হাওড়া: কৌশল জানা থাকলে হাজার হাজার টাকা বাঁচিয়ে নিজেই বনসাই বানিয়ে বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে পারেন সহজে। তবে জানতে হবে সঠিক নিয়ম। এই নিয়মে নতুন হাতে বানাতে পারেন বনসাই! আসলে এই বনসাই বড় গাছের আদলে ছোট্ট একটা গাছ, যে গাছ দেখলে মোটেও বোঝার উপায় থাকবে না আসলে এই গাছ বড় নয় এক্কেবারে ছোট।
বনসাই সহজেই যেকোনও মানুষের চোখকে আকৃষ্ট করে। বনসাই এর সৌন্দর্য সহজে চোখে ধরা পড়লেও, এই বনসাই তৈরি করা মোটেও সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন যত্নবান সঠিক জ্ঞান এবং ধৈর্য। বনসাই তৈরির জন্য প্রথমে করুন গাছ নির্বাচন। ৬ ইঞ্চি থেকে পাঁচ সাত ফুটের পর্যন্ত বনসাই হতে পারে। সাধারণ বট অশথ্ব পাকুর তেতুঁল বকুল আম জাম কাঁঠাল মূলত শক্ত কাণ্ডযুক্ত গাছ থেকেই বনসাই তৈরি করা সম্ভব।
বিভিন্ন ভাবে বনসাই তৈরি করা যেতে পারে। প্রথমত চারা গাছ তৈরি করে, আবার জঙ্গল থেকে বড় গাছ থেকে ডালপালা কেটে বনসাই তৈরি করা যেতে পারে। আবার অল্প সময়ে বনসাই তৈরি করতে হলে বাজার থেকে গাছ কিনে তার উপর বনসাই তৈরি করা যেতে পারে। উচ্চতার উপর নির্বাচন করে বনসাই এর নাম রয়েছে।
বিভিন্ন রকম বনসাই গাছের ক্ষেত্রে মাটি বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন সুন্দরী গাছের বনসাই হলে মাটি লবণাক্ত। আবার বটগাছ জাতীয় বনসাই হলে বালি মাটির প্রয়োজন। বনসাই শুরুতে দ্রুত বাড়াতে চাইলে টব বড় আকৃতির দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত বনসাই উৎপাদক পি কে হটিকালচার নার্সারির মালিক প্রণব মল্লিক জানান, বনসাই তৈরিতে মাসে একবার খাবার জরুরি। মোটেও রাসায়নিক সার দেওয়া যাবে না। বনসাই তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিদিন সময় না দিলেও চলে, নিয়মিত জল দেওয়ার পর ১৫ দিন বা মাস অন্তর পরিচর্চা করলেই যথেষ্ট। বনসাই তৈরির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে মাটি যাতে অম্ল না হয়ে যায়।
রাকেশ মাইতি