Category Archives: কোচবিহার
Paper Pinwheel: কাগজ দিয়ে তৈরি হয় এই সুন্দর খেলনা! মুহূর্তেই আপনি ফিরে যাবেন শৈশবে
কোচবিহার: রঙিন কাগজ, বাঁশের কাঠি এবং স্টীলের তার দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই ছোট্ট খেলাটি। তবে এই খেলনা কিন্তু নতুন নয় দীর্ঘ সময় ধরে এই খেলা বহু মানুষের শৈশবের সঙ্গী। তাইতো এই খেলনা হাতে নিলেই মুহূর্তে যে কেউ ফিরে যেতে পারবেন শৈশবের দিনগুলিতে। বহু মানুষ প্রতিবছর আকর্ষণের বসেই এই খেলাগুলি কিনে থাকেন। যেকোনো অনুষ্ঠানের কিংবা উৎসবের আগেই জেলার রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় এই বিক্রেতাদের। ভিন রাজ্য থেকে প্রতিবছর এই বিক্রেতারা আসেন জেলায়।
দুই পেপার পিন হুইল বিক্রেতা মুন্না রাজওয়ার এবং ছোট রাজওয়ার জানান,”এই খেলাগুলি ছোট থেকে বড় সকলের পছন্দ। সামান্য হাওয়াতে সুন্দর ঘুরতে থাকে এটি। তাইতো দূর থেকে রং বেরঙের এই খেলনাগুলিকে দেখতে সত্যিই দারুণ লাগে। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা এই খেলনাগুলি বিক্রি করতে জেলা কোচবিহারে এসে থাকেন। প্রতিবছর বহু মানুষ এই খেলনাগুলি কিনে নিজেদের শৈশবের দিনগুলি ফিরে পেতে চেষ্টা করেন। ছোটরাও দারুণ উৎসাহের সঙ্গে এগুলি কিনে থাকেন। মাত্র কুড়ি টাকা দামে এই বিশেষ খেলনা কমবেশি সকলের পছন্দ হয়। তাইতো বিক্রি করে মুনাফা হয় অনেকটাই।”
পেপার পিনহুইল নির্মাতা গোবিন্দ রাজওয়ার জানান,”দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই কাজ করছেন তিনি। প্রতিবছর পুজোর আগে কোচবিহারে আসেন এই জিনিস বিক্রি করতে। একেবারেই স্বল্পমূল্যের উপকরণ দিয়ে এই খেলনা তৈরি করা সম্ভব। আধুনিক যুগে যে সময়ে বাচ্চা থেকে বড়রা মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে আসক্ত। সেই পরিস্থিতিতে এই খেলনা মুহূর্তে যেকোন মানুষকে শৈশবের দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাইতো ও রাস্তায় এই খেলাগুলি দেখলেই বহু মানুষ এগিয়ে এসে কিনে থাকেন। দাম একেবারে সামান্য হওয়ার কারণে খুব একটা অসুবিধায় পড়তে হয় না কোন মানুষকে।”
একটা সময় ছিল যখন কম্পিউটার কিংবা মোবাইলে আসক্তি ছিল না বাচ্চাদের। এই ধরনের খেলাগুলিতেই মন আকর্ষণ হতো বেশিরভাগ ছোটদের। তবে ধীরে ধীরে সেই সময় বদলেছে। তাইতো কিছুটা হলেও বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিয়েছে এই পেপার পিনহুইল।
Sarthak Pandit
Durga Puja 2024: টুকরো কাপড়েই এমন সুন্দর দুর্গা মূর্তি! তাক লাগালেন গৃহবধু
কোচবিহার: জেলা কোচবিহারের এক মাইক্রো আর্টিস্ট শিল্পী সোমা মুখার্জী। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ধরনের ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে দুর্গা মূর্তি তৈরির শখ তাঁর। সেই শখের বশেই প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের দুর্গা মূর্তি তৈরি করে থাকেন এই গৃহবধূ মাইক্রো আর্টিস্ট।
চলতি বছরেও এক অদ্ভুত ধরনের বিশেষ আকর্ষণীয় দুর্গা মূর্তি তৈরি করেছেন এই শিল্পী। দর্জি দোকানের ফেলে দেওয়া রঙিন কাপড় দিয়ে তৈরি করেছেন তিনি দুর্গা মূর্তি। বিশেষ ধরনের এই দুর্গা মূর্তি দেখতে অনেকটাই আকর্ষণীয় হয়েছে। প্রচুর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন এই দুর্গা মূর্তি দেখতে।
মাইক্রো আর্টিস্ট শিল্পী সোমা মুখার্জী জানান, “প্রতিবছর দুর্গা পুজোর আগে তিনি কাজ শুরু করেন দুর্গা প্রতিমা নির্মাণের। তবে আর পাঁচটা দুর্গা প্রতিমার মতন সাধারণ দুর্গা প্রতিমা নয়। ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিস দিয়ে দুর্গা প্রতিমা নির্মাণের শখ তাঁর।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা হোক বা গরম, খেলেই দাঁতে শিরশিরানি! রান্নাঘরেই রয়েছে ৫ অস্ত্র, নিমেষে গায়েব অস্বস্তি
বিগত বছরগুলিতে ওষুধের ফেলে দেওয়া প্যাকেট, পোড়া ধূপকাঠি দিয়ে দুর্গা মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। এবারে তিনি দর্জি দোকানের ফেলে দেওয়া রঙিন কাপড় দিয়ে দুর্গা মূর্তি নির্মাণ করেছেন। এই মুহূর্তে নির্মাণ করতে সময় লেগেছে আনুমানিক অনেক প্রায় তিন থেকে চার মাস।”
শিল্পী আরও জানান, “এই দুর্গা মূর্তি নির্মাণ করতে রঙিন কাপড়, রঙিন সুতো, জরি সুতো, আঠা এবং সামান্য কিছু রঙের ব্যবহার করেছেন তিনি। দুই থেকে তিনটি দর্জি দোকান থেকে এই কাপড় সংগ্রহ করেছিলেন তিনি বিভিন্ন সময়। তবে এবারের দুর্গা মূর্তি তৈরি করতে সময় কিছুটা বেশি লেগেছে।
তাইতো পুজোর মাত্র কয়েকদিন আগেই সম্পন্ন করতে পেরেছেন তিনি এই দুর্গা মূর্তি। যদিও ইতিমধ্যেই এই দুর্গা মূর্তি নিয়ে বহু মানুষ উৎসাহ দিয়েছেন তাঁকে। তাঁর পরিবারের মানুষেরা প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন তাঁকে। তাইতো তিনি এই ধরনের কাজ করতে উৎসাহ পান।”
বর্তমান সময়ের শিল্পীর এই নতুন শিল্পকর্ম দেখতে বহু মানুষ তাঁর বাড়িতে আসছেন। বহু মানুষ মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছেন তাঁর এই অদ্ভুত শিল্পকর্ম দেখে। তবে আগামী দিনে তিনি আরও বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে দুর্গা মূর্তি নির্মাণ করবেন এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। জেলায় এই ধরনের প্রতিভার সংখ্যা কম থাকায় বহু মানুষের কাছে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন এই শিল্পী।
দুর্গা পুজো ২০২৪, ফিচার , পুজো 360, পুজো ইন্টিরিয়র, পুজোর রেসিপি, দুর্গা পুজোর ভ্রমণ, বনেদি বাড়ির পুজো, জেলার পুজো, অন্য পুজো
Sarthak Pandit
Amavasya Kali Puja on Mahalaya: মহালয়ার অমাবস্যায় বিশেষ কালীপুজো উপলক্ষে অগণিত ভক্তের সমাগম মহাশ্মশানে
সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: কোচবিহার বিবেকানন্দ স্ট্রিট এলাকায় রয়েছে কোচবিহার মহাশ্মশান। আর এই শ্মশানেই মহালয়ায় আশ্বিনের অমাবস্যা উপলক্ষে পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। এখানে মোট ৫১ সতীপীঠের পুজোর আয়োজন করা হয় দেবীর বিভিন্ন রূপের মূর্তির সমেত। তাই এখানে দেবীর ৫১টি রূপের মূর্তি বা প্রতিমা লক্ষ করা যায়। এছাড়াও পুজো করা হয় শ্মশানে থাকা শ্মশানকালীর মাতার মূর্তির। তবে এখানের পুজোয় বিশেষ নিয়ম রয়েছে। এখানের পুজোয় কুমারী পুজো করা হয়ে আসছে দীর্ঘ সময় ধরে। যে কারণে এখানের পুজো অন্যান্য জায়গার পুজোর থেকে একেবারেই আলাদা হয়ে ওঠে।
পুজোর পূজারী অরিন্দম চক্রবর্তী জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে সমস্ত নিয়ম ও নিষ্ঠা মেনে কোচবিহার মহাশ্মশানে এই পুজোর আয়োজন করা হয়। তবে আগে এই পুজোর পরিচালনা একটি কমিটির মাধ্যমে করা হত। কিন্তু বর্তমানে এই পুজো পরিচালনা করা হচ্ছে কোচবিহার পুরসভার মাধ্যমে। বহু মানুষ এই দু’দিনের পুজোয় অংশ নিয়ে থাকেন। এছাড়া এই পুজো উপলক্ষে এখানে মেলাও বসে। তবে আগের থেকে এই পুজোর জৌলুস অনেকটাই বেড়েছে বর্তমানে। আগে টাকা পয়সার সঠিক যোগান না থাকায় পুজো হত কোনও রকমে। তবে এখন আর সেটা হয় না। কিছুটা সরকারি তহবিল আর কিছুটা এলাকার মানুষের চাঁদা দিয়েই পুজোর আয়োজন হয়।”
আরও পড়ুন : মায়ের অপমানের কষ্ট দূর করতেই শুরু পুজো, প্রাচীন শারদোৎসবের বয়স পেরিয়েছে ৪০০ বছর
এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা নরেশচন্দ্র দে জানান, “এই পুজোয় শুরুর এক থেকে দুই বছরের পর থেকেই এখানে কুমারী পুজো শুরু করা হয়। এছাড়া ৫১ সতীপীঠের সমস্ত দেবীর রূপেরও পুজো করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই নিয়মের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি এখানে। বহু মানুষ এই বিরাট পুজোর আয়োজন দেখতে এখানে এসে থাকেন। এছাড়া এখানে এই পুজো উপলক্ষে যে দু’দিন ধরে বিরাট মেলাও বসে এলাকায়। প্রচুর মানুষের ভিড় জমে সেই মেলায়।” কোচবিহার মহা-শ্মশানের এই কালীপুজো কোচবিহারের অন্যতম বড় কালীপুজো। এই পুজোয় বহু মানুষের সমাগম ঘটে। তবে কোচবিহারের পুরসভা এই পুজোর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই এই পুজোর জৌলুস বেশ কিছুটা বেড়ে উঠেছে।
Durga Puja 2024: ৭৫ বছরে বিরাট ভোলবদল…! নারী কথা নিয়ে দুর্গাপুজোয় বিশেষ চমক এই ক্লাবের, কোথায় জানেন?
কোচবিহার: জেলা কোচবিহারের ৭৫ বছরের দুর্গাপুজো গুলির মধ্যে অন্যতম সেরা পুজো হিসেবে উঠে আসতে চলেছে পাটাকুড়া ক্লাবের পুজো। চলতি বছরে পাটাকুড়া ক্লাবের পুজোর থিম রাখা হয়েছে নারী কথা। সমাজের বুকে নারীদের বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরা হচ্ছে এই গোটা থিমের পুজো মন্ডপের মাধ্যমে। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব উপায়ে তৈরি করা হচ্ছে গোটা থিমের মন্ডপ। দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে এই গোটা থিমের মন্ডপ তৈরির কাজ চলছে এলাকায়। জেলা কোচবিহারের মানুষেরা এবার এক অসাধারণ থিম দেখতে পাবেন এই পুজো মন্ডপে।
থিমের শিল্পী রঘুনাথ জানা জানান, “চার মাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁর কারখানায় এই থিমের জিনিসপত্র তৈরির কাজ চলেছে। এবং দেড় মাস ধরে এলাকায় চলছে থিম নির্মাণের কাজ। গোটা পুজো মন্ডপের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে রয়েছে নারীদের বিভিন্ন বার্তা। এছাড়া সাবেকি আদলেই তৈরি করা হয়েছে গোটা পুজো মণ্ডপের বিভিন্ন বিষয়। পরিবেশবান্ধব উপকরণ যেমন বাঁশ, কাঠ, সুতো, রং, কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে গোটা পুজোর মণ্ডপ। এবার এই পুজো মণ্ডপের বিভিন্ন আকর্ষণীয় বিষয় সকলের দারুণ পছন্দ হবে।”
পুজো কমিটির সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী জানান, “৭৫ বছরের দুর্গা পুজোয় নারী কথা থিমের কাজ করা হয়েছে সমাজে নারীদের ভূমিকা কথা মাথায় রেখে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীরা যেভাবে এগিয়ে আসছে। সেই বিষয়টিকে তুলে ধরা হচ্ছে গোটা থিমের পুজো মন্ডপের মাধ্যমে।” পাটাকুড়া ক্লাবের সহ-সম্পাদক রানা দাস জানান, “আনুমানিক প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার মোট বাজেটে তৈরি করা হচ্ছে গোটা এই পুজো মন্ডপ। এই পুজো মন্ডপের থিম আলোক সজ্জার মাধ্যমে সম্পূর্ণ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। তবে গোটা এলাকা সাজিয়ে তোলা হচ্ছে চন্দননগরের ডিজিটাল আলোসজ্জার মাধ্যমে।”
বর্তমান সময়ে চলতি বছরে ৭৫ বছরের এই দুর্গা পুজোয় আকর্ষণীয় থিম ও আলোকসজ্জা দেখতে পারবেন প্রত্যেকটি মানুষ। জেলা কোচবিহারের পাশাপাশি বাইরের বহু দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থীরা এই থিমের কাজে মুগ্ধ হবেন এটুকু নিশ্চিত। এই থিমের মধ্যে বাঙালির সাবেকি দুর্গাপুজোর বিভিন্ন অংশ তুলে ধরা হয়েছে।
Sarthak Pandit
Durga Puja 2024: শতাব্দী পেরিয়েছে, আজও কোচবিহারের প্রাচীন শিব মন্দিরে হয় দুর্গাপুজো
কোচবিহার: কোচবিহারের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বানেশ্বর শিব মন্দির। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরে রাজ আমল থেকে দুর্গা পুজো হয়। দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেন বানেশ্বর এলাকার এক প্রতিমা শিল্পী। দীর্ঘ সময় ধরে বংশপরম্পরায় মূর্তি তৈরি করেন এই প্রতিমা শিল্পীর পরিবার।
বীপিনচন্দ্র পাল জানান, কোচবিহারের রাজ আমলে তাঁর পূর্বপুরুষেরা এই প্রতিমা নির্মাণের কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ সময় ধরে বংশপরম্পরায় এই প্রতিমা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৬০ বছর ধরে তিনি প্রতিমা নির্মাণ করছেন। রথের মেলার দিন দুর্গা মূর্তির কাঠামা পুজো করে শুরু হয় প্রতিমা তৈরি। দেড় থেকে দু’মাসের মতো সময় লাগে প্রতিমার মূর্তি নির্মাণে।
শিল্পীর পুত্রবধূ ঝুমা পাল জানান, বিয়ে হয়ে আসার পর থেকেই তিনি মূর্তি নির্মাণের কাজ দেখে আসছেন। বাড়ির সবাই এই মূর্তি নির্মাণের কাজে হাত লাগান। মূর্তি নির্মাণের সময় রাজ আমলের প্রত্যেকটি রীতি ও প্রথা মানা হয়।
কোচবিহারের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই শিব মন্দিরের দুর্গা পুজোয় ভিড় জমান বহু মানুষ। দূর-দূরান্ত থেকেও বহু মানুষ দুর্গা পুজো উপলক্ষে এই মন্দিরে আসেন।
Sarthak Pandit
Durga Puja 2024: দৈনন্দিন জীবনের ‘দৌড়’ নিয়েই পুজোর থিম! দুর্গা পুজোর থিমে বিশেষ চমক
কোচবিহার: জেলা সদর শহর কোচবিহারে বেশ অনেকগুলি বিগ বাজেটের পুজো রয়েছে। আর এই বিগ বাজারের পুজোগুলির কাজ প্রায় অনেকটাই সম্পন্ন। কোচবিহারের ছাট গুড়িয়াহাটি নেতাজি স্কয়ার সংঘের পুজো এবারে ৬৪ তম বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে। তাদের এবারে থিম ‘দৌড়’। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত থিম শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলার এই সুন্দর থিমের কাজ ফুটে উঠতে চলেছে এবারের পুজো মন্ডপে। সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে গোটা পুজো মন্ডপ। বহু মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন এই পুজো মণ্ডপ দেখার জন্য।
ক্লাব কমিটির সভাপতি অমিত চক্রবর্তী জানান,”বিগত বছরগুলিতেও নজরকাড়া আকর্ষণীয় থিম আয়োজন করা হয়েছিল ক্লাবের পক্ষ থেকে। চলতি বছরে সেই বিষয়ের অন্যথায করা হবে না। তাইতো এবার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত থিম শিল্পী গৌরাঙ্গ কুইলার ‘দৌড়’ নামের থিম তৈরি করা হচ্ছে। আনুমানিক প্রায় দেড় থেকে দু’মাসের বেশি সময় ধরে এই কাজ চলছে। সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে গোটা পুজো মণ্ডপ। পুজোয় ঘুরতে আসা প্রত্যেকটি মানুষের মন জয় করে নেবে এই এই পুজো মণ্ডপ।”
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli: ফের সচিনের আরও এক রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি! গড়লেন বিরাট নজির
পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ মনীন্দ্রনাথ রায় জানান,”এবারে আনুমানিক প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বাজেট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই গোটা পুজো মন্ডপ। ছোট থেকে বড় সকলের এই পূজা মন্ডপ পছন্দ হবে।” থিমের কারিগর চণ্ডীচরণ রায় জানান,”মানুষের দৈনন্দিন জীবনের যে দৌড়, সেই বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মন্ডপের বিভিন্ন জিনিসের মাধ্যমে। ব্যবহার করা হয়েছে কাঠের মই, চেয়ার টেবিল, মশারি, জল, কাঠ, বাঁশ এবং বিভিন্ন গাছের শুঁকনো ডাল। সবমিলিয়ে এবারের দুর্গা পুজোয় আকর্ষণীয় পুজো মণ্ডপ হিসেবে উঠে আসতে চলেছে তাঁদের ক্লাবের পুজো। ইতিমধ্যেই মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে অনেকটাই।”
Sarthak Pandit
Bangla News: নদীর জলে ভাসছে ওটা কী? যেভাবে মিলল দেহ, চমকে উঠল গোটা এলাকা! মাথাভাঙায় ভয়াবহ কাণ্ড
মাথাভাঙা: নদীর জলে ভেসে আসা কাঠ কুড়োতে গিয়েই বিপত্তি। দু’দিন নিখোঁজ থাকার পর মনসাই নদী থেকে মিলল গৃহবধূর দেহ। নদীর জলে ভেসে আসা কাঠ কুড়োতে গিয়ে মানসাই নদীর জলে পড়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন গৃহবধূ।
সোমবার সেই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল গোটা এলাকায়। এদিন মাথাভাঙা শহরের ১নং ওয়ার্ডের প্রমোদনগর কলোনি সংলগ্ন মানসাই নদীতে উদ্ধার করা হয় সেই গৃহবধূর দেহ।
আরও পড়ুন: মাংস রান্নার সময় ঠিক কখন নুন দিতে হয় জানেন? যখন-তখন নুন দিলে রান্নার স্বাদ নষ্ট হতে পারে!
স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, বিকেলে নদীতে ভেসে আসা কাঠ কুড়োতে গিয়ে আচমকাই নদীতে তলিয়ে যান জনৈক ওই গৃহবধূ। এরপর প্রচুর তল্লাশি চালানো হলেও দেহ পাওয়া যায়নি। তবে নদীর জল কিছুটা কমতে শুরু করলে ভেসে ওঠে সেই গৃহবধুর মৃতদেহ। মৃত ওই গৃহবধূর নাম মমতা দাস এবং তাঁর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরতেই নদীর ধারে সাধারণ মানুষের ভিড় জমাতে শুরু করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মাথাভাঙা থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় মাথাভাঙা মর্গে।
আরও পড়ুন: চুল পড়ে পাতলা হয়ে যাওয়া আটকাতে কী করবেন? কী করলে চুলের ঘনত্ব বাড়ে? রইল সহজ টিপস
এই বিষয়ে গৃহবধূর জামাইবাবু রতন বর্মণ জানান, সেই গৃহবধূ মানসাই নদীতে কাঠ কুড়োতে গিয়েছিলেন। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন সেই গৃহবধূ। নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও মেলেনি তাঁর দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন এক ব্যক্তি নদীতে মাছ ধরতে গেলে তিনি প্রথম সেই গৃহবধূর মৃতদেহ দেখতে পান। তারপর পুলিশের কাছে খবর এল পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে মাথাভাঙা থানার পুলিশ। আচমকাই নদীতে তলিয়ে গিয়ে গৃহবধূর মৃত্যুতে গোটা পরিবার শোকস্তব্ধ।
Sarthak Pandit
Viral Nose Singer: নাক দিয়েই তোলেন গিটারের সুর! শিল্পীর অবাক প্রতিভা, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল
মাথাভাঙা: জেলা কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের অন্তর্গত বড় শৈলমারি অঞ্চলের দেওয়ানবস বাজার এলাকা। এখানের দীর্ঘ সময়ের বাসিন্দা হরিনারায়ণ বর্মণ। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি নাক দিয়ে গিটারের সুর বাজাতে পছন্দ করেন। আর বর্তমানে এই প্রতিভার মাধ্যমে তিনি নেট দুনিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছেন। তিনি ছয় থেকে সাত ধরনের গান নাক দিয়ে বাজিয়ে ফেলতে পারেন গিটারের সুরের মাধ্যমে।
ভাইরাল শিল্পী হরিনারায়ণ বর্মণ জানান, “ছোটবেলায় তাঁর কাকু বিয়েতে একটি রেডিও পেয়েছিলেন। সে রেডিওতে প্রথম গান শুনেছিলেন তিনি। সেখানের গানের সুর প্রথম তিনি নাক দিয়ে বাজানোর চেষ্টা করেন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে আরও বিভিন্ন ধরনের গান চেষ্টা করেছেন নাক দিয়ে বাজানোর। বহু মানুষ তাঁর এই প্রতিভাকে অনেকটাই পছন্দ করে থাকেন। কিছু দিন আগে নেট দুনিয়ায় প্রথম তাঁর একটি গান দারুণ ভাইরাল হয়েছে। বহু মানুষ তাঁর এই গানটি বেশ অনেকটাই পছন্দ করেছেন। আগামী দিনে এই প্রতিভাকে আরও অনেকটা দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি।”
আরও পড়ুন: দিনে দিনে সস্তা হচ্ছে বাংলাদেশের টাকা, জানেন ভারতের ১০০ টাকা মানে বাংলাদেশের কত?
শিল্পীর ভাই কৃষ্ণ বর্মন জানান, ” দাদা পেশাগতভাবে কৃষি কাজ করে। মাঝেমধ্যে রাজবংশী গানের দলেও কাজ করে। তবে তার এই প্রতিভা বহু মানুষ পছন্দ করে থাকে। বর্তমানে নেট দুনিয়ায় তাঁর যে গানটি বেশ ভাইরাল হয়েছে সেই গানটি তিনি প্রথম শুনেছিলেন রেডিওতে।”
আরও পড়ুন: শনিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার বিরাট বদল! বড় প্রভাব পড়বে পুজোর কেনাকাটায়
জেলার এই ব্যক্তি বর্তমান সময়ে নেট দুনিয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও বেশ অনেকটাই ভাইরাল হয়েছেন। নাক দিয়ে গিটারের সুর বাজিয়ে তিনি মন জয় করে চলেছেন বহু মানুষের। আগামী দিনেও তিনি এই কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।