Category Archives: হাওড়া

Howrah News: নদীকে আঁকড়েই জীবন জীবিকা! এভাবেই দিন চলে শ্যামপুরের মানুষের

হাওড়া: নদীর সঙ্গে ওদের সম্পর্ক নিবিড়, বর্ষায় নদী জলে পুষ্ট হলে আর পাঁচটা মানুষ কাছে যেতে ভয় পেলেও সে সময় নদীকে আরও আঁকড়ে ধরে ওরা। নদী ওদের মা, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান যোগান দেয় নদী। দিন কিবা রাত। রোদ ঝড় বৃষ্টিতে নদীর উপর ভর করেই চলে বুদ্ধদেব ঝোড়োদের সংসার। নদীর বুকে মীন ধরে দিন গুজরান গ্রামের কয়েকশ পুরুষ-মহিলা। ভরা বর্ষা আর শ্রাবণের ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দামাল রূপনারায়ণের সঙ্গে লড়াই করে দিনান্তের আহার জুগিয়ে চলেছে হাওড়ার শ্যামপুরের গোপীনাথপুর, আন্টিলাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েকশো মানুষ।

আরও পড়ুন: ১৯৬ দেশ ভ্রমণের ইচ্ছা! নেপালি তরুণের সঙ্গী সাইকেল আর তাঁবু, পৌঁছলেন হাওড়ায়

প্রতিদিন কাক ভোরে উঠে যা নিয়ে বের হওয়া। রহস্যময় রূপনারায়ণ নদের পাড় ধরে মীন ধরা। নদের পাড় বরাবর দুই -তিন কিঃমিঃ যাতায়াত করে ৩-৪ ঘন্টা চিংড়ির মীন ধরে আবার ঘরে ফেরে। আবারও বিকেল থেকে শুরু করে রাত্রি ৮ পর্যন্ত একই ভাবে ধরে মীন। মীন কিনতে গ্রামে পাইকার আসে রাতের দিকে। আমদানি কম হলে দাম একটু বেশি হয়, তখন এক টাকা পিস। আবার বেশী ধরা হলে ২৫ পয়সা পিস। কোনও কোনও দিন আবার জালে মীন পড়েই না। সে দিন এক বেলার খাবার দু’বেলা ভাগ করে খেতে হয় তাদের। সংসার চালাতে পরিবারের স্বামী,স্ত্রী উভয়কে হাতে নিতে হয়েছে মীন ধরার জাল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পরিবারের পুরুষ মহিলা মিলে সর্ব সাকুল্যে ৩০০ – ৪০০ টাকা আয়। যা দিয়ে এই চড়া দ্রব্যমূল্যের এই সময়ে দিন চালানো বড় দায়। কোনও মতে দিন এনে দিন খাওয়া। তবু মীন ধরে দিন চলে যায় হাওড়ার শ্যামপুর ব্লকের কয়েকশো মানুষের।

রাকেশ মাইতি

Indian Railways: যাত্রীদের জন্য বাম্পার খবর, সস্তায় পাড়ি দেবেন দূরের পথ, যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে বড় পদক্ষেপ ভারতীয় রেলের

সাধারণ মানুষের কথা ভেবে দূরপাল্লার ট্রেনে দারুণ পরিবর্তন! দেশ জুড়ে প্রায় ২৫০০ নন এসি কোচ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় রেল।
সাধারণ মানুষের কথা ভেবে দূরপাল্লার ট্রেনে দারুণ পরিবর্তন! দেশ জুড়ে প্রায় ২৫০০ নন এসি কোচ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় রেল।
দীর্ঘদিন ধরেই দেশ জুড়ে নন এসি কোচের ঘাটতি ছিল। সেই সমস্যা মেটাতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কোচ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রেল।
দীর্ঘদিন ধরেই দেশ জুড়ে নন এসি কোচের ঘাটতি ছিল। সেই সমস্যা মেটাতে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কোচ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রেল।
যাত্রীদের অভিযোগ এ সি কামরায় কনফার্ম টিকিট থাকার সত্বেও কামড়ায় ভ্রমণ করতে পারেনি। এমন নানা কারণ একই সঙ্গে বারংবার ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের দিকে আঙ্গুল তুলেছে মানুষ। এর মাঝেই একগুচ্ছ নয়া উদ্যোগ। সাধারণ যাত্রীদের জন্য সুখবর রেলের।
যাত্রীদের অভিযোগ এ সি কামরায় কনফার্ম টিকিট থাকার সত্বেও কামড়ায় ভ্রমণ করতে পারেনি। এমন নানা কারণ একই সঙ্গে বারংবার ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের দিকে আঙ্গুল তুলেছে মানুষ। এর মাঝেই একগুচ্ছ নয়া উদ্যোগ। সাধারণ যাত্রীদের জন্য সুখবর রেলের।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, সহ ট্রেনে সাধন কোচের অনুপাত দুই-তৃতীয়াংশ। আর এক তৃতীয়াংশ এসি কোচ। এটাই কমপজিশন এবং সেটা বজায় রাখা হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড কম্পোজিশন অনুযায়ী প্রতিটি মেইল ট্রেনে কমপক্ষে ৪ টি সাধারণ কোচ থাকতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য রেল ১০ হাজার সাধারণ কোচ তৈরির কাজ হাতে নিয়েছে। সরকার আরও ৫০ টি অমৃত ভারত ট্রেন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, সহ ট্রেনে সাধন কোচের অনুপাত দুই-তৃতীয়াংশ। আর এক তৃতীয়াংশ এসি কোচ। এটাই কমপজিশন এবং সেটা বজায় রাখা হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড কম্পোজিশন অনুযায়ী প্রতিটি মেইল ট্রেনে কমপক্ষে ৪ টি সাধারণ কোচ থাকতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য রেল ১০ হাজার সাধারণ কোচ তৈরির কাজ হাতে নিয়েছে। সরকার আরও ৫০ টি অমৃত ভারত ট্রেন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই উদ্যোগ ভারতীয় রেলের।
এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই উদ্যোগ ভারতীয় রেলের।

Nepali Cyclist: ১৯৬ দেশ ভ্রমণের ইচ্ছা! নেপালি তরুণের সঙ্গী সাইকেল আর তাঁবু, পৌঁছলেন হাওড়ায়

হাওড়া: ১৯৬টা দেশ ভ্রমণের ইচ্ছা। সাইকেল নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন নেপালের যুবক রোশন লামিচান। নেপাল থেকে যাত্রা শুরু করে, বাংলাদেশ হয়ে ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় এসে পৌঁছান রোশন। সাইকেল চালিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ। তাঁর এই অভিযানের উদ্দেশ্য, একটানা কয়েক বছর সাইকেল চড়ে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেওয়া। এই যাত্রায় রোশনের সঙ্গী সাইকেল। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী। সাইকেলের সামনে পিছনে বাধা রয়েছে নেপালের জাতীয় পতাকা। সাইকেলের সামনে বাঁধা ব্যানারে পরিবেশ বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ এবং প্রাণ বাঁচাতে রক্তদানের বার্তা।

আরও পড়ুন: যে কোনও ডাল খাচ্ছেন? ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে! মুগ নাকি মুসুর… কোনটি স্বাস্থ্যকর? বলছেন চিকিৎসক

বাইসাইকেল চালিয়ে বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছেন নেপালের ২৮ বছরের যুবক রোশন লামিচান। তিনি নেপাল থেকে সাইকেল চালিয়ে ভারতের শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাবান্ধা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ছোটবেলা থেকেই ভ্রমণে আগ্রহী। রোশনের বসবাস নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে | শখের বসেই নিজের সাইকেল নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছেন বলে জানালেন রোশন। তিনি জানান, স্কুলে পড়ার সময় থেকে ইচ্ছা ছিল তিনি সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ করবেন। তাঁর দেশ থেকে সাইকেল চালিয়ে সারা বিশ্ব ঘুরেছেন, এমন মানুষদের দেখেই এই উৎসাহ। আর সেই ইচ্ছা থেকে সাইকেলে চেপে নেপাল হয়ে বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ।

সাইকেল চড়ে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে রোশন। পরিবেশ বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ, জীবন বাঁচাতে রক্তদান-সহ একাধিক পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন। হাওড়ার ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেটর মন্দিরা চৌধুরী জানান, এই উদ্যোগ অভাবনীয়। পরিবেশ বাঁচাতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই দিক থেকে রোশনের হাওড়া পৌঁছানো থেকে, হাওড়া ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত তাঁকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে হাওড়া রেড ক্রস সোসাইটি।

রাকেশ মাইতি

Howrah News: আবারও বেপরোয়া গতির বলি লুপ্ত প্রায় গন্ধগোকুল! উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমী

হাওড়া: আবারও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানী বন্যপ্রাণীর। এবার গতির বলি ইন্ডিয়ান স্মল সিভেট বা গন্ধগোকুল। এই প্রাণী অনেকটা বড় বিড়ালের মত প্রাণী । যা এশীয় তাল খাটাশ, ভোন্দর, লেনজা, সাইরেল বা গাছ খটাশ নামেও পরিচিত। এই প্রাণী লুপ্ত প্রায় প্রাণীর মধ্যে একটি। এবার আন্দুলের আরগড়িতে মৃত্যু হল গন্ধগোকুলের। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন যে, রাস্তার উপর একটি গন্ধগোকুলের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তখনও দেহে প্রাণ আছে। কিভাবে সড়ক দুর্ঘটনা তা নজরে পড়েনি। এলাকার বাসিন্দাদের অনুমান, খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে প্রাণীটি। ওই বন্যপ্রাণী সেভাবেএলাকায় দেখা যায়নি বলেও দাবি স্থানীয়দের।

আরও পড়ুন: জল জমার সমস্যা দূর করতে গিয়ে এ কী বেরিয়ে এল! দেখলে আপনিও চমকে উঠবেন

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, আহত গন্ধগোকুলকে ঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা করান যেত তাহলে হয়তো প্রাণীটি বেঁচে যেত। তাঁর অভিযোগ বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাঁকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। তাতে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। তাঁর আক্ষেপ বন দফতরের সঙ্গে তাড়াতাড়ি যোগাযোগ করা গেলে হয়ত। গন্ধগোকুলটিকে বাঁচান যেত। গন্ধগোকুলের খাদ্যাভ্যাসে রয়েছে সব ধরনের ফল, বিভিন্ন ছোট প্রাণী ও পতঙ্গ, তাল-খেঁজুরের রস ইত্যাদি। গাছে উঠতে পারলেও মাটিতেই শিকার ধরে এবং ইঁদুর, কাঠবিড়ালী, ছোট পাখি, টিকটিকি, কীটপতঙ্গ ও সেগুলোর লার্ভা খেয়ে থাকে। দেশভেদে এদের খাবারের তারতম্য দেখা যায়। কফি এদের অন্যতম প্রিয় একটি খাদ্য।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এরা পরিবেশের জন্য মোটেও ক্ষতিকর নয় বরং পরিবেশের উপকার করে। আমাদের নিজেদের স্বার্থেই এ প্রাণীর প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত।
রাকেশ মাইতি

Bangla Video: জল জমার সমস্যা দূর করতে গিয়ে এ কী বেরিয়ে এল! দেখলে আপনিও চমকে উঠবেন

হাওড়া: বর্ষাকালে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় জলজমার সমস্যা নতুন নয়। গত দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে বহু এলাকায় যথারীতি জল জমেছে। জোর তৎপরতায় সেই সব জমা জল দ্রুত বের করার কাজ চলছে। কিন্তু হাওড়ার সাঁকরাইলে জমা জলের সমস্যা দূর করতে গিয়ে যা দেখলেন এলাকাবাসীরা তা শুনলে আপনার চোখও কপালে উঠে যাবে। দেখা গেল নিকাশি নালা বন্ধ করে সেখানে তুলে দেওয়া হয়েছে আস্ত প্রাচীর!

নিকাশি নালা বন্ধ করে প্রাচীর তুলে দেওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই এলাকার জল বেরোতে পারেনি। এর ফলে কয়েক শো পরিবার জলমগ্ন অবস্থায় বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। যে কারণে অল্প বৃষ্টিতেই জল থই থই করছে এলাকায়। এলাকায় জল জমার সমস্যার সমাধান করতে গিয়েই জমা মাটির স্তুপের পিছনে কংক্রিটের প্রাচীরে দেখা পাওয়া যায়। এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তার খোঁজ চালাচ্ছেন স্থানীয়রা।

আর‌ও পড়ুন: শতাব্দী প্রাচীন বটগাছ বাঁচাতে এ কী করল প্রাক্তনীরা! শুনলে ধন্য ধন্য করবেন

এই ঘটনা হাওড়ার দক্ষিণ সাঁকরাইল পঞ্চায়েতে এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ সত‍্যেন বোস রোডের নিচ দিয়ে যাওয়া নিকাশি নালা বন্ধ করে দেওয়াতেই এই পরিস্থিতি হয়েছে। মানুষকে দুর্ভেগে ফেলতে এমন নিম্ন মানসিকতার কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান রিজিয়া খাতুন নিজে দেখে এসে পরিস্থিতি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস‍্য বলেন, আমরা মানুষের দুর্ভোগ মেটাতে নালা পরিস্কার করতে যাই। চারজনের একটি দল ৬ ফুট লম্বা ও ৪ ফুট চওড়া মাটির স্তুপ সরাতেই প্রাচীরটি সামনে আসে। যদিও এই ঘটনা কে বা কারা ঘটেছে তা জানা যায়নি।

রাকেশ মাইতি

Heavy rainfall alert: দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভয়ঙ্কর দুর্যোগের সম্ভাবনা, টানা বৃষ্টি, হতে পারে বন্যাও

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পুরোপুরি ঝাড়খণ্ড হয়ে বিহারে সরে যাবে এই নিম্নচাপ, জানানো হয়ে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। এটি ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে, অভিমুখ মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশ।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পুরোপুরি ঝাড়খণ্ড হয়ে বিহারে সরে যাবে এই নিম্নচাপ, জানানো হয়ে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। এটি ক্রমশ পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে, অভিমুখ মধ্যপ্রদেশ ও উত্তর প্রদেশ।
মৌসুমী অক্ষরেখা অজমেড়, গোয়ালিয়র, সিদ্ধির পর নিম্নচাপ এলাকার ওপর দিয়ে বাংলার বাঁকুড়া ও ক্যানিং হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
মৌসুমী অক্ষরেখা অজমেড়, গোয়ালিয়র, সিদ্ধির পর নিম্নচাপ এলাকার ওপর দিয়ে বাংলার বাঁকুড়া ও ক্যানিং হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
সেই সঙ্গে পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা উত্তর রাজস্থান থেকে দক্ষিণ আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত যেটি ঝাড়খণ্ড এবং নিম্নচাপ এলাকার পর উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে।
সেই সঙ্গে পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা উত্তর রাজস্থান থেকে দক্ষিণ আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত যেটি ঝাড়খণ্ড এবং নিম্নচাপ এলাকার পর উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে।
এই ত্রিফলার প্রভাবে আগামী ৭ দিন উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। চাপের প্রভাব সরে যাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে, রবি ও সোমবার। মঙ্গলবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।
এই ত্রিফলার প্রভাবে আগামী ৭ দিন উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। চাপের প্রভাব সরে যাওয়ায় দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে, রবি ও সোমবার। মঙ্গলবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।
শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, বীরভূম এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।
শনিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া জেলায়। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, বীরভূম এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়।
রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
রবিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
সোমবার কোন সতর্কবার্তা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জন্য। তবে মঙ্গলবার ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে।
সোমবার কোন সতর্কবার্তা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জন্য। তবে মঙ্গলবার ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে।
টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টিতে দৃশ্যমানতা কমে শহর এলাকায় যানজট ও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টিতে দৃশ্যমানতা কমে শহর এলাকায় যানজট ও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।

Howrah News: ফিন সুইমিং-এ সোনা জয়, মৈত্র-র জোরালো পারফরম্যান্সে ভারত সেরা বাংলা, কেমন করে খেলে ফিন সুইমিং

হাওড়া: জাতীয় ফিনসুইমিং প্রতিযোগিতায় সোনা! আন্ডার ওয়াটার ফিনসাঁতার প্রতিযোগিতায় দেশ সেরা বাংলা। এই প্রতিযোগিতায় জোড়া সোনার পদক জয়ে করে আরও আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলার মৈত্র। আন্ডার ওয়াটার প্রতিযোগিতার মধ্যে একটি ফিনসাঁতার। এই সাঁতারের ধরন সাধারণ সাঁতারের থেকে একটু আলাদা।

এখানে প্রতিযোগী একটি নলাকার বাঁকানো পাইপের ন্যায় যন্ত্র বা স্নরকেল ব্যবহার করে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে। এখানে প্রতিযোগীর মাথা সম্পূর্ণ জলে নিমজ্জিত থাকবে। এই খেলা আন্তর্জাতিক তালিকাভুক্ত। এবার সপ্তম জাতীয় ফিনসাঁতার প্রতিযোগিতা রাজস্থান উদয়পুরে অনুষ্ঠিত হয়। ফিনসাঁতার এমনই একটি সাঁতার যা আন্ডার ওয়াটার জলের অভ্যন্তরীণ খেলার তালিকাভুক্ত।

আরও পড়ুন – Heavy Rain Alert: নিস্তার নেই, ফের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধেয়ে আসছে চরম দুর্যোগ, বজ্রপাতের আশঙ্কা, তোলপাড় বৃষ্টিপাত

এই প্রতিযোগিতায় যদি কোনও কারণে প্রতিযোগী সাঁতারের সময় মাথা জলের ওপরে নিয়ে আসে, সেই মুহূর্তে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েন প্রতিযোগী। এই খেলার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড়রা ডুবুরি এবং নৌবাহিনীর দল অংশগ্রহণ করে।এবার সপ্তম জাতীয় ফিনসাঁতার প্রতিযোগিতায়। সারা বাংলা থেকে ২০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। তার মধ্যে একজন হাওড়া আন্দুলের মৈত্র দে।

জাতীয় স্তরের এই প্রতিযোগিতায় সোনা এবং রুপোর পদক জয় করে হাওড়া নাম আলোকিত করেছে মৈত্র। সে একটি বেসরকারি স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। পরিবার সূত্রে জানা যায় ছোটবেলা থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি ভীষণ মনোযোগী মৈত্র।এ প্রসঙ্গে মৈত্র জানায়, এই সফলতার পেছনে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকার ভীষণ অবদান রয়েছে। বন্ধুরা ভীষণভাবে উৎসাহিত করেছে একইসঙ্গে। লেখাপড়ার ফাঁকে এই খেলা চালিয়ে যেতে শিক্ষক শিক্ষিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। আগামীতে নৌবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশ সেবা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে জাতীয় স্তরে সোনা জয়ী হাওড়ার মৈত্র দে।
Rakesh Maity

Howrah Mumbai Mail Accident Update: প্রবল ঝাঁকুনি-অন্ধকার ট্রেনে ধোঁয়া! দুর্ঘটনাগ্রস্ত হাওড়া-মুম্বই মেলে কীভাবে বাঁচলেন নূর ও তোফিক? শিউরে উঠবেন

হাওড়া: তখন গভীর ঘুমে যাত্রীরা, হঠাৎ প্রবল ঝাঁকুনি। উপর থেকে নিচে পড়ে মাথায় আঘাত! চোখ খুলতেই হৈ হৈ কাণ্ড ট্রেনের মধ্যে, চারিদিকে ধোঁয়া। ট্রেনের প্রায় সকল যাত্রী ঘুমে তখন মগ্ন। তখন ঘড়িতে ৩.৪৫ হবে। সকাল হতে তখনও কয়েক ঘণ্টা বাকি। ভোররাতে ঝাড়খণ্ড চক্রধরপুর রেলওয়ে বাদাবাম্বুর কাছে হাওড়া সিএসটিএম ট্রেন দুর্ঘটনা।

হাওড়া থেকে ছেড়ে মুম্বই যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে ১২৮১০ হাওড়া ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনে চেপেই মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন পশ্চিম বাউড়িয়ার বাসিন্দা নূর এবং তোফিক।
হঠাৎ ঝাঁকুনিতে উপরের সিট থেকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই নিচে পড়েন নূর মল্লিক ও তোফিক মল্লিক। হয়তো জীবন এখানেই শেষ। এক সময়, এমনটাও মনে হয়েছিল তাঁদের।

আরও পড়ুন: বৃষ্টি পড়তেই ঠান্ডা বিয়ারে চুমুক দিচ্ছেন! বিয়ার খেলে শরীরে কী হয় জানেন? রইল বিশেষজ্ঞের মত

অন্ধকারাচ্ছন্ন চারিদিক ধোঁয়া, চারিদিক হই হই কাণ্ড। তখনও উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি, কোনও রকমে প্রাণ বাঁচাতে নিজেরাই টেনে হিঁচড়ে বের হওয়া। মাথায় চোট পান দুজনেই। কিছু সময় পর পরিবারে খবর দেন। আর মুম্বই নয়, জীবন বাঁচলে অনেক কাজ হবে। একথা ভেবে ছেলেদের ঘরে ফেরার বার্তা দিয়েছেন ছেলেদের মা। দুর্ঘটনার খবর শুনে পরিবার দারুণ চিন্তায় ছিল দু’দিন।

আরও পড়ুন: বাড়িতে শেষ কথা রাত ১০টায়, পরে ঘুমন্ত ট্রেনে দুর্ঘটনা! সেদিন হাওড়া-মুম্বই মেলে ছিলেন মালদহের ৩ ফলবিক্রেতা

চিন্তার অবসান ঘটে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতে। একই পরিবারের দুইজনের ট্রেন যাত্রী নূর ও তোফিক। মাথায় সজোরে আঘাত, চোখ খুলতে যে দৃশ্য দেখলে তার জন্য মোটেও আন্দাজ করতে পারেননি হাওড়ার পশ্চিম বাউড়িয়ার তোফিক মল্লিক এবং নূর হাসান। দুর্ঘটনার কবল থেকে মুক্তি পেয়ে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরতে যেন স্বস্তি পেয়েছে পরিবার।

রাকেশ মাইতি

Durga Puja 2024: গতানুগতিক বা সাবেকি নয়, এবারের পুজোয় ট্রেন্ডিং থিমের প্রতিমা! অস্বস্তিতে মৃৎশিল্পীরা 

হাওড়া: ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র ক’দিন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে, কলকাতার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে জেলাগুলোও, মণ্ডপের পাশাপাশি প্রতিমায় থিমের ছোঁয়া। প্রতিবছরই বাড়ছে থিমের প্রতিমার চাহিদা।

ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর কাউন্টডাউন। অন্যদিকে শিল্পীদের হাতে প্রতিমা তৈরিতে চরম ব্যস্ততা। পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই প্রতিমার কাজ শুরু হয়। যদিও থিমের বরাত দেরিতে মেলায় সমস্যাও দেখা দিয়েছে শিল্পীদের মধ‍্যে।

আরও পড়ুন: বাঁধে বিরাট ফাটল! হু হু করে ঢুকছে জল, চিন্তা বাড়াচ্ছে এক নাগাড়ে বৃষ্টি, ভেসে যেতে পারে এই এলাকা

ক্যালেন্ডারের হিসেব বলছে, বাঙালির সেরা উত্‍সব দুর্গাপুজো আসতে হাতে আর মাত্র ২ মাস বাকি বললেই চলে। তারপরই বেজে উঠবে বোধনের শঙ্খ। এবার পুজোয় ট্রেডিং প্রতিমা । পুজো মানেই আকর্ষণীয় মণ্ডপ। আর মণ্ডপের পরেই আসে আকর্ষণীয় প্রতিমা |

এবারে জেলা জুড়ে থিমের প্রতিমার দারুন চাহিদা রয়েছে | মৃৎশিল্পালয় গুলিতে কোথাও সাবিকিয়ানা প্রতিমা একই সঙ্গে থিমের প্রতিমা। এবার পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিমায় চাইছেন আরও নতুনতত্বের ছোঁয়া।

আরও পড়ুন: সারাবিশ্বে JCB মেশিনের রং সবসময় হলুদ হয় কেন? JCB-র নামেও আছে বড় রহস‍্য, ৯৯% লোকজনই আসল কারণ জানেন না

বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি দেখা যায় পুজোর সময় | কোথাও সাবেকিয়ানার মূর্তি কোথাও বা আর্টের প্রতিমা পুজো করা হয় | কেউ মূর্তি বানান খড়, মাটি, রং ইত্যাদি দিয়ে । কোনও শিল্পী বানান ফেলে দেওয়া বস্তু কিংবা ভেষজ উপাদান দিয়ে।

প্রতি বছরই মণ্ডপ ও প্রতিমায় কলকাতার অন্যান্য পুজো মণ্ডপগুলির সঙ্গে রীতিমতো টেক্কা দেয় শহর ও শহরতলির পুজোগুলো । নিত্য-নতুন থিমের মাধ্যমে নজরকাড়া মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শকদের মন জয় করে নেয় | সেইমতো প্রতিমা তৈরীতে এখন জোরকদমে লেগে পড়েছে জেলার প্রতিমা শিল্পীরা পিছিয়ে নেই হাওড়াও।

আরও পড়ুন: মিইয়ে যাচ্ছে মুড়ি? ২ মিনিটেই হবে কুড়কুড়ে, এই টিপস মনে রাখলে মাসের পর মাস থাকবে মুচমুচে

তবে সাধারণত একই ছাঁচে প্রতিমা গড়ে রং কাপড় আর অলংকারেই আলদা করে তোলা হয় পোটোপাড়ায়। কিন্তু এবছর বরাত দিতে আসা ক্লাবের চাহিদা আলাদা আলাদা থিমের ঠাকুর। আর তাতেই অস্বস্তিতে মৃৎশিল্পীরা। তারা জানান, প্রতি দেবীমুর্তির আলাদা রূপ দিতে খুবই ভাল লাগে কিন্তু তা সময় সাপেক্ষ।

রাকেশ মাইতি

Adventure: সাইকেলে হাওড়া থেকে কেদারাথ যাবেন ২ বন্ধু! কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এই অভিযান, জানালেন বিশেষজ্ঞরা

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: হেঁটে বা সাইকেল বাইক ভ্রমণের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে একাংশের মানুষের মধ্যে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পর্যটকদের লক্ষ্যে রয়েছে পাহাড়। সারা দেশের মানুষ ছুটে যায় পাহাড়ে বদ্রীনাথ থেকে কেদারনাথ। এই প্রবণতা এ বাংলাতেও ভীষণ ভাবে। বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে বদ্রীনাথ কেদারনাথের টানে সাইকেলে বাইক তো বটেই। এমনকি হেঁটেও পৌঁছচ্ছেন মানুষ।

এ বার উত্তরাখণ্ড পাড়ি দিলেন হাওড়ার ১৭ বছরের ২ যুবক। যেন মন চাইলেই যাওয়া হচ্ছে কেদারনাথ। বর্তমান সময়ে হেঁটে অথবা সাইকেলে করে কেদারনাথ যাত্রার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে মতামত জানালেন অভিযাত্রীরা।আসলে ছোট থেকেই শিবের ভক্ত হাওড়ার সাঁকরাইলের ১৭ বছরের দুই বন্ধু রোহিত সর্দার এবং আদি দাস | ইচ্ছে ছিল কেদারনাথ শৈবতীর্থে পৌঁছে সেখানে গিয়ে শিবের মাথায় জল ঢেলে আসবেন | তবে আর্থিক প্রতিকূলতা তাঁদের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়ায়| এতটা পথ সাইকেলে পাড়ি দেওয়া কঠিন | অবশেষে টাকা জমানোর পর পরিবারের লোকজন বাধা দিলেও তাঁরা থেমে থাকেননি| অবশেষে তাঁদের কেদারনাথের প্রতি ভক্তি ও টান দেখে শেষ পর্যন্ত পরিবারের লোকেরা অনুমতি দিয়েছেন | গত কয়েক বছরে সাইকেলে কেদারনাথ যাত্রার প্রবণতা দারুণভাবে দেখা যাচ্ছে |

আরও পড়ুন : এই খাবারগুলি খেলেই চড়চড়িয়ে বাড়বে ইউরিক অ্যাসিড? এগুলি খেলে কমবে অসহ্য গাঁটের ব্যথা! জানুন সুস্থতার চাবিকাঠি

এ বিষয়ে মতামত জানালেন অভিযাত্রী অর্ক এবং রিক্তা | আর পাঁচ জনের মতোই ইচ্ছেপূরণ করতে কেদারনাথ যাত্রা দু’বন্ধুর। দীর্ঘ এই পথ সাধারণ সাইকেলে পাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকেই। এই যাত্রায়, প্রতিদিন প্রায় ৬০-৮০ কিমি পথ অতিক্রম করবেন বলে জানান রোহিত ও আদি। অল্প বয়সে এই দীর্ঘপথ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা একবারেই শূন্য। যে কারণে সিদ্ধান্ত নিতে তাঁদের অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে বলেও জানান রোহিত,আদি |

কিন্তু সমস্ত কিছু মহাদেবের টানে নিজেদের ইচ্ছা পূর্ণ করতে স্বল্প পুঁজি, কিছু খাবার নিয়ে মনের জোরে তাদের এই যাত্রা বলে জানান তাঁরা |অভিযাত্রী  অর্ক এবং রিক্তার বক্তব্য, প্রতিকূল জায়গায় কথা ভেবে সব দিক বিবেচনা করেই সকলের ভাবা উচিত সাইকেলে বা হেঁটে যাত্রার কথা |