Tag Archives: Business
Business Success Story: ৩৫০ গাছ লাগিয়ে মরশুমে ১০ লক্ষ আয়! বিলাসবহুল গাড়িতেই চলে বিকিকিনি, ফল বিক্রেতার গল্প মাথা ঘুরিয়ে দেবে
Business: নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা করছেন? সুযোগ-টাকা দিচ্ছে সরকার, রাজ্যের ‘মেগা স্কিম’ জানুন বিস্তারিত
Business: এই গাছ সাক্ষাৎ ঈশ্বরের আশীর্বাদ! ১০ পয়সায় শুরু হয় এই ব্যবসা! পাতা-ফল সবই অমূল্য
Indoor Plant Business: কলেজে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’হাত ভরে আয়! বাড়িতেই ইনডোর প্ল্যান্ট চাষ করে যুবকের কামাল
পশ্চিম মেদিনীপুর: ছোট থেকেই বাড়ির বড়দের দেখে ফুল-ফলের গাছ লাগানো তার নেশা। সেই নেশাকে প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে জিইয়ে রেখেছে কলেজ ছাত্র সৌগত নন্দ। গাছ লাগানোর সেই নেশা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে পেশাতে। প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় থেকেও রাজ্যের পাশাপাশি সারাদেশে অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমে গাছ বিক্রি করে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছে এই কলেজ পড়ুয়া।
বাড়িতে প্রায় ৫০০ প্রজাতির ইনডোর প্ল্যান্ট চাষ করে যুব প্রজন্মকে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের এই যুবক। পড়াশোনার পাশাপাশি নেশা থেকেই বাড়িতে একাধিক প্রজাতির ইনডোর প্লান্ট চাষ করেছে সে। দাঁতন থানার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা উঁচুডিহা। এই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকেই স্নাতক পাস সৌগত নন্দ বাড়িতেই নিতান্তই শখের বসে শুরু করেন গাছ লাগানো। সেটাই এখন তাঁর পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার পরিদর্শনে গিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগের মুখে মহাকুমাশাসক
বর্তমানে তাঁর কাছে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালে তিনি ভূগোল নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হন। ২০২১ এ করেছেন বিএড কোর্স। এরপর তিনি এক বছর লাইব্রেরি সায়েন্স ডিপ্লোমা এবং বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।
বাড়িতে সামান্য জায়গায় ফার্ম হাউস করে চাষ প্রায় ৫০০ প্রজাতির ইনডোর প্ল্যান্টের। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম এবং অনলাইনে রাজ্যের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ইনডোর প্ল্যান্ট বিক্রি করছেন। ফার্ন, অ্যাডেনিয়াম, হোয়া, অ্যানফরিয়াম, ক্যাকটাস প্রজাতি, অক্সালিস, অ্যালোকেসিয়া, মনস্টার অ্যালবো সহ একাধিক প্রজাতির গাছ রয়েছে তাঁর কাছে। দাম ৫০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি কাশ্মীর, আন্দামান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেছেন। সামান্য পরিচর্যায় এই গাছের যত্ন নেওয়া সম্ভব।
প্রসঙ্গত ছোট থেকে নেশা থাকায় এক এক করে তিনি থাইল্যান্ড, ইকুইজেনেরিয়া সহ গ্রামীণ বিভিন্ন নার্সারি থেকে তিনি এক একটি গাছ সংগ্রহ করে লাগিয়েছেন। ধীরে ধীরে পরিচর্যায় বড় করে তুলেছেন ইনডোর প্লান্ট ফার্ম। বর্তমানে তা বিক্রি করে মাসিক প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত তিনি রোজগার করছেন। বাড়িতে পড়াশোনার পরে চলে তাঁর গাছ পরিচর্যার কাজ। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান যুব প্রজন্মকে দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা।
রঞ্জন চন্দ
Apiculture: প্রাচীন পন্থায় মৌমাছি প্রতিপালন, লাভের অঙ্ক বিরাট
আলিপুরদুয়ার: প্রাচীনকাল থেকে গাছের গুঁড়িতে মৌমাছি চাষ করছেন ভুটান সীমান্তের বাসিন্দারা।বছরে দু’বার মধু সংগ্রহ করছেন তাঁরা। যদিও তাঁদের এই কাজ চলছে কোনওরকম সরকারি সহায়তা ছাড়া।
মৌমাছি পালন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা। বছরে লক্ষাধিক টাকা লাভ হয় এই ব্যবসায়। সরকারি তরফে মৌমাছি পালন ও মধু সংগ্রহকে এপিকালচারের আওতায় নেওয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকায় চলছে এপিকালচারের মাধ্যমে মধু উৎপাদনের কাজ।হাতিদের উৎপাত কম করতে এপিকালচারের পথ বেছে নিয়েছিল বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। হাতিকে কাবু করতে পারে মৌমাছি। এই স্বভাবকে কাজে লাগিয়েই এলাকায় হাতি ও মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সেতু না থাকায় নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা নৌকা! সমাধান চেয়ে সুকান্তর কাছে দরবার
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া নুরপুর, মাঝের ডাবরি, কালিখোলা, জয়ন্তী এলাকায় মৌমাছি চাষ শুরু হয়েছে। স্থানীয়রাই মৌমাছি প্রতিপালন করছেন। জেলা প্রশাসন তাদের সবরকম সুবিধে দিচ্ছে। দু’বছরে ব্যবসায় লাভের মুখ দেখেছেন তাঁরা।
ভুটান সীমানার গ্রামে গাছের গুঁড়িতে হয় মৌমাছি চাষ। এটি এপিকালচারের অন্তর্ভুক্ত নয়। জেলা প্রশাসন এর খবর হয়ত জানে না। গ্রামের হাতে গোনা ১০-১২ টি বাড়িতে ২-৩ টি গাছের গুঁড়ি ঝোলানো রয়েছে টিনের চালে। এলাকার বাসিন্দারা জানান প্রথমে দু থেকে তিনটি মৌমাছি এসে জায়গা দেখে যায়। পছন্দ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ঝাঁক ধরে মৌমাছি আসে। তবে গাছের গুঁড়িতে কয়েকটি ছিদ্র দিতে হয়। এই ব্যবসা লাভজনক, কারণ ছয় মাস পর পর মধু উৎপাদন হয়। ১০ বোতল মধু মেলে। ১ বোতলে একৃ থেকে দেড় কেজি মধু থাকে।
অনন্যা দে
Price Hike: বর্ষায় কাতলা-পাবদা-পমফ্রেট, দাম বেড়ে আর কত হবে? জানিয়ে দিলেন বাজার কর্তারা
Successful Entrepreneur: রাজমিস্ত্রি থেকে সফল উদ্যোগপতি, সুন্দরবনের যুবকের পাল্টে যাওয়া জীবনের গল্প
উত্তর ২৪ পরগনা: এক সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোনওরকমে জীবন যাপন করতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই যুবকই হয়ে উঠেছেন সুন্দরবনের একজন সফল উদ্যোক্তা। জীবন রূপান্তরের এই কাহিনী সুন্দরবনের লিটন মিস্ত্রির।
এক সময় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন লিটন। কিন্তু বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গাছের চারা বিক্রি করে একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন এই যুবক। সবুজ গ্রামের গলি পথ দিয়ে গেলে হঠাৎ করেই নজর কাড়ে একটি ফলবাগান, সেখানেও সবুজের সমারোহ। কয়েক বছর আগে প্রায় ১০ কাটা জমিতে এই বাগান গড়ে তোলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার পাটলিখানপুরের লিটন মিস্ত্রি। এখানে দেশি-বিদেশি ও বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলগাছের চারার পাশাপাশি ২৫ থেকে ৩০ ধরনের ফলের চাষ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্ধ সরকারি স্কুল ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘দখলে’! দিব্যি চলছে সংসার
লিটন মিস্ত্রির বাগানে ফলের মধ্যে রয়েছে মাল্টা, কমলা, পেয়ারা, ড্রাগন, আঙুর, পেঁপে, খেজুর, আগর, মালভেরি, আম ও লেবু। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় মাল্টার। বর্তমানে লিটন মিস্ত্রির বাগানে উৎপাদিত হচ্ছে রাসায়নিকমুক্ত নিরাপদ ফল। পাশাপাশি দেখা মিলছে বিদেশি প্রজাতির আমের গাছ। পৃথিবী বিখ্যাত মিয়াজাকি, চিয়াংমাই, চাকাপাত, ব্ল্যাক স্টোন, রেড পালমার সহ বাহারি জাতের বিদেশি আমের সমাহার এই বাগানে।
উদ্যোক্তা লিটন এক সময় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। কিন্তু নতুন নতুন প্রাজতির গাছের প্রতি তাঁর ছিল বিশেষ আগ্রহ। এভাবেই একটি-দুটি গাছ সংরক্ষণ করতে করতে নিজে বাড়িতেই তৈরি করে ফেলেছেন আস্ত নার্সারি। যেখানে একটি দুটি করে আজ কয়েক হাজার গাছে ভরে উঠেছে বাগান। তাঁর এ সাফল্য দেখে বিদেশি জাতের ফলের বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই। সেই গাছ থেকে কলম করে তিনি বিক্রিও শুরু করেছেন। পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে গাছের চারা ভিন রাজ্যেও বিক্রি করছেন এই যুব উদ্যোগপতি।
জুলফিকার মোল্যা
Business Idea: চপ ঘুগনি বিক্রি, মাসে রোজগার শুনলে চোখ কপালে উঠবে! পূর্ণিমার জীবন কাহিনি জানুন
চপ ঘুগনি বিক্রি করেই কেল্লাফতে পূর্ণিমার। নাম পূর্ণিমা হলেও জীবনটা যেন এক সময় অন্ধকারময় হয়ে গিয়েছিল। একটা অ্যাক্সিডেন্টে স্বামীর হাত ভেঙ্গে যায় তারপর থেকেই স্বামীসহ বাচ্চা ও পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয়েছিল বছর ৪০ এর পূর্ণিমা বর্মনকে। সেই থেকেই শুরু করেছিলেন রাস্তায় রাস্তায় চপ ঘুগনি বিক্রি।