Tag Archives: district durga puja 2024


Durga Puja 2024: ৬০ বছরের দুর্গাপুজোয় বিশেষ চমক তো হবেই! দিনহাটার পুজো ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে

দিনহাটা: দুর্গাপুজোর থিমের আকর্ষণ বেশ কয়েক বছর যাবৎ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে দিনহাটা মহকুমায়। চলতি বছরেও সেই বিষয়টির অন্যথা হয়নি। এবারেও বিগ বাজেটের বড় দুর্গাপুজো রয়েছে দিনহাটা মহকুমা এলাকায়।

দিনহাটা বোর্ডিং পাড়া দুর্গাপুজো কমিটির পুজো এবার ৬০তম বছরে পদার্পণ। তাই এবার আকর্ষণীয় থিম তৈরি করা হচ্ছে এই পুজো কমিটির দুর্গাপুজোয়। জেলার বাইরের একদল শিল্পী দিনরাত এখান থেকেই তৈরি করছে এই বিশেষ থিম।

পুজো কমিটির সভাপতি শুভময় চক্রবর্তী জানান, “বর্তমানে তাঁদের পুজো অনেকটাই বড় মাপের করা হয়। প্রতি বছর তাঁদের পুজোকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের মধ্যে আকর্ষণ থাকে। তাই এবার এই বিশেষ থিম তাঁরা তৈরি করছেন। তাঁরা আশা করছেন এই থিম সকল মানুষের দারুণ পছন্দ হবে। এছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়নের বিষয়টি সাধারণ মানুষের বোধগম্য হবে। ভবিষ্যৎ দিনে মানুষ আরও অনেকটাই সচেতন হয়ে উঠবে। তবে এই থিম তৈরি করা হচ্ছে জেলার বাইরের শিল্পীদের দ্বারা।”

আরও পড়ুন: কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবি কী কী?

দিনহাটা বোর্ডিং পাড়া দুর্গাপুজো কমিটির পৃষ্ঠপোষক জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, শুধুমাত্র থিমেই নয়, থিমের পাশাপাশি দেবী দুর্গার মূর্তির মধ্যেও রয়েছে বিশেষ চমক। একেবারে অন্যরকম এবং নতুনত্ব বিষয়ে তুলে ধরা হবে তাদের দুর্গাপুজোর মধ্যে চলতি বছরে।” এছাড়া থিমের শিল্পী স্বপন সরকার জানান, “দুর্গাপুজোর থিমের বিষয় নিয়ে শুরু থেকেই উত্তেজনা রয়েছে তাঁদের মধ্যে। থিমের প্রতিটি অংশে বিশেষ চমক রয়েছে। আর সেই বিষয়টি সকল মানুষের পছন্দ হবে এটুকু নিশ্চিত। এছাড়া এই থিম সকলের মনে দাগ কাটবে।”

আরও পড়ুন: একজন ডাক্তার হয়ে সন্দীপ কীভাবে করলেন এমন ভয়ানক কাজ? মুর্শিদাবাদ থেকে যে অভি‌যোগ উঠছে শুনলে গা গুলিয়ে উঠবে!

জেলা কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমা প্রতি বছর বাজেটের পুজো উপহার দেয়। চলতি বছরে দিনহাটায় বিগ বাজারে পুজোর সংখ্যা কিছুটা কমলেও থিমের চমক রয়েছে অনেকটাই। দিনহাটা বোডিং পাড়া দুর্গাপুজো কমিটির এই পুজো চলতি বছরে জেলার এবং জেলার বাইরের বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করবে। ইতিমধ্যেই এই দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে আলাদা উদ্দীপনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বহু মানুষ উৎসাহিত হয়ে রয়েছেন এই পুজো কমিটির থিম দেখার জন্য।

Sarthak Pandit

Darjeeling News: দুর্গাপুজোর ছুটিতে পাহাড়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? রয়েছে বিরাট চমক! কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও

দার্জিলিং: সামনেই আসছে বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো, সেই অর্থেই ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোর কদমে। এবছর শুধু সমতলেই নয় পাহাড়েও দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি চলছে, জোর কদমে। এবার পর্যটকরা পাহাড়ে গেলেও উপভোগ করতে পারবে দুর্গাপুজোর আনন্দ।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পুজো কমিটির পক্ষ থেকে মন্ডপসজ্জার কাজ চলছে জোরকদমে, থেমে নেই সমতল থেকে পাহাড়। এর আগে বিভিন্ন জেলায় পুজো কমিটিদের সুবিধার্থে অনলাইন পোর্টাল চালু করা হলেও গত বছর বর্ষার জেরে কালিম্পং সেই কাজ সম্পন্ন হয়নি সেই অর্থেই এ বছর দুর্গাপুজো উপলক্ষে কালিম্পং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালু করা হল অনলাইন পোর্টাল।

আরও পড়ুন-      বলুন তো, কোন প্রাণীর রক্তের দাম সবচেয়ে বেশি? ৯৯% মানুষই উত্তর দিতে গিয়ে ডাহা ফেল! চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি…!

এই প্রসঙ্গে কালিম্পং এর জেলাশাসক বালাসুব্রামানিয়াম টি বলেন, এবার থেকে আর পুজো কমিটির সদস্যদের পুজোর অনুমতির জন্য দফতরে দফতরে ঘুরতে হবে না, এই অনলাইন পোর্টালে এক ক্লিকেই বিদ্যুৎ বিভাগ দমকল বিভাগ থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন এবং পুজোর অনুমতি সবটাই মিলে যাবে। সেই অর্থেই কালিম্পং জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামের পুজো কমিটি গুলিকে দূর-দূরান্ত থেকে আর ছুটে আসতে হবে না।

আরও পড়ুন-       ভয়ঙ্কর দুঃসময় শেষ…! বৃহস্পতি-চন্দ্রর মহামিলনে ‘গোল্ডেন টাইম’ শুরু ৪ রাশির, গজকেশরী রাজযোগে সোনায় মুড়বে ভাগ্য…

এই উদ্যোগে খুশি কালিম্পং জেলার দুর্গাপুজো কমিটি গুলি। এই প্রথম কালিম্পং জেলায় দুর্গাপুজো কমিটিগুলির জন্য খোলা হল এই অনলাইন পোর্টাল। এই অনলাইন পোর্টালে ক্লিক করলেই পুজো কমিটি গুলি হাতের নাগালে পেয়ে যাবে সমস্ত তথ্য পাশাপাশি যে কোনও সমস্যায় জারি করা হয়েছে টোল ফ্রি নাম্বার।

সুজয় ঘোষ

Durga Puja 2024: প্রাচীন দুর্গা মন্দির, পাশেই ডুলুং নদী! পুজো কাটাতে চান মনোরম পরিবেশে? সেরা ঠিকানার হদিশ জেনে নিন

পুজোর ছুটিতে বেড়ানোর জন্য আপনার সেরা ঠিকানা হতে পারে চিল্কিগড়ের কর্নক দুর্গা মন্দির। কলকাতা থেকে খুবই কাছে।
পুজোর ছুটিতে বেড়ানোর জন্য আপনার সেরা ঠিকানা হতে পারে চিল্কিগড়ের কনক দুর্গা মন্দির। কলকাতা থেকে খুবই কাছে।
শতাব্দি প্রাচীন চিল্কিগড় মন্দিরের দেবী কর্নক দুর্গা দুর্গা পূজার সময় দেবী দুর্গার রূপে পূজিত হয়। ভিড় জমায় দূর-দূরান্তের বহু দর্শনার্থী
শতাব্দী প্রাচীন চিল্কিগড় মন্দিরের দেবী কনক দুর্গা, দুর্গা পূজার সময় দেবী দুর্গার রূপে পূজিত হয়। ভিড় জমায় দূর-দূরান্তের বহু দর্শনার্থী।
চিল্কিগড়ের মন্দির প্রায় ৪০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন। দেবী কর্নক দুর্গা এখানে রক্তমুখী। নবমী পুজোর দিন বিশেষ বলির আয়োজন করা হয় মন্দির প্রাঙ্গণে।
চিল্কিগড়ের মন্দির প্রায় ৪০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন । দেবী কর্নক দুর্গা এখানে রক্তমুখী । নবমী পুজোর দিন বিশেষ বলির আয়োজন করা হয় মন্দির প্রাঙ্গণে ।
মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে কয়েকশো হনুমান। যেগুলি সারাদিন ধরে মন্দির প্রাঙ্গণে খেলা করে বেড়ায়। ছোট ,বড়, বাচ্চা সব ধরনেরই হনুমান রয়েছে চিল্কিগড়ে ।
মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে কয়েকশো হনুমান । যেগুলি সারাদিন ধরে মন্দির প্রাঙ্গণে খেলা করে বেড়ায়। ছোট ,বড়, বাচ্চা সব ধরনেরই হনুমান রয়েছে চিল্কিগড়ে ।
চিল্কিগড়ের কর্নক দুর্গা মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ডুলুং নদী। ডুলুং নদীর জন্য একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় পরিবেশ সর্বদা বিরাজ করে চিল্কিগড়ে।
চিল্কিগড়ের কনক দুর্গা মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ডুলুং নদী । ডুলুং নদীর জন্য একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় পরিবেশ সর্বদা বিরাজ করে চিল্কিগড়ে।
চিল্কিগড়ের কর্নক দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গনে হনুমানদের খেলা করার মুহূর্ত উপভোগ করার পাশাপাশি দেখতে পাবেন তাদের দুষ্টুমিও।
চিল্কিগড়ের কর্নক দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে হনুমানদের খেলা করার মুহূর্ত উপভোগ করার পাশাপাশি দেখতে পাবেন তাদের দুষ্টুমিও।

Durga Puja 2024 Fashion: পুজোর মুখে বাজারে এবার ট্রেন্ডিং ক্রিস্টালের ব্যাগ! তৈরি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন মহিলারা

মুর্শিদাবাদ: সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্‍সব দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজোর সময় ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিভিন্ন রকমের ষ্টোনের বা পুতির ব্যাগ। এই ব্যাগ তৈরি করেই অনেক মহিলারা স্বর্নিভর হচ্ছেন।

খড়গ্রাম ব্লকের অন্তর্গত বিভিন্ন মহিলারা এই হাতের তৈরি ব্যাগ তৈরি করে আর্থিক ভাবে উপার্জন করছেন। ফলে লাভবান হচ্ছেন গ্রামীন মহিলারা।

আরও পড়ুন: বাংলাজুড়ে চলছে লাগামছাড়া বৃষ্টি, জলমগ্ন গোটা শহর… সবথেকে ভারী বর্ষণ কোন অংশে? বাইরে বের হলে সাবধান

মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানো খুবই জরুরি। তাই মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রামের মহিলাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকারই স্বর্নিভর দফতর। মহিলারা নিজেদের পাশাপাশি আরও অনেক মহিলাকে একত্র করে স্বনির্ভর করে তুলছেন নিজ উদ্যোগে।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ফের সেনা জঙ্গি-সংঘর্ষ! রাতভর চলল গুলি, নিহত ২ জওয়ান, আহত আরও ২

দুর্গাপুজোর আগে রাতদিন এক করেই চলছে এই ব্যাগ তৈরির কাজ। বিভিন্ন ব্যাগ ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।স্বর্নিভর গোষ্ঠীর এক সদস্য বলেন, “নানারকম হাতের কাজ হয় তার মধ্যে অন্যতম হল এই ক্রিষ্টালের কাজ। এই কাজ করে মহিলারা অনেকটাই স্বাবলম্বী হতে পারছে।’’

বিভিন্ন রকমের জিনিস তৈরি করে তাঁরা মেলায় বিক্রি করে।  পুজোর সময়ে প্রচুর অর্ডারও আসে। বাড়ির মহিলারা গৃহকর্ম সেরে এই কাজ করে। ফলে তাঁরা রোজগারও করতে পারছে। সরকারের এই উদ্য়োগকে তাই তাঁরা সাধুবাদ জানিয়েছেন।

স্বর্নিভর গোষ্ঠীর মহিলারা এও জানান, বর্তমানে নানা ধরনের  নতুন ধরনের নকশা বাজারে এসেছে। তাই নকশার উপরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে তারা নিজেরাই স্বনির্ভর হয়ে নতুন নতুন কাজ বাজারে আনতে পারবে।

কৌশিক অধিকারী

Durga Puja 2024: শান্তির বার্তা দিতে বিশেষ থিম জেলার এই মণ্ডপে! ফুটে উঠবে পিকাসোর অনবদ্য সৃষ্টি

জলপাইগুড়ি: হাতে ভয়ঙ্কর অস্ত্র, কোলে সন্তান! বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলে ধরতে পিকাসোর পিউরিজম ভাবধারার অনবদ্য সৃষ্টি গুয়ের্নিকা ফুটে উঠবে দশভূজার আঙ্গিকে। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর অনবদ্য সৃষ্টি গুয়ের্নিকা একটি ম্যুরাল যা গৃহ যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং বেদনাকে চিত্রিত করে।

স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের সময় ১৯৩৭ সালের এপ্রিলে বাস্ক শহর গুয়ের্নিকাতে বোমা হামলার মাত্র কয়েকদিন পরে শুরু হয়েছিল কিউবিস্ট-পরবর্তী চিত্রকর্মটি। বিভিন্ন দৃশ্যের মধ্যে একটি একরঙা কোলাজ। যার মধ্যে একজন মহিলা তার পিছনে একটি পুড়ে যাওয়া কাঠামো সঙ্গে ভয়ঙ্করভাবে তার হাতে অস্ত্র তুলেছেন। একজন মহিলা একটি মৃত শিশুকে ধরে রাখা, একটি ষাঁড়ের অসম্ভব কোণযুক্ত মাথা এবং তার উপরে একটি বৈদ্যুতিক আলো ঝুলছে।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশের নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী! রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি রাজ্যে, জেনে নিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস!

স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের আবহের সঙ্গে বর্তমানে দেশ, রাজ্যে তথা বিশ্ব জুড়ে চলা অশান্তির স্বরূপ অনেকটাই মিলে যায়। আর এই পরিস্থিতিতে পিকাসোর সেই অনবদ্য সৃষ্টি যে সঠিক এবং সময়োপযোগী সেটি অনুভব করেছে জলপাইগুড়ি শহরের অন্যতম দুর্গা পুজো কমিটি , নতুন পাড়া আদী।
পুজোর থিমকে সামনে রেখেই কাঠ এবং প্লাই বোর্ডের ওপর মাটির প্রলেপ দিয়ে শিল্পীর নিজস্ব স্টুডিওতে তৈরী করা হচ্ছে দশভূজা দেবী দুর্গার মূর্তি সহ অস্ত্রশস্ত্র, সাজসরঞ্জাম বলে জানালেন উত্তরবঙ্গের অন্যতম ভাস্কর্য তৈরি শিল্পী বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি আরও জানান, এবছরের পুজোর থিম ‘ সময় ‘। বর্তমানে যে সময় এবং পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সমগ্র রাজ্য, দেশ, তথা বিশ্ব।

আরও পড়ুন- পুল কার থেকে নেমেই বমি! স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে NRS-এর দোরগোড়ায় মৃত্যু ছাত্রের

এমনই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল একশো বছর আগেও। সেই কারণেই পিকাসোর শিল্প কর্মে যে পিউরিজম ফুটে ওঠে সেটি এবং তার সঙ্গে ভারতীয় শিল্প কলার ফিউসান করেই এই কাজ করা হচ্ছে। প্রতিমা তৈরি করতে মূলত কাঠ সহ অন্যান্য প্রাকৃতিক সামগ্রীই ব্যবহার করছেন শিল্পী। দর্শনার্থীদের মধ্যে নজর কাড়বে বলেই আশাবাদী পুজো কমিটি।

সুরজিৎ দে

Birbhum News: ডাকের সাজে দেবী,নাড়ুর হরিলুঠ…আভিজাত্যে মোড়া প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন সুরুলের পুজো

বীরভূম: সুরুলের জমিদারবাড়িতে নিরিবিলি পরিবেশে সাবেক রীতি মেনে আজও চলে উমার আরাধনা। শামিল হন বহু মানুষ। বর্তমানে ঝাঁ চকচকে পুজোর মাঝে এই পুজো যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। পাঁচ খিলানের ঠাকুরদালান, সামনে থামযুক্ত নাটমন্দির, নানারঙের কাঁচের ফানুস আর বেলজিয়াম কাঁচের ঝাড়বাতি মনে করিয়ে দেয় সাবেকি ঐতিহ্য আর রাজকীয় জৌলুসের কথা।

সময়ের সঙ্গেসঙ্গে গ্রাম বাংলার বহু পুজোকে আধুনিকতা গ্রাস করলেও বীরভূম সুরুলের সরকার বাড়ির পুজোর পরিবর্তন হয়নি। দীর্ঘ ২৮৮ বছর ধরে একইভাবে পূজিত হচ্ছেন উমা। আজও পুজোয় মিশে মাটির গন্ধ, শিকড়ের টান আর আভিজাত্য। এখনও ডাকের সাজে সাজানো হয় সাবেকি প্রতিমা।পরানো হয় সোনা ও রূপোর গয়না। প্রতিমার রং তপ্তকাঞ্চন। চালচিত্রে আঁকা থাকে শিব ও দুর্গার বিয়ের দৃশ্য। প্রতিমার সাবেকি রূপ আজও অপরিবর্তিত রয়েছে।

অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বর্ধমানের নীলপুরের ঘোষবাড়ির ছেলে ভরতচন্দ্র সস্ত্রীক চলে আসেন সুরুলে। তাঁর গুরু বাসুদেব ভট্টাচার্যের বাড়িতে। সুরুল ছিল বৈষ্ণব ধর্মগুরুর শ্রীপাট।ভরতচন্দ্র গুরুদেবের শ্রীপাট ছেড়ে আর ফিরে যাননি বর্ধমানে। তাঁর পুত্র কৃষ্ণহরি ও তাঁর ছেলেরা সেই সময় ফরাসি ও ইংরেজ কুঠিয়ালদের সঙ্গে ব্যবসা করে পরিবারের শ্রীবৃদ্ধি করেন। সুরুল রাজবাড়ির সঙ্গে ঠাকুর বাড়ির সম্পর্ক ছিল বেশ নিবিড়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই সরকার বাড়ি গিয়ে বেশ কিছুদিন সময় কাটিয়েছেন। এছাড়াও মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে বেশ কিছু জমি রাজপরিবার তরফ থেকে প্রদান করা হয়।

বহু জমিদারবাড়ির পুজোর ঠাঁটবাট আজ ফিঁকে! ব্যতিক্রম সুরুল সরকার বাড়ি। অর্থ বা পারিবারিক সমস্যা কোনও দিন পুজোয় অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি।এখনও সপ্তমীর সকালে পালকি, নহবত আর জমিদারী মাধুর্য্যে ঘট ভরতে যায় সুরুলের দুই তরফের পুজো উদ্যোক্তারা। ফিরে এসে নাড়ুর হরিলুঠ হয়, আনন্দে মেতে ওঠেন সকলে।

সৌভিক রায়

Malda News: পুজোর কাজ করেই জোটে সারা বছরের রোজগার! শোলা শিল্পীদের সোনালী সেই দিন এখন অতীত

মালদহ: আধুনিকতার দাপটে কাজ হারাচ্ছেন শোলা শিল্পীরা। একটা সময় ছিল বছর ভোর নানান কাজ মিলতো। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে আর কাজ তেমন পাচ্ছেন না মালদহ জেলার শোলা শিল্পীরা। একসময় শোলার বিভিন্ন সাজ তৈরি করেই সংসার চলেছে। কিন্তু এখন আর সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাইতো দুর্গা পুজোর দিকেই চেয়ে বসে থাকতে হচ্ছে শিল্পীদের।

ছোটবেলা থেকেই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ায় অন্য কোন পেশার সঙ্গেও যুক্ত হতে পারছেন না শিল্পীরা। তাই বাধ্য হয়েই এক বছর অপেক্ষায় থাকতে হয় মালদহের এই শোলা শিল্পীদের। তবুও আগের মত আর এখন কাজ মেলে না। কারণ অধিকাংশই প্রতিমার সাজ এখন রেডিমেড বাজারে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। অপরদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছে না শোলা। তাই দিনের পর দিন চাহিদা কমছে এই শোলা শিল্পীদের। নিজেদের পেট চালাতে তাই সাজের কাজের সঙ্গে মন্ডপ সজ্জার কাজ করছেন এই শিল্পীরা।

শিল্পী ধর্ম দাস বলেন,”এখন পুজোর কাজের জন্যই অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আমাদের। পুজো আসলে কিছু কাজ মিলছে। তবুও পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ মিলছে না। তাই আমরা মন্ডপের কাজ করছি। কারণ প্রতিমার সাজের কাজ পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছে না। হাতেগোনা দুই থেকে একটি প্রতিমার সাজ শোলার কাজের হচ্ছে। বাকি অধিকাংশ পুজা উদ্যোক্তারা আধুনিক সাজে সাজিয়ে তুলছে দুর্গা প্রতিমাকে।”

এমন পরিস্থিতিতে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন এই শিল্পীরা। তবে কাজ বাঁচানোর তাগিদে তারাও ধীরে ধীরে নিজেদের পেশার পরিবর্তন করতে শুরু করেছেন। একসময় শুধুমাত্র শোলার কাজ করতেন। এখন এই শিল্পীরা বাধ্য হয়েছেন মন্ডপ সজ্জার কাজ করতে। মন্ডপ তৈরি সময় যে সমস্ত থার্মোকলের কাজগুলি হয়ে থাকে। সেই কাজগুলি এখন এই শিল্পীরা করছেন। এতে কিছুটা হলেও আয় বাড়ছে শিল্পীদের। শিল্পী প্রতাপ কুমার দাস বলেন,”৪০ বছর ধরে এই কাজ করছি। এখন আর কাজ তেমনি মিলছে না। জানিনা আর কতদিন এই কাজ করতে পারব।”

আরও পড়ুনঃ  Cristiano Ronaldo: ৯০০ গোলের পর এবার এমন রেকর্ড গড়লেন রোনাল্ডো, যা বিশ্বে কারও নেই

পুজোর প্রায় দুই মাস আগেই যেটুকু সাজের কাজ মেলে তা শেষ করে শিল্পীরা লেগে পড়ছেন মন্ডপ সজ্জার কাজে। এই করেই বর্তমানে সংসার চলছে মালদহ জেলার একসময়ের বিখ্যাত শোলা শিল্পীদের। তবুও এখনও তারা তাকিয়ে থাকেন দুর্গাপুজোর দিকে। কারণ পুজো আসলেই কাজের সুযোগ মেলে। বছরের অন্যান্য সময় এখন আর কাজ প্রায় নেই বললেই চলে এই শিল্পীদের।

হরষিত সিংহ

Traditional Durga Puja: সন্ধিক্ষণের মহাপুজোয় শূন্যে চালানো হয় গুলি, ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা আজও বহমান বুদবুদের বিশ্বাসবাড়িতে

বুদবুদ, পশ্চিম বর্ধমান : সেই প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এখনও দেবীর পুজো হয় এখানে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একইভাবে রূপদান হয় মৃন্ময়ী মূর্তির। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এই পুজো ৩০০ বছরের বেশি পুরানো। এখনও পর্যন্ত বহু পুরানো সেই ঠাকুরদালানে দেবীর আগমন হয়। বিশাল ঠাকুর দালানটি আলোয় ঝলমল করে ওঠে।

বর্তমানে এই পুজোর অন্যতম হোতা এবং পরিবারের নবম প্রজন্ম অরুন কুমার বিশ্বাস বলছেন, তাঁদের পূর্বপুরুষ রামমোহন বিশ্বাসের হাত ধরে এই দুর্গাপুজো শুরু হয়। তাঁদের আগের পদবী ছিল গঙ্গোপাধ্যায়, তাঁরা বিশ্বাস উপাধি পেয়েছিলেন। তাঁদের পূর্বপুরুষ ছিলেন মুর্শিদাবাদের নবাব আলিবর্দি খানের খাজাঞ্চি। মুর্শিদাবাদ থেকে চলে আসার পর তিনি এই জায়গায় পুজো শুরু করেন তাঁর গুরুদেবের নির্দেশে।

চারদিন ধরে দুর্গাপুজো উপলক্ষে এখানে বিশাল আয়োজন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা অনেকেই এখন বাইরে থাকেন। কিন্তু পুজোর সময় সকলেই ফিরে আসেন। মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে এখানে কামান দাগার নিয়ম ছিল। যদিও বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কামান দুর্ঘটনার পর থেকে সেই নিয়মে বদল এসেছে। পরিবর্তে সন্ধিক্ষণের মহাপুজোয় শূন্যে গুলি চালানো হয়। জ্বালানো হয় মশাল।

পুজোর ঐতিহ্যের পাশাপাশি বিশ্বাস পরিবারের সদস্যরা এখনও প্রাচীন ঠাকুর দালানটিকে ধরে রেখেছেন আগের মত করে। নিয়মিত সাফ-সাফাই করা হয়। মেরামত করা হয়। পুজোর আগে নতুন রঙে সাজিয়ে তোলা হয় বহু প্রাচীন এই ঠাকুরদালানটি। পুজোর ঐতিহ্যের সঙ্গে পুরনো এই ঠাকুর দালানটিকে টিকিয়ে রাখা পরিবারের সদস্যদের কাছে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ। যদিও সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা তাঁরা সাফল্যের সঙ্গেই করছেন।

নয়ন ঘোষ

Durga Puja 2024: প্রকৃতিকে রক্ষার অঙ্গীকার নিয়েই এবারের মাতৃ বন্দনা গোবরডাঙ্গার এই বারোয়ারিতে

উত্তর ২৪ পরগনা: শরৎ এর আকাশ পেঁজা তুলোর মত মেঘ জানান দিচ্ছে আসছেন দেবী। আর তাই বাকি হাতে গোনা মাত্র কিছুদিন। তারপরই শারদ উৎসবে দুর্গা বন্দনায় মেতে উঠবেন সকলে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার বার্তাকে সর্বসম্মুখে তুলে ধরতে গোবরডাঙ্গা গড়পাড়া বিধান স্মৃতিসংঘ এবার তাদের মন্ডপ সাজিয়ে তুলছে একেবারে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। যেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে গাছের ছাল-বাকল, বাঁশের কঞ্চি সহ নানা উপকরণ। এবছর তাদের এই পুজো ৪৪ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। আর তাই এবছরের ভাবনায় থাকছে পরিবেশ রক্ষার বিশেষ অঙ্গীকার।

আরও পড়ুন: রুপোর পাখায় বাতাস, রুপোর সম্মার্জনীতে ধুলো পরিষ্কার, ৩০০ বছরের সাবেক পুজোয় আজও উড়ে যায় নীলকণ্ঠ

প্রাকৃতির ভারসাম্য রক্ষা ও সকলের সুস্থতা কামনা করেই এবছরের পুজোর এই ভাবনা ভেবেছেন উদ্যোক্তারা। পুজোর মাস খানেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি। ধীরে ধীরে অনেকটাই এগিয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। মেদিনীপুরের মন্ডপ শিল্পীদের হাতেই ফুটে উঠছে এবারের গড়পাড়া বিধান স্মৃতি সংঘের পুজো মন্ডপ। শিল্পীদের নিখুঁত হাতের কাজে, বিশেষভাবে সেজে উঠবে এই পুজো মন্ডপ বলেই দাবি উদ্যোক্তাদের। মন্ডপের ভিতরে যেমন দেখা যাবে বাঁশের কাজ, পাশাপাশি গোটা মন্ডপেই দেখা মিলবে বিভিন্ন ধরনের গাছের ছালবাকল সহ পাতা ও বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান। যা বিশেষ নজর কারবে দর্শনার্থীদের বলেই মনে করছেন মন্ডপ শিল্পীরা। দেবী প্রতিমাও থাকবে মন্ডপের সঙ্গে সাদৃশ্য মেনে। তাই এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গোবরডাঙ্গার এই পুজোর মন্ডপ শিল্পীরা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Rudra Narayan Roy

Durga Puja: অভাবের সংসার, পেট চালাতেই শুরু আঁকা, মণ্ডপ সজ্জায় নজর কাড়ছেন তরুণ শিল্পী

নন্দকুমার: মানুষের ভাগ্য মানুষকে কখন কোথায় কোন পরিস্থিতিতে ফেলে দেয় তা আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার ঝোঁক। আর বড় হয়ে সেই আঁকা বদলে গেল মণ্ডপ সজ্জা শিল্পে। সংসার চালাতে এই কাজে আসা। আর বর্তমানে এই কাজই শিল্পী পঞ্চানন ভূুঁইয়ার পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সালটা ২০২০ উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর করোনা আর লকডাউনের জাঁতাকলে ছাড়তে হয় পড়াশোনা। দু’চোখে স্বপ্ন ছিল পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে অঙ্কন শিল্পী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। কিন্তু পড়াশোনা আর হয়ে ওঠেনি। থিমের মণ্ডপ শিল্পী হিসাবে খ্যাতিলাভ করেছেন।

আরও পড়ুন: বাথরুমের হলুদ দাগ? এইভাবে পরিষ্কার করলেই নিমেষে ঝকঝকে হবে নোংরা বাথরুম, সহজ টিপসেই কেল্লাফতে

পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পড়াশোনা আর করা হয়নি। মণ্ডপ সজ্জা শিল্পকে পেশা হিসাবে নিয়ে কাজ শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমারের কোলসর এলাকার যুবক পঞ্চানন ভূুঁইয়া। তাঁর তুলে টানে চাল, ছোট নুড়ি ও বোতলের ছিপি প্রভৃতির ওপর ফুটে উঠে ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ধরনের দেব-দেবী, মনীষী, বিখ্যাত মানুষ ও প্রকৃতির চিত্র।

তবে দুর্গাপুজোর সময় ব্যস্ত হয়ে ওঠে মণ্ডপ সজ্জার কাজে। তার তৈরি মণ্ডপ সজ্জা অসম ও কোচবিহারেরর পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন দুর্গাপুজো প্যান্ডেলে ফুটে উঠবে। রাত দিন এক করে তারই কাজ করে চলেছে পঞ্চানন।

আরও পড়ুন: ঝাঁ ঝাঁ করে কমে যাবে বিদ‍্যুতের বিল! এসির রিমোটেই লুকানো রয়েছে বড় সমাধান, ঠান্ডাও থাকবে, টাকাও বাঁচবে

পঞ্চানন জানালেন,” আমাদের জেলার শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইল্যা ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র দিয়ে তুলির টানে নানান জিনিস বানিয়ে, মণ্ডপ সজ্জা করে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁকে দেখেই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। পরিবারের হাতে অর্থ তুলে দিতেই এই কাজ শুরু করা। বর্তমানে তার কাজের পরিসর বাড়ছে। একটু একটু করে নাম ডাক হয়েছে মণ্ডপ শিল্পী হিসাবে।”

পঞ্চানন আরও জানালেন ভিন রাজ্যে অসমের একটি দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল-সহ পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, নবদ্বীপ কলকাতার গড়িয়ার একটি মণ্ডপের পাশাপাশি আরও দুটি মণ্ডপের কাজ চলছে। পুজো যত এগিয়ে আসছে কাজের চাপ তত বাড়ছে।

আরও পড়ুন: কী সার্চ করছেন গুগলে? এইসব জিনিস নয় তো? খুব সাবধান! হতে পারে জেলও

বছরে একুশের পঞ্চানন বর্তমানে মণ্ডপ শিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। ফলে দুর্গাপুজো, কালীপুজো-সহ বিভিন্ন পুজো ও অনুষ্ঠানে মণ্ডপ শিল্পী হিসাবে তাঁর ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। পঞ্চাননের ছোট থেকেই ছবি আঁকার নেশা ছিল। বর্তমানে এলাকার ছেলে মেয়েদের ছবি আঁকার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, মণ্ডপ শিল্পী হিসাবেও সমান তালে কাজ করে চলেছেন তিনি।

সৈকত শী