হাওড়া: নদীর সঙ্গে ওদের সম্পর্ক নিবিড়, বর্ষায় নদী জলে পুষ্ট হলে আর পাঁচটা মানুষ কাছে যেতে ভয় পেলেও সে সময় নদীকে আরও আঁকড়ে ধরে ওরা। নদী ওদের মা, অন্ন বস্ত্র বাসস্থান যোগান দেয় নদী। দিন কিবা রাত। রোদ ঝড় বৃষ্টিতে নদীর উপর ভর করেই চলে বুদ্ধদেব ঝোড়োদের সংসার। নদীর বুকে মীন ধরে দিন গুজরান গ্রামের কয়েকশ পুরুষ-মহিলা। ভরা বর্ষা আর শ্রাবণের ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দামাল রূপনারায়ণের সঙ্গে লড়াই করে দিনান্তের আহার জুগিয়ে চলেছে হাওড়ার শ্যামপুরের গোপীনাথপুর, আন্টিলাপাড়া সহ বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েকশো মানুষ।
আরও পড়ুন: ১৯৬ দেশ ভ্রমণের ইচ্ছা! নেপালি তরুণের সঙ্গী সাইকেল আর তাঁবু, পৌঁছলেন হাওড়ায়
প্রতিদিন কাক ভোরে উঠে যা নিয়ে বের হওয়া। রহস্যময় রূপনারায়ণ নদের পাড় ধরে মীন ধরা। নদের পাড় বরাবর দুই -তিন কিঃমিঃ যাতায়াত করে ৩-৪ ঘন্টা চিংড়ির মীন ধরে আবার ঘরে ফেরে। আবারও বিকেল থেকে শুরু করে রাত্রি ৮ পর্যন্ত একই ভাবে ধরে মীন। মীন কিনতে গ্রামে পাইকার আসে রাতের দিকে। আমদানি কম হলে দাম একটু বেশি হয়, তখন এক টাকা পিস। আবার বেশী ধরা হলে ২৫ পয়সা পিস। কোনও কোনও দিন আবার জালে মীন পড়েই না। সে দিন এক বেলার খাবার দু’বেলা ভাগ করে খেতে হয় তাদের। সংসার চালাতে পরিবারের স্বামী,স্ত্রী উভয়কে হাতে নিতে হয়েছে মীন ধরার জাল।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পরিবারের পুরুষ মহিলা মিলে সর্ব সাকুল্যে ৩০০ – ৪০০ টাকা আয়। যা দিয়ে এই চড়া দ্রব্যমূল্যের এই সময়ে দিন চালানো বড় দায়। কোনও মতে দিন এনে দিন খাওয়া। তবু মীন ধরে দিন চলে যায় হাওড়ার শ্যামপুর ব্লকের কয়েকশো মানুষের।
রাকেশ মাইতি