হাওড়া: শিশিরে ভেজা শরৎ মানেই দেবীর আগমন। তাই সর্বত্র জুড়েই সাজো সাজো রব। দেবীর এই আগমনীতে ঘরে ঘরে খুশির জোয়ার বয়ে আনে। বাঙালির বারো মাসের তেরো উৎসবের শ্রেষ্ঠ হল দুর্গাপুজো।
দুর্গোৎসব মানে বনেদিবাড়ি থেকে বারোয়ারির পুজোয় বাঙালির মেতে ওঠা। শরতের সূচনা লগ্ন থেকেই বাংলা জুড়ে শুরু হয় পুজোর প্রস্তুতি। সেই দিক থেকে পিছিয়ে নেই, শহর হাওড়াও৷ গ্রাম থেকে শহর, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জোরদার চলছে পুজোর প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: হাজার হাজার টাকা দিয়ে কেশর কিনছেন? ঠকে যাচ্ছেন না তো? শিখুন কেশর চেনার উপায়
মণ্ডপে মণ্ডপে ফুটে উঠছে নানা থিমের ছটা। শহর বা শহরতলীর থেকে খুব বেশি পিছিয়ে নেই গ্রামও। গ্রামাঞ্চলেও বিভিন্ন মন্ডপে রয়েছে চোখ ধাঁধানো থিমের সাজ।
আরও পড়ুন: ইঁদুরের যম, মাত্র ১০ টাকা খরচ করলেই ঘরের ত্রি সীমানায় থাকবে না, রইল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
আকর্ষণীয় মণ্ডপসজ্জা ফুটে উঠেছে হাওড়ার মাকড়দহে। এখানের অ্যাথলেটিক ক্লাবের দুর্গা পুজোয় এবারের থিম ‘কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি’। এই মন্ডপে ফুটে উঠবে নির্ভেজাল গ্রামের চিত্র।
এখানে চূড়ান্ত পর্যায়ে মণ্ডপ সজ্জার পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে জোর কদমে। গতবছর মণ্ডপ সজ্জায় দারুন ভাবে দর্শকদের নজর কেড়েছিল মাকড়দহ অ্যাথলেটিক ক্লাব। গতবারের থিম ছিল ‘লক্ষ্য’।
গতবার মণ্ডপ থেকে লক্ষ্য স্থির রেখে সফলতার দিকে এগিয়ে যাবার বার্তা মানুষকে। সেভাবেই সাজিয়ে তোলা হয়েছিল মণ্ডপ। এবারের মাকড়দহ অ্যাথলেটিক ক্লাবের মন্ডপে দেখা যাবে নির্ভেজাল গ্রামের ছবি।
একদিকে গরুর গাড়ি ঠাকুরদালান উঠোন নানা গ্রামীন নিদর্শন ফুটে উঠবে পুজো মণ্ডপে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় তৈরি হচ্ছে এই থিম নির্মাণে। এবার প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা নিজেরাই মণ্ডপ তৈরিতে হাত লাগিয়েছে। আন্তরিকতার সঙ্গে একটু একটু করে মণ্ডপকে মনের মত রূপ দেচ্ছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে পুজো কমিটির সম্পাদক প্রীতম মজুমদার জানান, ‘‘বর্তমান সময়ে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে প্রকৃত গ্রামের চিত্র অজানা। মণ্ডপে এমন গ্রামের চিত্র দেখে আকর্ষিত হবে ছোটরাও। অন্যদিকে প্রবীণ মানুষ যারা শৈশব থেকে গ্রামেই বড় হয়ে শহরে এসেছে কর্মজীবনের তাগিদে। তারাও তাঁদের নস্টালজিক ফিরে পাবেন এই মণ্ডপে প্রবেশ করলে।’’
রাকেশ মাইতি