Tag Archives: Durga Puja Travel
Mukutmanipur Tourism: সোনার তরী, কিরণমালায় ভেসে চলুন কংসাবতীর জলে, ছোট্ট ছুটিতে আপনার অপেক্ষায় মুকুটমণিপুর
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার রানি মুকুটমণিপুরে এসেছেন আর নৌকোবিহারে যাবেন না, এটা হয় না। আর নৌকোবিহারে গেলে অবশ্যই চোখে পড়বে কাঠের নৌকোগুলি। বিশেষভাবে চোখে পড়বে নৌকাগুলির নাম। প্রত্যেকটি নৌকার রয়েছে আলাদা আলাদা নাম। এই নামগুলোই যেন বার বার ডেকে আনে পর্যটকদের।দু’ থেকে তিন দিনের নিম্নচাপে কংসাবতী ড্যামের জল বেড়েছে কিছুটা। নীল জল প্রতিবছর মন টানে হাজার হাজার পর্যটকের।
এই বাঁধকে কেন্দ্র করে জীবিকা চলে বহু নৌকো চালকের। যারা প্রতি বছর পর্যটকদের কংসাবতী ড্যামকে কেন্দ্র করে ডিয়ার পার্ক, দুই নদীর সঙ্গমস্থল এবং আরও সুন্দর সুন্দর ঘোরার জায়গাগুলি ঘুরিয়ে দেখান। সামনেই পুজো। দুর্গা পুজোর আগে পর্যটকদের বিশেষভাবে ভিড় দেখা যায় মুকুটমণিপুরে। বৃষ্টির কারণে বেড়েছে কিছুটা জলস্তর। পর্যটকদের ভিড় বাড়ার আশা রয়েছে যথেষ্ট।
নৌকোবিহার এলেই দেখতে পাবেন সারি সারি নৌকো, দাঁড় করানো রয়েছে ড্যামের ধারে। আর তাদের মাথায় লেখা রয়েছে নাম, যেমন সোনার তরী, অন্নপূর্ণা, প্রভুজি, কিরণমালা এবং আরও কত কী…এক নৌকোচালক জানান, “যে যার নিজের পছন্দমতো নাম রাখেন। তবে সেই নাম দেখে আকৃষ্ট হন পর্যটকেরা। প্রথমবার যে নামের নৌকায় উঠেছিলেন সেই নামের নৌকোকেই খোঁজেন দ্বিতীয়বার।”একটি নৌকোয় প্রসাশনের নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৮ জন উঠতে পারে।
আরও পড়ুন : অতল মহাসাগরে লুকিয়ে রাখা হয়েছে নিখোঁজ বিমান MH370-কে? ১০ বছর পর মিলল সন্ধান? বিজ্ঞানীর দাবিতে তোলপাড়
প্রত্যেকেই পাবেন লাইফ জ্যাকেট। নৌকোবিহারের তিনটি প্যাকেজ রয়েছে। আড়াই ঘণ্টার সর্বোচ্চ প্যাকেজটির ভাড়া হল মাথা পিছু ১৫০ টাকা করে। ন্যূনতম ১০ জন অথবা রিজার্ভড ১৫০০ টাকা না হলে নৌকো ছাড়বে না। সর্বোচ্চ প্যাকেজে থাকে দুই নদীর সঙ্গম স্থল, কালী মন্দির, ডিয়ার পার্ক, সোনার বাংলা পার্ক এবং পরেশনাথ মন্দির। এর পর রয়েছে ১ ঘণ্টার “রানিং প্যাকেজ”। নাম লেখা নৌকার সংখ্যা প্রায় ৭০ টি।
Weekend Trip: ৭০০ টাকায় বক্সা ভ্রমণের সঙ্গে এলাহি খানাপিনা, লাগবে না এন্ট্রি ফি-ও, বিস্তারিত জানুন
Darjeeling: চায়ের কাপে তুফান তুলে আড্ডার মধ্যে আচমকা তার দেখা…! মিস করবেন না এই হেরিটেজ ক্যাফে
দার্জিলিং: কার্শিয়ংয়ের বুকে এক টুকরো পুরনো ঐতিহ্যের ছোঁয়া, এই জায়গার কথা জানলে অবাক হবেন আপনিও। কার্শিয়াং স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যেই রয়েছে ব্রিটিশ আমলের তৈরি ‘ক্যাফে দ্য সেন্ট্রাল ১৮৮১’। ব্রিটিশ রাজত্ব পার করে দেশ স্বাধীন হয়েছে বহুদিন কিন্তু সেই ব্রিটিশ আমলের তৈরি ঐতিহ্যবাহী এই ভিনটেজ ক্যাফে যেন এখনও নজর কারছে পর্যটকদের। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বুকে এ যেন এক অন্যতম নিদর্শন।
বহু চর্চিত এই ‘ক্যাফে দ্য সেন্ট্রাল ১৮৮১’ নিয়ে বহু কথা প্রচলিত। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব স্বয়ং ট্যুইট করে লিখেছেন ‘গেস দ্য প্লেস’। এ ছাড়াও ভারতীয় রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপার্সন জয়া বর্মা সিনহা স্বয়ং এই ঐতিহ্যবাহী ক্যাফেতে এসে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেন এত সুন্দর ভাবে এই হেরিটেজকে সংরক্ষণ করা হয়েছে তা সত্যিই অভাবনীয়।
আরও পড়ুনঃ নিম্নচাপের রক্তচক্ষু! দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টি টানা আর কতদিন? আবহাওয়ার মেগা আপডেট
পাহাড়ের বুকে এই ঐতিহ্যবাহী এই ‘ক্যাফে দ্য সেন্ট্রাল ১৮৮১’ পর্যটকদের মনে এক অন্যরকম জায়গা করে নিয়েছে। এই ঐতিহ্যবাহী ক্যাফেতে যেমন রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার তার পাশাপাশি ডাইনিংয়ে বসেই খেতে খেতে আপনার চোখের সামনে দিয়ে ছুটবে টয়ট্রেন। এই ঐতিহ্যবাহী ক্যাফে একদম স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অবস্থিত হওয়ায় দার্জিলিং যাওয়ার পথে এই ক্যাফের সামনেই এসে দাঁড়ায় দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের স্টিম ইঞ্জিন চালিত টয়ট্রেন।
আরও পড়ুনঃ বর্ষাকালে দীর্ঘক্ষণ ভেজা জুতো পরলে সংক্রমণের ভয়! কীভাবে এড়াবেন, জানুন টিপস
এক পর্যটক বলেন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী এই হেরিটেজকে এত সুন্দরভাবে সংরক্ষিত করা হয়েছে তা সত্যিই অবাক করার মতো। পাশাপাশি খাবার খেতে খেতে টয়ট্রেন দেখার মজাটা যেন একদম অন্যরকম। এখানে কর্মরত সরস্বতী বলেন, পর্যটকদের সবথেকে পছন্দের বিভিন্ন রকমের চা এখানে পাওয়া যায় এছাড়াও খাবার খেতে খেতে পর্যটকরা চোখের সামনে টয় ট্রেন দেখতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়।পুজোর ছুটিতে আপনিও যদি দার্জিলিং যাওয়ার কথা ভাবছেন তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসুন চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা ঐতিহ্যবাহী হেরিটেজ ‘ক্যাফে দ্য সেন্ট্রাল ১৮৮১’।
সুজয় ঘোষ