পাহাড়ি গ্রামাঞ্চলে অনেক ধরনের ভেষজ গাছপালা পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদে এদের গুরুত্ব অনেক। এই ঔষধি গাছপালা দিয়ে অনেক ধরণের রোগের চিকিৎসা করা হয়। এর মধ্যে একটি হল অ্যাসপারাগাস। অ্যাসপারাগাস একটি বিরল জাতের উদ্ভিদ। হাজার হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। এই গাছের শিকড় অনেক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
অ্যাসপারাগাস উদ্ভিদ কেমন?
এটি অত্যন্ত বিরল ধরনের উদ্ভিদের বিভাগে পড়ে। তবে বাড়িতেও এই গাছ লাগানো সম্ভব। এ জন্য লাল দোআঁশ ও কালো মাটির প্রয়োজন হয়। এটি শুধুমাত্র একটি লতাগাছের আকারে বিকশিত হয়। এর লতাগুল্ম সাধারণত দৈর্ঘ্যে লম্বা এবং অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
অ্যাসপারাগাস এর ব্যবহার
বহু বছর ধরে আয়ুর্বেদে বিভিন্ন উপায়ে অ্যাসপারাগাস ব্যবহার হয়ে আসছে। এই উদ্ভিদ থেকে তৈরি ওষুধ ব্যবহার করার আগে, তাদের সঠিক পরিমাণ, পদ্ধতি এবং ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাসপারাগাস বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে, যেমন:
১. পাইলসের জন্য
২. অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করতে
৩. গর্ভবতী মহিলাদের জন্য
৪. মায়েদের স্তন্য দুগ্ধ বৃদ্ধিতে
৫. যৌন শক্তি বাড়াতে
৬. শ্বাসযন্ত্রের রোগে
৭. এছাড়া শারীরিক দুর্বলতা দূর করতেও এই ঔষধি বিশেষ কার্যকরী
এটি এক ধরনের আঁশযুক্ত সবজি। যা পেটের সমস্যাতেও সমান উপকারী। এছাড়াও আমাদের রক্তচাপ কমাতেও খুব সাহায্য করে। অনেক ডাক্তারই এই সবজিটিকে নিজেদের ডায়েটে যোগ করতে পরামর্শ দেন।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. কিষাণ লাল আমাদের জানিয়েছেন যে, অ্যাসপারাগাস গাছে সাদা ফুল ফোটে। এগুলি খুব সুন্দর এবং এর ভাল সুবাসও রয়েছে। এটি অনেক ধরনের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এখন আমাদের দেশেও অনেকে অ্যাসপারাগাস চাষ শুরু করেছেন। এই গাছের চাষ বা বাড়িতে এমনিও এটি লাগানো যেতে পারে। জুন-জুলাই মাসে বর্ষাকালে এই চারা রোপণ করা যায়। অ্যাসপারাগাস উদ্ভিদ প্রধানত হিমালয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। অ্যাসপারাগাসকে বাড়িতে ইন্ডোর প্লান্ট হিসেবে পাত্রেও লাগানো যায়।
বসিরহাট: বর্তমান সময়ে প্রেশার সুগার নিয়ে সমস্যা দিনের পরদিন বেড়েই চলেছে। জীবনে কুড়েকুড়ে খাচ্ছে আলস্য। আর সেই পথেই শরীরে বাসা বাঁধছে সুগার-প্রেশার-কোলেস্টেরল ও থাইরয়েড। কখন-ও কখন-ও একসঙ্গেই শরীরে বাসা বাঁধছে সবক’টি রোগ-ই। কাজেই রোগের ঘেরাটোপ থেকে পালানো মুশকিল হয়ে পড়ছে সকলেরই। তবে একটু সাবধনাতা মেনে চললে এড়াতে পারবেন এই সব সমস্যা, বলছেন চিকিৎসক ফারুক হোসেন।
প্রেশার, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিমিত ঘুম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস প্রয়োজন। মূলত ফ্রায়েড ফুড, ফাস্ট ফুড থেকে ঝুঁকি বাড়ছে। কর্মব্যস্ততায় এক্সারসাইজের সময় নেই। কিংবা সময় পেলেও করতে মন চায় না। ক্লান্তি, এসব থেকেই এমন ধরণের রোগগুলি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কোনও বয়স মানছে না। কার্বোবাইড্রেট বর্জন দরকার, ভাত খুব অল্প খাওয়ার পাশাপাশি, নিয়মিত ফল ও শাক-সবজি খাওয়া প্রয়োজন। আর যতটা সম্ভব হেঁটে চলা ফেরা করুন।
জুলফিকার মোল্যা