Category Archives: কোচবিহার

Mixed Cultivation: পুরনো প্রথা ছেড়ে মিশ্র পদ্ধতিতে চাষ করুন, অনেক বেশি লাভ হবে

কোচবিহার: লাভের মুখ দেখতে বহু কৃষক এখন চিরাচরিত চাষের পথ ছেড়ে অন্য পথে হাঁটছেন। কেউ বিকল্প চাষ শুরু করেছেন, আবার কেউ অন্যভাবে জীবিকার কথা ভাবছেন। তবে আজ আপনাদের মিশ্র চাষের কথা বলব, যা করলে কৃষক হিসেবে আপনি অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন।

সাধারণত কৃষকেরা লাভের মুখ দেখতে গিয়ে চিরাচরিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এতে আজকাল আর খুব একটা লাভ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদ করলে কৃষক হিসেবে আপনি অনেকটাই বেশি আয় করতে পারবেন। অল্প সময়ে, অল্প জায়গায় এবং অল্প খরচে বেশি লাভ পাওয়া সম্ভব হবে। অল্প জায়গায় অনেক বেশি পরিমাণ চাষ করা সম্ভব এই পদ্ধতিতে। ধারাবাহিক চাষের পাশাপাশি মিশ্র পদ্ধতির চাষ করা খুব একটা বেশি কষ্টসাধ্য পদ্ধতি নয়।

আরও পড়ুন: বর্ষার শুরুতেই ফুঁসছে টাঙ্গন নদী, ভাঙন আতঙ্কে গোটা এলাকা

কোচবিহারের কৃষক নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, তিনি মিশ্র পদ্ধতির চাষাবাদের মাধ্যমে চাল কুমড়ো ও মিষ্টি কুমড়া ফলিয়েছেন। এই চাষের মাধ্যমে তিনি অধিক পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতে পারছেন। এভাবে চাষ করার মাধ্যমে তাঁর খরচ অনেকটাই কম হয়েছে। অল্প জায়গায় অনেকটা বেশি পরিমাণ চাষ করতে পেরেছেন। তাই তো তিনি সকল কৃষকদের মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষাবাদ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাল কুমড়া ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে তাঁর ৫ কাঠা জমিতে খরচ হয়েছে এক হাজার টাকা। শুধু মাথায় রাখতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণ সার ও কীটনাশক যেন প্রয়োগ করা হয়।

বর্তমানে সেখানকার আরও অনেক কৃষক এই মিশ্র পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য এগিয়ে আসছেন। তাঁরাও অনেকটাই লাভের মাত্রা দেখতে পারছেন এভাবে চাষ করার মাধ্যমে। প্রথমে জমি চাষ করে তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হয়। তারপর বীজ রোপণ করে দিলেই গাছ ধীরে ধীরে বড় হতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে আরেকটু সার প্রয়োগ করতে হয়। মাঝেমধ্যে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। তাহলে এই গাছ থাকে তরতাজা এবং কোন‌ও রোগ পোকার আক্রমণ হয় না। খরচের পরিমাণও হয় অনেকটাই কম। খুচরো কিংবা পাইকারি দু’ভাবেই বিক্রি করা সম্ভব এই ধরনের ফসল।

সার্থক পণ্ডিত

River Erosion Problem: বর্ষা আসতেই নদী ভাঙন শুরু, তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক চাষের জমি

কোচবিহার: নদী ভাঙনে জর্জরিত কোচবিহারের পাটছড়া এলাকা। এই গ্রামের একের পর এক জমি নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে নদী ভাঙনের কারণে। প্রায় ৪০০-৫০০ বিঘা চাষের জমি ইতিমধ্যেই তলিয়ে গিয়েছে নদীর গর্ভে। ভয়ে অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। বিগত বছরে ভাঙনের রূপ অনেকটাই ভয়াবহ ছিল। বর্তমানে বর্ষার মরশুম আসতেই আবারও ভাঙন পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। ভাঙন পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে গ্রামবাসীদের চাষের জমি ও চলাচলের রাস্তা এখন সঙ্কটের মুখে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাঙন সমস্যা ক্রমশ বাড়লেও জেলা প্রশাসন কোনও সাহায্য করছে না।

ফজরুল হক নামে এক গ্রামবাসী এই প্রসঙ্গে বলেন, নদী ভাঙন প্রতি বছরের মত এই বছরও শুরু হয়ে গিয়েছে। পাড় ভাঙতে ভাঙতে গ্রামের মূল রাস্তার পাশে চলে এসেছে নদী। এইভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে গ্রামের মূল রাস্তা যেকোনও সময় তলিয়ে যাবে। গ্রামের বহু চাষের জমি নদীর গর্ভে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। তাঁর নিজের বহু জমি নদীর গর্ভে চলে গিয়েছে। জেলা প্রশাসনকে গোটা বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জানালেও তাঁরা কোন‌ওরকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ফলে নদী ভাঙন রোধে এখনও ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে নদীর ভাঙন হয়েই চলেছে প্রতিনিয়ত।

আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই ভিন রাজ্যে ফেরার হিড়িক পরিযায়ী শ্রমিকদের

গ্রামের আরও দুই বাসিন্দা কফির আলি এবং দুলাল মিঁয়া জানান, একের পর এক চাষের জমি নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে এই গ্রামে বেশকিছু মানুষ আর্থিকভাবেও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন। কী করে আগামী দিনে তাঁরা সংসার চালাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। প্রশাসন আদৌ কোন‌ও ক্ষতিপূরণ দেবে কিনা তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। তবে এখনও পর্যন্ত বহু প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও। কাজ এগোয়নি কিছুই। ফলে কার্যত অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগতে শুরু করেছেন বহু চাষি। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সুখিলা দাস জানান, ভাঙন নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সার্থক পণ্ডিত

Healthy Living: পিরিয়ডের আগে স্তনে ব্যথা? এই ঘরোয়া উপায়ে আরাম পাবেন ঝটপট

পিরিয়ডের আগে স্তনের ব্যথার কারণে নানা শারীরিক অস্বস্তিতে পড়তে হয় অনেক মহিলাকে। এই সময়ে অনেকের স্তন ভারী হয়ে ব্যথা হয়। অনেকের বাহুমূলেও ব্যথা অনুভূত হয়।
পিরিয়ডের আগে স্তনের ব্যথার কারণে নানা শারীরিক অস্বস্তিতে পড়তে হয় অনেক মহিলাকে। এই সময়ে অনেকের স্তন ভারী হয়ে ব্যথা হয়। অনেকের বাহুমূলেও ব্যথা অনুভূত হয়।
পিরিয়ডের আগে শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটে। এই দুই হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই শরীরে ব্যথা হয়। তবে এর থেকে সহজে মুক্তির কিছু পদ্ধতি রয়েছে।
পিরিয়ডের আগে শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ভারসাম্যের ব্যাঘাত ঘটে। এই দুই হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই শরীরে ব্যথা হয়। তবে এর থেকে সহজে মুক্তির কিছু পদ্ধতি রয়েছে।
 স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ পল্লব তালুকদার জানান, এই সময়ে মহিলাদের সাপোর্টিং বা কমফর্টেবল ব্রা পড়া উচিত।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ পল্লব তালুকদার জানান, এই সময়ে মহিলাদের সাপোর্টিং বা কমফর্টেবল ব্রা পড়া উচিত।
পিরিয়ড হওয়ার আগে নুন খাওয়া কমাতে হবে। এছাড়া ক্যাফিন ও মদ্যপান করা এড়িয়ে চলুন। এর ফলে স্তনে তরলের পরিমাণ কমবে এবং ব্যথা অনুভূত হবে না।
পিরিয়ড হওয়ার আগে নুন খাওয়া কমাতে হবে। এছাড়া ক্যাফিন ও মদ্যপান করা এড়িয়ে চলুন। এর ফলে স্তনে তরলের পরিমাণ কমবে এবং ব্যথা অনুভূত হবে না।
স্তনে প্রচণ্ড ব্যথা হলে বরফ কিংবা আইস ব্যাগ লাগাতে পারেন। এতে ব্যথা অনেকটাই কমবে এবং অনেকটা দ্রুতই আরাম পাওয়া সম্ভব হবে। তবে এটি কিন্তু সাময়িক একটি সলিউশন।
স্তনে প্রচণ্ড ব্যথা হলে বরফ কিংবা আইস ব্যাগ লাগাতে পারেন। এতে ব্যথা অনেকটাই কমবে এবং অনেকটা দ্রুতই আরাম পাওয়া সম্ভব হবে। তবে এটি কিন্তু সাময়িক একটি সলিউশন।
স্তনে ব্যথা কমাতে সামান্য গরম জলে স্নান করতে পারেন। গরম জলে স্নান করলে শরীরের মাংসপেশি অনেকটাই শিথিল হয়। এছাড়া এই কারণে শরীরের যেকোনও ব্যথা-বেদনা অনেকটাই কমে যায়।
স্তনে ব্যথা কমাতে সামান্য গরম জলে স্নান করতে পারেন। গরম জলে স্নান করলে শরীরের মাংসপেশি অনেকটাই শিথিল হয়। এছাড়া এই কারণে শরীরের যেকোনও ব্যথা-বেদনা অনেকটাই কমে যায়।
বিভিন্ন রকম মানসিক চাপের কারণেও অনেক সময় স্তনে ব্যথা হয়। ইয়োগা বা স্ট্রেস রিলিফ মেডিটেশন করার চেষ্টা করতে পারেন। এতে অনেকটাই উপকার পাওয়া সম্ভব।
বিভিন্ন রকম মানসিক চাপের কারণেও অনেক সময় স্তনে ব্যথা হয়। ইয়োগা বা স্ট্রেস রিলিফ মেডিটেশন করার চেষ্টা করতে পারেন। এতে অনেকটাই উপকার পাওয়া সম্ভব।
 হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। হলুদ ব্যথা-বেদনা কমাতে উপকারে লাগে। গরম দুধের মধ্যে সামান্য পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন।
হলুদে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। হলুদ ব্যথা-বেদনা কমাতে উপকারে লাগে। গরম দুধের মধ্যে সামান্য পরিমাণ হলুদ মিশিয়ে পান করতে পারেন।

Money Making Tips: লক্ষ্মী আসবে ঘরে বিপুল পরিমাণে, শুরু করতে হবে এই কাজ

 প্রথাগত চাষে লাভের পরিমাণ কম এবং সময় লাগে অনেকটাই বেশি। এমন অভিযোগ প্রায়ই করে থাকেন চাষিরা। তাই অনেকেই করেন বিকল্প চাষের সন্ধান। ঐতিহ্যগত চাষাবাদ বাদ দিয়ে যদি অন্য কিছু করতে চান, তাহলে কলা চাষ খুবই ভাল বিকল্প হতে পারে।
প্রথাগত চাষে লাভের পরিমাণ কম এবং সময় লাগে অনেকটাই বেশি। এমন অভিযোগ প্রায়ই করে থাকেন চাষিরা। তাই অনেকেই করেন বিকল্প চাষের সন্ধান। ঐতিহ্যগত চাষাবাদ বাদ দিয়ে যদি অন্য কিছু করতে চান, তাহলে কলা চাষ খুবই ভাল বিকল্প হতে পারে।
যে কোনও চাষির জন্য এই কলা চাষ করে অনায়াসে লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ করা সম্ভব। কলা চাষ করতে খুব একটা বেশি জায়গা কিংবা সময়ের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় সঠিক পদ্ধতি এবং সঠিক সময়ের।
যে কোনও চাষির জন্য এই কলা চাষ করে অনায়াসে লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ করা সম্ভব। কলা চাষ করতে খুব একটা বেশি জায়গা কিংবা সময়ের প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় সঠিক পদ্ধতি এবং সঠিক সময়ের।
কোচবিহার জেলার বহু কৃষক কলা চাষের মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হচ্ছেন। কোচবিহার জেলার এক চাষী ফজর আলি জানান, "তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কলা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। আগে প্রথাগত চাষাবাদ করেই দিন যাপন করতেন তিনি। তবে এ বছর পাঁচেক আগে করাচার শুরু করেন। এখন বর্তমানে কলা চাষ করে অন্যান্য চাষের চাইতে অনেক বেশি লাভ পাচ্ছেন। সময় লাগছে অনেকটাই কম, এবং খাটনিও হচ্ছে কম। তবে লাভের মাত্র থাকছে অনেকটাই বেশি। বিভিন্ন ধরনের কলা চাষ করা সম্ভব। তবে জাহাজী মালভোগ কলা এবং মনুয়া কলা চাষ করে লাভ বেশি পাওয়া যায়। এবং সহজেই করা যায় এই দুই কলা চাষ।"
কোচবিহার জেলার বহু কৃষক কলা চাষের মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হচ্ছেন। কোচবিহার জেলার এক চাষী ফজর আলি জানান, “তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে কলা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। আগে প্রথাগত চাষাবাদ করেই দিন যাপন করতেন তিনি। তবে এ বছর পাঁচেক আগে করাচার শুরু করেন। এখন বর্তমানে কলা চাষ করে অন্যান্য চাষের চাইতে অনেক বেশি লাভ পাচ্ছেন। সময় লাগছে অনেকটাই কম, এবং খাটনিও হচ্ছে কম। তবে লাভের মাত্র থাকছে অনেকটাই বেশি। বিভিন্ন ধরনের কলা চাষ করা সম্ভব। তবে জাহাজী মালভোগ কলা এবং মনুয়া কলা চাষ করে লাভ বেশি পাওয়া যায়। এবং সহজেই করা যায় এই দুই কলা চাষ।”
তিনি আরও জানান, "কৃষকরা প্রতি একরে ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারেন কলা চাষ করে। সনাতন পদ্ধতিতে ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি চাষে খরচ বেশি এবং ফলন অনুযায়ী লাভও কম। কিন্তু কলা চাষ করলে কম খরচে বেশি লাভ করা যায়। তাই বেশিরভাগ কৃষকের অন্যান্য ও চাষাবাদের পাশেই কলা চাষ করা উচিত।"
তিনি আরও জানান, “কৃষকরা প্রতি একরে ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারেন কলা চাষ করে। সনাতন পদ্ধতিতে ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি চাষে খরচ বেশি এবং ফলন অনুযায়ী লাভও কম। কিন্তু কলা চাষ করলে কম খরচে বেশি লাভ করা যায়। তাই বেশিরভাগ কৃষকের অন্যান্য ও চাষাবাদের পাশেই কলা চাষ করা উচিত।”
বর্তমানে জেলার কৃষকদের মধ্যে কলা চাষ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আর্থিক লাভের পরিমাণ বেড়েছে কৃষকদের। ভবিষ্যতে জেলায় আরও কলা চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তবে উঁচু জমিতে কলা চাষ করা অনেকটাই বেশি লাভের মাত্রা দিতে পারে। সঠিক সময়ে সঠিক সার কীটনাশক প্রয়োগ করলে কড়াই ক্ষতি হওয়া সম্ভাবনা থাকে না।
বর্তমানে জেলার কৃষকদের মধ্যে কলা চাষ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আর্থিক লাভের পরিমাণ বেড়েছে কৃষকদের। ভবিষ্যতে জেলায় আরও কলা চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তবে উঁচু জমিতে কলা চাষ করা অনেকটাই বেশি লাভের মাত্রা দিতে পারে। সঠিক সময়ে সঠিক সার কীটনাশক প্রয়োগ করলে কড়াই ক্ষতি হওয়া সম্ভাবনা থাকে না।

Moringa Powder Benefits: মারণ রোগে মুক্তি! ধরে রাখবে যৌবন! ভিটামিনের খনি এই পাতার গুঁড়ো এখন তুমুল ভাইরাল

বর্তমানে সজনে গাছের পাতার গুঁড়ো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ খালি পেটে এই গুঁড়ো খাচ্ছেন। আবার, কেউ এই গুঁড়ো দিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে মাখছেন। সজনের ডাঁটা কিংবা ফুলের মতোই গাছের পাতাটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে সজনে গাছের পাতার গুঁড়ো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেউ খালি পেটে এই গুঁড়ো খাচ্ছেন। আবার, কেউ এই গুঁড়ো দিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে মাখছেন। সজনের ডাঁটা কিংবা ফুলের মতোই গাছের পাতাটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন-A, ভিটামিন-C, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো জরুরি বেশ কিছু খনিজ রয়েছে সজনে পাতায়। ফলে নিয়মিত এই পাতা খেলে উপকার পাওয়া যাবে অনেকটাই।
প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন-A, ভিটামিন-C, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো জরুরি বেশ কিছু খনিজ রয়েছে সজনে পাতায়। ফলে নিয়মিত এই পাতা খেলে উপকার পাওয়া যাবে অনেকটাই।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক তুহিন শর্মা জানান, নিয়মিত সজনে পাতার গুঁড়ো খেলে সহজে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না। অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই পাতাটি ফ্রি র‌্যাডিক্যালের প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক তুহিন শর্মা জানান, নিয়মিত সজনে পাতার গুঁড়ো খেলে সহজে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না। অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ এই পাতাটি ফ্রি র‌্যাডিক্যালের প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
গ্যাস, পেটফাঁপা, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমাতে দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে সজনে পাতা। অন্ত্রে উপস্থিত উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলে পেটের সমস্যা সহজেই কমায় এই পাতার গুণাগুণ।
গ্যাস, পেটফাঁপা, অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমাতে দারুণ ভাবে কাজ করে থাকে সজনে পাতা। অন্ত্রে উপস্থিত উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলে পেটের সমস্যা সহজেই কমায় এই পাতার গুণাগুণ।
সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক উপাদান। যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যাঁদের ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতার রয়েছে। তাঁরা সজনে পাতা গুঁড়ো খাওয়া শুরু করতে পারেন এতে উপকার পাবেন।
সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে হাইপোগ্লাইসেমিক উপাদান। যা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যাঁদের ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতার রয়েছে। তাঁরা সজনে পাতা গুঁড়ো খাওয়া শুরু করতে পারেন এতে উপকার পাবেন।
ওটস, ফ্ল্যাক্সসিড কিংবা কাঠবাদামের মতো সজনে পাতাও রক্তে থাকা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে খুব সহজেই। ফলে এটি খেলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় না কোনমতেই।
ওটস, ফ্ল্যাক্সসিড কিংবা কাঠবাদামের মতো সজনে পাতাও রক্তে থাকা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে খুব সহজেই। ফলে এটি খেলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায় না কোনমতেই।
নিয়মিত সজনে পাতার গুঁড়ো খেলে হঠাৎ করে কোনও সংক্রমক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। কারণ, সজনে পাতার গুঁড়ো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করে এবং শ্বেত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে।
নিয়মিত সজনে পাতার গুঁড়ো খেলে হঠাৎ করে কোনও সংক্রমক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। কারণ, সজনে পাতার গুঁড়ো রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করে এবং শ্বেত রক্ত কণিকা বৃদ্ধি করে।

Kachu Cultivation: আপনার ভাগ্য ফিরিয়ে দেবে কচু! শুধু এই প্রক্রিয়াটা জেনে রাখুন

কোচবিহার: চিরাচরিত চাষের বাইরে গিয়ে এই জিনিসটা চাষ করুন, নিশ্চিত লাভ পাবেন। শোলা কচুর চাষ করলে ব্যাপক লাভ নিশ্চিত চাষিদের। গ্রামবাংলার সবার কাছে অতি পরিচিত সস্তা দামের সবজি হল কচু।

এই কচু চাষে কোন‌ওধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করা হয় না। এই চাষে সারের বেশি প্রয়োজন হয় না। ফলে খরচও অনেকটাই কম। আর তাই কচু চাষ করে কম খরচে অধিক লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। এই কচু চাষে রোগ বালাই থাকে না বললেই চলে। এতে পচনের ভয় নেই বললেই চলে। তাই কৃষকরা বোরো ধানের চাষ বাদ দিয়ে কম খরচে অধিক লাভের আশায় বর্তমানে কচু চাষের প্রতি ঝুঁকছেন।

আরও পড়ুন: সুপারির খোসা ছাড়িয়ে নিয়মিত আয় করছেন মহিলারা, ফিরছে সংসারের হাল

কচু চাষি জ্যোতিষ লস্কর জানান, কচুর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। ফলে আজকাল এর চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। তাই দামও বেশ ভালই মিলছে। চাষের জমিতে জল জমে থাকলেও কচু চাষে সমস্যা হয় না। এটা অন্যতম একটি সুবিধার দিক বলে তিনি বর্ণনা করেন।

বর্তমান সময়ে বাজারে কচুর সর্বনিম্ন দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সর্বোচ্চ এক একটি কচু ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়। তাই স্বল্প পরিশ্রমে এবং স্বল্প জায়গায় এই চাষ করা লাভজনক। এছাড়া কচুর পাশাপাশি কচুর লতি বিক্রি করেও অতিরিক্ত আয় করা যায়। তাইতো কোচবিহারের কৃষকরা বৃষ্টির মধ্যেও এই চাষ করছেন ব্যাপকভাবে। জল জমা জমিতে সামান্য চাষ করে এই কচু গাছ বুনে দিলেই হবে। তারপর কচু গাছ নিজের গতিতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।

সার্থক পণ্ডিত

Heavy Rain fall: প্রবল বর্ষণ, ফুঁসছে তোর্ষা! নদীর আগ্রাসী রূপে ভাঙল পারাপারের সেতু

কোচবিহার: জেলা কোচবিহারের সদর শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে তোর্ষা নদী। পাহাড়ে বৃষ্টি হলেই জলস্তর বেড়ে ওঠে এই নদীর। তোর্ষা নদী রীতিমত আগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে। নদীর জলের স্রোতে ভেঙেছে রানীবাগান ফাঁসির ঘাটের নদী পারাপারের বাঁশের সাঁকো। কোচবিহারের ঘুঘুমারি সেতু ছাড়া নদী পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থা এই সাঁকো। বর্তমান সময়ে এই সাঁকো বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ।

স্থানীয় এক টোটো চালক নৃপেন্দ্র দাস জানান,”তোর্ষা নদীর এই রানী বাগান ফাঁসির ঘাট দিয়ে নদী পারাপারা করেন বহু মানুষ। দিনে আনুমানিক সংখ্যা থাকে ১৫ হাজারের মতো। বর্তমান সময়ে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে ভেঙে গিয়েছে নদী পারাপারের সাঁকো। তাই সমস্যায় পড়তে হয়েছে বহু মানুষকে।”

আরও পড়ুন:এই তিনটি চেনা গাছ ঘরে রাখলেই হু-হু করে ঠান্ডা হবে ঘর! জানুন বিশেষজ্ঞের মত

স্থানীয় এক বাসিন্দা আমজাদ হোসেন জানান, “তোর্ষা নদীর জল বাড়লে যেমন এই সাঁকো বন্ধ হয়ে যায়। তেমনি নদী ভাঙন শুরু হয়। তখন রীতিমত আতঙ্কে দিন কাটাতে হয়। এই এলাকায় পর্যাপ্ত নদী বাঁধ না থাকার কারণে রাতে আতঙ্কে ঘুমাতে পারেন না তাঁরা।” তবে এই বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরের কর্তারা জানিয়েছেন,বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য তাঁরা প্রস্তুত।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Sarthak Pandit

Child Death: বৃষ্টিতে মাঠে ধান কাটতে যাওয়াই হল কাল! বজ্রপাতে প্রাণ গেল নাবালকের

শীতলকুচি: আচমকাই বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক নাবালকের। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা মহকুমার অন্তর্গত শীতলকুচি ব্লকের গোসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুহূর্তে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।

মৃত ওই নাবালকের নাম দ্বীপজয় বর্মন এবং তার বয়স ১৫ বছর। মৃত ওই নাবালকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মাথাভাঙা মর্গে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল থেকেই আকাশ প্রচণ্ড খারাপ ও বৃষ্টি থাকায় জমির ধান কাটার প্রয়োজন ছিল। সেজন্য দ্বীপজয় বর্মণ এদিন জমিতে ধান কাটার কাজ করছিল। ধান কাটার কাজ করার সময় আবারও বৃষ্টি নামে। তখনই হঠাৎ বাজ পড়লে গুরুতর জখম হয় দ্বীপজয়।

আরও পড়ুন: প্রচার শেষ হতেই সায়নী বললেন, ‘আমি জিতে গেছি’! যাদবপুরে কি জিতে গেল তৃণমূল? জানুন

দ্রুত পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে তাঁকে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।” মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বীপজয়ের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: দার্জিলিং, নামটা শুনলেই মন ভাল হয়ে যায়! আপনি কি ‘দার্জিলিং’ শব্দের মানে জানেন?

ময়নাতদন্তের পর দেহ দেওয়া হবে পরিবারের কাছে। তবে বাড়ির ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে রয়েছে গোটা পরিবার। মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত মানুষকে সাবধান করা হয়েছে। আকাশ খারাপ থাকার সময় যাতে কোনও ব্যক্তি বাড়ির বাইরে না বেরোন কিংবা মাঠে কাজ না করেন।

Sarthak Pandit

Cyclone Remal Effects: বিধ্বংসী ঝড়ের দাপটে তছনছ… ফের দুর্যোগের ভয়! ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, গাছপালা, ক্ষোভ বাড়ছে তুফানগঞ্জে

তুফানগঞ্জ: বিধ্বংসী রিমলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লকের চামটা মোড় সংলগ্ন নাককাটিগাছ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। স্থানীয়দের বক্তব্য অনুযায়ী সেদিন সাইক্লোনের রাত আনুমানিক ২:৩০ নাগাদ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত শুরু। এই ঘটনায় এলাকার বহু গাছ ভেঙে পড়ে এবং বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে। এখনও পর্যন্ত বহু বাড়ি মেরামতি করা সম্ভব হয়নি। এরই মাঝে আকাশে কালো মেঘ আতঙ্ক তৈরি করেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় এক বাসিন্দা সন্তোষ দাস জানান, ঝড়ের দাপটে তাঁর বাড়ির ওপর একটি বড় কাঁঠাল গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। ফলে ঘরের টিনের চাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রকার সাহায্য এসে পৌঁছয়নি। এখন একপ্রকার কষ্ট করেই তাঁকে নিজের ঘর মেরামত করতে হচ্ছে। গাছটি কেটে সরাতে ২০০০ টাকার প্রয়োজন, সেই অর্থ তাঁর কাছে নেই। তাই সেই ভাঙা গাছের ডাল এখনও পর্যন্ত তাঁর টিনের চালের ওপর পড়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন: হুডখোলা জিপে ‘রাম তেরি গঙ্গা ম্যায়লি’র মন্দাকিনী! ৮০-র দশকে বুকে ঝড় তোলা নায়িকাকে দেখতে নবীন-প্রবীণের ভিড় মধ্যমগ্রামে

এলাকার আরও এক ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা শ্যামসুন্দর বসাক জানান, তাঁর বাড়ির মধ্যে থাকা বিরাট একটি আমগাছ ঘরের টিনের চালের উপর ভেঙে পড়ে। সেই সময়ে ঘরের ভেতরেই পরিবারের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কোনওভাবে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র কিছু ত্রাণ সামগ্রী তাঁদের দেওয়া হয়েছে। তবে ভেঙে পড়া গাছের ডাল তাঁরা নিজেদের খরচেই কাটতে বাধ্য হয়েছেন। আকাশের পরিস্থিতি আবারও খারাপ হয়ে আসার কারণে আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ পাটনি জানান, ঝড় চলাকালীন তিনি বাড়িতে ফিরছিলেন। কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন তিনি। এই প্রথম এমন ভয়ংকর ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয়। এই ঝড়ের অভিজ্ঞতার কথা তাঁর শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত মনে থাকবে। বাড়ির প্রত্যেকেই বেশ আতঙ্কিত হয়েছিলেন। যদিও তাঁর বাড়ির খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে বাড়ির আশেপাশে বেশ কিছু বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ে। তবে সরকারিভাবে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি মেরামতির জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলেই দাবি করলেন তিনি। সামান্য কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিলি করা হয়েছে এলাকায়।

Sarthak Pandit

River Erosion Problem: চাষের জমির পর এবার কি বসত ভিটে? উত্তরে নদী ভাঙনের ভয়াবহ ছবি

কোচবিহার: শহর সংলগ্ন এলাকা দিয়েই বয়ে গিয়েছে তোর্ষা নদী। একসময়ের আশীর্বাদ এই নদী আজ কোচবিহারবাসীর কাছে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু বর্ষাকাল নয়, এখন বছরের যেকোনও মরশুমেও আগ্রাসী রূপ নিতে দেখা যায় এই নদীকে। ইতিমধ্যেই তোর্ষার ভাঙনে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমি।

কোচবিহারের শোলাডাঙা এমনই এক নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় নদী ভাঙন চলছেই। আগ্রাসী তোর্ষার গ্রাসে চলে গিয়েছে এখানকার বিঘের পর বিঘে চাষের জমি। বর্তমানে নদীর চোখ রাঙানিতে ঘুম উড়েছে নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। আবাদি জমির পর এবার বসত বাড়ি নদীর গ্রাসে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ভাল স্বাস্থ্য পরিষেবা দিলেই সুন্দরবনে মিলছে পুরস্কার

এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা হিতাংশু দেবনাথ জানান, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এই নদী ভাঙনে বহু আবাদি জমি হারিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁর প্রায় ১৫ থেকে ১৬ বিঘা চাষের জমি চলে গিয়েছে নদী গর্ভে। এখন বাকি রয়েছে আর মাত্র এক বিঘা জমি। এটুকুই শেষ সম্বল। কিন্তু এই প্রবীণ বাসিন্দার আশঙ্কা, বাকি কৃষিজমির পাশাপাশি এবার তোর্ষার ভাঙনে তাঁর বসত বাড়িটাও খোয়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে কোথায় থাকবেন, কী খাবেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোন‌ও লাভ হয়নি বলে জানান তিনি। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীদের দাবি, দ্রুত নদীর পাড়ে বাঁধ দেওয়া হোক।

তবে এই গোটা বিষয়টা নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা কোন‌ও মন্তব্য করতে রাজি হননি। ফলে বিপন্ন মানুষগুলি চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

সার্থক পণ্ডিত