Tag Archives: Dengue

Kalna Sub Divisional Hospital: ডেঙ্গির মরশুমের কথা ভেবে বিশেষ ব্যবস্থা কালনা হাসপাতালে

পূর্ব বর্ধমান: ডেঙ্গুর কথা মাথায় রেখে এবং জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের কথা ভেবে একটি নতুন ওয়ার্ড খোলা হতে চলেছে কালনা মহকুমা হাসপাতালে। প্রসঙ্গত এই হাসপাতালের মহিলা ও পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে হঠাৎই রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বর ছাড়াও আরও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কালনা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একাধিক রোগী। রোগীদের সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে, এক একটি বেডে দুজন করে রোগী রয়েছেন। একই সঙ্গে রোগীর চাপ সামাল দিতে হাসপাতালের ওয়ার্ডের মাটিতে ম্যাট্রেস পেতে রাখা হয়েছে রোগীদের।

এই প্রসঙ্গে একজন রোগী বলেন, দুটো বেডে তিনজন, আবার অনেকসময় চারজনকেও থাকতে হচ্ছে! তিনি বলেন এভাবে থাকতে চরম সমস্যা হচ্ছে। তিনি প্রায় চারদিন ধরে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কালনা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে অফিসিয়ালি ১২০ টি বেড রয়েছে পুরুষ এবং মহিলা ওয়ার্ড মিলিয়ে। তবে রোগীদের চাপ বাড়ার কারণে দুটি ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫০ করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও রোগীর চাপ সামলানো যাচ্ছে না। তাই এবার নতুন চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা হাসপাতালের তরফে।

আর‌ও পড়ুন: কাঠের রথে জিয়া নস্টাল! আষাড় মাস এলেই হাতছানি দেয় ছোটবেলা

এই প্রসঙ্গে কালনা মহকুমা হাসপাতালের সহকারী সুপার বলেন, আসলে আমাদের এখন সব মিলিয়ে প্রত্যেকদিন গড়ে ২০০-এর বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ডেঙ্গি প্রবণতার কথা ভেবে এবং যে সমস্ত জ্বরের রোগীরা আসছেন তাঁদের জন্য নতুন একটা ফিভার ওয়ার্ড খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৩০ বেডের একটা ফিভার ওয়ার্ড খোলা হবে। ইতিমধ্যেই আমাদের জায়গা নির্বাচন করা হয়ে গেছে। সেখানে বেড ও পাতা আছে।

নতুন ফিভার ওয়ার্ড চালু হলে অন্যান্য ওয়ার্ডে রোগীর যে চাপ রয়েছে তার পরিমাণ একটু হলেও কমবে বলে আশাবাদী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যেই এই নতুন ফিভার ওয়ার্ড চালু হয়ে যাবে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Dengue in West Bengal: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে সিঁদুরে মেঘ! জেলা ধরে ধরে সতর্ক করল নবান্ন, বিরাট পদক্ষেপ রাজ্যের

কলকাতা: বর্ষা এসেছে। উত্তরে প্রবল বৃষ্টি চলছে, দক্ষিণেও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। কিন্তু বৃষ্টির পরিমাণ না বাড়লে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার আশঙ্কা থাকবেই। ফলে ফের পুরসভাগুলিকে সতর্ক করল নবান্ন। মশাবাহিত মারণরোগ ডেঙ্গি পরিস্থিতি পর্যালোচনা নিয়ে এদিন সকালে মুখ্যসচিব বৈঠক করেন বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে। “পুরসভাগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের উপর আরও বেশি নজর দিতে হবে। কোনও পুরসভার ঢিলেমি মানা হবে না।” জেলাশাসকদের কড়া বার্তা মুখ্যসচিবের।

গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে যে যে এলাকায় গতবার ডেঙ্গি সংক্রমণ সবথেকে বেশি ছিল সেই এলাকার জেলাশাসকদের এদিনের বৈঠকে বিশেষভাবে সতর্ক করল নবান্ন। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া জেলাকে বিশেষ ভাবে সতর্ক করল নবান্ন। মালদহের ইংরেজবাজার, কালিয়াচক, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি চা বাগান এলাকায় বর্তমানে ডেঙ্গি সংক্রমণ রয়েছে। সেই এলাকার জেলাশাসকদের ও পুরসভাগুলিকে বাড়তি নজর দেওয়ার নির্দেশ এদিনের বৈঠকে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: বর্ষায় বিষধরের উপদ্রব বাড়ে, সাপ কামড়ালে প্রথমেই কী করবেন? জেনে রাখুন ডাক্তারের পরামর্শ

গত সপ্তাহেই ১১০০ ছাড়িয়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। জুন মাস শেষ হতে চললেও তেমন বৃষ্টি হয়নি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। ফলে দক্ষিণবঙ্গে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে এই মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গির বাহক মশা এডিস ইজিপ্টাই শুষ্ক শীতল আবহাওয়ায় জন্মায় না। রাজ্যের একাংশে ব্যাপক গরম রয়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। তাই রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি হচ্ছেই।

আরও পড়ুন: আপনার শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছে? ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই ঘরোয়া টোটকা, জানুন

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের ১৬টি জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। তার মধ্যে মালদা শীর্ষে। ডেঙ্গির এই বাড়বাড়ন্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সাধারণ মানুষজন। নবান্ন বুধবারই তাই জেলাগুলির জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি নিয়ে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

Cricketer Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভারতীয় দলের টেস্ট ক্রিকেটার আকাশ দীপ

শিলিগুড়ি : ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিরাট সতীর্থ। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ভারতীয় দলের টেস্ট ক্রিকেটার আকাশ দীপ। ভারতের হয়ে টেস্ট খেলা বাংলার ক্রিকেটার আকাশদীপ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আকাশদীপের জ্বর এবং দুর্বলতা রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলায় ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগে শিলিগুড়ি দলের আইকন হিসেবে খেলছিলেন আকাশ। বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার জন্য শহরের বাইপাসের ধারে একটি পাঁচতারা হোটেলে টিমের সঙ্গেই ছিলেন আকাশদীপ।

প্রচণ্ড গরমে ইডেনে বল করতে গিয়ে গত সপ্তাহেই অসুস্থ বোধ করেন আকাশ দীপ। আইসপ্যাক ব্যবহার করতে বাধ্য হন তিনি। তবে গরমে অসুস্থ হয়েও ভাল পারফরম্যান্স দেখান শিলিগুড়ি স্ট্রাইকার্সের খোলোয়াড়। ব্যাট হাতে ২০ বলে তিরিশ রান করেন তিনি৷ পরে ১৯ রানে তিনটি উইকেট নেন আকাশ। তাই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পুরস্কারও যায় তাঁরই হাতে।

বিপদের গন্ধ! দেড়শো ডেঙ্গু রোগীর খোঁজ! সতর্কতা জারি, নড়েচড়ে বসল পুরসভা

মালদহ:  মালদহে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪২। বেশ কিছু ডেঙ্গু আক্রান্তের চিকিৎসা হয়েছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর, প্রশাসন ও পুরসভা। ইংরেজবাজার পুরসভার উদ্যোগে বাড়ি বাড়ি ডেঙ্গু সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে।

মালদহের ইংরেজবাজার শহর, কালিয়াচক ১ ,২ এবং ৩ নম্বর ব্লকে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর প্রকোপ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। গত বছরের তুলনায় এবার মালদহে ডেঙ্গু পজেটিভ রোগীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি।

আরও পড়ুন- এক ফলেই কাবু ‘হাজার রোগ’! লিভারের সমস‍্যা থেকে ডায়াবেটিস, ধারে কাছে ঘেঁষবে না

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্লকের বিডিওদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় খুব দ্রুত মালদহে কিছু চিকিৎসক এবং নার্সিং কর্মীদের প্রশিক্ষণ শিবির করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বর্ষার মরশুমে জমা জলে যাতে ডেঙ্গুবাহী মশার বাড়বাড়ন্ত না হয় সেই জন্য পরিবেশ ও পরিছন্নতা রক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলার সমস্ত ব্লকে এজন্য বিডিওদের বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে।

মালদহ শহরে বাড়ি বাড়ি ডেঙ্গু সমীক্ষা করছে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। কোনও বাড়ির কোথাও জমা জল রয়েছে কিনা তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন পুরসভার কর্মীরা।

একইসঙ্গে চলছে সচেতনতা বিযয়ক প্রচারপত্র বিলি। মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, এবার মালদহে ডেঙ্গু রোগী বেশি ধরা পড়ার একটি কারণ হল নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে।

আরও পড়ুন- সাবধান! ফ্যাটি লিভারের নির্দিষ্ট কারণগুলি জানেন তো? শরীরের বারোটা বাজিয়ে দেয়

দীর্ঘদিন কারও জ্বর হলে বা সন্দেহজনক মনে হলে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভয়ভীতির প্রয়োজন নেই। তবে সচেতনতার অবশ্যই প্রয়োজন।যদিও এরইমধ্যে মালদহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘক্ষন জঞ্জাল জমে থাকা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।

মালদা শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই জঞ্জাল জমে থাকার সমস্যা রয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় রাস্তায় জঞ্জাল সাফাই এবং জমা জল নিষ্কাশনে বাড়তি নজর দেওয়ার দাবি করেছে বিরোধী বিজেপি।

Dengue: ঘরে ঘরে ডেঙ্গু জ্বর! এই জেলায় হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা! কোন জেলার ভয়াবহ পরিস্থিতি?

মালদহ: বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর থেকে জেলা প্রশাসক। বৃষ্টি নেই, খরার মরশুমেও মালদহ জেলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু। এমন পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনের। ইতিমধ্যে মালদহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা আধিকারিকদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে।

ডেঙ্গু মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। জেলার স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। জনবহুল এলাকা হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন এলাকায় বেশি করে পরিষ্কার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ জামাইষষ্ঠীর বাজারে ইলিশের মেলা! কতদিন মিলবে সুস্বাদু এই মাছ? কত দামে বিক্রি হচ্ছে?

মালদহ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর এখন পর্যন্ত মালদহে ১৪২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। গত কয়েক বছরের তুলনায় এই বছর আক্রান্তের পরিসংখ্যান অনেক বেশি। সাধারণ এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হয় না, এ বছর ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি তাই আগে থেকেই তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনের।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। জেলার ইংরেজবাজার ও কালিয়াচক তিনটি ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মালদহ জেলার ইংরেজবাজার ও কালিয়াচক তিনটি ব্লকে সব থেকে বেশি ডেঙ্গুর প্রকোপ। তাই এই তিনটি ব্লকের ওপর বিশেষ বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। পাশাপাশি জেলা জুড়ে প্রতিটি ব্লকে ডেঙ্গু সচেতনতা নিয়ে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান কর্মসূচি।

জানা গিয়েছে, জেলার সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ডেঙ্গু নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতর।‌ এছাড়াও ডেঙ্গু মোকাবিলায় যে সমস্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন সেগুলো ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। সাধন মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।

হরষিত সিংহ

Dengue Prevention: ডেঙ্গি রোধের মাধ্যমে জেলায় কর্মসংস্থান! অভিনব ঘটনা এখানে

পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের মানচিত্রে এই জেলা অন্যতম ডেঙ্গি প্রবণ হিসাবে চিহ্নিত। আর তাই এবার আগেভাগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গি রোধের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। যা জেলায় কর্মসংস্থানের পথ খুলে দিয়েছে। গ্রীষ্ম পেরিয়ে বর্ষাকাল দরজায় কড়া নাড়ছে। বর্ষাকাল মানেই ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে ওঠে। আর ডেঙ্গি রোধে বা ডেঙ্গি দমনে একাধিক উপায় গ্রহণ করে প্রশাসন। যার মধ্যে অন্যতম হল শহর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় ড্রেন ও খাল নালাতে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়। কারণ গাপ্পি মাছ মশার লার্ভা খেয়ে মশার বংশ বিস্তার রোধ করে। আর এই গাপ্পি মাছ-ই কর্মসংস্থানের পথ দেখাচ্ছে।

আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে আবার সবুজ চা বাগান, মুখে হাসি মালিক থেকে শ্রমিকদের

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ডেঙ্গি প্রবণ হওয়ায় এবার জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকার ড্রেন, নালা ও জলাশয়ে প্রায় ১০ লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এই বিপুল পরিমাণ মাছের বরাত দেওয়া হয়েছে সিএডিসি তমলুক প্রজেক্টকে। সিএডিসি এই কাজের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিযুক্ত করেছে। তাঁরা দায়িত্ব পেয়ে গাপ্পি মাছ উৎপাদন শুরু করেছেন। জেলার ২৫ টি ব্লকের বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সিএডিসি তমলুক প্রোজেক্ট নিজেরাই ২ লক্ষ গাপ্পি মাছ উৎপাদন করবে। বাকি ৮ লক্ষ গাপ্পি মাছ জেলার ২৫ টি ব্লকের বিভিন্ন স্বনির্ভর দলের মহিলাদের দিয়ে উৎপাদন করানো হবে। এর ফলে গ্রামের মহিলাদের একাংশ গাপ্পি মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

এই বিষয়ে সিএডিসি তমলুক প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর উত্তম কুমার লাহা জানান, এই মাছ চাষের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণের পর মহিলাদের বিনামূল্যে চাষের জন্য গাপ্পি দেওয়া হবে। গাপ্পি মাছের বাজার মূল্য এক থেকে দেড় টাকা। আর এর চাষের খরচ বাজার মূল্যর থেকে তিন ভাগের এক ভাগ। ফলে এই মাছ চাষ করে লাভবান হবে মহিলারা।

সৈকত শী

Dengue Fear: বর্ষা এলেই ডেঙ্গির চোখরাঙানি! আগে থেকেই জেনে রাখুন মশা থেকে বাঁচার উপায়

আলিপুরদুয়ার: ডেঙ্গি রুখতে সবার আগে প্রয়োজন পরিষ্কার থাকার। প্রতিবেশীদের সচেতন করতে হবে পরিচ্ছন্ন থাকার বিষয়। কালচিনি ব্লকের ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে এসে এ কথাই জানালেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিদর্শক কাজল কৃষ্ণ বণিক।

আলিপুরদুয়ার জেলাজুড়ে অনবরত বৃষ্টি চলছে। এর মধ্যেই ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ১০১ জন। যার মধ্যে কালচিনি ব্লক এই রয়েছে ৯০ জন। বিশেষ করে কালচিনি ব্লকের কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতেই রয়েছে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত।

আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশনের কোন খাবার ভারত-বিখ্যাত জানেন? জানুন দেশের আরও ৭ স্টেশনের জনপ্রিয় পদের নাম

কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে পরিদর্শনে এসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিম। কালচিনি ব্লকের মোদি লাইন, কালচিনি বাজার-সহ ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকায় পরিদর্শন করছে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিম। বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে গিয়ে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।

.
.

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ১০ নারী কারা? একবার দেখলে চোখ সরাতে পারবেন না! তালিকায় ভারতের কে জানেন?

তবে শুধু সচেতন করলে হবে না, নিজেদের পরিষ্কার থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিমের চিকিৎসকরা।জমা জলে ডেঙ্গি মশার জন্ম হয়। তাই জল জমতে দেওয়া চলবে না। বাড়ির নালা নিজেদের পরিষ্কার করতে হবে। নিম তেল, নিম পাতার ধুপ ব্যবহার করতে হবে।বিকেল গড়াতে দরজা,জানালা বন্ধ করতে হবে।

Annanya Dey

Alipurduar News: বাধ মানছে না ডেঙ্গি! বর্ষা নামলে আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে এই মশাবাহিত রোগ! চিন্তায় প্রশাসন

আলিপুরদুয়ার: জোর বৃষ্টি হলেই ডেঙ্গি রোখা আর সম্ভব হবে না, তাই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে কালচিনি ব্লক প্রশাসন। ডেঙ্গি রুখতে এবার নর্দমা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিল কালচিনি ব্লক প্রশাসন। জল যাতে এক জায়গায় জমে না থাকে তা ঠিকমত চলাচল করতে পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। রিমল ঝড়ের প্রভাব আলিপুরদুয়ার জেলায় দেখা যায়নি। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে।

এই বৃষ্টিপাত হলেই ডেঙ্গি দমন করা আর সম্ভব হবে না বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। কালচিনি এলাকায় জেসিবি দিয়ে পরিষ্কার করা হয় নর্দমা। এ বিষয়ে কালচিনি বিডিও মিঠুন মজুমদার বলেন,’নর্দমা পরিষ্কার হলে ডেঙ্গির প্রভাব অনেকটাই কমবে বলে আশা করছি। তাই জেলা শাসকের নির্দেশে নর্দমাগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। অবৈধভাবে দখল করা দোকান সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

আরও পড়ুন:কুলকুল করে বয়ে যাচ্ছে নদী, পাশেই জঙ্গল, দৌড়ঝাঁপ থেকে দূরে উত্তরবঙ্গের নতুন এই ডেস্টিনেশন

বর্ষার পূর্বে কালচিনি ব্লকে চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কালচিনি ব্লকে এখনও পর্যন্ত ৬৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিলেছে। যা আলিপুরদুয়ার জেলায় সর্বোচ্চ। কালচিনি ব্লকে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত ২২ জন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Annanya Dey

Howrah News: সামনে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প! মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কোমড় বেঁধে মাঠে নামছে হাওড়া পৌরসভা

হাওড়া:  এবার বর্ষা আসার ঢের আগে থেকেই মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মাঠে নামছে হাওড়া পৌরসভা।  বর্ষার আগে প্রতিবছর ডেঙ্গি দমনে  প্রস্তুতি নেয় হাওড়া পৌরসভা। তবে এবার তার সঙ্গে একাধিক নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ডেঙ্গি দমনে।  ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি চোখ রাঙাতে শুরু করেছে। মালদায় ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ডেঙ্গি।  এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে, যা অন্যান্য জেলার থেকে অনেকটা বেশি। আর তাই মালদার ডেঙ্গি পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করতে আগাম একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে হাওড়া পুরসভা। এক সাংবাদিক বৈঠকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে একাধিক পদক্ষেপের কথা জানালেন হাওড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ডক্টর সুজয় চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: এবার বিনা খরচে শিখুন কম্পিউটার! কোথায়, কীভাবে দেখুন..

প্রতি বছর মশাদের প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ছে। ফলে সাধারণ প্রতিষেধকে কাজ হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে মশার প্রজননে রাশ টানা গেলে সুফল মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর জন্য বর্ষার আগেভাগেই মশার উৎপত্তিস্থলগুলি নষ্টের পরিকল্পনা হয়েছে। আর তা করতে নর্দমা সাফাই, উপরে ঢাকনা দেওয়া, আবর্জনা না জমতে দেওয়া-সহ একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতি বর্ষায় জল জমে যে জায়গাগুলিতে, সেই জায়গাগুলি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া, স্কুলের শৌচালয় নিয়মিত সাফ রাখা, ফি সপ্তাহে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার রাখার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মশা মারার ওষুধ ছড়ানো, ধারাবাহিক প্রচার অভিযানও চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এলাকা সাফাইয়ের জন্য পুরসভা ও ব্লকগুলিতে কত সাফাই কর্মী রয়েছেন, তার একটি সম্পূর্ণ তালিকা তৈরির বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে অস্থায়ী কর্মী দিয়ে কাজ চালানোর বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: শিয়ালদহ-হাওড়া স্টেশনে কোন ব্যবস্থায় মিলবে বিশেষ সুবিধা, জেনে নিন

পুরসভার মেয়র জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জমা জল, নর্দমায় জল জমে আছে কি না, তা পরিদর্শন করা হবে। এখন শুধু পরিষ্কার জলে নয়, নর্দমার জলেও ডেঙ্গি মশারা ডিম পাড়ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই কনট্রোল টিম রাখা হচ্ছে, ওই টিম জমা জল ফেলে দিচ্ছে। এলাকা পরিষ্কার করছে। বাড়ির উঠোনে বা ছাদে উঠে জমে থাকা জল বের করে দিচ্ছে প্রতিদিনই স্প্রে করা হচ্ছে প্রতিটি ওয়ার্ডে। প্রতি ওয়ার্ড পিছু স্প্রে ম্যান রয়েছে। ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুরসভা বিশেষ তৎপর হয়েছে। একারণে আগের তুলনায় ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা কমবে বলে আশাবাদী হাওড়া পুরসভা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রাকেশ মাইতি

Dengue: আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে বাড়চ্ছে ডেঙ্গি! দুই জেলার দিকে বিশেষ নজর নবান্নের

হাওড়াঃ আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে ডেঙ্গি নিয়ে চিন্তিত নবান্ন। স্পেশাল ড্রাইভ করার নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের এই দুই জেলায়। কেন বাড়ছে ডেঙ্গি এই দুই জেলায় তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষভাবে এই দুই জেলায় পরিষ্কারের উপর বিশেষভাবে জোড় দেওয়ার নির্দেশ।

আরও পড়ুনঃ পঞ্চম দফার দিনেই ধাক্কা! ‘বিজেপির বিজ্ঞাপন’ দিতে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের

পাশাপাশি অন্যান্য জেলা গুলোতেও বৃষ্টি আসার আগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ নবান্নের। কোথায় কোথায় জল জমছে তা দেখে জল বের করার জন্য পুরসভাগুলোকে কাজে লাগানোর নির্দেশ। আলিপুরদুয়ার জেলার অন্যত্র ডেঙ্গি সেভাবে থাবা বসাতে না পারলেও কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দিন প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ৬৫ জন। এর মধ্যে কালচিনি ব্লকে আক্রান্ত ৫৪ জন।শুধু কালচিনি গ্ৰাম পঞ্চায়েতে আক্রান্ত ১৭ জন।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩ জন।আলিপুরদুয়ার জেলার ছয়টি ব্লকের মধ্যে কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গির বাড় বাড়ন্তে চিন্তিত স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।