতে হবে।
North 24 Parganas News: সাইবার প্রতারণার শিকার খোদ বিচারক! তারপর যা ঘটল, জানুন বিস্তারিত
উত্তর ২৪ পরগনা: তাঁর হাত দিয়েই হয় বড় বড় মামলার রায় ঘোষণা। এবার সাইবার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বোকা হতে হলেন খোদ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট! হোটেল বুকিং-এর নামে ফেক ওয়েবসাইট খুলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকের সঙ্গে হল প্রতারণা। গ্রেফতার দুই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বিধাননগর মহাকুম আদালত।
জানা যায়, বেড়াতে যাওয়ার জন্যে অনলাইনে হোটেল বুক করে প্রতারণার শিকার হন বিচারপতি সোমশুভ্র ঘোষাল। ঘটনার তদন্ত শুরু করে, রাজস্থান ও আরামবাগ থেকে মূল অভিযুক্ত সহ দুজনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক বছর আগে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোমশুভ্র ঘোষাল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন। জানান, তিনি তার পরিবার নিয়ে পুরীতে ঘুরতে যাওয়ার জন্যে অনলাইন মাধ্যমে একটি ৫ তারা হোটেল বুকিং করার চেষ্টা করেন। সেই সময় তাকে সেই হোটেলের বুকিং প্রসিডিউরের জন্যে একজন ফোন করে। সেখানে তাকে হোটেলে বুকিং করার জন্যে টাকা জমা করতে বলা হয় এবং তাকে একটি একাউন্ট ডিটেলস দেওয়া হয়। তিনি সেই একাউন্টে ৯২ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেন।
তবে কিছুদিন পরে ওই হোটেলে খোঁজ নিলে জানতে পারেন তাঁর নামে হোটেলে কোনও বুকিং হয়নি। এরপরই তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ঘটনার কথা পুলিশকে জানাতেই, তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানতে পারেন, ওই হোটেলের ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে এই প্রতারণা চক্র চালানো হচ্ছিল। এরপরই টাকা কোন একাউন্টে জমা পড়েছে সেই সূত্র ধরে রাজস্থানের ভরতপুর এলাকায় হানা দেয় পুলিশের বিশেষ দল। সেখান থেকেই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রেম চাঁদকে গ্রেফতার করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, আরামবাগ থেকে আরও এক প্রতারক স্বর্ণদীপ রায়কে গ্রেফতার করে।
সাইবার ক্রাইম প্রতারণা বিষয়ে সচেতন করতে ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে নানা ভাবে সচেতন করা হয় মানুষজনকে। চোখ-কান খোলা রেখে সচেতন হয়ে তবেই করুন অনলাইন ট্রানজাকশন বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭,৪৬৮ এবং ৪৭১ ও ১২০ বি ইন্ডিয়ান পিনাল কোডে এদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আদালতের কাছে আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি রাখবেন বলেই জানান।
Rudra Narayan Roy
Cyber Crime: মোবাইলে এই ভিডিও দেখেন? ক্লিক করলেই খালি হয়ে যাবে ব্যাঙ্কের টাকা! সাইবার প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় জানুন
Cyber Crime: সারা বছরে ভারতে কত টাকার সাইবার প্রতারণা হয়? জানলে পায়ের তলার মাটি সরে যাবে
কলকাতাঃ ভারতের বিভিন্ন সাইবার থানা থেকে আরম্ভ করে স্থানীয় থানায়, প্রতিদিন সাইবার অপরাধের অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ছে। কখনও কী ভেবে দেখেছেন সারা ভারতবর্ষে বছরে কত টাকার প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে? সেই সংখ্যা যদি শোনেন তাহলে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে যাবে। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতবর্ষে বড় শহর থেকে ছোট শহরগুলিতে সাইবার প্রতারণার শিকার বেশি। সাইবার শিকার করতে গেলে যে তথ্য দরকার। সেই তথ্য পাওয়া যায় কোথা থেকে? ২০২২সালে সাইবার প্রতারণার আর্থিক অংক ছিল ১০০০০ কোটি টাকার এদিক ওদিক। ২০২৩এ সেই আর্থিক প্রতারণার অঙ্ক এসে দাঁড়ায় ৭০,০০০কোটি টাকার কম বেশি। সেই প্রতারণার টাকার ১০%বেশি উদ্ধার হয়নি এখনও পর্যন্ত।
আরও পড়ুনঃ গরমে ভুলেও ছোঁবেন না এই ৫ খাবার! নিমেষে হতে পারে চরম বিপদ! হৃদরোগ, এমনকী মৃত্যুও…জানুন বিশেষজ্ঞের মত
সাইবার দফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, অভিযোগ পাওয়া গেলেও যখনই তদন্ত নেমেছে সাইবার পুলিশ। প্রথমত তারা দেখেছে সেই প্রতারকদের IP Address বিদেশি। যেমন দুবাই, বাংলাদেশ, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশের। রাজ্যের সাইবার আধিকারিকদের দাবি, পাকিস্তান কিংবা ওই জাতীয় যে সমস্ত দেশ রয়েছে, সেখানে ওই IP সংক্রান্ত কোনও চিঠি লিখলে তার উত্তর পাওয়া যায় না। যার ফলে ওই প্রতারকদের নাগাল পাওয়া যায় না। সাইবার ক্রাইম আধিকারিক সূত্রে খবর, প্রতিবছর ১৫-২০% হারে সাইবার অপরাধ বাড়ছে। সারা দেশের মধ্যে বছরে পশ্চিম বঙ্গে বছরে ৮০,০০০ এর বেশি সাইবার অপরাধের অভিযোগ জমা পড়ছে। যে অভিযোগ কলকাতা, শিলিগুড়ি, বর্ধমান, বাঁকুড়া এই ধরনের রাজ্যের ছোট বড় শহরগুলির থেকে হচ্ছে। এছাড়াও সারা বাংলার অভিযোগ রয়েছে। তবে সাইবার অপরাধীরা গ্রাম বাংলাকে অপেক্ষাকৃত কম টার্গেট করছে।
তবে এখন প্রশ্ন সমস্ত নথি কী করে পাচ্ছে অপরাধীরা? এক্ষেত্রে এক সাইবার দফতরের আধিকারিকের বক্তব্য, এই সমস্ত তথ্য পাচারের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা সব থেকে বেশি। কারণ ব্যাঙ্কগুলি বিভিন্ন এজেন্ট মারফত লোন দেবার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের গোপন নথি জোগাড় করে। যেগুলি সাইবার প্রতারকদের হাতে চলে যায়। ফলে সাইবার প্রতারকদের ফোন ৮০% বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে ওদের শিকারদের কাছে। তবে এ পর্যন্ত যে সমস্ত সাইবার অপরাধী ধরা পড়েছে, তাদের শাস্তি হয়েছে।
Call Forwarding Service Block: স্ক্যাম রোধে কল ফরওয়ার্ডিং পরিষেবা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত! জারি সার্কুলার, জানুন বিশদে
ভারত সরকার কল ফরওয়ার্ডিং স্ক্যামের সমস্যা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং এটি দেশের লক্ষ লক্ষ ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য অস্থায়ীভাবে বৈশিষ্ট্যটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (DoT) মার্চ মাসে একটি সার্কুলার জারি করেছে, যা টেলিকম কোম্পানিগুলিকে USSD-ভিত্তিক ফরোয়ার্ড পরিষেবাকে সমর্থন করা বন্ধ করার পরোয়ানা দেয়, যা এই স্ক্যামারদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠেছে।
টেলিকম সংস্থা উপলব্ধি করেছে যে বৈশিষ্ট্যটিকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া একটি বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ স্ক্যামাররা প্রযুক্তির অপব্যবহার করে জালিয়াতি এবং লোকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরি করছে। কল ফরওয়ার্ডিং বেশিরভাগই একটি দরকারি বৈশিষ্ট্য যা লোকেদের তাদের প্রাথমিক নম্বর ব্যস্ত থাকলে, পৌঁছানো যায় না বা কোনও উত্তর না দিলে তাদের কলগুলিকে অন্য নম্বরে ফরওয়ার্ড করতে দেয়। কিন্তু এই বৈশিষ্ট্য একটি ক্ষতিকারক হয়ে উঠেছে, যা স্পষ্টভাবে কিছু নিয়ন্ত্রক পদক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় করে তুলেছে।
USSD-ভিত্তিক কল ফরওয়ার্ডিং পরিষেবা –
DoT সার্কুলার উল্লেখ করেছে যে এই পরিষেবাটি ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে দেশে বন্ধ হয়ে যাবে এবং যাঁরা তাঁদের ফোন নম্বরের জন্য বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহার করছেন তাঁদের কল ফরওয়ার্ড করার জন্য অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। কারণ USSD-কেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্যটি কাজ করবে না।
অনেকেই হয়তো জানেন, USSD কোডগুলি আলফা-সংখ্যার পাশাপাশি হ্যাশ (#) এবং স্টার (*) এর মতো বিশেষ অক্ষর দিয়ে তৈরি। যা ফোনে ব্যবহার করা হয় টেলকো-সম্পর্কিত বিবরণ অ্যাক্সেস করতে। কিছু ক্ষেত্রে UPI পেমেন্ট করতে।
স্ক্যামটি মূলত শুরু হয় যখন প্রতারক ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট প্রদানকারী বা টেলিকম অপারেটর (যা Airtel, Jio বা Vi হতে পারে) ছদ্মবেশে একটি কল করে। এরপর তারা বলবে সেই মোবাইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে বা সেই সিম কার্ডে কিছু সমস্যা আছে। এতে যে কেউ আতঙ্কিত হতে পারে এবং প্রতারকরা তাদের গোপন তথ্য শেয়ার করার জন্য এই পথ ব্যবহার করে। আক্রমণকারীরা সেই নম্বরের জন্য কল ফরওয়ার্ড সক্রিয় করতে ইউএসএসডি নম্বর *৪০১# কোড ডায়াল করতে বলবে, যা প্রতারককে সেই ফোন কল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা UPI লেনদেনের জন্য OTP-এর মতো ব্যক্তিগত বিবরণ ধারণ করে এমন SMS অ্যাক্সেস করতে দেয়।
আরও পড়ুন: মহিলা পুলিশ অফিসার হয়ে স্ক্যামারদের পর্দাফাঁস! ইন্টারনেটে মহিলার কীর্তিতে বইছে প্রশংসার বন্যা
যদি তারা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে ও এই বিবরণগুলি ব্যবহার করতে সক্ষম হয়, তাহলে তারা এটি যাচাই করে টাকা তুলতে পারবে। যেহেতু তাদের সঠিক চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ফোন নম্বরে অ্যাক্সেস রয়েছে। তাই ব্যবহারকারী নিজেদের অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে একটি সতর্কতাও পাবেন না।
এই ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা USSD কোড *#২১# ব্যবহার করতে পারেন। যা জানতে সাহায্য করে যে নিজেদের কল বা এমনকি ফোন নম্বরটি অন্য কোনও নম্বরে ফরোয়ার্ড করা হয়েছে কি না। ইদানীং ব্যাপক হারে কল-ফরোয়ার্ড স্ক্যাম এড়াতে এটি জানা অপরিহার্য। এইসব স্ক্যামের শিকার হওয়া এড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হল নিজেদের টেলিকম গ্রাহক পরিষেবা থেকে দাবি করা কলগুলির উত্তর না দেওয়া। কারণ তাদের কখনও প্রয়োজন হয় না ব্যবহারকারীর বিশদ জানতে চাওয়া।
Tech News: ফোনের সব ফোটো উড়ে যেতে পারে যখন-তখন, একটু সাবধান না হলেই বিপদে পড়বেন!
ঘাপটি মেরে বসে বিপদ! হোটেল বুকিং থেকে অনলাইন শপিং, যে ভাবে ফাঁদ পাতছে হ্যাকাররা, না জানলে খোয়া যাবে টাকা
Bomb Threat in Schools: পড়ুয়ারা এলেই বিস্ফোরণ! কলকাতা-সহ রাজ্যের একাধিক স্কুলে হুমকি মেইল, তদন্তে পুলিশ
কলকাতা: কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলে হুমকি মেইল৷ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে স্কুল। এই মর্মেই হুমকি মেইল এসেছে স্কুল কতৃপক্ষের কাছে বলে দাবি৷ সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের কাছে কলকাতা, শিলিগুড়ি-সহ রাজ্যের একাধিক স্কুল থেকে এসেছে এমনই অভিযোগ৷
মেইল গুলি কোথা থেকে এসেছে, কে বা কারা করেছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছ পুলিশ৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী, কলকাতা কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে৷ কলকাতা পুলিশ৷
আরও পড়ুন: আকাশ কালো করে ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি! গরমে স্বস্তি ফিরবে বঙ্গের এই তিন জেলায়
সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুধু কলকাতা নয়, কলকাতার পাশাপাশি শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি স্কুলেও এমনই হুমকি মেইল পাঠানো হয়েছে বলেই অভিযোগ৷
জানা গিয়েছে, ইমেইল-এ লেখা ছিল, ‘‘শ্রেণিকক্ষের বাইরে বোমা রাখা আছে৷ আগামিকাল স্কুলে বাচ্চারা এলেই বোমা ফাটবে৷ আমাদের লক্ষ্য বেশি সংখ্যক মানুষকে রক্তস্রোতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।’’ সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে দুই সন্ত্রাষবাদী দল৷ তবে এই সন্ত্রাষবাদী গোষ্ঠী সম্পর্কে এখনও বিশদে কিছু জানা যায় নি।