Category Archives: কোচবিহার

HS Result 2024: অঙ্কিতার সাফল্যেই প্রথম মেধা তালিকায় এই স্কুল, উচ্চ মাধ্যমিকে সেরা দশে কৃতী ছাত্রী, গর্বিত সকলে

কোচবিহার: ৮ মে প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪-এর ফলাফল। ফলাফলের নিরিখে কোচবিহার জেলা থেকে তিন কৃতী ছাত্রী রয়েছে সেরা দশের তালিকায়। এদের মধ্যে একজন হল অঙ্কিতা ঘোষ। যে দশম স্থান অধিকার করেছে। তাঁর মোট প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। শতাংশের নিরিখে যা হল ৯৭.৪ শতাংশ। তবে এখানেই শেষ নয়। অঙ্কিতা কোচবিহার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। মূলত অঙ্কিতার কারণেই এই প্রথম মেধা তালিকার সেরা দশের তালিকায় স্থান পেল তাঁর স্কুল। এই বিষয়টি তাঁর স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্কুল শিক্ষিকাদের রীতিমতো খুশি করে তুলেছে।

কৃতী ছাত্রী অঙ্কিতা ঘোষ জানান, “সারাদিনে নিয়ম করে পড়তে বসার বিষয়টি তাঁর ছিল না। কারণ, দিনের বেশিরভাগ সময় সে পড়াশোনার প্রতি ব্যয় করত। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি টিভি দেখতে বেশ ভাল লাগে তাঁর। এছাড়াও ভাল লাগে বিভিন্ন ধরনের গল্পের বই পড়তে। তাঁর মোট গৃহ শিক্ষক ছিলেন পাঁচ জন। ভবিষ্যতে তাঁর পরিকল্পনা রয়েছে একজন ডাব্লিউবিসিএস অফিসার হওয়ার। মূলত সে কারণে প্রস্তুতি ও শুরু করে দিয়েছে সে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ভাল ভাবেই দিয়েছিল সে। তবে সেরা দশের তালিকায় যে নাম থাকবে তা সে ভাবতেও পারেনি। বাবা-মা ও স্কুলের নাম উজ্জ্বল করতে পেরে সে নিজেও আনন্দিত হয়েছে অনেকটাই।”

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

অঙ্কিতার বাবা সাধন ঘোষ জানান, “পেশাগতভাবে ব্যবসায়ী তিনি। তাই এই মেয়েকে খুব একটা বেশি সময় দিতে পারতেন না। তবে মেয়ের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ ছিল। যে কারণে সে এই সাফল্যটা পেয়েছে। তাই তিনি রীতিমতো খুশি।”

আরও পড়ুন-   অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

এছাড়া অঙ্কিতার মা অঞ্জনা ঘোষ জানান, “ভবিষ্যতে মেয়ে যা হতে চায় তাতেই সমর্থন রয়েছে তাঁদের। তাঁর এই সাফল্যের কারণে তাঁরা সকলেই রীতিমতো খুশি।” এছাড়া অঙ্কিতার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুচিস্মিতা চক্রবর্তী জানান, “অঙ্কিতার এই সাফল্য স্কুলের নাম উজ্জ্বল করেছে। ভবিষ্যতে অঙ্কিতা আরও সাফল্য অর্জন করুক এমনটাই প্রত্যাশা তাঁদের।” অঙ্কিতার সাফল্য শুধুমাত্র স্কুল কিংবা তার বাড়িতেই নয় ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলা জুড়ে। জেলার মানুষেরাও রীতিমতো খুশি অঙ্কিতার এই সাফল্যের কারণে।

Sarthak Pandit

Eye Care Tips: টানটান চোখ, ছানির সমস্যাও কাটবে, দূরের জিনিসও দেখবেন অনায়াসে, পাতে থাকুক কয়েকটা খাবার, ব্যাস খেল্লাফতে!

অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এইসব খাবারের তালিকায় কী কী উপকরণ রয়েছে জেনে নিন বিশিদে।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এইসব খাবারের তালিকায় কী কী উপকরণ রয়েছে জেনে নিন বিশিদে।
যেসমস্ত খাবারের মধ্যে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেলস, ফটো নিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস পাওয়া যায়। এইসব উপকরণ চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
যেসমস্ত খাবারের মধ্যে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেলস, ফটো নিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস পাওয়া যায়। এইসব উপকরণ চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে টক জাতীয় খাবারের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ। আজকাল সারাবছরই নানা ধরনের টক জাতীয় ফল পাওয়া যায় বাজারে। ভিটামিন-C সমৃদ্ধ টক খাবার মানব চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে টক জাতীয় খাবারের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ। আজকাল সারা বছরই নানা ধরনের টক জাতীয় ফল পাওয়া যায় বাজারে। ভিটামিন-C সমৃদ্ধ টক খাবার মানব চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।
বিভিন্ন ধরনের বেরি জাতীয় ফল খেলেও ভাল থাকে চোখের স্বাস্থ্য। ভিটামিন-C সমৃদ্ধ বেরি জাতীয় ফল খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়। ক্যাটার‍্যাক্টের সমস্যা থাকলে সেটাও অনেকটাই কমে যায়।
বিভিন্ন ধরনের বেরি জাতীয় ফল খেলেও ভাল থাকে চোখের স্বাস্থ্য। ভিটামিন-C সমৃদ্ধ বেরি জাতীয় ফল খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়। ক্যাটার‍্যাক্টের সমস্যা থাকলে সেটাও অনেকটাই কমে যায়।
ভিটামিন-E এবং ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে বিভিন্ন ধরনের বাদাম জাতীয় বীজের মধ্যে। দৃষ্টিশক্তি প্রখর করার পাশাপাশি এইসব উপকরণ চোখের অন্যান্য অনেক সমস্যা দূর করে সহজেই।
ভিটামিন-E এবং ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে বিভিন্ন ধরনের বাদাম জাতীয় বীজের মধ্যে। দৃষ্টিশক্তি প্রখর করার পাশাপাশি এইসব উপকরণ চোখের অন্যান্য অনেক সমস্যা দূর করে সহজেই।
ছোট মাছ খাওয়া দৃষ্টিশক্তি প্রখর করার জন্য অনেকটাই উপকারী। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ টুনা, সার্ডিন, স্যামন খেলে উপকার পাওয়া সম্ভব। ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এইসব মাছের মধ্যে।
ছোট মাছ খাওয়া দৃষ্টিশক্তি প্রখর করার জন্য অনেকটাই উপকারী। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ টুনা, সার্ডিন, স্যামন খেলে উপকার পাওয়া সম্ভব। ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এইসব মাছের মধ্যে।
বর্তমান সময়ে যেভাবে প্রতিনিয়ত আমরা টেকনোলজি নির্ভর হয়ে পড়ছি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে বহু মানুষের। চোখ সুস্থ রাখতে বেশ কিছু বিষয় দিকে নজর রাখা উচিত।
বর্তমান সময়ে যেভাবে প্রতিনিয়ত আমরা টেকনোলজি নির্ভর হয়ে পড়ছি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে বহু মানুষের। চোখ সুস্থ রাখতে বেশ কিছু বিষয় দিকে নজর রাখা উচিত।

Higher Secondary 2024: মাধ্যমিক ২ নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় স্থান হয়নি, এবারের উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম প্রতীচি, ভাল ফল করার গোপন মন্ত্র শেয়ার করলেন

কোচবিহার: ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪-র ফলাফল। সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ কোচবিহারের প্রতীচী রায় তালুকদার। সে সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। শতাংশের নিরিখে হল ৯৮.৬ শতাংশ। তবে সে মেয়েদের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে।

মাধ্যমিকে ৬৮২ পেয়েছিল প্রতীচী। তখন মাত্র দু’নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় নাম ওঠেনি তাঁর। সেই আক্ষেপ পূরণ করতেই উচ্চমাধ্যমিকে এই সাফল্য। বর্তমান সময়ে তার ফলাফলে রীতিমতো খুশি তাঁর বাবা-মা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন – ১৭ বছর বয়সী প্রেমিকার সঙ্গে সঙ্গম! মেয়ের মা এনেছিল মারাত্মক অভিযোগ, ৪০ বছরের পুরনো অভিযোগে ৪ সন্তানের বাবা জেলে

প্রতীচী জানায়, “প্রতিদিন আনুমানিক ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করতো সে। তবে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম ছিল না। শরীর চর্চা করার পর পড়তে বসলে পড়ায় মনোযোগ বসে। মূলত এই কারণেই শরীরচর্চা করার পরই পড়তে বসতো সে। উচ্চমাধ্যমিকে তার মোট সাতজন গৃহ শিক্ষক ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁর গান ছবি আঁকা ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট এইসব ভাল লাগে। শ্রেয়া ঘোষালের গান রয়েছে পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষে। অবসরে গল্পের বই পড়া পছন্দ করে সে। ভবিষ্যৎ দিনে তাঁর ইচ্ছে রয়েছে সে একজন ডাক্তার হবে। ইতিমধ্যেই সেই জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সে।”

প্রতীচীর মা ঝুমা সাহা তালুকদার জানান, “মেয়ের পড়াশোনার বিষয়ে কোন সময় তাঁকে বলতে হতো না। সে নিজেই পড়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতো। উল্টে কিছু সময় তারা তাকে পড়াশোনা থেকে সামান্য বিরতি নিতে বলতেন। মেয়ের এই সাফল্য তাঁদের অনেকটাই আনন্দ দিয়েছে। মূলত বাবা-মায়ের অসম্পূর্ণ ইচ্ছে মেয়ে সম্পূর্ণ করতে পেরেছে এমনটাই বক্তব্য তাঁর। ভবিষ্যৎ দিনে মেয়ে আরও সফল হয়ে উঠুক।” বাবা প্রণব রায় তালুকদার জানান, “প্রতীচী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে র‍্যাংক করে রয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে আগামীতে সে ডাক্তার হতে চায়। তাই তাঁর ইচ্ছেকে সম্পূর্ণ সহমত জানান তাঁরা।”

মাধ্যমিকের ফলাফলের পর উচ্চ মাধ্যমিকে আবার এই নজর কারা সাফল্য। মূলত এই কারণেইbঅনেকটাই খুশি করেছে কোচবিহারের বাসিন্দারা। আগামী দিনে প্রতীচী আরও সফল হয়ে উঠুক এমনটাই প্রত্যাশা করছেন জেলার প্রত্যেকটি মানুষ। তবে প্রতীচী লক্ষ্য একটাই একজন ভালো মানের ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।

Sarthak Pandit

ISCE Class 10 Result 2024: ছিল না কোনও গৃহশিক্ষক! আইসিএসইতে ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে জেলার সেরা সৌমাভ

কোচবিহার: আইসিএসই বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোচবিহার থেকে দারুণ ফল করল এক কৃতী ছাত্র। সেন্ট মেরিজ স্কুলের ছাত্র সৌমাভ প্রধান ছোট থেকে মেধাবী পড়ুয়া। এবার তাঁর সাফল্য এক নতুন পালক যুক্ত করল কোচবিহারের সাফল্যের মুকুটে। মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৫ পেয়েছে সে। তাই এই নম্বরের নিরিখে মোট শতাংশের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৯ শতাংশ। জেলার কৃতি সৌমাভর স্বপ্ন ভবিষ্যতের দিনে চিকিৎসক হয়ে ওঠার। আপাতত তাই সেই প্রস্তুতির পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছে সে। নিট পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে তাঁর। এছাড়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সে ভর্তি হতে চলেছে কোচবিহারের জেনকিন্স স্কুলে ।

আরও পড়ুনঃ ছেলেদের থেকে পাশের হারে সামান্য পিছিয়ে মেয়েরা, HS-এর মেধাতালিকায় চমকে দিল প্রতীচী-স্নেহা

সৌমাভর বাবা কৌশিক প্রধান উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অধ্যাপক। মা গৃহবধূ। তবে ছেলের পড়াশোনার জন্য চাকরির পেয়েও ছেড়ে দিয়েছিলেন সৌমাভের মা। সৌমাভ প্রধান জানায়, “দিনে প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করত সে। তবে তাঁর কোনও গৃহশিক্ষক ছিল না। মূলত তাঁর মা নিজেই পড়াশোনায় সাহায্য করত তাঁকে। পাঠ্যপুস্তক খুঁটিয়ে পড়ার পাশাপাশি পরীক্ষার আগে প্রচুর মক টেস্ট দিয়েছিল সে। তাই তাঁর পক্ষে পরীক্ষায় ভাল ফল করা সম্ভব হয়েছে। তবে তাঁর বাবাও তাঁকে যথেষ্ট উদ্বুদ্ধ করেছেন ভাল ফল করার জন্য।”

সৌমাভের মা সোমা প্রধান জানান, “ছেলে ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিল। ফলে খুব একটা বেশি কষ্ট করতে হয়নি তাঁকে। স্কুলের শিক্ষকদের পড়াশোনার পাশাপশি তিনি ছেলেকে কিছুটা সাহায্য করেছেন। তবে ভবিষ্যতে ছেলে ডাক্তার হতে চায়। সেইজন্য সেই প্রস্তুতি শুরু করেছে সে ইতিমধ্যেই।” সৌমাভের বাবা কৌশিক প্রধান জানান, “বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে আসার পর সময় বলে খুব একটা কিছু থাকতো না। তাই ছেলেকে তাঁর পড়াশোনার বিষয়ে খুব একটা সাহায্য করতে পারেননি তিনি। তবে ছেলেকে মূল্যবোধের বিষয়গুলি তিনি বোঝাতে পেরেছেন। তিনি চান ছেলে একজন ভাল মানের মানুষ হয়ে উঠুক।”

তবে, পশ্চিমবঙ্গ বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে কোচবিহারের নজরকাড়া পর। আবারও এই সাফল্য কোচবিহারের নাম উজ্জ্বল করেছো অনেকটাই। কোচবিহারের সাফল্যের মুকুটে একের পর এক পালক যুক্ত হচ্ছে। মূলত এই কারণেই কোচবিহারবাসীরা বর্তমান সময়ে রীতিমতো আনন্দে রয়েছেন।

Sarthak Pandit

Double Your Money: গরমের মরশুমেও এই ভাবে লাভ হবে দ্বিগুণ, হবে টাকার বৃষ্টি

অন্যান্য সকল চাষের মতন ফুল চাষের ক্ষেত্রেও লাভবান হওয়া সম্ভব। তবে বাজারে যে সময় যে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। সেই ফুল যোগান দিতে পারলে লাভের মাত্রা অনেকটাই বেশি পাওয়া সম্ভব।
অন্যান্য সকল চাষের মতন ফুল চাষের ক্ষেত্রেও লাভবান হওয়া সম্ভব। তবে বাজারে যে সময় যে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। সেই ফুল যোগান দিতে পারলে লাভের মাত্রা অনেকটাই বেশি পাওয়া সম্ভব।
জারবেরা ফুল বাজারের অন্যতম চাহিদা সম্পন্ন একটি ফুল। এই ফুলের সৌন্দর্য আকর্ষণ করে যে কোন মানুষকে। ঘর সাজানো থেকে শুরু করে যে কোনও ধরনের সাজসজ্জার কাজে ব্যবহার করা হয় এই ফুলকে। তাই তো সারাটা বছর এই ফুলের চাহিদা বাজারে থাকে অনেকটাই বেশি। তবে মূলত শীতকালীন সময়ে এই ফুলের চাষ করা হয়ে থাকে। গরমের সময় এই ফুলের চাষ খুব একটা হয় না।
জারবেরা ফুল বাজারের অন্যতম চাহিদা সম্পন্ন একটি ফুল। এই ফুলের সৌন্দর্য আকর্ষণ করে যে কোন মানুষকে। ঘর সাজানো থেকে শুরু করে যে কোনও ধরনের সাজসজ্জার কাজে ব্যবহার করা হয় এই ফুলকে। তাই তো সারাটা বছর এই ফুলের চাহিদা বাজারে থাকে অনেকটাই বেশি। তবে মূলত শীতকালীন সময়ে এই ফুলের চাষ করা হয়ে থাকে। গরমের সময় এই ফুলের চাষ খুব একটা হয় না।
কোচবিহারের এক ফুল চাষি দুলাল সরকার জানান, "তিনি দীর্ঘ সময় ধরে জারবেরা ফুল চাষ করে আসছেন। মূলত শীতকালীন সময়ে এই ফুল চাষ করা অনেকটাই সহজ। সেই সময় মুনাফার পরিমান থাকে তুলনামূলক অনেকটাই কম। গ্রীষ্মকালীন সময়ে এই ফুল চাষ করা কিছুটা কঠিন হলেও। মুনাফার পরিমান পাওয়া যায় অনেকটাই বেশি। মূলত গ্রিনহাউসের মাধ্যমে এই ফুল চাষ গরমকালে করা যাবে। তবে জল সেচ দিতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এছাড়া রোগ পোকার আক্রমণ এড়াতে প্রয়োগ করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে কীটনাশক। তাহলে সহজেই লাভের ভাল পরিমাণ পাওয়া যাবে এই ফুল চাষ থেকে।"
কোচবিহারের এক ফুল চাষি দুলাল সরকার জানান, “তিনি দীর্ঘ সময় ধরে জারবেরা ফুল চাষ করে আসছেন। মূলত শীতকালীন সময়ে এই ফুল চাষ করা অনেকটাই সহজ। সেই সময় মুনাফার পরিমান থাকে তুলনামূলক অনেকটাই কম। গ্রীষ্মকালীন সময়ে এই ফুল চাষ করা কিছুটা কঠিন হলেও। মুনাফার পরিমান পাওয়া যায় অনেকটাই বেশি। মূলত গ্রিনহাউসের মাধ্যমে এই ফুল চাষ গরমকালে করা যাবে। তবে জল সেচ দিতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এছাড়া রোগ পোকার আক্রমণ এড়াতে প্রয়োগ করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে কীটনাশক। তাহলে সহজেই লাভের ভাল পরিমাণ পাওয়া যাবে এই ফুল চাষ থেকে।”
তিনি আরও জানান, "এই ফুলের মধ্যে মূলত দু'ধরনের রোগ পোকার আক্রমণ দেখতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে রোগে আক্রান্ত গাছগুলিকে কীটনাশক স্প্রে করার পর। মরে যাওয়া পাতা গুলিকে গাছ থেকে আলাদা করে দিতে হয়। তাহলে গাছের বৃদ্ধি ও ফুলের মাত্রা আবারও স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে। এই পদ্ধতি না করলে ফুলের মান, ও গাছের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত শীতের মরশুমে এই ফুলের দাম থাকে প্রতি পিস ৫ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত। তবে গরমের সময় এই দাম পৌঁছয় ১৫ থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত।"
তিনি আরও জানান, “এই ফুলের মধ্যে মূলত দু’ধরনের রোগ পোকার আক্রমণ দেখতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে রোগে আক্রান্ত গাছগুলিকে কীটনাশক স্প্রে করার পর। মরে যাওয়া পাতা গুলিকে গাছ থেকে আলাদা করে দিতে হয়। তাহলে গাছের বৃদ্ধি ও ফুলের মাত্রা আবারও স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসে। এই পদ্ধতি না করলে ফুলের মান, ও গাছের বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত শীতের মরশুমে এই ফুলের দাম থাকে প্রতি পিস ৫ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত। তবে গরমের সময় এই দাম পৌঁছয় ১৫ থেকে ১৬ টাকা পর্যন্ত।”
বছরের এই মরশুমে এই বিশেষ ফুল চাষ করার মাধ্যমে খুব সহজেই লাভবান হওয়া সম্ভব। কৃষকেরা অন্যান্য চাষ-আবাদের পাশাপাশি এই ফুলের চাষ করে লাভের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।
বছরের এই মরশুমে এই বিশেষ ফুল চাষ করার মাধ্যমে খুব সহজেই লাভবান হওয়া সম্ভব। কৃষকেরা অন্যান্য চাষ-আবাদের পাশাপাশি এই ফুলের চাষ করে লাভের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।

Summer HealthCare: গরম থেকে বাঁচাবে এই পাঁচ সবজি! শরীর ঠান্ডা ও সুস্থ রাখবে! চিকিৎসকের মত জানুন

গরমের মধ্যে শরীর ঠান্ডা ও সুস্থ রাখার জন্য খাবার পাতে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি। তবে বাজারে মরশুমি সবজির মধ্যে কোন কোন খাবেন সেটা জেনে নিতে হবে।
গরমের মধ্যে শরীর ঠান্ডা ও সুস্থ রাখার জন্য খাবার পাতে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি। তবে বাজারে মরশুমি সবজির মধ্যে কোন কোন খাবেন সেটা জেনে নিতে হবে।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, এসি কিংবা ফ্যানের হাওয়া বাইরে থেকে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তবে শরীরকে ভিতর থেকেও ঠান্ডা রাখতে বেশ কিছু সবজি দারুণ কাজে লাগে।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, এসি কিংবা ফ্যানের হাওয়া বাইরে থেকে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। তবে শরীরকে ভিতর থেকেও ঠান্ডা রাখতে বেশ কিছু সবজি দারুণ কাজে লাগে।
তীব্র এই গরমে লেটুস খাওয়া সত্যিই দারুণ উপকারী। লেটুস পাতায় জলের পরিমাণ বেশি থাকে। শরীরের তাপমাত্রা কমাতে লেটুসের জুড়ি নেই। পেটের সমস্যাও কমায় লেটুসের পাতা।
তীব্র এই গরমে লেটুস খাওয়া সত্যিই দারুণ উপকারী। লেটুস পাতায় জলের পরিমাণ বেশি থাকে। শরীরের তাপমাত্রা কমাতে লেটুসের জুড়ি নেই। পেটের সমস্যাও কমায় লেটুসের পাতা।
গরমে শসা না খেলে পেটের সমস্যা অবধারিত। শসাতে জলের পরিমাণ থাকে অনেকটাই বেশি। ফলে শরীর আর্দ্র রাখতে দারুণ সাহায্য করে এই ফল। হজমের গোলমাল কমাতেও শসা দারুণ উপকারী।
গরমে শসা না খেলে পেটের সমস্যা অবধারিত। শসাতে জলের পরিমাণ থাকে অনেকটাই বেশি। ফলে শরীর আর্দ্র রাখতে দারুণ সাহায্য করে এই ফল। হজমের গোলমাল কমাতেও শসা দারুণ উপকারী।
গরমে লাউ খেতে ভুললে একেবারে চলবে না। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। গরমের মধ্যে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। এছাড়া, পেটের সমস্যা যাঁদের বেশি লাউ তাঁদের জন্য উপকারী।
গরমে লাউ খেতে ভুললে একেবারে চলবে না। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে। গরমের মধ্যে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। এছাড়া, পেটের সমস্যা যাঁদের বেশি লাউ তাঁদের জন্য উপকারী।
ঝিঙে রান্না করার সময়ে যে পরিমাণ জল বেরোয়। তাতে খুব সহজেই বোঝা যায় এতে কতটা পরিমাণ জল থাকে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমাতে দারুণ উপকারী ঝিঙে।
ঝিঙে রান্না করার সময়ে যে পরিমাণ জল বেরোয়। তাতে খুব সহজেই বোঝা যায় এতে কতটা পরিমাণ জল থাকে। গ্রীষ্মকালীন সময়ে নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমাতে দারুণ উপকারী ঝিঙে।
‘হিট ওয়েভ’-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুস্থ থাকতে বিট খাওয়া জরুরি। বিট পেটের গোলমাল যেমনি কমায়। তেমনি শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। হজমের সমস্যাও কমে বিট খেলে পরে।
‘হিট ওয়েভ’-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুস্থ থাকতে বিট খাওয়া জরুরি। বিট পেটের গোলমাল যেমনি কমায়। তেমনি শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। হজমের সমস্যাও কমে বিট খেলে পরে।

Jute Cultivation: গরমের পর কালবৈশাখী, দফারফা পাট চাষের!

কোচবিহার: এবার পাট চাষের মরশুমের শুরু থেকেই অস্বস্তির মুখে পড়েছিলেন চাষিরা। তীব্র গরম পাট চাষের অনেকটাই ক্ষতি করেছে। সেই ক্ষতির ধাক্কা এখনও পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেননি কৃষকেরা। জলসেচ পর্যাপ্ত পরিমাণে দিলেও পাটের চাষ খুব একটা সুবিধাজনক নয়। এরই মাঝে জেলাজুড়ে কালবৈশাখের পূর্বাভাস অনেকটাই চিন্তায় ফেলেছে চাষিদের। গরমের দাবদাহে বেশিরভাগ জমির পাট ঝলসে গিয়েছে। এবার কালবৈশাখীর দাপটে বাকি পাট‌ও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় চাষিরা।

আরও পড়ুন: নতুন বাঁধ তৈরি না হলে শেষ হয়ে যাবে চাষবাস! এখানে ভয়ঙ্কর সঙ্কট

কোচবিহার জেলায় মোট চাষযোগ্য জমির প্রায় ৪০ শতাংশতেই পাট চাষ করা হয়। তীব্র গরমের মধ্যে মোট পাট চাষের প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষকদের দাবি। জেলার এক পাট চাষি সুভাষ কাহালি জানান, তীব্র গরমে এবার পাট চাষের দফারফা হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ জমির পাট পর্যাপ্ত জল না পাওয়ার কারণে শুকিয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে পাটের চারা গজাতে অনেকটাই সময় লেগেছে। ফলে পাটের মরশুম অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই কারণে চিন্তায় বেশিরভাগ পাট চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে যদি দ্রুত পাট চাষিদের সহায়তা প্রদান করা না হয় তবে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দেবে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত জমিতে পাট অবশিষ্ট রয়েছে সেই জমিগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সেচের প্রয়োজন রয়েছে। না হলে সেগুলোও নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা।

সার্থক পণ্ডিত

Avocado Health Benifit: বিদেশি ফল, একটু দামি, তবে লাখ টাকা উপকার, শরীর করবে চাবুক, কোলেস্টেরল পালাবে দূরে

অ্যাভোকাডো ফলটি কেবল সুস্বাদুই নয়। এই ফল শরীরকে সুস্থ রাখতেও দারুণ সাহায্য করে। এই ফল থেকে শরীরের জন্য নানা উপকারী গুণাগুণ পাওয়া যায় সহজেই। তাইতো এই ফলের চাহিদা অনেকটাই।
অ্যাভোকাডো ফলটি কেবল সুস্বাদুই নয়। এই ফল শরীরকে সুস্থ রাখতেও দারুণ সাহায্য করে। এই ফল থেকে শরীরের জন্য নানা উপকারী গুণাগুণ পাওয়া যায় সহজেই। তাইতো এই ফলের চাহিদা অনেকটাই।
অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদ অমৃতা দত্ত জানান, অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ভিটামিন-K, ভিটামিন-E এবং স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যা শরীরের সুস্থতা এবং সতেজতা বজায় রাখে।
অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদ অমৃতা দত্ত জানান, অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ভিটামিন-K, ভিটামিন-E এবং স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যা শরীরের সুস্থতা এবং সতেজতা বজায় রাখে।
অ্যাভোকাডো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দারুণ সাহায্য করে। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও এতে পটাশিয়াম রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
অ্যাভোকাডো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দারুণ সাহায্য করে। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও এতে পটাশিয়াম রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
অ্যাভোকাডো ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পাওয়া যায়। যা ত্বক আর চুলকে চকচকে ও সুস্থ রাখতে দারুণ সাহায্য করে।
অ্যাভোকাডো ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট পাওয়া যায়। যা ত্বক আর চুলকে চকচকে ও সুস্থ রাখতে দারুণ সাহায্য করে।
অ্যাভোকাডো ফাইবারে ভরপুর তাই হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে দারুণ সাহায্য করে। পেট ঠিক রাখতে এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করতে এর জুড়ি নেই।
অ্যাভোকাডো ফাইবারে ভরপুর তাই হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে দারুণ সাহায্য করে। পেট ঠিক রাখতে এবং নিয়মিত মলত্যাগে সহায়তা করতে এর জুড়ি নেই।
অ্যাভোকাডোতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবার থাকায় এটি খেলে সহজে খিদে পায় না। অনেকটা সময় পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফল।
অ্যাভোকাডোতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবার থাকায় এটি খেলে সহজে খিদে পায় না। অনেকটা সময় পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। এছাড়াও ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফল।

Viral Rabindranath: ২৫ বৈশাখ এল বলে, তার আগেই দিনহাটার রাস্তায় এ কোন রবীন্দ্রনাথ!

কোচবিহার: সামনেই ২৫শে বৈশাখ। এই বিশেষ দিনেই বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাইতো এই বিশেষ দিনটিকে মনে রাখতে বাঙালি প্রতি বছর সমারোহের সঙ্গে দিনটিকে পালন করে আসছে। তবে এবার ২৫শে বৈশাখের আগেই কোচবিহারের ঘটে গেল এক আশ্চর্য ঘটনা। কোচবিহারের রাস্তায় দেখা মিলল রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের।

তবে রবীন্দ্র নাথ তো পরলোক গমন করেছেন বহুদিন পূর্বে তবে এটা আবার কে? নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে মনে। না ইনি সত্যিই রবীন্দ্র নাথ নয়। অবিকল রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের মতন দেখতে একজন ব্যক্তি। যা বাড়ি কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার আলোকঝাড়ি এলাকায়। তাঁর নাম ফনিন শর্মা। বয়স তাঁর প্রায় ৭৬ বছর।

ফনিন শর্মা জানান, “তিনি শুরু থেকে এরকম ছিলেন না। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর আগে থেকে এই বিষয়টি শুরু হয় তাঁর জীবনে। তাঁর মামা মারা যাওয়ার পর তিনি দাড়ি বড় করতে শুরু করেন। আর তারপর থেকেই তাই জীবন এই পরিবর্তন। তখন অনেকেই তাঁকে দেখে অবিকল রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের মতন মনে করতে শুরু করেন। তারপর থেকে এলাকার মানুষেরাও তাঁকে দেখে রবীন্দ্র নাথ বলেই ডাকতে শুরু করেন। যদিও এই বিষয়টি তিনি বেশ উপভোগ করেন। তবে তিনি সামনাসামনি কোনদিন রবীন্দ্র নাথকে দেখেন নি। এছাড়া তিনি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের মতন লিখতে জানেন না। তবে রবীন্দ্র নাথের সর্ম্পকে লোকের মুখে মুখে শুনেছেন অনেককিছু।\”

তিনি আরও জানান, “২৫ শে বৈশাখের দিনে অন্যান্য বাঙালিদের মতন তিনিও পালন করেন রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী। তবে তিনি কোন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন না। একবার এলাকার কিছু ছেলেরা তাঁকে রবীন্দ্র নাথ সাজাতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি বাড়িতে না থাকায় সেই সুযোগ হয়নি। তবে তিনি এভাবেই ভাল রয়েছেন। তিনি রবীন্দ্র নাথ সেজে ঘুরে বেড়াতে চান না।”

তাঁর ছেলে শিবু শর্মা জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে বাবাকে এমন দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। যদিও বাবার এই রূপ দেখতে তাঁদের বেশ মজাই লাগে। তবে তাঁর বাবাও এই বিষয়টিকে বেশ অনেকটাই উপভোগ করেন।” তবে রাস্তায় এই ব্যক্তিকে চোখে পড়লে যেকোন মানুষ রবীন্দ্র নাথ বেঁচে উঠেছেন ভেবে ভুল করতেই পারেন।

Sarthak Pandit

World Laughter Day: বিশ্ব হাসি দিবসে শিল্পীর অবাক করা সৃষ্টি! হাতে ওটা কী জানেন?

কোচবিহার: গোপাল ভাঁড় চরিত্রটি ঐতিহাসিক। গবেষক ও ভাষাবিদদের কাছে বিতর্কের বিষয়‌ও বটে। তাঁর গল্পগুলি এই বাংলায় চূড়ান্ত জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত। অনেকেই মনে করেন গোপাল ভাঁড় নামে কেউ নির্দিষ্ট করে ছিলেন না। তবে ঊনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে বাংলা সাহিত্যে গোপাল ভাঁড়ের নাম সর্বপ্রথম উচ্চারিত হয়।

কথিত আছে, মধ্যযুগের আজকের নদিয়া অঞ্চলে গোপাল ভাঁড় ছিলেন একজন প্রখ্যাত রম্য গল্পকার ও মনোরঞ্জনকারী। তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীতে কৃষ্ণনগরের প্রখ্যাত রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় নিযুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন সৎ ও বুদ্ধিমান। বুদ্ধি ও সৎ সাহস থাকার কারণে রাজা তাঁকে সভাসদদের মধ্যকার নবরত্নদের একজন হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন। মাইক্রো শিল্পী সোমা মুখার্জি সেই গোপাল ভাঁড়ের একটি দুর্দান্ত ছবি এঁকেছেন।

আর‌ও পড়ুন: শান্তিপুরে বোনা কাপড়েই তৈরি হচ্ছে বাংলার স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম, ফিরছে সংসারের হাল

এই বিষয়ে শিল্পী জানান, গত ৫ মে বিশ্ব হাসি দিবস ছিল। মূলত এই কারণেই তাঁর মাথায় এসেছিল এই বিশেষ চরিত্রটির মূর্তি তৈরির কথা। আসলে ছোট বয়স থেকেই সকলে গোপাল ভাঁড়ের হাস্য রসের গল্প শুনে কিংবা পড়ে বড় হয়েছে। তাই এই চরিত্রটি নতুন করে আবার হাসতে শেখাতে পারে। কারণ, হাসির কোন‌ও বিকল্প নেই। হাসতে পারলে শরীর ও মন দুই ভাল থাকে। বর্তমানে সমাজে মানুষ হাসতে ভুলে যাচ্ছে। এতে মানসিক অবসাদ ও শারীরিক রোগ ব্যাধিতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

তাই বিশ্ব হাস্য দিবসের দিন গোপাল ভাঁড়ের মূর্তি তৈরি করেন কোচবিহারের সোমা মুখার্জি। এই মূর্তির উচ্চতা তিন সেন্টিমিটার। মডেলিং ক্লে, আঠা, কাপড়, সুতো, ইলেকট্রিক তার দিয়ে গোটা মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। তিনি বানিয়েছেন। মূর্তিটি তৈরি করতে তাঁর সময় লেগেছে এক মাসের মত।

সার্থক পণ্ডিত