Category Archives: হাওড়া

Play Ground: বছরভর জলের তলায় খেলার মাঠ, আন্দুলে আজব অবস্থা

হাওড়া: জমা জলের গ্রাসে খেলার মাঠ। ফলে খেলতে না পেরে মন মরা ছেলেদের দল। এমনিতেই স্মার্টফোনের রমরমায় আজকাল আর সেভাবে মাঠে খেলতে আসে না অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা। সেখানে খেলার মাঠে জল জমে থাকার কারণে আরও বেশি করে ছেলের দল মাঠ বিমুখ হয়ে পড়ছে। এমনই বেহাল অবস্থা আন্দুলে।

হাওড়া জেলার আন্দুলের আড়গোড়ি স্পোর্টিং ময়দান যথেষ্ট নামকরা একটি মাঠ। একসময় এই মাঠে খেলার জন্য হাপিত্যেশ করে থাকত ছেলের দল। এমন মাঠ গোটা জেলায় হয়ত হাতে গোনা কয়েকটা আছে। জনবহুল এলাকার এক প্রান্তে বিশাল আকারের মাঠ। মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে কংক্রিটের দর্শক আসন। একসময় এই মাঠে বড় বড় টুর্নামেন্ট চলত। মাঠে খেলোয়াড়ের দাপাদাপিতে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতেন দর্শকরা।২০০৯ সালে এই মাঠে কংক্রিটের দর্শক আসনের উদ্বোধন হয়। তারপর আরও খেলার প্রতি উৎসাহিত হয়ে ওঠে স্থানীয় যুবকরা। তবে সেই উৎসাহ বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি স্থানীয়রা।

আর‌ও পড়ুন: স্কুল-পড়ুয়া সব আছে, রোজ হয় মিড ডে মিল, তবুও এখানে শিকেয় উঠেছে পড়াশোনা!

উদ্বোধনের কয়েক মাসের মধ্যেই জমা জল গ্রাস করে এই খেলার মাঠটিকে। বর্তমানে আড়গোড়ি স্পোর্ট ময়দানের করুণ অবস্থা। একসময় যে মাঠে গোটা বছর স্থানীয় ছেলেরা দাপিয়ে বেড়াত, সেই মাঠে জন্মেছে কচুরিপানা। হাওয়ার তোড়ে মাঠে ভেসে বেড়াচ্ছে কচুরিপানার দল। গোলপোস্টের নিচে ছই হোগলার মত জলজ গাছ বেড়ে উঠছে। মাঠের গোলপোস্টের প্রায় অর্ধেক জলের তলায় থাকে সারা বছর। গত ১৪ বছর ধরে এই সমস্যা চলছে।

স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে বছরে মাত্র দু-একটা মাস খেলার উপযোগী থাকে এই মাঠ। অভিযো,গ স্থানীয় পঞ্চায়েতকে বিষয়টি দেখার জন্য বারবার অনুরোধ করেও কোন‌ও ফল হয়নি। ফলে ক্রমশ হতাশা গ্রাস করেছে এলাকার মানুষকে।

রাকেশ মাইতি

Howrah fishing cat death: আবারও বেপরোয়া গতির বলি বাংলার রাজ্যপ্রাণী! বাগনানে মৃত্যু বাঘরোলের

হাওড়া: আবারও গতির বলি আমাদের রাজ্যপ্রাণী! শনিবার সকালের আলো ফুটতেই দেখা যায় ব্যস্ত সড়কের উপর পড়ে রয়েছে একটি বাঘরোলের নিথর দেহ। নিম্ন গাঙ্গেয় ভূমি ওদের আদর্শ বাসস্থান। হাওড়ার নল-খাগড়া ও খড়ি বনে প্রচুর বাঘরোল থাকে। নগর উন্নয়নের ফলে জলাভূমির বুক চিড়ে বা গা ঘেঁষে রাজ্য ও জাতীয় সড়ক হয়ে গেছে । এই সমস্ত সড়ক রাত-দিন দ্রুত গতিতে ছুটছে যানবাহন। খাবারের খোঁজে রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত প্রাণ যাচ্ছে রাজ্য প্রাণীর মত বন্যপ্রাণীর। এদিনও একই ঘটনা বলেই মনে করছে পরিবেশ প্রেমীদের।

আরও পড়ুন: সায়ন্তিকা-সহ উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাগনান-আমতা রোডে। স্থানীয় পরিবেশ প্রেমী অনির্বাণ রায় দেখতে পেয়ে জীববৈচিত্র্য গবেষক ও শিক্ষক সৌরভ দোয়ারীকে বিষয়টি জানান। সৌরভ খবর দেন পরিবেশপ্রেমী চিত্রক প্রামাণিককে।হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের পক্ষ থেকে চিত্রক ও ইমন ধাড়া বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বন বিভাগ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

এই প্রসঙ্গে পরিবেশ প্রেমীরা জানান, প্রায়ই বাগনান-আমতা রাজ্য সড়কে নিরীহ বন্যপ্রাণের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হচ্ছে। গত কয়েক বছরে এই রোডেই অনেক গুলো বাঘরোল গাড়ির ধাক্কায় মারা গেছে। বেশ কয়েকটি আহত হয়েছে। বাগনান আমতা রাজ্য সড়কের পাশে কৃষিজমি, জলাভূমি, জঙ্গল রয়েছে। সেই জঙ্গলে বাঘরোল, বন বিড়াল, ভাম, শিয়াল, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ও পাখিদের বসবাস। রাতের অন্ধকারে শিকারে বেরিয়ে দ্রুত গতির গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু ঘটছে প্রাণীগুলির। বর্তমানে এই রাস্তা আরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। আগামী দিনে বাঘরোলের মত প্রাণীর মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। এই মুহূর্তে প্রশাসনের উচিত বন্যপ্রাণ চলাচলের করিডর চিহ্নিত করে স্পীড ব্রেকার ও সচেতনতামূলক হোর্ডিং বসানো।

গত এক বছরে বেশ কয়েকটি রাজ্য প্রাণী সহ গুরুত্বপূর্ণ বন্য প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়। আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে, ফলে উদ্বিগ্ন পরিবেশ প্রেমীরা।

International Yoga Day 2024: বিশ্ব যোগ দিবসে শরীর চর্চার সঙ্গে উপরি পাওনা চারাগাছ

দুই জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা একযোগে বিশ্ব যোগ দিবস পালন করল জয়পুরে।
দুই জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা একযোগে বিশ্ব যোগ দিবস পালন করল জয়পুরে।
শরীর সুস্থ রাখতে যোগ অভ্যাসের বিকল্প নেই। তাই বিশ্ব যোগ দিবসকে সামনে রেখে গ্রামের মানুষকে সচেতনতার বার্তা দেওয়ার মাধ্যমে যোগ দিবস পালন করল স্থানীয় যুবকরা।
শরীর সুস্থ রাখতে যোগ অভ্যাসের বিকল্প নেই। তাই বিশ্ব যোগ দিবসকে সামনে রেখে গ্রামের মানুষকে সচেতনতার বার্তা দেওয়ার মাধ্যমে যোগ দিবস পালন করল স্থানীয় যুবকরা।
এদিন হাওড়া ও হুগলি জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী হাজির ছিল এই অনুষ্ঠানে।
এদিন হাওড়া ও হুগলি জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী হাজির ছিল এই অনুষ্ঠানে।
বিশ্ব যোগ দিবসে মানুষের শরীর সুস্থ রাখার বার্তা'র পাশাপাশি পরিবেশ সুস্থ রাখতে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে চারা গাছ তুলে দেওয়া হয়।
বিশ্ব যোগ দিবসে মানুষের শরীর সুস্থ রাখার বার্তা’র পাশাপাশি পরিবেশ সুস্থ রাখতে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে চারা গাছ তুলে দেওয়া হয়।
একসাথে ২৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী শুক্রবার সকালে যোগ ব্যায়াম করল জয়পুর সাধনা সমিতির মাঠে।
একসাথে ২৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী শুক্রবার সকালে যোগ ব্যায়াম করল জয়পুর সাধনা সমিতির মাঠে।
উদ্যোক্তা সৌরভ মণ্ডল জানান, গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে এই উদ্যোগ। শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি পরিবেশ সুস্থ রাখতে হবে। ছাত্রছাত্রী'দের চারা গাছ দিয়ে উৎসাহিত করা হয়।
উদ্যোক্তা সৌরভ মণ্ডল জানান, গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে এই উদ্যোগ। শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি পরিবেশ সুস্থ রাখতে হবে। ছাত্রছাত্রী’দের চারা গাছ দিয়ে উৎসাহিত করা হয়।

Mango Recipe: এই গরমে বানিয়ে ফেলুন পাকা আমের রসপুলি, এই মিষ্টির কাছে রসগোল্লা-পান্তুয়া ফেল

হাওড়া: পাকা আমের রসপুলি! সুস্বাদু এই রসপুলিতেই মন ভরবে আট থেকে আশির। পাকা আমের যে-কোনও রেসিপি-কে হার মানাবে এই আমের রসপুলি।

কম ঝামেলাতেই বানানো যায় মুখরোচোক মিষ্টি স্বাদের আম রসপুলি, সহজেই ভরবে মন। সামান্য কয়েকটা উপকরণ ও হাতে অল্প সময় থাকলেই বানানো যায় এই সুস্বাদু আমের রেসিপি। গাঢ় মিষ্টি দুধের উপর আম ও নারকেল বল দুধের রসে টইটুম্বুর। দেখলেই জিভে জল।

আমের রসপুলি বানাতে যা-যা লাগবে– পাকা মিষ্টি আম, নারকেল কুঁড়ো, সুজি, চিনি, দুধ।

রসপুলি তৈরির জন্য দুটি মাঝারি পাকা মিষ্টি আম(আঁশ বিহীন)-এর আঁটি থেকে শাস আলাদা করে নিতে হবে। এবার অর্ধেক নারকেল কুড়ো, প্রায় ১০০ গ্রাম চিনি এবং ২-৪ চামচ সুজি ও অল্প জল একটি পাত্রে অল্প আঁচে ভাল করে নেড়ে একটু শক্ত ডো বানিয়ে নিতে হবে। ডো ঠান্ডা হয়ে একটু শক্ত হয়ে এলে হাতে সামান্য ঘি নিয়ে ডো থেকে ছোট-ছোট গোলাকার বল বানিয়ে রাখুন।
এবার এক লিটার দুধ চিনি দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। সুগন্ধির জন্য দুধে দেওয়া যেতে পারে ছোট এলাচ। দুধ ঘন হয়ে এলে তাতে আমের বল ছেড়ে দিন। এবার উল্টে পাল্টে মৃদু আঁচে কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে নিন। সামান্য কেশর ছড়িয়ে ঠান্ডা-ঠান্ডা পরিবেশন করুন।

রাকেশ মাইতি

Howrah News: গরমের ছুটি পর পড়াশোনায় দারুণ মজা! এই উপায় স্কুলছুট কমছে উলুবেড়িয়ার স্কুলে

হাওড়া:  শিক্ষাদানে অভিনব কৌশল সরকারি এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে! নতুন কৌশলে অতি উৎসাহ ও আনন্দে শিক্ষা লাভ করছে ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। এই সময় সরকারি বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলে সমস্যা। এ বিষয়ে সংবাদের শিরোনামে এসেছে রাজ্যের বহু সরকারি স্কুল। সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের গাফিলতিতে পঠন-পাঠনে সমস্যা এমন অভিযোগ বহু বিদ্যালয়ে। এর ফলে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। তবে এবার ভিন্ন ছবি হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সমাজে প্রকৃত মানুষ গড়ার কারিগর হলেন শিক্ষক। তাঁরাই পথ দেখাচ্ছেন পড়াশোনা কি করে মজার করে তোলা‌ যায়।

আরও পড়ুন:  ফল ও ফুল গাছের টানেই উলুবেড়িয়ার এই স্কুলে আসে শবনম-অনুষ্কারা

সরকারি শিক্ষা পর্ষদের নিয়মবিধি মানা ও পাঠ্য বই পড়ানোর পাশাপাশি বিদ্যালয় এর শিক্ষকদের উদ্যোগে বিভিন্ন কৌশলে শিক্ষা দান। যার মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলের অতি আগ্রহে স্কুলমুখী। বেশ কিছু নতুন কৌশল যার মাধ্যমে হাতে কলমে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। গরমের ছুটির ফাঁকে, সেই ব্যবস্থা করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গণিতের যোগ বিয়োগের ধারণা ও ইংরেজি সিবিসি শব্দের স্থান সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সামনে রেখে শিক্ষা। যেখানে পাঠ্য বই পড়ার পাশাপাশি হাতে কলমে শিক্ষা লাভ করতে পারবে এমন টিএলএম বা টিচিং লার্নিং মেটেরিয়াল ক্যালেন্ডার মত তৈরি করা বেশ কিছু জিনিসের মাধ্যমে। এই সমস্ত জিনিস শিক্ষক-শিক্ষিকা নিজে হাতে তৈরি করেছেন।

আরও পড়ুন: এক ‌যুগ ধরে আন্দুল গ্রামে জমা জলে দুর্ভোগের শিকার কয়েক হাজার মানুষ!

ছাত্র-ছাত্রীরা গরমে স্কুল ছুট হয়ে থাকলেও শিক্ষক শিক্ষিকা ছুটির ফাঁকে তৈরি করেছেন শিক্ষাদানের সরঞ্জাম। খুঁজেছেন সহজে শিক্ষাদানের কৌশল। একটানা ছুটির পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় মন বসতে বেশ কয়েকদিন সময় পার। তবে উলুবেড়িয়া বাড় মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দারুন আগ্রহ বিদ্যালয়ে। এ প্রসঙ্গে বাড় মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি স্নেহ এবং আদর্শ শিক্ষা দিয়ে মানুষ গড়া একজন শিক্ষকের মূল লক্ষ্য। সেই দিক ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দিতে আমাদের খুব ছোট ছোট উদ্যোগ কখনও কখনও দারুন কার্যকরী হয়ে ওঠে। তা একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা হিসেবে দারুন আনন্দের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Indian Railway: এবার টিকিট না কাটলেই কিন্তু সর্বনাশ! খুব সাবধান, হাওড়া স্টেশনে শতাধিক যাত্রীর সঙ্গে যা ঘটল…

হাওড়া: বিনা টিকিটের যাত্রা দূর করতে হাওড়া স্টেশনে বিশেষ ক্যাম্প কোর্ট। বিনা টিকিটের যাত্রারোধ। বৈধ টিকিট নিয়ে যাত্রা করা নিত্যযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে পূর্ব রেল বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এই ব্যাপারে বারবার জনসচেতনতা মূলক প্রচার করা হচ্ছে যাতে সবাই বৈধ টিকিট কেটে ট্রেন যাত্রা করেন।

মাত্র ৫ টাকা বা ১০ টাকা খরচ করেই শহরতলীর ট্রেনগুলিতে বহুদূরে যাওয়া যায় যেখানে সড়ক যানবাহনে ৫০ থেকে ১০০ টাকা খরচ হয়ে যায় সমদূরত্ব যেতে। কিন্তু এই সামান্য টাকাটুকু খরচ করে অনেকেই এখনও টিকিট কাটছেন না বলেই অভিযোগ।

আরও পড়ুন: ‘প্রার্থনা করুন’, অসুস্থ অলকা ইয়াগনিক! বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত গায়িকা, শোনার ক্ষমতা হারালেন

বিনা টিকিটে যাত্রা এই অনভিপ্রেত অভিসন্ধি প্রশমিত করার উদ্দেশ্যে আজ পূর্বরেলের হাওড়া ডিভিশনের হাওড়া স্টেশনে এক রেলওয়ে ক্যাম্প কোর্টের ব্যবস্থা করে। হাওড়া স্টেশনের সমস্ত গেটেই চিরুনি তল্লাশির মাধ্যমে বিনা টিকিটের যাত্রীদের চিহ্নিত করে স্টেশনের এই কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করা হয়। এক্ষেত্রে মাননীয় বিচারপতি অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন।

আশা করা যায়, এই জাতীয় ক্যাম্প কোর্টের মাধ্যমে জনসচেতনতা জাগ্রত হবে এবং সকলেই রেলে যথাযথ টিকিট কেটে ও লাগেজ বুক করেই যাত্রা করবেন। এই ক্যাম্প কোর্টের লক্ষ্য হল, যাত্রীদের ট্রেনে ভ্রমণের সময় বৈধ টিকিট কেনা এবং লাগেজ বুকিংয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করা। এই বার্তাগুলি প্রচারের মাধ্যমে পূর্ব রেলওয়ে নিশ্চিত করতে চায় যে প্রতিটি যাত্রী যেন বৈধ টিকিট কাটেন এবং ট্রেনের নিয়মগুলি মেনে চলেন, যা রেল পরিষেবার পরিচালনা মসৃণ করে এবং স্থায়িত্বে অবদান রাখে।

আরও পড়ুন:  বলুন তো কোন জিনিস শুকনো অবস্থায় ২ কেজি, ভিজে গেলে ১ কেজি, আবার পুড়লে ৩ কেজি হয়ে যায়? ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আজকের এই হাওড়া স্টেশনের ক্যাম্প কোর্টে ৬১৬ জন বিনা টিকিটের যাত্রীকে পেশ করা হয় এবং এদের কাছ থেকে জরিমানা ও ভাড়াবাবদ ২,০৯,১০০ টাকা সংগৃহিত করা হয়েছে। হাওড়া স্টেশনের এই বিশেষ ক্যাম্প কোর্ট পূর্ব রেলওয়ের পরিষেবার অখণ্ডতা বজায় রাখা এবং সমস্ত যাত্রীদের জন্য ন্যায়সঙ্গত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। এই জাতীয় উদ্যোগগুলি কেবল ন্যায়বিচারের নীতিগুলিকেই সমর্থন করে না বরং যাত্রীদের মধ্যে দায়িত্ববোধকেও উত্‍সাহিত করে রেলওয়ে পরিচালনার দক্ষতা এবং নির্ভরযোগ্যতা বাড়িয়ে তোলে।

Delicious Recipe: কচি ওলগাছ ও পোস্ত দিয়ে সুস্বাদু রেসিপি! গরম ভাতের পাতে জমবে দারুণ

হাওড়া: ওল গাছ গ্রামীণ সুস্বাদু রেসিপি। গরম ভাতের সঙ্গে ওলগাছ-পোস্ত দিয়ে উবে যাবে এক থালা ভাত। গ্রামের বেশ কিছু জনপ্রিয় রেসিপির মধ্যে এই ওল গাছ কষা রেসিপি অন্যতম। এই রেসিপির প্রতি গ্রামের মানুষের আকর্ষণ থাকে অন্য মাত্রায়।

গরম শেষে বর্ষার শুরুতে গ্রাম অঞ্চলে বনে জঙ্গলে বুনো ওল থেকে নতুন গাছ জন্মাতে দেখা যায়, চাষ আবাদি জমির পার্শ্ববর্তী বা বন জঙ্গল থেকে সেই কচি ওল গাছ সংগ্রহ করতে দেখা যায় গ্রামের মানুষকে। এছাড়াও ওল চাষ করেও ওল কোড়া বা নতুন গাছ পাওয়া যায়। তবে বুনো ওল গাছ বেশি খাবার চল। বহু মানুষ গ্রামাঞ্চল থেকে এই গাছ সংগ্রহ করে শহরে বিক্রি করে ভাল আয় করেন।

আরও পড়ুন: ‘প্রার্থনা করুন’, অসুস্থ অলকা ইয়াগনিক! বিরল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত গায়িকা, শোনার ক্ষমতা হারালেন

টাটকা ওল গাছ কেটে তারা আঁশ ছাড়িয়ে ছোট করে কেটে ওলগাছ চিংড়ি, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে ওলগাছ, ওলগাছ কষা-সহ নানা রকম ওল গাছের সুস্বাদু রেসিপি হয়। তবে এর মধ্যে ওল গাছ পোস্ত বেশি জনপ্রিয়।

ওল গাছ ছোট করে কেটে পেঁয়াজ আদা রসুন ধনে ঝিরে বাটা এবং পোস্ত দিয়ে তৈরি এই সুস্বাদু রেসিপি। গরমের শেষে গ্রামীণ মানুষের আকর্ষণীয় খাবারের মধ্যে ওল গাছের নানা রেসিপি থাকে তালিকায়।

উপকরণ: ওল গাছ বা ওল কোঁড়া, অল্প আলু, পোস্ত বাটা, পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা, ধনে ও জিরে বাটা।

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন জিনিস শুকনো অবস্থায় ২ কেজি, ভিজে গেলে ১ কেজি, আবার পুড়লে ৩ কেজি হয়ে যায়? ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

প্রণালী: ওল গাছ পরিষ্কার করে ধুয়ে ছোট ছোট কেটে নিন। আলু দেওয়া যেতে পারে আবার আলু ছাড়াও হয়। কাটার পর হলুদ ও লবণ দিয়ে ফুল গাছ ভাপিয়ে নিন। এরপর অল্প তেল দিয়ে ভাজা হলে প্রথম পেঁয়াজ পরে জিরে ও ধনে বাটা ও খানিক পর আদা রসুন বাটা দিয়ে তাতে পরিমাণ মত লবণ হলুদ দিয়ে কষিয়ে নিয়ে অল্প জল দিয়ে নামিয়ে নিন। এবার কড়াইতে তেল ও ফোড়ন মশলা তাতে বাটা পোস্ত দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে নিলেই তৈরি সুস্বাদু ওলগাছ পোস্ত।

রাকেশ মাইতি

Howrah News: এক ‌যুগ ধরে আন্দুল গ্রামে জমা জলে দুর্ভোগের শিকার কয়েক হাজার মানুষ! 

হাওড়া: জমা জলে দুর্ভোগের শিকার কয়েক হাজার মানুষ! এ সমস্যা প্রায় ১২-১৪ বছর, দিন যত গড়াচ্ছে সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এর প্রভাব দারুন ভাবে পড়েছে এলকার মানুষের জীবনের উপর। একবার বৃষ্টি হলে সেই জল থাকে সপ্তাহ ব্যাপী, কার্যত বছরে প্রায় ৯-১০ মাস জলমগ্ন এলাকা। জল থৈ থৈ রাস্তা ঘাট মানুষের ঘর বাড়ি খেলার মাঠ। একটানা জল জমে নানা রোগভোগে স্থানীয় মানুষ। সাপ বিছে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব লেগে রয়েছে। জল পেরিয়ে যাতায়াতে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই স্কুল ছুট হয়ে পড়ছে ক্ষুদেরা। এমন ঘটনা হাওড়ার আন্দুল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আড়গোড়ী এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক হাজার পরিবার জল যন্ত্রণায় কাতর। অভিযোগ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিভিন্ন দফতরে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।

আরও পড়ুন:  ফল ও ফুল গাছের টানেই উলুবেড়িয়ার এই স্কুলে আসে শবনম-অনুষ্কারা

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই দুর্ভোগের শিকার আন্দুল পঞ্চায়েতের আড়গোড়ী এলাকায় একাধিক সংসদ। জল জমা সমস্যা আরও প্রকোপ হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার বহুতল বাড়ি থেকে নির্গত জল এবং বিষ্টির জল এলাকায় ঢুকছে। যা আগে অন্য পথে নিকাশি ছিল বলেই অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। এদিকে যে সমস্ত জলাভূমিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে জল এসে জমা হত, সেই জলাভূমি ভরাট করে কারখানা গড়ে উঠছে। একদিকে ডোবা জলাশয় ভরাট হচ্ছে, অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে অতিরিক্ত জল আসছে ফলে স্থানীয় মানুষ সাঁড়াশি চাপে। সমস্যা সমাধানের দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের দ্বারস্থ স্থানীয় মানুষ ।এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান উপযুক্ত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে মুখের কথাতেই চিড়ে ভিজছে না বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Howrah News: জলে ওটা কী! হাওড়ার গঙ্গায় দেখা মিলল অতিকায় প্রাণীর, আতঙ্ক, ধোঁয়াশায় স্থানীয়রা

হাওড়া: গঙ্গায় কুমির! হাওড়ায় হুগলি বা গঙ্গা নদীর বুকে কুমির দেখে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, পাঁচপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পাঁচপাড়া মাঝের পাড়া এলাকায় গঙ্গায় একটি বড় প্রাণী দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রাণীটি যেখানে দেখা যায়, তার অদূরেই ঘাট, যেখানে বহু মানুষ প্রয়োজনে ঘাট ব্যবহার করে সেই সব মানুষ আতঙ্কে। এ ছাড়াও পার্শ্ববতী ঘাটগুলিতেও নামতে মানুষ ভয় করছে।

আরও পড়ুন: সাবধান! WhatsApp ব্যবহার করতে গিয়ে হ্যাকারের পাল্লায় পড়লেই সর্বনাশ, কখনওই এই ভুলগুলি করবেন না

ওই প্রাণীটি গতকাল সন্ধ্যা থেকে দেখা যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের দাবি। প্রাণীটিকে দেখা মাত্র, স্থানীয় যুবকদের মধ্যে অনেকেই মোবাইলে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছে। আপাতদৃষ্টিতে কুমির বলেই মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। হাওড়ার গঙ্গায় কুমির, খবর ছড়িয়ে পড়তে কুমির চোখে দেখতে নদী পারে ভিড় জমাতে শুরু করে বহু মানুষ। অন্য দিকে এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে নদী লাগোয়া এলাকা বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নদী লাগোয়া বহু মানুষ নদীর জলে স্নান করে পুজোর প্রয়োজনে নদীতে নামেন।

এছাড়াও নৌকার উপর নির্ভর মানুষজনও আতঙ্কে। এর পর থেকে গঙ্গাতে সাহস করে নামতেই ভয় পাচ্ছেন অনেকে। গত কয়েক মাস আগে উলুবেড়িয়ার গঙ্গায় একটি ঘড়িয়াল দেখা দিয়েছিল। যদিও সেটি ঘড়িয়াল নাকি কুমির, তার স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয়দের অনুমান কুমির। নদীতে প্রাণীটি দেখার পর, স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। হাওড়ার গঙ্গাতে কুমির কীভাবে, তা নিয়ে বেড়েছে দুশ্চিন্তা।

রাকেশ মাইতি

Dal Phoron: হিং, জিরে, আদাবাটা নাকি তেজপাতা…ফোড়নের গুণেই রূপেগুণে সুন্দরী ডাল, জানুন কোন ডালে কী ফোড়ন দেবেন

কোন ডালে কেমন ফোড়ন ব্যবহার করবেন জেনে নিন বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে ডাল যেন অপরিহার্য উপাদান। ডাল ভাতে বাঙালিয়ানা পুরোপুরিই প্রকাশ পায়। ডাল রান্নার স্বাদ এবং সুন্দর ঘ্রাণের জন্য অনেকেই নানারকম ফোড়ন ব্যবহার করেন। কোন ডালে কি রকম ফোড়ন ব্যবহার করা ভালো, জেনে নিন-
কোন ডালে কেমন ফোড়ন ব্যবহার করবেন জেনে নিন
বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে ডাল যেন অপরিহার্য উপাদান। ডাল ভাতে বাঙালিয়ানা পুরোপুরিই প্রকাশ পায়। ডাল রান্নার স্বাদ এবং সুন্দর ঘ্রাণের জন্য অনেকেই নানারকম ফোড়ন ব্যবহার করেন। কোন ডালে কি রকম ফোড়ন ব্যবহার করা ভালো, জেনে নিন-
মসুর ডাল: নিয়মিত রান্না হওয়া ডাল হচ্ছে এটি। এ ডালে কালো জিরা, মেথি, রসুন কুচি, শুকনো লঙ্কা দিয়ে ফোড়ন দিলেই স্বাদ আর ঘ্রাণ বেড়ে হয় দ্বিগুণ।
মসুর ডাল: নিয়মিত রান্না হওয়া ডাল হচ্ছে এটি। এ ডালে কালো জিরা, মেথি, রসুন কুচি, শুকনো লঙ্কা দিয়ে ফোড়ন দিলেই স্বাদ আর ঘ্রাণ বেড়ে হয় দ্বিগুণ।
মুগ ডাল: মুগডাল খেতে ভালোবাসেন কমবেশি সবাই। কিন্তু এ ডালে ঠিকঠাক ফোড়ন না দেয়া হলে ঘ্রাণ চমৎকার হয় না। তাই শুকনো লঙ্কা, জিরা, তেজ পাতা,হিং , আদা বাটা দিয়ে ফোড়ন দিতে পারেন স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে।
মুগ ডাল: মুগডাল খেতে ভালোবাসেন কমবেশি সবাই। কিন্তু এ ডালে ঠিকঠাক ফোড়ন না দেয়া হলে ঘ্রাণ চমৎকার হয় না। তাই শুকনো লঙ্কা, জিরা, তেজ পাতা,হিং , আদা বাটা দিয়ে ফোড়ন দিতে পারেন স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়াতে।
মুগ ডাল (মাছের মাথা দিয়ে): তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, সাদা জিরা, গোটা গরম মশলা, অল্প পরিমাণে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা এসব দিয়েই মুগডাল মাছের মাথা দিয়ে রান্না করার সময় ফোড়ন দিলে ভালো হয়। খেতে ভালো লাগে এবং ঘ্রাণও ছড়ায় ভীষণ।
মুগ ডাল (মাছের মাথা দিয়ে): তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, সাদা জিরা, গোটা গরম মশলা, অল্প পরিমাণে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা এসব দিয়েই মুগডাল মাছের মাথা দিয়ে রান্না করার সময় ফোড়ন দিলে ভালো হয়। খেতে ভালো লাগে এবং ঘ্রাণও ছড়ায় ভীষণ।
মটর ডাল: এ ডালে ফোড়ন হিসেবে জিরা, শুকনো লঙ্কা, ইচ্ছে করলে হিংও দিতে পারেন।
মটর ডাল: এ ডালে ফোড়ন হিসেবে জিরা, শুকনো লঙ্কা, ইচ্ছে করলে হিংও দিতে পারেন।
অড়হর ডাল: সাদা জিরা, হিং, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা দিয়ে ফোড়ন দিলেই এ ডাল উপাদেয় হয়।
অড়হর ডাল: সাদা জিরা, হিং, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা দিয়ে ফোড়ন দিলেই এ ডাল উপাদেয় হয়।
ছোলার ডাল: এ ডালে জিরা, তেজপাতা, দারুচিনি, ছোট এলাচ, শুকনো লঙ্কা, সামান্য আদা বাটা, দিয়ে ফোড়ন দিলে ভাল লাগবে।
ছোলার ডাল: এ ডালে জিরা, তেজপাতা, দারুচিনি, ছোট এলাচ, শুকনো লঙ্কা, সামান্য আদা বাটা, দিয়ে ফোড়ন দিলে ভাল লাগবে।