লাইফস্টাইল Watermelon Seeds Consumption: তরমুজের বীজও খেয়ে ফেলছেন? কতটা ক্ষতি হচ্ছে শরীরের? কী হয় এর বীজ পেটে গেলে? জানুন বিশদে Gallery April 23, 2024 Bangla Digital Desk গরমে তরমুজ অতুলনীয়। তীব্র দাবদাহে শরীর জুড়িয়ে রাখতে এই ফল সেরা। তরমুজের রস শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। তরমুজ খেলে নিয়ন্ত্রিত থাকে ব্লাড প্রেশার। ইনফ্লেম্যাশন কমিয়ে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে তরমুজ৷ স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতাও নির্ভর করে তরমুজের গুণে৷ কিন্তু জানেন কি তরমুজের বীজেও প্রচুর উপকারিতা আছে। তাই তরমুজের বীজ খেয়ে ফেললে ঘাবড়াবেন না। এতে আপনার ক্ষতি না করে উপকারই করবে। বলছেন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা। তরমুজের বীজে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং জিঙ্ক জাতীয় খনিজও রয়েছে যা আমাদের হজমশক্তিকে বাড়ানোর পাশাপাশি ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের জোগান দেয়। তরমুজের বীজে মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা রক্তপ্রবাহে এলডিএল-কোলেস্টেরল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় তরমুজের বীজ উপকারী। এই দানায় উচ্চ মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। তরমুজের বীজের একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হল ম্যাগনেসিয়াম, যা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। তরমুজের বীজে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম দেহে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা পরিচালনা করে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের যে কোনও ক্ষতকে দ্রুত ঠিক করতে সাহায্য করে তরমুজের দানা৷ কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড এল-আরজিনাইন রয়েছে।
লাইফস্টাইল Mango in Blood Sugar Diet: ব্লাড সুগারে আম খাওয়া যায়? রসে টইটম্বুর পাকা আম খেলে ডায়াবেটিস বাড়বে? জানুন Gallery April 23, 2024 Bangla Digital Desk ‘ফলের রাজা’ বলে আমের বর্ণ স্বাদ ও গন্ধ নিয়ে বর্ণনার শেষ নেই। তবে আম ঘিরে বহু দিন ধরে এই ধারণা প্রচলিত যে আম খেলেই ব্লাড সুগার এবং ওজন বেড়ে যায়। গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ-সহ আমে স্বাভাবিক শর্করা প্রচুর। পাশাপাশি আমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। মাত্র, ৫১। ফলে আম খেলে রক্তে শর্করা দ্রুত মেশে না বা বৃদ্ধি পায় না। পুষ্টিবিদ অনুপমা মেননের মতে ব্লাড সুগারে আম খেলে তার পুষ্টিগুণ পুরোটাই বিফলে যায় না। মধুমেহ রোগ থাকলেও ডায়েটে আম রাখাই যায়। তবে মধুমেহ রোগে আম সব সময় আস্ত খেতে হবে। রস করে খেলে হবে না। রস তৈরি করলে ফাইবারসুলভ বৈশিষ্ট্য নষ্ট হয়ে যাবে। আমের সঙ্গে কিছু দানা বা বীজ বা বাদামজাতীয় খাবার খেতে হবে ব্লাড সুগারের রোগীদের। তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়বে না দ্রুত। লাঞ্চ, ডিনারের আগে বা পরে বা সঙ্গে আম খাবেন না ব্লাড সুগারে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়বে। ডায়াবেটিকরা একসঙ্গে দু’ টুকরোর বেশি আম খাবেন না। সপ্তাহে ১ বা ২ দিন আম খান। রোজ খাবেন না। ব্লাড সুগারে প্রাতরাশের সঙ্গে আম খান। তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। দিনের সময় যত এগোবে, তত আম খাওয়া এড়াতে হবে মধুমেহ রোগীদের।
লাইফস্টাইল Piles Home Remedies: গরমে পাইলস বা অর্শের অসহ্য কষ্টে চোখে জল? রইল সহজ ঘরোয়া টোটকা, পাবেন আরাম Gallery April 23, 2024 Bangla Digital Desk কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গেই আসে অর্শ বা পাইলসের সমস্যা। গরমে এই বিপত্তি মাথাচাড়া দিলে চরমে ওঠে কষ্ট। পাইলসের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ডায়েট ও লাইফস্টাইল নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বলছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ বি এন সিনহা। সন্ধান দিয়েছেন সহজ ঘরোয়া টোটকার। নিয়মিত ত্রিফলা গুঁড়ো খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পাইলস বা অর্শের আশঙ্কা কমে। রাতে ৪ গ্রাম ত্রিফলা ভিজিয়ে রাখুন। পর দিন সকালে খালি পেটে পান করুন। কাজ হবে ম্যাজিকের মতো। ক্যাস্টর অয়েলে আছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি উপাদান। রাতে এক কাপ দুধে ৩ এমএল এডিবল ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে খাওয়ার কথা বলছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। এক্সটার্নাল অ্যাপ্লিকেশন এবং রেগুলার ইনটেক দু’ ক্ষেত্রেই ক্যাস্টর অয়েল দরকার যন্ত্রণা উপশমে। রাতে সব সময় হাল্কা খাবার খান। চেষ্টা করুন বেশি ভাজাভুজি, তেলমশলা-সহ খাবার এড়িয়ে চলতে। তেলমশলার কারণে পাইলসের সমস্যা বেড়ে যায়। গরমে পাইলসের সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রচুর পরিমাণে জলপান করতে হবে। দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস জলপান করুন। এর ফলে পরিপাক ক্রিয়া মসৃণ হবে। নিত্য ডায়েটে রাখুন শশা ও গাজর। এতে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেম্যাটরি উপাদান বাড়বে শরীরে। ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে-এর যোগান বজায় থাকবে।
লাইফস্টাইল Watermelon Side Effects: যতই গরম পড়ুক কোনও মতেই তরমুজ দাঁতে কাটবেন না এঁরা! জানুন কারা তরমুজ খেলেই বড় বিপদ! চরম সর্বনাশ Gallery April 22, 2024 Bangla Digital Desk গরমে পেট ভরানোর পাশাপাশি শরীর ও মন জুড়িয়ে দেয় তরমুজের স্বাদ ও শীতল রস৷ গ্রীষ্মকালীন ডায়েটে অনেকটা জায়গা জুড়ে থাকে রসাল এই ফল৷ শরীরকে হাইড্রেটেট রাখে তরমুজের স্বাদ ও গুণ৷ কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইটস আছে এই ফলে৷ ইনফ্লেম্যাশন কমিয়ে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে তরমুজ৷ স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতাও নির্ভর করে তরমুজের গুণে৷ এত উপকারিতা সত্ত্বেও তরমুজের একাধিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে৷ কিছু ক্ষেত্রে এই ফল খাওয়া ক্ষতিকারক৷ বলছেন পুষ্টিবিদ রীতেশ বাওরি৷ রোজই তরমুজ খেলে এর লাইকোপেন উপাদানের কারণে বমি, বদহজম, ইনফ্লেম্যাশন, বুক জ্বলে যাওয়ার মতো শারীরিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে৷ প্রাকৃতিক শর্করা প্রচুর পরিমাণে আছে তরমুজে৷ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি৷ তরমুজের রসে ফাইবার কম৷ ফলে রক্তে শর্করা বেশি শোষিত শোষিত হয়৷ বেড়ে যায় গ্লুকোজের মাত্রা৷ অনেকের তরমুজ থেকে অ্যালার্জিক সংক্রমণও হতে পারে৷ দেখা দিতে পারে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যজনিত সমস্যা৷
লাইফস্টাইল Sattu Side Effects: যতই গরম পড়ুক, ভুলেও ছাতু খাবেন না এঁরা! জানুন কারা ছাতু খেলেই বড় বিপদ, হবে সর্বনাশ! Gallery April 15, 2024 Bangla Digital Desk ছাতুকে বলা হয় ‘দরিদ্রদের প্রোটিন ভাণ্ডার’। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ছাতুপাউডার খাওয়া হয় দেশের নানা প্রান্তে। বাংলা-সহ ঝাড়খণ্ড, বিহার, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশেও গরমকালে প্রচুর পরিমাণে ছাতু খাওয়া হয়। নানারকম ডাল তো বটেই। ছাতু তৈরি করা হয় গম, বার্লি থেকেও। গরমে ছাতুর শরবত তৃষ্ণা মেটায়। খাদ্যগুণের জন্য একে পুষ্টিসাধনের পাওয়ার হাউস বলা হয়। শরবত, পরোটা-সহ নানা খাবার চটজলদি তৈরি করা যায় ছাতু দিয়ে। ছাতু খাওয়ার উপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বলেছেন পুষ্টিবিদ মনপ্রীত কালরা। গরমে শরীরকে সুশীতল করে ছাতু। অতিরিক্ত গরমে তাপপ্রবাহে শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয় ছাতুর শরবত। প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছাতু খুবই পুষ্টিকর। ফাইবারে ভরা ছাতু বদহজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে। নিয়ন্ত্রিত হয় কোষ্ঠকাঠিন্য। লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের ছাতু ব্লাড সুগারেও নিরাপদ। নিয়ন্ত্রণে রাখে ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টেরল। ওজন কমাতে ডায়েটিং করলে নিয়মিত ছাতু খান। এতে শরীরে পুষ্টিসাধন হবে। অবাঞ্ছিত মেদও ঝরবে। বাড়বে মেটাবলিম রেট। তবে ছাতুরও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। বেশি ছাতু খেলে হিতে বিপরীত হবে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে বেশি ছাতু খেলে সমস্যা হতে পারে। গলব্লাডারে স্টোনের প্রবণতা থাকলে ছাতু এড়িয়ে চলুন। যাঁদের ডালে ও শস্যদানায় অ্যালার্জি আছে, তাঁরাও কম খান ছাতু।
লাইফস্টাইল Clove in Weight Loss: লবঙ্গেই কেল্লাফতে! কয়েক দানা লবঙ্গই ওজন কমিয়ে রোগা ছিপছিপে করবে! শুধু খেতে হবে এভাবে Gallery April 13, 2024 Bangla Digital Desk আমাদের রান্নার বড় অংশ জুড়ে আছে বিভিন্ন মশলা। স্বাদের পাশাপাশি গুণেরও শেষ নেই ভারতীয় রসনার মশলার। সেরকমই স্বাদেগুণে ভরা মশলা হল লবঙ্গ। একাধিক গুণের সমাহার এই মশলা। আয়ুর্বেদে দীর্ঘ দিন ধরে কদর এই মশলার। বলছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ গুপ্ত। মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে লবঙ্গ। ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন কে এবং ফাইবারে ভরা লবঙ্গ। হজমের সমস্যা দূর করে এই মশলা। লবঙ্গের ইউজেনল যৌগ মেটাবলিজম বাড়িয়ে কমায় ইনফ্লেম্যাশন। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ, কার্বস হ্রাসের সঙ্গে অবাঞ্ছিত মেদ গলিয়ে দেয়। ব্যালান্সড ডায়েটে লবঙ্গ থাকলে ওজন কমতে সাহায্য করে। নানা ভাবে লবঙ্গ রাখতে পারেন ডায়েটে। এক জাগ জলে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন লবঙ্গ। পরের সকালে পান করুন এই লবঙ্গজল। তার পর সারা দিন বারে বারে পান করুন লবঙ্গজল। হাইড্রেশন বজায় রাখার পাশাপাশি মেটাবলিজম বাড়িয়ে কমাবে ওজন। হজমশক্তি বাড়াতে, মেটাবলিজম তীব্র করতে, ওজন কমাতে ডায়েটে রাখুন লবঙ্গ চা। স্মুদি, চায়ের উপাদানও হতে পারে এই মশলা। ব্যবহার করতে পারেন লবঙ্গের তেলও।
লাইফস্টাইল Drumsticks or Moringa Side Effects: উপকারী হলেও ভুলেও সজনেডাঁটা, সজনেপাতার বড়া খাবেন না এঁরা! জানুন কারা সজনেডাঁটা ও পাতা খেলে বড় ক্ষতি Gallery April 9, 2024 Bangla Digital Desk গরম পড়ার আগে এবং প্রবল গরমেও ডালে ঝোলে তরকারিতে সজনেডাঁটা খেতে ভাল লাগে৷ মুখের স্বাদ বদলাতে খাওয়া হয় সজনেপাতাও৷ খাদ্যগুণে ভরা সজনেডাঁটার উপকারিতার শেষ নেই৷ সিজন চেঞ্জের সময় ডায়েটে রাখতেই হবে সজনেডাঁটা ও সজনেগাছের পাতা৷ কিন্তু জানেন কি সডনেডাঁটা এবং এই গাছের পাতারও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে৷ কোনও কোনও ক্ষেত্রে এই দুই উপকরণ এড়িয়ে চলতে হবে৷ বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল৷ ডায়ারিয়া, পেট ফাঁপা, পেট ব্যথার মতো সমস্যায় এড়িয়ে চলতে হবে সজনেডাঁটা ও সজনেপাতা৷ অ্যালার্জি এবং ত্বকে অন্য সংক্রমণও দেখা দিতে পারে৷ জটিল ক্ষেত্রে সজনেডাঁটা থেকে হতে পারে কিডনি স্টোনও৷ পরিবারে কিডনি স্টোনের ইতিহাস থাকলে ডায়েটে সজনেডাঁটা রাখবেন কিনা সে বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিন৷ ব্লাড সুগার ও অন্যান্য কোনও ক্রনিক অসুখের ওষুধ নিয়মিত খেলে সজনেগাছের পাতা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হোন৷ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাবেন সে ক্ষেত্রে৷ অন্তঃসত্ত্বারাও ডায়েটে সজনেডাঁটা এবং সজনেপাতা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই রাখবেন৷
লাইফস্টাইল Green Chilli Side Effects: যতই ভাল লাগুক, ভুলেও কাঁচালঙ্কা খাবেন না এঁরা! জানুন কারা কাঁচালঙ্কা খেলেই সর্বনাশ! হবে চরম বিপদ Gallery April 8, 2024 Bangla Digital Desk বাঙালি হেঁশেলে কাঁচালঙ্কা চেনা মশলা। ফোড়ন হোক, রান্নায় গোটা দেওয়া হোক বা কুচি কুচি করে ছড়িয়ে দেওয়া হোক উপরে-এর স্বাদের কোনও জবাব নেই। স্বাদগন্ধের পাশাপাশি কাঁচালঙ্কা গুণেরও আধার। একাধিক উপকারিতা আছে এই সবজির। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভরা কাঁচালঙ্কায় স্বাস্থ্যগুণ প্রচুর। এত উপকারিতা সত্ত্বেও কোনও কোনও ক্ষেত্রে কাঁচালঙ্কা এড়িয়ে চলতে হবে। না হলে বড় বিপদ। বলছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ গুপ্ত। কাঁচালঙ্কা বেশি খেলে পেটে সংক্রমণ হতে পারে। ত্বকেও নানা রকমের সংক্রমণ দেখা দেয়। এর ক্ষতিকারক দিক শরীর থেকে বার করা কঠিন হয়ে পড়ে। কাঁচালঙ্কা ধরার পর হাত ভাল করে ধুয়ে তবেই চোখ, নাক, মুখে দেবেন। নয়তো ত্বক প্রচণ্ড জ্বলতে থাকবে। কাঁচালঙ্কার ক্যাপাসাইসিন টক্সিক এবং এর জ্বলুনি কষ্টকর। দীর্ঘ দিন বেশি কাঁচালঙ্কা খেলে পাকস্থলী, লিভার এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত জটিলতায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও। বাচ্চা, অন্তঃসত্ত্বা এবং সদ্য মা হয়ে যাঁরা সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন, তাঁদের ডায়েটে কাঁচালঙ্কা রাখবেন না। বয়স্কদের ডায়েটেও পরিমিত কাঁচলঙ্কা রাখুন। দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত লঙ্কা খেলে দেখা দিতে পারে ক্রনিক ডায়রিয়া। পেটে বা মুখগহ্বরে আলসারের কারণ হতে পারে কাঁচালঙ্কা। ডায়াবেটিস থাকলে কাঁচালঙ্কা বেশি খাবেন না। কারণ এতে ব্লাড সুগার মাত্রা হু হু করে নেমে যেতে পারে। ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলসের সমস্যাও বাড়িয়ে তুলতে পারে কাঁচালঙ্কা। তাই সেক্ষেত্রেও এড়িয়ে চলুন কাঁচালঙ্কার ঝাঁঝ।
লাইফস্টাইল Lemon Side Effects: যতই গরম বাড়ুক, ভুলেও পাতিলেবুর রস খাবেন না এঁরা! জানুন কারা পাতিলেবু খেলেই সর্বনাশ! হবে চরম ক্ষতি Gallery April 6, 2024 Bangla Digital Desk গরমে একটুকরো পাতিলেবু যেন তৃষ্ণার শান্তি। ভাতের পাতেই হোক বা নুন চিনির শরবতেই হোক-লেবুর গুণ সুস্থ রাখে গ্রীষ্মের জ্বালায়। বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণ, ডিহাইড্রেশন রোধ, বদহজম রোধ-সহ একাধিক উপকারিতা আছে লেবুর রসের। কিন্তু পাতিলেবুর একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। কিন্তু জানেন কি পাতিলেবুর একাধিক অপকারিতাও আছে। গরমে অতিরিক্ত পাতিলেবু খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে। সে বিষয়ে বলেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ স্বাতী রেড্ডি। পাতিলেবু তীব্র আম্লিক ফল। অতিরিক্ত লেবু খেলে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। লেবুর রস খাওয়ার পর পরই দাঁত মাজবেন না। বরং প্রচুর জলপান করুন। অ্যাসিড রিফ্লাক্স, বুক জ্বলা, গা বমি বমি ভাব, বমি হওয়ার মতো উপসর্গ হতে পারে লেবু বেশি খেলে। এই উপসর্গগুলির একটাও থাকলে লেবুর রস খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। লেবুর রস থেকে মাউথ আলসারে তীব্র জ্বালা হয়। তাই মাউথ আলসার সম্পূর্ণ সারলে হবেই লেবুর রস খাবেন। লেবুর খোসা রেস্তরাঁয় ব্যবহৃত হয় লেমন জেস্ট হিসেবে। তবে লেবুতে মাইক্রোঅর্গানিজমের উপস্থিতি ধরা পড়েছে একাধিক গবেষণায়। তার থেকে ছড়িয়ে পড়ে একাধিক অসুখ। যাঁদের শুষ্ক ত্বক, তাঁরা বেশি লেবু খেলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লেবুর রস উপকারী। হজম সংক্রান্ত বা পেটের অসুখ থাকলে পাতিলেবু যতটা পারবেন এড়িয়ে চলবেন। মোট কথা, গরমে অল্পবিস্তর পাতিলেবু খেতেই পারেন। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে পাতিলেবু না খাওয়াই ভাল।
লাইফস্টাইল Moong Dal Side Effects: যতই ভাল লাগুক, ভুলেও মুগডাল খাবেন না এঁরা! জানুন কারা মুগডাল খেলেই সর্বনাশ! হবে বড় বিপদ Gallery April 4, 2024 Bangla Digital Desk বাঙালি ডায়েটে মুগডাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আমিষ, নিরামিষ নানা ভাবে খাওয়া হয় এই সুস্বাদু ডাল৷ এই ডালের স্বাস্থ্যগুণ উপেক্ষা করা যায় না৷ মুগডালে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস আছে৷ প্রোটিনের উৎস হিসেবেও মুগডাল গুরুত্বপূর্ণ৷ নিরামিষাশীরা উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের ভাণ্ডার হিসেবে খেতে পারেন মুগডাল৷ প্রচুর প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে বসে বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর মুগডাল৷ রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে মুগডাল৷ শরীরে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণ করে মুগডাল৷ ক্রনিক অসুখ, হিটস্ট্রোক, স্থূলতা, ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে মুগডাল৷ তবে এত উপকারিতা সত্ত্বেও মুগডালের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে৷ একাধিক ক্ষেত্রে এই ডাল এড়িয়ে চলতে হবে৷ বলছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ গুপ্ত৷ ঠিকমতো রান্না করা না হলে মুগডাল ঘুম ঘুম ভাব, ঝিমুনির কারণ হতে পারে৷ যাঁদের পেটের রোগ আছে, তাঁদেরও এই ডাল ডায়েটে না রাখাই ভাল৷ মুগডালের অ্যান্টি নিউট্রিয়েন্ট এবং ফাইটোস্টেরলস শরীরের প্রতি ক্ষতিকর হতে পারে৷ তাই অতিরিক্ত মুগডাল খাবেন না৷ ভাল করে রান্না করা না হলে মুগডাল থেকে গ্যাস, বুক জ্বলে যাওয়া থেকে শুরু করে পেট ফেঁপে ওঠার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ ত্বকে সংক্রমণ থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্টের কারণও হতে পার মুগডাল৷ অতিরিক্ত ফাইবার থাকলে পেটের গণ্ডগোল হতে পারে৷ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এড়াতে অন্তঃসত্ত্বাদেরও এই ডাল এড়িয়ে চলাই ভাল৷ যাঁদের হাই ইউরিক অ্যাসিড, লো ব্লাড সুগার, লো ব্লাড প্রেশার, কিডনি স্টোন, হজমের সমস্যার মতো অসুখ আছে, তাঁরাও যতটা সম্ভব মুগডাল থেকে দূরেই থাকুন৷