Tag Archives: Primary School

Bangla Video: অস্থায়ী শিক্ষকের কাণ্ড! ফেলে দেওয়া জিনিসে সাজছে স্কুল

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্কুলে এসেছেন অস্থায়ী অঙ্কন শিক্ষক। তাঁর উদ্যোগেই নামখানার কালিনগর নিম্ন বুনিয়াদি স্কুল সেজে উঠেছে ফেলা দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে। এই কাজে সহযোগিতা করছে ক্ষুদে ছাত্র-ছাত্রীরা।

নামখানা ব্লকের কালিনগর নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে শুরু হয়েছিল ফেলে দেওয়া বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় পদার্থ দিয়ে হাতের কাজ তৈরি করার প্রশিক্ষণ। সেই কাজ করতেন স্কুলের অস্থায়ী অঙ্কন শিক্ষক সায়ন মিদ্দা। তিনি এই স্কুলে পাঁচ বছর পড়ুয়াদের ছবি আঁকার প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিই প্রথম ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন বস্তু দিয়ে কীভাবে একাধিক সৌখিন সামগ্রী তৈরি করা যায় তার হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। পরে সেই কাজকে বিদ্যালয়ের রুটিন কাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেন প্রধান শিক্ষক কুসুম ভট্টাচার্য। এরপর দেখা যায় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই সৃজনশীলতার প্রশিক্ষণ খুব ভালভাবে নিচ্ছে এবং বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করছে।

আর‌ও পড়ুন: সাড়ম্বরে স্কুলে জন্মদিন উদযাপন! মাসের শেষ শনিবারের অপেক্ষায় থাকে সবাই

বর্তমানে এই স্কুলে ফেলে দেওয়া চায়ের কাপ দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সৌখিন সামগ্রী, ফুলদানি সহ আরও অন্যান্য জিনিসপত্র। থার্মোকলের প্লেটকে করা হচ্ছে আরও আকর্ষণীয়। ফলে স্কুল প্রাঙ্গণ সেজে উঠেছে ফেলে দেওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি সামগ্রীতে। দেখতেও খুব‌ই সুন্দর লাগছে। এভাবে স্কুলের উদ্যোগে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার শিক্ষা দেওয়ায় খুশি সকলেই।

নবাব মল্লিক

Birthday Celebration: সাড়ম্বরে স্কুলে জন্মদিন উদযাপন! মাসের শেষ শনিবারের অপেক্ষায় থাকে সবাই

হাওড়া: সাড়ম্বরে জন্মদিন উদযাপন বিদ্যালয়ে। জন্মদিনে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে সন্তান স্নেহে পায়েস তুলে দিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এখানেই শেষ নয়, জন্মদিন উপলক্ষে বিদ্যালয় চত্বর সাজানোর পাশপাশি জন্মদিনে ছাত্রদের হাতে তুলে দেওয়া হল উপহার। উলুবেড়িয়া বাড় মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে এমনই অবাক করা দৃশ্য নজরে এল।

এমনিতে রাজ্যের অন্যান্য সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে যখন পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে, তখন উল্টো পথে হেঁটে হাওড়া জেলার এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ছে। শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে জন্মদিন পালন হয় প্রতিমাসের শেষ শনিবার। জন্মদিন এলেই দারুণ খাওয়া-দাওয়া, গিফট পাওয়ার আনন্দে উৎসাহিত হয়ে ওঠে ছাত্র-ছাত্রীরা। আরও আত্মিক বন্ধন গড়ে তুলতে হয় রাখি বন্ধন। শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন। একইসঙ্গে শিশুকাল থেকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বৃক্ষ প্রেম জাগাতে জন্মদিনে শিশুর নামে গাছ লাগানো হয়। নামকরণ করা সেই গাছের রাখি পরিয়ে দেয় ছোট ছোট পড়ুয়ারা।

আর‌ও পড়ুন: ভুটান পাহাড়ের জলে হড়পা বানের আশঙ্কা জয়গাঁয়

এই বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এতটাই প্রিয় যে, প্রাক্তন হ‌ওয়ার পরেও আত্মিক যোগ থেকে যায়। প্রাথমিক স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে যাওয়ার পরেও স্কুলের বাগান তৈরি, স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং তাদের জন্মদিন পালনে এসে হাজির হয় বহু প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী। বাড় মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উদযাপিত জন্মদিন স্থান পেয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে।

এই প্রসঙ্গে বাড় মংরাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজদূত সামন্ত জানান, এমন বিদ্যালয়ই বেছে নিয়েছিলাম যেখানে বিদ্যালয় ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নিজে কিছু করতে পারব। তাই সে সময় বেছে নিয়েছিলাম প্রত্যন্ত গ্রামের এই বিদ্যালয়। সেই মতই এগিয়ে চলা। ভাল কাজ করার ইচ্ছে তো ছিল। সেই সঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, বাড় মংরাজপুর ও মংরাজপুর দুই গ্রামের মানুষ দারুনভাবে সহযোগিতা করেছেন। তার ফলেই এসেছে এই সাফল্য।

রাকেশ মাইতি

Class 1 Admission Age: ক্লাস-ওয়ানে ভর্তির বয়স কত হওয়া উচিত…? ফর্ম তোলার আগে দেখে নিন ‘ন্যূনতম’ বয়স, জানুন লেটেস্ট নিয়ম!

সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে যেমন অভিভাবকদের চিন্তার অন্ত নেই, ঠিক তেমনই তার স্কুলে ভর্তি নিয়ে মা-বাবার উদ্বেগ কিছু কম নয়। বাস্তবে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো সহজ নয়।
সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে যেমন অভিভাবকদের চিন্তার অন্ত নেই, ঠিক তেমনই তার স্কুলে ভর্তি নিয়ে মা-বাবার উদ্বেগ কিছু কম নয়। বাস্তবে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো সহজ নয়।
একদিকে যেমন স্কুলে ভর্তির জন্য সন্তানকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণে তৈরি করা জরুরি, ঠিক তেমনই আবার দেশের স্কুল ভর্তির নিয়ম সম্পর্কে অবগত থাকাও খুব প্রয়োজন। কারণ স্কুলে ভর্তির নিয়ম ঘন ঘন পরিবর্তন হতে থাকে।
একদিকে যেমন স্কুলে ভর্তির জন্য সন্তানকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণে তৈরি করা জরুরি, ঠিক তেমনই আবার দেশের স্কুল ভর্তির নিয়ম সম্পর্কে অবগত থাকাও খুব প্রয়োজন। কারণ স্কুলে ভর্তির নিয়ম ঘন ঘন পরিবর্তন হতে থাকে।
মা-বাবাদের অবগতির জন্য জেনে রাখা ভাল, জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমানে এর অধীনে, কেন্দ্র সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ১ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
মা-বাবাদের অবগতির জন্য জেনে রাখা ভাল, জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমানে এর অধীনে, কেন্দ্র সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ১ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
গত বছরও, NEP 2020 কে মাথায় রেখে, ক্লাস ১-এ ভর্তির জন্য একটি শিশুর সর্বনিম্ন বয়স ৬ বছর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চলছে। অনেক স্কুলে এই ন্যূনতম বয়সসীমার ভিত্তিতে ভর্তিও নেওয়া হয়।
গত বছরও, NEP 2020 কে মাথায় রেখে, ক্লাস ১-এ ভর্তির জন্য একটি শিশুর সর্বনিম্ন বয়স ৬ বছর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চলছে। অনেক স্কুলে এই ন্যূনতম বয়সসীমার ভিত্তিতে ভর্তিও নেওয়া হয়।
২০২৩ সালে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে রাজ্যগুলিতে পাঠায়। এরপর ২০২৪-এ ওই একই নির্দেশের পুনরাবৃত্তি করে আবার পাঠানো হয়।
২০২৩ সালে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে রাজ্যগুলিতে পাঠায়। এরপর ২০২৪-এ ওই একই নির্দেশের পুনরাবৃত্তি করে আবার পাঠানো হয়।
ক্লাস 1 -এ ভর্তির বয়স: ন্যূনতম ৬ বছরশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ একটি চিঠি প্রকাশ করে। তাতে স্পষ্ট লেখা আছে যে শীঘ্রই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, আশা করা হচ্ছে যে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, গ্রেড ওয়ানে ভর্তির জন্য শিশুর বয়সসীমা এখন ৬ বছর প্লাস হবে।
ক্লাস 1 -এ ভর্তির বয়স: ন্যূনতম ৬ বছর
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ একটি চিঠি প্রকাশ করে। তাতে স্পষ্ট লেখা আছে যে শীঘ্রই ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, আশা করা হচ্ছে যে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, গ্রেড ওয়ানে ভর্তির জন্য শিশুর বয়সসীমা এখন ৬ বছর প্লাস হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাদের এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে। NEP 2020 এবং শিশুদের বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইনের (RTE Act 2009) অধীনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও তাদের এক্স হ্যান্ডেলে এই সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে। NEP 2020 এবং শিশুদের বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইনের (RTE Act 2009) অধীনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর।
কেন্দ্র লোকসভা অধিবেশনে এই বিষয়ে জানিয়েছে, দেশে এমন ১৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে, যেখানে যে শিশুর বয়স ৬ বছর নয়, তারাও ক্লাস ১ এ ভর্তি হতে পারে। এই রাজ্যগুলি হল – অসম, গুজরাত, পুদুচেরি, তেলেঙ্গানা, লাদাখ, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, গোয়া, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক এবং কেরল। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে স্কুলের অধ্যক্ষের ন্যূনতম বয়সসীমাতে শিথিলতা দেওয়ার অধিকারও থাকবে।
কেন্দ্র লোকসভা অধিবেশনে এই বিষয়ে জানিয়েছে, দেশে এমন ১৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রয়েছে, যেখানে যে শিশুর বয়স ৬ বছর নয়, তারাও ক্লাস ১ এ ভর্তি হতে পারে। এই রাজ্যগুলি হল – অসম, গুজরাত, পুদুচেরি, তেলেঙ্গানা, লাদাখ, অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, গোয়া, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক এবং কেরল। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে স্কুলের অধ্যক্ষের ন্যূনতম বয়সসীমাতে শিথিলতা দেওয়ার অধিকারও থাকবে।

Model School: যেন আস্ত এক খেলাঘর! এই স্কুলে এলে ছেলেমেয়েরা বাড়ি ফিরতে চায় না

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সমগ্র স্কুল যেন আস্ত খেলাঘর। স্কুলের প্রতিটি দেওয়াল, মেঝেতে রয়েছে শিশুমনের আনন্দ দেওয়ার একাধিক বিষয়ের ছবি। যা দেখে শিশুরা স্কুল থেকে আর বাড়িতেই আসতে চাইছে না।এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে কাকদ্বীপের প্রত্যন্ত এলাকা রামগোপালপুরে। সেখানের স্কুলটিকে এমনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে, যাতে শিশুরা সর্বদা আনন্দের মধ্যে থাকে।

মূলত খেলার ছলে শিশুদের শিক্ষা দিতে সমগ্র বিদ্যালয়টিকে এই রূপ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানস সাউটিয়া। স্কুল প্রাঙ্গণে করা হয়েছে নতুন পার্ক। স্কুলের সিঁড়ি এবং দেওয়াল জুড়ে বিভিন্ন মনিষীদের ছবি সহ স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। স্কুলে রাখা হয়েছে ভিস্যুয়াল রিপ্রেজেন্টেশনের ব্যবস্থা। প্রত্যন্ত এলাকায় এই শহরের ধাঁচে স্কুল তৈরি হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। এ নিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি শুভেন্দু জানা জানান, স্কুলটি শিশুদের আনন্দ দিচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: কম বৃষ্টিতেও দুর্দান্ত ফলন হবে ধানের!

স্কুলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আ্যটেন্ডেস নেওয়া হচ্ছে। রয়েছে সিসিটিভি। সবথেকে ভাল বিষয়টি হল, এখানে শিশুদের মানুষ করে গড়া হচ্ছে। যা অন্য স্কুলের থেকে এই স্কুলকে আলাদা করেছে। এই স্কুলে শিশুরা ঘুরে বেড়ালেই শিখতে পারবে অনেক কিছু। স্কুলের মেঝে, দেওয়াল থেকে শুরু করে ছাদ পর্যন্ত সমস্ত জায়গাতেই রয়েছে একাধিক ছবি। এখন দেখার এই শিক্ষাপ্রণালী কতটা প্রভাব ফেলে শিশুমনে।

নবাব মল্লিক

Primary School: স্কুল-পড়ুয়া সব আছে, রোজ হয় মিড ডে মিল, তবুও এখানে শিকেয় উঠেছে পড়াশোনা!

পশ্চিম বর্ধমান: এটা এক বহু পুরনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাহিনী। আজ‌ও এখানে নিয়মিত আসে পড়ুয়ারা। বিদ্যালয় ভবনের হালও বেশ ভাল। সেখানে নিয়মিত মিড ডে মিল দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। বিদ্যালয়ে এসে খেলাধুলার অবাধ অবসর রয়েছে পড়ুয়াদের কাছে। কিন্তু এই সব কিছুর মাঝেই হয় না আসল কাজটাই, বিদ্যালয়ে এসে পড়াশোনার সুযোগ‌ই পায় না ছোট ছোট পড়ুয়ারা!

এমন অবাক করা অবস্থাটি হল আসানসোল পুরনিগমের অন্তর্গত ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এই বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই অভিভাবকদের বড় অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাঠ কার্যত চুকে যেতে বসেছে। কারণ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫০ জন পড়ুয়া থাকলেও, শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন! যিনি আবার বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ পদেও রয়েছেন। ফলে পড়ানোর থেকে অফিশিয়াল কাজকর্ম বেশি করতে হয়।

আর‌ও পড়ুন: চিংড়ি চাষ করলেই মোটা লাভ! সাহায্য করতে এগিয়ে এল মৎস্য দফতর

গত কয়েক বছরে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা কমে গিয়েছে। অথচ নতুন শিক্ষক এখানে আর আসেননি। একজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনিও গত এপ্রিল মাসে অবসর গ্রহণ করেন। আর তারপর থেকে বিদ্যালয়ের পুরো দায়িত্ব এসে পড়েছে বর্তমান টিচার ইনচার্জের কাঁধে। তার কাঁধে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম থেকে শুরু করে বিদ্যালয় দেখাশোনার সমস্ত দায়িত্ব রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবার দেওয়ার বিষয়টিও দেখতে হয়। এত কিছু করে একা মানুষের পক্ষে স্কুলের চারটি শ্রেণির ক্লাস নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না।

এই সব কিছু কাজ যে একসঙ্গে একজন শিক্ষকের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন বর্তমান টিচার ইনচার্জ। এই বিষয়টি মেনে নিচ্ছেন অভিভাবকরাও। এই বিদ্যালয়ে স্থানীয় অনেক দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে সকলের ক্ষতি হবে। তাই দ্রুত শিক্ষক পাঠিয়ে স্কুলের হাল ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

নয়ন ঘোষ

Classes With Umbrella: ছাতা মাথায় ক্লাস করছে পড়ুয়ারা! শ্রেণিকক্ষের ভেতর আজব দৃশ্য

উত্তর ২৪ পরগনা: স্কুলের মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে বসে পড়ুয়াদের! সুন্দরবনের দুলদুলি পুকুরিয়া আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেল এমনই অবাক দৃশ্য। অবশ্য এটা করা ছাড়া ওই ছোট ছোট পড়ুয়াদের আর কোনও উপায় নেই। কারণ স্কুলের ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে ভেঙে পড়ছে। তাই নিজেদের মাথা বাঁচাতে ছাতা টাঙিয়ে চলছে ক্লাস।

উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বসেই চলে প্রতিদিনের পঠন-পাঠন। স্কুল ভবনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর আগে বেশ কয়েকদিন ধরেই ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ছে। এদিনও যখন স্কুল চলছিল তখন চাঙড় ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ছাত্র-ছাত্রীরা। তাই বাধ্য হয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে স্কুল করছে ছাত্র-ছাত্রীরা।

আর‌ও পড়ুন: শ্যাওড়া, ঘেটু ও ডুমুর গাছ‌’ই দেবতা! বুড়ো বাবা আর দেবী মনসার পুজো এখানে মিলেমিশে একাকার

এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত অভিভাবকরা জানিয়েছেন, যতদিন না স্কুল ভবনের সংস্কার হচ্ছে ততদিন তাঁরা সন্তানদের আর স্কুলে পাঠাবেন না। স্কুলের এই বেহাল অবস্থা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক রুদ্রপ্রসাদ মণ্ডল। তিনি বলেন, বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, কিন্তু কোন‌ও কাজ হয়নি।

Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আলিপুরদুয়ার, ভাসছে রাস্তা থেকে কৃষিজমি

আলিপুরদুয়ার: উত্তরবঙ্গে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় বিপর্যয়ের ছবি ধরা পড়ছে। আলিপুরদুয়ার জেলার সবচেয়ে বিপর্যস্ত এলাকা হল ফালাকাটা ও আলিপুরদুয়ার-১ ব্লক। এখানে জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে জল, ভেঙেছে রাজ্য সড়ক।

টানা বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন স্কুলের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা না হওয়ায় স্কুল আসছে না পড়ুয়ারাl ফালাকাটা ব্লকের উমাচরণপুর নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উমাচরণপুর জুনিয়ার হাই স্কুল ও একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা এই বৃষ্টিতে। এদিকে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের শালকুমার এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। চরতোর্ষা ডাইভার্সনের উপর মহাসড়ক দিয়ে বয়ে যাচ্ছে জল। এরফলে আলিপুরদুয়ার-ফালাকাটার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আর‌ও পড়ুন: কোটি টাকা খরচে তৈরি ন্যানো প্রযুক্তির রাস্তার বছর ঘুরতেই বেহাল দশা

টানা বৃষ্টিতে পাশের জেলা কোচবিহারের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যাতায়াতকারীদের মতে, ২০১৭ সালের এবারের বর্ষায় আবার এমন পরিস্থিতি হল। এর ফলে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসন আগাম ব্যবস্থা না নেওয়াতেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর ফলে এলাকার পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন।

অনন্যা দে

Go As You Like Competition: সুভাষের বাল্য অবস্থা থেকে এখনের সমাজ, অভিনয় নাকি বাস্তবতা?

পশ্চিম মেদিনীপুর: কোথাও ছোট্ট সুভাষ ভিখারিনীকে নিজের টিফিন দিচ্ছেন, কোথাও আবার ব্যাট, বল, ফুটবল রেখে ছেলেমেয়েরা বুঁদ হয়ে আছেন মোবাইলে। আবার কোথাও পথের শিশুরা এখনও ডাস্টবিনের খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। এইসব দেখে বাস্তব মনে হলেও আদতে তা নয়।

আসলে ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়ারা ফুটিয়ে তুলেছে নানা বাস্তব চিত্র। কোথাও আবার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বর্তমান দিনে মা-বাবার ব্যস্ততার কারণে শিশুরা বিপথগামী হচ্ছে সেই দৃশ্য। আবার গ্রামীণ এলাকায় বাবা-মায়ের স্নেহ-মমতায়, আদর-যত্নে বড় হয়ে উঠছে তাদের ছেলেমেয়ে। কোথাও ছোট্ট কৃষ্ণ ননী খাচ্ছে। একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতায় সমাজের এমনই সব সচেতনতামূলক নানান ছবি ফুটিয়ে তুলেছে ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়ে থেকে বড়রা।

আর‌ও পড়ুন: নদীর জলের তোড়ে ভাঙল পারাপারের সাঁকো

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদাতে দেউলি নজরুল সাংস্কৃতিক সংঘের আয়োজনে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছিল যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতা। সমাজের সামাজিক উন্নতিতে এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছে কচিকাঁচা থেকে বাড়ির বড়রাও। শুধু তাই নয় তাদের অভিনয় কুশলতা এবং ভাবনা-চিন্তা আপনাকে ভাবিত করবে।

সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ভাবনা চিন্তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।

রঞ্জন চন্দ

AC Classroom: সরকারি স্কুলের ক্লাসরুমে এসি!

নদিয়া: এই ভয়াবহ গরম থেকে বাঁচতে সরকারি স্কুলে বসানো হল এসি! তীব্র গরমে পুড়ছে গোটা রাজ্য। এরই মাঝে নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ায় নতুন করে খোলা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি। স্কুল খুললেও তীব্র গরমের কারণে স্কুলমুখো হচ্ছেন না অনেক ছাত্র-ছাত্রী। আর তাই ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলমুখো করতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্যোগে ক্লাসরুমে বসানো হল এসি।

বিদ্যালয়ের হলঘর অর্থাৎ বড় একটি ঘরে প্রত্যেকটি ক্লাসের ছাত্রদের নিয়ে চলছে পঠন পাঠন। আর সেখানেই বসানো হয়েছে এসি। এহেনও ব্যবস্থাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরা‌ও। এমনই ছবি ধরা পড়ল নদিয়ার হবিবপুর এলাকার এক প্রাথমিক স্কুলে। বিদ্যালয়ের নাম দোহারপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে সেখানে মোট শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে পাঁচ জন। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৫২।

আর‌ও পড়ুন: নৌকার মাঝি হয়ে জলমগ্ন জলপাইগুড়িতে উদ্ধার কাজে বিডিও!

জানা গিয়েছে, এই গরমে ক্লাসরুমে এসি লাগানোর পর বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের আসার সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রত্যেকটি বিদ্যালয়েই উন্নয়নের অর্থ আসে। কিন্তু আমাদের বিদ্যালয়ের সেই অর্থ থেকে কিছু কিছু বাঁচিয়ে এবং নিজেদের উদ্যোগে আমরা এই এসির ব্যবস্থা করেছি। সমস্ত বিষয়টি পঞ্চায়েত এবং বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই করা হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের বিলের খরচ বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাঁরা বলেন, ১২ মাস তো আর এসি চালাব না। ইদানিং এতটাই তীব্র গরম পড়েছে যে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলমুখ হচ্ছে না। এসি চলবে এক মাস, তাই বাড়তি বিল নিজেরাই অর্থাৎ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের অর্থ থেকেই মেটানো হবে। স্থানীয় পঞ্চায়েতও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

মৈনাক দেবনাথ

Leopard Panic: চিতাবাঘের ভয়ে কেউ স্কুলে আসছে না, ধনীরামপুরে অঘোষিত বনধ

আলিপুরদুয়ার: চিতাবাঘের আতঙ্কে অঘোষিত বনধের চেহারা নিল ফালাকাটা। ভয়ের চোটে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা। তাঁরাও বাড়ি থেকে খুব একটা বেরোচ্ছেন না। ফলে কার্যত পড়ুয়া শূন্য অবস্থা ফালাকাটার ধনীরামপুর-২ অঞ্চলের চাঁদনিকুড়া এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

চিতাবাঘের গোটা পরিবার এলাকায় অবস্থান করছে বলে স্থানীয়দের দাবি। প্রতিদিন সকাল হলেই বুনোজন্তুর হালহকিকত জানতে এলাকায় আসছেন নানা প্রান্তের মানুষ। এদিকে স্কুল খুলে গেলেও চিতাবাঘের আতঙ্কে পড়ুয়া নেই স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। চাঁদনিকুড়া জুনিয়র হাইস্কুলের টিচার ইনচার্জ কেশবচন্দ্র রায় বলেন, চিতাবাঘের ভয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাইছেন না অভিভাবকরা। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পড়ুয়ারা আসছে না বলে মিড ডে মিল রান্না হচ্ছে না।

আর‌ও পড়ুন: সাগরে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর কার্যালয়ে আগুন

গ্রামবাসীদের দাবি, শুধুমাত্র একটি চিতাবাঘ নয়, সপরিবারে সে ঠাঁই নিয়েছে এলাকায়। চিতাবাঘেরর ছানাদের দেখাও পেয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের বাসিন্দা দীপা রায় বলেন, পাটক্ষেত থেকে উঠে বাঘের দুটি বাচ্চাকে খেলতে দেখেছেন। বাঘের ভয়ে পোষ্য প্রাণীদের নিরাপদে রাখতে গোয়াল ঘর বেশ শক্তপোক্ত করে মেরামত করছেন গ্রামের মানুষ। বাঘের বাচ্চার দেখা পাওয়ার পরে এলাকাবাসীরা বুঝেছেন চিতাবাঘ আশেপাশেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে।

উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সকালে চিতাবাঘ দেখতে পান পেশায় কৃষক গ্রামবাসী সুবল রায়। তাঁকে চিতাবাঘ আক্রমণ করায় গুরুতর জখম হন। বর্তমানে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। এদিকে এলাকায় নজরদারি শুরু করেছে বনকর্মীরা।

অনন্যা দে