Tag Archives: Dengue

Malaria: ম্যালেরিয়ার মরশুম, খুব সাবধান! জানেন, ম্যালেরিয়া শরীরের কোন দুটি অঙ্গের সবচেয়ে ক্ষতি করে? আঁতকে উঠবেন জেনে

ম্যালেরিয়া একটি প্রাণঘাতী রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর ২০ কোটির বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় প্রাণ হারান। মশাবাহিত এই রোগটির প্রাদুর্ভাব ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায় মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
ম্যালেরিয়া একটি প্রাণঘাতী রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর ২০ কোটির বেশি মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ায় প্রাণ হারান। মশাবাহিত এই রোগটির প্রাদুর্ভাব ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায় মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
দুই প্রজাতির মশার মধ্যে স্ত্রী অ্যানোফেলিস মশার কামড়ে দেহে প্রবেশ করে স্যালাইভা। তারপর প্রোটিস্ট নামক অনুজীবের মাধ্যমে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে পরজীবী। এর ফলে দেখা দেয় ম্যালেরিয়া।
দুই প্রজাতির মশার মধ্যে স্ত্রী অ্যানোফেলিস মশার কামড়ে দেহে প্রবেশ করে স্যালাইভা। তারপর প্রোটিস্ট নামক অনুজীবের মাধ্যমে রক্তে ছড়িয়ে পড়ে পরজীবী। এর ফলে দেখা দেয় ম্যালেরিয়া।
সাধারণত ফলমূলের রস মশার খাবার হলেও গর্ভকালে পুষ্টির জন্য দরকার হয় রক্তের। এক্ষেত্রে অ্যানোফেলিসের প্রথম পছন্দ মানবদেহ। মশার কামড়ে এই রোগটি হয় এবং জ্বর এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তাই ম্যালেরিয়া জ্বর নামেই প্রচলিত রোগটি।
সাধারণত ফলমূলের রস মশার খাবার হলেও গর্ভকালে পুষ্টির জন্য দরকার হয় রক্তের। এক্ষেত্রে অ্যানোফেলিসের প্রথম পছন্দ মানবদেহ। মশার কামড়ে এই রোগটি হয় এবং জ্বর এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তাই ম্যালেরিয়া জ্বর নামেই প্রচলিত রোগটি।
ম্যালেরিয়া হচ্ছে মশাবাহিত প্লাজমোডিয়াম পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট রোগ। এটি কেবল সংক্রমিত স্ত্রী অ্যানোফেলিস মশার কামড়ে হয়। এখনও পর্যন্ত ৬০-এর অধিক প্রজাতির ম্যালেরিয়া পরজীবী আবিষ্কার করা সম্ভব হলেও এর মধ্যে ৪টি প্রজাতি মানুষের ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী।
ম্যালেরিয়া হচ্ছে মশাবাহিত প্লাজমোডিয়াম পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট রোগ। এটি কেবল সংক্রমিত স্ত্রী অ্যানোফেলিস মশার কামড়ে হয়। এখনও পর্যন্ত ৬০-এর অধিক প্রজাতির ম্যালেরিয়া পরজীবী আবিষ্কার করা সম্ভব হলেও এর মধ্যে ৪টি প্রজাতি মানুষের ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী।
প্লাজমোডিয়াম ভাইভাক্স, ফ্যালসিপ্যারাম, ম্যালেরি ও ওভাল-এর যে কোনও একটি জীবাণু বহনকারী মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হতে পারে। এর মধ্যে ফ্যালসিপ্যারাম ম্যালেরিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক। যা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। সংক্রমিত মশা যখন কোনও ব্যক্তিকে কামড়ায়, তখন ওই ব্যক্তির রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রবেশ করে এবং সে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়।
প্লাজমোডিয়াম ভাইভাক্স, ফ্যালসিপ্যারাম, ম্যালেরি ও ওভাল-এর যে কোনও একটি জীবাণু বহনকারী মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হতে পারে। এর মধ্যে ফ্যালসিপ্যারাম ম্যালেরিয়ার সবচেয়ে মারাত্মক। যা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। সংক্রমিত মশা যখন কোনও ব্যক্তিকে কামড়ায়, তখন ওই ব্যক্তির রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্রবেশ করে এবং সে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়।
প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে এই জীবাণুটি রূপান্তরিত হয়ে রোগের নতুন একটি শাখায় রূপান্তরিত হয়। যা মানব জাতির জন্য মারাত্মক সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নেচার মাইক্রোবায়োলজি নামে জার্নালে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে এই জীবাণুটি রূপান্তরিত হয়ে রোগের নতুন একটি শাখায় রূপান্তরিত হয়। যা মানব জাতির জন্য মারাত্মক সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। নেচার মাইক্রোবায়োলজি নামে জার্নালে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
নির্দিষ্ট সময় পরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। জ্বর সাধারণত ১০৫-১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। জ্বর ছেড়ে গেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যেতে পারে। সেইসঙ্গে খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া বা ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমিবমি ভাব অথবা বমি, হজমে গোলযোগে ভোগে রোগী।
নির্দিষ্ট সময় পরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। জ্বর সাধারণত ১০৫-১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে। জ্বর ছেড়ে গেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যেতে পারে। সেইসঙ্গে খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাওয়া বা ক্ষুধামন্দা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমিবমি ভাব অথবা বমি, হজমে গোলযোগে ভোগে রোগী।
কিন্তু জানেন কি, মশার কামড়ে সৃষ্ট ম্যালেরিয়া রোগ হলে কোন দুটি অঙ্গকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত করে? উত্তর হল, বিশেষ করে লিভার ও কিডনি এই দুটি অঙ্গকে আক্রান্ত করে ম্যালেরিয়া।
কিন্তু জানেন কি, মশার কামড়ে সৃষ্ট ম্যালেরিয়া রোগ হলে কোন দুটি অঙ্গকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত করে? উত্তর হল, বিশেষ করে লিভার ও কিডনি এই দুটি অঙ্গকে আক্রান্ত করে ম্যালেরিয়া।

Siliguri News: ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে এবার অভিনব উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের! জেনে নিন বিস্তারিত

শিলিগুড়ি : ধীরে ধীরে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। আর এবার সেই ডেঙ্গির প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতেই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল স্বাস্থ্য দফতর। এখন থেকে খাবারের কনটেইনার মধ্যেও ডেঙ্গি সচেতনতা বার্তা থাকবে। বর্তমানে দেখা যায় বিভিন্ন অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করলে কনটেইনারে খাবার আসে। সেই খাওয়ার খাবার পর প্লাস্টিকের কনটেইনার গুলি যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হয়। ফলে সেই কনটেনারে জল জমে আর সেখানে তৈরি হয় মশার লার্ভা। এর ফলেই ধীরে ধীরে ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে চলেছে। তাই ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে এই অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল মাটিগাড়া ব্লক ।

ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। যেমন বাড়ির আশেপাশে কোথাও জমা জল থাকা চলবে না, রাতে ঘুমানোর আগে মশারি টাঙিয়ে ঘুমোনো সহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এবার মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করতে এবং তাদের কাছে সহজে এই সচেতনতা বার্তা পৌঁছে দিতেই এই বিশেষ উদ্যোগ। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে চলছে একাধিক সচেতনতা শিবিরও। সেই অর্থেই ডেঙ্গি সচেতনতা বার্তা নিয়ে মাটিগাড়ার বিডিও অফিসে নতুন লোগোর সূচনা করা হলো।

আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: বলুন তো, মদ ডিপ ফ্রিজে রাখলেও জমে যায় না কেন? জেনে নিন কারণ

ব্লক মেডিকেল অফিসার অরিন্দম দে বলেন,”এই লোগোর মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বার্তা। এই লোগোগুলি এবার থেকে অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার করা খাবারের কন্টেনারগুলির মধ্যে দেওয়া থাকবে। সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করতে এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।” এছাড়াও প্রতিটি বাড়ির চারপাশ পর্যবেক্ষণ করে, যাতে কোথাও জমা জলে না থাকে। নিয়মিত সাফাইকর্ম, নিকাশি পরিচ্ছন্ন ও লার্ভাবিনাশ কর্মসূচির মাধ্যমে ডেঙ্গিমুক্ত করতে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

অনির্বাণ রায়

Dengue Cases: ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর?

পশ্চিম মেদিনীপুর: বর্ষাকাল শুরু হতেই ধীরে ধীরে চিন্তা বাড়ছে ডেঙ্গি নিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে একাধিক ব্যক্তির ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসার খবর সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৭০-এর বেশি। ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।

গতবছর‌ও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা চিন্তা বাড়িয়েছিল জেলা প্রশাসনের। বিভিন্ন জায়গায় বসাতে হয়েছিল হেলথ ক্যাম্প। তবে এবার পরিস্থিতি সামলাতে আগে থেকেই তৎপর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। যদিও তারই মধ্যে ক্রমশ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রামীণ ভিআরপিদের নিয়ে বারংবার আলোচনা, জেলা প্রশাসন, ব্লক প্রশাসন কিংবা পঞ্চায়েত প্রশাসনের তরফে একাধিক বৈঠক করা হচ্ছে। পুর এলাকার পাশাপাশি শহরতলি, গ্রামগুলিতে বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গি প্রতিরোধে স্প্রে, ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: ধর্মঘট উঠলেও দাম কমেনি আলুর, বাজারে গিয়ে চোখে জল ক্রেতাদের

তবে চলতি বছর বর্ষা শুরু হতে না হতেই প্রায় একশোর দিকে এগোচ্ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭৩ জন। পুর এলাকার পাশাপাশি নারায়ণগড় ব্লক, পিংলা ব্লক সহ প্রায় সব ব্লকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে একাধিক জন। তবে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সৌম্য শঙ্কর ষড়ঙ্গী। তিনি বলেন, কারোর জ্বর বা জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষা করাও জরুরি।

শুধু তাই নয় সর্বতোভাবে মানুষকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে দিনের পর দিন যেভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে চাপ বাড়ছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উপর।

রঞ্জন চন্দ

Dengue Remedy: ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, পাতে রাখুন এই ফল ও সবজি, মারণরোগ ধারেকাছে ঘেঁষবে না

বর্ষায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে সামান্য কয়েকটি খাবার ডায়েটে রাখলেই ডেঙ্গি দ্রুত সেরে যেতে পারে।
বর্ষায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যায়। তবে সামান্য কয়েকটি খাবার ডায়েটে রাখলেই ডেঙ্গি দ্রুত সেরে যেতে পারে।
ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এই সময়ে কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত?
ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এই সময়ে কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত?
চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গি আক্রান্তের ডায়েটে প্রোটিন, প্রোবায়োটিক ও আয়রনযুক্ত খাবার থাকা জরুরি।
চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গি আক্রান্তের ডায়েটে প্রোটিন, প্রোবায়োটিক ও আয়রনযুক্ত খাবার থাকা জরুরি।
 পালং শাক, পুদিনা, বাধাকপি, শতমূলী ইত্যাদি রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।
পালং শাক, পুদিনা, বাধাকপি, শতমূলী ইত্যাদি রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ায়। কমলালেবু, পাতিলেবু, জলপাই, আনারস, বেরি ও কিউই ফল এই ভিটামিনের সমৃদ্ধ উৎস।
ভিটামিন সি ও প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ায়। কমলালেবু, পাতিলেবু, জলপাই, আনারস, বেরি ও কিউই ফল এই ভিটামিনের সমৃদ্ধ উৎস।
দুধ, দই ও দুগ্ধজাত খাবার প্রোবায়োটিকের সমৃদ্ধ উৎস। দইয়ে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের উপকার করে।
দুধ, দই ও দুগ্ধজাত খাবার প্রোবায়োটিকের সমৃদ্ধ উৎস। দইয়ে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের উপকার করে।

Dengue Death: ডেঙ্গির শিকার শিশু, এই মরসুমে রাজ্যে প্রথম মৃত্যু! কোথায় জানেন?

শিলিগুড়ি: ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সাড়ে ৯ বছরের শিশুকন্যার! শহরে ডেঙ্গিতে প্রথম মৃত্যু। শিলিগুড়ির ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ৩-৪ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল শিশুটি। শনিবার ভর্তি করা হয় শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে।

সেখানেই ওর মৃত্যু হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ রয়েছে। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভা এখনও স্বীকার করেনি। অন্যদিকে, শিশুটির মা জানান, এলাকা যেন নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। ড্রেনগুলিও আবর্জনায় ঠাসা। যা ডেঙ্গি মশার আঁতুরঘর।

আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস! হতে পারে ঝড়ও, আবহাওয়ার বড় খবর

পরিবারের দাবি, ওষুধ জ্বরের ওষুধ চলছিল। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার তাকে নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। তার আগে ডেঙ্গি এনএস-১ পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়ে।

আরও পড়ুন: ‘আমার ছেলে গাছ নয়’, ঐশ্বর্য-অভিষেকের বিয়ের পর অমিতাভকে কেন বলতে হয়েছিল এমন? জানলে শিউরে উঠবেন

নার্সিংহোম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর্তির সময় শিশুটির রক্তে প্লেটলেট নেমে গিয়েছিল ১০ হাজারের নীচে। প্লেটলেট দেওয়া হয়। সোমবার মারা যায় শিশুটি। ডেঙ্গিতে বাচ্চাটির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শহরে এ বছর ডেঙ্গিতে এই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

পার্থপ্রতিম সরকার

West Bardhaman News: ডেঙ্গি নিয়ে সতর্ক আসানসোল পুরসভা! আবর্জনা সাফাইয়ে বিশেষ নজর

পশ্চিম বর্ধমান: ডেঙ্গির দাপটে বিগত বছরের মত পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই সৃষ্টি না হয়, তার জন্য বিশেষভাবে সতর্ক পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং আসানসোল পৌরসভা। বিগত বছরে যেভাবে ডেঙ্গি জেলা জুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল, চলতি বছরে যাতে সেই পরিস্থিতি রুখে দিতে নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ। স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে নানারকম পদক্ষেপ করছে আসানসোল পুর নিগম।

ইতিমধ্যেই, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে জেলাশাসক এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের উপস্থিতিতে একটি বিশেষ বৈঠক হয়েছে আসানসোল পুর নিগমে। মূলত আসানসোল পুর নিগম ‘ভিলেন’ আবর্জনা সাফাইয়ের দিকে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে। যে সমস্ত এলাকাগুলিতে গত বছর ডেঙ্গির প্রভাব বেশি ছিল, সেই এলাকাগুলির পরিছন্নতার ওপর বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও শহর জুড়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে নেওয়া হয়েছে নানা রকম সিদ্ধান্ত।

আরও পড়ুন: ফের বাবা ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী! ২০২৫-এ কী হবে? শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে

প্রসঙ্গত, আসানসোল এবং দুর্গাপুরে রয়েছে একাধিক কারখানা। সেই সমস্ত সংস্থাগুলির আবাসন এলাকা রয়েছে জেলার বিভিন্ন জায়গায়। এই আবাসন এলাকাগুলি যাতে আবর্জনা মুক্ত থাকে, তার জন্য বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে বলে খবর। অন্য দিকে শহরবাসীর উদ্দেশে পুর নিগমের আবেদন যেন বাসস্থান এবং সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার করা হয়। আবর্জনা নিয়ম মতো তুলে দেওয়া হয় পুর নিগমের গাড়িতে।

আরও পড়ুন: কনফার্মড টিকিট পাচ্ছেন না? কোন ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা কেমন?

এছাড়াও, বিভিন্ন সরকারি অফিস এলাকাগুলি পরিষ্কার রাখতে অভিযান চালানো হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলগুলিতেও আবর্জনা পরিষ্কার করানোর দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, বিগত বছরে দেখা গিয়েছিল শহরের বিভিন্ন এলাকায় থাকা ফাঁকা আবাসন বা বাড়িগুলিতে বাড়বাড়ন্ত রয়েছে আবর্জনার। যার ফলে ওই জায়গাগুলি ডেঙ্গির মশার আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছিল। তাই ফাঁকা বাড়িগুলি যাতে নিয়মিত পরিষ্কার করানো হয়, সে বিষয়েও নজর দিয়েছে পুরসভা।

Dengue Infected: বর্ষার শুরুতেই গত বছরকে ছাপিয়ে গেল ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা! পূর্ব মেদিনীপুর নিয়ে চিন্তা

পূর্ব মেদিনীপুর: জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের। প্রতিবছর বর্ষাকাল এলেই রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। এই বছরও বর্ষায় তার অন্যথা হয়নি।

রাজ্যে জুড়ে ডেঙ্গির নিয়ে বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। সেইমত পুর এলাকার পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাকে ডেঙ্গি মুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন পুর এলাকায় ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। শুধু পুর এলাকায় নয়, এবার বর্ষার শুরু থেকেই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও ডেঙ্গির প্রকোপ লক্ষ্য করা গিয়েছে। জেলার সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গির প্রকোপ লক্ষ্য করা গিয়েছে কোলাঘাট, তমলুক ও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে।

আর‌ও পড়ুন: প্রান্তিক মানুষকে শিক্ষার আলো দেখিয়ে ‘পোস্টাল হিরো’ পরেশ বেরা

বর্ষাকাল মানেই ডেঙ্গির আবির্ভাব। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সব থেকে বেশি ডেঙ্গির প্রকোপ পড়েছে কোলাঘাট, তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী ও হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে। পূর্ব মেদিনীপুরে এ পর্যন্ত ৬১ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। গতবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪০ জন। অর্থাৎ বর্ষা শুরুতেই গতবারের থেকে প্রায় দেড় গুন বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বর্ষার শুরুতেই ডেঙ্গি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন পুরসভার ড্রেনগুলিতে আগেই ছাড়া হয়েছে গাপ্পি মাছ। তারপরও শিল্পাঞ্চল ও শহরে ডেঙ্গির প্রভাব চূড়ান্ত আকার ধারণ করায় বেশ কিছুটা চিন্তিত প্রশাসন।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জুড়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানান, রাজ্যের তুলনায় পরিসংখ্যানের দিক থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় সবচেয়ে বেশি। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রতি সপ্তাহে একটি দিন বিশেষ কাজকর্ম করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি ড্রেন, নালা পরিষ্কার ও আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ চলছে। এর পাশাপাশি আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গিতে কেউ আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য স্ক্রিনিং শুরু করেছেন।

সৈকত শী

Dengue Prevention: ডেঙ্গি ঠেকাতে আগেভাগে পদক্ষেপ, শুরু পুকুর পরিষ্কারের কাজ

নদিয়া: ডেঙ্গি ঠেকাতে আগেভাগেই পদক্ষেপ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে পরিত্যক্ত পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু করল চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতি। সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের কর্মীরা।

নদিয়ার চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতি ও দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের উদ্যোগে চাকদহ পুর এলাকা ও ব্লকের বিভিন্ন পরিত্যক্ত পুকুরগুলি সংস্কার করবার কাজ শুরু হয়েছে। বিপিসিএল এবং শ্রীমা মহিলা সমিতির আর্থিক সহযোগিতায় পুকুর সংস্কার শুরু হ‌ওয়াঢ় খুশি নাগরিকরা।

আরও পড়ুন: রাস্তার মাঝে দাউ দাউ করে জ্বলছে পাটের বান্ডিল! ব্যাপারটা কী?

চাকদহের তাঁতলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুরে সকাল থেকেই পুকুর সংস্কারে নেমে পড়েন মৎস্যজীবীরা। উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক কুমার মণ্ডল, দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সভাপতি বিবর্তন ভট্টাচার্য ছাড়াও বহু বিশিষ্টজনেরা। এই পুকুরগুলি সংস্কারের ফলে এলাকায় মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।

বিবর্তনবাবু বলেন, এই ধরনের সংস্কারের কাজ বর্ষাকালে মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী হবে। উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বর্ষার বৃষ্টি। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মশা বাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই এমনই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিতে দেখা গেল চাকদহে। এর ফলে চলতি বছর এই এলাকায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মত রোগে লাগাম টানা যেতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

মৈনাক দেবনাথ

West Bardhaman News : চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি! বর্ষায় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন? জানাচ্ছে প্রশাসন

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: বর্ষা আসতেই শুরু হয়েছে মশাবাহিত রোগের উপদ্রব। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় দেখা দিচ্ছে ডেঙ্গি। বিগত বছরে ডেঙ্গি রীতিমতো নাজেহাল করেছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে। ব্যাপক সংখ্যায় ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল দুর্গাপুর এবং আসানসোলে। চলতি বছরেও সেই একই চিন্তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। কারণ আসানসোল এবং দুর্গাপুর, এই দুই শহরে বেশ কয়েকজন সক্রিয় ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগে থেকেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। বর্ষাকাল আসার আগে থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে সরকারি বিভিন্ন অফিস চত্বর পরিষ্কার করানোর কাজ হয়েছে। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে পৌরসভাগুলিকে। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মতে, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের জন্য সবথেকে কার্যকরী উপায় হল সাধারণ মানুষের সচেতনতা। তাই সচেতনতা বৃদ্ধিতেই বিশেষ ভাব জোর দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- টাকা ফুরিয়েছে, রাখার জায়গাও! তবু কেন শপিং থামাতে পারছেন না এই তরুণী?

সূত্রের খবর, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আসানসোল এবং দুর্গাপুর পৌরসভাকে। জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিনে আসানসোল পুরসভা এলাকায় তিনজন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। অন্য দিকে দুর্গাপুরে পাঁচজন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক। উল্লেখ্য, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য দফতর দুটি পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ব্লক অফিসগুলিকেও।

তবে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া হয়, সে বিষয়টি মাথায় রাখতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন নর্দমা যাতে পরিষ্কার থাকে, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
কোথাও যাতে বর্ষাকালে জল জমে না থাকে, সেই বিষয়টি মাথায় রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে মশারির ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে বার বার। কোন এলাকায় কী অবস্থা, তা পরিদর্শনের জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সচেতন করতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। সবমিলিয়ে বর্ষা ঢুকতেই ডেঙ্গি যেমন নিজের উপদ্রব শুরু করেছে, তেমনভাবেই তা রোধ করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দফতর।

নয়ন ঘোষ

Monsoon health: বর্ষা মানেই মশাবাহিত জ্বর ও ডেঙ্গুর আতঙ্ক, এই কয়েকটা উপায় মানলেই হবে ডেঙ্গু আতঙ্ক থেকে মুক্তি

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর শেষ অবধি কলকাতাতেও মাঝে মধ্যে বর্ষার দেখা মিলছে৷ ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ আর রোদের থেকে আপাতত ছুটি৷ কিন্তু সমস্যা হল মশাবাহিত রোগকে নিয়ে৷ প্রতি বর্ষাতেই মহানগরে ডেঙ্গুর আতঙ্ক ফিরে আসে৷ সঙ্গে মশাবাহিত বাকি রোগগুলো তো রয়েছেই৷ বর্ষা শুরু হতেই এবারেও রাজ্যজুড়ে আবারও সেই আতঙ্ক আবার ফিরে এসেছে৷ তবে আতঙ্কিত না হয়ে দরকার সঠিক পদক্ষেপের৷ কিছুটা সচেতন হলেই এই মশাবাহিত রোগের ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব৷ এই প্রসঙ্গেই কথা বললেন, জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ আকাঙ্ক্ষা সাক্সেনা৷

আরও পড়ুন:অতিরিক্ত রোদ প্রতিদিন চোখের ক্ষতি করছে, এই কয়েকটা উপায়ে চোখকে ভাল রাখা সম্ভব

  • পিকারিডিন এবং ডিইইটি সমৃদ্ধ মশকিউটো রিপেলেন্ট ব্যবহার করুন৷
  • বাড়িতে মশা আটকানোর জন্য কর্পূরের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন৷
  • ল্যাভেন্ডার, চা গাছের তেল, নিম, ইউক্যালিপটাস, পুদিনা, গাঁদা, তুলসী, লেমন গ্রাস, পিপারমিন্ট, রোজমেরির মতো এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করুন৷ লেবু এবং লবঙ্গ রাখাও ভাল বিকল্প৷
  • বেশি মাত্রায় সালফার থাকার কারণে রসুন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল৷ যা মশা তাড়ানোতে সাহায্য করে। আপনি রসুন গুঁড়ো করে ঘরের কোণে স্প্রে করতে পারেন৷ রসুন খুব ভাল মশার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে
  • সাধারণত জলা জায়গায় এই ধরনের মশার লার্ভা অধিক পরিমাণে জন্মায়৷ তাই চেষ্টা করুন বাড়ির ভিতরে যেন কোনও জল না জমে৷ কোনও আর্দ্র জায়গায়, বৃষ্টি হলে বাগানের কোণায় না যাওয়ার চেষ্টা করুন৷
  • ঢিলেঢালা ফিটিং, ফুলহাতা শার্ট, প্যান্ট, জুতা পরুন। ভোরবেলা ও সন্ধেবেলায় মশা বেশি কামড়ায়৷ এই সময়টাতে হাফপ্যান্ট, ছোট জামাকাপড় এড়িয়ে চলুন। গাঢ় রঙের পোশাকের চেয়ে হালকা রঙের পোশাক বেশি পরার চেষ্টা করুন৷
  • আশেপাশে কোনও জায়গায় জল জমতে দেবেন না, মনে রাখবেন পরিষ্কার জমা জলেই কিন্তু ডেঙ্গুর মশা বেশি হয়৷ মশারি, কয়েল, প্লাগ ইন রেপিলেন্ট ব্যবহার করতে ভুলবেন না৷

তিনি আরও বলেন ২০২৬ সালের মধ্যেই সম্ভবত ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন ভারতে পাওয়া যাবে। যা মশাবাহিত রোগ নিরাময়ে একটা মাইলস্টোন হতে চলেছে৷

আরও পড়ুন:পোকার দাম ৭৫ লাখ টাকা! তাবিজ করে পরলেই ঘুরে যাবে ভাগ্যের চাকা, বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই পোকাটির নাম জানেন?

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাবৃদ্ধির জন্য পেঁপে, কিউই, সাইট্রাস ফল যেমন কমলা, আনারস, আমলা, লেবু, ক্র্যানবেরি, রসুন, আদা, হলুদ, বাদাম, পালংশাক, দই খান। নিজেকে এই সময় হাইড্রেটেড রাখা জরুরি৷ তাই প্রচুর পরিমাণে লিকুইড খান৷ নর্ম্যাল জল ছাড়াও নারকেল জল, গরম স্যুপ এবং ফলের জুস খান। খুব জ্বর এলে প্যারাসিটামল খান৷