Tag Archives: Jamai Sasthi

Jamai Sasthi Special Offer: মিষ্টিতেও কম্বো! তত্ত্বের মতো মিষ্টি সাজিয়ে দিন জামাইয়ের সামনে, জামাইষষ্ঠীর সেরা অফার

কোচবিহার: বাঙালির উৎসব কিংবা পুজোপার্বণ মানেই রকমারি মিষ্টির সম্ভার। তাইতো জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে ইতিমধ্যেই কোচবিহারের বাজারে বেশ কিছু আকর্ষণীয় মিষ্টি চলে এসেছে। তবে শুধু আকর্ষণীয় মিষ্টিই নয়। মিষ্টির পাশাপাশি নিয়ে আসা হয়েছে আকর্ষণীয় বিভিন্ন অফার। বর্তমান সময়ে ক্রেতারা আকর্ষণীয় জিনিসের চাইতে, অফার বেশি পছন্দ করে থাকেন। কোচবিহার এক প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানে নিয়ে আসা হয়েছে ‘মিষ্টির কম্বো অফার’। এই অফারের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ প্রকারের মিষ্টি একটি তত্ত্বের ট্রের মধ্যে সুন্দরভাবে সাজিয়ে দেওয়া হবে। তবে দাম থাকবে মাত্র আড়াইশো টাকা। ফলে সহজেই সাধ্যের মধ্যে এই জিনিস কিনতে পারবেন সকলে।

মিষ্টির দোকানের কর্ণধার শঙ্কর ঘোষ জানান, “বর্তমানে মানুষের মধ্যে আকর্ষণীয় মিষ্টির চাইতে আকর্ষণীয় অফার বেশি সাড়া ফেলে। তাইতো প্রতিযোগিতার বাজারে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন মিষ্টি আনার পাশাপাশি অফারও আনতে হচ্ছে। এবারের অফারটি জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে আগামী দিনেও অফারটিকে রাখা হবে। যে সমস্ত মানুষেরা স্বল্প মূল্যে ভালো মানের জিনিস উপহার দিতে চান। তাঁদের জন্য এই অফারটি একেবারেই যথাযথ। স্বল্প মূল্যে এই মিষ্টির কম্বো অফারেই জামাইয়েরা বাজিমাত করতে পারবেন শ্বশুরবাড়িতে। মোট ১৫ থেকে ১৬ প্রকারের মিষ্টি দেওয়া হবে এই মিষ্টির ট্রের মধ্যে। এবং মিষ্টির ট্রে সুন্দরভাবে সাজিয়ে দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুনJamai Sasthi 2024: ইলিশ নাকি পমফ্রেট! এবারে জামাইদের হট ফেভারিট কোন আইটেম? রইল মার্কেট তথ্য

দোকানের মিষ্টি প্রস্তুতকারি টুনু দাস জানান, “এবারের জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে দোকানে এক নতুন মিষ্টি নিয়ে আসা হয়েছে। যে মিষ্টির নাম ‘বাহুবলি মিষ্টি’। তবে নতুন মিষ্টির পাশাপাশি আকর্ষণীয় অফার সকলের নজর আকর্ষণ করতে শুরু করেছে। বহু মানুষ এসে অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন। জামাইষষ্ঠীর দিন সকাল থেকেই রীতিমতো তোরজোড় শুরু হয়ে যাবে দোকানের মধ্যে। সেদিন একেবারেই চাপের মাঝেই সকলকে মিষ্টি বিক্রি করতে হবে।” দোকানের এক গ্রাহক সুবোধ সরকার জানান, “ছোটবেলা থেকেই তাঁরা এই মিষ্টির দোকানের মিষ্টি খেয়েছেন। কোচবিহার জেলায় বেশ প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান এটি। তাই এই দোকানের আকর্ষণীয় অফার সকলেরই নজর আকর্ষণ করে। জামাইষষ্ঠীর দিনে বেশ নজরকা়ড়া ভিড় থাকবে এই দোকানে এটুকু নিশ্চিত।”

সদর শহরের এবং সংলগ্ন এলাকার বহু মানুষ ইতিমধ্যে এসে এই অফার সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন। আকর্ষণীয় এই অফারটি রীতিমতো সাড়া ফেলেছে কোচবিহারের মানুষের মধ্যে।

Sarthak Pandit

Jamai Sasthi 2024: ইলিশ নাকি পমফ্রেট! এবারে জামাইদের হট ফেভারিট কোন আইটেম? রইল মার্কেট তথ্য

রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী। জামাই বরণের আপ্যায়নে যাতে কোনও রকমের খামতি না থাকে, তার জন্য দুদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। তবে জামাইকে পাত সাজিয়ে খেতে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা চাপে পড়তে হচ্ছে শ্বশুরদের। কিন্তু এসবের মধ্যেই রয়েছে সুখবর। কারণ জামাইষষ্ঠীর মেনুতে নিশ্চিন্তে রাখতে পারেন ইলিশ অথবা পমফ্রেট। (নয়ন ঘোষ)
রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী। জামাই বরণের আপ্যায়নে যাতে কোনও রকমের খামতি না থাকে, তার জন্য দুদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। তবে জামাইকে পাত সাজিয়ে খেতে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা চাপে পড়তে হচ্ছে শ্বশুরদের। কিন্তু এসবের মধ্যেই রয়েছে সুখবর। কারণ জামাইষষ্ঠীর মেনুতে নিশ্চিন্তে রাখতে পারেন ইলিশ অথবা পমফ্রেট। (নয়ন ঘোষ)
জামাইষষ্ঠীতে ইলিশ, পমফ্রেট, ভেটকি, পাবদার মত মাছগুলির চাহিদা থাকে বেশি। দাম থাকে অনেকটা। ফলে অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও পিছিয়ে যান। কিন্তু এবছর সেই পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে, এমনটাই বলছেন বিক্রেতারা। কারণ বাজারে ইলিশ, ভেটকি বা পমফ্রেটের মত মাছগুলির দাম এখনও রয়েছে সাধারণের নাগালের মধ্যেই। ফলে জামাইবরণের অনুষ্ঠানের মেনুতে এইসব মাছের পদ রাখতেই পারেন।
জামাইষষ্ঠীতে ইলিশ, পমফ্রেট, ভেটকি, পাবদার মত মাছগুলির চাহিদা থাকে বেশি। দাম থাকে অনেকটা। ফলে অনেকেই ইচ্ছা থাকলেও পিছিয়ে যান। কিন্তু এবছর সেই পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে, এমনটাই বলছেন বিক্রেতারা। কারণ বাজারে ইলিশ, ভেটকি বা পমফ্রেটের মত মাছগুলির দাম এখনও রয়েছে সাধারণের নাগালের মধ্যেই। ফলে জামাইবরণের অনুষ্ঠানের মেনুতে এইসব মাছের পদ রাখতেই পারেন।
জেলার বাজারে যে সমস্ত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তার দাম রয়েছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। আবার ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। আর আরও ছোট যে সমস্ত ইলিশ বাজারে রয়েছে, সেগুলি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে পমফ্রেট, ভেটকির চাহিদাও রয়েছে বাজারে। ভাল মানের পমফ্রেট এবং ভেটকি মাছও ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
জেলার বাজারে যে সমস্ত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তার দাম রয়েছে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। আবার ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। আর আরও ছোট যে সমস্ত ইলিশ বাজারে রয়েছে, সেগুলি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে পমফ্রেট, ভেটকির চাহিদাও রয়েছে বাজারে। ভাল মানের পমফ্রেট এবং ভেটকি মাছও ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
জামাইষষ্ঠীর আগে যখন ফলের বাগান বাজারে আগুন, তখন মাছের বাজার বেশ খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত টাটকা ইলিশ সেই অর্থে বাজারে আসেনি। স্টোরের মাছ বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, জামাই ষষ্ঠীর দিনেও মাছের দাম খুব বেশি এদিক ওদিক হবে না।জামাইষষ্ঠীর আগে যখন ফলের বাগান বাজারে আগুন, তখন মাছের বাজার বেশ খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত টাটকা ইলিশ সেই অর্থে বাজারে আসেনি। স্টোরের মাছ বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, জামাই ষষ্ঠীর দিনেও মাছের দাম খুব বেশি এদিক ওদিক হবে না।
জামাইষষ্ঠীর আগে যখন ফলের বাগান বাজারে আগুন, তখন মাছের বাজার বেশ খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত টাটকা ইলিশ সেই অর্থে বাজারে আসেনি। স্টোরের মাছ বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, জামাই ষষ্ঠীর দিনেও মাছের দাম খুব বেশি এদিক ওদিক হবে না।
ইলিশ, পমফ্রেট বা অন্যান্য মাছের দামও প্রায় একই থাকবে। আবার বাজারে ইলিশের যোগান বাড়লে দাম আরও কিছুটা কমতেও পারে। স্বাভাবিকভাবেই জামাইষষ্ঠীর আগে যখন আম, লিচু কিনতে গিয়ে পকেটে চাপ পড়ছে তখন কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে মাছের বাজার।
ইলিশ, পমফ্রেট বা অন্যান্য মাছের দামও প্রায় একই থাকবে। আবার বাজারে ইলিশের যোগান বাড়লে দাম আরও কিছুটা কমতেও পারে। স্বাভাবিকভাবেই জামাইষষ্ঠীর আগে যখন আম, লিচু কিনতে গিয়ে পকেটে চাপ পড়ছে তখন কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে মাছের বাজার।

Jamai Sasthi 2024: জামাইদের পাতে আম দিতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে শ্বশুরদের

দক্ষিণ দিনাজপুর: রাত পোহালেই জামাই ষষ্ঠী। বুধবার সকাল থেকেই বাড়িতে বাড়িতে শুরু হয়ে যাবে জামাই আদর। কিন্তু তার আগে চিন্তা বাড়াচ্ছে জিনিসপত্রের বাজার দর। ফল থেকে সবজি, মাছ-মাংস সব কিছুরই দামে কার্যত আগুন লেগেছে। ফলে গরিব থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত প্রত্যেকেরই মাথায় হাত পড়ার জোগা।

শহুর জীবনে জামাই ষষ্ঠীর প্রাসঙ্গিকতা কিছুটা কমলেও গ্রামাঞ্চলে আজও বেশ বড় করে জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের এই দিনটিকে মূলত রসনাতৃপ্তির দিন হিসেবেই ধরা হয়। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে আম কিনতে গেলেই সাধারণ মধ্যবিত্তদের ছ্যাঁকা লাগছে। মাছ, মাংস তো দূরের কথা আকাশছোঁয়া ফলের রাজা আমের দাম। গত বছর আমের দাম ৩০-৪০ টাকা কিলো হলেও এবছর তা বেড়ে ৮০-১০০ টাকা কিলো দাঁড়িয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: ক্ষীরের জাম ও খেজুর পড়ুক জামাইয়ের শেষ পাতে!

যা কিনতে রীতিমত কালঘাম ছুটছে আমজনতার। ষষ্ঠী পুজোর বাজার করতে এসে শাক সব্জি, সাজ সরঞ্জাম তো আছেই, ফলের রাজা আম কিনতে হাত পুড়ছে বাঙালির। যার ফলে বাজার করতে এসে হতাশ মধ্যবিত্তরা। মূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সময়মতো বৃষ্টি হয়নি ও অতিরিক্ত গরমের কারণে এই মূল্য বৃদ্ধি। ঝড়ে আমের ক্ষতি হয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদ সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এবছর জেলার বাজারে সেভাবে আমের যোগান নেই। ফলস্বরূপ জামাইষষ্ঠীর বাজারে আমের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে জামাইষষ্ঠীর আগে প্রতি কেজি হিমসাগর আমের দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ল্যাংড়া আম বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। পাশাপাশি অন্যান্য আম বাজারে আসলেও দাম অনেকটাই বেশি। সাধারণ আম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। তাও আবার অন্যান্য বছরের মত স্বাদ নেই বললেই চলে। ফলে এবার আমের বাজার জামাই ষষ্ঠীতে আগুন থাকবেই।

সুস্মিতা গোস্বামী

Jamai Sasthi 2024: ক্ষীরের জাম ও খেজুর পড়ুক জামাইয়ের শেষ পাতে!

মুর্শিদাবাদ: জামাইষষ্ঠীতে ভুরিভোজ হয় সর্বত্রই। কিন্তু তার মধ্যে চমক না থাকলে চলে। চিরাচরিত পদের পাশাপাশি এবার ক্ষীরের জাম ও খেজুর পাতে তুলে দিয়ে চমকে দিন জামাইকে।

জাম ও খেজুর জামাইদের পাতে বরাবর‌ই থাকে। তবে এবার ক্ষীরের তৈরি জাম ও খেজুর তৈরি হচ্ছে। কান্দি শহরের এক প্রখ্যাত মিষ্টির দোকান এই ক্ষীরের জাম ও খেজুর তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছে। জামাইষষ্ঠীর আগে সেই বিশেষ মিষ্টি কিনতে উপচে পড়ছে শ্বশুর-শাশুড়িদের ভিড়।

আর‌ও পড়ুন: সিকিমে বিপর্যয়ের ধাক্কা, উত্তরের নদীতে ফের হড়পা বান, ডুবল ট্রাক্টর

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ তার মধ্যে অন্যতম হল জামাই ষষ্ঠী। আর জামাইষষ্ঠী মানে হরেক রকমমিষ্টির সম্ভার। জামাইষষ্ঠী বাংলা ও বাঙালির একটি প্রাচীন পার্বণ। জ্যৈষ্ঠ মাসের যে দিনটিতে জামাইষষ্ঠী, সে দিন আসলে মা ষষ্ঠীর পুজো। এটি আবার অরণ্য ষষ্ঠী নামেও প্রসিদ্ধ। মা ষষ্ঠী এই চরাচরের গৃহস্থ বাঙালির সন্তানদের আদর-যত্নে রক্ষা করে থাকেন, এমনটাই বিশ্বাস করে হিন্দু বাঙালিরা। জামাইষষ্ঠীতে মুলত জাম, আম, খেজুর দেওয়া হয় জামাইয়ের পাতে। কিন্তু সেই খেজুর ও জাম যদি হয় ক্ষীরের তৈরি, তাহলে তো আর কথাই নেই।

৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই বিশেষ ধরনের জাম ও খেজুর। যা জামাইষষ্ঠীতে শেষ পাতে মন ভরিয়ে দেবে আপনার জামাইয়ের। তাহলে আর দেরি কেন, আপনিও কিনে আনুন।

কৌশিক অধিকারী

Jamai Sasthi 2024 Market Price: ভাল ইলিশ কোথায়? মাছ-মাংস-ফল-সবজির আগুন দাম, কী খাওয়াবেন জামাইকে? জামাইষষ্ঠীর আগে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের কপালে

 বর্ধমান: রাত পোহালেই বুধবার জামাই ষষ্ঠী। কিন্তু জামাইয়ের পাতে কি দেবেন তা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই শ্বশুর শাশুড়িদের। ফলের দাম আকাশ ছোঁয়া। তেমন ইলিশের দেখা নেই। চিংড়ি, পমফ্রেটের দামও আকাশছোঁয়া। সব মিলিয়ে বর্ধমানে জামাই ষষ্ঠীর আগে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গৃহস্হের কপালে।

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। পয়লা বৈশাখ দিয়ে শুরু হয় পার্বন। এর পরই জামাইষষ্ঠী। এই দিনে জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় ফোঁটা দেন শাশুড়ি। সেই সুযোগে জামাইষষ্ঠীর দিনে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কবজি ডুবিয়ে ভুরিভোজ সারেন জামাইরা। তবে এবার যা গরম তাতে ভরপেট খাওয়া নিয়ে চিন্তায় জামাইরা।

আরও পড়ুন-  গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

আগুন দর ফলের বাজারেও। ভালো মানের আমের তেমন দেখা নেই। অন্য বছর এই সময় হিমসাগর আমের রমরমা চলে। দামও থাকে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই। কিন্তু এবার ফলন অনেকটাই কম হয়েছে। বর্ধমানের বাজারে সেভাবে দেখা নেই মালদার আমের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্যবার পূর্বস্থলী, হুগলির পোলবা দাদপুরের আম চাহিদা মেটাতো অনেকটাই। কিন্তু এবার স্থানীয় এই আমের যোগান কম। তাই বাইরের রাজ্যের আমের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। সেই আমের দামও বেশি আবার মানও খুব একটা ভালো নয়। এদিন বর্ধমানে হিমসাগর আম বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি একশো টাকায়।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

শশা পঞ্চাশ টাকা কেজি। আপেল দুশো টাকা কিলো। একশো গ্রাম জামের দাম পঞ্চাশ টাকা। ডালপালা সহ লিচু দেড়শো টাকা কেজি। সবজির দামও আকাশ ছোঁয়া। মাঝারি ফুলকপি চল্লিশ টাকা পিস। দেশি পটল ষাট টাকা কেজি। ঝিঙের  কেজি প্রতি দাম পঞ্চাশ টাকা। ভালো বেগুনেরও দাম তাই। বিক্রেতারা বলছেন, তীব্র দাবদাহে সবজির ফলন কমছে। চাহিদার তুলনায় যোগান অনেকটাই কম। সেই কারণেই দিন দিন সবজির দাম বাড়ছে।

জামাইয়ের পাতে পাঁঠার মাংস তো থাকবেই, সেই সঙ্গে চাই ইলিশও। কিন্তু বাজারে ভালো ইলিশের তেমন যোগান নেই। যা আছে তার বেশিরভাগই মায়ানমারের ইলিশ। তারও দাম আকাশছোঁয়া। সাত আটশো গ্রামের ইলিশের দাম দেড় হাজার টাকা কেজি। ভালো সাইজের পমফ্রেট ছশো সাতশো টাকা কেজি। গলদা চিংড়ির দামও তেমনটাই। কাটা কাতলা মাছ সাড়ে তিনশো টাকা কেজি। স্বাভাবিক ভাবেই সব জিনিসের অগ্নিমূল্য চিন্তায় ফেলেছে মধ্যবিত্তকে।

Jamai Sasthi 2024: বৌমারা কেন বাদ ‌যাবেন! হইহই করে ‘বৌমা ষষ্ঠী’ পালন! আয়োজন অবাক করবে!

জামাইষষ্ঠীর একদিন আগে বউমা ষষ্ঠীতে মাতল রায়গঞ্জবাসী! প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালন করা হয় জামাইষষ্ঠী। বিবাহিত মেয়ে ও জামাইদের বাড়িতে আমন্ত্রণ করে ওই বিশেষ দিনে খাওয়ানো ও উপহার তুলে দেওয়ার রীতি রয়েছে।জামাইদের মঙ্গল কামনা করে জামাইষষ্ঠীর প্রাচীন রীতির পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় চালু হয়েছে বউমা ষষ্ঠী। এক্ষেত্রে মেয়েদের অর্থাৎ বউমাদের মঙ্গল কামনা করে বউমা ষষ্ঠী করা হয়। জামাইষষ্ঠীর একদিন আগে পালন করা হল এই বিশেষ বউমা ষষ্ঠী। বাড়ির বৌমাদের নিয়ে ষষ্ঠীর আয়োজন করলেন রায়গঞ্জের কিছু শাশুড়ি ও বৌমারা।

Bouma Sasthi: বউমারা কেন বাদ যাবে, জামাইষষ্ঠীর একদিন আগে অন্য ‘ষষ্ঠী’!

উত্তর দিনাজপুর: জামাইষষ্ঠীর একদিন আগে বউমা ষষ্ঠীতে মাতল রায়গঞ্জবাসী! প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালন করা হয় জামাইষষ্ঠী। বিবাহিত মেয়ে ও জামাইদের বাড়িতে আমন্ত্রণ করে ওই বিশেষ দিনে খাওয়ানো ও উপহার তুলে দেওয়ার রীতি রয়েছে।

জামাইদের মঙ্গল কামনা করে জামাইষষ্ঠীর প্রাচীন রীতির পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় চালু হয়েছে বউমা ষষ্ঠী। এক্ষেত্রে মেয়েদের অর্থাৎ বউমাদের মঙ্গল কামনা করে বউমা ষষ্ঠী করা হয়। জামাইষষ্ঠীর একদিন আগে পালন করা হল এই বিশেষ বউমা ষষ্ঠী। বাড়ির বৌমাদের নিয়ে ষষ্ঠীর আয়োজন করলেন রায়গঞ্জের কিছু শাশুড়ি ও বৌমারা।

আর‌ও পড়ুন: বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী? ট্রেন্ডিং কোন পোশাক বাজার মাতাচ্ছে জানেন

মূলত সন্তানের বিশেষ করে পুত্র সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই জামাই ষষ্ঠী বা অরণ্যষষ্ঠী পালন করা হয়। যদিও প্রাচীন বাংলায় ষষ্ঠীতে মেয়েকে জামাই সহযোগে বাপের বাড়িতে নিয়ে এসে আদর আপ্যায়নের প্রথা থেকেই অরণ্যষষ্ঠীর জামাইষষ্ঠীতে রূপান্তর। কিন্তু এই প্রথায় কোথাও যেন মেয়েরা ব্রাত্য হয়ে থেকে যায়। এই কারণেই প্রথা ভেঙে বউমা ষষ্ঠীর আয়োজন করলেন রায়গঞ্জের একদল মহিলা। রায়গঞ্জের একটি রেস্তোরাঁয় জমায়েত হয়ে ষষ্ঠীর সমস্ত লোকাচার মেনে বরণ করা হল বাড়ির বৌদের।এদিন বউমাদের জন্য পাখার বাতাস দিয়ে মিষ্টি মুখ এমনকি কেক কাটা থেকে হরেকরকম পদের আয়োজন করা হয়েছিল। দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করছে এই বউমা ষষ্ঠী।

পিয়া গুপ্তা

Jamai Sasthi 2024: বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী? ট্রেন্ডিং কোন পোশাক বাজার মাতাচ্ছে জানেন

উত্তর দিনাজপুর: বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী। প্রথমবারের জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠানে নতুন জামাই কিংবা শাশুড়ির জন্য কী পোশাক নেবেন বুঝতে পারছেন না? জামাইয়ের জন্য কেমন পোষাক নেওয়া ভাল তা নিয়ে চিন্তা করতে করতেই অনেক শাশুড়ির গলদঘর্ম অবস্থা। তবে আর ভাববেন না, সেই চিন্তা দূর করব আমরা।

জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের পোশাক বাছাই করা নিয়ে শুধু শাশুড়িদের চিন্তায় পড়তে হয় তা নয়, জামাইরা শাশুড়িদের কী উপহার তানিয়া চিন্তায় পড়ে যান অনেকে। তবে এবারের জামাইষষ্ঠীর আগে বাজারে এসেছে নতুন ট্রেন্ডিং পোশাক। উত্তর দিনাজপুরের বিখ্যাত কাপড় বিক্রেতা সুভাষচন্দ্র রায় জানান, জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের পোশাক বাছাই করার আগে আভিজাত্যের কথা যেমন মাথায় রাখতে হবে তেমনই এই গরমে আরামের দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। তাই জামাইষষ্ঠীতে পাঞ্জাবির থেকে ট্র্যাডিশনাল কিছু হতে পারে না। তাই জামাইকে দেওয়ার জন্য শাশুড়িরা বেছে নিতে পারেন পাঞ্জাবি। এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ট্রেন্ডিং হল চিকেন কারির পাঞ্জাবি।

আর‌ও পড়ুন: প্লাস্টিকের রমরমায় অবলুপ্তির পথে হুগলির বেত শিল্প

এছাড়াও এই গরমে পাঞ্জাবি পরতে না চাইলে সুতির কুর্তা কিংবা বোম্বে ফ্যাশনেবল টি-শার্ট ছাড়াও সিল্ক ও প্রিন্টের উপরে বিভিন্ন ধরনের শার্ট’ও রয়েছে। তবে শুধু তো জামাই বরণে নয়, শাশুড়িদের জন্য উপহারেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ির কালেকশন। এর মধ্যে সবথেকে বেশি ট্রেন্ডিং হল মলমল শাড়ি, ঢাকাই শাড়ি। এছাড়া সিল্ক, লিনেন, জামদানি সহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ির কালেকশন রয়েছে। ৭০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের কালেকশন পেয়ে যাবেন।

জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে জামাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসে টুলটুলি বৈশ্য জানান, জামাইয়ের জন্য শুধু পাঞ্জাবি নিলে হবে না, সাথে প্যান্ট-শার্ট নিতে হবে। জামাই বরণ এবং জামাইষষ্ঠীর উপহারে আলাদা আলাদা পোশাক কিনতে হচ্ছে।

পিয়া গুপ্তা

Jamai Sasthi Mango Price: মাথায় হাত…! রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী, এদিকে আমের দাম আকাশছোঁয়া… কোন আম কত দাম?

রাত পোহালে জামাইষষ্ঠী। জামাইষষ্ঠী শুধু জামাইকে বসিয়ে, আদর-যত্নে নানা পদ খাওয়ানো নয়, এর পিছনে রয়েছে অনেক নিয়মকানুন৷ বিভিন্ন আাচর পালনের মাধ্যমে হয় জামাইষষ্ঠী৷
রাত পোহালে জামাইষষ্ঠী। জামাইষষ্ঠী শুধু জামাইকে বসিয়ে, আদর-যত্নে নানা পদ খাওয়ানো নয়, এর পিছনে রয়েছে অনেক নিয়মকানুন৷ বিভিন্ন আাচর পালনের মাধ্যমে হয় জামাইষষ্ঠী৷
১২ জুন, বুধবার পড়েছে এ বছরের এবছর জামাইষষ্ঠীর সূচি৷ ১১ জুন সন্ধ্যা ৫.৫৮  মিনিট থেকে ১২ জুন রাত ৭.২৪ মিনিট পর্যন্ত থাকবে ষষ্ঠী পুজোর সময়।
১২ জুন, বুধবার পড়েছে এ বছরের এবছর জামাইষষ্ঠীর সূচি৷ ১১ জুন সন্ধ্যা ৫.৫৮  মিনিট থেকে ১২ জুন রাত ৭.২৪ মিনিট পর্যন্ত থাকবে ষষ্ঠী পুজোর সময়।
জামাইষষ্ঠীর দিন স্নান সেরে ঘটস্থাপন করেন শাশুড়িমায়েরা। ঘটে থাকে সিঁদুর লাগানো আম্রপল্লব। এই ষষ্ঠী করমচা ছাড়া অসম্পূর্ণ।
জামাইষষ্ঠীর দিন স্নান সেরে ঘটস্থাপন করেন শাশুড়িমায়েরা। ঘটে থাকে সিঁদুর লাগানো আম্রপল্লব। এই ষষ্ঠী করমচা ছাড়া অসম্পূর্ণ।
জামাইষষ্ঠীতে যে উপকরণগুলি প্রয়োজন হয় তা হল তালপাতার পাখা, দুর্বা, ধান, করম চা, ফুল, বেলপাতা, আম পল্লব, হলুদ দিয়ে রাঙানো সুতো ইত্যাদি।
জামাইষষ্ঠীতে যে উপকরণগুলি প্রয়োজন হয় তা হল তালপাতার পাখা, দুর্বা, ধান, করম চা, ফুল, বেলপাতা, আম পল্লব, হলুদ দিয়ে রাঙানো সুতো ইত্যাদি।
জামাইষষ্ঠী মানে তো আম, লিচু লাগবেই। কিন্তু সোম-মঙ্গলবারের বাজার দেখে তো রীতিমতো ভিরমি খাচ্ছেন মধ্যবিত্তরা।
জামাইষষ্ঠী মানে তো আম, লিচু লাগবেই। কিন্তু সোম-মঙ্গলবারের বাজার দেখে তো রীতিমতো ভিরমি খাচ্ছেন মধ্যবিত্তরা।
জলপাইগুড়িতে হিমসাগর আম এলেও তার চাহিদা তেমনভাবে নেই। বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
জলপাইগুড়িতে হিমসাগর আম এলেও তার চাহিদা তেমনভাবে নেই। বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, কোনও বছর আমের জোগান বেশি থাকে, আবার কোনও বছর থাকে কম। এ বছর আমের জোগান অনেকটাই কম। কারণ আমের ফলন কম হয়েছে। তাছাড়া গরমের কারণে আমের মুকুল ঝরে গিয়েছে। যার ফলে বাংলা জুড়ে আমের ফলন কম হয়েছে। কম হয়েছে অন্যান্য রাজ্য। যে কারণে ভাটা পড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, কোনও বছর আমের জোগান বেশি থাকে, আবার কোনও বছর থাকে কম। এ বছর আমের জোগান অনেকটাই কম। কারণ আমের ফলন কম হয়েছে। তাছাড়া গরমের কারণে আমের মুকুল ঝরে গিয়েছে। যার ফলে বাংলা জুড়ে আমের ফলন কম হয়েছে। কম হয়েছে অন্যান্য রাজ্য। যে কারণে ভাটা পড়েছে।
একইভাবে দাম বেশি রয়েছে লিচুরও। তাছাড়াও লিচুর জোগান সামনের সপ্তাহ থেকেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের মধ্যে। যে কারণে লিচুর দাম জামাইষষ্ঠীর আগে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
একইভাবে দাম বেশি রয়েছে লিচুরও। তাছাড়াও লিচুর জোগান সামনের সপ্তাহ থেকেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের মধ্যে। যে কারণে লিচুর দাম জামাইষষ্ঠীর আগে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
ইলিশ নিয়েও বিপদে পড়েছেন মানুষ। পঞ্জিকা মতে এবছর জামাইষষ্ঠী পড়েছে ১২ জুন। এদিকে ১৪ জুন পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত কোনও ট্রলার ইলিশের সন্ধানে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিতে পারেনি। সেই কারণে  এবছর জামাইষষ্ঠীতে পাওয়া যাবে না বাংলার টাটকা ইলিশ।
ইলিশ নিয়েও বিপদে পড়েছেন মানুষ। পঞ্জিকা মতে এবছর জামাইষষ্ঠী পড়েছে ১২ জুন। এদিকে ১৪ জুন পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত কোনও ট্রলার ইলিশের সন্ধানে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিতে পারেনি। সেই কারণে এবছর জামাইষষ্ঠীতে পাওয়া যাবে না বাংলার টাটকা ইলিশ।

Jamai Sasthi 2024: জামাইষষ্ঠী এলেই আশায় বুক বাঁধেন ওঁরা

দক্ষিণ দিনাজপুর: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে বাঁশ দিয়ে তৈরি ডালি কুলোর দাম আজও প্রায় একই জায়গায় রয়েছে। বালুরঘাট শহর লাগোয়া ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়শ্রী এলাকার বহু মাহালি সম্প্রদায় মানুষ আজ‌ও পূর্বপুরুষদের এই কাজকে ধরে রেখেছেন। তবে জামাইষষ্ঠীতে বাঁশের ডালি, কুলোর দাম না থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিজয়শ্রী গ্রামের বাসিন্দারা। এই এলাকার বাসিন্দারা বাঁশের ডালি, কুলো বানিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সারা বছর ধরেই তাঁরা ডালি, কুলো তৈরি করেন। উৎসব অনুষ্ঠানগুলোতে তাঁদের দিন-রাত কাজ করতে হয় বেশি বিক্রির আশায়।

এই বিষয়ে বাঁশের তৈরি শিল্প বিক্রেতারা জানান, এক একটি বাঁশ ৭০- ৯০ টাকায় কিনতে হয়‌। তা দিয়ে সকাল থেকেই বাঁশ কাটা, বেতি তোলা আর সেই বেতি দিয়ে ডালি কুলো তৈরির কাজ করতে হয়। জামাইষষ্ঠীর বাজারে একেকটি ডালির দাম ২০ টাকা থেকে ৮০ টাকা অবধি। তবে অত্যাধুনিক জিনিসের ভিড়ে সেই মূল্যটুকুও তাঁরা পান না বলে অনুযোগ করেন।

আর‌ও পড়ুন: জল সমস্যার প্রভাবে অস্থির ওঁরা, বন্ধ রোজগার

এই গ্রামে প্রায় অর্ধ-শতাধিক পরিবার এই শিল্পের উপর প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। বাঁশ দিয়ে তৈরি খই চালা, ডোল খাঁচা, খাটি ডালি, টুকরি ডালি, ঝুড়ি সহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করেই চলে তাঁদের জীবন সংসার। প্রকৃতপক্ষে বাঁশ-বেতের স্থান অনেকটাই প্লাস্টিক সামগ্রী দখল করে নিয়েছে। আর তাই জামাইষষ্ঠীর সময় কিছুটা হলেও বিক্রির আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা।

সুস্মিতা গোস্বামী