Category Archives: কোচবিহার

Shital Pati: কোচবিহারের শীতলপাটি মিলবে এবার এক ক্লিকেই! সরকারি উদ্যোগে খুশির হাওয়া

কোচবিহার: দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহারের শীতলপাটি প্রসিদ্ধ সর্বত্র। তীব্র গরমে এয়ার কন্ডিশনার, এয়ার কুলার কিংবা ফ্যান ছাড়াও মুহূর্তে স্বস্তি দিতে পারে এই শীতলপাটি। তবে কোচবিহারের শীতলপাটি এতদিন পাওয়া যেত জেলার গ্রামীণ হাট গুলিতে। তবে এবার এই পাটি পাওয়া যাবে সরকারি নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে। ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশনের অধীনে এই গোটা বিষয়টি বাস্তবায়িত করা হচ্ছে। রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার ঐতিহ্যবাহী জিনিসের নাম জানতে চাওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সেখানেই কোচবিহারের শীতলপাটিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। আর এই সুখবরে রীতিমত খুশির হাওয়া বইছে সকলের মধ্যে।

কোচবিহার জেলা গ্রাম উন্নয়ন সেলের আধিকারিক সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘জেলার প্রসিদ্ধ শীতলপাটি এবার এক ক্লিকে মিলবে পৃথিবীর যেকোনও প্রান্ত থেকে। এজন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। অনলাইন মার্কেটিংয়ের এই যুগে হস্তশিল্পীদের সামগ্রী বাজারজাত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একশো দিনের মধ্যে সমস্তটা সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই প্রকল্পের নাম, ‘হান্ড্রেড ডেজ ইনিশিয়েটিভ ফর মার্কেটিং’ রাখা হয়েছে। এই প্রকল্পে বিভিন্ন জেলার প্রসিদ্ধ ঐতিহ্যবাহী জিনিস অনলাইনে কেনা যাবে নির্দিষ্ট সরকারি অ্যাপের মাধ্যমে। সরকারি ভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে কোচবিহারের ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার।”

আরও পড়ুন: বলতে পারবেন, পৃথিবীর কোন প্রাণী ডিম ও দুধ দুটোই দেয়? অবাক হচ্ছেন! উত্তর জেনে কিন্তু আঁতকে উঠবেন

তিনি আরও জানান, “জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাটি শিল্পীদের থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রথমে শীতলপাটি কিনবেন। তারপর সেগুলির দাম ঠিক করে সরকারের অ্যাপে যাবতীয় তথ্য সহ আপলোড করা হবে। সেখান থেকে দেশ-বিদেশের যেকোনও প্রান্তের মানুষ কিনতে পারবেন এটি। তবে পুরোটা সুপারভাইজ করা হবে জেলার গ্রাম উন্নয়ন সেলের মাধ্যমে।”
জেলার কয়েকজন পাটি শিল্পী প্রতিমা দে, সুভাষিণী দে এবং ভবেশ চন্দ জানান, “এখন আনলাইনের যুগে সবকিছুই নাকি অনলাইনে পাওয়া যায়। তাই হাতে তৈরি পাটিও যদি এভাবে সবাই অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায় তবে ভাল হবে। তবে তাঁরা ঠিকঠাক দামও পাবেন।”

এভাবে কোচবিহার জেলায় তৈরি শীতলপাটি পৃথিবীর সব প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে সহজেই। শিল্পীদেরও আয় হবে বেশি এবং শিল্পীরা ভালো দাম পাবেন সহজেই। তাই রাজ্য সরকারের এই নতুন উদ্যোগ দারুণ কার্যকর হবে বলেই মনে করছেন জেলার অধিকাংশ শীতলপাটি শিল্পীরা।

—- Sarthak Pandit

Sawan 2024: বিষ্ণুপুরে না হয়েও এই মন্দিরে দেখা যায় টেরাকোটা শিল্প! শ্রাবণ মাস এলেই উপচে পড়ে ভিড়

কোচবিহার: জেলা শহরের আরেকটি বেশ পুরনো মন্দির হল ধলুয়াবাড়ির শিব মন্দির। এই মন্দির কোচবিহারের রাজার আমলে স্থাপন করা হয়েছিল। এখানে পুজো করা হয় শিবলিঙ্গ এবং নারায়ণ। এই মন্দির প্রাচীন স্থাপত্য নির্মাণ শৈলীতে তৈরি করা। এই মন্দিরের গায়ে বিষ্ণুপুর ঘরানার টেরাকোটার শিল্প দেখতে পাওয়া যায়। এখানে প্রবেশের গেটের সামনে রয়েছে দুটি নন্দীর মূর্তি, যা মহাদেবের বাহন রূপে পরিচিত। আর ঠিক মন্দিরের পাশেই রয়েছে প্রাচীন কালের একটি পাতকুয়ো। যদিও বর্তমানে এই কুয়োকে সংস্কার করে সুন্দর করা হয়েছে।

কোচবিহারের এই প্রাচীন মন্দিরের পুজো কমিটির সম্পাদক শ্যামল দাস জানান, বছরের অন্যান্য সময়ে এই মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা কম থাকলেও শ্রাবণ মাসে ভক্তদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এই সময় সকাল থেকে মন্দিরে ভক্তদের আনাগোনা শুরু হয়। দূর দূরান্ত থেকেও বহু পর্যটক আসেন এই মন্দির দর্শনে। মূল মন্দিরের পাশেই দর্শনার্থীদের জন্য বসার জায়গা রয়েছে। পুজো দিয়ে দর্শনার্থীদের বসার জন্য বিশ্রাম ঘরও বানানো হয়েছে মন্দির চত্বরে। এই মন্দিরের পরিবেশ যেকোন‌ও পর্যটকের মনকে খুব সহজেই আকর্ষণ করে। তাই প্রতিদিন বহু মানুষ এই মন্দিরে ভিড় জমান পুজোর সময়।

আর‌ও পড়ুন: বাইকে তারাপীঠে এসেছিল বিহারের পাঁচ বন্ধু, ফেরার পথে সব শেষ!

মন্দিরের এক ভক্ত স্বপ্না দাস জানান, শ্রাবণ মাসে এই মন্দিরে ভক্তদের সংখ্যা লক্ষাধিক হয়ে যায়। সকাল থেকে বহু মানুষ আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। স্থানীয় বাসিন্দা সুচিস্মিতা দত্ত শর্মা জানান, এই মন্দির জেলার পর্যটনে অন্তত গুরুত্বপূর্ণ। জেলার বুকে আর কোনোও মন্দিরে এই ধরনের টেরাকোটা শিল্প দেখতে পাওয়া যায় না। তাই তো এই মন্দিরের আকর্ষণে দূর দূরান্তের বহু পর্যটক ছুটে আসেন। তবে এই মন্দিরের সংস্কারের দরকার। দ্রুত সেই সমস্ত কাজ করা হলে মন্দিরটি আরও সুন্দর হয়ে উঠবে।

বর্তমান সময়ে জেলার এই বিশেষ মন্দিরকে ঘিরে বাইরের পর্যটকদের আকর্ষণ চোখে পড়ার মত। সারা বছর পর্যটকেরা কমবেশি আসতেই থাকেন এই মন্দির দর্শনে। তবে শ্রাবণ মাসে এই সংখ্যাটা বেড়ে যায় অনেকটাই। রাজ আমলের সুপ্রাচীন এই মন্দির জেলার ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে।

সার্থক পণ্ডিত

Health Benefit: কঠিন রোগের মহৌষধি! খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু, পাতে পড়লেই জিভে জল! কোন ব্যাধি তাড়াবে ইলিশ?

ইলিশের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক অনেকটাই গভীর। ইলিশের মরসুমে ইলিশ ছাড়া বাঙালির খাবার পাত যেন অসম্পূর্ণ। তাইতো ইলিশের ভাগ প্রিয় মানুষটিকেও দিতেই দু'বার ভাবতে হয়।
ইলিশের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক অনেকটাই গভীর। ইলিশের মরসুমে ইলিশ ছাড়া বাঙালির খাবার পাত যেন অসম্পূর্ণ। তাইতো ইলিশের ভাগ প্রিয় মানুষটিকেও দিতেই দু’বার ভাবতে হয়।
অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদ চিকিৎসক দিব্যা নাজ জানান, এই ইলিশ মাছ খেলে শুধুই যে স্বাদের দিক থেকে তৃপ্তি পাওয়া যায়। এই ধারণা এখন অতীত। ইলিশ মাছের স্বাস্থ‍্যগুণও রয়েছে অনেকটাই।
অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদ চিকিৎসক দিব্যা নাজ জানান, এই ইলিশ মাছ খেলে শুধুই যে স্বাদের দিক থেকে তৃপ্তি পাওয়া যায়। এই ধারণা এখন অতীত। ইলিশ মাছের স্বাস্থ‍্যগুণও রয়েছে অনেকটাই।
ইলিশ মাছে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ থাকে একেবারেই কম। অন্য দিকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে এতে। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে হার্ট অনেকটাই সুস্থ থাকে।
ইলিশ মাছে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ থাকে একেবারেই কম। অন্য দিকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে এতে। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে হার্ট অনেকটাই সুস্থ থাকে।
ইলিশ মাছে থাকা থাকা ইপিএ ও ডিএইচএ ওমেগা-3 অয়েল শরীরে ইকসিনয়েড হরমোন তৈরি রুখে দেয়। ফলে রক্ত জমাট বেঁধে শিরা ফুলে যায় না। তাই থ্রম্বসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
ইলিশ মাছে থাকা থাকা ইপিএ ও ডিএইচএ ওমেগা-3 অয়েল শরীরে ইকসিনয়েড হরমোন তৈরি রুখে দেয়। ফলে রক্ত জমাট বেঁধে শিরা ফুলে যায় না। তাই থ্রম্বসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
তেলযুক্ত মাছ খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে অনেকটাই। বয়সকালে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসার সমস্যা কমে। ইলিশ মাছে থাকা ভিটামিন- A রাতকানার রোগ প্রতিরোধ করে সহজেই।
তেলযুক্ত মাছ খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে অনেকটাই। বয়সকালে দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসার সমস্যা কমে। ইলিশ মাছে থাকা ভিটামিন- A রাতকানার রোগ প্রতিরোধ করে সহজেই।
ইলিশ মাছে থাকা প্রোটিন কোলাজেন সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। নিয়মিত এই ইলিশ মাছ খেলে একজিমা, সোরেসিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সহজেই।
ইলিশ মাছে থাকা প্রোটিন কোলাজেন সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। নিয়মিত এই ইলিশ মাছ খেলে একজিমা, সোরেসিসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সহজেই।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দারুণ কার্যকরী। শিশুদের ক্ষেত্রে হাঁপানি রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এই ইলিশ মাছ। তাই এই মাছ শিশুদের জন্যও উপকারী।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দারুণ কার্যকরী। শিশুদের ক্ষেত্রে হাঁপানি রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এই ইলিশ মাছ। তাই এই মাছ শিশুদের জন্যও উপকারী।

Cooch Behar Airport: বড় সিদ্ধান্ত এয়ারপোর্ট অথরিটির! ভোল বদলাচ্ছে কোচবিহার বিমানবন্দরের

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: জেলা কোচবিহারে রাজ আমলে বিমান পরিষেবা চলত। তবে, রাজ্যের বাম আমলে নানা কারণে ১৯৯৫ সালে জেলার বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ২০১১ সালে রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে ফের বিমান পরিষেবা চালু করা হয়। কিন্তু, কয়েকদিন চলার পর তা পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দু-তিনবার বিমান পরিষেবা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি সাফল্য লাভ করেনি। এরপর ২০২৩ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে আবার শুরু হয় বিমান পরিষেবা। কোচবিহার-কলকাতার মধ্যে সেই ৯ আসনের বিমান পরিষেবা দেড় বছর ধরে নিয়মিত চলছে।

আরও পড়ুন– প্রয়োজন নেই জমির, জলেরও ঝামেলা নেই; একচিলতে ঘরের মধ্যে এই ফসলের চাষ করেই হয়ে যেতে পারেন মালামাল

এবার এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ কোচবিহারের বিমানবন্দর নিয়ে এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই এয়ারপোর্টের এয়ারক্রাফট পার্কিং জোনকে বড় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ‘‘খুব শীঘ্রই কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে আরেকটি বিমান পরিষেবা শুরু করা হবে। এই অবস্থায় বিমানবন্দরের পার্কিং জোন এলাকা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও হয়েছে। দ্রুত এই গোটা কাজটি সম্পন্ন করা হবে।’’

আরও পড়ুন– ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অলিম্পিক্সে, ম্যাচ শেষে কী পোস্ট করলেন মিশরের ফেন্সার?

কোচবিহারের এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক শুভাশিস পাল জানান, ‘‘বিমানবন্দরের এয়ারক্রাফট পার্কিংটাকে বড় করা হবে। বর্তমানে এই এয়ারক্রাফট পার্কিংটি প্রায় ৬০ ফুট লম্বা এবং ৭০ মিটারের মতো চওড়া রয়েছে। এখন সেটা লম্বা ও চওড়ায় আরও ১০ ফুট বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখন যেখানে একটা ছোট বিমান দাঁড়াতে পারে। সেখানে দুটো ছোট বিমান সহজেই দাঁড়াতে পারবে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করে সম্পন্ন করা হবে।’’ তবে জেলায় আরেকটি বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ার বিষয় নিয়ে ভালমতোই উত্তেজনা ছড়াচ্ছে জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে।

Viral Chicken Fry Shop: সন্ধ‍্যের অন্ধকার হতেই এই দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়! আসল কারণ জানলে হকচকিয়ে যাবেন

কোচবিহার: সন্ধ্যে নামলেই ফাস্টফুডের দোকানে ভিড় জমান বহু মানুষ। ফাস্ট ফুডের জগতে মুরগির মাংস বেশ অনেকটাই জনপ্রিয়। মূলত চিকেন ফ্রাই কম বেশি সকলের পছন্দের। এবার কোচবিহারের এক মুরগির মাংসের দোকান এই চিকেন ফ্রাই বিক্রি করার জন্য জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। দোকানের কর্ণধার দীর্ঘ সময় ধরে মাংস বিক্রি করেন এই এলাকায়। তারপরে একদিন হঠাৎ করেই তিনি এই চিকেন ফ্রাই এর দোকান শুরু করেন। বর্তমান সময়ে সন্ধ্যে নামলেই দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এসে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁর এই দোকানে।

আরও পড়ুনঃ ঔষধি গুণে ভরপুর এই সবজি, ধারেকাছে ঘেঁষবে না পেটের রোগ! তবে মহিলাদের জন্য বিপজ্জনক

দোকানের কর্ণধার পরেশ বিশ্বাস জানান, “এই দোকান তিনি শুরু করেছিলেন মুরগির মাংসের দোকান হিসেবে। পরবর্তী সময়ে একদিন আচমকাই তাঁর মনে হয় তিনি এখানে চিকেন ফ্রাই-এর দোকান দেবেন। এমনি ভাবা, তেমনি কাজ। শুরু করা হয় ফ্রাই-এর দোকান।” বর্তমান সময়ে সন্ধ্যে নামলে তাঁর কর্মব্যস্ততা বেড়ে ওঠে কয়েকগুণ। দোকানের গ্রাহকদের ভিড় রীতিমতো উপচে পড়ে। ভিড় সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল পরিস্থিতি হয় সকলের। একটা সময় তিনি একা দোকান করলেও। বর্তমানে তাঁর দুই ছেলে তার সঙ্গেই দোকান করে। ছেলেরা সহযোগিতা করায় কাজ অনেকটা সহজ হয়।

কর্ণধারের এক ছেলে পাপন বিশ্বাস জানান যে, তাঁর বাবা এই দোকান শুরু করেছিলেন দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর আগে। বর্তমান সময়ে এই দোকান কিন্তু লোকের মুখে মুখেই ভাইরাল। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষেরা আসেন এই দোকানের মাংসের স্বাদ নিতে। দোকানের এক গ্রাহক রাজু মোদক জানান, “আমার বাড়ি জেলার অন্যত্র হলেও, আমি প্রায়শই এই দোকানে আসি চিকেন ফ্রাই খেতে। এই দোকানের চিকেন ফ্রাই-এর মধ্যে এক আলাদা স্বাদ রয়েছে। চিকেন ফ্রাই বানানোর পরে যে মশলাগুলো দেওয়া হয়। সেগুলি এর স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলে।”

বর্তমানে, সন্ধ‍্যা নামলেই বহু মানুষের ভিড় জমছে এই দোকানে। ভিড় সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল পরিস্থিতি হচ্ছে দোকানের প্রত্যেকটি মানুষের। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে একেবারে রাত পর্যন্ত চলছে এই দোকানের কর্মকাণ্ড। প্রতিদিন একই নিয়মে ধারাবাহিকভাবে এই পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এই দোকানে। তাই একটা কথা বলাই যায়। এই দোকান বর্তমান সময়ে জেলার বুকে বেশ অনেকটাই ভাইরাল।

Sarthak Pandit

Durga Puja 2024: মাটির দাম আকাশছোঁয়া! পুজোর আগে এক লাফে অনেকটাই বাড়ল দুর্গাপ্রতিমার দাম

সার্থক পণ্ডিত, কোচবিহার: বিশ্বকর্মাপুজো এবং দুর্গাপুজোর আর মাত্র হাতে গোনা কিছুটা সময় বাকি। তাই তো প্রতিমা তৈরি তোড়জোড় চলছে সমস্ত প্রতিমা কারখানাগুলিতে। কোচবিহারের প্রতিমা নির্মাণের কারিগরের ছবি এর চাইতে আলাদা কিছু নয়। তবে এরই মাঝে আবারও নতুন করে এক সমস্যা এসে সামনে দাঁড়িয়েছে প্রতিমাশিল্পীদের। প্রতিমা তৈরিতে মূলত ব্যবহার করা হয়ে থাকে বাঁশ, কাঠ, খড়, সুতো এবং মাটি। তবে পরবর্তীতে আরও বেশ কিছু জিনিস ব্যবহার করা হয় প্রতিমা সাজানোর জন্য। আর এই প্রতিমা তৈরির উপকরণ গুলির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই।

কোচবিহারের প্রতিমাশিল্পী সুধীর পাল জানান, “প্রতিমা তৈরির উপকরণের মধ্যে বাঁশ ও মাটির দাম প্রচুর বৃদ্ধি হয়েছে। যার ফলে মূর্তি তৈরি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অধিকাংশ প্রতিমা শিল্পীদের। যাঁরা আগে থেকে মাটি সংগ্রহ করে রাখেননি, তাঁরা মূর্তি তৈরি করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন। একটা সময় মাটি কিনতে পাওয়া যেত ট্রাক হিসেবে। বর্তমান সময়ে সেই মাটি বিক্রি হচ্ছে বস্তা হিসেবে। যার ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দু থেকে আড়াই হাজার টাকা বেশি। তবে মাটির মান কিন্তু বৃদ্ধি পায়নি বিন্দুমাত্র।”

আরও পড়ুন : উপরে কড়া, ভিতরে তুলতুলে রসাল মৌচাক! বেলাকোবার চমচমের রহস্যময় রেসিপি এসেছিল টাঙ্গাইল থেকে

জেলার আরও দুই প্রতিমা শিল্পী সুজিত পাল ও বাদল পাল জানান, “কিছু কাজ সম্পন্ন হলেও এখনও অনেকটা কাজ বাকি প্রতিমা তৈরির। বিগ বাজেটের পুজোর বেশ কিছু অর্ডার এসেছে ইতিমধ্যেই। তবে আরও বেশকিছু অর্ডার আসতে পারে। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাটি না থাকলে মূর্তি তৈরি করবেন কীভাবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। বর্তমান সময়ে প্রথম উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে অধিকাংশ প্রতিমা শিল্পীদের কপালে। যার ফলে মূর্তির দাম এক লাফে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।”

গত বছর যে দামে দুর্গা প্রতিমা বিক্রি হয়েছিল, চলতি বছরে সেই দুর্গা প্রতিমার দাম বেশ অনেকটাই বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে বিভিন্ন পুজো কমিটির মানুষও চাপের মুখে পড়তে চলেছেন পুজোর সময়। তাই প্রতিমা তৈরির মাটির বিক্রির বিষয় নিয়ে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন  শিল্পীরা। তবে উপকরণের দাম যদি না কমে সেক্ষেত্রে প্রতিমার দাম কমার কোন সম্ভাবনা এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না।

Viral Maharaja Shake: কী এমন আছে এই পানীয়ে? দোকানে লম্বা লাইন, রাজার শহরে ভাইরাল মহারাজা শেক

কোচবিহার: বর্ষা এলেও দাপট বজায় রয়েছে গরমের। ফলে উত্তরবঙ্গের জেলা গুলিতে বিক্রি বেড়েছে ঠান্ডা পানীয়ের। তবে বোতলবন্দি পানীয়ের চাইতে বিভিন্ন ঠান্ডা পানীয়ের দোকানের তৈরি পানীয় অনেকটাই স্বাস্থ্যকর। ফলে এই দোকান গুলিতে দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের দারুণ ভিড়।

তবে এবার জেলায় নতুন শুরু হওয়া এক ঠান্ডা পানীয়ের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে এক বিশেষ ঠান্ডা পানীয়। মাত্র ৯৯ টাকা মূল্যে এই পানীয় বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। ছোট থেকে বড় সকলেই এই পানীয়ের টানে ভিড় করছেন দোকানে। তাইতো বর্তমানে এই পানীয় ব্যাপক ভাইরাল।

আরও পড়ুন: A-র পর S, V-এর পাশে B…কিবোর্ডে ABCD পর পর লেখা থাকে না কেন বলুন তো? ‘উল্টোপাল্টা’ লেখার পেছনে আসল কারণ জেনে নিন

দোকানের কর্ণধার মেহবা খুশবু জানান, “বহু মানুষ স্বল্প মূল্যে ভাল মানের ঠান্ডা পানীয় চেয়ে থাকেন। মূলত এই কারণেই এই পানীয় তাঁরা তৈরি করছেন। তবে জেলা কোচবিহারকে রাজার শহর বলা হয়ে থাকে। তাই রাজার শহরের এই বিশেষ ধরনের শেকের নাম রাখা হয়েছে “মহারাজা শেক”।

প্রচুর চকলেট আইটেম এই শেকের মধ্যে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া একটি বড় গ্লাসের মধ্যে যখন এই শেক পরিবেশন করা হচ্ছে। তখন সকলেই মুগ্ধ হয়ে উঠছেন। এছাড়াও এই বিশেষ ধরনের মহারাজা শেকের স্বাদ হয়ে উঠছে অতুলনীয়।”

আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে

দোকানের এক গ্রাহক অভিরূপ ভট্টাচার্য জানান, “বিশেষ স্বাদের এই শেকের স্বাদের কোন তুলনাই হয় না। এই শেক পান করলে যে কেউ নিজেকে মহারাজা মনে করতেই পারেন। কারণ, এত বড় এবং এত জিনিস দিয়ে তৈরি মাত্র  ৯৯ টাকার এই শেক সত্যিই মহারাজাদের জন্যই তৈরি বলে মনে হবে যেকোনও মানুষের।’’

 অভিরূপ ভট্টাচার্য আরও জানালেন, ‘‘তবে চকলেটে ভরপুর থাকার কারণে এই শেক কিন্তু পছন্দ করছেন ছোট থেকে বড় সকলেই। অনেকে তো আবার বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছেন দোকানে একটি পান করার পর। সব মিলিয়ে এই নতুন ধরনের শেক বেশ আকর্ষণীয় সকলের কাছে।”

আরও পড়ুন: ৬ বছর পর নাগ পঞ্চমীতে জোড়া শুভ যোগ! ‘রাজা’ হবে ৫ রাশি, অর্থের বন‍্যা, সাফল‍্য হাতের মুঠোয়

এই মহারাজা শেকের গ্লাসে চুমুক দিলে মন ভরে যাবে এটুকু নিশ্চিত। তাইতো সন্ধ্যে নামলেই এই দোকানে ভিড় জমাচ্ছে বহু মানুষ। প্রতিদিন এই বিশেষ শেকের চাহিদাই থাকছে সবচেয়ে বেশি। অনেকেই তো প্রায় রোজ আসছেন এই মহারাজা শেকের স্বাদে মজে উঠতে। তবে জেলার মানুষের মুখে মুখে স্মার্ট দিদির জুসের দোকানের এই বিশেষ শেক এখন ব্যাপক ভাইরাল। জেলার বাইরের ও বহু গ্রাহক আসছেন এখন এই দোকানের পানীয়ের স্বাদ নিতে।

Sarthak Pandit

Cooch Behar News: মুহূর্তের অসাবধানতায় সব শেষ! মর্মান্তির দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকন কোচবিহারের দিনহাটা

দিনহাটা: একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা যেন পিছু ছাড়ছে না দিনহাটা মহকুমাকে। আবারও ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল দিনহাটা মহকুমা। দিনহাটা কোচবিহার রাজ্য সড়কের মাসানকুড়া এলাকায় ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইক চালক যুবকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এছাড়া বাইকে ছিলেন আরেকজন বাইক আরোহী। সেই যুবতীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিনহাটা থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,পেট্রল পাম্প থেকে বাইকে তেল ভরে বেরোনোর সময় দিনহাটা গামী একটি ছোট গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে বাইকটিকে। এর ফলেই বাইক থেকে ছিটকে পড়েন বাইকে থাকা যুবক-যুবতী। ঘটনায় বাইক চালকের দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাইকে থাকা আরেক যুবতীকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

আরও পড়ুনঃ Paris Olympics 2024: প্যারসে ঐতিহাসিক সাফল্য, মনু ভাকেরকে শুভেচ্ছা জানালেন আইওসি মেম্বার নীতা আম্বানি

পুলিশ সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে,বাইকে থাকা দু’জনের বাড়ি দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের আবুতারা এলাকায়। মৃত বাইক চালকের দেহ দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের কাছে দেওয়া হবে। জেলা জুড়ে পথ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে ক্রমাগত করা হচ্ছে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ এর প্রচার। তবুও এই ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা যেন প্রমাণ করে দিচ্ছে যান চালকদের নিয়ন্ত্রণহীন মনোভাবকে।

Sarthak Pandit

Diabetes Care Tips: শরীরে ডায়াবেটিসের করাল থাবা! চিনি ঝেড়ে ফেলুন, রক্তে সুগার কমাতে ব্যবহার করুন বিকল্প মিষ্টি

অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভাল নয়। বিশেষত সাদা চিনি খেলে তা উপকার না করে ক্ষতি করে বেশি পরিমাণে। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের কাছে শত্রুর সমান এটি।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভাল নয়। বিশেষত সাদা চিনি খেলে তা উপকার না করে ক্ষতি করে বেশি পরিমাণে। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের কাছে শত্রুর সমান এটি।
চিনির ব্যবহার হয় স্বাদের জন্যও। যেমন চা, দুধ কিংবা কোনও কোনও রান্না মিষ্টি করে তুলতে। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জীবন থেকে এই সাদা চিনি পাকাপাকি বাদ দেওয়া উচিত অবিলম্বে।
চিনির ব্যবহার হয় স্বাদের জন্যও। যেমন চা, দুধ কিংবা কোনও কোনও রান্না মিষ্টি করে তুলতে। কিন্তু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জীবন থেকে এই সাদা চিনি পাকাপাকি বাদ দেওয়া উচিত অবিলম্বে।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, শরীরের জন্য শর্করারও প্রয়োজন রয়েছে অনেকটাই। তাই সাদা চিনির বদলে এমন কিছু মিষ্টি খাবার ব্যবহার করতে হবে। যেগুলিতে প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব রয়েছে।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সরকার জানান, শরীরের জন্য শর্করারও প্রয়োজন রয়েছে অনেকটাই। তাই সাদা চিনির বদলে এমন কিছু মিষ্টি খাবার ব্যবহার করতে হবে। যেগুলিতে প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব রয়েছে।
চিনির বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে প্রাকৃতিক মধু। মধুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, খনিজ ও ভিটামিন পাওয়া যায়। তাই প্রাকৃতিক মধু সর্দি-কাশিতেও দারুণ ভাবে কাজ দেয়।
চিনির বদলে ব্যবহার করা যেতে পারে প্রাকৃতিক মধু। মধুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, খনিজ ও ভিটামিন পাওয়া যায়। তাই প্রাকৃতিক মধু সর্দি-কাশিতেও দারুণ ভাবে কাজ দেয়।
তাল ও আখের রস থেকে গুড় তৈরি হয়। আয়রণ, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ গুড়ে রয়েছে স্বাভাবিক মিষ্টি। তাই চিনির বদলে গুড়ের ব্যবহারে খাবারের স্বাদ ও গুণ দুই-ই বৃদ্ধি পায়।
তাল ও আখের রস থেকে গুড় তৈরি হয়। আয়রণ, ভিটামিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ গুড়ে রয়েছে স্বাভাবিক মিষ্টি। তাই চিনির বদলে গুড়ের ব্যবহারে খাবারের স্বাদ ও গুণ দুই-ই বৃদ্ধি পায়।
নারকেল গাছের ফুল থেকে তরল সংগ্রহ করে তা দিয়েই বাদামি রঙের চিনি তৈরি হয়। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাদা চিনির বদলে এই চিনি ব্যবহার করুন। এই চিনিতে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রন-সহ বিভিন্ন খনিজ রয়েছে।
নারকেল গাছের ফুল থেকে তরল সংগ্রহ করে তা দিয়েই বাদামি রঙের চিনি তৈরি হয়। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাদা চিনির বদলে এই চিনি ব্যবহার করুন। এই চিনিতে জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, আয়রন-সহ বিভিন্ন খনিজ রয়েছে।
ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ভিটামিনে ভরপুর খেজুর। তাই চিনির বদলে খেজুর বেটে ব্যবহার করা যেতে পারে। খাবারে সাদা চিনির বদলে গুড় ব্যবহার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ভিটামিনে ভরপুর খেজুর। তাই চিনির বদলে খেজুর বেটে ব্যবহার করা যেতে পারে। খাবারে সাদা চিনির বদলে গুড় ব্যবহার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।
শুকনো ডুমুর আঞ্জির নামেও পরিচিত। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও প্রয়োজনীয় খনিজ। খাবারে মিষ্টি স্বাদ আনতে চাইলে আঞ্জির জলে ভিজিয়ে বেটে তা মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
শুকনো ডুমুর আঞ্জির নামেও পরিচিত। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও প্রয়োজনীয় খনিজ। খাবারে মিষ্টি স্বাদ আনতে চাইলে আঞ্জির জলে ভিজিয়ে বেটে তা মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

Mixed Cultivation: এই বিশেষ পদ্ধতিতে লঙ্কা ও আদা একই জমিতে চাষ করুন, উপচে পড়বে পকেট

কোচবিহার: দুটো পয়সা বেশি লাভের আশায় গ্রামীণ মানুষজন মূলত কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। তবে সঠিক পদ্ধতি মেনে চাষ করতে না পারলে লাভের পরিমাণ কমে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। আর তাই বর্তমানে মিশ্র পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে লাভ পাওয়া যায় বেশি। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে একই জমিতে দু’ধরনের ফসল ফলানো যায়। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত নাটাবাড়ি এলাকার এক কৃষক এভাবেই চাষ করে দিশা দেখাচ্ছেন সকলকে। তিনি মাত্র সাত কাঠা জায়গায় রামধানি লঙ্কা ও আদা এই মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করছেন।

মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করে সাড়া ফেলে দেওয়া কৃষক পবিত্র বর্মন জানান, লঙ্কা ও আদা চাষের ক্ষেত্রে জলসেচের অনেকটাই দরকার পড়ে। এছাড়া জমিতে চাষ করতে হয় ভালভাবে। তবে যদি কোন‌ও কৃষক বস্তার মধ্যে এভাবে মিশ্র চাষ করেন তবে জমিতে হাল দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এছাড়া সামান্য জমিতে বেশি ফসল পাওয়া সম্ভব হবে। বর্ষার মরসুমে এভাবে চাষ করলে জল সেচ প্রয়োজন হয় না খুব একটা। এছাড়াও মাটি অনেকটাই ভাল থাকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। ফলে ফসলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তিনি জানান, এই পদ্ধতিতে চাষ করলে লাভের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যায়।

আর‌ও পড়ুন: কাঠের সেতুতে মরণ ফাঁদ! প্রাণ হাতে করে যাতায়াত জয়নগরে

এই এলাকায় কৃষক পবিত্র বর্মন প্রথম এই মিশ্র পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করছেন। তাঁকে দেখে আর‌ও অনেক কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য এগিয়ে আসছেন। তিনি এখনও পর্যন্ত জমিতে মোট ৪৮ হাজার টাকার মত খরচ করেছেন। তবে এর থেকে তিনি লাভ পাবেন লক্ষাধিক টাকারও বেশি। এছাড়া এভাবে চাষ করতে প্রয়োজন পড়ে গোবর সার ও কচুরিপানার। এই দুই জিনিস প্রয়োগ করার মাধ্যমে গাছের ফলন হয় আর‌ও একটু বেশি। তবে গাছের রোগ থেকে বাঁচতে সপ্তাহে অন্তত একবার করে কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিত।

সার্থক পণ্ডিত