Tag Archives: House Wife

Wife Rescued Senseless: শরীর জুড়ে ক্ষতচিহ্ন! পুকুরপাড়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে স্ত্রী…স্বামীর অভিযোগে তরজা

প্রিয়ব্রত গোস্বামী, বাঁকুড়া: পুকুরপাড় থেকে অচৈতন্য অবস্থায় আদিবাসী বধূ উদ্ধার! শরীরের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। বধূর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হল এক যুবককে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার রাইপুরে।

বধূর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত থাকায় প্রথমে বধূকে রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বধূর স্বামীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় কারগিল গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাবলু দুলে নামের এক যুবককে। আজ ধৃতকে খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ওই বধূকে মারধর করে ফেলে রাখা হয়েছিল ওই পুকুরের পাড়ে।

আরও পড়ুন- পটলের ইংরেজি কী? বলতে পারবেন না বেশিরভাগই…! চ্যালেঞ্জ নেবেন নাকি? মেলান উত্তর

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার রাইপুর থানা এলাকার আদিবাসী এক গৃহবধূ হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরে খোঁজ চালিয়েও তাঁর সন্ধান মেলেনি। সোমবার দুপুরে স্থানীয়রা গ্রাম লাগোয়া একটি পুকুরের পাড়ে ওই বধূকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেওয়া হয়। রাইপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বধূকে উদ্ধার করে প্রথমে রাইপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে ওই বধূর শরীর ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গতকাল বিকালে নির্যাতিতার স্বামীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রাইপুর থানার পুলিশ পার্শ্ববর্তী কারগিল গ্রামের বাসিন্দা বাবলু দুলেকে গ্রেফতার করে। আজ তাকে খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হচ্ছে । ধৃত বাবলু দুলের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী চাপানউতোর।

আরও পড়ুন- ওজন কমাতে যখন তখন চিয়া সিড খাচ্ছেন? ভয়ঙ্কর! একমাত্র ঠিক সময় খেলেই পাবেন উপকার…

তৃনমূলের দাবি, ধৃত বিজেপির সক্রিয় কর্মী। অস্বীকার করে বিজেপির পাল্টা দাবি, ওই যুবক শাসক ঘনিষ্ঠ। বামেরা এই ঘটনায় দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই বধূকে মারধর করার কারণ জানার চেষ্টা চলছে।

Bangla Video: সাদা ক্যানভাস নয়, ব‌ইয়ের পাতায় ছবি এঁকে নজির বধূর

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিভিন্ন ধরনের আঁকা ছবি তো দেখেছেন। কেউ সাদা কাগজের উপরে রং তুলি দিয়ে, কেউ আবার সাদা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন নানা ছবি। কেউ দারুণ পোর্ট্রেট আঁকেন, কেউ বিমূর্ত ছবি। তবে কোনওদিন‌ও কি দেখেছেন একাধিক বইকে একসঙ্গে করে, বইয়ের পাতায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন পোর্ট্রেট। হ্যাঁ, একাধিক বইয়ের পৃষ্ঠার উপরে একটু একটু করে এঁকে ছবির এক নতুন রূপ দিয়েছেন এক গৃহবধূ। ছবি দেখলে অবাক হবেন, তার সৃজনশীলতা এবং নিত্যনতুন ভাবনাচিন্তা আপনাকে ভাবিয়ে তুলবে। প্রথাগত তালিম না থাকলেও গৃহবধূর এই ভাবনাচিন্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

আরও পড়ুনঃ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে দেশাত্মবোধের চেতনা জাগ্রত করতে বিশেষ প্রদর্শনী

মমতা রায়ের ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল ছবি আঁকার। তবে কোনও কালেই শেখা হয়নি। পাননি প্রথাগত শিক্ষক থেকে প্রশিক্ষণ। বিয়ের পর স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে সময় কাটানোর জন্য ডায়েরি, পেন্সিল নিয়ে বসে পড়া। ক্যালেন্ডার, খবরের কাগজ দেখে আঁকতেন নানা ছবি। এরপর দিন যত এগিয়েছে, ততই ছবি আঁকার সঙ্গে নিজেকে একাত্ম্য করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন শিল্পীদের ছবি আঁকা দেখে তিনি এঁকেছেন নানা ছবি। বর্তমানে বাড়ির সব কাজ, বাচ্চা সামলে অবসরে তিনি ছবি আঁকেন। ছোট্ট একরত্তি মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে তিনি বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল ছবি, পোর্ট্রেট ফুটিয়ে তোলেন সাদা কাগজে। নানা ছবির পাশাপাশি স্বাধীনতা দিবসের আগে তিনি কুড়ি জন বিপ্লবীর ছবি এঁকেছেন।

সম্প্রতি তিনি একাধিক বইয়ের পৃষ্ঠাতে এঁকেছেন পোর্ট্রেট। সৃজনশীল ভাবনা এবং এই গৃহবধুর হাতের কাজ আপনাকে অবাক করবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা মমতা রায়। বাড়িতে ছোট মেয়ে, ঘরের কাজ সামলে তিনি ছবি আঁকেন। প্রথাগত তালিম না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন শিল্পীদের আঁকা দেখেই শিখেছেন ছবি আঁকা। ছবি আঁকার ব্যাকরণ না জানলেও তার আঁকা ছবি যেন প্রাণবন্ত। শুধু তাই নয়, অবসরে বিভিন্ন শিল্পী, গায়কদের ছবি এঁকেছেন তিনি। বাড়ির সিঁড়ি, দেওয়াল জুড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন আল্পনা থেকে নানা ছবি। যা ঘরের শোভা বাড়িয়ে তুলেছে।

শুধু তাই নয়, অবসর কাটাতে তিনি কাদা মাটি দিয়ে তৈরি করছেন গণেশের মূর্তি। স্বাভাবিকভাবে সংসার সামলে ছোট্ট একরত্তি মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে এই গৃহবধূ যা করেন, তা আপনাকে অবাক করবে। গৃহবধূর এই ভাবনাচিন্তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ

East Bardhaman News: ঘুমিয়েছিলেন গৃহবধূ, আচমকাই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! মাতৃহারা দুই শিশু

পূর্ব বর্ধমান: ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় যা ঘটল এই মহিলার সঙ্গে তা জানলে আপনারা চমকে উঠবেন। ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে মৃত্যু হল পূর্ব বর্ধমান জেলার এক গৃহবধূর। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানার অন্তর্গত বাঘাসন গ্রামে। জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের বাঘাসন গ্রামের গৃহবধূ টুম্পা সাঁতরা।

সারাদিন সংসারের যাবতীয় কাজ সামলে রাতেরবেলায় খাওয়াদাওয়া শেষ করে তাঁর দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে তক্তার উপর শুয়ে ছিলেন গৃহবধূ। ঘুমানোর সময় টুম্পার ডান হাত তক্তার নিচে, অর্থাৎ মাটির দিকে নেমে যায়। আর তারপরই ঘটে যায় ভয়াবহ দূর্ঘটনা। আচমকাই টুম্পার হাতে কামড় দেয় একটি বিষধর সাপ।

আরও পড়ুন: বিয়ে করলে শুধু কাকুকেই করব’! কাকুর গলায় মালা দিয়ে কী বললেন নিজের ভাইঝি?

পরবর্তীতে টুম্পার হাতে যন্ত্রণা শুরু হলে ঘুম ভেঙে যায়। এর পর তিনি বিষয়টি পরিবারের লোকেদের জানান। তড়িঘড়ি টুম্পাকে মন্তেশ্বর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টুম্পার শেষরক্ষা হয়নি, সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত টুম্পার প্রতিবেশী বাপন দলুই বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অল্পবয়সে মেয়েটাকে প্রাণ হারাতে হল, ছোট্ট দুই শিশু এই বয়সেই তাদের মা হারাল।”

আরও পড়ুন: কেন দেরি হচ্ছে আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে? কারণ জানলে বিস্মিত হবেন

পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পুলিশ প্রশাসন খবর পেয়ে, মৃত টুম্পা সাঁতরার দেহ থানায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। পরবর্তীতে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মৃতদেহ। এই ঘটনার জেরে অল্প বয়সে মা হারাতে হল দুই ছোট্ট শিশুকে, পরিবার জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

Bangla Video: মুরগি প্রতিপালন করে হয়ে উঠুন স্বনির্ভর! ব্যবসার মূল উপকরণ দেবে সরকার

মুর্শিদাবাদ: বাড়িতে মুরগি পালন করে হয়ে উঠুন স্বনির্ভর। বিশেষ করে পরিবারের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে বিরাট উদ্যোগ নিল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের সবর্ত্র মহিলাদের স্বনির্ভর করার কাজ জোরকদমে চলছে। গরিব মহিলাদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি রাজ্যে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রক।

হরিহরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে মোট ৪৮১ জনকে ১০ টি করে মুরগির বাচ্চা দেওয়া হল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী অসহায় দুঃস্থ মহিলারা যাতে ডিম উৎপাদন করে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারেন তার জন্যই এমন পদক্ষেপ। এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ, বিএলডিও সন্তু দত্ত সহ আরও অনেকে।

আর‌ও পড়ুন: আলুর দোকানদারি করছেন বিডিও! ফিরল স্বস্তি, দেখুন ভিডিও

প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার সব সময় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সহায়তা প্রদান করছে। আর সেই লক্ষ্যেই পরিবারের মহিলাদের হাতে মুরগির ছানা তুলে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই মুরগির বাচ্চাগুলোকে বড় করে সেই ডিম বিক্রির মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারবেন মহিলারা। সরকারি প্রাণী মিত্ররা নির্দিষ্ট সময় অন্তর মুরগিগুলিকে ভ্যাকসিন দেবেন। তাছাড়া কীভাবে মুরগি প্রতিপালন করতে হবে তার নির্দেশিকা সম্বলিত একটি করে পুস্তিকা প্রত্যেক মহিলাকে দেওয়া হয়েছে।

কৌশিক অধিকারী

Elephant Attack: ফের হাতির তাণ্ডব! পাঁচিল ধসে ঘুমন্ত অবস্থায় বধূর মৃত্যু

বাঁকুড়া: ‘হাতি মেরা সাথী’ বলে একটি জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমা রয়েছে। তবে হাতি নিয়ে বাঁকুড়ার চিত্রটা একেবারে উল্টো। সাথী অর্থাৎ বন্ধুর যা যা কাজ করা উচিত ঠিক তার উল্টোটা করছে বন্য দামাল হাতির দল। আর তাতেই বাঁকুড়ায় ঘটে গেল একটি মর্মান্তিক ঘটনা। ফের হাতির হানায় দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক মহিলার।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম বাসন্তী মণ্ডল। সোমবার রাতে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের খাঁড়ারি গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গোটা ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই দ্রুত এলাকা থেকে হাতি সরানোর দাবিতে সরব হন গ্রামবাসীরা।

আর‌ও পড়ুন: মিচকে’র ভরসায় রাত হলেই নানান জায়গায় ছুটে যান সুরজিৎ! সিভিক ভলেন্টিয়ারের অবাক জীবন

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার বড়জোড়া রেঞ্জে এখন ২ টি হাতি রয়েছে। এর মধ্যে ১ টি পাবয়া ও ১ টি সাহারজোড়া এলাকায় রয়েছে। এছাড়াও গঙ্গাজলঘাটি এলাকায় ৪ টি হাতি রয়েছে। গতকাল রাতে ওই ৪ টি হাতির দল আচমকাই বড়জোড়া ব্লকের খাঁড়ারি গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। হাতির হানায় বেশ কয়েকটি বাড়ির পাঁচিল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় হাতির হানায় বাড়ির পাঁচিল ধসে পড়ে বাসন্তী মণ্ডলের উপর। ঘটনার খবর পেয়ে বন দফতর রাতেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে হাতিগুলিকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে আহত বাসন্তী মণ্ডলকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার ভোরে সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় বাসন্তী মণ্ডলের। হাতির হানায় এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এলাকা থেকে হাতিগুলিকে সরানো হোক। নাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Tragic Death: বাথরুমে যাচ্ছিলেন গৃহবধূ, হঠাৎ ভেঙে পড়ল বাড়ির ছাদ! আর তাতেই….

পুরুলিয়া: আকস্মিক দুর্ঘটনায় হতভম্ব গোটা পরিবার। হতভম্ব এলাকার মানুষ। বাড়ির ছাদের একাংশ ধসে গিয়ে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক গৃহবধুর। বুধবার সকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে পুরুলিয়া শহরে।

বাড়ির ছাদ ভেঙে গিয়ে গৃহবধুর মৃত্যুর এই ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়া শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তেলকলপাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৫৫-এর সুভা কেশরী বাথরুম যাচ্ছিলেন। সেই সময় দোতলার ছাদের একাংশ ধসে পড়ে তাঁর উপর।‌ গুরুতর আহত হন ওই মহিলা। তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আর‌ও পড়ুন: আইপিএলের ধাঁচে লন টেনিস! চ্যাম্পিয়ন জমজ বোন

জানা গিয়েছে, বাড়িটা দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি ওই বাড়িতে কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবারের বৃষ্টিতে বাড়ির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে। আর তার ফলেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা মর্মান্তিক। ‌পুরুলিয়া শহরে এরকম অনেক বাড়ি রয়েছে যা ভগ্নপ্রায় অবস্থায়। তিনি শহরের বাকি বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেন।

এদিকে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পরই শহরের বাকি ভগ্নপ্রায় বাড়ির মালিকদের নোটিশ দিয়েছে পুরসভা। ‌ তাতে অনুরোধ করা হয়েছে, যারা এরকম ভগ্নপ্রায় বাড়িতে বসবাস করছেন তাঁরা যেন অতিসত্বর সেই বাড়িতে থাকা বন্ধ করেন।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Bangla Video: শখের নার্সারিই এখন পেশা, এই গৃহবধূর বাগানে এলে চমকে উঠবেন

দক্ষিণ দিনাজপুর: সংসার চালানোর পাশাপাশি নিজের শৌখিনতা ধরে রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করছেন গাছের চারা। তবে শুধুমাত্র ফল, ফুল নয়, বিদেশি গাছের চারা তৈরি ও বিক্রি করে সাবলম্বীর পথ দেখাচ্ছেন বালুরঘাটের নন্দিতা বর্মন।

প্রায় বছর দুই আগে অল্প কিছু টাকা নিয়ে নন্দিতা বর্মন শুরু করেছিলেন নার্সারি। এখন প্রায় কয়েক হাজার ফুল-ফলের গাছ রয়েছে তাঁর নার্সারিতে। শৌখিনতার পাশাপাশি স্বপ্ন ছিল নিজেই কিছু করার। এরপরই তিলে তিলে গড়ে তোলা নার্সারি থেকে আয় হতে শুরু করে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি নন্দিতাকে। এই বিষয়ে নন্দিতা বর্মন জানান, শৌখিনতা থেকেই পরিবেশের কথা মাথায় রেখে তাঁর এই পেশায় আসা। তাঁর নার্সারিতে ১৫ টাকা থেকে ৩০০ টাকার বিভিন্ন দামের চারা গাছ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: সন্তানের জন্ম দিয়েই প্রসূতির মৃত্যু, দুর্গাপুর হাসপাতালে ব্যাপক উত্তেজনা

দু’বছর আগে শুরু হওয়া এই নার্সারি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। তাঁর এই নার্সারির ফুল, ফল সহ রকমারি গাছ শুধুমাত্র এই জেলায় নয়, ভিন্ন জেলাতেই রফতানি হয়। শীত বা গ্রীষ্ম নয়, সারাবছর‌ই আশেপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষ আসেন তাঁর বাগানের চারা গাছ কিনতে। তবে বর্ষাকালে নতুন করে চারা গাছের কাটিং করায় একটু বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায় তাঁর নার্সারিতে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এসে নিজেদের পছন্দ মত ফল, ফুল সহ বিদেশি চারাগাছ নিয়ে যায়। তাছাড়াও নন্দিতা বর্মনের নার্সারিতে এসে অনেকেই নার্সারি তৈরির পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ নিয়ে যান। তাঁদের সফলতা দেখে উদ্যোগী হয়ে ওঠছেন অনেকেই। নার্সারিতে রয়েছে দেশি গাছ ছাড়াও আগলোনিমা, জে জে প্ল্যান্ট, লিপস্টি, ব্ল্যাকবেরি, আলফান্সো, মিয়াজাকি আম, রাম্বুটান, রকমারি প্রজাতির ক্যাকটাস, পাহাড়ি ফুল সহ বিভিন্ন প্রজাতির চারা।

সুস্মিতা গোস্বামী