Tag Archives: puja lifestyle 2024
Clean Kitchen Exhaust Fan: ৫ মিনিটে ঝকঝকে…! তেলচিটে, ময়লা এক্সজস্ট ফ্যান পরিষ্কারের দুর্দান্ত সহজ ‘হ্যাক’ শিখে নিন! ম্যাজিকে ‘নতুন’ হবে!
Darjeeling Tourism: দার্জিলিং গেলে এই বাঁশের পদের স্বাদে মজে যান! একবার খেলে মাছ মাংসের দিকে ফিরেও তাকাবেন না
সুজয় ঘোষ, দার্জিলিং : ছুটির দিন হলেই মন চায় পাহাড় আর পাহাড়। এই পাহাড়ের টানে প্রত্যেক বছর দূরদূরান্ত থেকে উত্তরবঙ্গে ছুটে আসে প্রচুর পর্যটক। গরমের ছুটি হোক বা পুজোর ছুটি-পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট থাকে পাহাড়। পাহাড়ে প্রচুর পর্যটক ঘুরতে এসেই বিভিন্ন স্থানীয় নেপালি জনজাতির হাতের তৈরি খাওয়ার টেস্ট করে থাকেন। বাঙালি মানেই তো ভোজনরসিক। তাই ঘুরতে এসে খাওয়াদাওয়া হবে না, তা তো হয় না। বর্তমানে পাহাড়ে ঘুরতে আসো পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে নেপালি জনজাতির একটি জনপ্রিয় খাবার “তামা” । পাহাড়ে ঘুরতে এসে এই খাবার না খেলেই মিস!
নেপালি জনজাতির হাতের তৈরি এই খাওয়ার “তামা”, আমরা যাকে বাংলায় বলে থাকি বাঁশ । এটা শুনে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে বাঁশ আবার খাওয়া যায় নাকি? তাহলে বলি নেপালি জনজাতির এই বিখ্যাত রেসিপি তৈরি হয় বাঁশ গাছের একদম গোড়ার অংশ দিয়ে। সাধারণত বাঁশ গাছ কেটে ফেলার পর পড়ে থাকে গোড়ার অংশটি, বাঁশ গাছের এই অংশটি একদম নরম হয়। স্থানীয় মানুষ এই অংশটিকে কেটে বাড়িতে নিয়ে এসে এটাকে ভালভাবে পরিষ্কার করে ছাল সরিয়ে তার পর রান্না করে থাকে।
আরও পড়ুন : কয়েক চুমুক জলেই মেদ গলে ছিপছিপে চেহারা! শুধু এভাবে এই পাত্র থেকে করতে হবে জলপান
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন প্রথমে টুকরো টুকরো করে কেটে হলুদ,লবণ দিয়ে এটিকে সেদ্ধ করা হয়। তারপর কড়াইতে গরম তেলে পেঁয়াজ টম্যাটো আদা রসুন জিরে দিয়ে ভালমতো কষিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু এই খাবার। এটিকে আপনি ভাত বা রুটি উভয়ের সঙ্গেই খেতে পারেন। অন্যদিকে বাঁশ গাছের এই অংশ দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের আচার যা পর্যটকদের কাছে পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
তাহলে আর দেরি কেন, আপনিও বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন নেপালি জনপ্রিয় খাওয়ার “তামা”। এই খাবার খেলে মাছ মাংস ভুলে যাবেন আপনি। বাজেট ফ্রেন্ডলি এই খাবার ঝালে ঝোলে রসালো এবং খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু।আপনি যদি পাহাড়ে গিয়ে এই খাবার না খেয়ে থাকেন তাহলে মিস করছেন। পাহাড়ে গেলে অবশ্যই খেয়ে দেখুন অত্যন্ত সুস্বাদু লোভনীয় এই নেপালি পদ।
Darjeeling Tourism: ডিম ঝালমুড়ি! পাহাড়ে প্রকৃতির কোলে এই মুখরোচক চটপটা খেলে বেড়ানোর মজা জমজমাট
সুজয় ঘোষ, দার্জিলিং: উইকএন্ড হোক বা ছুটির দিন। বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে পাহাড় যেতে কে না ভালবাসে! আর উত্তরবঙ্গ মানেই পুরোটা জুড়ে পাহাড় নদী আর জঙ্গলে ঘেরা মন মুগ্ধ করা পরিবেশ। সব কাজ ভুলে শহরের কোলাহল যানজট থেকে দূরে পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা এই শান্ত শীতল পরিবেশে বসে পাহাড়ি গ্রামের লোকাল খাবার খেতে খেতে পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে জমাটি আড্ডা।
বাঙালি মানেই ভোজনরসিক। সেই অর্থে ঘোরার কথা এলে খাওয়া হবে না তা আবার হয় নাকি। ছোট থেকেই সকলের মুখে মুখে শুনে আসা বিখ্যাত এবং বহুচর্চিত খাবার ‘ঝালমুড়ি’। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাটে আমরা এই ঝালমুড়ির দোকান দেখতে পাই। তবে এবার পাহাড়ের কোলে এই দোকানে একবার ঝালমুড়ি খেলে জিভে জল আসবে আপনার। এই দোকানে প্রচুর আইটেম থাকলেও এখানকার ঝালমুড়ি খেতে সকলেই খুব পছন্দ করে।
আরও পড়ুন : তিরতিরে পাহাড়ি নদীতে ভেজান পা, প্রিয়জনের সঙ্গে হারিয়ে যান প্রকৃতির কোলে
কুড়ি বছর ধরে পাহাড়ের কোলে এই দোকানে ঝালমুড়ি বিক্রি করে আসছেন রাজেশ। যেমন ঝাল তেমন মচমচে। মশলা আচারে মাখো মাখো এই চটপটা ঝালমুড়ি খেতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা। এই প্রসঙ্গে দোকানের এক কর্মচারী বলেন, ‘‘আমাদের এখানে বিখ্যাত ঝালমুড়ি। পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী মাঝে মাঝে বিশেষ ডিম ঝালমুড়িও বানানো হয়। প্রতিনিয়ত প্রচুর পর্যটক এই ঝাল মুড়ি খেতে ছুটে আসেন আমাদের দোকানে। এখানে এলে ঝালমুড়ি খেতে খেতে চোখের সামনে দেখতে পাবেন পাহাড় নদী জঙ্গলে ঘেরা এক মন মুগ্ধ করা পরিবেশ। পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে ঠিক দুধিয়া পানিঘাটার কাছে কুড়ি বছরের পুরনো এই রাজেশের দোকানে ঝালমুড়ি খেলে নিমেষেই মন ভাল হবে আপনার।
Clean Water Tank: ৫ মিনিটে চকমক করবে…! জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কারের সবচেয়ে সহজ ‘ট্রিক্স’! ছোট্ট কাজেই ম্যাজিক
Darjeeling Eco Tourism: তিরতিরে পাহাড়ি নদীতে ভেজান পা, প্রিয়জনের সঙ্গে হারিয়ে যান প্রকৃতির কোলে
Onion Side Effects: এঁরা পেঁয়াজ খেলেই চরম বিপদ! জানুন ক্ষতি এড়াতে কারা ভুলেও পেঁয়াজ মুখে তুলবেন না!
Fat Loss by Dry Fruit: মোমের মতো গলবে চর্বি, শুতে যাওয়ার আগে ‘এই ড্রাই ফ্রুট’ মাত্র ২টো খান, আর কেউ বলবে না মোটা!
Coochbehar Temple: প্রকৃতির মাঝে ইতিহাসে ডুব দিতে চাইলে ছোট্ট ছুটিতে আসুন কোচবিহারের এই প্রাচীন শিবমন্দিরে
সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: জেলা কোচবিহারে দীর্ঘ সময়ের পুরনো ঐতিহ্য ও নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। দীর্ঘ পুরনো ঐতিহ্য ও নিদর্শন গুলোকে কেন্দ্র করে পর্যটনের জায়গা তৈরি হয়েছে জেলায়। বর্তমান সময়ে এমনই একটি পর্যটনের জায়গা হিসেবে পরিচিত এই শিব মন্দির। দেবালয়ের নাম অনাথনাথ শিব মন্দির। দীর্ঘ সময়ের ঐতিহ্যবাহী শিব মন্দিরের স্থাপনার বিষয় নিয়ে আজও প্রচুর রহস্য রয়ে গিয়েছে। এই মন্দিরের স্থাপনার বিষয়ে একাধিক মত প্রচলিত রয়েছে লোকমুখে। তবে এটি কী কারণেই মন্দির স্থাপন করা হয়েছিল সেই রহস্য আজও রহস্যই রয়ে গিয়েছে।
মন্দিরের পুরোহিত বৈকুণ্ঠনাথ তিওয়ারি জানান, ‘‘শুধু নবদ্বীপ থেকে আসা পন্ডিত ও ব্রাহ্মণেরা এই মন্দির স্থাপনায় অংশ নিয়েছিলেন। তখনই এই মন্দিরের নাম রাখা হয় অনাথনাথ শিব মন্দির। বর্তমান সময়ে এই মন্দিরের বয়স ঠিক কত, তা কেউ বলতে পারবেন না। অনুমান করা হয় এই মন্দির রাজ আমলেরও পুরনো মন্দির। দীর্ঘ সময়ের পুরনো এই মন্দিরে রীতি মেনে পুজো করা হয় সকল দেবতাদের। তবে মূলত শিব মন্দির হওয়ার কারণে ভগবান শিবের পুজোর নিয়ম রয়েছে বেশি। প্রতিদিন নিত্যপুজোর পাশাপাশি বছরের বিশেষ সময়গুলিতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়।’’
তিনি আরও জানান, ‘‘এই মন্দিরে একাধিক শিবলিঙ্গের পুজো করা হয়ে থাকে। রাজ আমল থেকেই এই সংকল্প মানা হচ্ছে। তবে এর সঠিক কী কারণ রয়েছে সেটা প্রত্যেকের অজানা। বর্তমান সময়ে এই মন্দিরে বছরের বিভিন্ন সময়ে বহু ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে।’’ এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বণিক জানান, ‘‘দীর্ঘ সময়ের রাজ আমলের পুরনো এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষদের আবেগ রয়েছে অনেকটাই। বর্তমানে এই শিব মন্দির সঠিক কথাটা সময় আগে স্থাপন করা হয়েছিল তা বলা এক প্রকার অসম্ভব বিষয়।’’
আরও পড়ুন : কৌশিকী অমাবস্যার সন্ধ্যায় করুন এই ছোট্ট কাজ! দুঃসময় কাটিয়ে অর্থ, সুখ-সমৃদ্ধি ফিরবে জীবনে
সামনেই আসন্ন পুজোর ছুটি। যাঁরা প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন গুলি ঘুরে দেখতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সেরা ঠিকানা হতে পারে এই বিশেষ শিবমন্দির। তাই পুজোর ছুটিতে চাইলে ঘুরতে আসতেই পারেন এই অনাথনাথ শিব মন্দিরে। মন্দিরের চারপাশের পরিবেশ যে কোনও মানুষের মন সহজেই মুগ্ধ করে তুলতে পারে। তাই তো বহু মানুষ বার বার ছুটে আসেন এই মন্দিরে।