পুরুলিয়া:গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পরবগুলির মধ্যে অন্যতম রোহিনী উৎসব। এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে বীজ বপণের কাজ শুরু হয়। গোটা জঙ্গলমহলজুড়ে এই উৎসব পালিত হয়। জেলা পুরুলিয়াতে দেখা গিয়েছে এই রোহিনী উৎসব পালিত হতে। পুরুলিয়া জেলা সহ সারা জঙ্গলমহলে এই দিনটি কৃষক পরিবারগুলির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত জৈষ্ঠ মাসে এই উৎসব পালিত হয়ে থাকে। এই উৎসবটিকে বীজ পুনাহ্য বলা হয়ে থাকে।
লাল মাটির জেলা পুরুলিয়ার কৃষিকাজ নির্ভরশীল বর্ষার উপর। বর্ষার আগমনের উপর হিসাব করেই এই জেলায় আমন ধানের চাষ হয়। তাই রোহিনী উৎসবের মধ্যে দিয়ে সেই চাষের কাজের সূচনা হয়। এই উৎসবের জন্য শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে ক্ষেত থেকে নিয়ে আসা হয় রোহিনী মাটি। যা সারা বছর ধরে পুজো পার্বণে ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই দিন শস্য ক্ষেতে প্রথাগত পুজো ছেড়ে বীজ বপন করেন।
এই বিষয়ে কৃষকরা জানান কৃষি কাজের জন্য কৃষকেরা এই উৎসব পালন করে থাকেন। এই পরব মূলত কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল মানুষরাই করে থাকেন। এই দিন মা মনসার আরাধনা করা হয়। এই উৎসবে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে ভীষণই শুভ বলে মনে করা হয়। জঙ্গলমহলের কৃষকদের কাছে অন্যতম উৎসব রোহিনী উৎসব। বর্ষায় কৃষি কাজের সূচনা হয় এই উৎসবের মধ্যে দিয়ে। তাই জেলা পুরুলিয়ার কৃষকেরাও মহা আনন্দের সঙ্গে এই উৎসব পালন করে থাকেন।
উত্তর দিনাজপুর: আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই জামাইষষ্ঠী। তবে এই দিন শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার আগে জামাইরা একটু হলেও বেশ চিন্তিত থাকেন। কারণ শ্বশুরবাড়িতে তো আর খালি হাতে যাওয়া যায় না। ফলে শাশুড়িকে উপহার দেওয়ার একটা বিষয় থেকেই যায়। কিন্তু কী উপহার দেবেন শত চিন্তা করেও অনেকেই সেটা বুঝে উঠতে পারেন না।
এবার জামাই ষষ্ঠীতে শাশুড়ির জন্য কী উপহার নিয়ে যাবেন তার দুর্দান্ত সমাধান এসে গিয়েছে। আজকের দিনেহাতে সময় কম। এদিকে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শাশুড়িদের সাজসজ্জাতেও পরিবর্তন এসেছে। তাই এই সময় শাশুড়ির জন্য উপহার হিসেবে বেছে নিতে পারেন ইউনিক জুয়েলারি সেট। শাড়ি কিংবা সালোয়ারের সঙ্গে দিতে পারেন নতুনত্বের এই টেরাকোটার জুয়েলারি।
সময় বদলেছে। শাশুড়িরা এখন রীতিমতো আধুনিক ও স্টাইলিশ জিনিসপত্র পরেন। শুধু শাড়িতেই সীমাবদ্ধ থাকেন না বর্তমানের শাশুড়িরা। কেউ পরেন সালোয়ার কামিজ, তো কেউ জিন্স। তাই উপহার হিসেবে শাশুড়ির জন্য আপনাকেও এমন জুয়েলারি বা গয়না বেছে নিতে হবে যা সমস্ত পোশাকের সঙ্গে মানানসই হয়। আর এইরকম একটি জুয়েলারির সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ হাট পাড়ারর টেরাকোটা শিল্পীরা।
টেরাকোটার শিল্পীদের হাতেই তৈরি হচ্ছে আধুনিক ডিজাইনের পোড়ামাটির গয়না। এই টেরাকোটার জুয়েলারি বেশ পকেট ফ্রেন্ডলি। ৫০ টাকা থেকে এর দাম শুরু। আপনি পেয়ে যাবেন বিভিন্ন ধরনের মাটির কারুকার্য করা রংবেরঙের এই জুয়েলারি। এই প্রসঙ্গে এলাকার এক টেরাকোটা শিল্পী জানান, সোনার দাম আকাশছোঁয়া। সেখানে এবারের জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ির উপহার হিসেবে জামাইদের কাছে মুশকিল আসান হতে পারে টেরাকোটার এই গয়না। অনেকেই এই গয়না কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।