Tag Archives: Local18

Higher Secondary Result 2024: নিয়ম করে গান শোনা-নাচ করা-গল্পের বই পড়া… তাও HS-এ দারুণ ফল! হাওড়া থেকে একমাত্র স্থানাধিকারী সুকৃতি

হাওড়া: পরীক্ষা শেষের ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। প্রথম হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হায়ার স্কুলের অভীক দাস। দ্বিতীয় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সৌম্যদীপ সাহা। তৃতীয় মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়া অভিষেক গুপ্তা। মেয়েদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছেন প্রতীচী তালুকদার এবং স্নেহা ঘোষ, সব মিলিয়ে চতুর্থ স্থানে। তবে হাওড়ার মধ্যে এক মাত্র স্থানাধিকারী সাঁকরাইল অভয় চরণ হাই স্কুলের ছাত্রী সুকৃতি মণ্ডল। খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে।

এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৯০ শতাংশ। ছেলেদের পাশের হার ৯২.৩২ শতাংশ এবং মেয়েদের পাশের হার ৮৮.১৮ শতাংশ। এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দশের মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন ৫৮ জন। তার মধ্যে ছাত্র ৩৫ জন ও ছাত্রী ২৩ জন।

আরও পড়ুন: ১০টায় ঘুম থেকে উঠেও উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকায়! চমকে দেওয়া ফল আলিপুরদুয়ারের অন্বেষার

তার মধ্যে কলা বিভাগে পড়াশোনা করে ৪৮৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দশম স্থানে ১৬ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে এক জন সাঁকরাইল অভয় চরণ হাই স্কুলের ছাত্রী সুকৃতি মণ্ডল। শুধু দশমই নয়, সমগ্র হাওড়া জেলার মধ্যে একমাত্র স্থানাধিকারী সুকৃতি পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে খুব ভালবাসেন। ভাল ফলাফলের প্রত্যাশা ছিলই। কখনওই সময় বেঁধে পড়াশোনা করতেন না সুকৃতি। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ করতে এবং নিয়মিত এক ঘণ্টা করে গান শুনতে ভালোবাসেন তিনি।

সুকৃতির বাবা পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, মা নার্স এবং দাদা ডাক্তারি পড়ছেন। ইংরেজি সাহিত্য নিয়েই পড়াশোনা করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। ছোট বয়স থেকে বাবা-মার চাকরি সূত্রে বিভিন্ন স্কুল পরিবর্তন হয় তাঁর। পরে সাঁকরাইলে এসে অভয় চরণ হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেন সুকৃতি।

এই সফল্যের পিছনে পরিবারের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন সুকৃতি। মেয়ের সাফল্যে আনন্দিত মা রীতা মণ্ডল জানান, কখনওই মেয়েকে পড়াশোনার জন্য চাপ দেননি তাঁরা। তবে মেয়ে ভাল রেজাল্ট করবে তা নিয়ে আশাবাদী থাকলেও এতটা ভাল ফল দেখে উচ্ছ্বসিত তাঁরা। এ প্রসঙ্গে সুকৃতি জানান, ইংরেজি নিয়ে উচ্চ শিক্ষায় পড়তে চান তিনি।

রাকেশ মাইতি

HS Result 2024: পরীক্ষার আগেও লুকিয়ে লুকিয়ে করত এই কাজ! উচ্চ মাধ্যমিকে পঞ্চম অঙ্কিতের অজানা গল্প জানলে চমকে উঠবেন

বাঁকুড়া: লুকিয়ে লুকিয়ে কবিতা লেখেন, উচ্চ মাধ্যমিকের রাজ্যে পঞ্চম স্থান অধিকারী, অঙ্কিত পাল। বাসে চাপলেই লিখতে শুরু করেন কবিতা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনের দিন, উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ। রবি ঠাকুরকে নিজের অনুপ্রেরণা বলে মনে করা বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি হাই স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র,অঙ্কিত পাল। ৪৯২ নম্বর পেয়ে রাজ্যে পঞ্চম হয়েছে সে।

দুর্দান্ত রেজাল্ট এর আনন্দ তার মাধ্যমিকে ব়্যাঙ্ক না করতে পারার আক্ষেপ মিটিয়েছে বলেই মনে করে অঙ্কিত। অঙ্কিত এর বাবা রথীন কুমার পাল প্রতাপপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। রথীনবাবু বলেন, রাত ১২ টার সময়ও একবার কবিতা লিখতে দেখেছেন তাঁর ছেলে অঙ্কিতকে। কবিতাপ্রেমী কৃতি অঙ্কিত বিজ্ঞান বিভাগ এর ছাত্র। আগামী দিনে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় অঙ্কিত।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

বাবা মায়ের বাঁধভাঙ্গা খুশি। আর সেই খুশির মধ্যেই বেরিয়ে এল কৃতী ছাত্রের ব্যাপারে না জানা গল্প। গান শোনা, গান করা থেকে শুরু করে ক্রিকেট খেলা, সবই করতে ভালবাসে অঙ্কিত । তবে বিশেষ নেশা কবিতা লেখার। নিজের মনেই পাতার পর পাতা কবিতা লিখতে পারে সে। বিজ্ঞানমনস্ক সংস্কৃতি প্রেমী এই ছাত্র যেন পড়াশোনার জগতে এক অনন্য উদাহরণ রাখার চেষ্টা করছে। অঙ্কিতের বাবা-মা জানান, ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল তাদের সন্তান। মাধ্যমিকেও নজর কাড়া ফল (৬৭৮) করেছিল। এবার উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম হল।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

মাধ্যমিকের পর উচ্চমাধ্যমিক ফলাফল। মাধ্যমিকে কৃতির তালিকায় ছিলেন চারজন ছাত্র-ছাত্রী। তবে উচ্চমাধ্যমিকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে জেলা। নয় জন রয়েছেন কৃতির তালিকায়। তাদের মধ্যে জেলায় প্রথম এবং রাজ্যে পঞ্চম হলেন কবিতা প্রেমী, বিজ্ঞানমনস্ক অঙ্কিত পাল।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Lok Sabha Election 2024: যোগ্যতা অনুযায়ী চাই কর্মসংস্থান! আর কী কী দাবি নতুন ভোটারদের?

পশ্চিম মেদিনীপুর: হাতেগোনা কয়েকদিন পরেই লোকসভা নির্বাচন। পক্ষ-প্রতিপক্ষ, প্রচার-পাল্টা প্রচার মিলিয়ে বেশ জমজমাট রাজ্য-রাজনীতি। সাধারণ মানুষের ভোটে জিতে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সংসদে গিয়ে মানুষের হয়ে সাওয়াল করবেন। তুলে ধরবেন তার লোকসভা এলাকার নানান সমস্যার কথা। তবে নির্বাচনে ভোটার তালিকায় রয়েছে যুবরাও। যারা প্রায় ছাত্র এবং নতুন ভোটার।

স্বাভাবিকভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির দাবি জানিয়েছেন সকলে। ১৮ বছর অতিক্রম হলেই বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে কলেজে ভর্তি হয়। সেক্ষেত্রে তাদের উপর চাপে সাংসারিক দায়বদ্ধতা এবং নিজের পড়াশোনার উন্নতি। স্বাভাবিকভাবে লোকসভা নির্বাচনের আগে যুব প্রজন্মের দাবি, পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত বৃত্তি, যাতে পড়াশোনাটা স্বপ্ন না হয়ে বাস্তব রূপ পায়।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

এছাড়াও বর্তমান দিনে প্রতিটি ব্লকে রয়েছে একটি করে কলেজ এবং গ্রাম কিংবা শহরে রয়েছে বিদ্যালয়ও। প্রাথমিকভাবে পড়াশোনার পরিকাঠামো থাকলেও বিভিন্ন বৃত্তিমূলক পড়াশোনাবা উচ্চতর পড়াশোনার ক্ষেত্রে যাতায়াত ব্যবস্থা সুগমের দাবি জানিয়েছেন সকলে। কেউ দ্বিতীয়বার, কেউ আবার প্রথমবার ভোট দেবে। স্বাভাবিকভাবে ভোটের নানা গল্প শুনেছে তারা কিন্তু বাস্তবে তাদের কাছে বেশ রোমাঞ্চকর ভোট দান।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

তবে ভোট দেওয়ার পরে প্রতিটি মানুষেরই দাবি থাকে। নতুন ভোটার বা যুব প্রজন্মের মূল দাবি শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি এবং কর্মসংস্থান। ছাত্রী তথা নতুন ভোটার ভাস্বতি সাহু, তপতী শী রা বলেন, নতুন ভোটার যারা হয় তারা মূলত হয় শিক্ষার্থী তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি এবং কর্মসংস্থান প্রয়োজন। তবে এই দাবি কতটা সফল হয় তার আশায় সকলে।

রঞ্জন চন্দ

IMD Thunderstorm Alert: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত বাংলার পাশেই, রাত হলে ফের ঘনাবে আকাশ, ঝোড়ো হাওয়ায় দাপুটে বৃষ্টি

: বাংলার  দুইদিকে দুটি ঘূর্ণাবর্ত৷ আর তার জোড়া দাপটে বাংলার কপালে ঝমঝম বৃষ্টি৷  চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল দশা হয়েছিল বঙ্গবাসীর। কোনওভাবেই মিলছিল না স্বস্তি। বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মত বসেছিল গোটা বঙ্গবাসী। তবে এবার ধীরে , ধীরে স্বস্তি মিলতে শুরু করেছে।
: বাংলার  দুইদিকে দুটি ঘূর্ণাবর্ত৷ আর তার জোড়া দাপটে বাংলার কপালে ঝমঝম বৃষ্টি৷  চাঁদিফাটা গরমে নাজেহাল দশা হয়েছিল বঙ্গবাসীর। কোনওভাবেই মিলছিল না স্বস্তি। বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মত বসেছিল গোটা বঙ্গবাসী। তবে এবার ধীরে , ধীরে স্বস্তি মিলতে শুরু করেছে।
একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন বিস্তৃত রয়েছে উত্তরপূর্ব অসমের উপর দিয়ে৷ অন্যদিকে আরও একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন বিস্তৃত রয়েছে বাংলাদেশের উপর দিয়ে৷
একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন বিস্তৃত রয়েছে উত্তরপূর্ব অসমের উপর দিয়ে৷ অন্যদিকে আরও একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন বিস্তৃত রয়েছে বাংলাদেশের উপর দিয়ে৷
এর ফলে এখনও ১১ তারিখ পর্যন্ত রোজই এখন দক্ষিণবঙ্গের জেলাতে প্রবল বৃষ্টিরই সম্ভাবনা রয়েছে৷ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে হাওয়া বইবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে৷
এর ফলে এখনও ১১ তারিখ পর্যন্ত রোজই এখন দক্ষিণবঙ্গের জেলাতে প্রবল বৃষ্টিরই সম্ভাবনা রয়েছে৷ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে হাওয়া বইবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে৷
দক্ষিণের অন্যান্য জেলার মতই জেলা পুরুলিয়াতেও বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। ‌ তীব্র গরমের হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পেয়েছে জেলার মানুষ। টানা গরমের দাপটে নাজেহাল দশা হয়েছিল জেলার মানুষের। বিগত দুদিনের বৃষ্টিতে অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে তারা। ‌
দক্ষিণের অন্যান্য জেলার মতই জেলা পুরুলিয়াতেও বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। ‌ তীব্র গরমের হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পেয়েছে জেলার মানুষ। টানা গরমের দাপটে নাজেহাল দশা হয়েছিল জেলার মানুষের। বিগত দুদিনের বৃষ্টিতে অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে তারা। ‌
এই দিন পুরুলিয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে।
এই দিন পুরুলিয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে।
এই দিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে জেলায়। বিগত বেশ কিছুদিনের জেলা পুরুলিয়া তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৫ ডিগ্রির ঘরে। দুদিনের বৃষ্টিতে এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমেছে ৩৪ ডিগ্রিতে। এতে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছে জেলার মানুষেরা।বিগত দু’দিনের বৃষ্টিতে এক ধাক্কায় অনেকখানি কমেছে তাপমাত্রার পারদ।
এই দিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে জেলায়। বিগত বেশ কিছুদিনের জেলা পুরুলিয়া তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪৫ ডিগ্রির ঘরে। দুদিনের বৃষ্টিতে এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমেছে ৩৪ ডিগ্রিতে। এতে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছে জেলার মানুষেরা।বিগত দু’দিনের বৃষ্টিতে এক ধাক্কায় অনেকখানি কমেছে তাপমাত্রার পারদ।
শুক্রবার পর্যন্ত চলতে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দক্ষিণের প্রায় সমস্ত জায়গাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
শুক্রবার পর্যন্ত চলতে পারে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে প্রবল ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দক্ষিণের প্রায় সমস্ত জায়গাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
অপরদিকে উত্তরে জেলাগুলিতে বহাল থাকছে বৃষ্টি। দার্জিলিং , জলপাইগুড়ি , কালিম্পং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া উত্তরের অন্যান্য জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত চলতি সপ্তাহে উত্তরের জেলাগুলিতে বহাল থাকছে বৃষ্টি এমনটাই পূর্বাভাস মিলেছে।
অপরদিকে উত্তরে জেলাগুলিতে বহাল থাকছে বৃষ্টি। দার্জিলিং , জলপাইগুড়ি , কালিম্পং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া উত্তরের অন্যান্য জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত চলতি সপ্তাহে উত্তরের জেলাগুলিতে বহাল থাকছে বৃষ্টি এমনটাই পূর্বাভাস মিলেছে।
ঝাড়খণ্ডের উপর তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যার একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত। এই ঘূর্ণাবর্তের জেরেই প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকছে বাংলায়। যার জেরেই বৃষ্টি নেমেছে বঙ্গে‌। আপাতত বহাল থাকছে বৃষ্টি। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রার পারদ। Input- Sharmistha Banerjee
ঝাড়খণ্ডের উপর তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যার একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত। এই ঘূর্ণাবর্তের জেরেই প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকছে বাংলায়। যার জেরেই বৃষ্টি নেমেছে বঙ্গে‌। আপাতত বহাল থাকছে বৃষ্টি। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রার পারদ। Input- Sharmistha Banerjee

WB HS Result 2024: ১০টায় ঘুম থেকে উঠেও উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকায়! চমকে দেওয়া ফল আলিপুরদুয়ারের অন্বেষার

আলিপুরদুয়ার: সকাল সাড়ে ১০টায় ঘুম থেকে উঠেও উচ্চ মাধ‍্যমিকে রাজ‍্যে নবম আলিপুরদুয়ারের অন্বেষা দত্ত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয় নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছে তাঁর।

আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার সীমানায় অবস্থিত খোলটা এলাকায় বসবাস অন্বেষার। একান্নবর্তী পরিবারের মেয়ে। এলাকাটি এমন, যেখানে মেয়েদের বিয়ে যত তাড়াতাড়ি দেওয়া যায় তার ব‍্যবস্থা করেন বাবা-মায়েরা।

আরও পড়ুন: ৬৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল, ৯০ শতাংশ পাশ! রেজাল্ট দেখুন সরাসরি এক ক্লিকে

সেখানে দাঁড়িয়ে মেয়েকে শিক্ষিত করার জন‍্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ অন্বেষার বাবা। মেয়েকে চার কিলোমিটার দূরে স্কুলে দিয়ে আসা, টিউশনে নিয়ে যাওয়া সব করতেন তাঁর বাবা। অন্বেষা বাবার এই অবদানের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে যান। কলাবিভাগ নিয়ে পড়ে রাজ‍্যে নবম হবেন তা তিনি বুঝতে পারেনি।

এই বিষয়ে অন্বেষা বলেন, “খুব ভোরে উঠে কখনও পড়িনি। যেটা ভুল হত, সেটা বেশি করে পড়তাম। মন যেটা পড়তে বলত সেটাই পড়তাম।” ইংরেজি বিষয়টি ভালবাসেন অন্বেষা। ভবিষ‍্যতে এই বিষয় নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ‍্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান তিনি। অন্বেষার সাফল‍্যে খুশি গ্রামবাসীরা।

Annanya Dey

Digha News: কালো মেঘে ঢাকল আকাশ, তোলপাড় করা সমুদ্র, রাতে উত্তাল দিঘা সৈকত সরণী জুড়ে প্রশাসনের মাইকিং

দিঘা: একদিকে অমাবস্যার ভরা কোটাল অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সবমিলিয়ে উত্তাল সমুদ্র। দিঘায় বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে গার্ড ওয়াল টপকে সৈকত সরণীতে। পুলিশ প্রশাসনের মাইকিং করে সতর্কতার বার্তা। মঙ্গলবার রাতে ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত সৈকত সরণি জুড়ে মাইকিং করে সতর্কতার প্রচার চালান দিঘা পুলিশ প্রশাসন। স্কুল কলেজে গরমের ছুটি থাকায় স্বস্তি খুঁজে নিতে বহু মানুষ সংখ্যক মানুষ পাড়ি দিয়েছে দিঘায়।

বৈশাখে এবার দিঘায় বাড়তি পাওনা জলোচ্ছ্বাস। জলোচ্ছ্বাস দেখে আত্মহারা পর্যটকেরা। আর এই জলোচ্ছ্বাসে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সেদিকে সদা তৎপর পুলিশ প্রশাসন। এমনিতেই সকালে জোয়ারের সময় সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতিদিন জোয়ারের সময় সকাল ও রাত্রিতে ফুলে ফেঁপে উঠছে সমুদ্রের জল। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঝড়ো হাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র। বড় বড় ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে গার্ড ওয়াল টপকে সৈকত সরণীতে। আর জলোচ্ছ্বাসে চুটিয়ে মজা উপভোগ করছে পর্যটকেরা।

আরও পড়ুন – ১৭ বছর বয়সী প্রেমিকার সঙ্গে সঙ্গম! মেয়ের মা এনেছিল মারাত্মক অভিযোগ, ৪০ বছরের পুরনো অভিযোগে ৪ সন্তানের বাবা জেলে

দিনের পাশাপাশি রাতেও বহু পর্যটক জলোচ্ছ্বাসের মজা নিতে সৈকত সরণীতে ভিড় করছে। জলোচ্ছ্বাস উপভোগ করতে গিয়ে পর্যটকদের কোনওবিপদ না হয় সেদিকে নজর রেখেছে প্রশাসন।বহু পর্যটক গার্ড ওয়াল এর ওপরে দাঁড়িয়ে জলোচ্ছ্বাসের মজা উপভোগ করছেন। উত্তাল সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে ফলে যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বিপদ।

ফলে দিঘা সৈকত সরণী জুড়ে প্রশাসনের পাশাপাশি নুলিয়া ও পুলিশেসতর্ক রয়েছে। চলছে মাইকিং। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায় আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। ফলে জোয়ারের সময় উত্তাল থাকবে সমুদ্র জলোচ্ছ্বাস দেখা যাবে। আর তাতেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অবলম্বন করেছে দিঘা পুলিশ ও প্রশাসন।

Saikat Shee 

HS Result 2024: ট্র্যাভেল ব্লগ করেই মেলে মনের অক্সিজেন! উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম ইউটিউবার সুপ্তোত্থিতা 

মালদহ: ইউটিউবে চ্যানেল রয়েছে। পাশাপাশি পড়াশোনা। প্রায় নিয়মিত ইউটিউবে ব্লগ বা রিলস বানিয়েও উচ্চমাধ্যমিকে সেরার তালিকায় সুপ্তোত্থিতা সরকার। ইউটিউবে তার নিজস্ব চ্যানেল রয়েছে। সেখানে নিয়মিত ট্রাভেল ব্লগ তৈরি করে। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার শখ রয়েছে সুপ্তোত্থিতার। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে। আর সেখান থেকেই ইউটিউবে ব্লগ বানানোর নেশা।‌ ইউটিউবে ব্লগ বানিয়েও উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের যুগ্ম ভাবে পঞ্চম সুপ্তোত্থিতা সরকার। কলা বিভাগের ছাত্রী। মেধা তালিকায় যুগ্মভাবে পঞ্চম হয়েছে সে পাশাপাশি মালদহ জেলায় যুগ্মভাবে দ্বিতীয়।

এমনকি মেয়েদের মধ্যে প্রথম মালদহের গ্রামীণ স্কুলের ছাত্রী সুপ্তোত্থিতা। সুপ্তোত্থিতা সরকার বলে, ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করতে আমার ভাল লাগে তবে এটা আমার নেশা নয়। সোশাল মাধ্যমে নেশা হওয়া এক ধরনের ক্ষতিকর। আমার চ্যানেল রয়েছে কিন্তু আমি এটার নেশাগ্রস্ত হয়নি। বরং ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করা রিলস তৈরি করা আমাকে বাড়তি অক্সিজেন দেয়।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডি গিরিজা সুন্দরী বিদ্যামন্দিরের ছাত্রী। বাবা প্রান্তিক সরকার পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। মা পম্পা বিশ্বাস অধ্যাপিকা।ভূগোল সংস্কৃত ও মিউজিক ছিল উচ্চ মাধ্যমিকে। সেখান থেকেই এই ফল। মোট ৫ জন গৃহশিক্ষক ছিল সুপ্তোত্থিতার। পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে গান করে। তবে অধিকাংশ সময় ইউটিউবের ভিডিও তৈরি করেছে। বাবা প্রান্তিক সরকার বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি এই ধরনের এক্টিভিটি ভাল। তবে সেগুলো যেন নেশা না হয়। আমি মেয়েকে প্রথম থেকেই সাপোর্ট করি।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

যদিও পরীক্ষার কিছুদিন আগে থেকে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করা বন্ধ করে দিয়েছিল পড়াশোনার জন্য। বর্তমানে আবার নিয়মিত শুরু করেছে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করা। আগামীতে অধ্যাপিকা হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে সুপ্তোত্থিতার। মাধ্যমিকেও ভাল ফল করেছিল তবে মেধা তালিকার নাম আসেনি। উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকায় আসতে পেরে খুশি সুপ্তোত্থিতা-সহ তার পরিবারের প্রত্যেকেই।

হরষিত সিংহ

HS Result 2024: বাঁকুড়ায় প্রথম, রাজ্যে পঞ্চম হয়েও হাউ হাউ করে কান্না! কারণ জানলে চোখে জল আসবে

বাঁকুড়া: ২০২৪ উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী কেন্দুয়াডিহির বাসিন্দা সুস্বাতী কুন্ডু।৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯২ পেয়ে, রাজ্যে পঞ্চম এবং বাঁকুড়ায় প্রথম স্থান অধিকার করে একপ্রকার তাক লাগিয়েছে এই কন্যা। আগের বছরই মারা গিয়েছেন মেসোমশাই। তার জন্মদিনেই উচ্চ মাধ্যমিকে দুর্দান্ত ফল। মাসিকে জড়িয়ে ধরে বাঁধভাঙ্গা কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাঁকুড়ার কৃতী।

তবে বাঁকুড়ার কৃতিছাত্রী সুস্বাতী কুন্ডু বলছেন, তার আসল ভালবাসা ভারতনাট্যম নৃত্য। বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের কলা বিভাগের ছাত্রী সুস্বাতী কুন্ডু। বাংলা, ইংরেজি ছাড়া ভূগোল, সংস্কৃত এবং শরীর শিক্ষার মধ্যে ভূগোলই তার বিশেষ প্রিয়। তবে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার নয়, নাচকেই গুরুত্ব দেবেন তিনি। নাচকে পেশা করে এগিয়ে যেতে চান সুস্বাতী।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

সম্পর্কে বড় মাসি দিপালী ঘোষকে জড়িয়ে ধরে বাঁধভাঙ্গা খুশির কান্নায় ভেঙে পড়েন কৃতি। দিপালী ঘোষ বলেন, সুস্বাতীর বড় মেসোমশাই পড়াশোনার অনুরাগী ছিলেন। এক বছর হল গত হয়েছেন। ২৫ বৈশাখ তাঁর জন্মদিন। আজ তিনি নেই তবে তাঁর স্বপ্নকে সফল করেছে সুস্বাতী।দুর্দান্ত ফল করেছে সুস্বাতী। সেই কারণেই আনন্দ অশ্রু দেখা গেল তাঁর চোখেও।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী কেন্দুয়াডিহির বাসিন্দা সুস্বাতী কুন্ডু প্রমাণ করলেন বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়াও দুর্দান্ত ফল করা যায় উচ্চ মাধ্যমিকের মত কঠিন পরীক্ষায়। তাছাড়াও নিজের প্যাসনকে তাড়া করে এগিয়ে যাওয়াও সম্ভব এই কম্পিটিশনের যুগে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Higher Secondary 2024: মাধ্যমিক ২ নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় স্থান হয়নি, এবারের উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম প্রতীচি, ভাল ফল করার গোপন মন্ত্র শেয়ার করলেন

কোচবিহার: ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪-র ফলাফল। সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ কোচবিহারের প্রতীচী রায় তালুকদার। সে সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। শতাংশের নিরিখে হল ৯৮.৬ শতাংশ। তবে সে মেয়েদের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে।

মাধ্যমিকে ৬৮২ পেয়েছিল প্রতীচী। তখন মাত্র দু’নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় নাম ওঠেনি তাঁর। সেই আক্ষেপ পূরণ করতেই উচ্চমাধ্যমিকে এই সাফল্য। বর্তমান সময়ে তার ফলাফলে রীতিমতো খুশি তাঁর বাবা-মা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন – ১৭ বছর বয়সী প্রেমিকার সঙ্গে সঙ্গম! মেয়ের মা এনেছিল মারাত্মক অভিযোগ, ৪০ বছরের পুরনো অভিযোগে ৪ সন্তানের বাবা জেলে

প্রতীচী জানায়, “প্রতিদিন আনুমানিক ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করতো সে। তবে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম ছিল না। শরীর চর্চা করার পর পড়তে বসলে পড়ায় মনোযোগ বসে। মূলত এই কারণেই শরীরচর্চা করার পরই পড়তে বসতো সে। উচ্চমাধ্যমিকে তার মোট সাতজন গৃহ শিক্ষক ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁর গান ছবি আঁকা ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট এইসব ভাল লাগে। শ্রেয়া ঘোষালের গান রয়েছে পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষে। অবসরে গল্পের বই পড়া পছন্দ করে সে। ভবিষ্যৎ দিনে তাঁর ইচ্ছে রয়েছে সে একজন ডাক্তার হবে। ইতিমধ্যেই সেই জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সে।”

প্রতীচীর মা ঝুমা সাহা তালুকদার জানান, “মেয়ের পড়াশোনার বিষয়ে কোন সময় তাঁকে বলতে হতো না। সে নিজেই পড়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতো। উল্টে কিছু সময় তারা তাকে পড়াশোনা থেকে সামান্য বিরতি নিতে বলতেন। মেয়ের এই সাফল্য তাঁদের অনেকটাই আনন্দ দিয়েছে। মূলত বাবা-মায়ের অসম্পূর্ণ ইচ্ছে মেয়ে সম্পূর্ণ করতে পেরেছে এমনটাই বক্তব্য তাঁর। ভবিষ্যৎ দিনে মেয়ে আরও সফল হয়ে উঠুক।” বাবা প্রণব রায় তালুকদার জানান, “প্রতীচী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে র‍্যাংক করে রয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে আগামীতে সে ডাক্তার হতে চায়। তাই তাঁর ইচ্ছেকে সম্পূর্ণ সহমত জানান তাঁরা।”

মাধ্যমিকের ফলাফলের পর উচ্চ মাধ্যমিকে আবার এই নজর কারা সাফল্য। মূলত এই কারণেইbঅনেকটাই খুশি করেছে কোচবিহারের বাসিন্দারা। আগামী দিনে প্রতীচী আরও সফল হয়ে উঠুক এমনটাই প্রত্যাশা করছেন জেলার প্রত্যেকটি মানুষ। তবে প্রতীচী লক্ষ্য একটাই একজন ভালো মানের ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।

Sarthak Pandit

ISC Result 2024: ঘুমোতে ভালবাসে ছাত্রী, বোর্ড পরীক্ষার পেল অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ! দেশের মধ্যে নজির গড়ল হৃশিতা!

উত্তর ২৪ পরগনা: ভালবাসা বলতে ঘুম, সেই ছাত্রী এবার দেশের মধ্যে গড়ল নজির! দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট বোর্ড। আর সেখানেই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নজর কাড়লজেলার কৃতি ছাত্রী হৃশিতা সরকার।

মধ্যমগ্রাম পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়রাজপুর পেয়ারা বাগান এলাকার বাসিন্দা হৃশিতা ছোট বেলা থেকেই মেধাবী। তবে পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে সাহিত্যচর্চায় বিশেষ ঝোঁক রয়েছে তার। বাবাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েই পরবর্তীতে শিক্ষকতা করার ইচ্ছে রয়েছে হৃশিতার। আর্টস নিয়ে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা, ইলেকটিভ ইংলিশ, ইতিহাস, সোশিয়োলজি, পলিটিকাল সাইন্স নিয়ে মোট নম্বর ৪০০ নম্বরের পরীক্ষায় সে পেয়েছে ৩৯৮। যা শতাংশের হিসাবে ৯৯.৫%।

আরও পড়ুনSreedevi’s House At Rent: এবার ভাড়ায় শ্রীবেদীর Luxury বাড়িতে থাকতে পারবেন আপনিও! দরজা খুলে দিলেন জাহ্নবী

বিষয়ভিত্তিক পরিসংখ্যান দেখলে, হৃশিতা ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সোশিয়লজিতে পেয়েছে ১০০ নম্বর। বাংলা, ইংলিশ ও ইলেকটিভ ইংলিশে যথাক্রমে পেয়েছে ৯৮ ও ৯৯। অক্সিলিয়াম কনভেন্ট স্কুল বারাসতের ছাত্রী হৃশিতার এই ফলাফল সামনে আসতেই খুশি গোটা পরিবারের। তবে কৃতি ছাত্রীর হৃশিতা অবশ্য জানান, এতটা ফল ভাল হবে তা তিনি নিজেও আশা করেননি। দিনে মাত্র চার পাঁচ ঘণ্টা পড়াশোনা চলত। অবসর সময়ে গল্পের বই যেন ছিল একমাত্র বন্ধু।

আগামীতে ইংলিশে অনার্স নিয়েই এগিয়ে যেতে চান মধ্যমগ্রামের কৃতি পড়ুয়া হৃশিতা সরকার। ছাত্রীর এই সাফল্যের কথা জানিয়ে টুইটও করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিআই অফিস থেকেও মিলেছে বিশেষ সংবর্ধনা। হৃশিতার বাবা শুভেন্দু সরকার রানাঘাট কলেজের ইংলিশের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। মা রুনা সরকার নিতান্তই গৃহবধূ। মেয়ের এই সাফল্যে যেন আজ গর্বিত তারাও। জানালেন পড়াশোনার পাশাপাশি ওডিসি, ফোক ডান্স সহ নাচের প্রতি রয়েছে হৃশিতার আলাদা টান। এখন পাড়া প্রতিবেশী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকা বন্ধু-বান্ধব সকলেই বাড়িতে এসে ফোনে অভিনন্দন জানাচ্ছে দ্বিতীয় হয়ে নজর কাড়া এই কৃতি ছাত্রীকে।

Rudra Narayan Roy