Category Archives: হাওড়া
Birthday Celebration: অল্পতেই খুশি ওরা! অভিজিৎ-সোমনাথদের সঙ্গে অন্যরকম জন্মদিন কলেজ পড়ুয়া সৃজিতার
হাওড়া: অন্য একটা দিন, অল্প আয়োজনই ওদের কাছে অনেকটা খুশির। আর সেই খুশিতেই আনন্দে আত্মহারা অভিজিৎ সোমনাথ’রা। ওদের কেউ পৃথিবীর আলো পর্যন্ত দেখিন, কেউ আবার কখনও শোনেনি পাখিদের কলরব। তবে ওরা থেমে নেই। আনন্দ ভবন ডেফ অ্যান্ড ব্লাইন্ড স্কুলে থেকে লেখা পড়া মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে ওরা।
আর পাঁচটা সাধারণ ছেলে-মেয়ের মত জীবন যাপন নয়। কিন্তু ওদের চাওয়া পাওয়া হয়ত এক। তবে অল্পতেই যে অনেক আনন্দ। তাই ওদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে অনেকই ছুটে আসে ওদের কাছে। এদিন সৃজিতার জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দের জোয়ারে ভাসল অভিজিৎ, সুমন্ত’রা সবাই।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে অস্থায়ী কর্মীদের কর্ম বিরতি, সাগর দত্তে ব্যাহত রোগী পরিষেবা
কলেজ পড়ুয়া সৃজিতার জন্মদিন পালন হল অভিজিৎ-দের সঙ্গে নিয়ে। এদিন সৃজিতা এবং তার পরিবার পৌঁছে গিয়েছিল আনন্দ ভবন ডেফ অ্যান্ড ব্লাইন্ড স্কুলে। জন্মদিন উপলক্ষে ওদের জন্য কিছু শিক্ষা সামগ্রী নিয়ে গিয়েছিল। এমন দিন ওদের কাছে দারুন আনন্দের। এই প্রসঙ্গে সৃজিতার মা, পেশায় শিক্ষিকা নমিতা ঘোষ জানান, দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল ওদের সঙ্গে একটু আনন্দ ভাগ করে সময় কাটানোর। সেই ইচ্ছে পূরণ হল মেয়ের জন্মদিনে। এখানে এসে ওদের সঙ্গে সময় কাটানোটা দারুন অভিজ্ঞতার।
রাকেশ মাইতি
Jagannath Rath Yatra 2024: পড়াশোনার ফাঁকেই রথ তৈরি করে বিক্রি ! বাবা মাকে সাহায্য করছে স্কুল পড়ুয়া
হাওড়া: স্কুল পড়ুয়া শুভমের হাতে তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ দেবার রথ! নিজের লেখাপড়ার ফাঁকে কাঠের রথ তৈরি করে বাবা মায়ের পাশে দাঁড়াচ্ছে নাবালক। যদিও এবারই প্রথম নয়। গত কয়েক বছর ধরে বাবার কাছে একটু একটু করে কাঠের রথ তৈরি শেখা। এবার আগাগোড়া নিজেই তৈরি করছে। রথের দড়িতে টান দিলে হয় পুণ্য লাভ। তাই দিনে দিনে এই ছোট রথের চাহিদা বেড়ে চলেছে। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ রথের দড়ি টেনে জগন্নাথের আশীর্বাদ পেতে পুরীতে হাজির হয়। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে রথের অনুষ্ঠান আয়োজন হয়। আবার এই বাংলাতে ছোট রথ টানার চল রয়েছে। রথের এক দেড় মাস আগে থেকে এই সমস্ত রথ বিক্রি হতে দেখা যায়। সেই রথ তৈরিতেই চরম ব্যস্ত স্কুল পড়ুয়া শুভম।
আরও পড়ুন: শখের বশেই অভিনয় থেকে গান! ভাইরাল হাওড়ার এই গৃহশিক্ষক
হাওড়া জেলার বেশকিছু প্রাচীন রথ রয়েছে। তার মধ্যে আন্দুলের জমিদার বাড়ির রথ বিখ্যাত। প্রাচীন সেই নিয়ম রীতি আজও নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে আয়োজন হয় রথ। এই রথের দড়িতে টান দিতে বহু দূর থেকে মানুষ আসেন। এই রথ কেন্দ্র করে প্রতিবছর আয়োজন বিশাল মেলা। রথ আর কয়েকটা দিন বাকি। জমিদারের রথের চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি। এদিকে আন্দুলের দক্ষিণ মহিারি চাঁদনী বাগান এর শুভম ব্যস্ত রথ তৈরিতে। জানা যায়, প্রায় এক মাস আগে থেকে ছোট ছোট কাঠের রথ তৈরিতে লেগে পড়ে শুভম। সেই মত এবছরও শুরু হয়েছে রথ তৈরি।
আরও পড়ুন:ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে পাঠিয়ে স্বস্তি নেই অভিভাবকদের! চিন্তা বাড়ে বর্ষা এলেই
শুভম চৌধুরী বর্তমানে নবম শ্রেণীর ছাত্র ছোটবেলা থেকে বাবার কাছ রথ তৈরি শিখে, এবার নিজে হাতেই সম্পূর্ণ রথ বানাচ্ছে শুভম। নিজেই রথ বানায় নিজেই বিক্রি করে। তার থেকে যা আয় হয়, সংসার চালাতে পুরো টাকাটাই তুলে দেয় বাবা মার হাতে। প্রায় প্রতি বছর ২০ টা করে রথ তৈরি করে। এই বছর কয়েকটা বেশি বানাতে প্রস্তুতি নিয়েছে। একরাশ আশা নিয়ে কাঠ কাটিং করে কাঠের উপর পেরেক সেঁটে রঙ দিলেই তৈরি নজর কাড়া রথ।এ প্রসঙ্গে বাবা বাপন চৌধুরী বলেন, সারা বছর কাঠের কাজ করি। রথের আগে নিজে বানিয়ে বিক্রি করতাম। সেই কাজ ছেলে শিখে নিয়ে এখন সে নিজেই রথ বানাচ্ছে। নিজের লেখাপড়ার ফাঁকে তৈরি করছে রথ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রাকেশ মাইতি
Ramakrishna Mission: বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মিশনে ৩ মাসে খুব কম খরচে পেশাদারি দক্ষতার কোর্স! এই মহাসুযোগ, জানুন
হাওড়া: কর্ম জগতে আত্মবিশ্বাস জোগাতে তিন মাসের প্রশিক্ষণ রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরে! প্রশিক্ষণ শেষে নিশ্চিত ভবিষ্যত গড়তে এই কোর্স দারুন কার্যকরী। বর্তমান সময়ে চাকরি ক্ষেত্রে যে কয়টি বিষয় বিশেষ ভাবে গুরুত্ব রাখে কথোপকথনের দক্ষতা, সঠিক আচরণ, ব্যক্তিত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি এই বিষয়গুলি গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখে।
সেই দিক থেকে এর প্রয়োজনীয়তা দারুণ। তারই গুরুত্ব রেখে পেশাদার জীবনের কথা ভেবে বিশেষ এই কোর্স চালু করার কথা ভেবেছে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির। এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির। এই কোর্সের জন্য অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার সুবিধা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘তুমিও হেঁটে দেখো…’, কিন্তু সুস্থ থাকতে রোজ কতটা হাঁটবেন সেটা কি জানেন?
পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, এই কোর্সটি অনলাইনে পাঠক্রমের সুবিধা পাওয়া যাবে। এই কোর্সটি হল ‘সফট স্কিল এ্যান্ড পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট ‘। অনলাইন এই সার্টিফিকেট কোর্সটি করানো হবে। প্রতিষ্ঠানের ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং সেল বেসরকারি সংস্থা এইএম টেকনোলজির সঙ্গে যৌথ ভাবে এই কোর্সের আয়োজন করেছে। এই কোর্সের মধ্যে রয়েছে, ইন্টারভিউ স্কিলস, লিডারশিপ স্কিলস, বিজনেস কমিউনিকেশন স্কিলস এবং পাবলিক স্পিকিং স্কিলস।
আরও পড়ুন: IIT-কে রীতিমতো টক্কর, এই কলেজে পড়ে মিলল ৮৫ লক্ষ টাকা প্যাকেজের চাকরি! কীভাবে ভর্তি?
কোর্সটির মেয়াদ তিন মাস। যেহেতু এই কোর্স অনলাইনে পাঠক্রম হবে। তাই কোর্সের ক্লাস হবে প্রতি মঙ্গলবার এবং বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত। কোর্স কি ৩০০০ টাকা। কোর্স শেষে মিলবে প্রতিষ্ঠান এবং ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের(এনএসডিসি ) শংসাপত্র। বিস্তারিত জানতে প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে মূল বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে বিস্তারিত জানতে পারবে।
রাকেশ মাইতি
Viral News: শখের বশেই অভিনয় থেকে গান! ভাইরাল হাওড়ার এই গৃহশিক্ষক
হাওড়া: গান ভালবেসে গান শুনেই গাইতে শেখা! শিক্ষা গুরুর হাত না ধরেই গানের জগতে প্রবেশ। প্রত্যন্ত গ্রামের যুবকের গান সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যুবকের বহুমুখী প্রতিভায় মুগ্ধ করছে সকলকে। গৃহশিক্ষকের গলায় মিষ্টি গান। পাড়া-প্রতিবেশী তো বটেই। গানের আবদার করে বসে ছাত্র ছাত্রীও। প্রাইভেট টিউশনের পাশাপাশি গান অভিনয় আবার কখনও অবসর সময়ে খাতা পেনসিল নিয়ে ছবি আঁকার নেশা রয়েছে। পেশাগত দিকে গৃহশিক্ষক। কিন্তু গানের প্রতি রয়েছে তাঁর আলাদা টান। চরম ব্যস্ততার মধ্যে থেকে সময় খুঁজে নিয়ম করে চলে গান চর্চা। শৈশব থেকেই গান শুনতে ভালবাসা।
আরও পড়ুনঃ অল্প বয়সেই পিঠে-কোমরে অসহ্য ব্যথা? দুর্বল হয়ে যাচ্ছে মেরুদন্ড! এই ৩ অভ্যাস নেই তো?
তারপর, একটু একটু করে অগাধো গানের সমুদ্রে ডুব দেওয়া। এক সময় যে সমস্ত মানুষ গান শুনে বিরক্ত বোধ করত। তাদের মধ্যে থেকেই গান শোনার আবদারও আসে। তাতে আরও বেশি করে গান গাইতে আগ্রহ বা উৎসাহ পায় শুভ। শুধু গান নয়, অভিনয়ের প্রতিও দারুণ আগ্রহ। স্থানীয় কয়েকজন বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে সচেতন মূলক ভিডিও তৈরি। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্ব চ্যানেলে আপলোড করে অল্পদিনে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গুরু ধরে গান শেখার সৌভাগ্য হয়নি কখনও। তবে বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলিত হয়। যারা গান শিক্ষা এবং গানের চর্চায় থাকেন। তাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে নিজেদের ব্যান্ড তৈরি। এরপর নিজেরাই বেশ কিছু গান লেখা এবং তার সুর করে গেয়ে ফেলা।
প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হয়ে বড় মঞ্চে গান গাওয়ার স্বপ্ন নিয়েই এগিয়ে চলেছে হাওড়ার শুভ মল্লিক। শৈশবে সেভাবে গুরুত্ব না পেলেও পরবর্তী সময়ে পরিবার আত্মীয়-স্বজন সকলেই ভীষণ উৎসাহ যোগায়। পরিবার বন্ধুবান্ধব মিলে অডিশনের জন্য উৎসাহিত করলেও হয়ে কখনও অডিশন দেওয়া হয়ে ওঠেনি বলেই জানায় শুভ। এ প্রসঙ্গে শুভ মল্লিক আরও জানায়, নিজে প্রতিষ্ঠিত হতে সরকারি চাকরি লক্ষ্যে রয়েছি। তবে ব্যক্তিগত ইচ্ছে, ভাল লাগা বলতে অভিনয় ও গান নিয়ে নিজেকে মানুষের মধ্যে মেলে ধরতে চাই।
রাকেশ মাইতি
Howrah News: ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে পাঠিয়ে স্বস্তি নেই অভিভাবকদের! চিন্তা বাড়ে বর্ষা এলেই
হাওড়া: ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তায় পড়েন অভিভাবক! এই চিন্তা বাড়ে বর্ষা এলেই। আসলে চিন্তা হল, পঠন-পাঠান করতে গিয়ে শরীর খারাপ না হয়ে বসে ছেলে-মেয়ের। যতদিন গড়াচ্ছে বাড়ছে সমস্যা। তার ফলে বেড়ে চলেছে দুশ্চিন্তাও। বর্ষা এলেই জল থৈ থৈ স্কুলে। একই সঙ্গে নর্দমার নোংরা জলে টইটম্বুর মানুষের ঘরবাড়ি। এর ফলে জ্বর জ্বালা চামড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে শরীরে। একটু বৃষ্টি হলেই জল জমছে স্কুলের বাইরে-ভিতরে। নোংরা জল পেরিয়ে যাতায়াতে সমস্যায় ছাত্র-ছাত্রীরা।
আরও পড়ুন: মাটির শৌখিন জিনিসের বাড়ছে চাহিদা! রথের মেলায় আশার আলো দেখছে মৃৎশিল্পীরা
বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে একই সমস্যা। এই সমস্যার সূত্রপাত গত প্রায় পাঁচ বছর আগে। নিকাশী ব্যবস্থা না থাকার ফলেই জমা জল সমস্যায় মানুষ। যতদিন গড়াচ্ছে সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, একটু বৃষ্টি হলে মানুষের বাড়ি ও মাদ্রাসায় জল জমে। এই ঘটনা হাওড়ার বাঁকড়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এলাকা জুড়ে। জমা জলের দুর্ভোগে স্থানীয় মানুষ এবং বাঁকড়া দারুল কুরাআন হাই মাদ্রাসা। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েও কোনো রকম সুরাহা মেলেনি।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রাকেশ মাইতি
Howrah News: ১০ বছরের সমস্যার সমাধানে বাঁশ দিয়ে এলাকা বন্ধ করল লিলুয়ার মানুষ!
হাওড়া: এলাকায় জল সরাতে রাস্তায় আটকাল স্থানীয় মানুষ! প্রায় দু’ঘণ্টা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে রাখা হল রাস্তা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বর্ষা দেখা দিয়েছে। গরম থেকে স্বস্তি মিললেও হাওড়া জেলার শহর অঞ্চলে বর্ষা শুরুতেই দেখা দিয়েছে জমা জলের সমস্যা। এবার এলাকার জমার জলমুক্ত ঘটাতে পথ অবরোধে মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার অন্তর্গত লিলুয়া মিরপাড়ায়। বিগত প্রায় ১০ বছর জমা সমস্যায় মানুষ। সমস্যার সমাধানে একাধিকবার প্রাক্তন কাউন্সিলর ও বিধায়কের দ্বারস্থ হলেও মেলেনি সুরাহা এমনটাইঅভিযোগ স্থানীয় মানুষের।
আরও পড়ুন: এক চিলতে ভাড়ার ঘরে সোনার আলো! আন্তর্জাতিক যোগাসনে তিনটে সোনা হাওড়ার সুস্মিতার
এই সমস্যা ৩০ এবং ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড। অভিযোগ বর্ষার সময় এই এলাকায় দিনের পর দিন এলাকার জলমগ্ন হয়ে থাকে। নর্দমা এবং রাস্তা জলে সমান হয়ে রয়েছে। শিশুদের নিয়ে চিন্তায় স্থানীয় মানুষ। বার বার জানান হলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে এদিন বাধ্য হয়ে পুরুষ মহিলা শতাধিক মানুষ রাস্তায় নামেন। বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে লিলুয়া মিরপাড়া এনএস রোড সংযোগস্থলে অবরোধ করে মানুষ। এরফলে বৃহস্পতিবার সকালে তীব্র যানজট তৈরি হয়। প্রায় দীর্ঘ দু’ঘন্টা অবরোধের পর লিলুয়া থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। শেষমেষ পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও সমস্যার সমাধান না ঘটলে। আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় মানুষ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
রাকেশ মাইতি
Indian Railways Puri: এবার রথে পুরীর পথে! রথযাত্রায় জগন্নাথধামের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে, ২টো স্পোশাল ট্রেন চালু করছে রেল, টিকিট কাটুন আর রথের দড়ি টানুন
Inspiration: এক চিলতে ভাড়ার ঘরে সোনার আলো! আন্তর্জাতিক যোগাসনে তিনটে সোনা হাওড়ার সুস্মিতার
রাকেশ মাইতি, হাওড়া: মরুদেশে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের জাতীয় পতাকা উড়ল বঙ্গতনয়া সুস্মিতার দৌলতে! দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান যোগাসন স্পোর্টস কাপ-এ পেলেন সাফল্য। ট্যাডিশনাল রিদমিক এবং আর্টিস্টিক-সহ তিনটি পৃথক বিভাগে সোনা জয় করে ঘরে ফিরলেন হাওড়ার মেয়ে সুস্মিতা দেবনাথ (রাই)। এর আগে রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে পুরস্কার তো ছিলই। এবার আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য পেয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন সুস্মিতা। খুশি তাঁর পরিবারের আত্মীয়স্বজন গ্রাম ও দেশের মানুষ।
এই সফলতার পিছনে রয়েছে হার না মানা লড়াই ও কঠোর অনুশীলন। মাত্র দেড় বছর বয়সে খেলার ছলে মায়ের কাছেই যোগ অভ্যাস। শৈশব থেকে দশ বছর বয়স পর্যন্ত কোনও রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই জেলাস্তরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ। তারপর নিজের চেষ্টায় এগিয়ে যাওয়া, মিলেছে একের পর এক সাফল্য। অভাব অনটন অর্থনৈতিক সমস্যা তাঁর নিত্যসঙ্গী। অভাবী পরিবার এক চিলতে ভাড়া ঘরে থেকেই লড়াই শুরু হয়েছিল। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত নিজস্ব বাড়ি তো দূর কথা, ঠিক মতো অনুশীলনের জায়গা পর্যন্ত ছিল না।
‘খেলো ইন্ডিয়া’ পদক জয়ের পর আন্তর্জাতিক স্তরে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে প্রায় অনিশ্চিত ছিল। আত্মীয় পরিজন এবং ঋণ নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ। বহু কষ্টে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তাঁর সাফল্যলাভ দারুণ আনন্দের। আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান সুস্মিতা।
আরও পড়ুন : বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় মুচমুচে মোমোতে কামড়? হতে পারে চরম সর্বনাশ! বর্ষায় মোমো কতটা ক্ষতিকর, জানুন
তাঁর মা মামণি দেবনাথ সন্তানদের মানুষ করতে সংসার হাল ধরতে বেছে নিয়েছিলেন কুরিয়ার সার্ভিসের চাকরি। যে কারণে স্বামী, কন্যাসন্তান নিয়ে ছাড়তে হয়েছিল ঘর। তারপরেও থেমে যাননি। এগিয়ে গিয়েছেন লেখাপড়া শেষ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে। মায়ের লড়াই থেকে শিক্ষা নিয়ে সফলতার দিকে এগিয়ে গিয়েছেন সুস্মিতা। নানা প্রতিবন্ধকতার বেড়াজাল পেরিয়ে এই সফলতায় পেয়েছেন বাঁধনহারা আনন্দ।
যোগাসন সামনে রেখেই ভবিষ্যৎ গড়তে চান সুস্মিতা। পরিবারকে সাহায্য করতে যোগাসন প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে।এ প্রসঙ্গে সোনার মেয়ে সুস্মিতা জানান, তিনি ভীষণ আনন্দিত। এই সাফল্যের পিছনে প্রাক্তন এবং বর্তমান প্রশিক্ষকের অবদান তো রয়েইছে। একই সঙ্গে পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজনের অবদানও আছে। তবে প্রতিযোগিতা বা লড়াইয়ের মঞ্চে মাকে দেখেই শিক্ষা নেওয়া।
এই আনন্দঘন মুহূর্তের মাঝেই চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিস্থিতি। এ বার শ্রীলঙ্কায় আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতা কীভাবে অংশগ্রহণ করবে, জানেন না। পরিবারের সামর্থ্য নেই খরচ করে পাঠানোর। এই অবস্থায় সরকারি সহযোগিতা আশায় তাকিয়ে আছেন।
এ প্রসঙ্গে সুস্মিতার মা মামণি দেবনাথ জানান, ‘‘আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে পক্ষে অত্যন্ত কঠিন এই স্বপ্নপূরণ। ছেলে-মেয়েদের প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তাদের স্বপ্ন পূরণ করা শক্ত। সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে চলেছি৷ কত দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব, জানি না। প্রতিভা থাকা সত্বেও হয়তো মাঝ পথেই বহু প্রতিভা থমকে পড়ে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে।’’
Bike Accident: লরির ধাক্কায় উড়ে গেল বাইক চালক! ভয়ঙ্কর কাণ্ড হাওড়ার রাস্তায়
হাওড়া: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বাইক চালকের। লরির সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত বাইক চালকের নাম জানা যায়নি।
এদিন সকাল থেকেই ঝির ঝির করে বৃষ্টি পড়ছিল। ফলে অত্যন্ত পিচ্ছিল হয়ে ছিল রাস্তাঘাট। তাই সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছিল রাস্তা দিয়ে। এর মধ্যেই বুধবার দুপুরে হাওড়ার গিরিশ ঘোষ রোডের গুরুকুল স্কুল সংলগ্ন ব্যস্ততম সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, একটি লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাইকটির। দূরে রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন বাইক চালক। তিনি গুরুতর আহত হন। রক্তাত্ব বাইক চালককে উদ্ধার করতে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: গৃহ প্রবেশের বাজার করতে গিয়ে ফেরা হল না, নতুন ঘরে ঢোকা অধরাই থেকে গেল শিক্ষিকার!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় ওই বাইক চালকের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর পরিচিত জানা যায়নি। ওই ব্যক্তির নাম, ঠিকানা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্তে নেমেছে বেলুড় থানার। পাশাপাশি ঘাতক লরিটিকে আটক করা হয়েছে।
রাকেশ মাইতি