Tag Archives: bengali video

একটা ছবি হাজার শব্দের সমান। প্রচলিত এ কথা সকলের জানা। তার প্রমাণ সকলের কমবেশি পেয়ে থাকেন। কিন্তু একটি ভিডিও এক মুহূর্তে একজন মানুষের কাছে অনেক প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হয়। তাই ভিডিওর (Bengali Video) কোনও বিকল্প নেই।

বর্তমানে মানুষ ভীষণ ব্যস্ত। সকাল থেকে রাত তাঁকে ছুটতে হয় বিভিন্ন কাজে। ফলে ছুটির দিন বাদে সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে খবরের কাগজ পড়ার মানুষের সংখ্যা কমেছে। তার জায়গায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়া যায় যে খবর, অর্থাৎ ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মের খবরগুলি। নিউজ18 বাংলার ওয়েবসাইট সেই সময় ডিজিট্যাল মিডিয়াগুলির মধ্যে অন্যতম। যারা সকাল থেকে রাত, সপ্তাহের প্রতিটা দিন আপনাদের হাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সব খবর তুলে দেয় (Bengali Video)।

তবে খবরের মধ্যেও মানুষ কী ধরণের জিনিষ দেখতে পছন্দ করেন, তা বিশ্লেষন করলেই স্পষ্ট হচ্ছে ভিডিও (Bengali Video) দেখার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। খবরের সঙ্গে একটি ভিডিও জুড়ে দিলেই, সেই খবর পড়তে পছন্দ করছেন পাঠকেরা। তাই নিউজ18 বাংলার খবরের সঙ্গে এবং আলাদাভাবে উপভোক্তাদের কাছে ভিডিও পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই কোথায় কী ঘটছে? তা কলকাতা থেকে রাজ্য, দেশ হোক বা বিদেশ, খবর পড়তে এবং ভিডিও দেখতে চোখ রাখতেই হবে নিউজ18 বাংলায়।

Exceptional Artist: শিল্পীর এ কেমন নেশা! জানলে অবাক হবেন

হাওড়া: প্রায় এক ফুট লম্বা ফড়িং, ৮-১০ ইঞ্চির মাকড়সা, ইয়া বড় মৌমাছি, প্রজাপতি, মাছি আরও কত কী। এই শিল্পীর সৃষ্টি দেখলেই চোখ উঠবে কপালে। খুব সাধারণ ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে এই সমস্ত চমকে দেওয়া জিনিস তৈরি করেন শিল্পী গোবিন্দবাবু। তাঁর হাতের কাজ সকলকেই চমকে দেয়। এইভাবে সৃষ্টি যেন তাঁর নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এভাবেই কখনও ফুল, প্রজাপতি, ফুলদানি কীটপতঙ্গ, জীব-জন্তু, পাখি আরও কত শত ঘর সাজানোর জিনিস তৈরি করছেন গোবিন্দবাবু। এই কীটপতঙ্গ তৈরি করেন গাছের শুকনো পাতা, ফল ও বাতিল জিনিস দিয়ে। এই সমস্ত জিনিস ৮ থেকে ৮০ বয়সের মানুষ সকলকে বেশ আকর্ষণ করে। এভাবে সকলকে আনন্দ দেওয়াই গোবিন্দবাবুর নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: দার্জিলিঙের প্রবেশদ্বার রোহিনী কেমন আছে? মিলল ‘হাওয়া বদলের’ ইঙ্গিত

শিল্পের উপকরণ সংগ্রহের জন্য মাঝে মধ্যেই গোবিন্দবাবুকে দেখা যায় গাছ তলায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহ করতে। এই সমস্ত পড়ে থাকা জিনিস সংগ্রহ করতে দেখলেই মানুষের আগ্রহ বা কৌতুহল বেড়ে যায়। যারা জানেন তাঁরা বুঝতে পারেন আবার নতুন কিছু একটা সৃষ্টি হবে। শিল্পী নিজে জানিয়েছেন, এই সৃষ্টির নেশাতেই তিনি বাতিল ফেলে দেওয়া মামুলি জিনিসপত্র দিয়ে এইভাবে একের পর এক জিনিস তৈরি করে চলেছেন। এটা তাঁর কাছে নেশার মত হয়ে গিয়েছে।

রাকেশ মাইতি

Drinking Water Crisis: তৈরি হয়ে পড়ে আছে সুন্দর সুন্দর ওয়াটার রিজার্ভার, কিন্তু চালু হবে কবে?

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কথা ছিল লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ হবে জল জীবন মিশনের কাজ। সেই অনুযায়ী মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় সুন্দর সুন্দর ওয়াটার রিজার্ভার তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেগুলি তৈরি হয়ে পড়েই আছে। সেখান থেকে জল সরবরাহ শুরু হচ্ছে না। ফলে অসুবিধায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ না হ‌ওয়ায় রিজার্ভার তৈরি হয়ে গেলেও জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।এদিকে এই গরমে জলের স্তর নেমে যাওয়ায় একের পর এক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ফলতা, মথুরাপুর জল প্রকল্পের মাধ্যমেই বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ অনেকটাই বাকি। বিভিন্ন জায়গায় ওয়াটার রিজার্ভার, ট্যাঙ্ক সহ একাধিক অফিস তৈরি হয়ে পড়ে আছে। সেগুলিতে সুন্দর করে রং করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় গ্রীষ্মের দাবদাহে খাল, বিল, পুকুর শুকিয়ে ফুটিফাটা। জলস্তর নেমে যাওয়ায় একের পর এক নলকূপ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার নলকূপ থেকে ঘোলা জল বের হচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: কাজে যাওয়া হল না, বাড়ি থেকে বেরোতেই ডাম্পারের ধাক্কায় সব শেষ!

পুকুরে জল না থাকায় নলকূপের জলে স্নান, খাওয়া, দাওয়া করতে করতে হচ্ছে সকলকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন জল জীবন মিশনের পাইপলাইন বসানোর কাজ এখন‌ও চলছে। গরমের সময় অনেককে বাধ্য হয়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চেয়েছেন স্থানীয়রা। যদিও কবে এই সমস্যার সমাধান হবে তার স্পষ্ট উত্তর এখনও কারোর কাছে নেই।

নবাব মল্লিক

Massive Fire Incident: অভিষেক পুজো দিয়ে যাওয়ার পরের দিনই বড় কাছারিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ৭০ টি দোকান

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ শহরতলির নিকটবর্তী পরিচিত ধর্মীয় স্থান হল বড়কাছারি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মধ্যে পড়লেও জায়গাটি কলকাতা থেকে খুব একটা দূরে নয়। সেখানেই আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষতি হল। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বড়কাছারির ৭০ টি দোকান। এর ফলে বহু মানুষ রুটি রুজি হারিয়ে কার্যত পথে এসে বসেছেন।

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাখরাহাটের বড়কাছারি মন্দির সংলগ্ন এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। আগুন লাগার বিষয়টি টের পেয়ে আশেপাশের মানুষজন‌ই দমকলে খবর দেন। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে। কিন্তু আগুন লাগার কারণ নিয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

আর‌ও পড়ুন: ভোটকেন্দ্রেও থিমের ছোঁয়া! গোলাপি রঙে জমজমাট জেলার ৩০ টি বুথ

এদিকে এই মারাত্মক দুর্ঘটনার খবর শুনে বড় কাছারিতে ছুটে আসেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তথা পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল। তিনি জানান, কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলায় ক্ষতিপূরণের বিষয়ে এখন‌ই কোন ঘোষণা করা হয়নি।

উল্লেখ্য, বুধবার‌ই এই বড় কাছারিতে পুজো দিয়ে যান স্থানীয় সাংসদ তথা চলতি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু হারিয়ে বিপর্যস্ত ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যে চেয়েছেন।

নবাব মল্লিক

Malipur Kali Mandir: বিহারের মল্লেপুর কালী মন্দির এখন বাংলায়! দেখতে কোথায় যেতে হবে জানুন

উত্তর ২৪ পরগনা: বিহারের মল্লেপুর কালী মন্দিরের আদলে এবার মন্দির বসিরহাটে। জামুই জেলার মল্লেপুর কালী মন্দির বেশ বিখ্যাত। এই মন্দিরের টানে অনেক পর্যটক বিভিন্ন রাজ্য থেকে ছুটে যান। বিশেষ করে উৎসবের সময় ভক্তদের ব্যাপক ভিড় হয় এখানে। মন্দিরটি সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্বও বহন করে।

বসিরহাট শহরে এবার বিহারের মল্লেপুর কালী মন্দিরের আদলে কালী মন্দির গড়ে উঠল। চাইলে এই মন্দির ঘুরে যেতে পারেন যে কোনও দিন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট শহরের শশ্মান কালী মন্দিরটি সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে নতুন রূপ। বসিরহাট শহরের ইছামতীর তীরে নতুনরূপে সাজিয়ে তোলা ৭০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই মন্দির দেখে যেন এক টুকরো বিহারের মল্লেপুরের স্বাদ পাওয়া যাবে।

আর‌ও পড়ুন: গরমে হঠাৎ কমেছে ইটের দাম, বাড়ি তৈরি করলে এই সুযোগ

উল্লেখ্য বসিরহাট শহরের পাশে গড়ে ওঠা প্রচীন এই কালী মন্দিরের ভগ্নাদশায় ছিল। মাঝে মধ্যে জোয়ারের জলে জল ঢুকে যেত মন্দিরে। কয়েক বছর আগে মন্দির কমিটির কয়েকজন বিহারের মল্লেপুরের মন্দিরে বেড়াতে গিয়ে শশ্মান মন্দিরটি নতুনভাবে তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। দেখতে বিহারের মল্লেপুর মন্দিরের মত হলেও আকারে অত বড় নয়। স্থানীয় মানুষ নিত্য পুজো দেওয়া থেকে শুরু করে ভোগ সবই হয় এখানে। সব মিলিয়ে বসিরহাট শহরে গড়ে ওঠা এই বিহারের মন্দিরের আদলে গড়ে ওঠা মন্দিরে ভক্তদের সমাগমও বাড়ছে নিয়মিত।

জুলফিকার মোল্লা

Brick Price Downfall: গরমে হঠাৎ কমেছে ইটের দাম, বাড়ি তৈরি করলে এই সুযোগ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গরমে হঠাৎই ইটের দাম নিম্নমুখী। ১০ টাকা থেকে কমে ৯ টাকা, আবার কিছু জায়গায় আরো কমে ৮ টাকাতেও মিলছে ইট। প্রবল গরমে অনেক ইটভাটাতে কাজ বন্ধ। যেখানে কাজ হচ্ছে সেখানেও সকাল ৯ টা-১০ টার পর কাজ বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। আবার বিকেলের পর কিছু জায়গায় ঘণ্টাখানেকের জন্য কাজ করছেন শ্রমিকরা।

এদিকে গরম পড়তেই ইটভাটায় শ্রমিকের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তার উপর সামনেই রয়েছে ঝড়-বৃষ্টির মরশুম। এমন অবস্থায় ভাটার মালিকরা অসুবিধায় পড়েছেন। বর্ষার আগে কাজ শেষ করতে না পারলে অনেক ইট নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা। ফলে অনেকে কাঁচা ইট চাপা দিয়ে রেখেছেন। তার উপর যে সমস্ত ইট পোড়ানো হয়েছে সেগুলিও দ্রুত বিক্রি করে দিতে হবে। বর্ষার আগে এই কাজ শেষ করতে না পারলে একাধিক সমস্যা হবে‌। ফলে দাম কমিয়ে ইট ছেড়ে দিতে চাইছেন ভাটা মালিকরা।

আর‌ও পড়ুন: ট্রেন ফেরানোর দাবিতে গরম উপেক্ষা করে মিছিল

এদিকে দাম কমালেও ইটের তেমন চাহিদা নেই। ইমারত দ্রব্যের ব্যবসায়ী বা সাধারণ মানুষ সেভাবে ইট কিনছে না। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দ্রুত অবস্থা না বদলালে চলতি বছর তাঁদের বিরাট লোকসানের মুখে পড়তে হতে পারে।

নবাব মল্লিক

Ram Navami 2024: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাম নবমীর শোভাযাত্রা বাংলায়! ইসলামপুরে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম

উত্তর দিনাজপুর: দেশের মধ্যে রামনবমীর দ্বিতীয় বৃহত্তম শোভাযাত্রা বের হল বাংলার ইসলামপুরে। এখানকার স্টেটফ্রাম কলোনির মাঠ থেকে এই শোভাযাত্রা বের হয়। প্রতিবারের মত এবারও এই শোভাযাত্রায় কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল। আগত ভক্তদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।

অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের পর রামনবমী উপলক্ষে এই মহা মিছিলে অতীতের থেকেও বেশি জনসমাগম হয়েছিল বলে আয়োজকদের দাবি। স্টেটফ্রাম কলোনি থেকে শুরু হয়ে এই শোভাযাত্রা শেষ হয় ইসলামপুরের সুভাষ নগর জুনিয়র হাইস্কুলের মাঠে। এই শোভাযাত্রায় শিশুদের রাম-সীতার বেশে সাজানো হয়।

আর‌ও পড়ুন: এখানকার রাম নীল নয়, সবুজ! ৩০০ বছরের পুরনো বাংলার এই পুজো

এদিকে রামনবমীকে কেন্দ্র করে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মত। কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকেই পুলিশের টহলদারি ছিল জেলাজুড়ে। এদিন রামনবমীর মিছিলে হাজির ছিলেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পাল। এদিকে রামনবমীর শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার আগে গো মাতা ও ভগবান রামের পুজো করা হয়। এই শোভাযাত্রায় উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার থেকেও অনেকে এসে যোগ দিয়েছিলেন।

পিয়া গুপ্তা

Gambhira Festival: দুই বোনের সে কী ঝগড়া! গম্ভীরা উৎসবেই শুধু এক হন চামুন্ডা ও বুড়াকালী

মালদহ: পাশাপাশি দুই পাড়ায় রয়েছে চামুন্ডা ও বুড়াকালি। স্থানীয়দের কাছে তাঁরা দুই বোন হিসাবেই পরিচিত। দুই বোন হলেও তাঁদের মধ্যে নাকি তুমুল ঝগড়া। শুধুমাত্র গম্ভীরা উৎসবেই নাকি তাঁদের দেখাহয়। এই বিশ্বাসেই আজও পুরাতন মালদহের গম্ভীরা উৎসবে চামুন্ডা ও বুড়াকালির নৃত্য দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন।

বহুদিন ধরে চলে আসা নিয়ম মেনে পুরাতন মালদহে পালিত হয়ে আসছে গম্ভীরা উৎসব। মালদহের প্রাচীন লোকউৎসব এই গম্ভীরা। বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় এই গম্ভীরা উৎসব। গম্ভীরা উপলক্ষে পুরাতন মালদহের প্রতিটি মানুষ বাড়ি ফিরে আসেন এই সময়। গম্ভীরা উৎসবের মূল আকর্ষণ মুখা নাচের। বিভিন্ন দেব-দেবী সেজে, মুখোশ পরে নৃত্য করা হয় গম্ভীরা উৎসব উপলক্ষে। সেগুলির মধ্যে বিখ্যাত চামুন্ডা নৃত্য, বুড়াবুড়ি, পরীনৃত্য এছাড়াও বিভিন্ন রকম নাচ করা হয় গম্ভীরা উৎসব উপলক্ষে।

আর‌ও পড়ুন: ছাদ বাগানে এই পদ্ধতিতে লঙ্কা গাছ লাগালে প্রচুর ফলন, আর বাজার থেকে কিনতে হবে না

স্থানীয় বাসিন্দা পঙ্কজ কুমার সরকার বলেন, এলাকায় প্রাচীন কাল থেকে গম্ভীরা উৎসব হয়ে আসছে। বাচামারি গম্ভীরা উৎসবের মূল আকর্ষণ চামুন্ডা ও বুড়াকালি দুই বোনের নৃত্য। কথিত আছে, পুরাতন মালদহের বাচামারি এলাকায় মহানন্দা নদীর ঘাট থেকে দেবী কালীর ভিন্ন ভিন্ন সাতটি মুখ ভেসে আসে। স্থানীয় মন্দিরের পুরোহিত সেগুলি নদীর ঘাট থেকে পান। তখনই দেখা যায় চামুণ্ডা আর বুড়িকালীর মুখ যতবার পাশাপাশি রাখা হচ্ছিল, ততবারই দুটি মুখ দূরে সরে যাচ্ছিল৷ অগত্যা দুটি মুখ দুই জায়গায় রাখা হয়৷

হরষিত সিংহ

Weavers Crisis: রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী মাঠে দিনমজুরি করে সংসার চালাচ্ছেন!

পূর্ব বর্ধমান: নদীর ধারের গ্রাম তামাঘাটা। এখানকার গ্রামবাসীরা কয়েকবছর আগেও সুখে শান্তিতে বসবাস করতেন। কিন্তু লকডাউনের পর পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে তাঁদের জীবন। একটা সময় এই গ্রামের প্রায় প্রত্যেকেই তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে ছিল তাঁতযন্ত্র। পরিবারের সকলে মিলে তাতে কাজ করে বেশ ভালভাবেই কাটাতেন জীবন। সেই সময় গ্রামে প্রবেশ করলেই শুধুই শোনা যেত তাঁত বোনার শব্দ। তবে বর্তমানে সেই সবকিছুই যেন স্মৃতির পাতায়। এখন আর এই গ্রামে শোনা যায় না সেই তাঁত বোনার শব্দ।

একসময় তামাঘাটার তাঁতের শাড়ি ব্র্যান্ড ছিল। কিন্তু করোনা পর্বের পর তাঁতের কাজ না থাকায় বাধ্য হয়ে পেশা বদলেছেন এই গ্রামের বহু বাসিন্দা। এই প্রসঙ্গে গ্রামের উত্তম পাল বলেন, গত ৪০ বছর ধরে তাঁতের কাজ হয়েছে। বর্তমানে তাঁত শিল্প কিছুই নেই, সব বেকার হয়ে গেছে। লকডাউনের পর থেকে শুরু হয়ে এখন আর তাঁতের কিছুই নেই। আগে গ্রামের প্রত্যেকটা বাড়িতে তাঁত ছিল। অনেকেই বেকার হয়ে বসে আছেন। তাঁত শিল্প আবার ফিরে এলে তবেই সমস্যার সমাধান হবে।

আর‌ও পড়ুন: রামনবমীর দিনই ভক্ত হনুমানকে স্মরণ, মঙ্গল কলস নিয়ে কয়েকশো মহিলার শোভাযাত্রা

একসময় এই তামাঘাটা গ্রামের তাঁতিদের জন্য তৈরি হয়েছিল সমবায় সমিতি, তৈরি হয়েছিল ক্লাস্টার প্রজেক্ট। সমবায় সমিতির সাহায্যে এক ছাদের নিচে বসে শাড়ি বুনতেন প্রায় কয়েকশো তাঁত শিল্পী। এখনও এই সমিতি গ্রামে আছে। কিন্তু বর্তমানে এই সমিতির অবস্থা দেখলে চমকে যাবেন। চিত্রটা আগের তুলনায় অনেকটা বদলে গিয়েছে। যে সমিতি একটা সময় তাঁতিদের ভিড়ে গম গম করত, সেখানে আজ বাসা বেঁধেছে পায়রার দল। মাকড়সার ঝুল এবং ধুলোতে ঢেকে গেছে তাঁত তৈরির যন্ত্রগুলো। এই প্রসঙ্গে সমিতির দায়িত্বে থাকা বাদল চন্দ্র কুন্ডু বলেন, আমাদের এই সমিতিতে আগে প্রত্যেক মাসে আড়াই থেকে তিন হাজার শাড়ির অর্ডার আসত। কিন্তু এখন আর কেউ শাড়ি নিচ্ছে না।

এমনিতেই ভাঙনের কারণে একাধিকবার বাসস্থান বদলাতে হয়েছে গ্রামবাসীদের। তবুও গ্রামবাসীরা থেমে থাকেননি। তাঁত শিল্পকে আঁকড়ে ধরে জীবনযাপন করছিলেন সকলেই। তবে এখন আর নেই সেই তাঁত শিল্প। তাঁত নেই, শিল্প নেই , কাজও নেই। তাই বাধ্য হয়ে সংসার চালানোর জন্য ভিন রাজ্যেও পাড়ি দিতে হয়েছে গ্রামের বহু বাসিন্দাকে। আর বাড়িতে বাড়িতে যে তাঁতযন্ত্র ছিল সেগুলোকে কেউ রেখে দিয়েছেন, আবার কেউ বিক্রি করে সেখান থেকে পাওয়া যত সামান্য অর্থ সংসারে খরচ করে ফেলেছেন। গ্রামের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত তাঁতশিল্পীকেও এখন মাঠে কাজ করে সংসার চালাতে হয়!

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Hanuman Puja: রামনবমীর দিনই ভক্ত হনুমানকে স্মরণ, মঙ্গল কলস নিয়ে কয়েকশো মহিলার শোভাযাত্রা

পশ্চিম বর্ধমান: সকাল সকাল বাজারের ব্যস্ত রাস্তায় মহিলাদের শোভাযাত্রা। মঙ্গল কলস নিয়ে শোভাযাত্রা কয়েকশো মহিলার। তবে এই বিশাল আয়োজন রামনবমী উপলক্ষে নয়। এই আয়োজন হনুমান মন্দিরের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকি উপলক্ষে। কয়েকশো মহিলার মঙ্গল কলস শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে হনুমান মন্দিরের পুজোর এই বিশাল আয়োজন চলে আসছে গত ২৫ বছর ধরে।

পাড়াগড় বাজারে রয়েছে বহু পুরানো একটি হনুমান মন্দির। যদিও এই হনুমান মন্দিরটি আগে ছিল ছোট্ট একটি চালা ঘরে। তবে পরে তৈরি করা হয় বিশাল একটি মন্দির। আর তারপর থেকেই এখানে বার্ষিক পুজো উপলক্ষে করা হয় বিশাল জাঁকজমক। মহিলাদের মঙ্গল কলস শোভাযাত্রা তারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আর‌ও পড়ুন: প্রার্থীদের কাছে মথুরাপুরের মানুষের দাবি একটাই, আর কিচ্ছু চান না তাঁরা

মন্দির কমিটির সদস্য তথা এই মন্দিরের এক সেবায়েত উমেশ মিশ্র বলছেন, এই মন্দিরের কিছু ভক্তদের উদ্যোগে এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়। হনুমান মন্দিরের বার্ষিক পুজো পানাগড় এলাকার সবথেকে বড় উৎসবগুলির মধ্যে একটি। এই অনুষ্ঠানে এলাকার সমস্ত মানুষজন অংশগ্রহণ করেন। মঙ্গল কলস শোভাযাত্রায় ছোট থেকে বড় বিভিন্ন বয়সের মহিলারা অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রার সময় হাজির হন কয়েক হাজার মানুষ। আবার দিনভর চলে পুজো-পাঠ।

জানা গিয়েছে, এবারও মঙ্গল কলস শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুজো শুরু হয়েছে। সারাদিন পুজো পাঠের পর রামনবমীর সন্ধেয় রয়েছে বিশেষ শোভাযাত্রা। রয়েছে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা। তাছাড়াও পুজোপাঠের কর্মসূচিতে রয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষের ভজন-কীর্তন। তাছাড়াও বিশেষ ভাণ্ডারার ব্যবস্থাও থাকছে এখানে। মন্দিরের বার্ষিক পুজো উপলক্ষে গোটা পানাগড় বাজার সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেজে উঠেছে মন্দির। হাজার হাজার ভক্ত অটুট বিশ্বাস নিয়ে হাজির হয়েছেন মন্দিরে।

নয়ন ঘোষ

Traffic Jam: ‌যন্ত্রণার অপর নাম রেলগেট! বীরপাড়ার মানুষ যেন নরকে থাকছে

আলিপুরদুয়ার: জেলার মধ্যে বীরপাড়া পরিচিত যানযটের শহর হিসাবে। বীরপাড়া দলগাঁও স্টেশনের রেল গেটের সমস্যা আজও যন্ত্রনা দেয় মানুষকে। গেটটি বন্ধ হলে দম বন্ধ হয়ে আসে এলাকাবাসীর। এমনকি এই যানযটে আটকে মৃত‍্যু হয়েছে অনেক মুমূর্ষু রোগীর।

এই রেলগেট বন্ধের ফলে সমস্যায় পড়েন অ‍্যাম্বুলেন্সের চালক, মুমূর্ষু রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। এই গেট বন্ধ হলে গেটের দুই পাশে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। সৃষ্টি হয় যানজটের। দীর্ঘক্ষণ রোদ কিংবা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হয় সাধারণ মানুষকে। যানযটের ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এদিকে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন না কেউ।

আর‌ও পড়ুন: প্রার্থীদের কাছে মথুরাপুরের মানুষের দাবি একটাই, আর কিচ্ছু চান না তাঁরা

এই পরিস্থিতিতে রেলগেট পড়ে গেলে যানজটের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বীরপাড়াবাসী চাইছে একটা নতুন ফ্লাইওভার হোক। যদিও প্রতি নির্বাচনের আগেই এখানে ফ্লাইওভার তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু ভোট মিটে গেলে সে সবকিছুই আর দেখা যায় না বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। বীরপাড়া আলিপুরদুয়ার জেলার একটি বর্ধিষ্ণু এলাকা, ক্রমশই এখানকার জনসংখ্যা বাড়ছে। সেখানে এরকম লাগাতার যানজটের সমস্যা সকলকেই অবাক করেছে।

অনন্যা দে