Tag Archives: Primary School

School Homework: স্কুলের হোম ওয়ার্ক গাছের চারা তৈরি! কোথায় দেখা গেল এমনটা?

আলিপুরদুয়ার: এ এক অন্য ধরণের হোম ওয়ার্ক। খাতায় কিছু লিখে স্কুল শিক্ষকের কাছে জমা করার প্রশ্ন নেই, বরং এই হোম ওয়ার্কের মধ্য দিয়ে প্রকৃতির কাছাকাছি চলে যেতে পারছে পড়ুয়ারা। কিন্তু কোথায় হচ্ছে এমনটা?

হ্যামিল্টনগঞ্জ স্কুলের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে প্রকৃতিকে চিনে পড়ুয়াদের হোম ওয়ার্ক করানোর উদ্যোগ। পড়ুয়ারা ভীষণভাবেই খুশি খোলা হাওয়াতে প্রকৃতিকে জানতে পেরে। নিজেদের উদ্যোগে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা সহ অন্যান্য গাছের চারা নিয়ে বন দফতরের হাতে তুলে দিচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: সুন্দরবনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা

জঙ্গলে যাতে খাবারের অভাব না হয় এবং হাতি, বাঁদরের মত বন্যপ্রাণীরা যাতে খাবারের লোভে লোকালয়ে না আসে সেই লক্ষ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই ফলের চারা গাছ তারা তুলে দিচ্ছে। এদিন বন দফতরের কর্মীদের উপস্থিতিতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে বেশ কিছু চারা গাছ নিজেরাই রোপণ করে পড়ুয়ারা। সম্প্রতি দেড় মাস ধরে চলা গরমের ছুটিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে গ্রীষ্মকালীন ফলের চারা তৈরির ‘হোম ওয়ার্ক’ দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়াদের। তাতেই কেউ আম, কেউ কলা তো আবার কেউ কাঁঠাল সহ অন্যান্য ফলের চারা তৈরি করেছে।

ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে খাবারের লোভে লোকালয়ে চলে আসে হাতি, বাঁদরের মত বন্যপ্রাণী। লোকালয়ে তাদের তাণ্ডব রুখতে পড়ুয়াদের তৈরি চারা গাছ জঙ্গলে রোপনের ভাবনা স্কুল কর্তৃপক্ষের। যাতে ভবিষ্যতে খাবারের অভাব না হয়। এমন উদ্যোগ এর আগে কখনও ব্লকে নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা। এই বিষয়ে উত্তর লতবাড়ি যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য রবি মুর্মু বলেন, ‘পড়ুয়া ও স্কুল কর্তৃপক্ষের এরূপ উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। আগামীতে যাতে বাকিরাও এরূপ উদ্যোগ নেয়, এটাই চাইব।

অনন্যা দে

Nadia News: শিক্ষকদের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনেই হচ্ছে মিড ডে মিলের সব্জির চাষ

মাজদিয়া: মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রীদের শরীর খারাপ হতে দেখা গিয়েছে। কখনও মিড ডে মিলে দেওয়া খাবারের গুণগত মান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন কিংবা কখনো তাতে পাওয়া গিয়েছে নানা রকম পোকামাকড়। এই ধরনের খবর বেশিরভাগ সময়ই উঠে আসে শিরোনামে। তবে ব্যতিক্রম কার্যকলাপ ও দেখা যায় বেশ কিছু জায়গায়। তার মধ্যে অন্যতম মাজদিয়া রেলবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে প্রধান শিক্ষক সুকুমার হালদারের উদ্যোগে বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে মিড ডে মিলের সবজি চাষ করে সেই সবজি পরিবেশন করা হয়, পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবারে।

আরও পড়ুন: ব্যবসার প্রয়োজনে স্বামীর পরিবার টাকা দাবি করলে তা যৌতুক নয়: এলাহাবাদ হাই কোর্ট

বাজারে বিভিন্ন রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দেওয়া হয় শাকসব্জিতে। এই ধরনের শাকসব্জি খেয়ে বিশেষ করে শিশুদের নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে বলে জানান চিকিৎসকেরা। আর সেই কারণেই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জি লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে শুধু গাছ লাগানোই নয়, সেগুলি নিয়মিত পরিচর্যা করে বড় করে তোলা সমস্ত কিছুই দেখভাল করেন তিনি। এরপর সেই গাছের সব্জি দিয়েই রান্না করা হয় মিড ডে মিল। এতে যেমন শিশুরা ভেজাল বিহীন উন্নত শাকসবজি খেতে পারছে ঠিক তেমনি অন্যদিকে বর্তমানে অগ্নিমূল্য বাজারের থেকে কিছুটা হলেও পয়সা সাশ্রয় হচ্ছে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

আরও পড়ুন: বাংলাকে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা! দিল্লি যাওয়ার পথে বিস্ফোরক মমতা

শিক্ষকের এই উদ্যোগের ফলে খুশি পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকেরাও। তারা জানান, এই ধরনের উদ্যোগ প্রত্যেকটি বিদ্যালয়েরই নেওয়া উচিত। প্রায় সমস্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়াতেই উঠোন কিংবা প্রাঙ্গণের বেশ কিছুটা জায়গা থাকে। সেই জায়গাগুলিতে যদি এভাবে মিড ডে মিলের শাকসব্জি উৎপাদন করা হয় তাতে যেমন আর্থিক সাশ্রয় হবে ঠিক তেমনি বাজারের ভেজাল জাত সবজি থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে তাদের ছেলে মেয়েরা, এমনটাই মত অধিকাংশ অভিভাবকদের।

Jalpaiguri News: প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে ই-বুক! প্রত্যন্ত গ্রামের এই প্রাথমিক স্কুল দেখলে মাথা ঘুরে ‌যাবে

জলপাইগুড়ি: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন ডিজিটাল! ঝাঁ চকচকে প্রাইভেট স্কুলে উন্নতমানের পঠনপাঠনের জন্যে ক্রমেই ছাত্রাভাবে ধুঁকছে সরকারি স্কুল গুলি। কিন্তু এবার পড়ুয়াদের কথা ভেবে অভিনব উদ্যোগ নিল জলপাইগুড়ি ধূপগুড়ি মহকুমার বারোঘরিয়া বটতলী স্বর্ণময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এই সরকারি স্কুলটিকে ডিজিটালের মোড়কে রাঙিয়ে দিতে উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। স্কুলের শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে গুগল ড্রাইভের মধ্যে গোটা বইয়ের পিডিএফ তুলে ফেলেছে। তার মধ্যেই কিউ.আর কোড স্ক্যান করলে গুগল ড্রাইভ থেকে আপনার মোবাইলে সোজা চলে আসবে গোটা বই। সহজ পাঠ থেকে পঞ্চম শ্রেণির সব বইই মিলবে এমন ই-বুক হিসেবে৷ এর জন্যে গুনতে হবে না বাড়তি মূল্য।

আরও পড়ুন: দিঘার সমুদ্রে স্নান সেরে ফেরার পথেই…জাতীয় সড়কে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! গাড়ি ও বাইকের সংঘর্ষে মৃত ৪, জখম একাধিক

কোনও কারণে বই হারিয়ে গেলে কিংবা কোনও জায়গায় বই সঙ্গে করে নিতে যাওয়া সম্ভব না হলে তখন বাচ্চারা মোবাইল থেকে সহজেই তাদের পড়াশোনা সম্পন্ন করতে পারবে৷ এরপর ধীরে ধীরে আরও কীভাবে পঠনপাঠনের ধরণ উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা।

আরও পড়ুন: ৭ দিনের অপেক্ষা! ৩১ জুলাই থেকেই বৃহস্পতি তুঙ্গে ৫ রাশির, সাফল‍্যের পথে সব বাধা কাটবে, ব‍্যাঙ্ক ব‍্যালেন্স উপচে পড়বে

এর পাশাপাশি গোটা স্কুলকে বিভিন্ন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বাচ্চাদের কাছে প্রাথমিক শিক্ষাটাই সর্বপ্রথম শিক্ষা, যা শিখবে তাই করবে। বলাই বাহুল্য, এখন থেকেই ডিজিটালের প্রভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নত হলে তবেই ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে এবং সরকারি স্কুলের প্রতি অভিভাবকদেরও আস্থা জন্মাবে বলে আশাবাদী শিক্ষকমহল।

সুরজিৎ দে

Mango Festival: আম রাইস থেকে ম্যাঙ্গো রসগোল্লা, ফুরিয়ে ‌যাওয়ার আগে ছুটে আসুন!

মুর্শিদাবাদ: পাশাপাশি দুই জেলা মুর্শিদাবাদ ও মালদহের আম জগৎবিখ্যাত। সেই আমকে বিশ্বের দরবারে নতুনভাবে তুলে ধরতে এবার অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা হল রঘুনাথগঞ্জে। রঘুনাথগঞ্জ রাজপুত বাহুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন প্রজাতির আম নিয়ে আয়োজিত হল আম উৎসব। এই আম উৎসবে ছিল আমের মিষ্টি থেকে আম রাইস, সব কিছুই।

ফলের রাজা বলা হয় আমকে। প্রধানত মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের আম দেশের পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি হয়। মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ২৫ রকমের আম নিয়ে রঘুনাথগঞ্জ শহরে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত হয়েছিল আম উৎসব। আমের পাশাপাশি আম দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পদ ছিল সেখানে। ভোজন রসিক বাঙালিদের কথা মাথায় রেখে এই আমের উৎসবের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও ছিল আমের তৈরি রাইস থেকে আমের শরবত সমস্ত কিছুই।

আরও পড়ুন: খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা! সুন্দরবনে হাহুতাশ মৎস্যজীবীদের

হিমসাগর, গোলাপখাস, ল্যাংড়া, ফজলি, লক্ষণভোগের স্বাদ নিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আমপ্রেমীরা। ভেষজ ও সারবিহীন গাছ পাকা আমের সম্ভার দেখা যায় এই উৎসবে। আর হাতের কাছে এমন সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে শহরের বাসিন্দারাও তা হাতছাড়া করেননি। বহু মানুষ এসেছিলেন এখানে। আম উৎসবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

কৌশিক অধিকারী

Villagers Protest: খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরি, কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা তৈরির চেষ্টা করছিল স্থানীয় প্রশাসন। প্রতিবাদ করে কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরের উত্তর দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের লস্করপাড়া এলাকায়। খেলার মাঠ নষ্ট করে রাস্তা তৈরির প্রতিবাদে পরে ব্লক অফিসে গিয়ে স্মারকলিপিও দেন গ্রামবাসীরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় উত্তর দুর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মাঠ রয়েছে। ওই মাঠে স্কুলের পড়ুয়াদের পাশাপাশি গ্রামের ছেলেরাও খেলাধুলো করে। সম্প্রতি ওই মাঠের উপর দিয়েই একটি রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করে পঞ্চায়েত। এর জন্য কয়েক দিন ধরে মালপত্র ফেলা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে কাজ শুরুর তোরজোড় হয়। এরপরই বহু গ্রামবাসী জড়ো হয়ে রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন: ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে বড় কাণ্ড, ১০ কোটি টাকা দিয়ে হচ্ছে এই কাজ!

গ্রামবাসীরা জানান, মাঠের উল্টো দিকে একটি মাত্র পরিবারের বাস। সেই পরিবারের কথা ভেবেই ওই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এর ফলে বহু ছেলেমেয়ে খেলাধুলো থেকে বঞ্চিত হবে বলে দাবি তাঁদের। পঞ্চায়েত সূত্রে পাল্টা দাবি, স্কুল-সহ পুরো জায়গাটার মালিক ওই পরিবার। স্কুলের জায়গা তাঁরা দান করে দিয়েছেন। কিন্তু মাঠ সহ অন্যান্য জায়গা তাঁদের মালিকানাধীন আছে। সেই জায়গায় রাস্তা তৈরির জন্য ওই পরিবারের তরফে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। সেই মতই রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকর পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের। অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই এলাকায় রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই পঞ্চায়েত সদস্য সালেয়া গাজি বলেন, রাস্তা তৈরির ব্যাপারে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। আমি মাঠ নষ্ট করে রাস্তা তৈরি সমর্থন করি না। গ্রামবাসীদের প্রতিবাদে আমার সমর্থন রয়েছে।

এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রায় একশো বছরের কাছাকাছি মাঠটি খেলাধুলোর জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। আজ হঠাৎ সেখানে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এক শ্রেণির নেতার মদতে রাস্তা তৈরি করে ধীরে ধীরে ওই মাঠ দখল করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা রাস্তা তৈরির বিরুদ্ধে নই। কিন্তু খেলার মাঠ বাঁচিয়ে রাস্তা হোক।

গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বলেন, জায়গাটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। ওই জায়গায় রাস্তা তৈরির জন্য পাড়ায় সমাধান কর্মসূচিতে আবেদন করা হয়েছিল। সেই মত পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। স্কুলের পাশ দিয়েই মাঠের উপর রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল। ওখানে রাস্তা হলে শুধু ওই পরিবার নয়, স্কুলের পড়ুয়া, অঙ্গনওয়াড়ির পড়ুয়া, নলকূপে জল নিতে আসা গ্রামবাসীরা সকলে উপকৃত হতেন। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ব্লক দফতরের তরফেও জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

সুমন সাহা

Water Logged: জল যন্ত্রণায় স্কুলছুট ছেলেমেয়েরা, অতিরিক্ত পোশাক নিয়ে বেরোতে হয় রোজগেরেদের

হাওড়া: বর্ষাকালে এলেই জল যন্ত্রণা চরমে ওঠে। শিশু থেকে বয়স্ক কেউই ভোগান্তি থেকে বাদ যায় না। কখনও হাঁটু সমান, আবার কখনও বুক সমান জল পেরোতে হয়। ফলে লাটে উঠেছে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া। বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা।

এমনই দুর্বিষহ অবস্থা পাঁচলার বিকিহাকোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিহাটি চড়কতলার। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস থেকে শুরু করে নবান্ন’তে পর্যন্ত জানিয়েও সুরাহা মেলেনি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা দিন মজুরি করে সংসার চালান। কিন্তু এই জল যন্ত্রণার কারণে তাঁদের অনেকেই ঠিক করে কাজে পর্যন্ত যেতে পারছেন না। সাধারণ গ্রামবাসীরাও বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ জমা জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিষধর সাপ! এদিকে জমা জলের কারণে অতিরিক্ত এক সেট পোশাক নিয়ে বেরোতে হচ্ছে রোজগেরেদের। জমা জল পেরিয়ে গিয়ে পোশাক পাল্টে কর্মস্থলে পৌঁছচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর স্বীকৃতির পর সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প ঘিরে বিপুল কর্মসংস্থানের আশা

স্থানীয়দের কথা থেকে জানা গিয়েছে, এলাকাটা নিচু। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বর্ষার কয়েকটা দিন শুধু জল জমে থাকত। কিন্তু বর্তমানে একটানা কয়েক মাস জল জমছে। একটি কারখানার পাঁচিল নির্মাণের পর থেকেই এলাকার জল নিকাশি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। তার ফলে জমা জল নামতেই চাইছে না। মানুষের বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ছে নোংরা জল। তা থেকে চুলকানি সহ নানান ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

এই প্রসঙ্গে রানিহাটির লালমোহন কোলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেবব্রত সানা জানান, ওই এলাকা থেকে প্রায় ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী এই বিদ্যালয়ে পড়ে। কিন্তু এলাকার জমা জলের সমস্যার কারণে বছরের অধিকাংশ সময়ে কুলের আসতে পারে না। এর ফলে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে সেই ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে।

রাকেশ মাইতি

Mango Festival: আম চিনতে পড়ুয়াদের জন্য আমের মেলা! উপভোগ করল কচিকাঁচারা

উত্তর দিনাজপুর: আম খেতে তো ছোট বড় সকলেই ভালবাসে। কিন্তু কোন আমের কি নাম? আমাদের রাজ্যের কোন আমগুলো জিআই ট্যাগ যুক্ত? অথবা আমকে ফলের রাজা কোন কবি আখ্যা দিয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরগুলো জানা আছে আপনার?

অনেকেই হয়ত এই প্রশ্নের উত্তরগুলো জানেন না। তবে এবার আম নিয়ে বাচ্চাদের বিভিন্ন বিষয়ে ছোট ছোট তথ্য দিতে কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুরে অবস্থিত বড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হল আম উৎসব। সরকারি বিদ্যালয়ে বিভিন্ন আম ও আমের গুনাগুন সম্পর্কে বাচ্চাদের অবগত করাতে অভিনব উপায় বসেছিল আমের আসর। যেখানে আম্রপালি, লক্ষণভোগ, হিমসাগর, দৌসরি, ল্যাংড়া সহ বিভিন্ন ধরনের আম নিয়ে এসে ছাত্র-ছাত্রীদের সেই আমগুলো চেনানো হয় এবং আম নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতাও রাখা হয়। 

আরও পড়ুন: গোটা দেশ ব্যর্থ, মধ্যপ্রদেশ থেকে হাতি তাড়িয়ে ছত্তিশগড়ে পৌঁছে দিল বাংলার ছেলেরা

এদিন স্কুলের একটি ক্লাসরুমকে আমের বিভিন্ন ধরনের ছবি দিয়ে সাজানো হয়। এই আম উৎসবে অংশগ্রহণ করেছিল স্কুলের প্রায় দেড়শো থেকে দুশোজন বাচ্চা। বড়াল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ সন্দীপ ভট্টাচার্য জানান, বিদেশে সাধারণত এই আম উৎসব পালন হয়। তা অনুসরন করে একটা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু বাচ্চারাই নয়, অনেকেই আছেন যারা আমের নাম জানেন না। তাই আম নিয়ে এদিন এই উৎসবে বিভিন্ন ধরনের আমের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। আগামী দিনে যদি কেউ এই সমস্ত কিছু নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় বা হর্টিকালচার লাইনে যেতে চায় তাহলে তারা কিভাবে পড়াশোনা করবে সে বিষয়গুলো ছাত্র-ছাত্রীদের জানানো হয়। 

পিয়া গুপ্তা

Closed Primary School: বন্ধ সরকারি স্কুল ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘দখলে’! দিব্যি চলছে সংসার

উত্তর ২৪ পরগনা: বন্ধ প্রাথমিক স্কুলেই রান্না করা থেকে থাকা-খাওয়া, রীতিমতো সংসার পেতেছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা ঠিকা শ্রমিকরা। এক সময় যে স্কুল পড়ুয়াদের কোলাহলে মেতে থাকত বর্তমানে সেটাই শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। আর সেই সুযোগে গোটা স্কুলটি কার্যত ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাসস্থানে পরিণত হয়েছে।

অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বন্ধ নিত্যানন্দ জিএফপি স্কুল কার্যত ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের দখলে চলে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় প্রাথমিক স্কুলটি। সেই বন্ধ স্কুলেই দিব্যি ঘর-সংসার পেতে বসবাস করছে ঝারখণ্ড সহ এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় ২০ জনের মত নির্মাণ কর্মী ও রাস্তা তৈরির শ্রমিকরা। রাতে স্কুলের মধ্যে রীতিমত মশারি খাটিয়ে ঘুমোতে দেখা যায় তাঁদের।

আরও পড়ুন: মালদহের দৃষ্টিহীনরা এবার জেলাতেই ফিরে পাবেন দৃষ্টি শক্তি

স্কুলের ভেতর থাকা নিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিক মুন্না নিজে অকপটে স্বীকার করেছেন, তাঁদের রাজ্যের কোন‌ও স্কুলে এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে না। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন ঠিকাদার নিজে তাঁদের এখানে থাকার বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন। একই কথা শোনা গেল স্কুলে বসবাসকারী রান্নায় ব্যস্ত থাকা এক গৃহবধুর গলায়। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয়রা সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। সকলেই চাইছেন দ্রুত এই স্কুলটি ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের দখলমুক্ত করা হোক।

স্থানীয় বাসিন্দারা এই বন্ধ প্রাথমিক স্কুলকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একান্তই সেটা সম্ভব না হলে এখানে পুরসভার তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ার দাবি তোলা হয়েছে।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Birthday Gift: ভাগ্নের জন্মদিনে স্কুলকে বিরাট উপহার মামার! জানলে এই গরমেও আপনি ঠান্ডা হয়ে যাবেন

মুর্শিদাবাদ: তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে এবার অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল এক স্কুল পড়ুয়ার পরিবার। ভাগ্নের জন্মদিনে গরমের হাত থেকে বাঁচতে ছোট ছোট শিশুদের জন্য স্কুলকে ১১টি ফ্যান উপহার দিলেন মামা। বেলডাঙার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা।

জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা চক্রের ৩০ নম্বর আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খুব প্রয়োজন ছিল ১১ টা ফ্যানের। বিদ্যালয়ের ডিজিটাল ক্লাসরুমে আটটা ও রিডিং রুমে তিনটে ফ্যান উপার্থে লাগানো হয়েছে। এই জায়গাগুলোয় ফ্যান না থাকার কারণে গরমে খুব কষ্ট পেতে হচ্ছিল সকলকে। সম্প্রতি স্কুলের পড়ুয়া দেবপ্রিয় দত্ত’র জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষে ওই পড়ুয়ার পরিবার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। স্কুলের পক্ষ থেকে ফ্যানের প্রস্তাব করতেই এক কথায় রাজি হয়ে ২০ হাজার টাকা দিয়ে স্কুলের জন্য ১১ টি ফ্যান কিনে দেন ওই পড়ুয়ার মামা সুরজিৎবাবু।

আরও পড়ুন: ছবির মত সুন্দর পাহাড়ি গ্রামটা হারিয়ে যাবে!

ছাত্রের জন্মদিনে এমন দুর্দান্ত একটি উপহার পেয়ে খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ‌ও। গতবছর বিদ্যালয়ের ২২ জন শিশুর জন্মমাসের সঙ্গে দেবপ্রিয়র জন্মদিন পালন করা হয়। স্কুলে খাওয়া দাওয়া ও কেক কেটেই হয় এই জন্মদিন উদযাপন। গোটা ঘটনায় খুশি সকলে।

কৌশিক অধিকারী

School Library: অজ গ্রামের স্কুলে এলে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবেন

পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রামীণ এলাকায় ছোট্ট একটি একচালা প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ। বাইরে থেকে তেমন বোঝা না গেলেও বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে এক আলাদা অনুভূতি দেবে আপনাকে। বিদ্যালয়ের একটি কোণে একটি ছোট্ট আলমারি। লাইব্রেরি হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে একটি দিক। যেখানে রয়েছে নানান গল্পের বই এবং খেলার সামগ্রী। ছাত্রদের মধ্যে বই পড়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা এই লাইব্রেরি গড়ে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, বিদ্যালয়ের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ তৈরি করতে একচালা এই বিদ্যালয়কে সাজানো হয়েছে নতুনভাবে। দেওয়াল জুড়ে শিক্ষাদানের নানা বিষয়বস্তুকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রামের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুলছুট রুখতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন অভিনব ভাবনা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।

স্কুলের পাঠ্য বইয়ে থাকা বিষয়গুলো কি কেবলই মুখস্তের জন্য? নম্বর তোলার ইঁদুর দৌড়ে কিছু বুঝে বা না বুঝে মুখ বুজে পড়ে যাওয়া বর্তমানে একটি ক্ষতিকারক সমাজিক ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেই চাপ এসে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি ভীতি কাটাতে এবং সকল ছেলেমেয়েদের কাছে একটি আনন্দের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে বিদ্যালয়কে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সাজানো হয়েছে নতুনভাবে। দেওয়ালে নানান ছবি, সঙ্গে বর্ণপরিচয়কে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পড়ুয়াদের কাছে। রয়েছে ইংরেজি বর্ণমালা থেকে মাস কিংবা বিভিন্ন দিনের নাম।

আর‌ও পড়ুন: হিউয়েন সাং, মেগাস্থিনিস’র মত পরিব্রাজক হতে চান তারকেশ্বরের যুবক, সাইকেলে পাড়ি বাংলাদেশ

বিভিন্ন গল্প অবলম্বনে আঁকা হয়েছে নানান ছবিও। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের প্রান্তিক এক এলাকা রাধামোহনপুরে এমনই বিদ্যালয় নজর কেড়েছে জেলার মানুষের। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অন্যরকমভাবে শিক্ষাদানের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ডেবরা ব্লকের রাধামোহনপুর হাটপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। একচালা স্কুল হলেও শিক্ষকদের উদ্যোগে এক লহমায় বদলে গিয়েছে গোটা স্কুলের পরিবেশ। মজার ছলে শিশুরা শিখতে পারছে তাদের প্রাথমিক পাঠ।

যখন প্রান্তিক এলাকায় সরকারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করার প্রবণতা কমছে, তখনই এই স্কুলে এলে আপনিও মুহূর্তেই বদলে যাবেন। শিক্ষার যাঁতাকলে বাচ্চাদের ফেলে রাখা নয়, তাদের মধ্যে আনন্দের সঙ্গে পড়াশোনা এবং খেলাধুলোর মানসিকতা গড়ে তুলতে এমন উদ্যোগ সকলের প্রশংসা পেয়েছে। গতানুগতিক সরকারি স্কুলের সেই ছবির বাইরে শিক্ষকদের সদিচ্ছা এবং গ্রামের মানুষের সহায়তায় এমন যে স্কুলের রূপ দেওয়া সম্ভব তা প্রমাণ করেছে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার এই প্রাথমিক স্কুল।

রঞ্জন চন্দ