কোচবিহার: সদর শহরে অবস্থিত মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এই গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালের পিছন দিকের অংশে রয়েছে মাতৃমা বিভাগ এবং মর্গ। আর এসবের ঠিক পাশেই জমে রয়েছে নোংরা আবর্জনার পাহাড়। বর্ষাকালে সেখানে বৃষ্টির জল জমে রীতিমত পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে নাকে রুমাল চাপা দিতে বাধ্য হতে হচ্ছে সকলকে।
প্রতিদিন বহু মানুষ রোগী নিয়ে কোচবিহার জেলা সদরের এই হাসপাতালে আসেন। তাঁদের প্রতীক্ষার জন্য কোনও জায়গা না থাকায় তাঁরা এখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন। তবে এই নোংরা আবর্জনার দুর্গন্ধে রীতিমত অস্বস্তি বাড়ছে সকলের। এই মেডিকেল কলেজে আসা এক রোগীর আত্মীয় রোশনারা বেগম বলেন, সাধারণ মানুষ মেডিকেল কলেজে আসে ভালভাবে চিকিৎসা করাতে। আর সেখানেই যদি এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তবে মানুষ কোথায় যাবে! নোংরা অর্জনের জমে দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা হয়ে আছে। পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই প্রতি মুহুর্তে এলাকার মানুষ দূষণের সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পরিবার থেকে বিতাড়িত ৮৬ বছরের বৃদ্ধর ঢাল হয়ে দাঁড়াল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র
সুধাম দাস নামে আরেক ব্যক্তি জানান, হঠাৎ কোনও সময় ছোট গাড়ি এসে সামান্য কিছু আবর্জনা নিয়ে যায়। কিন্তু বাকি নোংরা এখানেই পড়ে থাকে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মুন্না আলম জানান, কার্যত নোংরার পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুকুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন পশু-পাখি এই নোংরার মধ্যে খাবার খুঁজে বেড়াচ্ছে। নোংরা টেনে রাস্তায় নিয়ে আসছে। সব মিলিয়ে একেবারে বাজে পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে এই এলাকার।
গোটা বিষয়টি নিয়ে এমজেএন মেডিকেল কলেজের এমএসভিপি রাজিব প্রসাদ জানান, নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ইতিমধ্যেই পুরসভাকে জানানো হয়েছে। দ্রুত এই নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করা হবে।এই বিষয়ে কোচবিহারের পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, নোংরা আবর্জনা পরিষ্কারের আবেদন ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে এসে পৌঁছেছে। দ্রুত সেই কাজ করা হবে।
সার্থক পণ্ডিত