দক্ষিণ ২৪ পরগনা, লাইফস্টাইল Puja Special Resipe: চপ-কাটলেট-ফ্রাই-এর সঙ্গে মেয়োনিজ চাই-ই-চাই, কেনা নয়, মেয়োনিজ বানান বাড়িতেই, রইল রেসিপি Gallery July 30, 2024 Bangla Digital Desk পুজোয় অনেকেই প্যান্ডেল হপিং নয়, ঘরোয়া আড্ডা পছন্দ করেন। আর আড্ডা মানে সঙ্গে দেদার চপ-কাটলেট-ফ্রাই! সঙ্গে চাই মেয়োনিজ। বাজারচলতি নানা ব্র্যান্ডের মেয়োনিজ পাওয়া যায়। কিন্তু সে-সব আদৌ স্বাস্থ্যকর নয়! গাদাগাদা ফ্যাট-কোলেস্টেরল! কাজেই, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মেয়োনিজ। মেয়োনিজ তৈরি করতে লাগবে একটা ডিম, এক টেবিলচামচ সর্ষেগুঁড়ো, এক টেবিলচামচ হোয়াইট ভিনিগার, পরিমাণমত নুন, তেল, এক চা-চামচ লেবুর রস। প্রথমে ফুড প্রসেসরে ২ চা-চামচ তেল, ডিম, সর্ষেগুঁড়ো, ভিনিগার ও নুন দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ৩০ সেকেন্ড পর মিশ্রণটায় হালকা হলদেটে রং ধরলে ব্লেন্ডার চালু অবস্থাতেই খুব ধীরে তেল মেশাতে হবে। মিশ্রণের হলদেটে রং কমে আসলে ব্লেন্ডার চালু থাকা অবস্থাতেই লেবুর রস মিশিয়ে আরও ১৫-২০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মেয়োনিজ। তবে মেয়োনিজ সবসময় খাওয়া উচিৎ নয়। এ’নিয়ে পুষ্টিবিদ দেবারতি ঘোষ জানান, মেয়োনিজ ওজন বাড়ায়, এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও উপকারী নয়। মেয়োনিজ শরীরে অস্বাস্থ্যকর চর্বি জমাতে পারে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। মেয়োনিজের অত্যধিক ব্যবহার শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, হার্টের জন্য-ও ভাল নয়।
কালিম্পং, লাইফস্টাইল Weekend Trip: হোমস্টের বিছানায় বসেই বরফঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন, হাতে গরম গরম মোমো-কফি! কালিম্পংয়ের এই গ্রাম ঘুরে নিন পুজোর ছুটিতে Gallery July 30, 2024 Bangla Digital Desk *প্রকৃতির কোলে মজা উপভোগ করতে হলে ছুটে যেতেই হবে পাহাড়ি এই গ্রামে। কোলাহলপূর্ন জীবন থেকে একটু বিরতি নিতে হলে যেতে হবে কালিম্পংয়ের এই পাহাড়ি গ্রাম চারখোলে। *চারখোল মানে চারদিক দিয়ে খোলা। এখানে প্রকৃতি যেন আপনার হাতের মুঠোয়। শুধু আপনার যে কোনও দিকে হাতটা বাড়ানোর অপেক্ষা, প্রকৃতি যেন গদগদ হয়ে উঠবে আপনার হাতের স্পর্শে। এ এক অদ্ভুত ভালবাসা। *শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ৭২ কিলোমিটার দুরে সুন্দর মনোরম পাহাড়ি গ্রামের মধ্যে অনবদ্য সুন্দর, পরিষ্কার ও নতুন ভাবে সাজিয়েছে প্রকৃতি। পরিবার ও বন্ধুবান্ধদের সঙ্গে নিয়ে উপভোগ করুন ছুটি। *নিজেদের পছন্দমতো খাবার অর্ডারের ব্যবস্থাও আছে, প্রয়োজন মতো পনির, দেশি মুরগির মাংস, খাসির মাংস ও পেয়ে যাবেন। তিন’চারদিন সময় কাটানোর জন্য অসাধারণ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় বয়স্ক নাগরিকদের জন্য বিষয়টা একদমই কষ্টকর নয় বরং উপভোগ্য। খাবারের সঙ্গে রাতে থাকছে বারবিকিউ ও ক্যাম্প ফায়ারের ব্যবস্থাও। *এনজেপি রেল স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কালিঝোড়া হয়ে সামথার ফরেস্ট পেরিয়েই পৌঁছে যাবেন চারখোল। রাস্তা বেশ সুন্দর। সময় লাগে মাত্র ২ ঘণ্টার মতো। কালিম্পং বাজার থেকে শেয়ার গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। এনজেপি থেকে রিজার্ভ গাড়ি করলে খরচ হবে ৩৫০০ টাকা। *চারখোলে রয়েছে অনক হোম স্টে। বেশিরভাগই ডিলাক্স রুম। মাথাপিছু খরচ হবে ১২০০ টাকা, সঙ্গে প্রতিদিন খাওয়াদাওয়া নিয়ে। একটা ঘরে সর্বনিম্ন তিন জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সকালে চা, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ইভিনিং স্ন্যাকস্ আর ডিনার পাবেন এই টাকার মধ্যেই। *চারখোলে ট্রেকের পথে অজস্র ভিউ পয়েন্ট এবং বার্ডস ওয়াচিং পয়েন্ট ফটোগ্রাফারদের জন্য আদর্শ। এই অফবিট পরিবেশে বিভিন্ন রঙের প্রজাপতিও নজর কাড়বে।
লাইফস্টাইল Mustard Seeds vs Poppy Seeds: বাঙাল রান্নাঘরের সরষে নাকি ঘটিবাড়ির পোস্ত? বর্ষায় কোনটা খেলে কমবে ওজন, গাঁটের ব্যথা? সুস্থ হার্ট? জানুন এখনই Gallery July 30, 2024 Bangla Digital Desk সরষে এবং পোস্ত-দু’টোই বাঙালি হেঁশেলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ৷ রোজকার রান্না থেকে ভূরিভোজ, এই দুই উপকরণ ছাড়া গতি নেই৷ স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও ভান্ডার এই দুই মশলা৷ কিন্তু কোনটা বেশি উপকারী? কোনটায় স্বাস্থ্যগুণ বেশি? বাঙালবাড়ির সরষে নাকি ঘটি রান্নাঘরের পোস্ত? জানুন কোন উপকরণে সারবে কোন অসুখ৷ বলছেন পুষ্টিবিদ রুজুতা দ্বিবেকর৷ সরষেদানায় আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি ও অ্যান্টি ক্যানসার উপাদান৷ এছাড়াও আছে গ্লুকোসাইনোলেটস এবং আইসোথিয়োসায়ানেটস৷ সরষেদানায় আছে হজমে উপকারী উপকরণ এবং মেটাবলিক গুণ৷ ফলে বদহজম সংক্রান্ত সব সমস্যা দূর হয়৷ পোস্তদানায় আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম৷ তাই হাড়ের রোগ দূরে থাকে৷ এর ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল রাখে হার্ট৷ অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি অর্থাৎ আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত নিয়ন্ত্রণ করতে খেতে হবে সরষেদানা৷ মেটাবলিক বেনেফিট বা মেদ ঝরিয়ে ওজন কমানোর জন্য ভরসা রাখতে হবে সরষেদানায়৷ হাড়ের অসুখ এবং হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখবে পোস্তদানা৷
পশ্চিম বর্ধমান, লাইফস্টাইল Puja Special Recipe: ইলিশ কিংবা পনির নয়, এবার পুজোর ভোজে বানিয়ে ফেলুন অন্য স্বাদের পটলের পাতুরি Gallery July 29, 2024 Bangla Digital Desk ভাজা হোক কিংবা দোলমা, বাঙালি মানেই পটল-প্রেমী! আর রোজকার আলু পটলের ঝোল বা ডালনা তো আছেই! কিন্তু পুজোর দুপুরে স্বাদ বদলাতে বানিয়ে ফেলুন একেবারে অন্যরকমপটলের পাতুরি। সবাই হাত চেটে খাবে। পুজোয় অনকেই বাড়ির খাবার পছন্দ করেন। কাজেই ষষ্টী বা সপ্তমীর দুপুরে বানিয়ে ফেলুন সর্ষে পোস্তয় মাখোমাখো পটলের পাতুরি।রেসিপি দিয়েছেন আসানসোলের একটি বাঙালি রেস্তোরাঁর অন্যতম শেফ বর্ণালী দেবনাথ পটলের পাতুরি বানাতে পটলের পাশাপাশি লাগবে সর্ষে পোস্ত বাটা, নারকেল কোড়া, টক দই, কলা পাতা, সর্ষের তেল, নুন, হলুদ এবং কাঁচালঙ্কা । পটলগুলি লম্বালম্বি করে দু’ভাগে কেটে, নুন-হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। অন্য একটি পাত্রে সর্ষে পোস্ত বাটা, নারকেল কোড়া, টক দই, কাঁচালঙ্কা, স্বাদমতো নুন এবং সর্ষের তেল ভালভাবে মিশিয়ে নিন। ওই মিশ্রণের সঙ্গে পটলগুলি মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর কলা পাতায় দুটি করে পটল রেখে, সেটিকে ভালভাবে মুড়ে সুতো দিয়ে বেঁধে নিন। এবার ঢাকা দিয়ে কম আঁচে পনেরো মিনিট রান্না করতে হবে। পনেরো মিনিট পরে ঢকা খুলে একটা প্লেটের সাহায্যে সাবধানে উল্টে নিতে হবে। আবার সাত আট মিনিট মত কম আঁচে রান্না করতে হবে।
লাইফস্টাইল Skin Care Tips: শিল্পার মতো চকচকে ত্বক চান? এই পানীয়তে ঘি মিশিয়ে খান! জানুন ডাক্তারের পরামর্শ Gallery July 29, 2024 Bangla Digital Desk সকালে ঘুম থেকে উঠেই কফির কাপে চুমুক। আহ। মুহূর্তে শরীর চাঙ্গা। অনেকে আবার কফির সঙ্গে সামান্য ঘি মিশিয়ে নেন। হ্যাঁ, এর অনেক উপকারিতা। ঘি-কফির যুগলবন্দীই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিনেত্রী রকুলপ্রীত এবং শিল্পা শেঠির ঘি মিশিয়ে কফি পান করেন। তাঁদের মতে, এতে ত্বক হয় ঝকঝকে। অভিনেত্রীর কপি পানের তেমনই টোটকা ভিডিওই এখন সোশ্যাল মিডিয়া ঘুরছে। এভাবে কফি খেলে কী কী উপকার হয়? ঘি মিশিয়ে কফি পানের উপকারিতা: সফদরজংয়ের চিকিৎসক টিনা কৌশিক লোকাল 18-কে বলেন, ঘি মেশানো কফি দুর্দান্ত পানীয়। ঘি স্বাস্থ্যকর চর্বির ভাল উৎস। যা হজমশক্তি বাড়ায়, পাশাপাশি শরীরকে শক্তি সরবরাহ করে। অন্য দিকে, কফিতে রয়েছে ক্যাফিন। এটা শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই মনে করেন, বেশি ঘি খেলে ওজন বেড়ে যায়। তবে এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বরং নিয়মিত ঘি সেবনে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনটাই বললেন চিকিৎসক টিনা কৌশিক। ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ নিউট্রিশিয়নের একটি গবেষণাতেও দেখা গিয়েছে, ঘি-তে ফ্যাট থাকার কারণে দীর্ঘসময় পেট ভর্তি থাকে। অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা থাকে না। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। হজমেও সহায়ক: কফিতে ঘি মিশিয়ে খেলে হজমশক্তি বাড়ে। অন্যান্য খাবার হজমেও সাহায্য করে এই পানীয়। আরও উপকারিতা রয়েছে। অঙ্গের ফোলাভাব কমায়। অন্ত্রকে শক্তিশালী রাখে। তাছাড়া এই পানীয় হরমোন উৎপাদনেও ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে মেজাজ থাকে তরতাজা। চিকিৎসক টিনা কৌশিক বলেন, ঘি মেশানো কফি শিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল গলিয়ে দেয়। ফলে হার্ট ভাল থাকে। যারা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য এই পানীয় উপকারী। ঘি মেশানো কফি কাদের জন্য বিপজ্জনক: ঘি মেশানো কফি সবার জন্যই উপকারী। নিয়মিত পান করলে কিছু না কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা মিলবেই। তবে চিকিৎসক টিনা কৌশিকের মতে, যাঁদের কোনও রোগে ভুগছেন বা কোনও স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁদের ঘি মেশানো কফি খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
লাইফস্টাইল Weight Loss: দুটো ছোট্টো দানা! রোজ সকালে ভুলবেন না খেতে! হু হু করে কমবে কেজি কেজি ওজন! সুগারও থাকবে ঠিকঠাক! Gallery July 29, 2024 Bangla Digital Desk এলাচ ভারতীয় মশলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুগন্ধি স্বাদের জন্য পরিচিত, এটি এমন একটি মশলা যা শুধুমাত্র আপনার খাবারের স্বাদই বাড়ায় না কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী। পুষ্টিবিদ তামান্না মাক্কর জানান, নিয়মিত খালি পেটে প্রতিদিন দুটি এলাচ খাওয়া খুবই উপকারী। শরীরের অনেক উপকার করে। NCBI রিপোর্ট অনুযায়ী, এলাচের মধ্যে রয়েছে ফাইবার যা দীর্ঘ সময় পেট ভরে রাখে, যা আপনার খিদে কমায়। এছাড়াও, এলাচ বিপাক বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে, যা ক্যালোরি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখুনএলাচ হজমকারী এনজাইমের নিঃসরণকে উৎসাহিত করে, যা খাবারের মসৃণ হজম করতে সাহায্য করে। খালি পেটে এলাচ খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং গ্যাসের মতো হজমের সমস্যা দূর করতে সহায়ক প্রমাণিত হতে পারে। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পেট ফোলা কমাতেও সহায়ক। দুর্গন্ধ দূর করুননিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ একটি সাধারণ সমস্যা, যার সমাধান হতে পারে এলাচ। এলাচের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে একটি এলাচ চিবিয়ে খেলে আপনার নিঃশ্বাস সতেজতায় ভরে যাবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানএলাচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত এলাচ খাওয়া আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকেকিছু গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে এলাচ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। তবে এটি ডায়াবেটিসের ওষুধের বিকল্প নয়। আপনি যদি ডায়াবেটিক রোগী হন তবে এলাচ খাওয়ার আগে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ত্বকের জন্য উপকারীএলাচের মধ্যে রয়েছে ভাল পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি, যা ত্বককে কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি ত্বককে শক্ত করে এবং বলিরেখা কমায়। এ ছাড়া এলাচের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকের প্রদাহ কমাতেও সহায়ক।
লাইফস্টাইল White Hair: কুচকুচে কালো হবে ‘সাদা’ চুল…! ঘরোয়া ‘ছোট্ট’ জিনিস কমিয়ে দেবে বয়স, বদলে দেবে লুক, ‘দুই’ মোক্ষম ‘দাওয়াই’ করবে কামাল Gallery July 29, 2024 Bangla Digital Desk অসময়ে চুল সাদা হয়ে যাওয়া আজ প্রায় কম বেশি প্রত্যেকেরই সমস্যা। আর এই সমস্যার চটজলদি সমাধান হিসেবে বেশিরভাগ মানুষই ছোটেন বিউটি পার্লারে। সাদা চুল কালো করতে সাধারণত নানা ধরনের কেমিক্যাল ভিত্তিক ট্রিটমেন্টের সাহায্য নিয়ে থাকেন অনেকেই। কিন্তু তার জেরে নষ্ট হতে পারে চুলের স্বাস্থ্য। রাসায়নিক যুক্ত চুলের রং ব্যবহার চুলের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাকৃতিক ও নিরাপদ পদ্ধতি খুঁজে বের করাই ভাল। তার মধ্যে একটি হল কফি এবং মেহেন্দি ব্যবহার করা। বিখ্যাত বিউটিশিয়ান নভ্যা সিং বলেন, এই দুটি জিনিসের সাহায্যে কোনও ক্ষতিকর রাসায়নিক ছাড়াই চুল কালো করা যায়। কফি ব্যবহার:কফিতে রয়েছে প্রাকৃতিক রং যা চুল কালো করতে সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ক্যাফেইন এবং অন্যান্য যৌগগুলি চুলকে গভীরভাবে পুষ্ট করে এবং তাদের গঠন মজবুত করে। তবে লাগালেই হল না। সঠিক নিয়ম মেনেই লাগাতে হবে এই উপাদান। তবে চুলে কফি ব্যবহার করতে আপনার কিছু উপাদান লাগবে। যা যা লাগবে:– টাটকা তৈরি কফি: কফির রঙ গাঢ় পেতে টাটকা কফি থাকা জরুরি।– কন্ডিশনার: চুল অনুযায়ী কন্ডিশনার বেছে নিন। ব্যবহারের পদ্ধতি-প্রথমে কফি ভাল করে ফুটিয়ে ঠান্ডা হতে দিন।-এবার একটি পাত্রে কফি এবং কন্ডিশনার মিশিয়ে নিন। -এই মিশ্রণটি চুলে সমানভাবে লাগান।– ১ থেকে ২ ঘণ্টা রেখে তারপর হালকা গরম জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। মেহেন্দি ব্যবহার:মেহেন্দি একটি প্রাকৃতিক ভেষজ যা বহু শতাব্দী ধরে চুল রঙ করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি চুলকে গভীরভাবে রঙ করে এবং চুলকে আরও নরম এবং চকচকে করে তোলে। মেহেন্দি ব্যবহার করতে আপনার কিছু উপাদান লাগবে:-মেহেন্দি পাউডার: আজকাল এই উপাদান বাজারে সহজে পাওয়া যায়, তবে পাতা শুকিয়ে বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন এটি। -লবঙ্গ পাউডার: এটি চুলকে গাঢ় রং দিতে সাহায্য করে।-লেবুর রস: এটি রঙে স্থায়িত্ব দেয়। ব্যবহারের পদ্ধতি– একটি পাত্রে মেহেন্দি গুঁড়ো, লবঙ্গ গুঁড়ো এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিন। সারারাত রেখে দিন।– পরের দিন এই মিশ্রণটি চুলে লাগান।– ২৩ ঘণ্টা রেখে তারপর স্বাভাবিক জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। কফি এবং মেহেন্দি এক সঙ্গে ব্যবহার করুন:কফি এবং মেহেন্দির মিশ্রণ ব্যবহার করে আপনি চুলে গাঢ় এবং আরও বেশি স্থিতিশীল রঙ দিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে নীচের পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করতে হবে। – একটি পাত্রে মেহেন্দি গুঁড়ো এবং কফি মিশিয়ে নিন। এছাড়াও এতে লবঙ্গ গুঁড়ো এবং লেবুর রস মেশান।-এই মিশ্রণটি সারারাত রেখে দিন -পরের দিন এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে দিন।– সবশেষে স্বাভাবিক জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
পশ্চিম মেদিনীপুর, লাইফস্টাইল Skin Care Tips: ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সিদ্ধহস্ত এই সহজলভ্য সবজি! ‘গ্লাস স্কিন’ পেতে খান ও মুখে মাখুন Gallery July 28, 2024 Bangla Digital Desk খেতে সবাই পছন্দ করেন। তবে জানেন কি সবুজ এই সবজির গুণ? ত্বকের জন্য যা উপকারে লাগে জানলে অবাক হবেন। ত্বক থাকবে চকচকে, থাকবে না কোনও ট্যান। এক কথায় ত্বকের উজ্জ্বলতা আপনার পরিচিতি বাড়িয়ে তুলবে। বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হওয়া ত্বকের জ্বালা, প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয় শশা। খাওয়া হলেও ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে উপকারী। শশা ত্বকের তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলত ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রোদে ঘুরে ঘুরে ত্বকের সান ট্যান হওয়ার পর শশা দিলে কালো দাগ দূর হয়। এটি ত্বকের টোন উজ্জ্বল করে এবং কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। বিউটিশিয়ান সঙ্গীতা শাসমল বলেন, ভিটামিন সি শশার একটি বিশিষ্ট উপাদান। শশায় রয়েছে ফলিক অ্যাসিড। এই দুটি উপাদান অকাল বার্ধক্য রোধ করে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, লাইফস্টাইল Weight Loss with Glowing Skin: হাতের মুঠোয় ঝকঝকে ত্বক, ছিপছিপে চেহারা! নিয়মিত খান এই ঘরোয়া সবজি এবং ফল Gallery July 27, 2024 Bangla Digital Desk আজকাল অনেকেই খাদ্যতালিকায় ফাইবারযুক্ত খাবার রাখতে বলেন। কিন্তু কি এই ফাইবারযুক্ত খাবার, সে বিষয়ে আমাদের জানিয়েছেন, পুষ্টিবিদ অরবিন্দা স্ব। আপেল, শুকনো ফল, কলা, মটরশুঁটি, কুমড়ো, পালং শাক, বাদাম হল ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এককথায় আঁশযুক্ত খাবার হল ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। এই ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে হজমের গন্ডগোল দূর হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ক্ষুধা লাগে না। এই খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে করে। শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল বাড়িয়ে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার জাতীয় খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। রক্তের দূষিত বিভিন্ন উপাদান শোষণ করে নেয় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ফলে ত্বক থাকে উজ্জ্বল ও সুন্দর।
উত্তরবঙ্গ, জলপাইগুড়ি, লাইফস্টাইল Hilsa Offbeat Recipes: সরষেবাটা, ভাপা তো অনেক খেলেন, এ বার সহজেই রাঁধুন ইলিশের কোরমা ও পোলাও! রইল চটজলদি রেসিপি Gallery July 25, 2024 Bangla Digital Desk বাজারে গেলেই এখন ইলিশের ছড়াছড়ি। মাছে ভাতে বাঙালি ইলিশ দেখলে অন্যমাছের দিকে খানিক কমই ঝোঁকেন! ইলিশ ভাপে কিংবা কালোজিরে-কাচা লঙ্কার পাতলা ঝোল তো অনেক খেয়েছেন এবার একটু “অন্যরকম ইলিশ”-এর বাহারি পদ রেঁধে চেখে দেখুন । কীভাবে বানাবেন, কী কী পদ হতে পারে বিস্তারিত জানুন। মুখি কচুতে ইলিশ: ইলিশ মাছগুলোকে লবণ হলুদ লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে মেখে হালকা ভেজে নিতে হবে। এরপর সেই তেলে কচুর ছড়া দিয়ে অন্যান্য মশলা দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে তাতে জল দিয়ে ফুটিয়ে মাছ গুলো দিয়ে খানিকক্ষণ রান্না করে নিলেই রেডি মুখি কচু ইলিশ ঝোল। লেবু ইলিশ: মাছের সঙ্গে হলুদ, লবণ, লঙ্কাগুঁড়ো কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর কড়াইয়ে তেলের মধ্যে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে হালকা নেড়ে একে একে আদা বাটা ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে ইলিশ মাছের টুকরোগুলো দিতে হবে। এরপর পরিমাণমতো জল দিয়ে ফুটিয়ে কাঁচা লঙ্কা ও সামান্য লেবুর রস ছড়িয়ে দিয়ে ২-৩ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিলেই সুস্বাদু লেবু ইলিশ তৈরি। ইলিশের কোরমা: মাছের সব টুকরোগুলো বাটা মশলা, লঙ্কার গুঁড়ো, টকদই ও লবণ দিয়ে ভালভাবে মেখে ঘণ্টাখানেক ম্যারিনেট করতে হবে। কড়াইয়ে তেল, ঘি গরম করে মিহি করা পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো ইলিশ মাছ, এলাচ, দারচিনি ও তেজপাতা দিয়ে ১০ মিনিট কষার পর তেল উপরে ভেসে উঠলে চিনি ও কিশমিশ দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করলেই তৈরি সুস্বাদু ইলিশ কোরমা। ইলিশ পোলাও: মাছের টুকরোগুলোতে আদা, রসুন, লবণ ও দই মেখে ম্যারিনেট করে কড়াইয়ে তেল গরম করে দারচিনি, এলাচ দিয়ে নেড়ে বাটা পেঁয়াজ দিয়ে মসলা কষিয়ে মাছ দিয়ে কম আঁচে ঢেকে রান্না করে নিন। এবার, অন্য পাত্রে মাছের মশলা দিয়ে চাল কিছুক্ষণ ভেজে পরিমাণ মত জল ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে পোলাও বানিয়ে নিন। এবার একটি বড় পাত্রে পোলাওয়ের ওপর মাছ বিছিয়ে বাকি পোলাও দিয়ে বেরেস্তা দিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখলেই রেডি ইলিশ পোলাও।