Tag Archives: Hot Summer

Tomato Cultivation: প্রচন্ড গরমে এই টম্যাটো চাষ করলেই হবে উপরি রোজগার

উত্তর দিনাজপুর: এক বিশেষ প্রজাতির টম্যাটো এই গরমে দারুন ফলছে। আর তা চাষ করলেই হবে উপরি রোজগার। উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় চাষ হচ্ছে এই বিশেষ টম্যাটো।

ঘটনা হল, টম্যাটো মূলত শীতকাল ও গরমকাল এই দুই সময় চাষ করা হয়। তবে বর্তমানে খুব বেশি গরমের কারণে গ্রামে গঞ্জের বহু কৃষক টম্যাটো চাষ করেও ভাল ফলন পাচ্ছেন না। টম্যাটো গাছ খরার কারণে মরে যাচ্ছে। তাই এই সময় বেছে নিতে হবে উচ্চ ফলনশীল কিছু প্রজাতির বীজ, যা খরা সহ্য করতে পারবে। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষিবিজ্ঞানী ধনঞ্জয় মণ্ডল এই প্রসঙ্গে জানান, উন্নত মানের টম্যাটোর বীজে অধিক ফলন পাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে খরা সহ্য করতে পারে এমন অনেক জাতের টম্যাটো বীজ পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাড়ি না পার্ক এক ঝলক দেখে বুঝতে পারবেন না! বসতভিটে দেখতে ছুটে আসছে মানুষ

প্রতিদিন যেভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে সেই অনুযায়ী বেছে নিতে হবে টম্যাটোর বেশ কিছু জাত। যে সমস্ত জায়গায় ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা থাকে সেই সব জায়গায় একচল্লিশ, জিরো ট্রু, বাষট্টি এই সমস্ত জাতের টম্যাটোগুলোর বীজ রোপণ করতে হবে। এই টম্যাটোর জাতগুলো ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রা সহ্য করতে পারবে। আবার অন্যদিকে যে সমস্ত জায়গায় তাপমাত্রা আরও বেশি, অর্থাৎ ৩৯ বা ৪১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট থাকবে সেই সমস্ত জায়গায় আবার এর থেকে একটু উন্নত জাতের টম্যাটো লাগাতে হবে। নইলে গাছ মরে যাবে কিংবা গাছে রোগ, পোকার আক্রমণ বৃদ্ধি পাবে।

গ্রীষ্মকালীন টম্যাটো চাষের জন্য চৈত্র, বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করা হয়। আর শীতকালীন টম্যাটো চাষের জন্য মধ্য কার্তিক থেকে মাঘের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চারা রোপণ করা হয়। এছাড়াও আগাম চাষের জন্য ভাদ্র-আশ্বিন মাসেও অনেকে টম্যাটো বীজ রোপণ করেন। টম্যাটো লাগানোর দু থেকে চার মাসের মধ্যেই ফল তোলা যায়।

পিয়া গুপ্তা

Saheb Bandh: সাহেব বাঁধের জলে পুরুলিয়ার জলসঙ্কট দূর করার চেষ্টা

পুরুলিয়া: গরমের দাপটে নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণের বেশিরভাগ জেলার। ‌ সেই তালিকায় উপরের দিকেই আছে পুরুলিয়ার নাম। এমনিতেই গরমকাল শুরু হলেই এই জেলায় জল সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করে। ‌তীব্র গরমের কারণে পুরুলিয়া জেলার জলের প্রধান উৎস কাঁসাই নদীর জলস্তর অনেকখানি নেমে যায়। আর সেই কারণেই জল কষ্টে ভুগতে হয় জেলার মানুষদের।

যদিও এ বছর পুরুলিয়া পুরসভা ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে মানুষ জল কষ্টে না ভোগে। অন্তত পানীয় জলটুকু দেওয়ার চেষ্টা জোরকদমে চলছে। পুরুলিয়া শহরের অন্যতম জলাধার সাহেব বাঁধ। ‌এক সময় এই বাঁধ পুরুলিয়া শহরে জলের অন্যতম উৎস ছিল। কিন্তু বর্তমানে সাহেব বাঁধ কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণে এই জল আর ব্যবহার করা যায় না। তবে সাহেব বাঁধের কচুরিপানা নির্মূলের কাজ শুরু হয়েছে। অনেকখানি পরিষ্কার হয়েও গিয়েছে সাহেব বাঁধের কচুরিপানা। তাই পুরুলিয়া পুরসভা এই বাঁধের জল পুনরায় পানীয় জলের ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: ঋতুভিত্তিক ধান, পাট ছেড়ে সবজি চাষে মেতেছেন কৃষকরা

এই বিষয়ে পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নব্যেন্দু মাহালি বলেন, এই মুহূর্তে সাহেব বাঁধের জল ব্যবহারের উপযোগী নয়। তবে একটি এজেন্সি এই সাহেব বাঁধ নতুন করে সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েছে। আগামী দিনে সাহেব বাঁধের জল সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে পুনরায় এই বাঁধকে আগে রূপে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সাহেব বাঁধের জল যদি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায় তাহলে পুরুলিয়া শহরের জলের সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Yellow Watermelon: আম, লিচুর অভাব মেটাচ্ছে হলুদ তরমুজ! চেখে দেখুন, স্বাদে মজে যাবেন

কোচবিহার: এবার গ্রীষ্মের শুরু থেকে তাপমাত্রা কমার নাম নেই। গরমে হাঁসফাঁস করছে সবাই। ফলে রসালো ফলের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু বাজারে পর্যাপ্ত ফলের দেখা নেই। বাঙালির প্রিয় আম, লিচু বাড়ন্ত। এখন তরমুজের যোগানেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে সবুজ তরমুজের বদলে এবার বাজারে দাপাচ্ছে নতুন ধরনের হলুদ তরমুজ। যা ইতিমধ্যেই ক্রেতাদের নজর আকর্ষণ করতে শুরু করেছে। কোচবিহারের ক্রেতারা বাজার থেকে এখনও পর্যন্ত আম, জাম কিংবা কাঁঠাল খুব একটা বেশি কিনতে পারছেন না। তাইতো বিকল্প ফল হিসেবে এই হলুদ তরমুজকেই পছন্দের তালিকায় রেখেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ইস্কোর বিরুদ্ধে খেলার মাঠ দখলের অভিযোগ

কোচবিহারের এক ফল বিক্রেতা প্রেমানন্দ রায় এই প্রসঙ্গে জানান, বর্তমানে বাজারে এখনও পর্যন্ত আম, জাম কিংবা কাঁঠালের দেখা মেলেনি পর্যাপ্ত পরিমাণে। মাঝে কয়েকদিন বাকি জামাইষষ্ঠীর। তাইতো বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে এই হলুদ তরমুজ। অন্যান্য তরমুজের চাইতে এই তরমুজ দেখতে যেমন আলাদা, তেমনই এই তরমুজের স্বাদও অনেকটাই বেশি। ফলে ক্রেতারা এই হলুদ তরমুজ কিনছেন প্রচুর পরিমাণে। জেলায় এই প্রথম হলুদ তরমুজের চাষ করা হয়েছে।

সার্থক পণ্ডিত

Tourism Industry: অস্বাভাবিক গরমে ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন, বৃষ্টির অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

পুরুলিয়া: তীব্র দাবদাহে ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পর্যটন শিল্প। এবারের গরমের শুরুতেই বাংলার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর তাপমাত্রা ৪৪-৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যায়। এমনকি দেশের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান হয়ে দাঁড়ায় এখানকারই বিভিন্ন জায়গা। ফলে গরমের ছুটি পড়লেও এই দহনজ্বালা থেকে বাঁচতে এবার যেন পুরুলিয়ার দিক থেকে অনেকটাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন পর্যটকরা। বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

মাঝে কয়েকটা দিন বৃষ্টির দেখা মেলায় কিছুটা হলেও আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছিল কিন্তু পুনরায় আবারও তীব্র রোদের দাপট শুরু হয়েছে। আর তাতেই চড়চড় করে চড়ছে পারদ। বাংলার পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম পুরুলিয়া। কমবেশি সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা গেলে থাকে লাল মাটির এই জেলাতে। জেলার অর্থনীতি অনেকটাই পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এবার অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের জেরে রীতিমত ধুঁকছে পর্যটন ব্যবসা‌।

আরও পড়ুন: ভোটের ছুটিতে দেদার আনন্দ, বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরে নেমে তলিয়ে গেল যুবক

এই নিয়ে পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেন, গরমের কারণে পর্যটকদের দেখা নেই বললেই চলে। কিছু আগের বুকিং ছিল, তারাই শুধু আসছে। একমাত্র বৃষ্টি হলেই আবার পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে তাঁরা মন্তব্য করেন। পুরুলিয়ার বিখ্যাত অযোধ্যা পাহাড় থেকে শুরু করে নির্মল প্রকৃতির বুকে বিভিন্ন হোম-স্টে ও ক্যাম্প, সর্বত্রই এখন পর্যটকের দেখা নেই অবস্থা।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Elephant: জল পান করতে এসেও শুকনো গলায় ফিরতে হচ্ছে হাতির দলকে, পরিচিত দৃশ্য দেখতে না পেয়ে হতাশ পর্যটকরা

জলপাইগুড়ি: গলা ভেজাতে গিয়ে তৃষ্ণার্ত হয়েই ফিরে আসতে হচ্ছে। জলের অভাবে গলা ভেজাতে পারছে না হাতির দল। ফলে হাতিরদের দলবেঁধে জলপানের প্রতি বিখ্যাত দৃশ্য দেখার সুযোগ হারাচ্ছেন পর্যটকরাও। স্বাভাবিকভাবে তাঁদেরও মন খারাপ।

এখন উত্তরবঙ্গেও তীব্র গরম। প্রবল তাপে বিভিন্ন জলাশয়, খালের জল বাষ্প হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীরাও ব্যাপক সঙ্কটে পড়েছে৷ পান করার মত জলটুকু পাচ্ছে না তারা।

আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের রেজাল্ট কবে বেরিয়েছে, এখনও একাদশে ভর্তি শুরু হল না এই স্কুলে! কারণ জানলে…

কার্যত খরার চেহারা নিয়েছে ডুয়ার্স। তীব্র রোদে মরমর হয়ে যাচ্ছে গাছ, শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়। জলপাইগুড়ির গাজলডোবার রাস্তার পাশের ক্যানেলের বর্তমান পরিস্থিতি এমনই। ফলে সেখানে জল পান করতে এসে শুকনো গলাতেই ফিরতে হচ্ছে হাতিদের। অথচ এক সময় হাতিদের অবাধ আনাগোনা ছিল এ‌ই ক্যানেলে। তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি এখানে স্নান করতেও দেখা যেত হাতিদের। কিন্তু গরম পড়তেই বন্ধ হয়েছে ক্যানেলের জল ছাড়া।

এদিকে ডুয়ার্সে ঘুরতে আসা পর্যটকরা হাতিদের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, দল বেঁধে জল পান, স্নান করার সময় লুটোপুটি খাওয়ার দৃশ্য দেখার জন্য গজলডোবার এই ক্যানেলের কাছে ভিড় করতেন। কিন্তু এবার আর সেই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না। ফলে অনেক আশা নিয়ে আসা পর্যটকরা কিছুটা হলেও মুষড়ে পড়ছেন। ফলে মুখ বেজার করেই ফিরতে হচ্ছে পর্যটকদের। এদিকে তীব্র জলকষ্টে ভুগছে হাতিরাও। অনাবৃষ্টিতে সমস্যার সম্মুখীন সকলেই। এখন চাতক পাখির মত বৃষ্টির আশায় দিন গুনছে জলপাইগুড়িবাসী।

সুরজিৎ দে

Jute Cultivation: বৃষ্টির অভাবে সঙ্কটে পাট চাষ, নবাবের জেলায় ভয়াবহ অবস্থা

মুর্শিদাবাদ: এবার গ্রীষ্মের শুরু থেকেই চালিয়ে ব্যাট করছে দাবদাহ। যার দাপটে নাজেহাল বঙ্গবাসী। এই তীব্র গরমে শুধু যে মানুষের কষ্ট হচ্ছে তাই নয়, ক্ষতি হচ্ছে কৃষি কাজের‌ও। এই অত্যাধিক গরম পড়ায় এবং বৃষ্টি না হওয়ায় মুর্শিদাবাদ জেলায় এবার পাট চাষ ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। সঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন চাষিরা।

পাটের বীজ লাগানো হলেও অত্যধিক সূর্যের তাপের কারণে পাটের চাষ ঠিক মত করা যাচ্ছে না। সেইসঙ্গে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় চাষের জমিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। জলাভাবে ক্ষতি হতে শুরু করেছে পাট ও তিল চাষের। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছোঁয়া তাপমাত্রায় ফসল নিয়ে চিন্তিত মুর্শিদাবাদের চাষিরা। তাঁদের দাবি, আবহাওয়া দফতর এই সপ্তাহজুড়ে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে ফসল বাঁচবে কি না সেটাই চিন্তার। অন্যদিকে কবে বর্ষা আসবে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন চাষিরা।

আরও পড়ুন: রাত বাড়লেই বাড়িতে পড়ছে ঢিল! ভৌতিক কাণ্ড জলপাইগুড়ি শহরে

মুর্শিদাবাদ জেলাকে পশ্চিমবঙ্গের পাট চাষের আঁতুর ঘর বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই জেলার ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় পাট চাষ করতে গিয়ে রীতিমত মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। পুরোপুরি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বার এমনিতেই বহু জমিতে আলুর ফলন তলানিতে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে পাট চাষেরও ক্ষতি হওয়ায় চলতি বছর ব্যাপক আর্থিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে এই জেলায়। কারণ বহু কৃষক ঋণ নিয়ে পাট চাষ করেছিলেন।

চাষিদের দাবি, এ বার এখনও পর্যন্ত কালবৈশাখীর দেখা নেই। এর ফলে অনেক চাষি পাট চাষ শুরুই করতে পারেননি। অনেকে পুকুর, নালা, বিলের মতো ছোট জলাশয়ে চাষ শুরু করলেও বর্তমানে ওই জলাশয়গুলোর বেশিরভাগ শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে পাট চারা বাঁচাতে সমস্যায় পড়েছেন চাষিরা। এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে ভারী বর্ষনের অপেক্ষায় চাষিরা।

কৌশিক অধিকারী

Drinking Water Crisis: জলের সন্ধানে কলসি-বালতির রেল লাইন, দাঁড়িয়ে ঠিক যেন ট্রেনের বগি!

পানীয় জলের জন্য কেউ সকাল থেকে, আবার কেউ ভোর থেকে কলসি, বালতি রেখে কলের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু জলের দেখা নেই। এই সমস্যা এক-দুই দিনের নয়, প্রায় এক বছর হতে চলল। গরম পড়তেই সেই সমস্যা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
পানীয় জলের জন্য কেউ সকাল থেকে, আবার কেউ ভোর থেকে কলসি, বালতি রেখে কলের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু জলের দেখা নেই। এই সমস্যা এক-দুই দিনের নয়, প্রায় এক বছর হতে চলল। গরম পড়তেই সেই সমস্যা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের কোতোয়ালি গণিপুর গ্রামে পানীয় জলের তীব্র সমস্যা। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা। যদিও সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের কোতোয়ালি গণিপুর গ্রামে পানীয় জলের তীব্র সমস্যা। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা। যদিও সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় এক বছর ধরে এই সমস্যা। নিয়মিত জল আসে না। জলের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়। তাও গত কয়েকদিন ধরে জল আসছে না। জল কিনে খাওয়ার সমর্থ্য নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় এক বছর ধরে এই সমস্যা। নিয়মিত জল আসে না। জলের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়। তাও গত কয়েকদিন ধরে জল আসছে না। জল কিনে খাওয়ার সমর্থ্য নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
মালদহ: কলসি-বালতির লম্বা লাইন। রাস্তার এক পাশে লাইনে পাত্র রেখে অপেক্ষায় মহিলা, পুরুষ সকলেই। ঠিক যেন ট্রেনের বগির মত লম্বা এই লাইন। কিসের জন্য এই লাইন?
মালদহ: কলসি-বালতির লম্বা লাইন। রাস্তার এক পাশে লাইনে পাত্র রেখে অপেক্ষায় মহিলা, পুরুষ সকলেই। ঠিক যেন ট্রেনের বগির মত লম্বা এই লাইন। কিসের জন্য এই লাইন?
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সঞ্জয় কুমার দাস জানান, একাধিক জায়গায় গরম পড়তেই জল সংকট দেখা দিয়েছে। পিএইচই দফতরের পক্ষ থেকে জল সরবরাহ করা হলেও এখনও তা অনিয়মিত। জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে জল পৌঁছে যাবে, প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সঞ্জয় কুমার দাস জানান, একাধিক জায়গায় গরম পড়তেই জল সংকট দেখা দিয়েছে। পিএইচই দফতরের পক্ষ থেকে জল সরবরাহ করা হলেও এখনও তা অনিয়মিত।‌ জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে জল পৌঁছে যাবে, প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

Lychee Cultivation: রোদে পুড়ে যাচ্ছে নদিয়ার লিচু, অসহায় চাষিরা

নদিয়া: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। তবে আগের মত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি না পেরোলেও ভ্যপসা গরম ও প্রখর রোদ রয়েই গিয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে কালবৈশাখী দেখা গেলেও তা যথেষ্ট ছিল না। এর ফলে লিচু চাষ ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

এমনিতেই চলতি বছর আবহাওয়ার কারণে আমের ফলন ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছে। এবার বাঙালির আরেক প্রিয় ফল লিচুর জন্য দুঃসংবাদ। প্রখর রোদে লিচুর কুড়ি পুড়ে যাচ্ছে। সেচ দিয়েও সেই অর্থে লাভ হচ্ছে না। পাকার সময় হয়ে গিয়েছে লিচুর। এখন যদি বৃষ্টিপাত আসেও তাতে কতখানি লাভ হবে তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন কৃষকেরা। লিচু-আম ইত্যাদি গ্রীষ্মকালীন ফল বরাবরই নদিয়া জেলায় ব্যাপক পরিমাণে উৎপাদিত হয়। তা অন্যত্র‌ও রফতানিও হয়। আমের পাশাপাশি লিচু নদিয়ার শান্তিপুর, কৃষ্ণগঞ্জ ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় চাষ করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন: তীব্র রোদে চাষের ক্ষতি হলেও হাসছেন এখানকার কৃষকরা! ভুট্টার গল্প শুনলে আপনিও…

কৃষকেরা প্রতিবছর লিচু বাগান লিজ নিয়ে ফলন করেন। কিন্তু এবার উৎপাদন কমে যাওয়ায় মাথায় হাত কৃষকদের। তাঁদের বক্তব্য, ফসলের দেখভাল করার জন্য আগে বেলা বারোটা পর্যন্ত মাঠে বসে থাকতেন। কিন্তু এখন যা রোদের তেজ তাতে দশটা বাজলেই বাড়ি চলে যেতে হচ্ছে। আবার বিকেল পাঁচটার আগে মাঠে পা দেওয়া যাচ্ছে না। সেইভাবে গাছে পরিমাণমতো জলও দেওয়া যাচ্ছে না। আর সেই কারণেই জল ও বৃষ্টিপাতের অভাবে লিচুর কুড়ি অধিকাংশই শুকিয়ে গিয়েছে। এর উপর লিচুতে পোকার আক্রমণ আছে। ফলে এইবার ভাল লিচু যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়ে লাভ তো দূরের কথা, চাষের খরচ‌ও উঠবে না বলে কৃষকদের আশঙ্কা।

মৈনাক দেবনাথ

Corn Cultivation: তীব্র রোদে চাষের ক্ষতি হলেও হাসছেন এখানকার কৃষকরা! ভুট্টার গল্প শুনলে আপনিও…

আলিপুরদুয়ার: এবারের অস্বাভাবিক গরমে অন্যান্য ফসল উৎপাদন ও কৃষিকাজে যখন ক্ষতি হচ্ছে ঠিক সেই সময় হাসি ফুটেছে ভুট্টা চাষিদের মুখে। এই গরম তাঁদের কাছে শাপে বর হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ চড়া রোদে সহজেই শুকিয়ে যাচ্ছে ভুট্টা দানা।

আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার প্রকোপ থেকে ভুট্টা চাষ যে বেঁচে গিয়েছে তেমনটা নয়। বরং এই চরম আবহাওয়া আলিপুরদুয়ার জেলায় ভুট্টা চাষে যথেষ্ট ক্ষতি করেছে। কিন্তু উৎপাদিত ভুট্টা দানা এই চড়া রোদে সহজে এবং দ্রুত শুকাতে পারায় দিনের শেষে মুখে হাসি ফিরেছে চাষিদের

আলিপুরদুয়ার জেলার এক নম্বর ব্লকে গেলে দেখা যায় মাঠে ত্রিপল বিছিয়ে ভুট্টা দানা শুকিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা। সাধারণত ভুট্টা একটি আদ্র ফসল। ভুট্টা দানা যখন ছাড়িয়ে নেওয়া হয় তখন দানাগুলি আদ্র থাকে। সেগুলি পুরোপুরি না শুকোলে খোসা বের হয় না। এই খোসা বের হলে তবেই সেগুলিকে বাজারজাত করে থাকেন চাষিরা। এই শুকনো ভুট্টা দিয়ে তৈরি হয় পপকর্ন।

আরও পড়ুন: পাটের জমিতে তিল চাষ করে চমক শিক্ষকের! ইউটিউব ভিডিও এনে দিল সাফল্য

এই বিষয়ে চাষি প্রদীপ বর্মন জানান, এই তাপপ্রবাহে কষ্ট হচ্ছে সকলেরই। ভুট্টার ফলনও কম হয়েছে। কিন্তু ভুট্টা দানা শুকানোর জন্য তাপমাত্রার প্রয়োজন ছিল, তা এই কদিনে মিলেছে। ভুট্টা দানা পুরোপুরি শুকিয়ে গিয়েছে। এই কারণে আমরা খুশি।

ভুট্টা দানা শুকানোর জন্য ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। এক সপ্তাহ এই তাপমাত্রাতে ভুট্টা দানা থাকলেই খোসা বেরিয়ে আসে। এই টানা রোদের ফলে সেটা সহজেই সম্ভবপর হয়েছে।

অনন্যা দে

Betel Nut Farming: অত্যধিক গরমে সুপারি চাষের ব্যাপক ক্ষতি

আলিপুরদুয়ার: প্রচন্ড দাবদাহের কারণে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে সুপরি গাছ। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন চাষিরা। আর তাই গ্রীষ্মকালে সুপরি গাছের পরিচর্যা নিয়ে খুব শীঘ্রই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন জেলা কৃষি আধিকারিক।

তিনদিন হল প্রচন্ড দাবদাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে ডুয়ার্সজুড়ে। গরমের কারণে বেলা হলেই রাস্তায় মানুষকে দেখা যাচ্ছে না। শুকিয়ে যাচ্ছে জলাশয়। এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে চিন্তায় পড়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলার সুপরি চাষিরা। এই জেলা সুপরি চাষের জন্য বিখ্যাত। প্রতিটি ব্লকেই হয় সুপরি চাষ। বর্তমানে ফালাকাটা ও কালচিনি ব্লকে চলছে সুপরির চারা রোপন। এই প্রচন্ড দাবদাহের কারণে মাঠেই শুকিয়ে মরে যাচ্ছে সুপারি গাছ। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রচন্ড গরমের কারণে ইতিমধ্যেই জেলায় ৩০০ টি সুপরি গাছ মারা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: উত্তরের ‘টেমস’ করলা যেন আজ সবুজ ঘাসে ভরা মাঠ!

এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়ার পরিবর্তন নাহলে সুপরি চাষে মন্দা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।। তাই খুব শীঘ্রই জেলার সুপরি চাষিদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।

এইদিকে একের পর এক সুপরি গাছ মরে যাওয়ায় মাথায় হাত কৃষকদের। তাঁরা জানিয়েছেন, এইভাবে গরম চললে এবার সুপারি চাষে ভয়াবহ ক্ষতি হয়ে যাবে। এমনিতেই গরমের পর বৃষ্টি নামলে হাতির উপদ্রব শুরু হয়ে যায়। সব মিলিয়ে বেশ সঙ্গীন অবস্থা সুপারি চাষিদের। কৃষি ও বন দফতর সবটা জেনেও নিশ্চুপ বলে অভিযোগ।

অনন্যা দে