Category Archives: হুগলি

হুগলি

Lok Sabha Election 2024: পরনে শাড়ি, মাথায় মুকুট, হাতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’! অভিনব কায়দায় ভোটের প্রচার হুগলিতে

হুগলি: হুগলি লোকসভার সুগন্ধা পঞ্চায়েতের এলেঙ্গা গ্রামে ভোটের প্রচারে প্রকাশ পেল অভিনবত্ব। ‘দেবী লক্ষ্মীর’ রূপে সেজে ভোটের প্রচার করলেন মহিলারা। পরনে শাড়ি, মাথায় মুকুট, এক হাতে আশীর্বাদের মুদ্রা ও অন্য হাতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। অবিকল লক্ষ্মী ঠাকুরের মতো সেজে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে চলছে তৃণমূলের ভোটের প্রচার।

হুগলি এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রচনা বন্দোপাধ‍্যায়। রচনার হয়েই অভিনব উপায়ে প্রচার করল তৃণমূল। মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের প্রচারও করা হল এই নতুন উপায়ে।

আরও পড়ুন: ফ্লাইট মিস করেই বদলে গেল জীবন! ‘এক নামের’ ৮ সিনেমার নায়ক, বলিউডের সুপারস্টারকে চিনতে পারছেন?

এই বিষয়ে একজন উদ্যোক্তা তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানুষের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’।

আরও পড়ুন: YouTube-ভিডিও থেকে কত টাকা আয় হয়? ১ মিলিয়ন ভিউজ হলে কত রোজগার হয়? ৯৯% লোকজনই জানেন না

প্রথমে লক্ষীর ভান্ডার ৫০০ টাকা থাকলে পরবর্তীতে তা বর্ধিত করে হাজার টাকা করা হয়েছে। বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের মহিলারা এতে উপকৃত হয়েছেন। সেই কারণেই তাদের অভিনব এই প্রচার।

রাহী হালদার

Lok Sabha Elections 2024: লোকাল ট্রেনে নির্বাচনী প্রচার সারলেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়

লোকাল ট্রেনে জনসংযোগ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে হাওড়া গামী লোকাল ট্রেনে ওঠেন হুগলির তৃনমূল প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ও তৃনমূল কর্মীরা। টিকিট কেটে ট্রেনে ওঠেন সকলে।

Weather update: কলকাতা সংলগ্ন দুই জেলায় ধেয়ে আসছে ঝড়, দোসর মাঝারি বৃষ্টি, সতর্কতা আলিপুরের

কলকাতা: আগামী দু’ঘণ্টার মধ্যেই ধেয়ে আসতে চলেছে প্রবল বেগে ঝড়। সঙ্গে হতে পারে মাঝারি বৃষ্টিও। ঝড়ের জেরে বিপর্যস্ত হতে চলেছে কলকাতার পাশের দুই জেলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, হাওড়া এবং হুগলি জেলায় আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে ঝড় আসতে চলেছে।

আরও খবর: ‘লোকসভায় ৩০টা আসন পেলে ছ’মাসের মধ্যেই নবান্নে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বসবে’, রানাঘাটের সভা থেকে দাবি সুকান্তের

শুধু ঝড় নয়, বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে হাওড়া এবং হুগলি জেলায়। ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে হাওড়া এবং হুগলি জেলার কিছু এলাকায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী দু’ঘণ্টার মধ্যে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি হয়েছে কলকাতাতেও। এ বার কলকাতার পার্শ্ববর্তী দুই জেলাতে ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল হাওয়া অফিস।

আরও খবর: আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায়, ম্যাচ ভেস্তে গেলে কোথায় থাকবে কেকেআর?

আগেই হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলাতেই ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো বাতাস বইবে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে কয়েকটি এলাকায়। এর মধ্যেই হাওড়া এবং হুগলি জেলার ঝড়বৃষ্টি সম্ভাবনা আছে বলে জানাল হাওয়া অফিস। কমলা সতর্কতা জারি হয়ে এই দুই জেলায়। যারা বাড়ির বাইরে আছেন তাদের বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

Lok Sabha Election 2024: লোকাল ট্রেনের কামরায় খোদ দিদি নম্বর ১! রচনাকে দেখে চমকে গেলেন যাত্রীরা

হুগলি: লোকাল ট্রেনে জনসংযোগ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার সকালে ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে হাওড়া গামী লোকাল ট্রেনে ওঠেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী। সঙ্গে ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ও তৃণমূল কর্মীরা।

হাতে টিকিট নিয়ে রচনা  বলেন,কতদিন পর ট্রেনে উঠলাম। ট্রেনে চাপতে আমার খুব ভাল লাগে। ব্যান্ডেল থেকে হুগলি, চুঁচুড়া, চন্দননগর প্রতিটি স্টেশনে নেমে যাত্রীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। ট্রেনের ভিতরেও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। যাত্রীদের অনেকের আবদারও মেটালেন।

এখানেই শেষ নয়। চন্দননগর স্টেশনে নেমে চা খান। চন্দননগর হাসপাতালের এক চিকিৎসক রচনাকে গান শোনান। ব্যান্ডেলের বাসিন্দা কুসুম ঘরামি নামে এক মহিলা দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে গিয়েছিলেন। রচনা প্রচারে আসছেন শুনে তিনিও চলে আসেন। রচনার সঙ্গে ট্রেনে ঘোরেন।নাচ করে দেখান।

এর আগে হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় লোকাল ট্রেনে জনসংযোগ করেছিলেন। রচনা সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘উনি ওঁর মতো করছেন, আমি আমার মতো। আমি তো গঙ্গা আরতি করেছি। লকেট গঙ্গায় নৌকা নিয়ে প্রচার করেছেন।’

Road Accident: মা ও ভাইকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন, রাস্তাতেই শেষ মেয়ের জীবন!

হুগলি: সাতসকালেই আরামবাগে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। প্রাইভেট কারের সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক মহিলার। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও তিনজন।

শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের বলরামপুর এলাকায়। মৃত মহিলার নাম চন্দনা মুখার্জী। তাঁর বাড়ি আরামবাগের সতীতলা এলাকায়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দনা মুখার্জী ভাই ও মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য প্রাইভেট কারে করে সতীতলা থেকে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়িতে চালক সহ মোট চারজন ছিলেন। বলরামপুরের কাছে আরামবাগের দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে প্রাইভেট কারটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হবে। সংঘর্ষের ফলে রাস্তার নিচে নেমে যায় প্রাইভেট গাড়িটি। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ির পিছনের অংশ।

আর‌ও পড়ুন: ভোর রাতে বাইক দুর্ঘটনায় টলিউড অভিনেতার মর্মান্তিক মৃত্যু!

আহত হন গাড়ি মধ্যে থাকা তিনজন। মৃত চন্দনা মুখার্জী আটকে যান গাড়ির দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অংশের মধ্যে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও আরামবাগ থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর চন্দনা মুখার্জীকে গাড়ির দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অংশ থেকে উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি আহতদের চিকিৎসা চলছে।

রাহী হালদার

Higher Secondary Result 2024: Success Story: ডাক্তার হয়ে নিজের গ্রামে ফিরে গ্রামবাসীদের চিকিৎসা করতে চান উচ্চ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ রুদ্র

রাহী হালদার, হুগলি: উচ্চ মাধ্যমিকে চোখ ধাঁধাঁনো সাফল্য। ভবিষ্যতে ডাক্তারি পাশ করে নিজের গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করতে চান উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ, হুগলির কোন্নগরের রুদ্র দত্ত। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১ শতাংশের নিরিখে ৯৮.০২% । জয়েন্ট পরীক্ষাতেও ফল এসেছে ৯৯ শতাংশ। তবে স্বপ্ন তাঁর চিকিৎসক হয়ে গ্রামে এসে ডাক্তারি করার।

বাবা জয়দেব দত্ত পোস্ট অফিসের কর্মরত। মা দীপ্তি দত্ত একজন গৃহবধূ। শ্রীরামপুর মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম স্কুলের ছাত্র রুদ্র দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছেন এই সাফল্য পেতে । মাধ্যমিকে আশানুরূপ ফলাফল হয়নি তাঁর । তার পর পরবর্তী সময় থেকেই প্রতিদিনের কঠিন অধ্যবসায়ের মধ্যে দিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে সাফল্য, এমনটাই জানাচ্ছেন এই ছাত্র। জয়েন্ট এবং নীট পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন।

আরও পড়ুন :  রসায়নে ভয় জয় করে কুশল উচ্চ মাধ্যমিকে নবম! রইল কৃতীর সাফল্যের রহস্য

ভবিষ্যতের চিকিৎসকের পড়াশোনা ছাড়া খেলাধুলা করতেও  ভাল লাগে। পছন্দের প্রিয় ফুটবল দল ব্রাজিল, পছন্দের ক্রিকেটার বিরাট কোহলি।এ বিষয়ে তাঁর মা দীপ্তি দত্ত বলেন, ‘‘ছেলেকে পড়াশোনার জন্য কখনই তাঁরা জোর করেননি। বরং পড়াশোনার জন্য ছেলেকে কিছু বলতেই হয়নি। যা করেছেন তিনি, পুরোটাই নিজের চেষ্টায় করেছেন। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাতেও ভাল নম্বর এসেছে তাঁর। তবে তাঁদের লক্ষ্য নিট পরীক্ষার ফলাফলের দিকেই।

Ratha Yatra 2024: মাহেশের রথযাত্রা এখনও অনেক দেরি, অক্ষয় তৃতীয়াতে হয়ে গেল চন্দন যাত্রা, কী সেই সনাতন রীতি

হুগলি:  হুগলির মাহেশর জগন্নাথ মন্দিরে রথ যাত্রার শুভ আরম্ভ হয় অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে চন্দন যাত্রার মাধ্যমে। কথিত আছে এই দিনেই নাকি জগন্নাথ দেব রাজা ইন্দ্রদ্যুম্মকে স্বপ্ন দিয়েছিলেন তার সারা গায়ে চন্দনের প্রলেপ দেওয়ার জন্য। সেই থেকেই প্রতি বছর এই দিনে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির এর মতন হুগলির মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রাকে কপালে চন্দনের পট্টি পড়ানো হয়।

কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্মকে জগন্নাথ দেব স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তাকে চন্দন প্রলেপ দিতে বলা হয়। এর ঠিক ৪২ দিন বাদে রাজার কাছে আবার স্বপ্ন আসে যেখানে ঠাকুর বলেন চন্দনের জন্য তার মাথা ধরে গেছে তাই তাকে স্নান করাতে হবে।

আরও পড়ুন – Tarapith Mandir: তারাপীঠে তারা মা-র মন্দিরে বড়সড় রদবদল, একাধিক মন্দির এখন নতুন জায়গায়, ভক্তরা আকূল

ঠাকুরের আদেশ অনুযায়ী রাজা ১০৮ টি কলসির জল দিয়ে জগন্নাথ দেবকে স্নান করান। সেই থেকেই চন্দন যাত্রার ৪৫ দিন বাদে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব পালন হয়। এই স্নান এর পরে ঠাকুরের নাকি খুব জ্বর আসে। তাই জন্য স্নান যাত্রার পরে ১২ দিনের জন্য ঠাকুরকে গর্ভগৃহে নিভৃত বাসে রাখা হয়। ১২ দিনের মধ্যে জগন্নাথ দেব সুস্থ হয়ে ওঠেন তারপর তাকে নিয়ে রথযাত্রা শুরু হয়।

মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সকাল থেকেই মানুষজন ভিড় করেছিলেন চন্দন উৎসব দেখার জন্য কপালে চন্দনের প্রলেপ পড়ানোর জন্য এলাকার স্থানীয় মহিলারা আগের দিন রাত থেকেই চন্দন বাটতে শুরু করে দেয়। চন্দন বাটা হয়ে গেলে সেই চন্দনকে একটি বিশেষ কাপড়ের চুবিয়ে রাখা হয়। ও সেই কাপড়ের পট্টিটি চন্দন যাত্রা দিন জগন্নাথ দেবের কপালে লাগিয়ে দেওয়া হয়।

চন্দন যাত্রা অনুষ্ঠান শেষে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন, উৎসব আজ থেকে শুরু হল চন্দন যাত্রা উৎসব। আজকের পর থেকে টানা ৪২ দিন ধরে চলবে চন্দনযাত্রা উৎসব। বলা হয় এই দিন থেকেই রথযাত্রা আরম্ভ হয়। তিনি আরওবলেন অবশেষে চন্দন যাত্রার মধ্যে হয় মাহেশের রথের শুভ আরম্ভ হল। আজ থেকে ঠিক ৪৭ দিন বাদে মহেশের রথের চাকা গড়াবে।

আবার ভক্তবৃন্দদের ঢল নামবে মহাপ্রভু জগন্নাথ এর রথের টান দেওয়ার জন্য। আজ থেকে শুরু হয় পুরীতে জগন্নাথ দেবের রথ তৈরির কাজ,আর মাহেশে সূচনা হয় চন্দন যাত্রা উৎসবের। আজ থেকে আগামী ৪২ দিন ধরে চলবে জগন্নাথ দেবের মাথায় চন্দন লেপন। তারপর হবে স্নান যাত্রা উৎসব। বলা যায় চন্দন যাত্রা দিয়ে আজ থেকে মাহেশে রথযাত্রারও সূচনা হয়ে গেল।চন্দন যাত্রায় মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে সকাল থেকে ভক্তদের ভীর।মন্দিরের গর্ভগৃহের দ্বার খোলার পর শুরু হয় চন্দন যাত্রা উৎসব।

মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত জগন্নাথ মন্দির সেবা ট্রাস্টের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানান,অক্ষয় তৃতীয় হল একটি অত্যন্ত শুভ দিন।বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের আবির্ভাব দিবস।অক্ষয় তৃতীয়াতেই জগন্নাথের চন্দন যাত্রা উৎসব হয়। ৬২৮ বছর ধরে দারু কাঠের জগন্নাথ মূর্তি একই রকম রয়েছে।কোনো ক্ষয় নেই।এটাই মাহেশ জগন্নাথের মাহাত্ম্য।

Rahi Halder

Income Tax Raid: আচমকা আয়কর হানা! ‘বিশেষ’ রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ির বাড়িতে তল্লাশি, মগড়া-বাঁশবেড়িয়ায় চাঞ্চল্য

হুগলি: একযোগে আয়কর হানা একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল থেকেই হুগলির সপ্তগ্রাম বিধানসভার বাঁশবেড়িয়া মগরা এলাকার একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর দফতরের প্রতিনিধিরা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। নির্বাচনের আগে এই নিয়ে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

শুক্রবার সকালে আয়কর দফতরের একাধিক দল মগড়া ও বাঁশবেড়িয়ায় ব্যবসায়ীদের ঠিকানায় হানা দেয়। যে সব ব্যবসায়ীদের বাড়িতে আয়কর তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে তারা সকলেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে সূত্রের খবর। তালিকায় রয়েছেন ব্যবসায়ী কমল দাস, বৈদ্যনাথ সাহা(বৈদ্য), সত্যরঞ্জন শীল(সোনা), দিলপ্রীত সিং, অভিজিৎ ঘট(টিংকু)-সহ একাধিক ব্যবসায়ীর নাম। বাড়ি ও অফিসে চলছে তল্লাশি। সিআরপিএফ কে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে আয়কর আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি…! ঘণ্টা দুয়েকেই দক্ষিণবঙ্গের ৩ জেলায় কালবৈশাখী সতর্কতা! লাল-কমলা-হলুদ অ্যালার্ট জেলায় জেলায়! কবে থামবে দুর্যোগ? জানিয়ে দিল আলিপুর

প্রসঙ্গত,গত ৩ এপ্রিল লকেট চট্টোপাধ্যায় মগড়ার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। তৃণমূলের ফাইনান্সার এই সব ব্যবসায়ীরা দূর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলেও অভিযোগ ছিল তাঁর। আয়কর হানা নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন,পশ্চিমবঙ্গে সিন্ডিকেট তোলাবাজি চলছে। যারা এসব করছে তাদের ছাড়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন,”না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। দুর্নীতি গুণ্ডাগিরি মাফিয়া রাজ চলছে। তার শেষ দেখতে চাই। দুর্নীতি করলে কেউ ছাড় পাবে না।”

হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুইন বলেন , “ব্যবসা করা কি অপরাধ নাকি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়া অপরাধ? লকেট চট্টোপাধ্যায় আগে থেকেই বলে রাখছেন যে কোথায় ইডি যাবে কোথায় সিবিআই যাবে কোথায় ইনকাম ট্যাক্স যাবে। তার মানে এজেন্সিগুলো বিজেপি হয়ে গিয়েছে। আর যদি ব্যবসায়ীদের কথা বলে তাহলে ইলেক্টোরাল বন্ডটা কী? বিজেপি কত টাকা নিয়েছে? সব মিলিয়ে শুক্রবার সকালে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর হানাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আয়কর দফতরের অভিযানের মধ্যে কি বেরিয়ে আসে তার দিকেই নজর রয়েছে সকলের।

রাহী হালদার

Lok Sabha Election 2024: ভোট প্রচারে বেরিয়ে গান গাইলেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরাও 

হুগলি: হুগলি শ্রীরামপুরের বিদায়ী সংসদ ও তৃনমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর রনংদেহি রূপ বার বার উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে। তবে সেই সবের থেকে একদম অন্যরকম রূপে দেখা গেলো আজ কল্যাণকে। বৈদ্যবাটিতে প্রচারে বেরিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কল্যাণ উই শ্যাল ওভারকাম গাইলেন। বিজেপি প্রার্থী শুনে বললেন, গান না করে একটু কাজ করুন।

আজ বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়ে অন্য মুডে ধরা দিলেন শ্রীরামপুর লোকসভা তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের ফাঁকে দলীয় কাউন্সিল ও কর্মিদের নিয়ে বসে গানের আড্ডায় মাতলেন কল্যাণ।কখনো গাইলেন উই শ্যাল ওভারকাম আবার কখনো রবীন্দ্র সংগীত ‘প্রাণ ভরিয়ে, তৃষা হরিয়ে, মোরে আরো আরো দাও প্রাণ।’ গতকাল পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্রজয়ন্তীতেও ভোট প্রচারে বেরিয়ে রবীন্দ্রনাথের গান গেয়েছিলেন কল্যাণ।

প্রতিদ্বন্দ্বী গান করছেন একথা শুনে বিজেপি প্রার্থী কবীর শংকর বোস বলেন, ওঁকে বলব, একটু কাজ করুন মানুষের জন্য। আগেও গান করেছেন নাচ করেছেন। শ্রমিক মহল্লার কি অবস্থা? উনি কি ওভারকাম করবেন? আর ওটা তো বামপন্থীদের গান। ওরা এক হয়ে লড়ছে। বামকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া।

রাহী হালদার

Higher Secondary Result 2024: বই কেনার টাকা ছিল না! সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়! উচ্চ মাধ্যমিকে দশম, বৃষ্টির লড়াই চোখে জল আনবে!

হুগলি: সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তাঁত বুনে কোনো-রকমে টেনে টুনে চলে সংসার। সেই পরিবার থেকেই উঠে এসেছে উজ্জ্বল নক্ষত্র। উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে দশম স্থান অর্জন করেছে হুগলি বেগমপুরের বৃষ্টি দত্ত। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছে বাবার কাছে। উচ্চমাধ্যমিকে নিজের চেষ্টায় ভালফল করেছে বৃষ্টি। মেয়ের উচ্চ শিক্ষার জন্য চিন্তার ভাঁজ এখন বাবার কপালে। উচ্চ মাধ্যমিকে হুগলি জেলায় প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছেন ১৩ জন ছাত্র ছাত্রী তার মধ্যে দশম স্থান অধিকার করেছেন হুগলির বেগমপুর হাই স্কুলের কলা বিভাগের ছাত্রী বৃষ্টি দত্ত।

বাবা সুশান্ত দত্ত একজন তন্তুবায়, তাঁতের কাপড় তৈরি করে কোনো রকমে সংসার চালান।মেয়ে দশম স্থান অধিকার করায় পরিবারে খুশির হওয়া বইলেও মেয়ের উচ্চ শিক্ষার জন্য চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কপালে।তবে শত কষ্ট করেও মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করতে ব্রতী হয়েছেন সুশান্ত বাবু। মা পম্পা দত্ত ও সংসারের হাল ধরতে কুটির শিল্পের কাজ করতেন তবে মেয়ের উচ্চ শিক্ষার খরচ নিয়েও বেশ চিন্তিত তিনি।

আরও পড়ুন: খালি পেটে এক গ্লাস জিরে ভেজানো জল খেলে কী হবে? এক মাসে বদলে যাবেন আপনি!

ভাল ফলাফলের প্রত্যাশা ছিলই তবে বাঁধা ধরা নিয়মে পড়াশোনা করত না বৃষ্টি। স্কুলের সব পাঠ্য বই তার কেন সম্ভব হয়নি। অনেকের কাছ থেকে বই জোগাড় করে পড়াশোনা করত বৃষ্টি। ভবিষ্যতে শিক্ষিকা হওয়ার ইচ্ছা,প্রিয় বিষয় ইংরাজি।নিজের মধ্যে কৌতূহল থাকলে ভাল রেজাল্ট করা সম্ভব বলে জানান বৃষ্টি।

রাহী হালদার