Tag Archives: local news

24 Hours Business Strike: লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই চলছে ২৪ ঘণ্টার বনধ! পড়ল ব্যাপক প্রভাব

কোচবিহার: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফাতেই ভোট হয়েছে কোচবিহারে। তবে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। তারই মধ্যে ২৪ ঘণ্টার বন্ধের ডাক শহর কোচবিহারে। এলাকার ব্যবসায়ীরা পুরসভার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে শুক্রবার বনধের পথে হেঁটেছেন। ব্যবসায়ী সমিতির ডাকা এই ২৪ ঘণ্টার বনধের জেরে হয়রানীর মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

কোচবিহার পুরসভার বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন শহরের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের থেকে মোটা টাকার কর আদায় করা হলেও পুরসভা কোনরকম প্রতিশ্রুতি রাখছে না বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। এই কারণেই ১৭ মে, অর্থাৎ শুক্রবার সকাল থে শুক্রবার কোচবিহার শহরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবসা বনধের ডাক দেওয়া হয়। এদিন সকাল থেকেই বনধের কারণে নাজেহাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। সকাল থেকেই ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা সমস্ত পেট্রোল পাম্প ও দোকানপাট বন্ধ করে দেন।

আরও পড়ুন: আর হিমঘরে আলু রাখতে চাইছেন না কৃষকরা

ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মতিলাল জৈন জানান, সমস্যার সমাধানের কথা বলে কোচবিহার পুরসভাকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর অনেকটা সময় চলে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই এই ২৪ ঘণ্টার বনধের ডাক। তবে ওষুধ দোকানের মত জরুরি পরিষেবাকে বনধের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

জায়গার নাম পরিবর্তন, নতুন নির্দেশিকা প্রত্যাহার, বাজার সংস্কার, বর্ধিত ট্রেড লাইসেন্স ফি কমানোর মটর সাতটি বিষয় উল্লেখ করে বনধের পথে হেঁটেছেন ব্যবসায়ী সমিতি। এদিকে সকাল থেকেই শহরের পেট্রোল পাম্প বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ে আমজনতা। অনেকেই দরকার থাকা সত্ত্বেও বাজার করতে পারেননি।

সার্থক পণ্ডিত

Ghost Story: রাত বাড়লেই বাড়িতে পড়ছে ঢিল! ভৌতিক কাণ্ড জলপাইগুড়ি শহরে

জলপাইগুড়ি: রাত হলেই বাড়ির দিকে ছুটে আসছে পাথর। সোজা ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ছে! একের পর এক পাথর এদিক ওদিক থেকে এসে পড়ছে। যেন ভৌতিক ঘটনা। এই ভয়ে ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছে জলপাইগুড়ি শহরের একাধিক পরিবার।

এমনই ভৌতিক কাণ্ড ঘটছে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েতের পাঙ্গাসাহেব এলাকার চারটি বাড়িতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েকদিন থেকেই বড় বড় সাইজের পাথর পড়তে থাকে বাড়ির আশপাশ জুড়ে। এতে রীতিমত ভয় পেয়ে জানালা দরজা বন্ধ করে ঘরেই থাকতে হচ্ছে লোকজনদের। প্রতিদিন সন্ধে ৭-৭.৩০ টা থেকে সারারাত ওই চারটি বাড়িতে ক্রমাগত ঢিল পড়ছে। ভোর ৩-৩.৩০ টা পর্যন্ত টানা চলে এই ঢিল-বৃষ্টি। এমনটাই জানিয়েছেন ওই বাড়ির মহিলারা৷

আরও পড়ুন: ৯৬ বছরের বৃদ্ধার ইচ্ছেপূরণ ছেলের, সঙ্গী হল নির্বাচন কমিশন

এই বাড়িগুলোর মধ্যে কিছু পরিবার আছে যারা ছোট বাচ্চা নিয়ে একা থাকেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে প্রতিকার চেয়ে কোতোয়ালি থানায় ব্যাগ ভর্তি ঢিল জমানো পাথর নিয়ে সটান হাজির হন বাড়ির ৪ মহিলা। পুরো ঘটনাটি জানিয়ে থানায় অভিযোগ জানান। আসল ঘটনাটা ঠিক কী তা কেউই বুঝতে পারছেন না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছরও এই এক‌ই আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছিল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কনপাকড়ি সরকার পাড়ার তিনটি পরিবারের। সেবার একটানা প্রায় ৪২ দিন আতঙ্কে ভুগেছিলেন তাঁরা। এর আগেও ধূপগুড়িতেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু কেন বারংবার ঘটছে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা? তবে কি ভূতের ভয় নাকি স্থানীয় শত্রু নাকি বৈজ্ঞানিক কোনও ব্যখ্যা! সব মিলিয়ে বিশাল আতঙ্কে রাত কাটাছেন এলাকাবাসীরা। অসহায় পরিবারগুলো এখন পুরোপুরি প্রশাসনের মুখাপেক্ষী হয়ে বাঁধচছে।

সুরজিৎ দে

Indian Paradise Flycatcher: সহজে দেখা মেলে না এই পাখির, সন্ধান পেতেই বর্ধমানের গ্রামে ছুটে আসছে সবাই

পূর্ব বর্ধমান: পাখির ছবি তোলার জন্য উপচে পড়ল ভিড়। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন পাখিপ্রেমীরা। নামি দামি ক্যামেরা সঙ্গে ট্রাইপড নিয়ে ভিড় বহু ফটোগ্রাফারের। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ব্লকের একটি গ্রামে ধরা পড়ল এমনই ছবি।

পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর পাখিরালায় বেশ জনপ্রিয়।শীতের মরশুমে এক ঝাঁক পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে এখানে। রং-বেরঙের পাখির ছবি ক্যামেরাবন্দি করতে আসেন বহু পাখিপ্রেমী। কিন্তু এবার কোনও পরিযায়ী পাখি নয়, ভারতীয় প্রজাতির‌ই এক বিশেষ পাখির ছবি তুলতে ছুটে আসছে সবাই। আর জায়গাটাও কিন্তু পাখিরালয়ে নয়। ভারতীয় প্রজাতির এই পাখির দেখা মিলেছে পূর্বস্থলী-২ ব্লকের বেলগাছি গ্রামে।

আরও পড়ুন: ভোটের গোবরডাঙায় হাসপাতাল‌ই মূল ইস্যু, মমতার আশ্বাসে ভরসা রাখবে নাটকের শহর?

যে পাখিটিকে নিয়ে এত উন্মাদনা তার নাম ইন্ডিয়ান প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচার। স্থানীয় বাসিন্দা সৌরভ দাস বলেন, এখানে এই পাখিটার বাসার সন্ধান পাওয়া গেছে। ওটা সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু বাসাটা যেহেতু লোকালয়ের মধ্যে করেছে তাই পাখিপ্রেমীদের মধ্যে উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন তার ছবি তুলতে কলকাতা সহ অন্যান্য জেলা থেকে ২০-২৫ করে আসছেন।

জানা গিয়েছে এই ইন্ডিয়ান প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচার পাখিকে সাধারণত সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু সেই পাখিটিই বেলগাছি গ্রামের একটি আম বাগানে বাসা বেঁধে তিনটি ছানার জন্ম দিয়েছে। আর এহেন ঘটনা চোখে পড়ার পর থেকেই এই পাখিকে দেখার জন্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয় সকলের মধ্যেই।

পাখির খবর পেয়ে বহু দূর-দূরান্ত থেকে গত পাঁচ-ছয় দিনে বহু পাখি প্রেমী মানুষ ছুটে এসেছেন। নামি দামী ক্যামেরা এনে বন্দি করেছেন ইন্ডিয়ান প্যারাডাইস ফ্লাইক্যাচার পাখির সুন্দর সুন্দর ছবি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটে বাচ্চা সহ মোট পাঁচটা পাখি ছিল। কিন্তু এখন সব পাখিই উড়ে গিয়েছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Lightning Death: বিনা মেঘে বজ্রপাত! পরিষ্কার আকাশ থেকে বাজ পড়ে বেঘোরে প্রাণ গেল মেষপালকের

জলপাইগুড়ি: প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার কাছে মানুষ বড়ই অসহায়। আবারও একবার সেটা প্রমাণিত হয়ে গেল। এবার বিনা মেঘে বজ্রপাতে বেঘোরে প্রাণ গেল এক মেষপালকের। আকাশে মেঘ নেই, বৃষ্টি হচ্ছে না। তাও বাজ পড়ে এমন মর্মান্তিক পরিণতি যে কারোর হতে পারে সেটা বেশিরভাগেরই ধারণার বাইরে ছিল।

উত্তরবঙ্গে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার নতুন নয়। গত কয়েকদিন গরম ক্রমশই বাড়ছে। তীব্র গরমে হাঁসফাস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও রোদের প্রখর তাপে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয় জলপাইগুড়িবাসীর। তবে আচমকাই একবার ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। তাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ফের রোদ ওঠে। ফলে আবারও অস্বস্তি ফিরে আসে। এরই মাঝে মেঘহীন আকাশ থেকে বাজ পড়ে জলপাইগুড়ি সংলগ্ন ডুয়ার্সের গুরজং চা বাগান এলাকায় মৃত্যু হল এক মেষপালকের।

আরও পড়ুন: হেলমেট ছাড়াই বাইক নিয়ে গতির ঝড়, অকালে ঝড়ে গেল প্রাণ‌

আচমকা এই ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে গিয়েছে গুরজং ঝোড়া চা বাগানের কর্মচারী ও শ্রমিক পরিবারগুলো। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার চড়া রোদের পর দুপুরের দিকে ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয় এই চা বাগান সংলগ্ন এলাকায়। সেই সময়ে মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়েছিলেন রাঙামাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের গুরজং ঝোড়া চা বাগানের মন্দির লাইনের বাসিন্দা বিষ্ণু নায়েক। তবে বৃষ্টি পড়ছিল না। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকাই বজ্রপাত হয়। তার আঘাতে মাঠের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন বিষ্ণু। গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষ্ণু নায়ককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

সুরজিৎ দে

Bike Accident: হেলমেট ছাড়াই বাইক নিয়ে গতির ঝড়, অকালে ঝড়ে গেল প্রাণ‌

মুর্শিদাবাদ: হেলমেটবিহীন অবস্থায় বেপরোয়া বাইকের গতির বলি হল একজন। হরিহরপাড়ায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। জখম হয়েছেন আরও একজন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে হরিহরপাড়া থানার রুকুনপুর বলরামপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম রাকিবুল মেহনা। তাঁর বাড়ি ঝাজা এলাকায়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত যুবকের নাম টিঙ্কু শেখ। তাঁর বাড়ি ললিতপুরে।

এই দুর্ঘটনাটি আরও একবার বুঝিয়ে দিল, রাজ্যে সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সাধারণ মানুষকে হেলমেট পরে সাবধানে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হলেও একটা অংশ এখনও তাতে কান দিচ্ছে না। এমনকি ট্রাফিক আইন সম্পূর্ণভাবে অমান্য করে বাইক অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে চালানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে গাড়ি চালাচ্ছিলে, জাতীয় সড়কে বেঘোরে প্রাণ গেল চালকের

এই দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, মৃত রাকিবুল মেহনা ও আহত টিঙ্কু শেখ দু’জনেই বন্ধু। দুই বন্ধু মিলে দুপুরে বাইকে চড়ে রুকুনপুর থেকে হরিহরপাড়া দিকে আসছিল। প্রচন্ড জোরে বাইক চালাচ্ছিল তারা। একটি টোটোকে পাশ দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে থাকা ইলেকট্রিক পোলে গিয়ে ধাক্কা মারে। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে দু’জনেই। রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিকট আওয়াজ শুনে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন। ওই দু’জনকে উদ্ধার করে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কিন্তু চিকিৎসকরা রাকিবুল মেহনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। রাকিবুল মেহনার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

কৌশিক অধিকারী

Road Accident: ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে গাড়ি চালাচ্ছিলে, জাতীয় সড়কে বেঘোরে প্রাণ গেল চালকের

আলিপুরদুয়ার: গাড়ি চালাতে চালাতে অনেক সময়ই চোখ লেগে যায় গাড়িচালকদের। রাতের দিকে এমন ঘটনা বেশি হয়। তেমন‌ই পরিস্থিতি হয়েছিল গাড়িচালক মহম্মদ আলমের। ঘুমের ঘোরে গাড়ি চালাতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় জাতীয় সড়কে মৃত্যু হল তাঁর।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার নিমতি এলকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অসম থেকে কলকাতাগামী একটি পিকআপ গাড়ি দ্রুত গতিতে ছুটে এসে নিমতিতে জাতীয় সড়কের ধারে দাড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। এলাকাবাসীদের অনেকেই খেয়াল করেছিলেন, ধাক্কা মারার ঠিক আগের মুহূর্তে ঘুমে ঢুলছিলেন গাড়িচালক। কিন্তু গাড়িটি চলন্ত অবস্থায় থাকায় কেউ গিয়ে কিছু করতে পারেননি।

আরও পড়ুন: গরুর হাটে জিন্স প্যান্টের দেদার বিক্রি! এই রঙিন সাপ্তাহিক বাজার যেন অন্য পৃথিবী

এই ঘটনায় পিকআপ ভ্যানের চালক কলকাতার বাসিন্দা মহম্মদ আলম গুরুতর আহত হন। তাঁকে নিমতি আউট পোষ্টের পুলিশ উদ্ধার করে লতাবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। যোগাযোগ করা হচ্ছে তাঁর পরিবারের সঙ্গে।

অনন্যা দে

Road Accident: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল জেলা, এমন দৃশ্য আগে দেখা যায়নি…

জলপাইগুড়ি: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল জেলার মানুষ। বাইক এবং চারচাকা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে ছড়াল তীব্র আতঙ্ক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক চালকের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মাল ব্লকের ডামডিমের বাঁশবাড়ি এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর।

সূত্রের খবর, আচমকাই বিকট একটি শব্দ শোনা যায় এলাকায়। দুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের বিকট শব্দে ছুটে আসে আশেপাশের মানুষজন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিষ্ণু রায় নামে যুবকের। জানা গিয়েছে, মৃত যুবক বাইকে করে মালবাজার থেকে ওদলাবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। তাঁর বাড়ি ওদলাবাড়ি রেলগেট এলাকাতেই৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১ টা নাগাদ ডামডিম থেকে মালবাজারমুখী একটি চার চাকার গাড়ির সঙ্গে ডামডিমের বাঁশবাড়ি এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর বাইকটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ফলে বাইকচালক বিষ্ণু রায় রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন।

আরও পড়ুন: মোয়া হাব কবে চালু হবে? ভোটের মুখে জানতে চায় জয়নগর

এই দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারে থাকা এক ব্যক্তিও গুরুতর আহত হন। এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকেই চার চাকার গাড়ির চালকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার পর খানিকক্ষণ এলাকাজুড়ে যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মালবাজার থানার পুলিশ। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠায়।

সুরজিৎ দে

Two Teenage Girls Death: বড়দের ছাড়াই একসঙ্গে পুকুরের স্নান করতে গিয়েছিল, ভয়ঙ্কর পরিণতি দুই কিশোরীর…

কোচবিহার: আচমকাই পুকুরে ডুবে মৃত্যু হল দুই কিশোরীর। আকস্মিক এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ঘুঘুমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গাঙ্গালের কুঠিতে। পুকুরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় ওই দুই কিশোরী। স্থানীয়রা দ্রুত দুজনকে উদ্ধার করে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দুই কিশোরীর একজনের নাম মৌসুমী পারভিন (১২)। অপরজনের নাম নুর বানু (৯)। এদিন দুপুরে দুজনে একসঙ্গে পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। আচমকাই জলে ডুবে যায় তারা। স্থানীয়রা তৎপরতার সঙ্গে দুজনকে উদ্ধার করেন জল থেকে। তারপর দ্রুত তাদেরকে মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

আরও পড়ুন: পেটের দায়ে বিহার থেকে বাংলায় কাজে এসেছিলেন, নদীতে নামতেই ভয়ঙ্কর পরিণতি দুই তরুণীর

কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, দুজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে জলে ডুবে যাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। একইসঙ্গে গ্রামের দুই কিশোরীর মৃত্যুতে সকলে ভেঙে পড়েছেন।

সার্থক পণ্ডিত

Farmer Death: নাতিরা দৌড়ে চলে এলেও পারল না দাদু, বজ্রপাতে ফের কৃষকের মৃত্যু

মুর্শিদাবাদ: ফের বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক কৃষকের। সুতির মহিশাইল গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামেরই কৃষক তাজেল শেখ (৫১) চাষের জমিতে শসা তুলতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ওই কৃষকের।

মৃত কৃষকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন রোজ‌ সন্ধেতে ক্ষেত থেকে শসা তুলতে যান তিনি। দুই নাতিকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবারও একই কাজে গিয়েছিলেন। হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে দুই নাতিকে নিয়ে বাড়ির দিকে রওনাও দেন তাজেল। বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে চাননি। কিন্তু ছোট দুই নাতি ছুটে বাড়ি চলে গেলেও হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর জখম হন ওই কৃষক।

আরও পড়ুন: ফ্রিজের জল ছাড়ুন, গরমে মাটির কলসির জল পানে এতগুলো উপকার পাবেন

সঙ্গে সঙ্গে পরিজন ও গ্রামবাসীরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাজেল শেখ-কে মহিশাইল ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সুতি থানার পুলিশ। ওই কৃষকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে বজ্রপাতের জেরে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় বেশ ভীত কৃষকরা।

কৌশিক অধিকারী

Bison Attack: তুমুল তাণ্ডব বাইসনের, শেষে ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু

কোচবিহার: ফের লোকালয়ে হানা বাইসনের। তার তুমুল তাণ্ডবে তৈরি হল আতঙ্কের পরিবেশ। মাথাভাঙা-২ ব্লকে এদিন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ঢুকে পড়ে একটি বাইশন। চাষের জমিতে প্রথমে তাণ্ডব শুরু করে পূর্ণবয়স্ক বাইসনটি। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর চাউর হতেই বাইসন দেখতে ভিড় করেন উৎসুক বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে।

মাথাভাঙার লোকালয়ে বাইসনের উৎপাত শুরু হয়েছে খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন বনকর্মীরা। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ঘাবড়ে গিয়ে বাইসনটি ভুট্টা ক্ষেতে আশ্রয় নেয়। তবে তার তাণ্ডবে কেউ হতাহত হয়নি। যদিও বিপুল পরিমাণ জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বন দফতরের কর্মীরা দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় বাইসনটিকে ধরতে না পারায় শেষে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করা হয়। তারপর বাইসনটিকে গাড়িতে করে নিয়ে যান বন দফতরের কর্মীরা।

আরও পড়ুন: হেলমেট ছাড়াই বাইক চালাচ্ছিল, লরির ধাক্কায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু

কোচবিহারের সহ-বন অধিকর্তা বিজনকুমার নাথ জানান, বাইসনটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করা হয়েছে। বাইসনটির প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। পরবর্তীতে তাকে সুস্থ করে পাতলাখাওয়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিগ্রস্থরা আবেদন করলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

সার্থক পণ্ডিত