Tag Archives: Farmer

Farmers: রোদে-জলে কষ্ট করে চাষবাস, কৃষকদের জন্য অভিনব টুপি আবিষ্কার, অনেক সুবিধা

নদিয়া: কৃষকদের স্বস্তি দিতে নদিয়ার এক যুবক আবিষ্কার করলেন স্মার্ট টুপি। বাংলা জুড়ে চলছে তীব্র দাবদাহ। তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠছে আট থেকে আশি সকলেরই। তবে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় উত্তর বঙ্গে চলছে লাগাতার বৃষ্টি, মানুষ তীব্র গরমথেকে কিছুটা হলেও স্বাস্তি পাচ্ছে উত্তরবঙ্গে। তবে একেবারে ভিন্ন চিত্র দক্ষিবঙ্গে। দক্ষিবঙ্গের একাধিক জেলা এখন তীব্র তাপপ্রবাহে জর্জরিত। শুধু তাই নয় এই তীব্র গরমে তাপমাত্রার পারদ এখন ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুই।

তাতে এখন রীতিমত প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের। সাধারণ মানুষের থেকেও বেশি অসুবিধের সম্মুখীন হচ্ছে কৃষকেরা। এই তীব্র দাবদাহে চাষের জমিতে চাষ করতে গিয়ে লাগাতার গরমের মধ্যে থাকতে হচ্ছে আর এরইফলে অসুস্থতার  মুখে পড়তে হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের কৃষকদের৷

তবে এবার এই সমস্ত কৃষকদের কথা মাথায় রেখে নদিয়ার যুবক বানালেন ফারমার্স এন্ড গ্রায়ার্স স্মার্ট হ্যাট। যা কৃষকদের জন্য খুবই উপকৃত এমন তাই দাবি ওই যুবকের। নদিয়ার হাঁসখালি, বগুলা শ্রী কৃষ্ণ কলেজ পাড়ার বাসিন্দা শুভময় বিশ্বাস। শুভময় পেশায় শিক্ষক। তবে মানুষের জন্য নতুন কিছু আবিষ্কার করা তার অন্যতম শখ। তাই এবার কৃষকদের জন্য তার আবিষ্কার এই স্মার্ট হ্যাট।

আরও পড়ুন – Helmet Use: ‘চোখে আঙুল দাদা’- গায়ে নামাবলী, মাথায় হেলমেট, সাইকেল চালিয়ে কোথায় যাচ্ছেন পুরুত মশায়

তবে কি এমন নতুনত্ব রয়েছে এই টুপিতে? এই বিষয়ে শুভময় জানায় এই টুপি সত্যিই স্মার্ট তার কারণ এই টুপিতে লাগানো আছে হাই স্পিড পাখা, যেগুলি সৌর বিদ্যুৎতের মাধ্যমে চলবে। চারটি পাখা লাগানো হয়েছে এই টুপিতে। এইকারণে কৃষকরা এই তীব্র গরমেও আরামে কাজ করতে পারবেন। তার সঙ্গে রয়েছে এফএমের ব্যবস্থা যাতে করে তারা

আবহাওয়ার খবর শুনতে পারবে জমিতে কাজ করার সময়, তাতে তারা প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে।তার সঙ্গে থাকে লাইটের ব্যবস্থা। এই লাইট থাকায় কৃষকরা রাতেও ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন। তবে এই টুপি পরে এখন রীতিমতো কাজ করছেন নদীয়ার একাধিক কৃষক। তারা অনেকটা স্বস্তিও পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তবে শুভময়ের এই কাজ কে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকার মানুষও। সাধারণ মানুষ ও কৃষকদের জন্য তার এই আবিষ্কার সত্যিই অভুতপূর্ব বলেই মনে করছে পরিবেশপ্রেমীরা।

Mainak Debnath

Success Story: মাল্টিন্যাশনালের চাকরি ছেড়ে ফল চাষ! মোটা টাকা কামাচ্ছেন এই যুবক

চাকরি ছেড়ে স্ত্রীর বুদ্ধিতে শুরু করেন ফল চাষ। বর্তমানে সেই ফল চাষ করেই ভাল‌ই আয় করছেন পূর্ব বর্ধমানের অমিতাভ ঘোষ। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের জাহান্নগর পঞ্চায়েতের মাধাইপুরের এই যুবকের কাহিনী শুনলে আপনিও অনুপ্রেরণা পাবেন।
চাকরি ছেড়ে স্ত্রীর বুদ্ধিতে শুরু করেন ফল চাষ। বর্তমানে সেই ফল চাষ করেই ভাল‌ই আয় করছেন পূর্ব বর্ধমানের অমিতাভ ঘোষ। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের জাহান্নগর পঞ্চায়েতের মাধাইপুরের এই যুবকের কাহিনী শুনলে আপনিও অনুপ্রেরণা পাবেন।
অমিতাভ ঘোষ একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তবে সেই সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে তিনি এখন ফল চাষ নিয়েই ব্যস্ত। সোজা কথায় বলতে গেলে কর্পোরেট চাকুরে থেকে তিনি এখন পুরোপুরি ফল চাষি। অবশ্য তাতে আয় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অমিতাভ'বাবুর বাগানে ফলে মাল্টা, ড্রাগন ফ্রুট এবং কমলালেবু। সবথেকে বেশি রয়েছে মাল্টা এবং ড্রাগন ফ্রুট। বাড়ির পাশেই বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে তিনি এইসকল ফলের চাষ শুরু করেছেন।
অমিতাভ ঘোষ একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তবে সেই সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে তিনি এখন ফল চাষ নিয়েই ব্যস্ত। সোজা কথায় বলতে গেলে কর্পোরেট চাকুরে থেকে তিনি এখন পুরোপুরি ফল চাষি। অবশ্য তাতে আয় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অমিতাভ’বাবুর বাগানে ফলে মাল্টা, ড্রাগন ফ্রুট এবং কমলালেবু। সবথেকে বেশি রয়েছে মাল্টা এবং ড্রাগন ফ্রুট। বাড়ির পাশেই বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে তিনি এইসকল ফলের চাষ শুরু করেছেন।
জীবিকা পরিবর্তন নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত ও তার সাফল্য প্রসঙ্গে আমিতাভ ঘোষ বলেন, প্রথাগত চাষ থেকে বেরিয়ে এসে যদি এই ধরনের চাষ করা যায় তাহলে ভাল টাকা উপার্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, এই চাষ থেকে যা উপার্জন হয় তা একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত।
জীবিকা পরিবর্তন নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত ও তার সাফল্য প্রসঙ্গে আমিতাভ ঘোষ বলেন, প্রথাগত চাষ থেকে বেরিয়ে এসে যদি এই ধরনের চাষ করা যায় তাহলে ভাল টাকা উপার্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, এই চাষ থেকে যা উপার্জন হয় তা একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত।
তবে আমিতাভ'বাবু একা নয়, এই ফল চাষের কাজে তাঁকে সাহায্য করেন স্ত্রী কৃষ্ণা নন্দী ঘোষ'ও। কৃষ্ণাদেবী একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি করেন। পাশাপাশি তিনি যেটুকু সময় পান স্বামীকে চাষের কাজে সাহায্য করেন। এককথায় স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মিলেই ফলের বাগানের পরিচর্যা করে থাকেন।
তবে আমিতাভ’বাবু একা নয়, এই ফল চাষের কাজে তাঁকে সাহায্য করেন স্ত্রী কৃষ্ণা নন্দী ঘোষ’ও। কৃষ্ণাদেবী একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাকরি করেন। পাশাপাশি তিনি যেটুকু সময় পান স্বামীকে চাষের কাজে সাহায্য করেন। এককথায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলেই ফলের বাগানের পরিচর্যা করে থাকেন।
জানা গিয়েছে, এই সমস্ত ফলের চাষ যখন প্রথম শুরু করেছিলেন তখন সব মিলিয়ে অমিতাভ'বাবুর খরচ হয়েছিল প্রায় ১ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা। এই চাষের জন্য সকাল থেকে দীর্ঘ পরিশ্রম করতে হয় তাঁকে। তবে পরিশ্রম হলেও চাকরি করার থেকে ফল চাষ করে তিনি অনেক আনন্দে রয়েছেন। আর তাতে ভরছে পকেট'ও।
জানা গিয়েছে, এই সমস্ত ফলের চাষ যখন প্রথম শুরু করেছিলেন তখন সব মিলিয়ে অমিতাভ’বাবুর খরচ হয়েছিল প্রায় ১ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা। এই চাষের জন্য সকাল থেকে দীর্ঘ পরিশ্রম করতে হয় তাঁকে। তবে পরিশ্রম হলেও চাকরি করার থেকে ফল চাষ করে তিনি অনেক আনন্দে রয়েছেন। আর তাতে ভরছে পকেট’ও।

Agricultural Invention: সরকারি আধিকারিকের হাত ধরে কৃষিতে বিপ্লব, চাষের খরচ ও খাটনি এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে

উত্তর দিনাজপুর: সরকারি কর্তার সাড়া ফেলা আবিষ্কার। আর তাতেই আশার আলো দেখছেন কৃষকরা। কৃষিকাজে নতুন দিশা দেখাচ্ছেন ইসলামপুরের মহকুমা কৃষি আধিকারিক শ্রীকান্ত সিনহার আবিষ্কৃত যন্ত্র।

স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র আবিষ্কারের জন্য ইতিমধ্যেই ভারত সরকার থেকে পেটেন্ট পেয়েছেন কৃষি আধিকারিক শ্রীকান্ত সিনহা। এইযন্ত্রের নাম এসএসবি যন্ত্র।বর্তমানে এই যন্ত্র যথেষ্টই খ্যাতি লাভ করেছে বলে তিনি জানান। উত্তর দিনাজপুর মূলত কৃষি প্রধান এলাকা। এই জেলার বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই চাষবাসের জন্য বিভিন্নভাবে কৃষকদের অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি সময়ও চলে যায়। কিন্তু এই নতুন যন্ত্রের মাধ্যমে চাষের সময় একদিকে যেমন সময় কমবে, তেমনই বাঁচবে খরচ।

আরও পড়ুন: জলের জন্য হাহাকার, শিলিগুড়িতে জল কিনতে লম্বা লাইন

এই প্রসঙ্গে কৃষি আধিকারি শ্রীকান্ত সিনহা জানান, তাঁর আবিষ্কৃত এই এসএসবি যন্ত্রের মাধ্যমে ইসলামপুর মহকুমার বিভিন্ন ব্লকের চাষিরা চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তিনি জানান, সাধারণ কৃষকদের স্বার্থে এই যন্ত্র বিনামূল্যেও দেওয়া হয়েছিল ব্লকে ব্লকে। কৃষকরা এই যন্ত্রের মাধ্যমে চাষ করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন বলে শ্রীকান্তবাবুর দাবি। কোন‌ও প্রকার কর্ষণ বা জমিতে হাল দেওয়া ছাড়াই এই যন্ত্রের মাধ্যমে চাষ করা যাবে। এই যন্ত্র খুবই সহজলভ্য ও অল্প খরচেই তৈরি হয়ে যায়। তিনি ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আবেদন করেন, যাতে সরকার এগিয়ে এসে ভারতের প্রত্যেকটি চাষির কাছে এই যন্ত্র পৌঁছে দেয়।

পিয়া গুপ্তা

Rohini Festival: রোহিনী উৎসব কী জানেন? দেখুন ভিডিও

পুরুলিয়া: গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পরবগুলির মধ্যে অন্যতম রোহিনী উৎসব। এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে বীজ বপণের কাজ শুরু হয়। গোটা জঙ্গলমহলজুড়ে এই উৎসব পালিত হয়। জেলা পুরুলিয়াতে দেখা গিয়েছে এই রোহিনী উৎসব পালিত হতে। ‌পুরুলিয়া জেলা সহ সারা জঙ্গলমহলে এই দিনটি কৃষক পরিবারগুলির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত জৈষ্ঠ মাসে এই উৎসব পালিত হয়ে থাকে। এই উৎসবটিকে বীজ পুনাহ্য বলা হয়ে থাকে।

লাল মাটির জেলা পুরুলিয়ার কৃষিকাজ নির্ভরশীল বর্ষার উপর। বর্ষার আগমনের উপর হিসাব করেই এই জেলায় আমন ধানের চাষ হয়। তাই রোহিনী উৎসবের মধ্যে দিয়ে সেই চাষের কাজের সূচনা হয়। এই উৎসবের জন্য শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে ক্ষেত থেকে নিয়ে আসা হয় রোহিনী মাটি। যা সারা বছর ধরে পুজো পার্বণে ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই দিন শস্য ক্ষেতে প্রথাগত পুজো ছেড়ে বীজ বপন করেন।

আরও পড়ুন: সবজি-তিল-বাদাম চাষের ব্যাপক ক্ষতি, রিমলের তাণ্ডবে অসহায় কৃষকরা

এই বিষয়ে কৃষকরা জানান কৃষি কাজের জন্য কৃষকেরা এই উৎসব পালন করে থাকেন। এই পরব মূলত কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল মানুষরাই করে থাকেন। এই দিন মা মনসার আরাধনা করা হয়। এই উৎসবে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ভীষণই শুভ বলে মনে করা হয়। জঙ্গলমহলের কৃষকদের কাছে অন্যতম উৎসব রোহিনী উৎসব। বর্ষায় কৃষি কাজের সূচনা হয় এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে। তাই জেলা পুরুলিয়ার কৃষকেরাও মহা আনন্দের সঙ্গে এই উৎসব পালন করে থাকেন।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Cyclone Remal Update: ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে বেঁচে গেল বীরভূম, বৃষ্টি হলেও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি

বীরভূম: রিমলের ধাক্কায় বিপর্যয়ের আশঙ্কা থাকলেও অনেকটাই রেহাই পেল বীরভূম। জেলায় বৃষ্টি হলেও বড় কোন‌ও বিপদ ঘটেনি। টানা বৃষ্টিতে বোলপুরে জল জমেছে বেশ কিছু এলাকায়। অন্যদিকে রামপুরহাটের বিভিন্ন ওয়ার্ড‌ও জলমগ্ন হয়েছে। কোথাও ঝড়ে গাছ পড়ে বিপত্তি ঘটেছে। তবে বড় কোন‌ও বিপর্যয় হয়নি জেলায়।

দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য বহুল জেলায় জনজীবন লণ্ডভণ্ড করার মত পরিস্থিতি তৈরি হলেও সেই বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছে লাল মাটির জেলা বীরভূম। তবে রবিবার রাত থেকে হাওয়ার দাপটে লাভপুর, নানুর, ইলামবাজার-সহ বহু এলাকায় গাছ উপড়ে পড়ে।কয়েক যায়গায় মাটির বাড়িও পড়ে যায়। যদিও বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি জেলায়।

আরও পড়ুন: রিমলের প্রভাবে স্বস্তি উত্তরে, পাট-চা চাষে জলের ঘাটতি মেটার আশা

এক কথায় ঘূর্ণিঝড় রিমলের জেরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বীরভূমে। দিনভর ছিটে ফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে। জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১২.৩ মিলিমিটার। তবে রিমল বিপর্যয় মোকাবিলায় শান্তিনিকেতন থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবারে নিয়ে যাওয়া হয় এই জেলার বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকাদার ও বিদ্যুৎ কর্মীদের। বীরভূম নিয়ে প্রশাসন নিশ্চিন্ত থাকলেও ভিন জেলার বিপর্যয়ে ব্যতিব্যস্ত করেছে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎ দফতরকে। কারণ রবিবার ডায়মন্ডহারবারে বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের জেরে গাছ পড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আর সেই পরিস্থিতি সামাল দিতেই শান্তিনিকেতন থেকে বাসে করে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা রওনা হন ডায়মন্ডহারবারের উদ্দেশ্যে।

বিদ্যুৎ দফতরের শান্তিনিকেতনের ডিভিশনাল ম্যানেজার পরিমল সরকার বলেন, ডায়মন্ডহারবারের পরিস্থিতি উদ্বেগের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে জরুরি খবর পৌঁছয়। অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে বৃষ্টিপাতের কারণে। ফলে বিদ্যুৎ না থাকায় পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেই মতই তড়িঘড়ি বাস ভাড়া করে প্রায় ৫০ জন ঠিকাদার কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হলেই কর্মীরা বিদ্যুৎ সংযোগের কাজে নেমে পড়বেন।

শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি পল্লি ও ইলামবাজারের জঙ্গলে বড় বড় সোনাঝুরি, ইউক্লেক্টর, বট গাছ পড়ে যায়। শান্তিনিকেতনের রতনকুঠির পাশে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ ভেঙে পড়লে ঘেরা দেওয়ালের ক্ষতি হয়েছে। লাভপুর, নানুর, ইলামবাজার-সহ বোলপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কয়েকটি মাটির বাড়ির দেওয়াল ও অস্থায়ী আস্তানা ভেঙে পড়ে। এদিকে বৃষ্টিপাত হলেও কোনও জলাধার থেকে সেইভাবে জল ছাড়া হয়নি।আর তার ফলে নিচু এলাকাগুলি বিপর্যয়ের মুখ থেকে রেহাই পেয়েছে।

সৌভিক রায়

Cyclone Remal Effect: রিমলের ধাক্কায় সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত, মাথায় হাত কৃষকদের

পূর্ব বর্ধমান: ঘূর্ণিঝড় রিমলের ঝাপটায় ব্যাপক ক্ষতি সবজি চাষের। মাথায় হাত কৃষকদের। রাজ্যের ‘শস্য ভাণ্ডার’ বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানের বিচ্ছিন্ন এলাকায় বহু কৃষক সবজি চাষ করেন। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ঝোড়ো হাওয়া এবং ব্যাপক বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে চাষের জমিতে।

এখন গ্রীষ্মকালীন ফসল হিসেবে পটল, ঝিঙে সহ একাধিক ফসল ফলিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী-২ ব্লকের সবজি চাষিরা। এই সময় সবজি চাষের উপরেই নির্ভরশীল থাকেন এখানকার চাষিরা। তবে সোমবার সারাদিন ঝড়, জল হওয়ার কারণে বর্তমানে ব্যাপক চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন চাষিরা। এই প্রসঙ্গে পূর্বস্থলী এলাকার এক সবজি চাষি প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ঝড়ের জন্য পটলের মাচা ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও জমিতে জল জমে রয়েছে। বেশ কিছু পটল পড়ে গিয়েছে, সেগুলো আর বিক্রি করা যাবে না। আমার অনেকটা জমিতে পটল চাষ করেছি। কিন্তু এরপর কী হবে বুঝে উঠতে পারছি না।

আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতিই সার! বছর বছর ঘূর্ণিঝড়ে বিপন্ন সুন্দরবন, তবু হয় না পাকা বাঁধ

সোমবার প্রায় সারাদিন ঝড় বৃষ্টির কারণে চাষের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত ঝোড়ো হাওয়ার জন্য গাছের গোড়া আলগা হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে সবজির ব্যাপক ক্ষতি হবে সেই আশঙ্কা করছেন সবজি চাষিরা। অমর দাস নামের এক সবজি চাষি বলেন, অনেক পটল ঝরে পড়ে গিয়েছে। যদি সব গাছের গোড়া আলগা হয়ে যায় তাহলে বড় ক্ষতি হবে। বেশ কিছু মাচা ভেঙে গিয়েছে। আবার নতুন করে মাচা করতে হবে। তা নাহলে সব সবজি নষ্ট হয়ে যাবে। এই এলাকায় অনেক চাষি আছে সকলের একই অবস্থা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Tomato Cultivation: প্রচন্ড গরমে এই টম্যাটো চাষ করলেই হবে উপরি রোজগার

উত্তর দিনাজপুর: এক বিশেষ প্রজাতির টম্যাটো এই গরমে দারুন ফলছে। আর তা চাষ করলেই হবে উপরি রোজগার। উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় চাষ হচ্ছে এই বিশেষ টম্যাটো।

ঘটনা হল, টম্যাটো মূলত শীতকাল ও গরমকাল এই দুই সময় চাষ করা হয়। তবে বর্তমানে খুব বেশি গরমের কারণে গ্রামে গঞ্জের বহু কৃষক টম্যাটো চাষ করেও ভাল ফলন পাচ্ছেন না। টম্যাটো গাছ খরার কারণে মরে যাচ্ছে। তাই এই সময় বেছে নিতে হবে উচ্চ ফলনশীল কিছু প্রজাতির বীজ, যা খরা সহ্য করতে পারবে। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানী ধনঞ্জয় মণ্ডল এই প্রসঙ্গে জানান, উন্নত মানের টম্যাটোর বীজে অধিক ফলন পাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে খরা সহ্য করতে পারে এমন অনেক জাতের টম্যাটো বীজ পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাড়ি না পার্ক এক ঝলক দেখে বুঝতে পারবেন না! বসতভিটে দেখতে ছুটে আসছে মানুষ

প্রতিদিন যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে সেই অনুযায়ী বেছে নিতে হবে টম্যাটোর বেশ কিছু জাত। যে সমস্ত জায়গায় ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা থাকে সেই সব জায়গায় একচল্লিশ, জিরো ট্রু, বাষট্টি এই সমস্ত জাতের টম্যাটোগুলোর বীজ রোপণ করতে হবে। এই টম্যাটোর জাতগুলো ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রা সহ্য করতে পারবে। আবার অন্যদিকে যে সমস্ত জায়গায় তাপমাত্রা আরও বেশি, অর্থাৎ ৩৯ বা ৪১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট থাকবে সেই সমস্ত জায়গায় আবার এর থেকে একটু উন্নত জাতের টম্যাটো লাগাতে হবে। নইলে গাছ মরে যাবে কিংবা গাছে রোগ, পোকার আক্রমণ বৃদ্ধি পাবে।

গ্রীষ্মকালীন টম্যাটো চাষের জন্য চৈত্র, বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা হয়। আর শীতকালীন টম্যাটো চাষের জন্য মধ্য কার্তিক থেকে মাঘের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চারা রোপণ করা হয়। এছাড়াও আগাম চাষের জন্য ভাদ্র-আশ্বিন মাসেও অনেকে টম্যাটো বীজ রোপণ করেন। টম্যাটো লাগানোর দু থেকে চার মাসের মধ্যেই ফল তোলা যায়।

পিয়া গুপ্তা

Bangla Video: মাদুর নয়, মাদুর কাঠির মূল‌’ই এখন ভরসা চাষিদের

পশ্চিম মেদিনীপুর: সবং এবং নারায়নগড় মিলিয়ে বহু মানুষ মাদুর শিল্পের উপর নির্ভরশীল। মাদুরকাঠির চাষ করে তাকে প্রক্রিয়াকরণ করে মাদুর তৈরি হয়। আবার কখনও কখনও কাঠি বিক্রি করেও সংসার চালান প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার কৃষকেরা। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি কমেছে হাতে বোনা মাদুরের। তবে চাষিদের কার্যত বাঁচিয়ে দিচ্ছে মাদুর গাছের শিকড়। মূল বিক্রি করে মাদুরকাঠির তুলনায় বেশি লাভ হচ্ছে চাষিদের।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় ব্লকের কুশবসান এবং বাখরাবাদ পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামের মানুষ মাদুর শিল্পের উপর নির্ভর করে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। অন্যদিকে সবং ব্লক এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর সহ একাধিক জায়গাতেও মাদুরের চাষ করে বহু মানুষ। বাড়ির সকলে যুক্ত থাকেন মাদুরের কাজে। মাঠ থেকে মাদুরকাঠি এনে তাকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে কেটে, শুকিয়ে তৈরি করেন মাদুরকাঠি। এরপর সেই কাঠি দিয়ে মাদুর বানিয়ে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে কিংবা হাটে বিক্রি করেন তাঁরা। এছাড়াও শুধুমাত্র মাদুরকাঠি বিক্রি হয় বিভিন্ন বাজারে। তবে পরিশ্রমের তুলনায় লাভ মিলছে না চাষিদের। অন্যদিকে বেশ কয়েক বছর ধরে চাষিরা বিক্রি করছেন মাদুর গাছের মূল। যা বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামাঞ্চল থেকে।

আরও পড়ুন: গাছে আম নেই, ফিরে যাচ্ছে পাইকাররা

জানা গিয়েছে এই মাদুর গাছের মূল থেকে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স, সুগন্ধি দ্রব্য। তাই গ্রামাঞ্চল থেকে চাষিদের থেকে দাম দিয়ে কেনেন ব্যবসায়ীরা এবং যা রফতানি হয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। তুলনা অপেক্ষায় মাদুরকাঠি কিংবা মাদুর বুনে যা লাভ হয় তার থেকে বেশি লাভজনক এই মূল বিক্রি করে। দু’বছর কিংবা তিন বছর অন্তর এই মূল বিক্রি করেন চাষিরা। পুরানো মূলের দামও রয়েছে আলাদা।

তবে বর্তমানে মাদুর শিল্পে যুক্ত চাষিদের অবস্থা তথৈবচ। লাভ হচ্ছে না মাদুর বুনে। সরকারি সাহায্যের আশ্বাস জানিয়েছেন তারা। তবে মাদুরের মূলে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন তাঁরা।

রঞ্জন চন্দ

Mango Cultivation: গাছে আম নেই, ফিরে যাচ্ছে পাইকাররা

পূর্ব বর্ধমান: এই জেলা রাজ্যের শস্য ভাণ্ডার বলে পরিচিত। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ধান চাষ হয়। পাশাপাশি এখানে আম চাষও হয়। মূলত পূর্বস্থলীতে আম চাষ করে থাকেন বেশ কিছু কৃষক। কিন্তু এবার আমের ফলন ব্যাপকভাবে কম হওয়ায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন এখানকার কৃষকরা।

পূর্বস্থলী-২ ব্লকে বেশ কিছু আম চাষি রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা আম চাষ করে আসছেন। এক একজন চাষির অধীনে প্রায় এক হাজারেরও বেশি আম গাছ রয়েছে। এই পূর্বস্থলী এলাকার আম পাড়ি দেয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বিহার সহ অন্যান্য রাজ্যের পাইকাররা এসে এখানকার আম চাষিদের থেকে আম কিনে নিয়ে যায়। সেরকমই এবারও ভিন রাজ্য থেকে পাইকাররা আম কেনার জন্য আসছেন।

আরও পড়ুন: যেন ভুতুড়ে বাড়ি! স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে রোগ সারার বদলে …

তবে এবার আম কিনতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে পাইকারদের। কারণ গত বছরের তুলনায় এবার ফলন একেবারে কম হয়েছে। স্বভাবতই আমের ফলন কম হওয়ায় ব্যাপক চিন্তায় রয়েছেন পূর্বস্থলী এলাকার আম চাষিরা। এই প্রসঙ্গে আম চাষি বিশ্বনাথ বিশ্বাস বলেন, অন্যান্য বছর আমের ফলন ভাল হয়। কিন্তু এবছর আমের ফলনই নেই। আমাদের এই এলাকায় ল্যাংড়া, হিমসাগর, মুম্বাই সহ আর‌ও বিভিন্ন ধরনের আম পাওয়া যায়। কিন্তু এবছর আমের সাইজও ছোট, শুধুমাত্র কিছু কিছু গাছে ফলন হয়েছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Paddy Cultivation: কৃষি আরও যন্ত্রনির্ভর, চওড়া হাসি কৃষকের মুখে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এই জেলা কৃষি প্রধান। এখানে বিপুল পরিমাণে ধান চাষ হয়। এই ধান চাষ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একাধিক পক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। সেক্ষেত্রে কৃষকের সময় এবং অর্থ ব্যায় হয় অনেকটাই। এর হাত থেকে কৃষকদের রেহাই দিতে এবং তাদের মুনাফার পরিমান বাড়াতে শুরু হয়েছিল কৃষিক্ষেত্রে যান্ত্রীকিকরণ পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রকল্প, ছোট কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি, শক্তিশালী কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ৬০ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে থাকে সরকার।

ধান চাষের শুরুর সময় থেকে যন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ধানের উৎপাদন শুরু করে কৃষি অফিসগুলি। প্রথমে ভর্তুকিতে ড্রোন দিয়ে তরল ওষুধ, সার ও বিষ স্প্রে করা হয়। পরে ধীরে ধীরে দেওয়া হয় পাওয়ারটিলার, ট্রাকটর, ইলেকট্রিক মটর সহ আরও অন্যান্য যন্ত্রপাতি। যার ফলে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষিতে যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে অনেকটাই।

আরও পড়ুন: জল পান করতে এসেও শুকনো গলায় ফিরতে হচ্ছে হাতির দলকে, পরিচিত দৃশ্য দেখতে না পেয়ে হতাশ পর্যটকরা

সবমিলিয়ে কৃষি ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ধান চাষের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব প্রক্রিয়াই সুসম্পন্ন করা যাচ্ছে। আগামীদিনে কম সময়ে আরও বেশি ফসল উৎপাদন করতে এই পদ্ধতি কাজে লাগবে বলে মত কৃষি আধিকারিকদের। এবছর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে ভাল ফল মিলেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

নবাব মল্লিক