Category Archives: কোচবিহার

Indoor Plant Benefits: এই তিনটি চেনা গাছ ঘরে রাখলেই হু-হু করে ঠান্ডা হবে ঘর! জানুন বিশেষজ্ঞের মত

কোচবিহার: এপ্রিল মাস থেকেই ধীরে ধীরে গরমের পরিস্থিতি বাড়তে শুরু করেছিল জেলা জুড়ে। বর্তমানে গরমের পরিস্থিতি সীমা ছাড়িয়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও গরমের পরিস্থিতি কিন্তু এখনও পর্যন্ত কমতে নারাজ। বাড়ির বাইরে যেমন গরম আবার বাড়ি ভিতরেও তেমনই গরম। তবে এই গরম থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু প্রাকৃতিক উপায়ও রয়েছে। এমন কিছু গাছ রয়েছে যা ঘরের ভেতরের আবহাওয়া ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

ইনডোর প্ল্যান্ট বিশেষজ্ঞ চিনময় সাহা জানান, “ঘরের মধ্যে গাছপালা রাখলে যে শুধু প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ঘরকে ঠান্ডা রাখে সেটাই নয়। এই ধরনের গাছপালা ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা বাড়িয়ে তোলে। এদের মধ্যে প্রথমেই আসে স্নেকপ্ল্যান্ট যেমন বাড়ির অক্সিজেন লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। ঠিক তেমনি বাতাস দূষণমুক্ত রাখতেও সাহায্য করে। এই গাছের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। তার জেরেই এর থেকে গরম হাওয়ার বদলে ঠান্ডা হাওয়া নির্গত হয়। আবার বাতাসে আর্দ্রতাও বজায় থাকে।

আরও পড়ুন: বাড়ির ছাদেই চাষ হচ্ছে এই ফল! জটিল রোগের মহা-ওষুধ! সেই সঙ্গে দারুণ লাভ, বাড়বে আয়!

দ্বিতীয় রাবার গাছ, রাবার গাছ পরিবেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড দীর্ঘ ক্ষণ তাপ ধরে রাখতে সক্ষম। ফলে ঘরে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘর দ্রুত গরম হয়ে যায়। কাজেই ঘরের অক্সিজেন এবং উষ্ণতার মাত্রা বজায় রাখতে এই গাছ দারুণ কার্যকর।

বাতাস বিশুদ্ধ করতে মানি প্ল্যান্ট খুবই কার্যকর। মানি প্ল্যান্ট বাতাস থেকে একাধিক বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে পারে। বিশুদ্ধ বাতাস সব সময়ই বেশি ঠান্ডা। বাড়িতে জায়গার অভাব না থাকলে বসার ঘরে রাখতেই পারেন এরিকা পাম।। এরিকাপাম এক দিকে ঘর ঠান্ডা রাখে। আবার দেখতেও ভাল লাগে। শুধু বাড়ি নয়, এই গাছটি হোটেল, অফিস এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে সাজাতেও ব্যবহৃত হয় এই গাছ।

Sarthak Pandit

থার্মোকলের কার্টন দিয়ে…মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুও অস্থায়ী, পরিবারের কাহিনি চোখে জল আনবে

জেলার বিভিন্ন প্রান্তে উন্নয়ন হয়েছে বেশ কিছু। তাই তো মানুষের প্রাথমিক তিনটি চাহিদা অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থান নিয়ে চিন্তার অনেকটাই অবসান হয়েছে। তবে এই সময়ে দাঁড়িয়েও তুফানগঞ্জের এক পরিবারের আর্থিক দুর্দশা চোখে জল আনবে যেকোনও মানুষের। তুফানগঞ্জ মহকুমার ১ নং ব্লকের ধলপল ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা।

এখানেই তুফানগঞ্জ-ভাটিবাড়ি রাজ্য সড়কের ধারে অস্থায়ী বাড়ি করে বসবাস করছে এই পরিবার। অস্থায়ী কারণ, এই জমি পূর্ত দফতরের। আর সেখানেই মাছের কার্টন ও বাঁশ দিয়ে ঘর তৈরি করে থাকছেন তাঁরা। এছাড়া সেই কার্টনের উপর কালো ত্রিপল দেওয়া রয়েছে। তবে সবটাই শক্ত করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

Cyclone Remal Update: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বৃষ্টি শুরু, চওড়া হাসি চাষিদের মুখে

কোচবিহার: উত্তরবঙ্গের আকাশজুড়ে মেঘ আর রোদের লুকোচুরি। দক্ষিণ বঙ্গ পেরিয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমলের প্রভাবে গিয়ে পৌঁছেছে উত্তরবঙ্গে। আবহাওয়া দফতর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে এখানকার সবকটি জেলাতেই।

দক্ষিণবঙ্গ থেকে শুরু করে গোটা উত্তরবঙ্গ বৃষ্টিতে ভিজেছে। রিমলের প্রভাব পড়েছে উত্তরেও। আলিপুরে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। এই বৃষ্টি চাষের জন্য খুশির খবর নিয়ে এসেছে। বেশিরভাগ চাষিই এতে খুশি। তবে এই বৃষ্টি অন্য কিছু চাষির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে জমিতে ঢুকেছে নোনা জল! উপকূলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষকরা

কোচবিহার জোলার ভুট্টা চাষি মদন দেবনাথ জানান, তাঁর জমির ভুট্টা এখনূ পর্যন্ত সম্পূর্ণ তোলা হয়নি। এরপর ভুট্টা শুকানোর একটা বিষয় আছে। এরই মাঝে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি ভয় পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে চাষের জন্য খরচ করা টাকার অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে তিনি জানান। জেলার আরেক ধান চাষি নরেন্দ্র চন্দ্র দাস জানান, তাঁর জমির সম্পূর্ণ ধান তোলা শেষ হয়ে গেলেও ধান শুকানো সম্ভব হয়নি। তাই কিছুটা হলেও অস্বস্তির মুখে পড়েছেন তিনি।

কোচবিহার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী শঙ্কর সাহা জানান, যেভাবে গরমের মাত্রা বাড়ছিল তাতে চাষের অনেকটাই ক্ষতি হচ্ছিল জেলায়। বর্তমান সময়ে এই বৃষ্টিপাত চাষের ক্ষেত্রে অনেকটাই সুখবর বয়ে নিয়ে এসেছে। গরমের কারণে পাট চাষিরা অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন। বৃষ্টির কারণে এবার পাট চাষে তাঁদের অনেকটাই সুবিধা হবে। তবে বেশ কিছু কৃষক এখনও ভুট্টা ও ধান সম্পূর্ণ তুলে উঠতে পারেননি। তাঁদের জন্য কিছুটা হলেও চিন্তা রয়েছে। তবে সেই সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। এতে জেলার চাষের ক্ষেত্রে খুব একটা বেশি ক্ষতি হবে না।

সার্থক পণ্ডিত

Cooch Behar News: থার্মোকলের কার্টন দিয়ে তৈরি ঘরেই থাকার জায়গা! এই পরিবারের কষ্টের কাহিনী চোখে জল আনবে

তুফানগঞ্জ: জেলার বিভিন্ন প্রান্তে উন্নয়ন হয়েছে বেশ কিছু। তাই তো মানুষের প্রাথমিক তিনটি চাহিদা অন্ন, বস্ত্র এবং বাসস্থান নিয়ে চিন্তার অনেকটাই অবসান হয়েছে। তবে এই সময়ে দাঁড়িয়েও তুফানগঞ্জের এক পরিবারের আর্থিক দুর্দশা চোখে জল আনবে যেকোনও মানুষের। তুফানগঞ্জ মহকুমার ১ নং ব্লকের ধলপল ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। এখানেই তুফানগঞ্জ-ভাটিবাড়ি রাজ্য সড়কের ধারে অস্থায়ী বাড়ি করে বসবাস করছে এই পরিবার। অস্থায়ী কারণ, এই জমি পূর্ত দফতরের। আর সেখানেই মাছের কার্টন ও বাঁশ দিয়ে ঘর তৈরি করে থাকছেন তাঁরা। এছাড়া সেই কার্টনের উপর কালো ত্রিপল দেওয়া রয়েছে। তবে সবটাই শক্ত করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ শসা নয়, শসার খোসাতেই আছে জাদু! দৃষ্টিশক্তি হবে তুখোড়, ভিটামিন এ-তে ভরপুর

বাড়ির মালিক একজন অতি ক্ষুদ্র মানের মাছ বিক্রেতা। এই মাছ বিক্রি করে সারাদিন যেটুকু রোজগার হয়। সেটা দিয়েই সংসার চলে তাঁদের। বেনু বর্মন জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই দুটি অস্থায়ী ঘর তাঁদের একমাত্র ঠিকানা। রোদ, ঝড় ও বৃষ্টিতে কোন রকমে মাথা গুঁজে থাকতে হয় এখানে। তাঁর নিজের কোন জমি না থাকায় রাস্তার ধারের জমিতে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। এই জায়গা পূর্ত দফতরের অধীনে রয়েছে। তাই যেকোনও দিন রাস্তা বড় হলে তাঁদের থাকার এই জয়গাটুকুও চলে যাবে। তখন মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও থাকবে না। বর্তমানে তাঁর মাছ বিক্রির টাকায় কোন রকমে সংসার চলে। দুই সন্তান মেয়ে সুপ্রিয়া ও ছেলে সুব্রতরাজ কে নিয়ে থাকেন তিনি।”

সুপ্রিয়া ধলপল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এবং সুব্রতরাজ বর্মন চলতি বছরে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। সুব্রতরাজ বর্মন জানান, “১৫ থেকে ১৬ বছর আগে তাঁর বাবা এখানে ঘর বানিয়ে থাকা শুরু করেন। হঠাৎ করেই একদিন তাঁর মা নিখোঁজ হয়ে যান। তারপর থেকে তাঁর বাবা কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। এখন মাছ বিক্রি করে যা জোটে তা দিয়েই সংসার চলে। দিনে দু’বার, কোনও দিন একবার খেয়েই দিন কাটে পরিবারের। শৌচালয়ের ব্যবস্থা নেই। শোওয়ার জন্য বাঁশের মাচা রয়েছে। মোমবাতির আলোয় আবার কখনও পাশের গ্যাস অফিসের আলোয় তাঁদের পড়াশোনা চলে।” এত কষ্ট করেও তবুও দুই ভাইবোন পড়াশোনার কাছে হার মানেনি। জীবন সংগ্রাম প্রতিনিয়ত তাঁদের কাছে পরীক্ষা নিয়েই চলেছে।

Sarthak Pandit

Mango Price: জামাইষষ্ঠীর আগে বাজারে আমের দাম কমবে? না কি হাত পুড়বে? পড়ুন

কোচবিহার: গরম মরশুম মাথামাঝি চলে এলেও বাজারে সেভাবে আমের দেখা নেই।  কাজেই, আমের দাম-ও ঊর্ধ্বমুখি। সামনেই জামাইষষ্ঠী। সেদিন আম না হলে হয় নাকি! কাজেই, জামাইষষ্ঠীর আগে বাজারে আমের জোগান বাড়তে শুরু করেছে। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ‘আমের দাম কিছুটা কমেছে প্রথম অবস্থার তুলনায়।’ ক্রেতাদের কথায়, ‘আমের দাম কিছুটা কমেছে, তবুও যে-দাম, সে-দামে আম কিনে খাওয়া সম্ভব নয়।”

আম বিক্রেতা রানা হোসেন জানান, “বাজারে বিভিন্ন ফলের দোকানে ইতিমধ্যেই ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর, লালমনি আম এসেছে। আমের দামের শুরু হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি থেকে। তাইতো ক্রেতারা সেভাবে আম কিনছেন না। যদিও জামাইষষ্ঠীর সময় আমের দাম কমার  সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দাম কত থাকতে চলেছে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত কোন-ও ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতা থেকে বিক্রেতা সকলেই ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন। তবে জামাইষষ্ঠীতে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের পকেট পুড়তে চলেছে এটুকু নিশ্চিত। তাঁরা আম কতটা কিনতে পারবেন, সেটা এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।\”

জনৈক এক ক্রেতা আনন্দ পাল জানান, “এবার শুরুর সময় থেকেই আমের বাজার খুব একটা ভাল নেই। আমের পর্যাপ্ত মুকুল আসলেও, সঠিক বৃষ্টির অভাবে তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে আম চাষীদের অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাইতো বাজারে আমের যোগান আসতে অনেকটাই দেরি হচ্ছে। এখনও বেশ কিছু আম রয়েছে যা বাজারে আসা বাকি। গোলাপ খাস আমের এখনও দেখা মেলেনি।” আর এক ক্রেতা রাম নারায়ণ শর্মা জানান, “বর্তমান সময়ে বাজারে আমের যা দাম! কেনা প্রায় অসম্ভব।”

Sarthak Pandit

Dry Fish Market: গরমে শুঁটকি মাছ থেকে মুখ ফিরিয়েছে বাঙালি! ব্যবসায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিক্রেতারা

কোচবিহার: শুঁটকি মাছ খেতে পছন্দ করেন বহু মানুষ। আবার অনেকেই এই শুঁটকি মাছ দেখলে গন্ধে নাকে চাপা দেন। তবে এই শুঁটকি মাছের কিন্তু আলাদা একটি চাহিদা রয়েছে বাজার গুলিতে। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা সব মরশুমেই শুঁটকি মাছ কিন্তু বিক্রি হতে দেখা যায় বাজার গুলিতে। তবে এবারের গরমের সময়ে বিভিন্ন বাজার গুলিতে শুঁটকি মাছের বিক্রি কমেছে।

বিগত বেশ অনেকটা সময় ধরে গরমের তীব্রতা থাকার কারণে ক্রেতারা শুঁটকি মাছ কিনছেন না। আবার কিছু ক্ষেত্রে শুঁটকি মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বিক্রেতাদের। বাজারের এক বৃদ্ধ শুঁটকি মাছ বিক্রেতা সমীর বর্মন জানান,”বর্তমান সময় গরমের তীব্রতার কারণে বেশ অনেকটাই মন্দার বাজারের সম্মুখীন হতে হয়েছে বিক্রেতাদের। প্রতিনিয়ত বিক্রির পরিমাণ কমে আসছে। অনেকে শুঁটকি মাছ বাদ দিয়ে অন্য কাঁচামালের ব্যবসায় চলে গিয়েছেন।”

আরও পড়ুন: ক্যালসিয়ামে ভরপুর এই সবজি খেতে ‘মটন’-এর মত, চোখ ভাল রাখে, হাড় শক্ত করে, ওজন কমায়, হজমশক্তি বাড়ায়

শহর কিংবা গ্রাম প্রায় সকল বাজার কিংবা হাট গুলিতেই এই একই ছবি চোখে পড়ছে। তীব্র গরমের পরিস্থিতির পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা মিটবে না। তবে বর্তমানে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হওয়ার কারণে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বহু ব্যবসায়ী। এখন দেখার বিষয় আবহাওয়ার পরিবর্তনে ব্যবসার পরিবর্তন হয় কিনা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Sarthak Pandit

Raw Jackfruit Health Benifits: ক্যালসিয়ামে ভরপুর এই সবজি খেতে ‘মটন’-এর মত, চোখ ভাল রাখে, হাড় শক্ত করে, ওজন কমায়, হজমশক্তি বাড়ায়

গ্রীষ্মকাল মানেই বাজারে এঁচোড়। ঠিক করে তেল-ঝাল-মশলা দিয়ে রাঁধলে এঁচোড় স্বাদে মাংসের সঙ্গে পাল্লা দেয়। তাই গরম পড়তেই বাঙালি হেঁশেলে ‘নিরামিষ মাংস’ প্রায় দিন- ই রাঁধা হয়।
গ্রীষ্মকাল মানেই বাজারে এঁচোড়। ঠিক করে তেল-ঝাল-মশলা দিয়ে রাঁধলে এঁচোড় স্বাদে মাংসের সঙ্গে পাল্লা দেয়। তাই গরম পড়তেই বাঙালি হেঁশেলে ‘নিরামিষ মাংস’ প্রায় দিন- ই রাঁধা হয়।
তবে এঁচোড় স্বাদে মুগ্ধ করা ছাড়াও শরীরেরও খেয়াল রাখে। বিশেষ করে চোখের জন্য দারুণ উপকারী এই এঁচোড়।
তবে এঁচোড় স্বাদে মুগ্ধ করা ছাড়াও শরীরেরও খেয়াল রাখে। বিশেষ করে চোখের জন্য দারুণ উপকারী এই এঁচোড়।
 চিকিৎসক দিব্যা নাজ জানান, এঁচোড়ে আছে ভিটামিন এ যা চোখের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চোখ সুরক্ষিত রাখতে শুধু ড্রপ ব্যবহার করলে চলবে না। এঁচোড়-ও খেতে হবে।
চিকিৎসক দিব্যা নাজ জানান, এঁচোড়ে আছে ভিটামিন এ যা চোখের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চোখ সুরক্ষিত রাখতে শুধু ড্রপ ব্যবহার করলে চলবে না। এঁচোড়-ও খেতে হবে।
রেটিনা সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে এঁচোড় উপকারী। চোখের যে-কোনও কঠিন রোগের ঝুঁকি কমায় এই ভিটামিন।
রেটিনা সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি এড়াতে এঁচোড় উপকারী। চোখের যে-কোনও কঠিন রোগের ঝুঁকি কমায় এই ভিটামিন।
এঁচোড়ে উচ্চ মাত্রায় ক্যালশিয়াম রয়েছে। এই ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত রাখে। ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়াম শরীরকে বেশি মাত্রায় ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
এঁচোড়ে উচ্চ মাত্রায় ক্যালশিয়াম রয়েছে। এই ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত রাখে। ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়াম শরীরকে বেশি মাত্রায় ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে।
মানসিক অবসাদের কারণে অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এঁচোড় কিন্তু এই সমস্যা দূর করতে পারে। এই ফলে ভাল মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম থাকে যা মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলিকে শান্ত রাখে।
মানসিক অবসাদের কারণে অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এঁচোড় কিন্তু এই সমস্যা দূর করতে পারে। এই ফলে ভাল মাত্রায় ম্যাগনেশিয়াম থাকে যা মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলিকে শান্ত রাখে।
কাঁঠাল ফাইবার সমৃদ্ধ ফল হওয়ার কারণে পেট পরিষ্কার রাখে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। বিপাক হার বাড়াতেও এই ফল বেশ উপকারী। তাই ওজনও নিয়ন্ত্রণে সাহায্যে করে এই ফল।
কাঁঠাল ফাইবার সমৃদ্ধ ফল হওয়ার কারণে পেট পরিষ্কার রাখে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। বিপাক হার বাড়াতেও এই ফল বেশ উপকারী। তাই ওজনও নিয়ন্ত্রণে সাহায্যে করে এই ফল।

Hilsa Price: জামাইয়ের পাতে ইলিশ, কত খরচ করতে হবে শ্বশুর-শাশুড়িদের? জামাইষষ্ঠীতে কত থাকবে ইলিশের দাম?

বাঙালি বরাবরই মৎস্য প্রেমী। তাইতো মাছে ভাতে বাঙালি এই প্রবাদটি সর্বদা প্রযোজ্য। তবে সেই মাছ যদি হয় বাঙালির পছন্দের ইলিশ মাছ তবে মুহূর্তে জমে যায় খাওয়া-দাওয়া। আর মাত্র হাতে গোনা কিছুটা সময় বাকি রয়েছে জামাইষষ্ঠীর। জামাইষষ্ঠী মানেই পেট পুরে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব। তবে সেই পর্বে ইলিশ থাকবে না তা কি হয়? কিন্তু, জামাইষষ্ঠীর আগের বাজারে রীতিমতো মহার্ঘ্য হয়ে রয়েছে ইলিশ মাছ (Sarthak Pandit)
বাঙালি বরাবরই মৎস্য প্রেমী। তাইতো মাছে ভাতে বাঙালি এই প্রবাদটি সর্বদা প্রযোজ্য। তবে সেই মাছ যদি হয় বাঙালির পছন্দের ইলিশ মাছ তবে মুহূর্তে জমে যায় খাওয়া-দাওয়া। আর মাত্র হাতে গোনা কিছুটা সময় বাকি রয়েছে জামাইষষ্ঠীর। জামাইষষ্ঠী মানেই পেট পুরে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব। তবে সেই পর্বে ইলিশ থাকবে না তা কি হয়? কিন্তু, জামাইষষ্ঠীর আগের বাজারে রীতিমতো মহার্ঘ্য হয়ে রয়েছে ইলিশ মাছ (Sarthak Pandit)
কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারেএক মাছ বিক্রেতা অজয় ভগত জানান, "বর্তমান সময়ে বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রায় ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে জামাইষষ্ঠীর সময় দাম আরও কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে বিক্রেতারা স্বস্তিতে রয়েছেন। তা হল বাংলাদেশের ইলিশ এবার বাজারে আসতে চলেছে।
কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারেএক মাছ বিক্রেতা অজয় ভগত জানান, “বর্তমান সময়ে বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রায় ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে জামাইষষ্ঠীর সময় দাম আরও কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে বিক্রেতারা স্বস্তিতে রয়েছেন। তা হল বাংলাদেশের ইলিশ এবার বাজারে আসতে চলেছে।
ডায়মন্ড হারবারের ইলিশ যেমন বাজারে বর্তমান সময়ে রয়েছে। জামাইষষ্ঠীর আগে বাংলাদেশে পদ্মার ইলিশের জোগান থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। কিন্তু, দামের বিষয়টি কিছুটা হলেও বেশি থাকবে ডায়মন্ড হারবারের ইলিশের তুলনায়। সেক্ষেত্রে কেজিপ্রতি ২০০০ টাকা দাম থাকা সম্ভাবনা রয়েছে।"
ডায়মন্ড হারবারের ইলিশ যেমন বাজারে বর্তমান সময়ে রয়েছে। জামাইষষ্ঠীর আগে বাংলাদেশে পদ্মার ইলিশের জোগান থাকবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। কিন্তু, দামের বিষয়টি কিছুটা হলেও বেশি থাকবে ডায়মন্ড হারবারের ইলিশের তুলনায়। সেক্ষেত্রে কেজিপ্রতি ২০০০ টাকা দাম থাকা সম্ভাবনা রয়েছে।”
বাজারের এক ক্রেতা সদরুল মোল্লা জানান, "বর্তমান সময়ে বাজারে ইলিশ মাছের যা দাম তাতে কিনতে গিয়ে একটু চাপে পড়তে হচ্ছে। সেই দাম যদি আরও কিছুটা বেড়ে ওঠে তবে তো ইলিশ খাওয়া অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। তবে জামাইষষ্ঠীর বিশেষ দিনে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ যদি পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে দাম দিয়ে কিনেলেও শান্তি রয়েছে।"
বাজারের এক ক্রেতা সদরুল মোল্লা জানান, “বর্তমান সময়ে বাজারে ইলিশ মাছের যা দাম তাতে কিনতে গিয়ে একটু চাপে পড়তে হচ্ছে। সেই দাম যদি আরও কিছুটা বেড়ে ওঠে তবে তো ইলিশ খাওয়া অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। তবে জামাইষষ্ঠীর বিশেষ দিনে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ যদি পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে দাম দিয়ে কিনেলেও শান্তি রয়েছে।”
তবে বর্তমান সময়ে এখনও বাজারে খুব একটা বাংলাদেশের ইলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। তবে অতি শীঘ্রই বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশেরআসতে চলেছে বাজার গুলিতে। তাইতো ক্রেতারা রীতিমত মুখিয়ে রয়েছেন সেই ইলিশ কেনার জন্য।
তবে বর্তমান সময়ে এখনও বাজারে খুব একটা বাংলাদেশের ইলিশের দেখা পাওয়া যায়নি। তবে অতি শীঘ্রই বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশেরআসতে চলেছে বাজার গুলিতে। তাইতো ক্রেতারা রীতিমত মুখিয়ে রয়েছেন সেই ইলিশ কেনার জন্য।

Unknown Animal Attack: অজানা জন্তুর আক্রমণ! হঠাৎ উদয় হয়ে পরপর কামড়, আতঙ্কে কাঁপছে গোটা গ্রাম

কোচবিহার: আচমকাই এক অজানা জন্তুর আক্রমণে আহত হলেন দু’জন। এদিন এক মহিলা তাঁর বাড়ির পিছনদিকে উনুনে জ্বাল দেওয়ার জন্য খড় আনতে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই এক অজানা জন্তু আক্রমণ করে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে ওই মহিলার পরিবারের আরেক সদস্য‌ও আক্রান্ত হন।

তাঁদের দু’জনের চিৎকার শুনে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি। তবে তিনি এসে সেখানে কিছুই দেখতে পাননি। এরপর দ্রুত আহত দু’জনকে উদ্ধার করে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে হানাবাড়ি বলে ভ্রম হতে পারে! আতঙ্ক নিয়েই চলছে পড়াশোনা

অজানা জন্তুর এই আক্রমণ প্রসঙ্গে আক্রান্তদের এক পরিজন সম্রাট ঘোষ জানান, তিনি পাশেই এক দোকানে বসেছিলেন। তখনই এক শিশুর চিৎকারের আওয়াজ শুনে তিনি তড়িঘড়ি ছুটে যান। সেখানে দেখতে পান একটি অজানা জন্তু সেই শিশুটির পা কামড়ে ধরেছে। পরবর্তীতে সেই শিশুটি তাঁর পাশে পড়ে থাকা একটি লাঠি দিয়ে জন্তুটিকে আঘাত করে। ঠিক তখনই তাকে ছেড়ে আরেকজন ব্যক্তিকে কামড়ায় সেই অজানা জন্তুটি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আহত মহিলা জানান, জন্তুটিকে দেখতে অনেকটা চিতাবাঘের মত। তবে সেটি আদৌ চিতা বাঘ কি না সে বিষয়ে কোনও প্রমাণ তাঁর কাছে নেই। তবে জন্তুটির আক্রমণে তাঁরা বেশ অনেকটাই জখম হয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা রীতিমত আতঙ্কে আছেন। বাচ্চাদের বাড়ি থেকে বাইরে বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে এখনও পর্যন্ত বন দফতরের পক্ষ থেকে সেই আক্রমণ চিতাবাঘের কিনা সেই বিষয়ে কোন‌ও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।

সার্থক পণ্ডিত

House Decoration: বাড়ি না পার্ক এক ঝলক দেখে বুঝতে পারবেন না! বসতভিটে দেখতে ছুটে আসছে মানুষ

কোচবিহার: নিজের বাড়ি সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার ইচ্ছে থাকে সবার। তবে কোচবিহারের ভজন সরকার যেভাবে নিজের বসতবাড়ি সাজিয়েছেন তা দেখলে বিস্মিত হয়ে যাবেন। সেটা বাড়ি না পার্ক, তা একঝলক দেখে বোঝার উপায় নেই।

বাড়ির সামনে তিনি বসিয়েছেন বেশ কিছু পশু-পাখির মূর্তি। ঠিক যেমনটা বিভিন্ন পার্কে থাকে। এছাড়া বাড়ির সীমানার ভেতর তিনি তৈরি করেছেন মাছের জন্য ছোট্ট একটি জায়গা। বর্তমানে পার্কের মতো দেখতে কোচবিহারের এই বাড়িটি চাক্ষুষ করার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছে বহু মানুষ। এদিকে পার্কে রাখা সমস্ত মূর্তি ভজন সরকার নিজে তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন। সমস্ত মূর্তিগুলি তিনি নিজে হাতে তৈরি করেছেন। বেশ অনেকটা সময়ে লেগেছে এক একটি মূর্তি তৈরি করতে। সিমেন্ট, বালি ও রড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মূর্তিগুলি।

আরও পড়ুন: শেষ রক্ষা হল না! চিতাবাঘের চামড়া সহ ধৃত দুই

এই বাড়ির সামনে বড় পাঁচটি মূর্তি রয়েছে। এছাড়া বাড়ির দেওয়ালের ওপর ছোট অনেকগুলি খরগোশের মূর্তি রয়েছে। তারপর থেকে ধীরে ধীরে তৈরি হয় বাকি মূর্তি। বর্তমান সময় তিনি প্রয়াত বাবার মূর্তি তৈরি করছেন। সেই মূর্তি তৈরির কাজও অনেকটা সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে তাঁর বেশ কিছু মনীষীদের মূর্তি তৈরির ইচ্ছে রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেজন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। তবে তৈরি এই মূর্তিগুলি বহু মানুষকে আকর্ষণ করে। বহু বাচ্চারা এই মূর্তিগুলি দেখে বেশ পছন্দ করে। পথ চলতি অনেকে মূর্তিগুলোর সঙ্গে ছবি পর্যন্ত তোলেন। অনেকেই তাঁর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাঁকে ফোন করেন মূর্তি তৈরি করে দেওয়ার জন্য। তবে অফিসের কাজের মাঝে তাঁর সময় হয় না অন্য মূর্তি তৈরি করার। তাই সেই মানুষগুলিকে তাঁকে না বলতে হয়। এতে তাঁর ও ওই ব্যক্তিদের খারাপ লাগলেও তাঁর করার কিছু থাকে না।

সার্থক পণ্ডিত